× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
দেশ আগের চেহারায় ফিরবে ২০২২ সালে
google_news print-icon

দেশ আগের চেহারায় ফিরবে ২০২২ সালে

দেশ-আগের-চেহারায়-ফিরবে-২০২২-সালে
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর
ছোট পরিসরে আরেকটি প্রণোদনা প্যাকেজ নেয়া যেতে পারে। বিশেষ করে রফতানি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের জন্য। জিডিপি‌র বিবেচনায় কৃষির পরেই এসএমই হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় খাত। কাজেই, এ খাতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ জন্য বাড়াতে হবে ঋণ। 

করোনা পরিস্থিতিতে কেমন আছে দেশের অর্থনীতি, বৈশ্বিক মন্দার মধ্যে কোন ধরনের চ্যালেঞ্জ দেশের সামনে- এসব নিয়ে বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা–পিআরআই ও আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা এবং ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর মনে করেন করোনাকে ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ২০২২ সালের মধ্যে আগের চেহারায় ফিরবে বাংলাদেশের অর্থনীতি।

বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিট্যান্স, খেলাপিঋণ, ব্যাংক খাত, রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আবু কাওসার।

করোনার সময়ে দেশের অর্থনীতি সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?

করোনার প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারলেও আগের অবস্থায় এখনও ফেরেনি। এত দ্রুত সম্ভব নয়। কারণ, করোনা স‌ংক্রমণ দেশে ও বহির্বিশ্বে ফের বাড়ছে। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা গেছে। করোনা স্থায়ী হলে এর প্রভাব আরও বেশি সময় চলবে। আমি মনে করি, ২০২২ সালের প্রথম দিকে দেশের অর্থনীতি আগের চেহারায় ফিরবে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর গতি ফের শ্লথ হয়ে গেছে। আপনি কী মনে করেন?

বিশ্বব্যাপী যে চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে বাংলাদেশ তার বাইরে নয়। দুইভাবে দেশকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রভাবিত করবে, প্রথমত: আমাদের প্রধান রফতানি বাজার ইউরোপ এবং আমেরিকায় ফের লকডাউন শুরু হয়েছে। ফলে মানুষের মনে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

করোনার ব্যাপকতা ওই সব দেশে বেড়ে গেছে। মৃত্যু হারও বাড়ছে। ফলে বহির্বিশ্ব থেকে দেশের রফতানি খাতে আরেকটা ধাক্কা আসবে। দ্বিতীয়ত: দেশের অভ্যন্তরেও করোনার বিস্তার বেড়ে গেছে। এ পরিস্থিতি দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে একটা ধাক্কা দিচ্ছে।

লকডাউন না থাকায় প্রভাব কম হচ্ছে। আগে একটা ধারণা ছিল, আগামী মার্চ থেকে জুনের মধ্যে করোনার প্রভাব থেকে বের হতে পারব, কিন্তু তা থেকে পিছিয়ে যেতে হচ্ছে। দ্বিতীয় ঢেউ না এলে হয়তে কিছু ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হতো পারত। এখন দেখা যাচ্ছে, করোনার পুরোপুরি প্রভাব থেকে বের হয়ে আসা ২০২২ সালের আগে সম্ভব নয়।

ভ্যাকসিন বিতরণে এখনও কার্যকর পরিকল্পনা দেখছি না। ভ্যাকসিন আসার পর ফ্রেব্রুয়ারি–মার্চের দিকে বিতরণ শুরু হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এটা চলবে এক থেকে দেড় বছর। সে ক্ষেত্র আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। আমেরিকা হয়ত ছয় মাসের মধ্যে তাদের ভ্যাকসিন বিতরণ কার্যক্রম শেষ করে ফেলবে। আমরা সেটা পারব না। আমাদের সময় লাগবে।

দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের বাড়তি প্রস্তুতি কেমন হওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন? অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আরও প্রণোদনা দেয়ার দাবি উঠেছে। এ বিষয়ে আপনার অভিমত কী?

ছোট পরিসরে আরেকটি প্রণোদনা প্যাকেজ নেয়া যেতে পারে। বিশেষ করে রফতানি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের জন্য। জিডিপি‌র বিবেচনায় কৃষির পরেই এসএমই হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় খাত। কাজেই, এ খাতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ জন্য বাড়াতে হবে ঋণ।

অভিযোগ উঠেছে প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে বড় ব্যবসায়ীরা তুলনামূলক বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। ক্ষুদ্র উদ্যেক্তারা তেমন পচ্ছেন না। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?

রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নেয়া ঋণের প্রায় পুরোটাই ব্যবহার করেছে। এ খাতে ব্যবহার খুব দ্রুত হয়েছে এবং ফলও পাওয়া গেছে। এর ফলে রফতানি খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রণোদনা প্যাকেজ ভালোভাবে কাজ করায় ইতিবাচক ফল এসেছে।

বড় বড় প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়া সহজ। তাদের ঋণের পরিমাণ গড়ে ১০ থেকে ২০ কোটি টাকার বেশি। বড় ঋণ অনুমোদন দেয়া ব্যাংকের জন্য সহজ। সমস্যা হয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এসএমই প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে। ঋণ বিতরণে কিছু ব্যাংক এগিয়ে থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠান তা পারছে না।

ওইসব ব্যাংকের হয়ত এসএমই কার্যক্রম সেভাবে নেই। সব ব্যাংকই এসএমই খাতে ঋণ বিতরণ বাড়াতে পারবে তা ভাবা ঠিক নয়। বাংলাদেশ ব্যাংককে বলব, যারা সফলভাবে পারছে, তাদের মাধ্যমে আরও বেশি ঋণ দেয়া হোক। তা হলে এসএমইতে ঋণের প্রবাহ বাড়বে।

করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এ অর্জনকে কীভাবে দেখছেন?

দুর্বল অর্থনীতিতে রিজার্ভ বাড়ে। এটা অনেক দেশেই পরীক্ষিত। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনার কারণে জিডিপি ১০ শতাংশ কমে গেছে।

ফলে তাদের রিজার্ভ দ্রুত বাড়ছে। কারণ হচ্ছে, যখন একটা দেশের অর্থনীতি দুবর্ল হয় তখন তাদের আমদানিও কম থাকে। আমদানি ব্যয় কম হলে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট বা লেনদেনের ভারসাম্য শক্তিশালী হয়।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। করোনাকালে কমে গেছে আমদানি। একইসঙ্গে আমাদের রেমিট্যান্স প্রবাহ শক্তিশালী হওয়ায় বর্তমানে লেনদেনের ভারসাম্য একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আছে। এসব কারণে বেড়েছে রিজার্ভ। রিজার্ভ বৃদ্ধি সামগ্রিক অর্থনীতির দুর্বলতারই লক্ষণ। এটা শক্তিশালী অর্থনীতির কারণ হয় না।

যদি আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি, আমদানি ও রফতানি আরও ভালো হতো এবং এসবের মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ত তাহলে সেটা হতো ভিন্ন চিত্র। সেই চিত্র পাচ্ছি না। দুর্বল অর্থনীতির অংশ হিসেবে রির্জাভের উল্লম্ফন দেখতে পারছি।

রেমিট্যান্সে যে পরিবর্তনটা দেখতে পারছি তা পরিষ্কার নয়। এই সময়ে পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে রেমিট্যান্স বাড়ছে না। প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের কেন বাড়ছে?

অনেক কারণ হতে পারে। একটা কারণ হতে পারে প্রবাসীরা তাদের সঞ্চয় পাঠাচ্ছেন। অন্য কারণ হতে পারে, যারা স্থায়ীভাবে প্রবাসে বাস করছেন, দেশে তাদের আত্মীয়দের জন্য বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন।

তৃতীয়ত, দেশে সঞ্চয়পত্রসহ অন্যখাতে বিনিয়োগের জন্য টাকা পাঠাচ্ছেন। চতুর্থত, এখন মোবাইল ব্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তড়িৎগতিতে রেমিট্যান্স পাঠানো যায়।

সবশেষ, দুই শতাংশ নগদ প্রণোদনায় বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন প্রবাসীরা। সবমিলে রেমিট্যান্সে ভালো প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।

আইএমএফের সাম্প্রতিক ওয়ার্ল্ড আউটলুক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর জিডিপি অর্জনে বিশ্বের শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি। মাথাপিছু জাতীয় আয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। এ সাফল্য সম্পর্কে কিছু বলুন।

ভারতে গত কয়েক বছর ধরে জিডিপি‌র প্রবৃদ্ধি ভালো হয়নি। নোট বাতিল (ডিমনিটালাইজেশন), ভ্যাট প্রবর্তন, বিভিন্ন প্রদেশে দাঙ্গাহাঙ্গামাসহ নানা কারণে ভারতের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সেই সঙ্গে আছে করোনার বিশাল ধাক্কা। করোনা প্রতিরোধে ব্যবস্থাপনা ভালোভাবে হ্যান্ডেল করতে পারেনি ভারত সরকার। এসব কারণে সমাজে অস্থিরতার পাশাপাশি ভারতে অর্থনীতি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আমি মনে করি, নিজেদের আয়নাতে আমাদেরকেই দেখতে হবে। ভারতের সঙ্গে তুলনা করে লাভ নেই। ভারত যখন আবার, নিজেদের ঘুড়িয়ে নিতে পারবে, তখন হয়ত বাংলাদেশেকে পেছনে ফেলে সামনে চলে যেতে পারবে। ভারতের দিকে না তাকিয়ে আমাদের বর্তমান অবস্থান নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

করোনা পরিস্থিতিতে বেশি প্রবৃদ্ধি হবে না, সেটা আমরা জানি। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ যে পূর্বাভাস দিয়েছে, তা অর্জন করতে পারলে সেটি হবে দেশের জন্য বড় পাওনা।

