করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল বলে মনে করছেন ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি শামস মাহমুদ। তবে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে ভোগ ব্যয় লক্ষ্যণীয়ভাবে কমেছে, এটি বাড়ানোই বড় চ্যালেঞ্জ বলে অভিমত তার।
ডিসিসিআই সভাপতি বলছেন, দেশের রপ্তানি খাত বহির্বিশ্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এখানে কারো নিয়ন্ত্রণ নেই। রপ্তানির গতিপ্রবাহ বাড়া-কমার মধ্য দিয়ে চলে, ফলে এ খাত নিয়ে ভয়ের কানো কারণ নেই।
রাজস্ব, প্রণোদনা প্যাকেজ, খেলাপি ঋণ, করোনা পরিস্থিতিসহ অর্থনীতির নানা ইস্যুতে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলছেন শামস মাহমুদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নিউজবাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শাহ আলম খান।
অর্থনীতিতে এখন চ্যালেঞ্জগুলো কী?
করোনার আগে লোকজন নির্ভয়ে বাইরে বের হতো, সব জায়গায় ঘুরতে যেত। হোটেল-রেস্তোরাঁয় জমজমাট আড্ডা হতো। তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত কেনাকাটা করত। দোকানে বাচ্চাদের নিয়ে গেলে সাধ্যমতো আবদার পূরণ করত। এখন সেটা হচ্ছে না, অনেকে পারছেও না।
করোনায় অনেকে চাকরি হারিয়েছে, বেতন কমিয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। জনগণের আয় রোজগার কমায় ক্রয়ক্ষমতায় চিড় ধরেছে। এসবের প্রভাব পড়েছে সার্বিক ভোগব্যয়ে। ভোগ না বাড়লে অর্থনীতি বড় হয় না, টেকসইও হয় না। ছোট-বড় ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারাও থাকেন ঝুঁকিতে। এতে ব্যবসারও প্রসার ঘটে না।
বছরে বিশেষ দিন কেন্দ্র করে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাত আবর্তিত হয় এবং সব রকম কর্মকাণ্ড চলে। এবার পহেলা বৈশাখ, রোজা, দুই ঈদ এবং পূজায় বেচাকেনা তেমন হয়নি। বন্ধ রয়েছে বিয়েশাদিসহ শীতকালের সব সামাজিক অনুষ্ঠান। এমনকি পুনর্মিলনী, বার্ষিক সাধারণ সভার মতো অনুষ্ঠানগুলোও হচ্ছে না। এসবের প্রভাব পড়ছে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রপ্তানিখাতে কী প্রভাব ফেলতে পারে?
রফতানির বড় খাত হচ্ছে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র। এ দুটি খাতে আগামীতে সেভাবে ক্ষতির আশঙ্কা নেই। যদি হয়েও থাকে, সেটা কম সময়ের জন্য। গ্রীষ্মের ক্রয়াদেশ পাওয়ার আগেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ফলে ভয়ের কোনো কারণ দেখছি না, বরং সম্ভাব্য ধাক্কাকে সুযোগ হিসেবেই দেখতে চাই।
রপ্তানি বাজারে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো- যখনই বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক বিপর্যয় আসে, ব্যক্তির অর্থ উপার্জনে সমস্যা হয়, তখন সব দেশের ভোক্তার জাতীয় চরিত্রে পরিবর্তন আসে। যেখানে পণ্যের কম দাম পায়, সেখানে চলে যান ভোক্তা। এ কারণে ক্রেতারাও তাদের ব্যবসায়ীক মডেলে পরিবর্তন আনেন এবং চাহিদা অনুযায়ী সস্তা পণ্য খোঁজ করেন।
বাংলাদেশ উৎপাদনমুখী দেশ। নিজেরাই পণ্য উৎপাদন, রূপান্তর ও মূল্য সংযোজন করে। সেই পণ্য রপ্তানি করা হয়। এ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা।
তবে এর জন্য কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, প্লাস্টিক, লেদার ইন্ডাস্ট্রি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ওষুধ শিল্পের মতো সম্ভাবনাময় শিল্পগুলোকে সরকারের নীতিসহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি রফতানির পণ্যের বহুমুখীকরণ ও গুণগত মান বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।
বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পণ্যের সম্ভাবনা আছে। এর কারণ, প্রতিযোগী অনেক দেশ যেমন তুরস্ক, পাকিস্তান, মালয়েশিয়ার তুলনায় বাংলাদেশে পণ্যের উৎপাদন খরচ অপেক্ষাকৃত কম।
করোনার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের পরেও কম দামে মানসম্মত পণ্য বাংলাদেশই সরবরাহ করতে সক্ষম। এ কারণে ওই সব দেশের রপ্তানি আদেশ বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হবে। চীনে উৎপাদন অনেক ব্যয়বহুল হয়ে গেছে।
ভিয়েতনামেও রপ্তানির মৌলিক আইটেমগুলোর উৎপাদন খরচ বেশি। ফলে এসব দেশের রপ্তানি আদেশ বাংলাদেশেই স্থানান্তর হবে বলে আশা করছি। এসব বিবেচনা করলে আগামীতে দেশের রপ্তানি আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ অর্থনীতি চাঙা রাখতে কতটা সহায়ক ভূমিকা রেখেছে?
