আন্তর্জাতিক জীবনবিমা প্রতিষ্ঠান মেটলাইফ বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মুহাম্মদ আলা উদ্দিন আহমদ।
কোম্পানির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পয়লা জানুয়ারি থেকে তিনি এই পদে দায়িত্ব পেয়েছেন।
আলা উদ্দিন আহমদ একজন ফেলো চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট। এর আগে তিনি মেটলাইফের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার, মেটলাইফ নেপালের মহাব্যবস্থাপক, মালয়েশিয়ায় কোম্পানিটির জয়েন্ট ভেঞ্চার ‘অ্যাম-মেটলাইফ’-এর হেড অফ স্ট্র্যাটেজি, বিজনেস প্ল্যানিং অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সবশেষ তিনি মেটলাইফ হংকংয়ের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেছেন।
মেটলাইফের বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, নেপাল ও ভিয়েতনামের আঞ্চলিক প্রধান এলেনা বুটারোভা বলেন, ‘কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা আছে আহমদের। বিমা খাতে তাঁর দূরদৃষ্টি মেটলাইফকে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে।’
এর আগে মেটলাইফের জিএম পদে ছিলেন সৈয়দ হাম্মাদুল করীম। ৩৩ বছর এই কোম্পানিতে দায়িত্ব পালনের পর গত ডিসেম্বরে অবসরে যান তিনি।
বাংলাদেশের প্রথম গুগল ওএস টিভি ম্যানুফ্যাকচারার ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল টেক জায়ান্ট গুগলের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।
তিন সদস্যের গুগলের প্রতিনিধি দল ২৩ মে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করেন।
তারা ওয়ালটনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আন্তর্জাতিকমানের টিভি ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট ঘুরে দেখেন।
এ ছাড়া ওয়ালটন গুগল টিভি এবং গুগল সার্টিফাইড অ্যান্ড্রয়েড টিভিতে লেটেস্ট টেকনোলজি দিয়ে অত্যাধুনিক নতুন ফিচার সংযোজন, গুগল ইকোসিস্টেম ও ওটিটি প্লাটফর্ম ডেভলপমেন্টে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন সাউথ-ইষ্ট এশিয়া/সাউথ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে গুগল প্লাটফর্মস ও ইকোসিস্টেম পার্টনারশিপসের ডিরেক্টর মাহিন সাহিন, প্লাটফর্মস ও ইকোসিস্টেম পার্টনারশিপসের প্রধান উসমান শেখ এবং বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় গুগলের হেড অফ ইন্ডাস্ট্রি গোলাম কিবরিয়া।
অতিথিরা ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে এলে তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ডিরেক্টর রাইসা সিগমা হিমা।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন টিভির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন, ডেপুটি সিবিও মুহাম্মদ আলী, টিভি রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারের প্রধান মিথুন চক্রবর্তী, ম্যানেজমেন্ট প্রতিনিধি ইমান হোসেন, হুমায়রা হোসেন ও আরমান ইবনে শাহজাহান।
অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ার ওপর নির্মিত ভিডিও প্রজেন্টেশন দেখেন।
এরপর তারা ওয়ালটনের প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন।
পরে ওয়ালটনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির টিভি প্রোডাকশন প্ল্যান্টস পরিদর্শন করেন।
ওই সময় ওয়ালটনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টিভি প্রোডাকশন লাইন ও প্রক্রিয়া দেখে তারা অভিভূত হন।
এরপর প্রতিনিধি দল ওয়ালটন গুগল টিভি এবং গুগল সার্টিফাইড অ্যান্ড্রয়েড টিভিতে লেটেস্ট টেকনোলজি দিয়ে অত্যাধুনিক নতুন ফিচার সংযোজন, গুগল ইকোসিস্টেম ও ওটিটি প্লাটফর্ম ডেভলপমেন্টে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।