তবে চলতি অর্থবছরের জন্য সরকারের প্রাক্কলিত ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কোনোমতেই সম্ভব নয়। চীনের অর্থনীতি পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তারপরেও চীনের প্রবৃদ্ধি হবে এবার ২ শতাংশ।

কাজেই বাংলাদেশে এবার ২ থেকে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলে সেটিই বড় অর্জন বলে আমি মনে করি। তবে আপেক্ষিকভাবে ভারতের চাইতে ভালো আছে বাংলাদেশ। তারই প্রতিফলন ঘটেছে মাথাপিছু জাতীয় আয়ের ক্ষেত্রে।

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা ভালো। ফলে ডলারের সঙ্গে টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল আছে। এটা একটা ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে। পক্ষান্তরে ভারতের মুদ্রার মান আমাদের চেয় কমে গেছে। যে কারণে বাংলাদেশের তুলনায় পিছিয়ে ভারত।

করোনাকালে নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশাধ না করলেও খলাপি বলা যাবে না। ডিসেম্বর পর্যন্ত ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অনেকই সমালোচনা করে বলেছেন, খেলাপিদের আরও ছাড় দিয়েছে সরকার। অর্থমন্ত্রী বলেছেন ব্যবসার স্বার্থে এ ছাড় দেয়া হয়েছে। আপনি কি মনে করেন?

করোনার কারণে ব্যবসায়ীদের আরও সহায়তা দরকার। এই সময়ে ভারতসহ পৃথিবীর অনেক দেশ এ ধরনের সুবিধা দিয়েছে। বাংলাদেশ একই নীতি অনুসরণ করছে।

আমি মনে করি, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ সুবিধা ডিসেম্বর পর্যন্ত আছে। এটাকে বাড়িয়ে আগামী মার্চ-জুন পর্যন্ত করা যেতে পারে। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় এর প্রয়োজন রয়েছে।

ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে একটি ব্যাংক কমিশন গঠনের দাবি বহু পুরনো। সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে সরকার। ব্যাংক কমিশন গঠন করা উচিত বলে কি আপনি মনে করেন?

কমিশন সরকার করুক আর না করুক, সমস্যা আছে এবং তা সমাধান করতে হবে। দুই-তিন বছর আগে সরকার কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। পরে এর কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। আমরা দেখেছি, ভারতে তিনটি ব্যাংক বসে গেছে গত কয়েক মাসে। এ পরিপ্রেক্ষিতে, ওই সব খারাপ ব্যাংককে একীভূত (মার্জার) করা হয়েছে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে।

বাংলাদেশেও একীভূত করতে হবে। ছোট ও দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে দিতে হবে বড় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে। দুর্বল ব্যাংকগুলো থাকার কোনো মানে হয় না। সরকারের উচিত হবে কোন ব্যাংক টেকসই হবে আর কোনটি হবে না- তা শনাক্ত করে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা।

রাজস্ব আদায়ে ধীর গতি কীভাবে বাড়ানো যায়?

আপৎকালীন সময়ে হঠাৎ করে রাজস্ব আহরণ বাড়ানো যাবে না এবং এর জন্য অতিরিক্ত উদ্যোগ নেয়া ঠিক হবে না। সরকারকে বুঝতে হবে রাজস্ব আয়ে পতন একদিকে হয়নি। গত সাত-আট বছর ধরে চলছে। গত অর্থবছর নেগেটিভ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ বছর সামান্য প্রবৃদ্ধি হতে পারে।

এ বছর সরকারের প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ৪০ শতাংশের বেশি। অবাস্তব এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব নয়। বর্তমানে রাজস্ব আয়ের যে প্রবণতা দেখা যায়, তা চলতে থাকলে অর্থবছর শেষে কমপক্ষে ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি ঘাটতি হবে। এই ঘাটতি কীভাবে কমানো যায় সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। সরকারের উচিত হবে বিশাল ঘাটতিকে সামনে রেখে কীভাবে ব্যয়কে পুনর্বিন্যাস করা যায় তার কর্মকৌশল ঠিক করা।

তবে এ বছর বাজেট ঘাটতি বাড়বে, তাতে উদ্বেগের কিছু নেই। ব্যয় বেশি সংকোচনের দরকার নেই। ঘাটতি বাড়িয়ে আপৎকালীন সময়ে পাড়ি দিতে হবে।

তবে এটাই শেষ নয়, আমাদের অবশ্যই রাজস্ব বাড়াতে হবে। রাজস্ব না বাড়ালে অচল হয়ে যাবে বাংলাদেশ। সরকারও অচল হয়ে যেতে পারে। সে জন্য রাজস্ব খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে। আইন পরিবর্তন করতে হবে। প্রশাসনিক কাঠামো আধুনিক করতে হবে। এনবিআরসহ গোটা রাজস্ব বিভাগকে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন করতে হবে।

