× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ দূরদর্শী সিদ্ধান্তে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার
google_news print-icon

‘প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ, দূরদর্শী সিদ্ধান্তে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার’

প্রধানমন্ত্রীর-সুদক্ষ-দূরদর্শী-সিদ্ধান্তে-ঘুরে-দাঁড়িয়েছে-পুঁজিবাজার
কোভিড-১৯-এর কারণে বাজার যখন তলানিতে চলে যাচ্ছিল, তখন ১৯ মার্চ ২০২০ তারিখে প্রত্যেক শেয়ারে একটি যৌক্তিক ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দিয়েছিল, যা ছিল একবারে ঐতিহাসিক। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীর শেয়ারের দাম একটি নির্দিষ্ট প্রাইসের নিচে ট্রেড হবে না। অনেকে আমরা ফ্লোর প্রাইস নিয়ে অনেক কথা বলেছি। কিন্তু আজ প্রমাণ হয়, ওইটা ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, যা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সর্বনিম্ন দামে শেয়ার বিক্রি থেকে রক্ষা করেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন সময়ে বাস্তব সিদ্ধান্তের কারণে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করার আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারে পজিটিভ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

জানুয়ারি ১৬, ২০২০ তারিখে পুঁজিবাজারে যখন লেনদেন তলানিতে চলে যাচ্ছিল, বিনিয়োগকারীরা যখন হতাশায় ভুগছিল, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং আইসিবি যখন বিনিয়োগে সক্ষমতা হারিয়ে ফেলছিল, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উচ্চ পর্যায়ের পলিসি মেকারদের সাথে একটি সভা করেন। উক্ত সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছয়টি short-term ও long-term measures পুঁজিবাজারে প্রয়োগ করার নির্দেশ প্রদান করেন। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো

- পুঁজিবাজারে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বাড়িয়ে সক্ষমতা বাড়ানো;

- মার্চেন্ট ব্যাংক ও ইনস্টিটিউশনদের জন্য সহজ ক্রেডিট সুবিধা;

- রাষ্ট্র ও মালিকানাধীন আইসিবির বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানো;

- স্টক মার্কেটে কনফিডেন্স আনার পদক্ষেপ নেয়া;

- ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টমেন্ট বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া এবং

- আইপিওর মাধ্যমে ভালো মৌলভিত্তিক কোম্পানি, বহুজাতিক সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করা।

ইতিমধ্যেই প্রত্যেক ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং যা দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদে ডিভিডেন্ড দেয়ার ব্যাপারে যুগান্তকারী আইন পাস করেছে, অর্থাৎ কোম্পানির Retained Earnings থেকে একটি অংশ ডিভিডেন্ড অবশ্যই দিতে হবে এবং ডিভিডেন্ড হিসেবে ক্যাশ যা দেবে, তার ৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিতে পারবে।

গত ১০ বছর যদি আমরা দেখি প্রায় সকল কোম্পানি শুধু বোনাস শেয়ার দিতে উৎসাহিত ছিল। এতে করে স্পন্সর/ডিরেক্টর/প্রমোটাররা লাভবান হতো আর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতো সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

কোভিড-১৯-এর কারণে বাজার যখন তলানিতে চলে যাচ্ছিল, তখন ১৯ মার্চ ২০২০ তারিখে প্রত্যেক শেয়ারে একটি যৌক্তিক ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দিয়েছিল, যা ছিল একবারে ঐতিহাসিক। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীর শেয়ারের দাম একটি নির্দিষ্ট প্রাইসের নিচে ট্রেড হবে না।

অনেকে আমরা ফ্লোর প্রাইস নিয়ে অনেক কথা বলেছি। কিন্তু আজ প্রমাণ হয়, ওইটা ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, যা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সর্বনিম্ন দামে শেয়ার বিক্রি থেকে রক্ষা করেছে।

কোভিড-১৯-এর কারণে অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে বর্তমান সরকার বাজেটে যে সুযোগ দিয়েছে, তা আরও ঐতিহাসিক এবং যুগান্তকারী। সুদের হার ছয়-নয় নির্ধারণ করা, কালো টাকা সাদা করার সহজ সুবিধা যা পুঁজিবাজারের তারল্যের জন্য অত্যন্ত সহজ করে দিয়েছে, তাতে করে বাজারে টাকা ঢুকতে শুরু করেছে, যা পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট দূর করতে বড় ধরনের সহায়তা করছে।