গুগলের এক্সিকিউটিভ বোর্ড মেম্বার মাহিন সাহিন তার লিংকডইন পেজে বলেন, ‘বাংলাদেশে আমাদের ওইএম পার্টনার ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন করে অভিভূত। ওয়ালটন অনেক ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্যসহ গুগল টিভি প্লাটফর্মে স্মার্ট টিভি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। তাদের বিশাল উৎপাদন কর্মযজ্ঞ সত্যিই প্রশংসনীয়। লোকাল চ্যাম্পিয়নের ক্ষেত্রে ওয়ালটন এক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তারা বাংলাদেশের চেয়ে বাইরে বেশি টিভি বিক্রি করতে চলেছে।’
গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের হেডকোয়ার্টার্সে দেশের সর্ববৃহৎ টেলিভিশন গবেষণা ও উদ্ভাবন সেন্টারসহ আন্তর্জাতিকমানের টিভি ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রথম গুগল ওএস টিভি ম্যানুফ্যাকচারার এটি।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজে ৩২ ইঞ্চি থেকে শুরু করে ৬৫ ইঞ্চি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের গুগল টিভি ও গুগল সার্টিফাইড অ্যান্ড্রয়েড টিভি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন।
ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে ওয়ালটন গুগল টিভি ও গুগল সার্টিফাইড অ্যান্ড্রয়েড টিভিতে প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও অত্যাধুনিক ফিচারের সংযোজন করে চলেছে টিভি আরএনআই সেন্টারের প্রকৌশলীরা।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২২-২৩ মূল্যায়ন পর্যালোচনা এবং বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) ২০২৩-২৪ প্রণয়ন সংক্রান্ত কর্মশালা হয়েছে।
চট্টগ্রামের দ্যা এভিনিউ হোটেলে শুক্রবার কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের এপিএ টিম এবং বিএসইসির বিভাগীয় প্রধান ও নির্বাহী পরিচালকরা অংশগ্রহণ করেন।
এতে স্বাগত বক্তব্য এবং এপিএ চ্যালেঞ্জ সংক্রান্ত প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বিএসইসির এপিএ ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ও নির্বাহী পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির কমিশনার এবং এপিএ টিম লিডার মো. আবদুল হালিম।
ধন্যবাদ বক্তব্য দেন বিএসইসির পরিচালক আবুল হাসান।
কর্মশালা সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন বিএসইসির পরিচালক মো. আবুল কালাম।
বিভাগভিত্তিক বিএসইসির বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) বিভিন্ন দিক নিয়ে তথ্যবহুল আলোচনা করেন নির্বাহী পরিচালকরা।
আলোচনায় তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের সংখ্যা বাড়ানোর মাধ্যমে বাজার মূলধন বাড়ানো, অটোমেশনের মাধ্যমে বাজার অবকাঠামোর উন্নয়ন, দক্ষ কর্মশক্তি ও স্মার্ট বিনিয়োগকারী গড়ে তুলতে বিনিয়োগ শিক্ষা বাড়ানো, দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য প্রোডাক্ট ডাইভারসিকিশন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিতের বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নসাধন এবং দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই পুঁজিবাজার তৈরির মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারকে আগামী দিনের স্মার্ট অর্থনীতির নিয়ামক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। আয়োজিত কর্মশালায় বিষয়গুলো সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণ ও পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ ছাড়া পুঁজিবাজারকে অংশগ্রহণমূলক দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্মার্ট অর্থনীতির বাস্তবায়ন ও ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনসমূহ ফলাফলভিত্তিক ও সময়ভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন:আয়কর রেফারেন্স মামলা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রপক্ষের সঙ্গে আইনি লড়াই চলছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৫ কোটি টাকা কর দাবি করা মামলা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ইউনূস সেন্টার।