চাল, পেঁয়াজ, আলুসহ অনেক পণ্যের দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়ছে। সরকার কি বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না? বাজার স্থিতিশীল করতে কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

সরকারকে বুঝতে হবে চালের বাজারে ঘাটতি আছে। চালের বাজারে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। সে জন্য আমদানিকে প্রাধান্য দিতে হবে। আমন ধান নেমে গেছে, তবু চালের দাম কমছে না। ব্যবসায়ীরা জানে এ বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসল। সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত চাল মজুত নেই। এসব কারণে দাম বাড়ছে।

চালের দাম সহনশীল রাখতে হবে। এ জন্য আমদানি শুল্ক আরও কমানো বা প্রত্যাহার করতে হবে। তা হলে চাল আমদানি সহজ হবে।

শাক সবজির দাম নিয়ে চিন্তিত নই। আগামী ১৫ দিনে ২০ দিনে শাকসবজির সরবরাহ আরও বাড়বে। তখন দাম কমে যাবে। আলুর মৌসুমে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। ফলে আলুর ফলন তেমন হবে না। পেঁয়াজের ফলনও ভালো হবে না। ভারত হয়ত পেঁয়াজ রফতানি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। সরবরাহ বাড়াতে পারলে দাম কমবে। এখানে মুদ্রা নীতি প্রয়োগ করে সরকারের কিছু করার নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণ আছে বলে আমার মনে হয় না। বাজারের ক্ষেত্রে সরকার হচ্ছে ঠুঁটো জগন্নাথ।

চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাস চলছে। সামনে অর্থনীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ কী?

করোনাকে প্রতিরোধ করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। করোনা এখনও আমাদের সঙ্গে আছে এবং এর প্রভাবে আমাদের অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়েছে।

দ্বিতীয় ঢেউ আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। করোনাকে ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ২০২২ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতি আগের চেহারায় ফিরে যেতে পারবে বলে আমি আশাবাদী। এটা কিন্তু খারাপ নয়। যুক্তরাষ্ট্র ২০২৪ সালে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে। ইউরোপ যাবে ২০২৩ এর শেষে। কাজেই আমরা ওই সব দেশের চেয়ে আগে স্বাভাবিক অবস্থায় যেতে পারব। বিশ্বপ্রেক্ষাপটে সেটা হবে আমাদের বড় অর্জন। এজন্য ভ্যাকসিন বিতরণ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে।

আরও পড়ুন:
ভুয়া অডিট রিপোর্ট দাখিলের ‘দিন শেষ’
বাংলাদেশ: উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি
ভারতকে টেক্কা: বাংলাদেশের সাফল্যের কারণ কী
রফতানিতে তেজি ভাব অব্যাহত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
The share price will not fall more than 3 percent in a day
পুঁজিবাজার

শেয়ারের দাম দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমবে না

শেয়ারের দাম দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমবে না
শেয়ারের দাম কমার ক্ষেত্রে আগে মূল্যসীমা নির্ধারণ করা ছিল ১০ শতাংশ। তবে ঊর্ধ্বসীমা অর্থাৎ কোনো শেয়ারের দাম বাড়ার সীমা ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত রেখেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিএসইসি।

দেশের পুঁজিবাজারে শেয়ারের দরপতনের গতি কমিয়ে আনার চেষ্টার অংশ হিসেবে এবার মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার আগের দিনের শেষ হওয়া দরের ভিত্তিতে ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না।

শেয়ারের দাম কমার ক্ষেত্রে আগে মূল্যসীমা ছিল ১০ শতাংশ। তবে ঊর্ধ্বসীমা অর্থাৎ কোনো শেয়ারের দাম বাড়ার সীমা ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বুধবার এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে। বৃহস্পতিবার থেকেই এ আদেশ কার্যকর হবে বলে আদেশে জানানো হয়েছে।

বিএসইসি জানিয়েছে, যেসব শেয়ার ফ্লোর প্রাইসের আওতায় আছে সেসব শেয়ারের ক্ষেত্রে নতুন আদেশ প্রযোজ্য হবে না।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে বাজার সূচকের অবাধ পতন ঠেকাতে এর আগে ২০২২ সালের জুলাই শেষে প্রতিটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দিয়েছিল বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস ছিল ২০২২ সালের ২৮ জুলাই ও তার আগের চার দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড়।

বর্তমানে বেক্সিমকো, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজীবাজার পাওয়ার কোম্পানির ক্ষেত্রে ওই ফ্লোর প্রাইস কার্যকর রয়েছে।

আরও পড়ুন:
ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে সূচক ১৫ মাসে সর্বোচ্চ
পুঁজিবাজারে সুবাতাস, ‘ফ্লোর প্রাইস’মুক্ত আরও ২৩ কোম্পানি
অবশেষে ফ্লোর প্রাইসের বাধামুক্ত হলো পুঁজিবাজার, তবে…
পুঁজিবাজারে তারল্য বৃদ্ধিতে গভর্নরের সহযোগিতা চাইলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of gold in the country has dropped another round to 114151 rupees