বন্ড মার্কেটকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করার জন্য Up-Front এ ট্যাক্স কর্তনের প্রভিশনটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। পুঁজিবাজারে লেনদেনের ওপর আরোপিত ট্যাক্স বিনিয়োগকারীর স্বার্থে বিলুপ্ত করা হয়েছে। জিরো কুপন বন্ডের আয়কে করমুক্ত করা হয়েছে। বন্ড মার্কেট নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ শুরু হয়েছে এবং খুব শিগগিরই এর সুফল দেশব্যাপী পেতে শুরু করবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃক প্রস্তাবিত টাকা ১০০০ কোটি মিউনিসিপ্যাল বন্ডের একটি বড় উদাহরণ।

বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং সরকার পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা/জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই ব্যবস্থার সাথে জড়িত সকল লিস্টেড কোম্পানি, ব্রোকার, স্টক এক্সচেঞ্জ ডিলার, ইস্যুয়ার, মার্চেন্ট ব্যাংকার, অডিটর, অ্যাসেট ম্যানেজার, অ্যাসেট ভ্যালুয়েশন কোম্পানিসহ সকলকে সঠিক আইন মেনে ব্যবসা করার স্বার্থে নির্দেশ প্রদান করেছে।

কোনো প্রকার অনিয়ম বা প্রতারণা করা চলবে না। যেমন: স্পন্সর/ডিরেক্টর/প্রমোটার সবাইকে (একক ও সম্মিলিতভাবে) ২% থেকে ৩০% শেয়ার ধারণ করতে হবে। পুঁজিবাজারের জন্য এটা খুব ভালো দিক যে, ইতিমধ্যেই ভালো মৌলভিত্তিক অনেক কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠনের মাধ্যমে ২% থেকে ৩০% শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা পরিপালন করেছে।

আমি মনে করি যেসব কোম্পানি ২% থেকে ৩০% শেয়ার ধারণ প্রতিপালনের জন্য সময় চেয়েছে, তাদের তা প্রদান করা যেতে পারে। যারা এ বিষয়ে এখনও সম্পূর্ণ উদাসীন, তাদের পর্ষদ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা উচিত।

কোম্পানিগুলোতে ইন্ডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ। যোগ্য ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ইন্ডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর নিয়োগ দিতে হবে যারা নিজ স্বার্থের বাইরে শেয়ারহোল্ডার ও বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষা করবে। তারা স্পন্সর ডিরেক্টরদের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকবে।

সরকার পুঁজিবাজারে সুশাসনে প্রচণ্ড গুরুত্বারোপ করেছেন। এরই অংশ হিসেবে সুশাসন প্রতিষ্ঠার Z-Category কোম্পানির মানদণ্ড ঢেলে সাজানো হয়েছে। কোম্পানির যারা নিয়মিত এজিএম করে না, ডিভিডেন্ড দেয় না, পুঞ্জীভূত লোকসান পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে বেশি ইত্যাদি।

Z-Category Settlement Period change করা হয়েছে। স্পন্সর/ডিরেক্টর/প্রমোটারদের Block Module এ রাখা হয়েছে। Dutch-Action Method চালু করা হয়েছে বুক বিল্ডিং পদ্ধতির ক্ষেত্রে। লক-ইন পিরিয়ড শুরু হয় প্রথম লেনদেনের তারিখের ওপর ভিত্তি করে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা পুঁজিবাজার নিয়ে ১০ বছর আগে তার দূরদর্শী বক্তব্যে বলেছিলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ আসবে পুঁজিবাজার থেকে। ব্যাংক শুধু দেবে স্টার্ট আপ/ ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল। এর জন্য ভালো ভালো সরকারি শেয়ার পর্যায়ক্রমে ক্যাপিটাল মার্কেটে ছেড়ে বিনিয়োগকারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। কিন্তু আমাদের যারা এটা বাস্তবায়ন করবেন, তারা সে সময় বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক, মিনিস্ট্রি অব ফাইন্যান্স/ ইন্ডাস্ট্রিয়াল মিনিস্ট্রি/ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, স্টক এক্সচেঞ্জেসহ অন্যরা সে রকম কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি, যার ফলে ব্যাংক থেকে সব শিল্পপতি লোন নিতে পছন্দ করেন, কারণ সেখানে কোনো জবাবদিহিতা নাই।