ছোট-বড় সব ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাই করোনার কারণে আর্থিক সংকটে পড়েছেন। এক্ষেত্রে ঘোষিত প্রণোদনা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।
বড়দের জন্য ৩০ হাজার এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারিদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার তহবিল গঠন করা হয়েছে। দেখা গেছে, ৩০ হাজার কোটির প্যাকেজটি দ্রুত বাস্তবায়ন হয়েছে। ব্যাংকগুলো সরাসরি ঋণ বিতরণে জড়িত থাকায় এটা সম্ভব হয়েছে।
কিন্তু এসএমইদের জন্য সেটি হয়নি। কারণ, এখানে ব্যাংকের পাশাপাশি মাঠপর্যায়ের এনজিওগুলোরও ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকলেও তাদের সম্পৃক্ত করা হয়নি। যে কারণে এসএমইদের ঋণ বিতরণে ধীরগতি লক্ষ্য করা যায়।
ছোট ব্যবসায়ীদের আরও পুঁজির দরকার আছে। আমরা আশা করছি, নতুন করে প্রণোদনা দেয়া হবে এবং এর মাধ্যমে এসএমই খাতে সৃষ্ট সংকটের সমাধান হবে। এসএমই খাতে ঋণ বিতরণ নিশ্চিত করতে পিকেএসএফ, ইফাদ বা এমএফএ এর মতো ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত রাখতে হবে।
ঋণ পরিশোধে সরকার খেলাপিদের বার বার ছাড় দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে, আপনার বক্তব্য কী ?
করোনা-পরবর্তী বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ কার্যক্রম নীতিতে পরিবর্তন এনেছে। এ প্রক্রিয়ায় ব্যাংক ঋণের কিস্তি স্থগিত রয়েছে। এর ফলে এখন অনেকেই ঋণখেলাপি হচ্ছেন না। যদিও শোনা যাচ্ছে, আরও তিন মাস বাড়ানো হচ্ছে।
কিন্তু কোনো না কোনো সময় এই স্থগিতাদেশ উঠাতেই হবে। এটা উঠে গেলেই দেশের আর্থিকখাতের স্বাস্থ্যের প্রকৃত চিত্র ধরা পড়বে। তখনই সঠিক চিত্র পাওয়া যাবে। এখন যা বলা হচ্ছে সব অনুমাননির্ভর।
খেলাপিদের এই সুবিধা কেন দেয়া হচ্ছে?
