করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে দেশের রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় খাত তৈরি পোশাক আবার অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
তিনি বলেন, করোনার প্রথম দফার ধাক্কা সামলে পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টার পর ক্রেতারা আদেশ দিতে শুরু করে। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে ওই সব আদেশ স্থগিত করা হয়। ফলে স্থানীয় পোশাক মালিকদের মধ্যে আবার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রপ্তানি আয় বাড়াতে তিনি পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর জোর দেন। করোনার কারণে খুব বেশি শ্রমিক চাকরি হারায়নি বলে দাবি করেন এমবি নিট ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হাতেম।
পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা, প্রণোদনা প্যাকেজ, পণ্যের বহুমুখীকরণসহ অর্থনীতির নানা বিষয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আবু কাওসার ও শাহ আলম খান।
প্রশ্ন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে দেশের তৈরি পোশাক খাতে নতুন করে বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে কি না?
ইউরোপের বিভিন্ন দেশ আবারও লকডাউনে চলে গেছে। বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির ৭০ শতাংশ যায় এ বাজারে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও ক্রেতারা আমাদের পোশাকের চেইন স্টোরগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রথম দফা ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর পর নতুন করে ক্রেতারা রপ্তানি আদেশ দেয়ার যে প্রবণতা শুরু করেছিল, দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে সেটাও আবার স্থগিত হয়ে গেছে।
গ্রীষ্মের নতুন আদেশ নিয়ে আমরা নতুন বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় ছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় দফার ধাক্কা আবার শঙ্কার মধ্যে ফেলেছে। এর বাইরে আরেকটি বড় শঙ্কার কারণ হচ্ছে সুতার বিশ্ববাজারে মাফিয়াচক্রের দৌরাত্ম্য। এই চক্রটি কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
ফলে মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেছে সুতার দাম। আগে যে আদেশগুলো পাওয়া গিয়েছিল, সেগুলো সময়মতো শিপমেন্ট করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ প্রতি কেজি ২ ডলার ৯০ সেন্টে যে সুতার দাম ঠিক করা হয়, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০-৫০ সেন্টে। এ পরিস্থিতিতে আমরা শঙ্কিত চুক্তির বাইরে বাড়তি খরচ কিভাবে পোষাব।
প্রথম যখন করোনা শুরু হয়েছিল, তখনও শঙ্কা ছিল। যথাসময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার পর এপ্রিলে কারখানাগুলো খুলে দেয়া হলো। এর সুফল আসে রফতানি খাতে। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে রপ্তানি ঘুরে দাঁড়ায়। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় টেউয়ের কারণে আবার ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির দিকে যাচ্ছি আমরা।
প্রশ্ন: কত সময় পর্যন্ত করোনা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে?
এটা বলা অসম্ভব। কোনোভাবোই অনুমান করতে পারছি না আগামী চার-পাঁচ মাসের মধ্যে শেষ হবে। তাই কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারছি না।
প্রথম ভেবেছিলাম, জানুয়ারি থেকে হয়তো ভাল অবস্থানে যেতে পারব। সেই আশা তিরোহিত হয়ে গেছে। কার্যকর ভ্যাকসিন আসছে। কিন্তু এর সুফল মানুষ কত দ্রুত পাবে, বিশ্ব পোশাকের বাজার কবে স্বাভাবিক হবে, ইউরোপ ও আমেরিকায় চলমান লকডাউন প্রত্যাহার হবে কি না, এসবের সুনির্দিষ্ট উত্তর কারো কাছে নেই। ফলে একটা অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে এবং সেটা আগামী ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে।
প্রশ্ন: অভিযোগ উঠেছে, আগের দেয়া প্রণোদনা প্যাকেজের বেশিরভাগ সুবিধাই পেয়েছেন পোশাক মালিকেরা। এ প্রেক্ষাপটে নতুন প্রণোদনার দাবি কতটা যুক্তিসঙ্গত বলে আপনি মনে করেন?