এই কারণে বিগত ১০ বছরে ব্যাংক প্রদত্ত বিপুল পরিমাণ লোন, Non-Performing Loan-এ পরিণত হয়েছে, যা অর্থনীতিতে ঋণখেলাপির একটি কালচার তৈরি করেছে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বিএসইসি গত ১০ বছরে অনেক আইন সংশোধন করেছে, রুলস তৈরি করেছে, আবার নিজেদের মতো আইন/রুলস বানিয়েছে যা পৃথিবীর কোনো দেশের কোনো এক্সচেঞ্জে প্রযোজ্য নয়। পুঁজিবাজার চলবে কঠোর নিয়ম-কানুনের মাধ্যমে। সুবিধামতো বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করা ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। ইনডেক্সকে নিয়ন্ত্রণ করাও ছিল একটি মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্ত। বাজার চলবে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও তথ্যের অবাধ প্রবাহের মাধ্যমে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে এই বাজারকে ভালো করার সকল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এর প্রয়োগও শুরু হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা কখন কোন শেয়ার কিনবে, কেন কিনবেন, কোন দামে কিনবেন, এসব তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। কিন্তু তারা চায় Circular Trade, Insider trade ও মার্কেট ম্যানিপুলেশন যাতে বন্ধ হয়, বিভিন্ন লিস্টেড সিকিউরিটিজের Earnings Per Share, Price Earnings Ratio, Net Asset Value, Companies Growth, Reserve, Business Expansion এর তথ্য যেন ঠিক থাকে।

সরকারের পলিসি হচ্ছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ পার্টিসিপেশন বাড়ানো। সেই জন্য ব্যাংক, নন-ব্যাংকিং ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা দেয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ডিপোজিটের সুদের হার কম হওয়ায় বাজার যদি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে থাকে তাহলে অবশ্যই পুঁজিবাজার হবে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার টাকার প্রধান উৎস এবং ব্যাংক থেকে টাকা নেয়ার চাপও কমে যাবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিভিডেন্ড পলিসির কারণে সকলে এর সুফল পেতে শুরু করেছে। প্রতিটি ভালো লিস্টেড কোম্পানি ভালো ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়া শুরু করছে এবং এই বছরে কোভিড-১৯ সত্ত্বেও আমরা দেখতে পাচ্ছি বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান ভালো মুনাফা করেছে। তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর ৯ মাসের মুনাফা এর ভালো উদাহরণ।

আমার বক্তব্য হলো এখন আমরা যারা পুঁজিবাজারের সাথে জড়িত, যেমন: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, বাংলাদেশ ব্যাংক, মিনিস্ট্রি অব ফাইন্যান্স, লিস্টেড কোম্পানি, ট্রেক হোল্ডার, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সবাই যার যে দায়িত্ব আছে, তা যদি সঠিকভাবে পালন করি, তাহলে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার অনেক দূর যাবে এবং অর্থনীতিতে ভালো অবদান রাখবে।

আমরা যেন ইমোশন দিয়ে না চলি, আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন মেনে চলি, বাজারে যার যার অবস্থান থেকে সঠিক কাজগুলো করি। এখানে ব্যর্থতার সুযোগ নাই।

যার যার দায়িত্বের জবাব তাকেই দিতে হবে। তিনি যদি নেতৃত্বে থাকেন তাহলে ইমোশন থেকে বের হয়ে কাজ করতে হবে।

বন্ড মার্কেট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এসএমই মার্কেট, এটিবি বোর্ডকে effective করতে হবে। নতুন নতুন প্রোডাক্ট যেমন Sukuk, ETF চালু করতে হবে। আমরা যেন একক সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ না করি, যে যেখানে দায়িত্বে আছি, নিয়ম মেনে কাজটা করি। কারও ব্যর্থতার দায় কেউ নেবে না। আমাদের সেটা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। দিনের শেষে সবাইকে তার কাজের জবাবদিহিতা করতে হবে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সে যত প্রভাবশালী হোক।

আসুন আমরা যার যার অবস্থান থেকে পুঁজিবাজারকে গতিশীল করি, সবাই মিলে বিনিয়োগকারীদের সঞ্চিত টাকার একটি অংশ পুঁজিবাজারে আনার পথ করে দেই, যাতে করে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে; অনেক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয় এবং সর্বোপরি দেশ অনেক এগিয়ে যায়। অন্তত আগামী ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ইনশাআল্লাহ বাজার মূলধন জিডিপি অনুপাত বর্তমান ১৪ শতাংশ থেকে অন্তত ৪০ শতাংশে উন্নীত হয়।