এটা সরাসরি বলা যাবে না। কারণ, যারা আগে খেলাপি ছিলেন তারাও চেষ্টা করেছিলেন কীভাবে খেলাপিমুক্ত হওয়া যায়। তবে করোনায় সবার মতো তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই সরাসরি এ কথা বলা যাবে না যে, খেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গত বছর যখন সরকার একটা বিশেষ ক্যাটাগরিতে হাতেগোনা কিছু বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিয়েছিল, তখন আমরা সরকারকে বলেছিলাম- এ পদক্ষেপ নিয়মিত গ্রাহককে নিরুৎসাহিত করবে।
সরকার আমাদের কথা শোনেনি, উল্টো যারা ব্যাংকের খেলাপি তারাই কিছু বিশেষ সহায়তা পেয়েছে। এতে যারা কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করতেন না, তেমন ইচ্ছেকৃত খেলাপিরাও এখন খেলাপি বিবেচিত হচ্ছেন না। এখন তো করোনাকেন্দ্রীক নতুন সুযোগও তারা নিচ্ছেন। আশা করব সরকার এবার যদি কোনো বিশেষ পদক্ষেপ নেয়, সেখানে সুষম ঋণ বণ্টনের একটা মানদণ্ড থাকবে।
রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি হতাশাজনক, এটা কীভাবে বাড়ানো যায়?
করোনায় প্রভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ভাটা পড়েছে। ফলে রাজস্ব আহরণে বাধা থাকবেই। তাছাড়া করজালও ছোট। কয়েকটি কোম্পানির ওপর নির্ভর করে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় বাড়ানো যাবে না। ব্যবসা-বাণিজ্য কমে যাওয়ায় মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আগের মতো আদায় হচ্ছে না। এ বিষয়ে এখন থেকে ভাবতে হবে সরকারকে।
করজাল বাড়ানোর অনেকগুলো উপায় আছে। স্মার্টফোন বাংলাদেশে কম বেশি সবার হাতে আছে, দামও খুব বেশি নয়। স্মার্টফোনের ভেতরে কিউআর কোড বসিয়ে করের আওতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এ প্রস্তাবটি নিয়ে ভাবতে পারে সরকার।
ইলেকট্রনিক লেনদেনকেও (ইওয়ালেট) জনপ্রিয় করার সুযোগ রয়েছে। এর ফলে আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং কর আদায় সহজ হবে।
আরও পড়ুন:২০২৫ সালের প্রথম নয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক ১৩,৫০০ কোটি টাকার নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫ সময়কালে এই ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি আমানত সংগ্রহে ব্যাংকটির টেকসইতার প্রতিফলন।
বিগত কয়েক বছর ধরে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের এই লক্ষণীয় ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ব্যাংকটির ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের এমন মাইলফলক ব্যাংকিং খাতে আমানত সংগ্রহে নতুন বেঞ্চমার্ক তৈরি করে চলেছে।
এই সাফল্য উদ্যাপনের লক্ষ্যে ব্যাংকটি ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আয়োজনে ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগ দেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক। এ সময় ব্র্যাংকটির ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের রিজিওনাল হেড, ক্লাস্টার হেড এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজারসহ উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জোনাল হেড (নর্থ) এ. কে. এম. তারেক এবং সিনিয়র জোনাল হেড (সাউথ) তাহের হাসান আল মামুন।
ব্যাংকের এমন সাফল্যে গ্রাহক আস্থা এবং গ্রাহকদের সাথে সুসম্পর্কের বিষয়টির ওপর জোর দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “গ্রাহকের সাথে আস্থার সম্পর্ককে আমরা আমানত সংগ্রহে সবচেয়ে বড় দক্ষতা হিসেবে দেখি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২০২৫ সালের বাকি সময়ে এবং সামনের বছরগুলোতেও ডিপোজিট প্রবৃদ্ধিতে আমাদের এমন সাফল্য অব্যাহত থাকবে।”
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯৮টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১১৯টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সুইসকন্টাক্ট-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। যার লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশকে আরো শক্তিশালী করা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা।
গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিডা সম্মেলন কক্ষে ওই সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে বলা হয়, চুক্তির আওতায় তিনটি মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- প্রমাণনির্ভর বিনিয়োগ পরিবেশ বিশ্লেষণ ও সমন্বয় জোরদার, বিডাকে একটি বিশ্বমানের বিনিয়োগ প্রচার সংস্থা হিসেবে শক্তিশালী করা ও খাতভিত্তিক বিনিয়োগ সম্প্রসারণ ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ উন্নয়ন।
অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, বিডা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগ নীতিমালা সংস্কার, সেবার ডিজিটালাইজেশন এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় জোরদারে কাজ করছে। সুইসকন্টাক্ট ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি প্রকল্পের আওতায় বিডার সহযোগিতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন পৌরসভায় ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ও প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করেছে।
বিডার জনসংযোগ দপ্তর জানায়, আগের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিডা ও সুইসকন্টাক্ট এখন নতুন একটি উদ্যোগ গ্রহণে সম্মত হয়েছে, যা বিডার ‘হিট ম্যাপ’ অনুযায়ী বিভিন্ন খাতভিত্তিক বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে সহায়ক হবে।
বিডা চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গঠনে সরকার নানামুখী সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সুইসকন্টাক্টের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আমাদের ‘ইনভেস্টর-ফার্স্ট’ মডেল বাস্তবায়নের পথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমাদের লক্ষ্য হলো বিনিয়োগকারীরা যেন বাংলাদেশকে দক্ষ, সেবাবান্ধব ও সম্ভাবনাময় গন্তব্য হিসেবে অনুভব করেন।
বিডা জানায়, সুইসকন্টাক্ট দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের টেকসই উন্নয়ন, বাণিজ্য প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা শক্তিশালীকরণে কাজ করে আসছে। সংস্থাটি বিশ্বাস করে, এই সহযোগিতা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, বিশেষ করে তরুণ ও নারীদের জন্য।
বিডা ও সুইসকন্টাক্ট উভয় প্রতিষ্ঠানই আশা প্রকাশ করেছে, এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ আরও উন্নত হবে, মানসম্পন্ন বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং টেকসই শিল্পায়নের মাধ্যমে অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) ১৮তম নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন।
তিনি প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন এবং মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হন।
বেপজায় যোগদানের আগে মোয়াজ্জেম হোসেন সপ্তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এবং বরিশালে এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তিনি ১৯৯২ সালের ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশন লাভ করেন। তার দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন কমান্ড, স্টাফ এবং নির্দেশনামূলক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ব্যতিক্রমধর্মী নেতৃত্ব ও পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করেছেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন দুইটি আর্টিলারি ব্রিগেড ও দুইটি আর্টিলারি রেজিমেন্টের কমান্ড করেছেন। তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) প্লাটুন কমান্ডার, সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে একটি ডিভিশনের কর্নেল স্টাফ এবং পরিচালক (বাজেট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি রাজধানীর মিরপুরের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) থেকে স্নাতক এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) থেকে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স (এনডিসি) ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স (এএফডব্লিউসি) সম্পন্ন করেছেন।
এছাড়া তিনি বিদেশে উন্নত সামরিক প্রশিক্ষণ ও মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে চীনের নানজিং আর্টিলারি একাডেমি ও পাকিস্তানের স্কুল অব আর্টিলারি রয়েছে।
তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) থেকে এমফিল সম্পন্ন করেছেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে পিএইচডি করছেন।
