× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
রিং সাইন নিয়ে ব্যাখ্যা চায় মন্ত্রণালয়
google_news print-icon

রিং সাইন নিয়ে ব্যাখ্যা চায় মন্ত্রণালয়

রিং-সাইন-নিয়ে-ব্যাখ্যা-চায়-মন্ত্রণালয়
কোম্পানিটির মুলধন ছিল ১৩৭ কোটি টাকা। আইপিও প্রক্রিয়ার প্লেসমেন্টের মাধ্যমে কোম্পানিটি সংগ্রহ করে ১৪৭ কোটি টাকা আর বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় ১৫০ কোটি টাকা। প্রশ্ন উঠে ১৩৭ কোটি টাকার মূলধনী কোম্পানি কীভাবে ২৯৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। বিষয়টি নিয়ে তালিকাভুক্তির আগেও অভিযোগ উঠেছিল।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে রিং সাইন টেক্সটাইলের ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহে অনিয়মের অভিযোগ উঠার ঘটনায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিএসইসি) কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটির মূলধন ছিল ১৩৭ কোটি টাকা। আইপিও প্রক্রিয়ার প্লেসমেন্টের মাধ্যমে কোম্পানিটি সংগ্রহ করে ১৪৭ কোটি টাকা আর বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় ১৫০ কোটি টাকা।

প্রশ্ন উঠে ১৩৭ কোটি টাকার মূলধনী কোম্পানি কীভাবে ২৯৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। বিষয়টি নিয়ে তালিকাভুক্তির আগেও অভিযোগ উঠেছিল।

তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস অনুযায়ী, কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে কী কী বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে তা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইস) কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক বিভাগ থেকে গত ১০ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত চিঠি বিএসইসিকে পাঠানো হয়। কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বেশ কিছু বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে, সে অনুযায়ী ব্যাখ্যা দেয়া হবে।’

২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাবে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৯ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল এক টাকা ৭২ পয়সা।

বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৬ দশমিক ৪০ টাকায়। মোট শেয়ারের ৩১ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫১ দশমিক ৮১ শতাংশ।

বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৯ সালে।

আরও পড়ুন:
জেএমই সিরিঞ্জের অস্বাভাবিক শেয়ার দর তদন্তে কমিটি
ফ্যামিলি টেক্সের পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি তদন্ত হচ্ছে
প্রবাসীদের লেনদেন সহজে বিদেশে ব্রোকারেজ হাউজ চায় বিএসইসি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Minimum wage of EPZ workers is 12 thousand 800 gazette publication

ইপিজেড শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৮০০, গেজেট প্রকাশ

ইপিজেড শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৮০০, গেজেট প্রকাশ
গেজেটে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী, চার ধরনের বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শিক্ষানবিশ শ্রমিকদের জন্য ১০ হাজার ১৭৫ টাকা ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে।

খাতভেদে ১২ হাজার ৮০০ থেকে শুরু করে ১৪ হাজার ২৫ টাকা পর্যন্ত ন্যূনতম মজুরি ঠিক করে দেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) কর্মরত শ্রমিকদের নতুন মজুরি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

চলতি ডিসেম্বরে ১ তারিখ থেকে নতুন মজুরি কার্যকর ধরে ৭ ডিসেম্বর গেজেট প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)।

আগের মজুরি-কাঠামোর চেয়ে নতুন নির্ধারিত মজুরি ৫০ শতাংশ থেকে ৫৬ শতাংশ পর্যন্ত বেশি।

গেজেটে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী, চার ধরনের বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শিক্ষানবিশ শ্রমিকদের জন্য ১০ হাজার ১৭৫ টাকা ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য, সফটওয়্যার, লেন্স ও গ্লাস পণ্য, মেটাল ও মেটাল কাস্টিং, অটোমোবাইল ও অটো পার্টস, বাইসাইকেল, ভারী শিল্প, প্রসাধনী, নৌকা, গলফ শ্যাফট, ফিশিং ইকুইপমেন্টস ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩টি নিয়মিত গ্রেডের মধ্যে সর্বনিম্ন গ্রেড জুনিয়র অপারেটর পর্যায়ে ন্যূনতম ১৪ হাজার ২৫ টাকা মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সিনিয়র অপারেটর গ্রেডে ন্যূনতম মজুরি ১৫ হাজার ৯৫০ টাকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