লেখক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক

আরও পড়ুন:
ফোর্বস খুলল ফরচুন সুজের ভাগ্য
বাজার মূলধনে যোগ দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকা
পুঁজিবাজার: প্রলোভন দেখানো গ্রুপ পেইজে নজরদারি
পুঁজিবাজারের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকা মিলবে কি
গ্ল্যাক্সো নয় ইউনিলিভার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Starting with a coffee shop Manjurul now owns 21 restaurants

কফি শপ দিয়ে শুরু করা মনজুরুল এখন ২১ রেস্তোরাঁর মালিক

কফি শপ দিয়ে শুরু করা মনজুরুল এখন ২১ রেস্তোরাঁর মালিক বারকোড গ্রুপের কর্ণধার মনজুরুল হক। ছবি: নিউজবাংলা
বর্তমানে মনজুরুলের মালিকানাধীন রেস্তোরাঁর সংখ্যা ২১টি, যার মধ্যে ১৫টি চট্টগ্রামে, পাঁচটি ঢাকায় এবং একটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)। তার মালিকানাধীন রেস্তোরাঁগুলোতে কাজ করছেন চার শতাধিক কর্মী।

চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বারকোড গ্রুপের কর্ণধার মনজুরুল হক। বাবা নুরুল হকের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সে সময় নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার পাশাপাশি নতুন কিছু করার তাগিদে কফি শপ শুরু করেন, যার নাম দেন ‘বারকোড’।

এ শপের সফলতার পর মনজুরুল সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রামের মুরাদপুরে আরেকটি রেস্তোরাঁ খোলার। নতুন রেস্তোরাঁটির নাম দিতে চেয়েছিলেন ‘বারকোড সি-ফুড’। প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে রেস্তোরাঁটির সজ্জা সম্পন্ন করেছিলেন। এর উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ।

বিধিবাম ছিল মনজুরুলের। উদ্বোধনের এক রাত আগে ২২ মার্চ রাতে ভয়াবহ আগুনে রেস্তোরাঁটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

ওই দুর্ঘটনায় মানসিকভাবে প্রচণ্ড আহত হলেও মনোবল নষ্ট হতে দেননি মনজুরুল। তিনি ফের রেস্তোরাঁ চালুর সিদ্ধান্ত নেন। রেস্তোরাঁর নতুন নাম দেন ‘বারকোড অন ফায়ার’।

বর্তমানে মনজুরুলের মালিকানাধীন রেস্তোরাঁর সংখ্যা ২১টি, যার মধ্যে ১৫টি চট্টগ্রামে, পাঁচটি ঢাকায় এবং একটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)। তার মালিকানাধীন রেস্তোরাঁগুলোতে কাজ করছেন চার শতাধিক কর্মী।

মনজুরুলের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইউএইতে। পড়াশোনা সিঙ্গাপুরের থেমস বিজনেস স্কুল থেকে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Letter from Indian traders asking for hilsa

ইলিশ চেয়ে ভারতের ব্যবসায়ীদের চিঠি

ইলিশ চেয়ে ভারতের ব্যবসায়ীদের চিঠি ফাইল ছবি।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ভারতে বাংলাদেশের ইলিশ আসতে থাকে। তবে এবার তাতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ইলিশ রপ্তানির জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আবেদন জানিয়েছে ফিশ ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন।

বাংলাদেশের কাছে ইলিশ চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিয়েছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা। বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ভারতে বাংলাদেশের ইলিশ আসতে থাকে। তবে এবার তাতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় ফিশ ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন ইলিশ রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পদ্মার ইলিশ এপারে এলে খুশি হন মৎস্য ব্যবসায়ীরাও। কারণ এই ইলিশ বিক্রি করে তাদের অনেকটাই লাভ হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টিতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমস আরও জানিয়েছে, গত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ আমদানি হয়েছে। এবারও সেই রীতি মেনে ভারতে ইলিশ পাঠানোর জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে আবেদন করেছে ফিশ ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ত্রিপুরা এবং আসামেও বাংলাদেশের ইলিশ রপ্তানি হয়ে এসেছে। বছর ভর এপার বাংলার মানুষ বাংলাদেশের ইলিশের জন্য মুখিয়ে থাকেন। আর বাংলাদেশের ইলিশ হলে তাদের পূজার আয়োজন একেবারে জমে যায়। গত বছরও এক হাজার ৩০০ টন ইলিশ গেছে বাংলাদেশ থেকে। তবে এবার কতটা ইলিশ আসবে, এমনকি আদৌ আসবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

