দেশে চালের কোনো সংকট নেই। পর্যাপ্ত চাল আছে। তবু বাড়ছে দাম। মজুতদাররা বাজারে না ছেড়ে চাল ধরে রাখছেন বলেই দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তবে বেসরকারিভাবে কার কাছে কত মজুত আছে, সেটা অজানা।
এদিকে, আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে সরকারের চালের বাফার মজুতও।
বাজার থেকে প্রায় দেড় কেজি মোটা চালের আগের দাম দিয়ে এখন এক কেজি কেনাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
দেশে চিকন চালের ৬০ ভাগ হয় মিনিকেট। মোটা চাল ৩০-৩৪ ভাগ। বাকিটা হয় অন্যান্য সরু চাল।
কৃষি শুমারি ২০০৮ অনুযায়ী, দেশে মোট পরিবার বা খানা সংখ্যা ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ৭৬৩টি। এখানে ১ কোটি ৩৫ লাখ ১২ হাজার ৫৮০টি পরিবার কৃষিবহির্ভূত। আর কৃষিকাজে যুক্ত এমন পরিবার এক কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ১৮৩টি।
তবে কৃষিতে যুক্ত পরিবারগুলোর অন্তত ৪৫-৫০ লাখ পরিবার ধান চাষ করলেও পরিবারের চাহিদা মেটাতে কিংবা অন্য ফসলে বিনিয়োগের অর্থের যোগান পেতে জমি থেকে ফসল তোলার পরই তারা তা বাজার দামে বিক্রি করে দেয়। ফলে মৌসুম শেষে এসব পরিবারে মাস চলার মতো চাল থাকে না। তাদেরকেও বাজার থেকে চাল কিনেই খেতে হয়।
কারা এই মজুতের অদৃশ্য পকেট
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অদৃশ্য পকেটের তালিকায় রয়েছে ৩ হাজার ৫০০টি অটো রাইস মিল এবং ১৮ হাজার ৫০০ রাইস মিল, যারা দেশে ধান-চালের বড় ক্রেতা এবং সরবরাহকারী।
চালের মজুত রয়েছে অন্তত ১৭টি বড় করপোরেট কোম্পানির কাছেও, যারা গত কয়েক বছরে খাদ্যপণ্যের বাজারে প্রবেশ করেছে। তাদের অনেকে সরাসরি চালের ব্যবসার পাশাপাশি খাদ্যবহির্ভূত পণ্য তৈরি করছে, যার উপকরণ হিসেবে চালের প্রয়োজন হচ্ছে।
বাংলাদেশ রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ব্রি) গবেষণা বলছে, প্রতিবছর দেশে উৎপাদিত চালের ২৪-২৬ শতাংশ এই বড় কোম্পানিগুলোর খাদ্যবহির্ভূত পণ্য তৈরির পেছনে চলে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম খোরশেদ আলম জানান, নিয়মিত আড়তদার, ফড়িয়া, পাইকার ও খুচরা বিক্রেতা, এমনকি বড় মাপের কৃষকও ধান-চাল মজুত করেন।
তিনি দাবি করেন, এক শ্রেণির মৌসুমি ব্যবসায়ীও চাল মজুত করেছেন। এরা উৎপাদন মৌসুম এলেই লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ধান-চাল কিনে নিজেদের সুবিধামতো জায়গায় মজুত রাখেন, আর বাজারে দাম বাড়লে চাল ছাড়েন। তবে মিলারদের কাছে চালের পর্যাপ্ত মজুত নেই। চাইলে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা খতিয়ে দেখতে পারে।
সরকার কী করছে
চাল মজুতের এসব অদৃশ্য পকেটের খবর সরকারের নীতিনির্ধারকেরা ভালো করেই জানেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, ‘সরকারের মজুত কমেছে এটা সত্যি। তবে বেসরকারি খাতে বিভিন্ন পকেটে চাল রয়েছে, সেই তথ্য সরকারের কাছে আছে।’
কার কাছে কত মজুত, তথ্য তিনি দিতে না পারলেও জানান, মজুতের পকেটগুলো মনিটর করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মজুত ও সংরক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী, চাল সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠান ১৫ দিনে যে চাল উৎপাদন করবে, তার পাঁচ গুণ চাল তিন মাস পর্যন্ত মজুত রাখতে পারে। আগে এই নিয়ম বহাল থাকলেও এখন বাজার পরিস্থিতির কারণে সরবরাহ বাড়াতে এই নীতিমালা সংশোধন করে সরকার তা এক মাসে নামিয়ে এনেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মজুতদাররা কেউ নীতিমালার সংশোধনী মানছেন না। এমনকি কারা কোথায় কতদিন বা কত মাস চাল ধরে রাখছেন, তার তথ্যও সরকার সুনির্দিষ্টভাবে জানে না।
তাছাড়া বেসরকারি খাতে হস্তক্ষেপে সরকারের আইনি সীমাবদ্ধতা আছে। দুর্বলতা আছে রাষ্ট্রীয় মজুত তলানিতে নামারও। কারণ বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের বড় অস্ত্র হচ্ছে বাফার মজুত। এসব কারণে সরকার মজুতদারির বিরুদ্ধে কঠোর হতে পারছে না। ফলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে এখন চাল আমদানিতে যেতে হচ্ছে।
পদক্ষেপে কার কোথায় কোথায় ঘাটতি