পোশাক ও পোশাক উপকরণ, জুতা ও জুতার উপকরণ, চামড়াজাত পণ্য, সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, তাঁবু ও তাঁবু উপকরণ, প্লাস্টিক পণ্য, খেলনা, ক্যাপ ও হ্যাটস এবং সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের ৫টি নিয়মিত গ্রেডের মধ্যে সর্বনিম্ন গ্রেড হেলপার বা সহকারী পর্যায়ে ন্যূনতম ১২ হাজার ৮০০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ হাই স্কিল গ্রেডে ন্যূনতম মজুরি ১৭ হাজার টাকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সুড়ঙ্গে ঢুকে শ্রমিকদের কাছে উদ্ধারকারীরা
সুড়ঙ্গে আটকা শ্রমিকদের থেকে ৫ মিটার দূরে উদ্ধারকারীরা
ব্যর্থ খননযন্ত্র, শাবল দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ৪১ শ্রমিককে উদ্ধারের চেষ্টা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Chopped onions in the market

মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে

মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে ফাইল ছবি
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ হয়, উৎপাদন হয় প্রায় ৮ লাখ টন। এ বছর প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে, যার ফলন প্রায় ৫০ হাজার টন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নতুন করে উৎপাদিত মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে উল্লেখ করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর কোনো কারণ নেই।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ হয়, উৎপাদন হয় প্রায় ৮ লাখ টন। এ বছর প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে, যার ফলন প্রায় ৫০ হাজার টন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এসব মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে এবং এটি ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাস পর্যন্ত পাওয়া যাবে। এরপর প্রধান জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করবে এবং উৎপাদন হতে পারে প্রায় ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন।

তবে রোববার কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫ কেজি ১ হাজার টাকা এবং একই পরিমাণ বাজারে উঠা নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়। পাইকারি বাজারে আমদানি করা ৫ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়।

বাংলাদেশ মূলত ভারত, চীন, মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে। পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী দেশ ভারত আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখার পর পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

আরও পড়ুন:
কমেছে বিক্রি, আড়তেও নেই পেঁয়াজ
নারায়ণগঞ্জের এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা
ভারত থেকে ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ আসছে ‘শিগগিরই’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Simon Beach Resort received the highest VAT payer award for the third time

তৃতীয়বারের মতো সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতার সম্মাননা পেল সায়মন বিচ রিসোর্ট

তৃতীয়বারের মতো সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতার সম্মাননা পেল সায়মন বিচ রিসোর্ট রোববার চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু’র হলরুমে সায়মন বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব রহমান রুহেলের হাতে সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। ছবি: নিউজবাংলা
সায়মন বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, ‘নতুন বছরে নতুন করে যাত্রা করছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত পুরনো সায়মন। নতুনভাবে আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের দিকে সায়মন হেরিটেজ নামে পর্যটন খাতে যুক্ত হবে প্রতিষ্ঠানটি।’

মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) প্রদানে উৎসাহ দিতে প্রতি বছর সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দিয়ে আসছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরই ধারাবাহিকতায় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ-২০২৩ সেমিনার ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ভ্যাট পরিশোধকারী হিসেবে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে কক্সবাজারের সায়মন বিচ রিসোর্টসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে।

সায়মন বিচ রিসোর্ট এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এই পুরস্কার পেয়েছে।

রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু’র হলরুমে ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রাম আয়োজিত অনুষ্ঠানে সায়মন বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব রহমান রুহেলের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ও এক্সাইজ ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. এস এম হুমায়ন কবির।

এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারের কার্যালয়ের কমিশনার সৈয়দ মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- এক্সাইজ ভ্যাট একাডেমির মহাপরিচালক সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, কর অঞ্চল-১ এর কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন, চিটাগং চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওমর হাজ্জাজ ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান।