শুক্রবার সকালে ফেসবুক পোস্টে সংস্থাটি জানায়, ড. ইউনূসের টাকা নিয়ে পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে যে আলাপ চলছে, তার পুরোটাই প্রফেসর ইউনূসের উপার্জিত টাকা। এই টাকা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে কর বিভাগ অবহিত আছে। কারণ সব টাকার হিসাব তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ থাকে।
টাকার উৎস
ড. ইউনূসের অর্থ উপার্জনের উৎসের বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ড. ইউনূসের আয়ের প্রধান উৎস তার বক্তৃতার ওপর প্রাপ্ত ফি, বই বিক্রি ও পুরস্কারের টাকা। আয়ের প্রায় সম্পূর্ণ অর্থই বিদেশে অর্জিত ও বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আনা।
ট্রাস্ট গঠন
ড. মুহাম্মদ ইউনূস জীবনে কোনো সম্পদের মালিক হতে চাননি বলে জানায় সেন্টার। পোস্টে সংস্থাটি বলে, এত টাকা দিয়ে কী করবেন, সেটি ভাবছিলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী।
ইউনূস সেন্টারের ভাষ্য, ড. ইউনূস মালিকানামুক্ত থাকতে চান। কোথাও তার মালিকানায় কোনো সম্পদ (বাড়ি, গাড়ি, জমি, শেয়ার ইত্যাদি) নেই। সে কারণেই তিনি নিজের উপার্জনের টাকা দিয়ে ‘প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট’ ও ‘ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট’ নামে দুটি ট্রাস্ট গঠন করেন।
সংস্থাটি জানায়, উত্তরসূরিদের কল্যাণে মোট টাকার ৬ শতাংশ দিয়ে ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট গঠন করেন ড. ইউনূস। শুধু তাই নয়, তার পরবর্তী প্রজন্ম ছাড়া ফ্যামিলি ট্রাস্টের সম্পদ পরিবারের আর কোনো সদস্য বা পরবর্তী প্রজন্মগুলো ভোগ করতে পারবে না বলেও বিধান রাখেন তিনি। ফ্যামিলি ট্রাস্টের মূল দলিলে তিনি বিধান রাখেন, তার পরবর্তী এক প্রজন্ম পরে এই ট্রাস্টের অবশিষ্ট টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল ট্রাস্টে অর্থাৎ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্টে ফিরে যাবে।
ট্রাস্টের লক্ষ্য বাস্তবায়নে তার অবর্তমানে টাকাগুলো যাতে ট্রাস্টিদের তত্ত্বাবধানে নিরাপদে থাকে, সে কারণেই এমন বিধান বলে জানায় সংস্থাটি।
দানকর প্রসঙ্গে
ওই পোস্টে ইউনূস সেন্টার জানিয়েছে, নিজের টাকা নিজের কাছে রেখে দিলে ড. ইউনূসকে তুলনামূলক কম ট্যাক্স দিতে হতো। কারণ ব্যক্তিগত করের হার প্রতিষ্ঠানিক করের হারের চেয়ে কম।
এতে আরও বলা হয়, দানকরের প্রসঙ্গটি প্রথম তোলেন তার আইনজীবী। তিনি বলেন, ট্রাস্ট গঠন করলে তাকে দানকর দিতে হবে না। কারণ বড় ট্রাস্টটি জনকল্যাণের জন্য প্রতিষ্ঠিত। ফ্যামিলি ট্রাস্টের ব্যাপারে তিনি পরামর্শ দেন, এ ক্ষেত্রে (ড. ইউনূসের অবর্তমানে তার সম্পদের কী হবে, সে চিন্তায় যদি তিনি কোনো ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন) তাকে কোনো কর দিতে হবে না। কারণ এটা হবে তার অর্জিত টাকার একটি সুব্যবস্থা করে যাওয়া।
ইউনূস সেন্টারের ভাষ্য, আইনজীবীর পরামর্শেই টাকা ট্রাস্টে স্থানান্তর করার সময় ড. ইউনূস কোনো কর দেননি, কিন্তু আয়কর রিটার্ন জমার পর কর বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তাকে জানান, এ ক্ষেত্রে তাকে কর দিতে হবে। রিটার্নের যেখানে তিনি দানের তথ্যটি উল্লেখ করেছিলেন, সংশ্লিষ্ট কর কর্মকর্তা তার ওপর দানকর ধার্য করে দিলেন।
টাকার অঙ্কটা তিনি ‘রিটার্নস’-এ উল্লেখ করায় কর কর্মকর্তা তা দেখে কর আরোপ করেন।
আদালতের শরণাপন্ন
ইউনূস সেন্টারের ভাষ্য, আইনজীবীর পরামর্শের সঙ্গে কর বিভাগের কর্মকর্তার কথার মিল না থাকায় ড. ইউনূস এ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত চাইলে আদালত কর দেয়ার পক্ষে মত দেয়। এখানে তার কর ফাঁকি দেয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। কর দিতে হবে কি না, এ ব্যাপারে তিনিই আদালতের সিদ্ধান্ত জানতে চান। আদালতে সরকার পক্ষ নয়, অধ্যাপক ইউনূস গিয়েছেন।
ইউনূস সেন্টার জানায়, কর বিভাগ কোনো পর্যায়ে বলেনি যে, প্রফেসর ইউনূস কর ফাঁকি দিয়েছেন। এখানে কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। প্রশ্ন ছিল আইনের প্রয়োগযোগ্যতা নিয়ে। আদালতের সিদ্ধান্তের পর এখন অধ্যাপক ইউনূস বিবেচনা করবেন, তিনি কর পরিশোধ করবেন নাকি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত চাইবেন।