ধান-চাল উৎপাদনে সঠিক তথ্যের অভাব, অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের মজুত কমে যাওয়া এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর ভুল নীতির খেসারত দিচ্ছে ভোক্তারা।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো যার যার দায়িত্ব ঠিক সময়ে সঠিকভাবে পালন করলে দেশে চাল সংকটের সুযোগ তৈরি হতো না।
সংশ্লিষ্টদের মতে, ধান উৎপাদন নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রাক্কলনে ভুল ছিল। খাদ্য মন্ত্রণালয় উৎপাদন খরচের চেয়ে ধান ও চালের দাম কম ধরায় সরকারের খাদ্য সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়। অথচ সে সময় খোলা বাজারে ধানের দাম ছিল বাড়তি। ফলে সরকার নির্ধারিত মূল্যে চাল দিতে রাজি হয়নি মিলাররা। সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকেও কেনার উদ্যোগ নেয়নি।
এ পরিস্থিতিতে চাল সংকটের পূর্বাভাস পায় সরকার। চাহিদা মেটাতে খোদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই চাল আমদানির সবুজ সংকেত দেয়া হয় খাদ্য মন্ত্রণালয়কে।
গত বছর ১৩ জুলাই আমদানির অনুমোদন মিললেও অক্টোবর পর্যন্ত কোনো আমদানির উদ্যোগ নেয়নি খাদ্য মন্ত্রণালয়। আবার রাজস্ব কমে যাবে এমন আশঙ্কায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড করোনা পরিস্থিতিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে ভোক্তা স্বার্থে শুল্ক কমানোর আগাম উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ক লিয়াজো পদক্ষেপে অনেক বিলম্ব ঘটে। আর চালসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে এ মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে তদারকি দুর্বলতার অভিযোগ তো আছেই। আবার আমদানির নিবন্ধন নিয়েও আমদানিকারকদের চাল আমদানিতে দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক গবেষণা পরিচালক ড. এম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আজকে চাল সংকটের দায় নিতে হবে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে। তারা যদি ওই সময় থেকে আমদানি প্রক্রিয়া শুরু করত, তাহলে সরকারের মজুত পরিস্থিতিও এতোটা খারাপ হতো না। বাজারে অস্থিরতা তৈরি হতো না। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজার থেকেও তখন কম দামে চাল আমদানি করা সম্ভব হতো। যার সুফল পেত ভোক্তারা।’
তবে এ অভিযোগের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক, আমরা আগেই আমদানির অনুমতি নিয়েছিলাম। কিন্তু একই সঙ্গে আমাদের কৃষকের স্বার্থও বিবেচনায় রাখতে হয়েছে। তারা যাতে ধানের ভালো দাম পায়, সে দিকটিও সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। এর জন্যই চাল আমদানিতে এই দীর্ঘসূত্রতা।
‘তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের সর্বত্র যখন আমদানি-রফতানিতে একটা অচলাবস্থা চলেছে, সেখানে একটু সময় লাগতেই পারে। তবে আমরা বসে ছিলাম না।’
খাদ্য সচিব জানান, এরই মধ্যে সরকারি পর্যায়ে ভারত থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে দেড় লাখ টন চাল দেশে আসবে। সেই সঙ্গে বেসরকারি খাতেও ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে আমদানির নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। সেই চাল আসা শুরু হয়েছে।
৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ৭৭ হাজার টন চালের এলসি খোলা হয়। আর নিস্পত্তি হয় ৬১ হাজার টনের। এখন নিয়মিত বিরতিতে চাল আসবে। এতে দামও তুলনামূলক কমে আসবে।
আমদানির নিবন্ধন নেয়া সত্ত্বেও চাল আনতে দীর্ঘসূত্রতার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহ আলম বাবু বলেন, ‘৬২ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিয়ে দেশে সেই চাল কত দামে বিক্রি করব? যদিও শুল্ক কমানো হয়েছে, তবে সঠিক সময়ে তা করা হয়নি। আবার যেটুকু কমানো হয়েছে, তাতে বাজারে চালের দাম কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রাখা কঠিন। এই শুল্ক হার ২০ শতাংশের নিচে নির্ধারণ হওয়া উচিত ছিল।’
আমদানির দীর্ঘসূত্রতার পেছনে তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয়কেই দোষারোপ করেন।