দেশে স্বর্ণের দাম আরেক দফা কমে ভরি ১১৪১৫১ টাকা

দেশে স্বর্ণের দাম আরেক দফা কমে ভরি ১১৪১৫১ টাকা
বাজুস মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়ে ওই দিন থেকে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করে। সে হিসাবে দু’দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ৫ হাজার ২৭৭ টাকা।

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম একদিনের ব্যবধানে আরেক দফা কমেছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে দু’হাজার ১৩৯ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বলা হয়েছে,

স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নতুন নির্ধারিত দাম বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে কার্যকর হবে।

বাজুস এর আগের দিন মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়ে ওই দিন থেকে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করে। সে হিসাবে দুদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ৫ হাজার ২৭৭ টাকা।

নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ১৩৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৯৫ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের ভরি ১ হাজার ৭১৪ টাকা কমিয়ে ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা।

অবশ্য স্বর্ণালঙ্কার কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের এর চেয়ে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সে সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় নূন্যতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৫৮ টাকা।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার ভরি ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।

আরও পড়ুন:
কমানোর পর দিনই বাড়ল স্বর্ণের দাম
স্বর্ণের দাম এবার কমেছে, তবে নামমাত্র
দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা
স্বর্ণের দাম দু’দিনের ব্যবধানে ভরিতে বেড়েছে ৩,৪৯৯ টাকা
বাড়া-কমার খেলায় স্বর্ণের ভরি রেকর্ড ১,১৪,০৭৪ টাকা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Infinix Inbook Y2 Plus An affordable powerhouse for everyday use

ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস: নিত্যদিনের ব্যবহারের জন্য সাশ্রয়ী পাওয়ারহাউজ

ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস: নিত্যদিনের ব্যবহারের জন্য সাশ্রয়ী পাওয়ারহাউজ ইনবুক ওয়াইটু প্লাস নামের ল্যাপটপটি দিচ্ছে চমৎকার ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও সাশ্রয়ী দামের প্রতিশ্রুতি। কোলাজ: নিউজবাংলা
ল্যাপটপটির বর্তমান বাজারমূল্য ৫৮ হাজার ৯৯০ টাকা। অনুমোদিত ইনফিনিক্স রিটেইলার থেকে ল্যাপটপটি কেনা যাচ্ছে।

বাংলাদেশের বাজারে গত বছর প্রথমবারের মতো ল্যাপটপ নিয়ে আসে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। ইনবুক ওয়াইটু প্লাস নামের ল্যাপটপটি দিচ্ছে চমৎকার ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও সাশ্রয়ী দামের প্রতিশ্রুতি। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রযুক্তিপ্রেমী শিক্ষার্থী ও এক্সিকিউটিভদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে এ ল্যাপটপ।

দেখে নেওয়া যাক কী আছে ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস ল্যাপটপটিতে। এর ফিচার, পারফরম্যান্স ও ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাই বা কেমন।

ডিজাইন ও গঠন

স্লিক ও হালকা ডিজাইনের ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস সহজেই সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। শিক্ষার্থী ও ব্যস্ত এক্সিকিউটিভদের জন্য এ ল্যাপটপ যথার্থ। এর পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক মেটালিক ডিজাইন স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে দেয় প্রিমিয়াম অনুভূতি। স্লিক প্রোফাইল ও প্রাণবন্ত ডিসপ্লের সঙ্গে যুক্ত সরু বেজেল ল্যাপটপটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। ফলে বাজারের একই ধরনের দামি ল্যাপটপের সমকক্ষ হয়ে ওঠে ওয়াইটু প্লাস।

তা ছাড়া এর মসৃণ এজি গ্লাস টাচ প্যানেলের কারণে সিল্কি-স্মুথ ও স্থায়ী টাচের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। ১.৫ মিলিমিটার কি ট্র্যাভেল এবং ব্যাকলাইটিংযুক্ত রেসপনসিভ কি-বোর্ড টাইপিংকে করে তোলে সহজ ও আরামদায়ক। তাই কম আলোতেও টাইপ করতে কোনো সমস্যা হয় না।

পারফরম্যান্স ও প্রোডাক্টিভিটি

১১তম প্রজন্মের কোর আই৫ প্রসেসর ও ৮ জিবি র‍্যাম রয়েছে ইনফিনিক্স ওয়াইটু প্লাসে। স্টোরেজের প্রয়োজন মেটাতে এতে আছে ৫১২ জিবি এনভিএমই পিসিআইই এসএসডি। প্রোডাক্টিভিটি সফটওয়্যার, ওয়েব ব্রাউজ করা কিংবা কনটেন্ট স্ট্রিম করাসহ সব ধরনের উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালানো যায় খুব সহজেই। এর ইন্টিগ্রেটেড ইন্টেল ইউএইচডি গ্রাফিকস সাধারণ গেমিং ও মাল্টিমিডিয়া এডিটিংয়ের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় গ্রাফিকস পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। উইন্ডোজ ১১ পরিচালিত ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাসের অপারেটিং সিস্টেম সবার পরিচিত ও ব্যবহার করা সহজ।