বাংলাদেশ টেকসই পোশাক উৎপাদনে বৈশ্বিক নেতৃত্ব আরও সুদৃঢ় করেছে, কারণ নতুন করে পাঁচটি কারখানা লিড (লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন) সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।
সর্বশেষ এই সংযোজনের ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সর্বাধিক ২৬৮টি লিড-সার্টিফায়েড কারখানার অধিকারী। এর মধ্যে ১১৪টি পেয়েছে প্লাটিনাম ও ১৩৫টি পেয়েছে গোল্ড সার্টিফিকেশন।
এই পাঁচটি নতুন কারখানাসহ বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি সর্বোচ্চ রেটপ্রাপ্ত লিড সার্টিফায়েড কারখানার মধ্যে ৬৮টি বাংলাদেশে অবস্থিত, যা দেশের পোশাক শিল্পের পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ও জ্বালানি দক্ষতার ধারাবাহিক অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
নতুন সার্টিফিকেশন পাওয়া পাঁচটি কারখানা হলো- পাকিজা নিট কম্পোজিট লিমিটেড, সাভার, ঢাকা ঙ+গ: এক্সিস্টিং বিল্ডিং ৪.১ ক্যাটাগরিতে ৮৭ পয়েন্ট পেয়ে লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে; ফ্যাশন পালস লিমিটেড, বিসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট, ঢাকা বিডি+সি: নিউ কন্সট্রাকশন ভি৮ ক্যাটাগরিতে ৮৭ পয়েন্ট পেয়ে লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেশন পেয়েছে; গাভা প্রাইভেট লিমিটেড, প্লট ১১৪১২০, ঢাকা ইউ+ঈ: নিউ কন্সট্রাকশন ভি৪ ক্যাটাগরিতে ৮৭ পয়েন্টে লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে; ভিজুয়াল নিটওয়্যারস লিমিটেড, চট্টগ্রাম ঙ+গ: এক্সিস্টিং বিল্ডিং ভি৪.১ ক্যাটাগরিতে ৭৬ পয়েন্ট পেয়ে লিড গোল্ড সার্টিফিকেশন পেয়েছে; এবং ট্যালিসম্যান পারফরম্যান্স লিমিটেড, সিইপিজেড, চট্টগ্রাম ইউ+ঈ: নিউ কন্সট্রাকশন ভি৪ ক্যাটাগরিতে ৬২ পয়েন্ট পেয়ে লিড গোল্ড সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।
এই নতুন সংযোজনগুলো বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের টেকসই উৎপাদন এবং বৈশ্বিক সবুজ রূপান্তরের ধারাবাহিক অগ্রগতিকে আরো জোরালোভাবে তুলে ধরেছে। গত এক দশকে দেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পরিবেশবান্ধব মানদণ্ড গ্রহণের মাধ্যমে এক ধরনের সবুজ বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছে।
লিড-সার্টিফায়েড কারখানাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইইউজিবিসি)-এর কঠোর টেকসই মানদণ্ড অনুসরণ করে, যেখানে জ্বালানি ও পানির দক্ষ ব্যবহার, কার্বন নির্গমন হ্রাস, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
শিল্প বিশেষজ্ঞরা এই সাফল্যের কৃতিত্ব দিচ্ছেন উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)-এর ভূমিকা এবং সবুজ শিল্পায়নে সরকারের সহায়ক নীতিমালাকে। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সবুজ কারখানার সংখ্যা শুধু দেশকে একটি দায়িত্বশীল উৎপাদন গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে না, বরং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিল্প ভবিষ্যতের লক্ষ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
বস্ত্র ও পাট, বাণিজ্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফান্ড দিয়ে জেডিপিসির মাধ্যমে প্রায় ১০০৬ জন উদ্যোক্তার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করছি বাজারে পাটের একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন যাতে আনতে পারি।
অতীতের মতো আমরা কী করে পাটের ব্যাগ ব্যবহার করতে পারি। পাটের স্কোয়ার মিটার, মাইলেজ, এর পরিধি বাড়াতে গবেষণার দরকার। র্যাপিং (মোড়ক) উপকরণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পাটের বিশাল বাজার আছে।
বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে টেকসই উন্নয়নে পাটের ভূমিকাবিষয়ক সেমিনার ‘হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও ফাতেমা আহমেদ ট্রাস্ট লেকচার-২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ‘ফিউচার ক্যাপ্টেন’ উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, আপনারা অনেক জায়গায় রিফাইন্ড ক্যারেক্টার দেখিয়েছেন। বলেছেন মানি না। পাটব্যাগের জন্য কালচারাল চেঞ্জ (সাংস্কৃতিক পরিবর্তন) দরকার আমাদের, কাউকে বাধ্য করে নয়। পাটপণ্য ইনোভেশন ও খরচ কমিয়ে এর বাণিজ্যিক সফলতা তৈরি করতে সক্ষমতা বাড়াতে হবে যা প্লাস্টিককে হারাতে পারে। এজন্য নীতি, পদক্ষেপ ও প্রচেষ্টার সমন্বিত উদ্যোগ রাখতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর মাধ্যমে শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ে। আপনারা যেখানে কাজ করবেন সে প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ করতে কাজ করতে হবে। শ্রেষ্ঠত্ব তৈরি করতে হবে।