আরও পড়ুন:
ইলিশ রপ্তানি বন্ধ, ভারতে বাড়ছে দাম
বছরে ইলিশ উৎপাদন প্রায় ৬ লাখ টন
সাগরে এক জালেই ১৩০ মণ ইলিশ: যা বলছেন বিশেষজ্ঞ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The interim government will continue the universal pension scheme

সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখবে অন্তর্বর্তী সরকার

সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখবে অন্তর্বর্তী সরকার
সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বৈঠকে সর্বজনীন পেনশনের চারটি স্কিম সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। তিনি এগুলো চালু রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নতুন কোনো স্কিম ঘোষণা না করি, এই স্কিমগুলো যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে।’

বিকল্প নতুন কোনো পদ্ধতি চালু না হওয়া পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, সোমবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠক করেন। বৈঠকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সার্বিক বিষয় ও চলমান কার্যক্রম অর্থ উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করা হয়। উপদেষ্টার সম্মতিতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম যেভাবে চলছে, সেভাবেই চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সোমবার একটি বৈঠক করেছেন। এ সময় স্কিম সম্পর্কে উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। স্কিমটি যেভাবে চালু আছে সেভাবেই চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বার্তা সংস্থাটিকে বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন বিষয়ে আমরা সামনের দিকে কী করব, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমাদের যে চারটি স্কিম রয়েছে সেগুলো এবং সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। এখন পর্যন্ত আমরা কী করেছি সে সম্পর্কে তাকে অবহিত করেছি। তার আলোকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।’

তিনি আরও বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশনের কার্যক্রম আমরা অব্যাহত রাখব। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নতুন কোনো স্কিম ঘোষণা না করি, এই স্কিমগুলো যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে।’

পেনশন স্কিমের চাঁদা বিনিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ১১৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। সম্পূর্ণই সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।’

দেশের সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়।

গত বছরের ১৭ আগস্ট সাবেক প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন। প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা- প্রাথমিকভাবে এই চারটি স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন চালু হয়। পরে সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামে নতুন স্কিম চালুর ঘোষণা দেয়া হয়।

গত ১ জুলাই থেকে এই স্কিম কার্যকর হয়। তবে শিক্ষকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিল করা হয়। সে হিসেবে বর্তমানে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা এই চারটি স্কিম চালু রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে চাঁদা পরিশোধ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন তিন লাখ ৭২ হাজার ৯৪ জন। আর তাদের জমা দেয়া চাঁদার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২৩ কোটি ৫৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১১৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

এদিকে পেনশন স্কিমে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন দরিদ্ররা, যাদের বার্ষিক আয় সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা। এই আয়ের মানুষদের জন্য চালু করা হয়েছে সমতা স্কিম। এই স্কিমের মাসিক চাঁদার পরিমাণ এক হাজার টাকা। এর মধ্যে ৫০০ টাকা স্কিম গ্রহণকারী দেবেন এবং বাকি ৫০০ টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত এই স্কিমে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দু’লাখ ৮৫ হাজার জন। আর জমা পড়া চাঁদার পরিমাণ ৪০ কোটি ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সম্পন্নকারীদের ৭৭ শতাংশই দরিদ্র মানুষ।

অর্থ মন্ত্রণালয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পেনশন স্কিমে নিবন্ধন কাজের গতি অনেকটাই কমে গেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হলে এবং সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে যখন প্রচারণা চালাবে তখন গতি আবার আগের পর্যায়ে চলে আসবে। নিবন্ধনের হারও অনেক বাড়বে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
14 thousand kg of imported eggs came from India

ভারত থেকে এলো আমদানির ১৪ হাজার কেজি ডিম

ভারত থেকে এলো আমদানির ১৪ হাজার কেজি ডিম ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ডিমের চালান। ছবি: নিউজবাংলা
জানা গেছে, আমদানি করা এসব ডিমের ইনভয়েস মূল্য ১১ হাজার ২৭২ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের মূল্য দশমিক ৫৬ ডলার। এ ছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ ১ টাকা ৬৬ পয়সা যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৭ টাকার মতো।

দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রোধে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এসেছে ১৩ হাজার ৯১০ কেজি মুরগির ডিম।