ডিসপ্লে ও মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতা

উজ্জ্বল রং ও ওয়াইড অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে স্পষ্ট ও পরিষ্কার ভিজ্যুয়াল দেয় ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি আইপিএস ডিসপ্লেযুক্ত ইনবুক ওয়াইটু প্লাস। ৮৫ শতাংশ স্ক্রিন-টু-বডি রেশিওর সঙ্গে চমৎকার মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতার জন্য ডিসপ্লেটি দারুণ। কাজেই আপনার প্রিয় নেটফ্লিক্স সিরিজ দেখা কিংবা ফটো এডিট করা— সবই হবে স্বাচ্ছন্দ্যে।

ল্যাপটপটিতে আছে ডুয়েল এলইডি ফ্ল্যাশ ও এআই নয়েজ ক্যান্সেলেশন প্রযুক্তিযুক্ত ১ হাজার ৮০ পিক্সেলের ফুল এইচডি+ ক্যামেরা। এর ফলে ভিডিও কলের অভিজ্ঞতা হবে আরও উন্নত।

ব্যাটারি লাইফ ও চার্জিং

ইনবুক ওয়াইটু প্লাসের ৫০ ওয়াট-আওয়ার ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কোনো চার্জ ছাড়াই প্রতিদিনের কাজে আট ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। পাশাপাশি এর ৪৫ ওয়াট টাইপ-সি পোর্টযুক্ত চার্জারে ডিভাইসটি দ্রুত ও সহজেই চার্জ করা যায়। ফলে ভারী চার্জার বহনের প্রয়োজন হয় না।

দাম

ল্যাপটপটির বর্তমান বাজারমূল্য ৫৮ হাজার ৯৯০ টাকা। অনুমোদিত ইনফিনিক্স রিটেইলার থেকে ল্যাপটপটি কেনা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
২ বছরের সফটওয়্যার আপডেটসহ দেশজুড়ে মিলছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ
ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি নিয়ে দেশের বাজারে ইনফিনিক্সের নোট ৪০ সিরিজ
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তি আনল ইনফিনিক্স
যে তিন কারণে আলাদা ইনফিনিক্স ল্যাপটপ
বাজারে এলো ইনফিনিক্সের গেমিং স্মার্টফোন হট ৪০ প্রো

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Organized Workshop on Smart Transformation of PFM Services of Local Government Institute

স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের পিএফএম সেবার স্মার্ট রূপান্তরকরণ নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের পিএফএম সেবার স্মার্ট রূপান্তরকরণ নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয় স্মার্ট সার্ভিস ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড প্রসেস ডিজাইন ও অবহিতকরণবিষয়ক কর্মশালা। ছবি: সংগৃহীত
উদ্যোগের পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্মার্ট সার্ভিস ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড প্রসেস ডিজাইন ও অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রায় ৬০ জনের অংশগ্রহণে তিন দিনব্যাপী কর্মশালার প্রথম দিন মঙ্গলবার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়।

‘ডিজিটাল আর্কিটেকচার ট্রান্সফরমেশন ইন লোকাল গভর্মেন্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক উদ্যোগের পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্মার্ট সার্ভিস ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড প্রসেস ডিজাইন ও অবহিতকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহীতে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নির্দেশিত স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র জনাব এএইচএম খায়রুজ্জামা (লিটনের) পরামর্শক্রমে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের (বিএমজিএফ) অর্থায়ন এবং এটুআই, আইসিটি ডিভিশনের বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের ৫টি পাবলিক ফাইন্যানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট (হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, বিভিন্ন ধরনের সনদ যেমন জাতীয়তা সনদ, রিকশা/ভ্যান লাইসেন্স, বিদ্যুৎ/গ্যাসসহ বিভিন্ন ধরনের বিল) সংক্রান্ত সেবার স্মার্ট রূপান্তরের লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল আর্কিটেকচার ট্রান্সফরমেশন ইন লোকাল গভর্মেন্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক উদ্যোগ রাজশাহীতে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।

উদ্যোগের পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্মার্ট সার্ভিস ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড প্রসেস ডিজাইন ও অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রায় ৬০ জনের অংশগ্রহণে ৩ দিনব্যাপী কর্মশালার প্রথম দিন মঙ্গলবার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়। এ উদ্যোগটি রাজশাহী সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়।