প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেটা ছিল খুবই সময়োপযোগী। সেটি কিন্তু আমাদের চাইতে হয়নি। প্রধানমন্ত্রী দেশের ১৭ কোটি মানুষের অভিভাবক, ব্যবসায়ীদের অভিভাবক। পোশাক খাতেরও একজন অভিভাবক তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুঝতে পেরেছিলেন, করোনা মোকাবিলায় প্রণোদনা প্রয়োজন। আর প্রয়োজন ছিল বলেই তিনি আমাদের চাওয়ার আগেই ঘোষণা দেন। এর সুফল দেশের মানুষ এবং রপ্তানি খাত ভালোভাবেই পাচ্ছে।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে আবারও প্রণোদনা প্রয়োজন কি না সেটা প্রধানমন্ত্রীই ভাল জানেন। করোনার প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউ আরও কঠিনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রণোদনার আরও প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা ভাবতে হবে সরকারকেই।
বেশির ভাগ সুবিধা পোশাকখাত পেয়েছে এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশ যে খাতটির অবদান, ৪৪ লাখ শ্রমিক যেখাতে কাজ করছে, সেখানে সুবিধা বেশি যাবেই। এটা দোষের কিছু নেই।
তারপরও বলছি, পোশাক খাতের সব উদ্যোক্তা প্রণোদনার ঋণ সুবিধা পায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক যে নিয়মনীতি বেঁধে দিয়েছে, তাতে অনেকের পক্ষে ঋণ নেয়া সম্ভব হয়নি।
বিকেএমইএ এর সাড়ে ৮শ সদস্যের মধ্যে ৫১৯ সদস্য ঋণ পেতে আবেদন করেছিল। এর মধ্যে ৪২০টি প্রতিষ্ঠান সুবিধা পেয়েছে। বাকিরা পায়নি।
প্রশ্ন: দেশের রপ্তানিখাত এখনও তৈরি পোশাকসহ গুটিকয়েক পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। সরকার দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করেও পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে পারেনি। এই ব্যর্থতার কারণ কী - সরকারের নীতি সহায়তার অভাব নাকি বেসরকারি খাতের অদক্ষতা?
এটা ঠিক, একটি খাতের ওপর নির্ভরতা থাকলে যেকোনো সময় প্রতিকূল বা ভঙ্গুর অবস্থার মধ্যে পড়তে হতে পারে। ফলে পুরো রপ্তানিখাতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকে। তাই রপ্তানি বাড়াতে পণ্যের বহুমুখীকরণ জরুরি।
সরকার রপ্তানি বহুমুখীকরণে বিভিন্ন নীতি-সহায়তা দিয়ে আসছে। বেসরকারি পর্যায়ে পোশাক রপ্তানিকারকরাও পণ্যের বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে।
এরপরও প্রত্যাশিত উন্নতি হয়নি। কারণ খাতভিত্তিক অবস্থানের অসমতা। পোশাকখাতের রপ্তানি বছরে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের। অথচ চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের মাত্র মাত্র ১ বিলিয়নের। বিশাল অসমতার কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
প্রশ্ন: করোনায় পোশাকখাতে কী পরিমাণ শ্রমিক চাকরি হারিয়েছে? এদের সবাই কি চাকরি ফিরে পেয়েছে?
খুব বেশি চাকরিচ্যুত হয়নি। করোনার কারণে যেসব প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ হয়েছে, ওইসব প্রতিষ্ঠানের কিছু সংখ্যক শ্রমিক কাজ হারিয়েছে। তবে তারা আবার চাকরি পাওয়ায় কেউ এখন বেকার নেই। এক জায়গায় চাকরি হারালে আরেক জায়গায় কাজ পেয়েছে। কেউ আবার এলাকায় গিয়ে ভিন্ন খাতে কাজ নিয়েছে। বেশির ভাগ কারখানার গেটে এখনও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সাঁটানো আছে। তার মানে হচ্ছে শ্রমিক নিয়োগ হচ্ছে এবং তার প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে।
শ্রমিক নেতারা অভিযোগ করেন, লাখ লাখ শ্রমিক চাকরিচ্যুত হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, কত শ্রমিক বেকার হয়েছে তালিকা দেন। তারা এখনও তালিকা দিতে পারেনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জার্মান সরকার পোশাকখাতে চাকরিচ্যুতদের জন্য একটা তহবিল গঠন করে। এ তহবিল থেকে ১০ লাখ শ্রমিককে তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা দেয়া হবে।
বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ এর বাইরে আরও দুটি খাতের শ্রমিকদের ওই তহবিল থেকে সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তালিকার অভাবে তহবিলের অর্থ ছাড় হচ্ছে না। তাই প্রচুর শ্রমিক চাকরি হারিয়েছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রশ্ন: ৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের করণীয় কী?