এর আগে প্রথম ৬১ হাজার ৯৫০টি মুরগির ডিম আমদানি করা হয় গত বছরের ৫ নভেম্বর।

বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরীক্ষণ শেষ করে ডিমগুলো যত দ্রুত সম্ভব ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

জানা গেছে, আমদানি করা এসব ডিমের ইনভয়েস মূল্য ১১ হাজার ২৭২ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের মূল্য দশমিক ৫৬ ডলার। সে অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫ টাকা। এ ছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ ১ টাকা ৬৬ পয়সা যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৭ টাকার মতো।

ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলুশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই চালানে ১৩ হাজার ৯১০ কেজি ডিম আমদানি করেছে। এসব ডিম রপ্তানি করেছে ভারতের শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি ছাড়করণের জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কাগজপত্র দাখিল করেছে সিএন্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।

বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল ডিমের পরীক্ষণ সম্পর্কে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের কাগজপত্র পেয়েছি। এখানে ডিম পরীক্ষার কোনো যন্ত্রপাতি নেই। ভারতীয় সার্টিফিকেটের ওপর ভিত্তি করে এখান থেকে ডিমের ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে। তাছাড়া দৃশ্যমান কোনো সমস্যা থাকলে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।’

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার অথেলো চৌধুরী বলেন, ‘ডিমের চালানটি রোববার সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। ডিম আমদানির ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমসের ভ্যাট-ট্যাক্স রয়েছে। সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের পর পরীক্ষণ করা হবে। এরপর ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Chittagong Chamber administrator is Anwar Pasha

চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক হলেন আনোয়ার পাশা

চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক হলেন আনোয়ার পাশা মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। ছবি: সংগৃহীত
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়েছে, নিয়োগকৃত প্রশাসক চার মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশাকে চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে।

সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক- বাণিজ্য সংগঠন) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, নিয়োগকৃত প্রশাসক চার মাসের (একশত বিশদিন) মধ্যে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে তা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতিরও পদত্যাগ, ভেঙে গেছে পর্ষদ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
When one group of extortionists goes another group comes financial advisors

চাঁদাবাজের এক দল গেলে আরেক দল আসে: অর্থ উপদেষ্টা

চাঁদাবাজের এক দল গেলে আরেক দল আসে: অর্থ উপদেষ্টা অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ফাইল ছবি
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘চাঁদাবাজি মোকাবিলা করা কেবল অর্থনৈতিক বা বাণিজ্য সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নয়, এর সঙ্গে রাজনৈতিক মূল্যায়ন এবং সামাজিক মূল্যবোধও জড়িত। এই সমস্যাটি পুরোপুরি সমাধান করতে কিছুটা সময় লাগবে।’

মূল্যস্ফীতি কমানোর বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে সরকারের এই উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। সূত্র: ইউএনবি

অর্থনীতিতে চাঁদাবাজির প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বার বার আহ্বান জানিয়েছি। এ বিষয়ে কখনোই নেতিবাচক অবস্থান নিইনি এবং অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘চাঁদাবাজি মোকাবিলা করা কেবল অর্থনৈতিক বা বাণিজ্য সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নয়, এর সঙ্গে রাজনৈতিক মূল্যায়ন এবং সামাজিক মূল্যবোধও জড়িত। যখন এক দল বেরিয়ে যায়, তখন অন্য দল অনিবার্যভাবে ওই শূন্যস্থানে চলে আসে। এই সমস্যাটি পুরোপুরি সমাধান করতে কিছুটা সময় লাগবে।’

আগস্টে দেশে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি আশা ব্যক্ত করেন, মূল্যস্ফীতির প্রবণতা নিম্নমুখী হওয়ায় জনগণের কাছে এই বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে।

‘মুদ্রাস্ফীতি পরিচালনা করা কেবল সরবরাহ বাড়ানোর চেয়ে আরও বেশি কিছু প্রয়োজন। এটি বিভিন্ন সম্পর্কিত কারণগুলো তুলে ধরার সঙ্গে জড়িত।

ড. সালেহউদ্দিন আশ্বস্ত করে বলেন, ঘাটতি রোধে সয়াবিন তেল ও রাইস ব্র্যান অয়েলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

‘খুচরা দামও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমার অবস্থান হলো, ভোক্তাদের ওপর বাড়তি বোঝা চাপানো উচিত নয়।’

দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে কঠোরভাবে বাজার তদারকি করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেন ড. সালেহউদ্দিন।