১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের পথিকৃৎ সায়মন বিচ রিসোর্ট বিগত সময়েও সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতা হিসেবে এনবিআর কর্তৃক সম্মাননা অর্জন করে। সায়মন বিচ রিসোর্ট হোটেল পর্যটন নগরীর চারশ’ হোটেল-মোটেলকে প্রতিনিধিত্ব করছে।

সায়মন বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, ‘নতুন বছরে নতুন করে যাত্রা করছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত পুরনো সায়মন। নতুনভাবে আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের দিকে সায়মন হেরিটেজ নামে পর্যটন খাতে যুক্ত হবে প্রতিষ্ঠানটি।’

প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ভ্যাট পরিশোধকারী হিসেবে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে সারাদেশের ১৩৮ প্রতিষ্ঠানকে। তার মধ্যে কক্সবাজার থেকে শুধু সায়মন বিচ রিসোর্ট মনোনীত হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ওয়ার্ল্ড সিআইও সামিটে ‘কিংবদন্তি’ পুরস্কারে ভূষিত বাংলাদেশি ব্যাংকার ওসমান ফয়েজ
‘আত্মজন স্মৃতি’ সম্মাননা পেলেন মেহরীন
সিগারেট থেকে সর্বোচ্চ ভ্যাট আদায় এনবিআরের
ভূমিকম্পে বাংলাদেশি উদ্ধারকারী দলকে তুরস্কের বিশেষ সম্মাননা
৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চবির সম্মাননা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The finance secretary hopes that inflation will fall below 9 percent in December

ডিসেম্বরেই মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের নিচে নামবে, আশা অর্থসচিবের

ডিসেম্বরেই মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের নিচে নামবে, আশা অর্থসচিবের ফাইল ছবি
অর্থসচিব বলেন,‘আমাদের অর্থনীতির এখন একমাত্র চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। তবে সংকোচনমূলক মূদ্রানীতি এবং সংকোচনমূলক আর্থিক নীতির মাধ্যমে তার অনেকটা আমরা উত্তরণ করতে পেরেছি। খাদ্যমূল্য যেভাবে কমছে এবং গত মাসে শূণ্য দশমিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি কমেছে, তাতে আমি আশাবাদী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাশের নিচে নেমে আসবে।’

চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার।

তিনি বলেন,‘আমাদের অর্থনীতির এখন একমাত্র চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। তবে সংকোচনমূলক মূদ্রানীতি এবং সংকোচনমূলক আর্থিক নীতির মাধ্যমে তার অনেকটা আমরা উত্তরণ করতে পেরেছি। খাদ্যমূল্য যেভাবে কমছে এবং গত মাসে শূণ্য দশমিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি কমেছে, তাতে আমি আশাবাদী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাশের নিচে নেমে আসবে।’

তিনি আরও বলেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৭ দশমিক ৫ শতাংশে চলে আসবে। আগামী অর্থবছর মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশের নিচে থাকবে বলে জানান তিনি।

রোববার ঢাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট দিবসের এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসের

কোভিড পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার দ্রুত হয়েছে উল্লেখ করে অর্থসচিব বলেন, বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে আমরা আগেভাগেই সংকোচনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আর্থিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে কৃচ্ছতা সাধন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির শক্তিশালী অবস্থা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা, এর মধ্যে রাজস্ব আয় ৫ লাখ কোটি টাকা। সুতরাং ঘাটতি বাজেট ২ লাখ ৬১ হাজার টাকার। এই ঘাটতি বাজেট মেটানোর জন্য সরকারকে ঋণ নিতে হয়।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ঋণ বা অনুদান গ্রহণের সীমাবদ্ধতা আমাদের বাড়তে থাকবে। তাই এনবিআরকে আরও বেশি রাজস্ব সংগ্রহের প্রতি মনোযোগি হওয়ার আহবান জানান তিনি।

ড. খায়েরুজ্জামান বলেন, দেশে কর সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য অটোমেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই অটোমেশনের জন্য সরকার এনবিআরকে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ দেবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন:
নভেম্বরে কিছুটা কমেছে মূল্যস্ফীতি : বিবিএস
খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ১২.৫৪ শতাংশ
জুনে মূল্যস্ফীতি কমেছে দশমিক ২০ শতাংশ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
52 thousand tons of onions are coming from India soon

