স্রোতের বিপরীতে হঠাৎ ছন্দ পতন বিমা খাতের শেয়ারে। রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত ৪৮ বিমা কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ৪৫টিরই।
গত কয়েক মাস ধরে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় থাকা বিমা খাতের শেয়ারের এ দরপতনকে স্বাভাবিক বলতে চান অনেকে। তাদের মতে, মুনফা তুলে নিতে বিনিয়োগকারীদের অনেকে শেয়ার বিক্রি করেছেন। কিন্তু ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি থাকায় দর পড়ে গেছে।
তবে অনেকে মনে করেন বিমা খাতের শেয়ার নিয়ে গণমাধ্যমে কারসাজির খবর প্রকাশ হওয়ায় দাম কমার বড় কারণ।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে বিমা খাতের শেয়ার নিয়ে কারসাজির বিস্তারিত ছাপে। ওই খবরে বলা হয়, মাত্র চার মাসে কোনো কোনো বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম আট গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করে সংঘবদ্ধভাবে এ কারসাজি করা হয়েছে বলে ওই খবরে বলা হয়। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন একজন সরকারি কর্মকর্তা।
শুক্রবার খবরটি প্রকাশের পর থেকেই এ খাতের বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কে ছিলেন। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে তারই প্রতিফল ঘটেছে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট যে কোনো খরবকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। সেটি যদি নেতিবাচক খবর হয়, তাহলে বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়।’
রোববার সর্বোচ্চ প্রায় সাত শতাংশ দাম কমেছে নিটল ইন্সুরেন্সের। এরপরই রয়েছে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের নাম। কমেছে পাঁচ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বেড়েছে কেবল ন্যাশনাল লাইফ, পূর্বাণী জেনারেল ও সান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের।
বিমা খাতের মন্দ দিনে সুবাতাস বয়েছে বস্ত্র খাতে। এ খাতের ৫৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৬টির। কমেছে ১০টির আর অপরিবর্তীত ছিল ১০টির দর।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ১২৬ পয়েন্টে। আর লেনদেন ছাড়িয়েছে হাজার কোটি টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও বন্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪১টির, কমেছে ১৫৩টির আর অপরিবর্তীত ছিল ৬২টির দাম।
আরও পড়ুন:
দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল বিনোদন প্ল্যাটফর্ম বাংলালিংকের টফি এর ব্যবহারকারীদের জন্য সাবস্ক্রিপশন কেনাকে আরও সুবিধাজনক করার লক্ষ্যে নতুন পেমেন্ট অপশন চালু করেছে। এখন থেকে বাংলালিংকের গ্রাহকেরা তাদের মোবাইল ব্যালেন্স দিয়ে সহজেই টফি সাবস্ক্রিপশন কিনতে পারবেন। নতুন এই পদ্ধতি সাবস্ক্রিপশন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও ঝামেলামুক্ত করবে।
নতুন এই ফিচারটি গ্রাহকদের জন্য পুরো প্রক্রিয়াটিকে করেছে আরও সহজ। টফির সকল ব্যবহারকারী লাইভ স্পোর্টস, টেলিভিশনের অনুষ্ঠান, সিনেমা ও এক্সক্লুসিভ কনটেন্টের বিশাল সংগ্রহ সহজেই তাদের মোবাইল ব্যালেন্স দিয়ে কিনে উপভোগ করতে পারবেন।
এ বিষয়ে বাংলালিংকের চিফ ডিজিটাল অফিসার গোলাম কিবরিয়া বলেন, “বাংলালিংকে আমরা ব্যবহারকারীদের জন্য ডিজিটাল বিনোদন আরও সহজলভ্য এবং সুবিধাজনক করে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। মোবাইল ব্যালেন্স দিয়ে সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে এখন টফি ব্যবহারকারীরা মাত্র কয়েকটি ক্লিকেই, যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় প্রিমিয়াম কনটেন্ট উপভোগ করতে পারবেন। এ সুবিধা যে শুধুমাত্র ব্যবহারকারীদের স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধি করবে, তা-ই নয়; পাশাপাশি, এর মাধ্যমে কোটি মানুষ আরও সহজে বিনোদন ও শিক্ষামূলক কনটেন্ট উপভোগ করতে পারবেন। টফি বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজলভ্য ডিজিটাল বিনোদন প্ল্যাটফর্ম; এবং এ পদক্ষেপ ব্যবহারকারীদের জন্য আনন্দ, শিক্ষা ও বিনোদনের সুযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দেশের ডিজিটাল যাত্রার অংশ হিসেবে আমাদের ধারাবাহিক প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।”