উক্ত উদ্যোগের প্রধান সমন্বায়ক এটুআই, আইসিটি ডিভিশন চিফ ই-গর্ভনেন্স ড. ফরহাদ জাহিদ শেখ বর্ণিত কর্মশালায় স্মার্ট সার্ভিস ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড প্রসেস ডিজাইন এবং পাইলটিং কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন, রাজশাহী জেলা পরিষদ, পবা উপজেলা পরিষদ, চারঘাট পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ, কাটাখালী পৌরসভা ও পারিলা, হরিপুর, হরিয়ান, হুজরীপাড়া ও ইউনিয়নের সম্মানিত মেয়র, চেয়ারম্যান, মেম্বার, কাউন্সিলর, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিব, সিস্টেম অ্যানালিস্ট এবং এটুআই আইসিটি ডিভিশনের কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
শিক্ষার সঙ্গে কিশোরীদের মাসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে রাজধানীতে কর্মশালা
চরমপন্থা রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকায় গুরুত্বারোপ
সঞ্চয়পত্রের উচ্চ সুদ বন্ড মার্কেট উন্নতিতে বাধা
তরুণদের অনলাইনে নিরাপদ রাখতে টিকটকের ক্যাম্পেইন ‘সাবধানে অনলাইনে’
উন্নয়নের জন্য সুশাসন অপরিহার্য: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Waltons profit increased by 512 crores in 9 months

৯ মাসে ওয়ালটনের মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

৯ মাসে ওয়ালটনের মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা
জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৩.০৭ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা।

দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত বছরগুলোর প্রতিকূলতা কাটিয়ে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। চলতি বছর ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’২০২৩-মার্চ’২০২৪) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটন হাই-টেকের মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা বা ২০৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ব্যাপক বৃদ্ধিসহ আর্থিক প্রায় সব সূচকেই উন্নতি হয়েছে।

ওয়ালটন হাই-টেকের চলতি হিসাব বছরের জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
রোববার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৮তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাব বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬২.৩৪ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৪৯.৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০৫ শতাংশ।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২০২৪) ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৪২১.৯৮ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৩৫.৫৫ কোটি টাকা।

বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কস্ট অব গুড্স সোল্ড উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির মোট মুনাফার শতকরা হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের। তাছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (জুলাই’২০২৩-মার্চ’২০২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.১৭ টাকা; যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিলো ৮.২৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির এনএভিপিএস পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২৫৮.২২ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫৯.৬৮ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২.৮৮ টাকা।

চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রথম নয় মাসে বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৬.১৪ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিলো ১৪.৭৯ শতাংশ।

এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি ৩৯২.৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলো। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়ে মাত্র ৪১.৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৩.০৭ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা।

এছাড়া, শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২০২৪) কোম্পানির মুনাফা আরো দৃঢ় অবস্থানে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওয়ালটন ম্যানেজমেন্ট। প্রেস রিলিজ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Things Uber passengers in the country forget the most

দেশে উবারের যাত্রীরা ভুলে সবচেয়ে বেশি ফেলে যান যেসব জিনিস

দেশে উবারের যাত্রীরা ভুলে সবচেয়ে বেশি ফেলে যান যেসব জিনিস উবার যাত্রীরা যেসব জিনিস সবচেয়ে বেশি ভুলে ফেলে রেখে গেছেন, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পোশাক। এরপরই রয়েছে ছাতা, ওয়ালেট, নেক-পিলো, হেডফোন ও স্পিকার। ছবি: উবার
গত এক বছরের মে ও জুন মাসে বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি জিনিসপত্র ভুলে ফেলে রেখে গেছেন। বেশির ভাগ জিনিসপত্র ফেলে রেখে আসার ঘটনাটি ঘটেছে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে।

শীর্ষস্থানীয় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবারের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ইনডেক্স-এর অষ্টম সংস্করণ প্রকাশ হয়েছে রোববার।

উবার ব্যবহারকারীরা কোন জিনিসগুলো গাড়িতে সবচেয়ে বেশি ফেলে রেখে গেছেন এবং দিনের কোন সময়ে, সপ্তাহের কোন দিনে ও বছরের কোন সময়ে হারানো জিনিস রিপোর্ট করেছেন, এসব তথ্যের একটি স্ন্যাপশট হলো এ ইনডেক্স।

গত এক বছরের মে ও জুন মাসে বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি জিনিসপত্র ভুলে ফেলে রেখে গেছেন। বেশির ভাগ জিনিসপত্র ফেলে রেখে আসার ঘটনাটি ঘটেছে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে।

গত বছর বাংলাদেশজুড়ে যাত্রীদের ভুলে যাওয়া জিনিসের তালিকায় প্রথম দুটি স্থানে ছিল পোশাক ও ছাতা। তালিকায় এর পরেই ছিল ওয়ালেট, বালিশ ও হেডফোন।

বাংলাদেশিরা উবারে এ রকম সাধারণ জিনিসপত্র যেমন ভুলে ফেলে রেখে গেছেন, স্পিকারের মতো অপ্রত্যাশিত জিনিসও তেমনি ভুলে রেখে গেছেন।

উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ইনডেক্স সম্পর্কে বলেন, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য উবারের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ট্রিপের সময় যাত্রীদের ফেলে যাওয়া জিনিস নিরাপদে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়াও এর অন্তর্ভুক্ত। হারানো জিনিস খুঁজে পেতে উবারের কিছু ইন-অ্যাপ অপশন আছে।