ভারত থেকে ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ আসছে ‘শিগগিরই’

ভারত থেকে ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ আসছে ‘শিগগিরই’ ফাইল ছবি
গত বৃহস্পতিবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে সেখান থেকে বাংলাদেশে ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়। এখন এই পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।

পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ভারত থেকে আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এ লক্ষ্যে ভারতে বাংলাদেশ দূতবাসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রোববার চিঠি পাঠিয়েছে। এ ছাড়া দেশে যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি নিশ্চিত করতে কঠোর মনিটারিং করার জন্য সব জেলা প্রশাসক নির্দেশ দওয়া হয়েছে। খবর বাসসের

গত বৃহস্পতিবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে সেখান থেকে বাংলাদেশে ৫২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়। এখন এই পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই সেখান থেকে আমদানির জন্য ৫২ হাজার টন পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়। এই পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কিভাবে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ানো যায়, সে চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত থাকবে। দেশের সর্বত্র যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

দেশের মানুষ কষ্ট পায় এমন কিছু করা ঠিক হবে না উল্লেখ করে তিনি ব্যবসায়ীদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।

সরকারের এই জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, কেবল সরকার সব ঠিক করে দেবে এমন ভাবাটা ঠিক নয়। ব্যবসায়ীদের বুঝতে হবে দেশের জনগনের জন্যই ব্যবসা।

তিনি বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল আর দেশে একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেল! এটা ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল আচরণ নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট দিবসের সেমিনারে তপন কান্তি ঘোষ তার বক্তব্যে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা বাড়ে কীভাবে- এমন প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘যিনি একদিন আগে ১২০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করলেন, পরদিন কীভাবে সেটার দাম ২০০ টাকা হয়ে গেলো? দাম বাড়তে তো সময় লাগার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা বাড়তি লাভের আশায় কোনো নৈতিকতা দেখালেন না।’

তিনি বলেন, ‘নিত্যপণ্যের সংকট তৈরি হলেই অনেক ব্যবসায়ী এর সুযোগ নিয়ে থাকেন। শনিবার হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা বেড়ে গেছে। এটা অবশ্যই দায়িত্বশীল আচরণ নয়।’

এদিকে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আরও পড়ুন:
এক দিনে পেঁয়াজের দ্বিগুণ দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতা
বাগেরহাটের বাজারে কেজিতে ১০০ টাকা বাড়ল পেঁয়াজের দাম
চট্টগ্রামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম!

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Buyers are angry at double price of onion in one day

এক দিনে পেঁয়াজের দ্বিগুণ দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতা

এক দিনে পেঁয়াজের দ্বিগুণ দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতা পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধে ভারতের ঘোষণার ব্যাপক প্রভাব দেখা যায় বাংলাদেশের বাজারে। ফাইল ছবি
পেঁয়াজের আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধিতে আক্ষেপ ঝরল বনানী কাঁচাবাজারের আরেক ক্রেতা অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী আনিসের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘এক দিনে আগে যে জিনিস ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা শুধু ঘোষণায় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া কোনোভাবেই মানা যায় না।’

রাজধানীর বনানী কাঁচাবাজারে শনিবার সকালে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে চলছিল তুমুল বাগবিতণ্ডা। ক্রেতার অভিযোগ, আগের দিন বিক্রেতা যে পেঁয়াজ বিক্রি করেছে ১৩০ টাকা কেজি দরে, তা এখন চাইছেন ২৫০ টাকা। অন্যদিকে বিক্রেতা বলছেন, আড়তে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। তাই তাদের কিছুই করার নেই।

ক্রেতা আনিস রহমানকে সাংবাদিক পরিচয় দিতেই সংবাদমাধ্যমের ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, ‘আপনারা সত্য কথা কেন তুলে ধরেন না? এইটা কোনো দেশের বাাজার পরিস্থিতি হতে পারে? এ দেশে বাজার দেখার জন্য কি সত্যি কেউ নাই?’

অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য সহনীয় রাখতে বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত, যেটি কার্যকর হয় শুক্রবার। এ নিষেধাজ্ঞার পরও মূল্য পরিশোধ হয়ে যাওয়া পেঁয়াজের চালান সীমান্ত দিয়ে ঢুকেছে বাংলাদেশে।

ভারতের ঘোষণার ব্যাপক প্রভাব দেখা যায় বাংলাদেশের বাজারে। সীমান্তবর্তী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শনিবার চড়া দামে বিক্রি হয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি।

পেঁয়াজের আকস্মিক এ মূল্যবৃদ্ধিতে আক্ষেপ ঝরল বনানী কাঁচাবাজারের আরেক ক্রেতা অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী আনিসের কণ্ঠেও।

তিনি বলেন, ‘এক দিনে আগে যে জিনিস ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা শুধু ঘোষণায় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া কোনোভাবেই মানা যায় না।

‘আমি শিউর, এসব ব্যবসায়ী নতুন করে পেঁয়াজ কেনেননি, তবে দাম ঠিকই দ্বিগুণ করে দিয়েছেন।’

মিরপুরের একটি বাজারেও শনিবার একই চিত্র দেখা যায়। দোকানদারদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় ক্রেতাদের।

অনেকেই বলেন, ভারত শুধু রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এখন দোকানে যেসব পেঁয়াজ রয়েছে তা আগেই কেনা। এমন পরিস্থিতিতে দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।

বাজারে মধ্যবয়সী আবদুল জলিল মিয়া জানান, খবর শোনার পর কিছু পেঁয়াজ কিনে রাখার জন্য বাজারে এসেছেন। ভেবেছেন ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হলে দাম বাড়তে পারে পেঁয়াজের, তবে তিনি আসার আগেই পণ্যটির দাম বেড়ে যায়।

আবদুল জলিল বলেন, ‘আমাদের চেয়ে ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি চালাক। আমরা ভেবেছি আর তারা তার আগেই দাম বাড়িয়ে বসে আছে।’

মিরপুরের বাজারগুলোতে শনিবার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায় ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে। অবশ্য ভারতীয় পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়।

এক দিনের ব্যবধানে কেন পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেল, এমন প্রশ্নের জবাবে বিক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা কিনে আনি আড়ত থেকে। আপনারা তাদেরকে ধরেন। আমরা ভাই ছোট ব্যবসায়ী। আমরা এগুলা বলতে পারি না।

‘আমরা কিনে আনি যে দামে তার চেয়ে ১০/২০ টাকা লাভে বিক্রি করে দিই।’

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মৌলভীবাজার, শ্যামবাজার পাইকারি আড়তগুলোতেও পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বমুখী চিত্র দেখা যায়।

কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা এক ক্রেতা জানান, দাম দেখে না কিনেই চলে যাচ্ছেন তিনি। আরেক ক্রেতা জানান, দাম বাড়তে পারে ভেবে ২০ কেজি পেঁয়াজ কেনার চিন্তা করে বাজারে এসেছেন, তবে দাম দেখে দুই কেজি কিনেই চলে যাবেন তিনি।

ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন ‘এ আর নতুন কী? আমাদের ভাগ্যই এমন। কোথা থেকে আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিল আর সাথে সাথে আমাদের বাজারে দাম বাড়া শুরু হলো।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর বৃহৎ পাইকারি বাজারগুলোতে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়ে কেজিপ্রতি ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। এ ছাড়া নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে, তবে পুরোনো দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বাজারেই বিক্রি হয় ২০০ টাকা কেজি দরে।

কেন এক দিনের ব্যবধানে দামের এই উল্লম্ফন, তার সদুত্তর দিতে পারেননি কোনো পাইকারি ব্যবসায়ী।

শ্যামবাজারের এক পাইকারি ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যখন অন্যরা দাম বাড়িয়েছে, তখন আমাদেরও বাড়াতে হয়েছে। সবাই দাম বাড়ালে আমার একার কী দোষ, বলেন?’