বিনোদনের সুযোগ তৈরির বাইরেও, এ উদ্যোগ ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে বাংলালিংকের বিস্তৃত লক্ষ্যের প্রতিফলন। যেকোন সময়, যেকোন জায়গা থেকে মানসম্পন্ন কনটেন্ট উপভোগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে কনটেন্টের গণতান্ত্রায়নের লক্ষ্য নিয়ে টফি ব্যবহারকারীদের শুধুমাত্র বিনোদনই নয়, পাশাপাশি জ্ঞান, তথ্য ও শিক্ষামূলক কনটেন্ট উপভোগেরও সুযোগ তৈরি করছে, যা তাদের প্রতিদিনের জীবনকে সমৃদ্ধ করে তুলতে ভূমিকা রাখছে। বাংলালিংকের এসব উদ্যোগ ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি ব্যক্তি ও কমিউনিটির ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে এবং ডিজিটাল অর্থনীতিতে তাদের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।
তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আর্থিক স্বাক্ষরতা প্রদান এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সোনালী ব্যাংক পিএলসি, স্থানীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও মো. শওকত আলী খান বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের হাতে সনদ ও স্মারক উপহার তুলে দেন। ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্থানীয় কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরবৃন্দ, প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজারবৃন্দ ও স্থানীয় কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন। তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন ও তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
সম্প্রতি ফ্রেশ এলপি গ্যাস-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো রিটেইলার কনফারেন্স ও সেফটি সেমিনার ‘অগ্রযাত্রা’। এ আয়োজনে এলপি গ্যাসের নিরাপদ ও কার্যকর ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবস্থা, ব্যবসা সম্প্রসারণের কৌশল এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কক্সবাজার, রাজশাহী ও রংপুর জেলায় ইতিমধ্যেই এ আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে প্রতিটি সেশনে ১৫০ জনেরও বেশি রিটেইলার সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের আয়োজন বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে রিটেইলাররা নিরাপত্তা বিষয়ে আরও সচেতন হন এবং গ্রাহক পর্যায়ে সেবার মানোন্নয়নে অনুপ্রাণিত হতে পারেন।
ফ্রেশ এলপি গ্যাস-এর চিফ মার্কেটিং অফিসার জনাব আবু সাঈদ রাজা বলেন, “ফ্রেশ এলপি গ্যাস দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে - সঠিক গুণগত মানসম্মত পণ্য সরবরাহের পাশাপাশি, ভোক্তা ও ট্রেড চ্যানেলের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলাই ব্যবসার প্রকৃত ভিত্তি। এ কারণেই রিটেইলারদের সঙ্গে পারস্পরিক বিশ্বাস বৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বকে আরও সুদৃঢ় করতে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই নিরাপদ, টেকসই ও সফল ব্যবসায়িক পথচলা নিশ্চিত হবে।”
উল্লেখ্য, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ফ্রেশ এলপি গ্যাস, আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর ৫ বছরের মধ্যেই সকলের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে। সম্প্রতি সেলস-এর ভিত্তিতে দেশের এলপি গ্যাস ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম শীর্ষে চলে এসেছে ব্র্যান্ডটি। দেশব্যাপী বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং পণ্যের গুণগত মান সুনিশ্চিত করেই এই সাফল্য অর্জন করেছে ফ্রেশ এলপি গ্যাস।
আস্থার বন্ধনে সাফল্যের এই ‘অগ্রযাত্রা’ অব্যাহত থাকবে।
১২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জনতা ব্যাংক পিএলসি’র রাজশাহী বিভাগীয় অর্ধবার্ষিক ব্যবসায়িক শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন রাজশাহীর একটি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক-ইনচার্জ মোঃ জাহাংগীর হোসেন জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিভাগীয় অফিসের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট নির্বাহী এবং শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান ঋণ দেওয়ার আগে গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের মানসিকতা আছে কি-না, তা দেখে ভাল গ্রাহকদের মাঝে ঋণ বিতরণের নির্দেশনা দেন। এছাড়া সংগ্রহকৃত এলাকার আমানত সেখানেই তা বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাস মুখস্থ করে ভালো ফলাফল অর্জন নয়—বরং সৃজনশীল শিক্ষাচর্চায় মেধার বিকাশ ও সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী, আদর্শ মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে পরিচালিত হচ্ছে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। সম্প্রতি প্রকাশিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করে সাউথ পয়েন্ট, বারিধারা। এ বিষয়ে কথা হয় অধ্যক্ষ এয়ার কমডোর (অব.) কাজী আব্দুল মঈনের সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের মুখস্থবিদ্যায় পারদর্শী না করে চিন্তাশীল ও মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছি। বিশেষ করে শিক্ষানুশীলনটাকে যতটা সম্ভব বাস্তবতার নিরিখে চাপমুক্ত ও নান্দনিকভাবে উপস্থাপন করছি, যাতে তারা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনসহ সার্বিকভাবেই ভালো করতে পারে।”