সরকার এ বিষয়ে নীতিগত সব ধরনের সহায়তা দিতে আন্তরিক। কিন্তু দুভার্গ্যজনক হলেও সত্যি, উদ্যোগগুলো যারা বাস্তবায়ন করবে, তাদের মধ্যে অদক্ষতা, দূরদর্শিতার অভাব, দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা রয়েছে। এসব বাধা দূর হলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ স্থগিত করার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। অস্বাভাবিক ট্যারিফ বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোববার চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু বে ভিউতে ব্যবসায়ীদের সমন্বয় সভায় বক্তারা এ দাবি করেন। বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে আলোচনা না করা পর্যন্ত এ ট্যারিফ স্থগিত করার দাবি জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী। চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের ব্যানারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি এসএম আবু তৈয়বের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এশিয়ান গ্রুপের প্রধান এমএ সালাম।
এতে চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ আমিরুল হক, বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম রহমান, মেট্রোপলিটন চেম্বারের
সহ-সভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন, সাবেক পরিচালক খায়রুল আলম সুজন, বিজিপিএমইএর সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ চৌধুরী, বিজিএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরীসহ, বেপজার সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভিরসহ ব্যবসায়ী নেতারা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ২০০৩ সালে বাফার সঙ্গে গার্মেন্টসের যখন সমস্যা হয়েছিলো তখন আমি চেম্বারের সভাপতি ছিলাম। বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ একসঙ্গে প্রতিরোধ করতে পেরেছিলাম। এবার বন্দরের নতুন ট্যারিফ সাধারণ মানুষকে দিতে হবে। বন্দর নিয়ে যে খেলা শুরু হয়েছে তা খেলতে দেওয়া হবে না। বন্দরে চট্টগ্রাম চেম্বার থেকে একজন প্রতিনিধিকে পরিচালক করতে হবে।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ আমিরুল হক বলেন, বন্দরের মাশুল ব্যবসায়ীরা পেমেন্ট করব না। এটা জনগণকে পেমেন্ট করতে হবে। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে স্বাধীন পরিচালক আছে, বন্দরে নেই কেন? আমরা কারও গোলাম না। আমার টাকায় আপনারা চালান। ট্যারিফ বাড়ানো ষড়যন্ত্র। মোংলা, পায়রায় বাড়াননি। আমি ৪০ বছর ব্যবসা করছি। কচি খোকা নই। বন্দর বাঁচাতে হবে। বন্দরকে কস্ট বেইজড ট্যারিফ করতে হবে। আমরা কি গোলাম? কলুর বলদ? অন্তর্বর্তীকালীন কেন ট্যারিফ বাড়াবে? আর কোনো টাকা বন্দরের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না। এনসিটির পর একটি পতেঙ্গা টার্মিনাল হয়েছিল, সেটি দিয়ে দিয়েছেন!
বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সেলিম রহমান বলেন, আরএমজি ব্যবসায়ীরা বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি দুটোই করে। ভিয়েতনাম, ভারত ও মালয়েশিয়ার চেয়ে আমাদের কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস বেশি। ২৯ বছরের ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতায় বন্দরকে লস করতে দেখিনি। তাহলে বন্দরে ৪১ শতাংশ ট্যারিফ কেন বাড়াতে হবে?
মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ সভাপতি এ এম মাহবুব চৌধুরী বলেন, আমরা ট্যারিফ বাড়ানোর বিরুদ্ধে। চট্টগ্রাম বন্দর জনগণের টাকায় তৈরি সেবার জন্য। ২০২৩ সালের বন্দর আইনে উপদেষ্টা পরিষদ বাতিল করেছে। স্বাধীনতার সময় বন্দরে কাঁটাতারের বেড়া ছিল। পৃথিবীতে সাড়ে চার হাজার বন্দর আছে। আড়াই হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। বাড়াতে হলে জাতীয় সংসদ বাড়াবে। এ দেশের গার্মেন্টস থেকে বায়ার পোশাক কিনবে না। ভিয়েতনাম, ভারতে চলে যাবে বায়ার। বন্দর আমাদের কাছে নেই। আমাদের চুষে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করছে। আমদানি খরচ বাড়লে রপ্তানি খরচ বাড়বে। সব শিপিং এজেন্টদের সমভাবে নির্ধারণের দায়িত্ব চিটাগাং চেম্বারের।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি এবং পরবর্তীতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যকার বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ) বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার। ইইউ-এর সাথে বাণিজ্য সম্প্রসারণের প্রচুর সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্ভাবনার সম্ভাব্যতা যাচাই ও বাণিজ্যিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণের পর বিস্তৃত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি এবং পরবর্তীতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রসর হতে চায়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের প্রধান মাইকেল মিলার বলেন, সম্পর্কোন্নয়নে বাণিজ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে উভয় পক্ষেরই সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগ আছে।