যে কারণে কমল সরকারের মজুত
গত বছর ১৪ অক্টোবর দেশে খাদ্যশস্যের মোট মজুতের পরিমাণ ছিল ১১ লাখ ৯৫ হাজার টন। এর মধ্যে চালের মজুত ছিল ৮ লাখ ৮৩ হাজার টন। তবে করোনা মহামারি ও কয়েক দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তা দেয়ায় খাদ্যশস্য মজুত কমেছে।
গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকার এ খাতে চাল বিতরণ করেছে ২ লাখ ৭৭ হাজার টন। এ ছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ অন্যান্য খাতেও চাল বিতরণ করায় মজুত নেমে এসেছে ৫ লাখ টনে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় গত বছর ২৬ এপ্রিল থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মজুত বাড়াতে ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল কেনার লক্ষ্য নিলেও কিনতে পেরেছিল ৬ লাখ ৮০ হাজার টন। একইভাবে দেড় লাখ টন আতপ চাল কেনার লক্ষ্য নিয়ে কিনতে পারে ৯৯ হাজার টন। বোরো ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধরেছিল ৮ লাখ টন। কিন্তু কিনতে পেরেছে মাত্র ২ লাখ ২০ হাজার টন, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৭২ দশমিক ৫ শতাংশ কম।
এই ধান চাল আকারে ধরা হলে অভিযান মৌসুমে সরকার মোট চাল সংগ্রহ করতে পারে ৮ লাখ ৩১ হাজার ৪৬১ টন। এর বাইরে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট চাল আমদানি হয়েছে মাত্র ৪ হাজার টন। এসব মিলে চালের মজুত কিছুটা বাড়লেও তা গুদামে বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। অর্থাৎ সরকারের মজুত বিভিন্ন উন্নয়ন সহায়তার কারণে প্রতিনিয়ত কমতে থাকে।
বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কেএ ম খোরশেদ আলম খান বলেন, ‘এবার ধানের সরবরাহ প্রথম থেকেই কম ছিল। আগে প্রতিদিন ৫০ গাড়ি ধান কেনা হতো। এবার তা ১০ গাড়িও পাইনি। ফলে কৃষক পর্যায়ে ধানের দাম ছিল বেশি। পণ্যের দাম বাড়া-কমা নির্ভর করে উৎপাদন ও সরবরাহ পরিস্থিতির ওপর। সরবরাহ কমে গেলে দাম বাড়ে। এখন সেটাই হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাকিমপুর কৈজুরি বেগম নুরজাহান রিয়াজ (বিএনআর) উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) গোলাম রসুল দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও ইএফটি’র মাধ্যমে নিয়মিত সরকারী প্রদত্ত বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন।
অথচ গোলাম রসুল একটি হত্যা মামলার আসামি থাকায় গত ৮ মাস ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানা গেছে। বিনা ছুটিতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় কর্তৃপক্ষ এই শিক্ষককে বার বার নোটিশ দিলেও কোন সাড়া মেলেনি তার। একারণে তার অনুপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষা বিষয়ে পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে সহকারী শিক্ষক গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে গোলাম রসুলের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুবাইয়াত আফরিন বলে, কৃষি শিক্ষক ৮ মাস থেকে বিদ্যালয়ে আসে না। মাঝে মধ্যে প্রধান শিক্ষক ক্লাস নিলেও অনেক ক্লাশ হয় না। এ কারণে আমাদের কৃষি শিক্ষা বিষয়ে পড়াশুনার ক্ষতি হচ্ছে।
হাকিমপুর কৈজুরি বেগম নুরজাহান রিয়াজ (বিএনআর) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) গোলাম রসুল দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার কারণে আমরা বিভিন্ন ভাবে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাইনি। সে কারণে বিধি মোতাবেক তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়। সেখানে জবাব না পাওয়াই আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে অবহিত করলে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটি তদন্ত পূর্বক তাহার বেতন ভাতা বন্ধের সুপারিশ করেন। পরবর্তীতে তদন্তের আলোকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করলে বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করে তিনিও তার বেতন বন্ধের সুপারিশ করেন। বর্তমানে ইএফটি'র মাধ্যমে তাকে প্রদত্ত বেতন ভাতা বন্ধের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন পাঠানো হয়েছে।