করের আইন যদি এ ক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য না হয়, তাহলে দাবিকৃত ওই টাকা তিনি জনহিতকর কাজে ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন।
ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য নয়, জনকল্যাণে টাকাটা খরচ করাই তার মূল উদ্দেশ্য বলে জানায় ইউনূস সেন্টার।
বিদেশ ভ্রমণ প্রসঙ্গে
ড. ইউনূস বিদেশ ভ্রমণে বিপুল অর্থ ব্যয় করেন বলে যে অভিযোগে উঠেছে, তা মোটেও সত্য নয় বলে দাবি করেছে ইউনূস সেন্টার।
সংস্থাটি জানায়, তার বিদেশ ভ্রমণের সব ব্যয় আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে। শুধু তাই নয়, প্রতিবার ভ্রমণের সময় সফরসঙ্গী হিসেবে একজন অতিরিক্ত ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার খরচও আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে থাকে।
ইউনূস সেন্টার জানায়, নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদের বিদেশ ভ্রমণ-সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যয় তার কোনো ট্রাস্টকে বা তাকে বহন করতে হয় না। এমনকি মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাইভেট বিমানও পাঠিয়ে দেয়া হয়।
আয়কর রেফারেন্স মামলা
আয়কর রেফারেন্স নিয়ে করা তিনটি মামলার শুনানি শেষে ৩১ মে এনবিআরের নোটিশের বৈধতা নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চ্যালেঞ্জ খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তাকে এনবিআরের দাবি করা ১৫ কোটি টাকা দানকর পরিশোধ করতে নির্দেশ দেয় আদালত।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় এনবিআর। একইভাবে ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা দানকর দাবি করে আরেকটি নোটিশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয়া হয়। দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন ড. ইউনূস। তার দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এই কর দাবি করতে পারে না।
এই মামলার শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালে খারিজ করে রায় দেয় কর আপিল ট্রাইব্যুনাল। এরপর হাইকোর্টে আলাদা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন ড. ইউনূস।
হাইকোর্ট তার মামলার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার রায় দেয় উচ্চ আদালত।
নিয়ম অনুযায়ী করের ১০ শতাংশ হারে ৩ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৮ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি ১২ কোটি টাকা ড. ইউনূসকে পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন:মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির (এমআইএসটি) শিক্ষার্থীরা সব ধরনের ফি মোবাইলে আর্থিক সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ‘উপায়’-এর মাধ্যমে দিতে পারবেন।
উপায়-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার জিয়াউর রহমান এবং এমআইএসটির জিএসও-১ (আইসিটি) লেফট্যানেন্ট কর্নেল সাঈদ হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই করেন।
চুক্তির মাধ্যমে এমআইএসটির প্রায় তিন হাজার ছাত্র-ছাত্রী মাসিক টিউশন ফিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ফি দিতে পারবেন। উপায় অ্যাপ অথবা ইউএসএসডি কোড *২৬৮# ডায়াল করে ফি পরিশোধ করা যাবে।
এমআইএসটির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মু. অহিদুল ইসলাম, এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি এবং উপায়-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এটিএম তাহমিদুজ্জামান চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমআইএসটির পরিচালক (গবেষণা ও উন্নয়ন) ব্রিগেডিয়ার মো. তৌহিদুল ইসলাম, পরিচালক (আইসিটি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহিদ হোসেন, কর্নেল স্টাফ কর্নেল মুহাম্মাদ রোমিও নওরীণ খান, পিএসসি এবং উপায়-এর পক্ষে হেড অব গভার্নমেন্ট সেল্স হাসান মো. জাহিদ ও সহকারী ব্যবস্থাপক মো. হান্নান খান।