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল সিসটিয়াগা, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টিয়ান ব্রিক্স মুলার, ফ্রান্স দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ফ্রেডরিক ইনজা, জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন এনজা ক্রিস্টেন, ইতালি দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ফ্রেডরিকো জামপ্রেল্লি, সুইডেন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ইভা স্মেডব্রেগ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ ডেলিগেশনের ট্রেড অ্যাডভাইজার আবু সাইদ বেলাল উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।
এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন সামান্য বাড়লেও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, রোববার ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৮১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২০২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৯ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৪ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১১১৪ ও ১৯৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে ৫৪২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১২ কোটি টাকার লেনদেন বেড়েছে। আগের দিন ডিএসইতে ৫৩০ কোটি ১৮ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।
রোববার ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৭টি কোম্পানির, কমেছে ৩১১টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, প্রগতি লাইফ, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, সিমটেক ইন্ডাস্ট্রি, রূপালি লাইফ, ডোমিনেজ, রবি, সোনালি পেপার, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট ও রহিমা ফুড।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৮৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৭৬২ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ১৯৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩২টির, কমেছে ১৪৭টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির কোম্পানির শেয়ার দর।
রোববার সিএসইতে ১০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১২ কোটি টাকার লেনদেন কমেছে। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।
দেশের ১২টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ২ হাজার ৯৮৪ টন পাট রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কাঁচা পাট রপ্তানি করতে গেলে এখন সরকারের অনুমতি নিতে হয়। গত মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করে। বিদ্যমান রপ্তানি নীতির ২০২৪-২৭-এ শর্তসাপেক্ষে পণ্য রপ্তানির একটি তালিকা রয়েছে। এই তালিকায় কাঁচা পাট ছিল না এত দিন। রপ্তানি নীতি সংশোধন করে পরিপত্রে শর্ত যুক্ত পণ্য তালিকার ১৯ নম্বর ক্রমিকে কাঁচা পাটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
দারাজমলে নিশ্চিন্তে কিনুন- শতভাগ আসল পণ্যের নিশ্চয়তার সঙ্গে নকল প্রমাণে তিনগুণ ক্যাশব্যাক দারাজ ১০.১০ ব্র্যান্ড রাশ ক্যাম্পেইন শুরু- জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে সর্বোচ্চ ৮০% পর্যন্ত ছাড়
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর প্রাপ্ত আবেদন সাপেক্ষে ওই ১২ প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ দফায় ইন্টারন্যাশনাল জুট ট্রেডার্স ২০৮ টন, পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ ৮২২ টন, সারতাজ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ৩৬৬ টন, রশ্মি কবির ১০৪ টন, জননী এন্টারপ্রাইজ ৫২ টন, শরীফ ট্রেড ভিলেজ ২৬ টন, দ্য ওয়ার্ল্ড জুট গার্ডেন ২৫ টন, আইডিয়াল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ১৯২ টন, আরএস ট্রেডার্স ১৩০ টন, বুলবুল ট্রেডার্স ২৫ টন, জুটব ইম্পেক্স ১৩০ টন এবং এনএস জুট বেলিং ১০৪ টন পাট রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে।
১২ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর পরিচালনা পর্ষদের ১৮২তম সভা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, গুলশান-১, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মুঃ ফরীদ উদ্দীন আহমদ। সভায় পর্ষদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর, নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব শেখ জাহিদুল ইসলাম, এফসিএ, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম জাহীদ, জনাব মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ ইকবাল এবং জনাব মিজানুর রহমান কার্যপোলক্ষ্যে সভায় যোগদান করেন। সভায় ব্যাংকের চলমান বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিশদভাবে আলোচনা করা হয় এবং ইউনিয়ন ব্যাংকের প্রতি সর্বস্তরের জনগণ আস্থা রাখায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