বুড়িগঙ্গা নদী থেকে নারী ও শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। শনিবার (২৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৭টার দিকে নদীর পৃথক স্থান থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সদরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহাগ রানা জানান, উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩ বছরের এক শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ। তাদের পরিচয় এখনও শনাক্ত হয়নি। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি সোহাগ রানা আরও বলেন, প্রথমে কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ কোল্ড স্টোরেজের কাছ থেকে ভাসমান অবস্থায় ৩০ বছরের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় কালো রঙের বোরকা পেঁচানো ছিল এবং পরনে ছিল গোলাপি রঙের সেলোয়ার-কামিজ। কিছুক্ষণ পর একই স্থান থেকে ওড়না দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় ৩ বছরের এক ছেলে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে, কেরানীগঞ্জের বরিশুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর মো. মোক্তার হোসেন জানান, রাত সাড়ে ৭টার দিকে জিনজিরা ইউনিয়নের মাদারীপুর জামে মসজিদের কাছ থেকে আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে একজন পুরুষ (৪০) ও একজন নারী (৩০)। পুরুষের পরনে ছিল কালো প্যান্ট ও চেক ফুল শার্ট এবং নারীর পরনে ছিল ছাই রঙের গেঞ্জি ও লাল সেলোয়ার। তাদের শরীরে আঘাতের সামান্য চিহ্ন পাওয়া গেছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আকতার হোসেন জানান, মীরেরবাগ এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহ দুটি মা-ছেলের বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপরদিকে জিনজিরা এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহ দুটি একজন নারী ও একজন পুরুষের।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে এবং মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
শেরপুর জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বেলা ১২ টায় জুলাই মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতেই পূর্ববর্তী মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সভায় ক্রমান্বয়ে জেলার বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার, জেলার মুলতবি মামলা, গ্রেফতারি পরোয়ানা নিষ্পত্তি, স্পর্শকাতর মামলা সমূহের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়।
সভায় পুলিশ সুপার তাঁর বক্তব্যে জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সামগ্রিক বিষয়াদি নিয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি,সন্ত্রাস দমন, মাদক উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিট পুলিশিং কার্যক্রম, গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল, স্পর্শকাতর মামলা সমূহের অগ্রগতি, জেলার গোয়েন্দা কার্যক্রম ও নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন এবং জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব ও সততার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় পুলিশ সুপার জুলাই মাসে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন এবং চৌকস কার্য সম্পাদনের জন্য জেলা পুলিশের ০৬ জন বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুরষ্কার প্রদান করেন।