গত ১০ জুলাই প্রকাশিত মাধ্যমিক পরীক্ষা–২০২৫ এর ফলাফল পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বারিধারা ক্যাম্পাসের ১৯৯ জন পরীক্ষার্থীর সকলেই উত্তীর্ণ হয়। তন্মধ্যে ১৪০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ–৫ অর্জনসহ ‘এ’ পেয়েছে ৫৭ জন এবং এ-মাইনাস ২ জন। শুধু ২০২৫-ই নয়, পূর্ববর্তী বছরগুলোতেও বারিধারা ক্যাম্পাসের ফলাফল ছিল ঈর্ষণীয়।
যেমন, গত উচ্চমাধ্যমিকে বারিধারার ১৩৪ জনের মধ্যে ১০০ জন জিপিএ–৫ পায়, বাকিরা সবাই ‘এ’ গ্রেডসহ ৪.৫০-এর ওপরে। অন্যদিকে বিজ্ঞান বিভাগের ৩৬ জন শিক্ষার্থীর সবাই জিপিএ–৫ অর্জন করে। ইংরেজি ভার্সনের বিজ্ঞান বিভাগে ১০৬ জনের মধ্যে ৯৫ জনই জিপিএ–৫ অর্জন করে।
২০০২ সালে রাজধানীর গুলশানে মাত্র ২০০ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ১৮,০০০ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। কর্ণফুলী শিপবিল্ডার্সের কর্ণধার, বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রকৌশলী এম. এ. রশিদের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ভিকারুননিসা নূন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হামিদা আলীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানে বাংলা মাধ্যম, ইংরেজি ভার্সন ও ইংরেজি মাধ্যম—এই তিন মাধ্যমে প্লে গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। রাজধানীর মালিবাগ, বারিধারা, বনানী, মিরপুর, উত্তরা ও শ্যামপুরে মোট ছয়টি ক্যাম্পাসে নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে। বারিধারায় রয়েছে ৪টি সুরম্য ভবন এবং মালিবাগে ৬ বিঘা জমিতে নির্মিত হচ্ছে ১০-তলা আধুনিক ভবন, আর উত্তরায় অধিগৃহীত হয়েছে ৭ বিঘা জমি।
বর্ণাঢ্য ক্যাম্পাস বারিধারায় প্রবেশমুখেই চোখে পড়ে চলন্ত সিঁড়ি ও একাধিক লিফট। বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায়ও সচল রাখতে রয়েছে শক্তিশালী জেনারেটর। এ ছাড়াও রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাংগুয়েজ ল্যাব ও আইসিটি ল্যাব, হাই-স্পিড ইন্টারনেট, আধুনিক লাইব্রেরি, বিজ্ঞানাগার, স্বাস্থ্যসম্মত ক্যান্টিন এবং সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্মার্ট ক্লাসরুম। পাঠ্যবইয়ের ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির কাজও চলমান। শিক্ষার্থীদের চিন্তাশীল করে তুলতে ‘ব্রেইনস্টর্মিং’ প্রশ্নের মাধ্যমে পাঠদান ও মূল্যায়ন করা হয়।
বারিধারায় আন্তর্জাতিক ইংরেজি মাধ্যমও চালু হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হওয়া এই মাধ্যম ইতোমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্লে গ্রুপ থেকে স্ট্যান্ডার্ড ফাইভ পর্যন্ত ক্লাস চালু করে প্রথম কোয়ার্টারেই শিক্ষার্থী সংখ্যা হয়েছে ১২০ জন। ক্যামব্রিজ কারিকুলাম অনুসরণে পরিচালিত এই মাধ্যমে অভিজ্ঞ শিক্ষক কর্তৃক পাঠদান করা হয়। পর্যায়ক্রমে এখানে ‘O and A’ Level চালু করা হবে এবং ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যামব্রিজ চেকপয়েন্ট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবে।
শুধু পড়ালেখা নয়, সহশিক্ষা কার্যক্রমেও এগিয়ে তারা। এই ক্যাম্পাসের এক শিক্ষার্থী Aloha ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন্স ব্রেন ডেভেলপমেন্ট প্রতিযোগিতা ২০২৫ এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ফলে এই শাখা ইতোমধ্যেই অভিভাবকদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
ধারাবাহিক সম্মিলিত সাফল্য: প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রায় প্রতি বছরই সম্মিলিত পাশের হার শতভাগ এবং প্রতি বছরই জিপিএ–৫ অর্জনের হার ৮০–৯০ শতাংশের মধ্যে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতিসহ উচ্চমাধ্যমিকে ৯ম স্থান অর্জনসহ জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায়ও গুলশান থানায় শীর্ষস্থান অর্জন করে সাউথ পয়েন্ট। তন্মধ্যে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে ১৮ জন শিক্ষার্থী। এবং এসএসসি বৃত্তি ২০২৫ এ ও সাউথ পয়েন্ট, বারিধারার ০৫ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়।
শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা, বিতর্ক, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিকসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতায়ও ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। রয়েছে স্পোর্টস ক্লাব, সায়েন্স ক্লাব, ডিবেট ক্লাব ও কালচারাল ফোরাম। তাই অভিভাবকদের আস্থা অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি যে সৃজনশীল শিক্ষার আলোকবর্তিকা হয়ে এগিয়ে চলেছে—এটা নির্দ্বিধায় বলা চলে
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এ ‘ন্যাশনাল ল ফেস্ট ২০২৫ (চ্যাপ্টার- ওও)’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে স্বাধীনতা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল বিইউপি ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমে পারদর্শিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইনচর্চা, নীতিনির্ধারণ, পাবলিক স্পিকিং এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্ক উন্নয়ন করা।
উৎসবে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী ও ৫০ জন বিশিষ্ট বিচারক অংশগ্রহণ করেন। এ প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা বিতর্ক, অ্যাডভোকেসি প্রেজেন্টেশন এবং প্যানেল আলোচনা সহ ২৪টিরও বেশি সেশনে যোগদান করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান। তিনি তরুণদের মেধা বিকাশ এবং ব্যবহারিক আইনজ্ঞান বৃদ্ধির মাধ্যমে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সহযোগিতা জোরদারে এ ধরনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল মোঃ মাহ্বুব-উল আলম, বিএসপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল, পিএইচডি তাঁর বক্তব্যে জাতীয় ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভবিষ্যৎ আইনজীবীদের প্রস্তুত করতে এ ধরনের প্ল্যাটফর্মের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ভাগে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয় এবং তাদের বিশ্লেষণী দক্ষতা ও আইনগত যুক্তিবোধকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিইউপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সারাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)-এর সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সক্ষমতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
গত ২৫ থেকে ২৭ আগস্ট ২০২৫ নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই তিন দিনব্যাপী চলা কর্মসূচিতে অংশ নেন ৩৫ জন সম্ভাবনাময় নারী উদ্যোক্তা। এই আয়োজনে নারী উদ্যোক্তাদের নিবিড় প্রশিক্ষণ, পরামর্শদান ও নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে তাঁদের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও বাজারে প্রবেশের সুযোগ দানের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য নারীদের ‘উদ্যোক্তা স্বপ্ন’ পূরণেও উদ্বুদ্ধ করা হয়।
গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় পরিচালিত ব্র্যাক ব্যাংকের সিগনেচার উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি ‘আমরাই তারা’-এর অংশ হিসেবে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এই সক্ষমতা উন্নয়ন কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো নারীদের জন্য অর্থায়ন, পরামর্শ ও দক্ষতা উন্নয়ন সুবিধা সহজলভ্য করার মাধ্যমে তাঁদের ব্যবসায়িক জ্ঞান বৃদ্ধি ও ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা শক্তিশালী করার পাশাপাশি তাঁদের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা।
প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক টিমের পরিচালনায় অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তাদের ই-কমার্স, এফ-কমার্স ও অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম-বিষয়ক প্রয়োজনীয় ডিজিটাল জ্ঞানসংক্রান্ত দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
এই কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সভাপতি মুনীর হাসান, ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব স্মল বিজনেস (সেন্ট্রাল) অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটর ফাইন্যান্স আলমগীর হোসেন এবং হেড অব উইমেন অন্ট্রাপ্রেনর সেল খাদিজা মরিয়ম।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে দেশের নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে ব্র্যাক ব্যাংকের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
দেশের এসএমই এবং নারী উদ্যোক্তাদের পূর্ণাঙ্গ আর্থিক অংশীদার হিসেবে সহজ অর্থায়ন, সক্ষমতা উন্নয়ন এবং ডিজিটাল টুলসের মাধ্যমে সফল ব্যবসা গড়ে তোলা ও জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ৯৭টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক
মন্তব্য