বক্তব্য শেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের (বুটেক্স) উপাচার্য প্রফেসর ড. ইঞ্জি. মো. জুলহাস উদ্দিন প্রধান অতিথি উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন-এর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম দেশের অর্থনীতিকে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করতে পাট চাষ ও এর রপ্তানি এবং এর ভবিষ্যতের নানা দিক উপস্থাপন করেন। সেইসাথে আগামী বাণিজ্য মেলায় একমাত্র পাটব্যাগ প্রচলনের দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক রাশিদা আখতার খানম, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর মহাপরিচালক ড. নারগিস আখতার, আইইবির ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইঞ্জি. খান মঞ্জুর মোরশেদ, আইটিইটির আহ্বায়ক ইঞ্জি. আহসানুল করিম কায়সার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেছেন, সরকার ভিসা ফি প্রদানের প্রক্রিয়াকে ডিজিটালাইজড এবং সামগ্রিক ভিসা নীতিমালা সংশোধনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ভিসা ফি প্রদানের প্রক্রিয়াকে ডিজিটাল করার কাজ চলছে। পরিকল্পিত এই সংস্কারের ফলে আবেদনকারীরা ঘরে বসেই অনলাইনে ফি পরিশোধ করতে পারবেন। ফলে ফি প্রদানের জন্য শারীরিকভাবে উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন হবে না।’
বুধবার রাজধানীতে বিডার মাল্টিপারপাস মিলনায়তনে ‘ওয়ার্ক পারমিট ও সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স প্রসেস’ বিষয়ক এক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, ‘সরকার সামগ্রিক ভিসা নীতিমালার ক্ষেত্রেও বড় পরিসরে সংস্কারের কাজ করছে।
এই বিস্তৃত নীতি সংস্কারের লক্ষ্য হলো বর্তমান ব্যবস্থায় দীর্ঘদিনের বিদ্যমান নানা সমস্যার সমাধান করা।’
তিনি বলেন, ‘অনলাইন সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। আগে যেখানে ৩৪টি নথি জমা দিতে হতো, সেখানে এখন তা কমিয়ে ১১টিতে আনা হয়েছে। এটি একটি বড় অর্জন, কারণ অতীতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনার কারণে নানা দপ্তর থেকে একাধিক নথি চাওয়া হতো।’
বিডা চেয়ারম্যান জোর দিয়ে বলেন, ‘বিডাসহ সরকারের সব কার্যক্রমে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে কোনো আপসের সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কিছু করতে চাই না যা জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বা আপসের সম্ভাবনা তৈরি করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা বিডা- সকলের লক্ষ্য এক এবং আমরা একই উদ্দেশে কাজ করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটাই- সব সংস্থা যেন সমন্বিতভাবে কাজ করে সমস্যা সমাধান করে এবং জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।’
কর্মশালায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিডা তাদের নিজ নিজ উপস্থাপনা তুলে ধরেছে।
এতে অন্যান্যের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন ও বিডা মহাপরিচালক মো. আরিফুল হক বক্তৃতা দেন।
আরিফুল হক জানান, কর্মশালায় এসবি, এনএসআই, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক সংস্থাগুলোর নির্দিষ্ট তথ্য ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
তিনি বলেন, ‘সব সংস্থা একই পরিবারের সদস্য হিসেবে একই উদ্দেশে কাজ করছে।’
আরিফুল হক মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন তাদের অভিজ্ঞতা ও সমস্যা নিয়মিতভাবে জানান। কারণ এসব তথ্যই পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া সহজ করবে।
শরীয়াহ্ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. আমদানি, রপ্তানী ও রেমিটেন্স বৃদ্ধিকল্পে গ্রাহকদেরকে সকল প্রকার সহযোগিতা করছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংকের ১৭৪ টি শাখা ও উপ-শাখায় এ সেবা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছে।
মন্তব্য