২০২১ সালের ১৭ মার্চ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি ‘উপায়’।
বর্তমানে উপায় বিস্তৃত পরিসরে এমএফএস সেবা প্রদান করছে ইউএসএসডি এবং মোবাইল অ্যাপ উভয়ের মাধ্যমে।
উপায় এর মাধ্যমে গ্রাহকরা সব ধরনের আর্থিক লেনদেন ক্যাশ-ইন, ক্যাশ-আউট, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, মার্চেন্ট ও ই-কমার্স পেমেন্ট, রেমিট্যান্স, বেতন ও সরকারি ভাতা গ্রহণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি, মোবাইল রিচার্জ ছাড়াও সেতুর টোল প্রদান, ট্রাফিক ফাইন পেমেন্ট এবং ভারতীয় ভিসা ফি পেমেন্টের মতো সেবা গ্রহণ করতে পারছেন।
আরও পড়ুন:বগুড়ার কালিতলায় বেঙ্গল এক্সক্লুসিভ শপের ১১৫তম শো-রুম উদ্বোধন করা হয়েছে।
বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস্ লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার আমির দাউদ, ডিজিএম (মার্কেটিং) জোহেব আহমেদ, ডিজিএম (ফার্নিচার) হারুন অর রশিদ, ডিজিএম (হাউসওয়্যার্) ফজলে রাব্বী শপটির উদ্বোধন করেন।
প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল প্লাস্টিকসে্র উৎপাদিত আন্তর্জাতিক মানের নিত্যব্যবহার্য প্লাস্টিক গৃহসামগ্রী ও প্লাস্টিক ফার্নিচার দেশের সব স্তরের মানুষের দোরগোড়ায় সুলভ মূল্যে পৌঁছে দিতে শো-রুমটি চালু করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সমন্বয় করেন মার্কেটিং বিভাগের খায়রুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি, স্থানীয় পরিবেশক রাশেদুল ইসলাম ও বগুড়া শহরের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এ সভা হয়।
ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমদ, সদস্যসচিব ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ফি ও চার্জ আদায়ে সোনালী ব্যাংক পিএলসি এবং সরকারি তিতুমীর কলেজের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে বুধবার স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন সোনালী ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আফজাল করিম এবং সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদৌস আরা বেগম।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সোনালী ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং সঞ্চিয়া বিনতে আলী, সুভাষ চন্দ্র দাস, কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, পারসুমা আলম, জেনারেল ম্যানেজার মো. আব্দুল কুদ্দুস, মো. নুরূন নবী, মো. সাফায়েত হোসেন পাটওয়ারী, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহা. রবিউল আলম, মো. আতিকুর রহমান, সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মালেকা চৌধুরী, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মো. সালাহ্উদ্দীন, সহযোগী অধ্যাপক এম এম মোস্তফা জামাল চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. গালিব হোসেন এবং প্রভাষক শেখ নাজিয়া জাহানসহ সোনালী ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ চুক্তির ফলে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইনে সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে যাবতীয় ফি, বেতন ও চার্জ পরিশোধ করতে পারবেন।
এ ছাড়া Sonali e-Sheba মোবাইল App-এর মাধ্যমে ঘরে বসে দুই মিনিটে ব্যাংক হিসাব খোলা ও Sonali e-Wallet এর মাধ্যমে দিন রাত যে কোনো সময় ব্যাংকিং লেনদেন করতে পারবেন।
Sonali e-Wallet এর মাধ্যমে চেক ছাড়াই কিউআর কোড স্ক্যান করে অর্থ উত্তোলন করা যায়।
ফলে অনলাইনের মাধমে যাবতীয় ব্যাংকিং কার্যক্রম গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌছাঁনো সম্ভব হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য