সভায় শেরপুর জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হন নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সোহেল রানা, শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে নির্বাচিত হন শেরপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খান, শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে নির্বাচিত হন নালিতাবাড়ী থানার এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ নুরুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ এএসআই হিসেবে নির্বাচিত হন নকলা থানার এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ হারুন অর রশিদ, শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক অফিসার নির্বাচিত হন টিএসআই মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোবাইল উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হন নালিতাবাড়ী থানার এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ উমর ফারুক।
সভায় শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শাহ শিবলী সাদিক, সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) আফসান-আল-আলম, জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, ইন্সপেক্টর (তদন্ত)'গণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলে ডেভিলহন্টের অভিযানে নাশকতার মামলায় আলম শেখ (৩৫) নামে এক আসামি ধরতে গিয়ে ধস্তাধস্তিতে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত রবিবার ২৩ আগস্ট রাতে উপজেলার গাবসার ইউনিয়নে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলম শেখ (৩৫) কে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। এ সময় তাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে ধস্তাধস্তিতে ভূঞাপুর থানার ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আলম শেখ উপজেলার মেঘারপটল গ্রামের ফজলুল শেখের ছেলে।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, টাঙ্গাইল সদর থানার নাশকতা মামলার আসামি আলম শেখকে গ্রেফতার করতে শনিবার রাতে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় তিনি পুলিশের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয় এবং তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। রবিবার সকালে গ্রেফতারকৃত আলম শেখকে টাঙ্গাইল সদর থানায় প্রেরণ করা হয়।
যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে গোটা রূপগঞ্জ। যাত্রীসেবা একেবারেই নিম্মপর্যায়ে। ভ্যাবসা গরমে আর যানজটে নাকাল মানুষ। দেখার কেউ নেই বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
সকাল থেকেই ঢাকা সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ অংশে তীব্র যানজট। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়াতে কর্মজীবী মানুষের ছুটে চলার চাপ বেড়েছে। ফলে দীর্ঘ যানজটে ও যানবাহনের ধীরগতিতে বিপাকে পড়েছেন কর্মমুখী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
রোববার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে থেমে থেমে যানজট শুরু হয়ে ধীরে ধীরে কাচপুর থেকে মৈকুলি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারে বিস্তৃত হয়।
যাত্রী ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মহাসড়ক উন্নীতকরণ কাজের জন্য সড়ক সরু হয়ে যাওয়া ও ভারী বর্ষণে সড়কে তৈরি হওয়া খানাখন্দ দিয়ে যানবাহন পর্যাপ্ত গতিতে চলাচল করতে না পারা, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা, নিয়ম ভঙ্গ করে রুটে গাড়ির একাধিক লাইন করাসহ বিভিন্ন কারণেই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।এর উপর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়াতে কর্মজীবীদের ঘিরে সড়কে চাপ বেড়েছে মানুষের চলাচলে। এতে সকাল থেকেই সড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। ফলে যানজটেরও দীর্ঘ হতে থাকে। এতে করে কাচপুর থেকে মৈকুলি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারে যানজট ছড়িয়ে পড়ে।
যাত্রী সিয়াম আহমেদ বলেন, তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সকাল ৯ টায় কাজে যোগদান করার কথা। সকাল সাড়ে ৭টায় ভুলতা গাউছিয়া থেকে রওনা দিয়ে কাচপুর আসতেই বেজেছে সাড়ে ৮টা।
সিএনজি চালক বুলবুল বলেন, বরপা থেকে বরাব আসতেই ৪০ মিনিট লেগেছে। যানজট না থাকলে আসতে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৭ মিনিট লাগতো। সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়াতে যাত্রীর চাপ ছিল। যানজট না থাকলে আয় রোজগার ভালো হতো।