সরকারের পদক্ষেপের সুষ্ঠু মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম রাতারাতি কমবে না।’

অতীতের মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা তুলে ধরে ড. সালেহউদ্দিন পূর্ববর্তী প্রশাসনের দায়িত্বজ্ঞানহীন অর্থ মুদ্রণের সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, ওই সিদ্ধান্তের কারণে মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে।

ইউএনডিপির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ইউএনডিপি চলমান প্রকল্পগুলোতে শুধু সহযোগিতাই অব্যাহত রাখছে না, বরং নতুন নতুন উদ্যোগেরও প্রস্তাব দিচ্ছে। ইউএনডিপি সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টা, বিশেষ করে সবুজ প্রযুক্তি খাতে সমর্থন এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের উত্তরণে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন:
রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা আরও দৃশ্যমান হবে: অর্থ উপদেষ্টা
হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত সহজে নেয়া যাবে না: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশে চলমান সব প্রকল্প অব্যাহত রাখবে জাপান: অর্থ উপদেষ্টা
দেশের অর্থনীতির গতি থেমে যায়নি, মন্থর হয়ে আছে: অর্থ উপদেষ্টা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Looting in three factories in Ashulia 50 declared holiday
শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা

আশুলিয়ায় তিন কারখানায় লুটপাট, ৫০টিতে ছুটি ঘোষণা

আশুলিয়ায় তিন কারখানায় লুটপাট, ৫০টিতে ছুটি ঘোষণা ছবি: সংগৃহীত
বিক্ষোভ, ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনায় শিল্পাঞ্চলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগে ১১ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল দিচ্ছেন সেনা, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।

রাজধানীর অদূরে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে সোমবারও বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। অন্যদিকে আলিফ ভিলেজ লিমিটেড গ্রুপের তিনটি তৈরি পোশাক কারখানায় ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পরে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কমপক্ষে ৫০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।

ইউএনবি জানায়- বিক্ষোভ, ভাংচুর, লুটপাটের এ ঘটনায় শিল্পাঞ্চলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগে ১১ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল দিচ্ছেন সেনা, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।

হামলা-ভাঙচুরের শিকার তৈরি পোশাক কারখানাগুলো হলো- আশুলিয়া ইউনিয়নের টঙ্গাবাড়ি এলাকার আলিফ ভিলেজ লিমিটেডের আলিফ এমব্রয়ডারি ভিলেজ লিমিটেড, লাম মিম অ্যাপারেলন্স লিমিটেড ও লাম মিম অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড।

আলিফ ভিলেজ লিমিটেড গ্রুপের আশুলিয়া জোনের ম্যানেজার মো. রেফাই সিদ্দিক বলেন, ‘আজ (সোমবার) সকাল থেকেই কারখানায় প্রায় এক হাজার ৫০০ শ্রমিক কাজ করছিলেন। কিছু সময় পর মাস্ক পরা দুশ’ থেকে তিনশ’ লোক হঠাৎ করে তিনটি কারখানায় একযোগে হামলা করে। তারা কারখানাগুলোর মূল গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।’

তিনি বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা কারখানার ডিজিটাল মেশিন, কম্পিউটার, ফায়ার কন্ট্রোল প্যানেল, বিদ্যুতের সাব-স্টেশন, মেডিক্যাল সরঞ্জামাদি, সিসি টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, গার্ডেনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর করে। এছাড়াও কারখানা থেকে মূল্যবান পোশাক, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেল ও মেশিন লুট করে নিয়ে যায়।’

কারখানার ডিজিটাল মেশিনগুলো ভেঙে ফেলায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান রেফাই সিদ্দিক।

তিনি আরও বলেন, ‘ভাঙচুরে বাধা দেয়ায় কারখানার নিরাপত্তাকর্মীসহ ২০ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে হামলাকারী দুর্বৃত্তরা।’

অন্যদিকে হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল বাড়ানো, বকেয়া বেতনসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন তৈরি পোশাক কারখানা ইউফোরিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকরা।

আরও পড়ুন:
আশুলিয়ায় আবারও ৩০ পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা
বহিরাগত আন্দোলনকারীদের বাধায় ৪৫ পোশাক কারখানা বন্ধ
নিরাপত্তার আশ্বাসে সব পোশাক কারখানা খুলছে বৃহস্পতিবার
শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতার চেষ্টা রোধে রাত থেকে যৌথ অভিযান

মন্তব্য

p
উপরে