তিনি জানান, পুরো বাজার যে নিয়মে চলছে তারাও সেই নিয়মেই দাম বাড়িয়েছেন, তবে সেই নিয়মটা কী, তা জানতে চাইলে বলেন, ‘চাহিদা বাড়লে দাম বাড়বে, আবার সরবরাহ কম থাকলে, দাম বাড়বে। এটাই নিয়ম।’

বাজারের এমন পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শ্যামবাজার পাইকারি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মাজেদ নিউজবাংলাকে জানান, তাদের কথায় কর্ণপাত করেন না ব্যবসায়ীরা।

তিনি বলেন ‘এখানে আমাদের কী করার আছে বলেন? সরকার তাদেরকে ধরুক। আমরা চাই না কিছু অসৎ ব্যবসায়ীর জন্য আমাদের সবাইকে কথা শুনতে হোক।’

সরকারকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করেন কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সবসময় আমরা তা করতে পারি না। আমরা কিছু করলে ব্যবসায়ীরা বলে সে সরকারের দালাল’।

তিনি জানান, শনিবার সকালে ম্যাজিস্টেট এসে দোকানদারকে ১১০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য করেছেন। অন্য কোনো বছরই এমন সময় পেঁয়াজের দাম বাড়ার নজির নেই। শীত শুরু হওয়ায় দেশের যেসব জায়গায় পেঁয়াজের আবাদ হয়, সেসব জায়গা থেকে পেঁয়াজ উঠাতে শুরু করেছেন কৃষকরা।

অবশ্য আবদুল মাজেদ জানান, ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ আসা শুরু হবে। তখন দাম অনেকটাই কমে আসবে।

দাম বাড়াকে ইতিবাচক দিক হিসেবে উল্লেখ করে ব্যবসায়ী এ নেতা বলেন, ‘কৃষকরা এবার পেঁয়াজ চাষ করে লাভের মুখ দেখবেন। যেখানে ৩০ টাকা কেজি পেতে কষ্ট হয়, সেখানে আজকে ১০০ টাকা কেজি জমিতেই বিক্রি হচ্ছে। এটা কল্পনাও করতে পারেনি চাষিরা।’

আরও পড়ুন:
অসময়ের বৃষ্টিতে ফরিদপুরে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি
দামে লাগাম টানতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের
চট্টগ্রামে দাম কমছে আলু-পেঁয়াজের
চার দিনে এল ভারতীয় ১১১০ টন আলু, ৪১১২ টন পেঁয়াজ
টাঙ্গাইলের বাজারে বেড়েই চলেছে আলু-পেঁয়াজের দাম

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Town hall meeting held on customer awareness in Rangpur

রংপুরে গ্রাহক সচেতনতা বিষয়ে টাউন হল মিটিং অনুষ্ঠিত

রংপুরে গ্রাহক সচেতনতা বিষয়ে টাউন হল মিটিং অনুষ্ঠিত
ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলাসহ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেবার মানসিকতা নিয়ে আন্তরিক গ্রাহকসেবা প্রদান করতে হবে। বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জের ফলে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ উত্তরণে প্রবাসী বাংলাদেশী ও তাদের স্বজনদের আরও বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আর্থিক সুরক্ষা বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ‘টাউন হল মিটিং রংপুর-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরডিআরএস বাংলাদেশ-রংপুরে এ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম খান এবং ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (এফআইসিএসডি) আবু হেনা হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মাহেনূর আলম।

ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলাসহ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেবার মানসিকতা নিয়ে আন্তরিক গ্রাহকসেবা প্রদান করতে হবে। বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জের ফলে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ উত্তরণে প্রবাসী বাংলাদেশী ও তাদের স্বজনদের আরও বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবিড় তদারকিতে আর্থিক খাতে সেবার মান ও জবাবদিহিতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাংকিং ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সকল কাজ এখন হাতের মুঠোয়। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের আর্থিক খাত ডিজিটালাইজেশনের পথে ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’

এ উদ্যোগগুলোকে সফল করার লক্ষ্যে গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

‘আর্থিক সুরক্ষার লক্ষ্যে গড়ে তুলি সচেতনতা’ স্লোগানে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয় এবং রংপুর কার্যালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা, ইসলামী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাসহ রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধি এবং গ্রাহকগণ টাউন হল মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

p
উপরে