মেঘালয় পরিবহনের চালক আজগর আলী বলেন, যাত্রামুড়া থেকে জ্যামে পড়েছি বরপা আসতেই ১ ঘন্টা লেগেছে। প্রতিদিনই এই এলাকায় যানজট থাকে। তবে সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়াতে আজকে যাত্রীর চাপ বেশি হয়েছে। তাই সকাল থেকেই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে কাচপুর হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে সড়কে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। এতে গাড়ি ধীরগতিতে চালাতে হচ্ছে। অন্যদিকে সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়াতে যাত্রী চাপ ও কিছুটা বেড়েছে। এতেও যানজট দীর্ঘ হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশের জনবলেরও কমতি রয়েছে। তাই সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমার এরিয়া আমি নজরদারিতে রাখি। অন্য সাইটে যানজট সৃষ্টি হয়ে এখানে অব্দি বিস্তৃত হয়। যানজট নিরসনে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
চুয়াডাঙ্গায় মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক ও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির অপরাধে একটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকন্দদবাড়িয়া এলাকায় ওই অভিযান চালানো হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মামুনুল হাসান জানান, দুপুরে সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক ও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির অপরাধে মেসার্স কামরুল ট্রেডার্সকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ৮ বস্তা বাংলা টিএসপি সার নকল সন্দেহে জব্দ করে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সদর উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুমিল্লার পদুয়ার বাজার ইউটার্নে সড়ক দুর্ঘটনায় চার জন নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত হানিফ পরিবহনের বাসটিকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। রোববার দুপুরে ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বাসটির চালককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, নূরজাহান হোটেল থেকে উল্টো পথে আসা ঘাতক বাস হানিফ এন্টারপ্রাইজ বাস নং- ঢাকা মেট্টো-ব-১২-২১৯৭ বাসটি দেবিদ্বার উপজেলার খাদ ঘর থেকে আটক করা হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় পদুয়ার বাজার ইউটার্নে লরির নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় হানিফ পরিবহনের বাস ও লরির অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নিহতের ভাই আবুল কালাম। এছাড়া সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বিত মতামতের ভিত্তিতে বাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত সদর দক্ষিণ উপজেলার দয়াপুর ইউটার্ন থেকে সকল যানবাহন ঘুরে আসতে হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান বিন হাসান।
তিনি জানান, পদুয়ার বাজার ইউটার্ন এলাকাটি সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হাইওয়ে পুলিশ ও ভারতের জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রবিবার সড়ক ও যোগাযোগ বিষয়ক একটি সমন্বিত সভা রয়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। সেখান থেকে সমন্বিত ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপাতত এই ইউটার্নটি বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বাজারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্নে সিমেন্ট বাহি লরির নিচে প্রাইভেট কার ছাপা পরে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়। এছাড়াও একই সময়ে ওই লরির সামনের অংশের নিচে চাপা পড়ে সিএনজির তিন যাত্রী আহত হয়। নিহতারা হলেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী(৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম(৬৫), তার৷ বড় ছেলে আবুল হাশেম (৫০)ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম(৪৫)। প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন আবুল হাশেম।
মন্তব্য