বাংলাদেশের সকল বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের কর্মকর্তাদের একমাত্র সংগঠন ইলেকট্রনিক মিডিয়া মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন (ইমা) এর সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহনা টেলিভিশনের সিইও এবং হেড অফ মার্কেটিং তছলিম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জিটিভির হেড অফ সেলস এন্ড মার্কেটিং মো: ফেরদৌস নাঈম পরাগ।
ঢাকার একটি স্বনামধন্য রেষ্টুরেন্টে বার্ষিক সাধারণ সভার মাধ্যমে পরবর্তী ২ বছরের জন্য ২১ সদস্যের নতুন এই কমিটি গঠিত হয়।
সহসভাপতি পদে যথাক্রমে চ্যানেল আইয়ের জিয়াউল হক সুমন, স্টার নিউজের জহিরুল ইসলাম ও ইটিভির জাকারিয়া হোসেন জয় নির্বাচিত হন।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দুটি পদে গ্লোবাল টেলিভিশনের মোঃ রফিকুল রহমান মজুমদার নিক্সন ও বিজয় টিভির মাহামুদুল হাসান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
দ্বিতীয় বারের মত জয় লাভ করেন অর্থ সম্পাদক পদে এটিএন বাংলার মো: আবদুল মালেক।
সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দুরন্ত টেলিভিশনের আশিকুর রহমান অভি নির্বাচিত হন।
দ্বিতীয় বারের মত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে জয় লাভ করেন জিটিভির দীন ইসলাম তপু।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন এখন টেলিভিশনের সরকার হানিফ রাফি, চ্যানেল আইয়ের লিমা শিমু মহিলাবিষয়ক সম্পাদক, আইনবিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন এটিএন নিউজের কারিন কামাল, দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল নাইন এর সাইফুল আলম অপু।
নির্বাহী সদস্যপদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের মোহাম্মদ আবদুস সামাদ সোহাগ, একাত্তর টিভির মো: সোহাগ হোসেন, দেশ টিভির আরিফুল ইসলাম রাজীব, এস এ টিভির শাকিলুর রহমান, এশিয়ান টিভির মাহমুদ জনি, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির এস এম জুবায়ের আলম ও ডিবিসি নিউজের কে এম রাশেদুল।
গ্রাহকদের জন্য সহজলভ্য গৃহঋণ সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি সম্প্রতি আরবান ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড-এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। সম্প্রতি এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস।
সমঝোতা স্মারকটিতে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি-এর পক্ষ থেকে রিটেইল বিজনেস বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং আরবান ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড-এর পক্ষ থেকে চিফ অপারেটিং অফিসার হাসিব এম. আবদুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি-এর রিটেইল বিজনেস বিভাগের ডিস্ট্রিবিউশন প্রধান মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, মর্টগেজ বিভাগের প্রধান মেহেদী মাহমুদ খান, হোম লোন সেলস (মেট্রো) বিভাগের প্রধান মো. ইমরান হোসেন এবং ধানমন্ডি শাখার ক্লাস্টার হেড ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোহাম্মদ কাইয়ুম খান। আরবান ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সেলস ও মার্কেটিং বিভাগের ক্লাস্টার হেড মো. সাব্বির আমিন এবং শাহেদ পারভেজ।
এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠান আরও বেশি ব্যক্তি ও পরিবারের নিজস্ব অ্যাপার্টমেন্টের স্বপ্ন পূরণের পথে সহায়তা জোরদার করতে চায়। যৌথ এই উদ্যোগের ফলে গ্রাহকরা সমন্বিত আর্থিক ও রিয়েল এস্টেট সল্যুশনের মাধ্যমে আরও সহজ, কার্যকর ও নিরবচ্ছিন্ন হোম লোন এবং সম্পত্তি ক্রয় করতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, “আইপিডিসিতে আমরা সবসময় এমন অংশীদার খুঁজি যারা মানুষের স্বপ্নপূরণে পাশে থাকে। আরবান ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড-এর সঙ্গে এই চুক্তি আমাদের সেই লক্ষ্যকেই আরও শক্তিশালী করবে। আমরা চাই গ্রাহকরা যেন সহজেই নিজেদের অ্যাপার্টমেন্টের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেন, যা দেশের আবাসন খাতের উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
আরবান ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড-এর চিফ অপারেটিং অফিসার হাসিব এম. আবদুল্লাহ বলেন, “আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি-এর সঙ্গে অংশীদার হতে পেরে আমরা অত্যান্ত আনন্দিত। এই সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকরা আরও সহজে নিজেদের বাড়ির স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। পাশাপাশি তারা ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগে আরও আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য ও সুবিধা পাবেন।”
এই অংশীদারিত্ব আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি-এর জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক সেবার মাধ্যমে মানুষকে শক্তিশালী করে তোলার এবং টেকসই সহযোগিতার মাধ্যমে একটি সুন্দর আগামী গড়ে তোলার যাত্রাকে আরও এগিয়ে নেবে।
মন্তব্য