‘এ ব্যাপারে যাত্রীদের জানানোর জন্য লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ইনডেক্স একটি চমৎকার শিক্ষণীয় উপায়। যাত্রীদের আমরা জানাতে চাই যে, রাইডের সময় তারা কিছু ভুলে ফেলে গেলে তাদের সাহায্য করার জন্য আমরা প্রস্তুত।’

ফেলে যাওয়া জিনিস উদ্ধারের উপায়

গাড়িতে ফেলে যাওয়া কোনো জিনিস উদ্ধারের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো চালককে কল করা। কীভাবে করবেন জেনে নিন।

১. ‘ইয়োর ট্রিপস’ অপশনে ট্যাপ করুন এবং যে ট্রিপে আপনার জিনিসটি হারিয়ে গেছে, তা সিলেক্ট করুন

২. নিচে স্ক্রল করে ‘ফাইন্ড লস্ট আইটেম’ অপশনে ট্যাপ করুন

৩. ‘কনটাক্ট ড্রাইভার অ্যাবাউট আ লস্ট আইটেম’ অপশনে ট্যাপ করুন

৪. স্ক্রল করে নিচে নামুন এবং আপনার সঙ্গে যোগযোগ করা যাবে এমন একটি ফোন নম্বর লিখুন। সাবমিট অপশনে ট্যাপ করুন

৫. যদি নিজের ফোন হারিয়ে যায়, তাহলে আপনার বন্ধুর ফোন নম্বর ব্যবহার করুন (এর জন্য আপনাকে কম্পিউটার বা বন্ধুর ফোন থেকে নিজের অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে হবে)

৬. আপনার ফোন বেজে উঠবে এবং আপনার চালকের মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আপনাকে সরাসরি যুক্ত করে দেয়া হবে

৭. যদি চালক ফোন ধরেন এবং নিশ্চিত করেন যে আপনার জিনিসটি পাওয়া গেছে, সেটি ফিরিয়ে নিতে উভয়ের জন্য সুবিধাজনক একটি সময় ও স্থান নির্বাচন করুন

৮. যদি চালকের সাথে যোগাযোগ করতে না পারেন, আপনার হারানো জিনিসটির বিস্তারিত বর্ণনা এবং আপনার সঙ্গে যোগাযোগের উপায় জানিয়ে চালককে একটি ভয়ে সমেইল পাঠিয়ে রাখুন

উবারে কিছু হারিয়ে ফেললে সহজে কীভাবে তা ফিরে পেতে পারেন, এই ভিডিও থেকে তা দেখে নিন।

উবার যাত্রীরা যেসব জিনিস সবচেয়ে বেশি ভুলে ফেলে রেখে গেছেন, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পোশাক। এরপরই রয়েছে ছাতা, ওয়ালেট, নেক-পিলো, হেডফোন ও স্পিকার।

যে শহরগুলোতে যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি জিনিস হারিয়েছেন, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। এরপরের স্থানগুলো যথাক্রমে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল।

বছরের যে দিনগুলোতে যাত্রীরা সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জিনিস ভুলে রেখে গেছেন তার মধ্যে রয়েছে ১৩ মে, ২০২৩। এ ছাড়া ৯ জুন এবং ১৬ জুন, ২০২৩ বেশি ভুল করেছেন যাত্রীরা।

সপ্তাহের শুক্র, শনি ও রোববার সবচেয়ে বেশি জিনিস হারিয়েছে।

দিনের যে সময়ে যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি জিনিস ফেলে রেখে যান, তার সময় রাত আটটা। এরপরই সন্ধ্যা সাতটা ও রাত ৯টায় বেশি জিনিস ফেলে রেখে গেছেন।

আরও পড়ুন:
ইফতার সেহরি কিংবা ঈদ শপিং, যাতায়াত হোক ঝামেলামুক্ত
‘২০২৮ সালের মধ্যে ঢাকার কর্মশক্তিতে যুক্ত হবেন ৩ লাখ নারী'
দেশে উবারের নতুন রাউন্ড ট্রিপ ফিচার চালু
সবচেয়ে বেশি উবার ট্রিপ ২১ ও ২৮ ডিসেম্বর, জনপ্রিয় মাস মে
বছরের শেষ রাতে নিরাপদ যাতায়াতে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of gold increased the day after the reduction

কমানোর পর দিনই বাড়ল স্বর্ণের দাম

কমানোর পর দিনই বাড়ল স্বর্ণের দাম ফাইল ছবি
নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৫১৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কমানোর পরের দিনই বাড়ল স্বর্ণের দাম। ভালো মান বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৬২৯ টাকা। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৭ টাকা।

রোববার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৫১৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৪২০ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৮ এপ্রিল দেশের বাজারে রেকর্ড স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাজুস। ওই সময় ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়। তাতে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। এটিই সোনার সর্বোচ্চ দাম ছিল। পরে শনিবার ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম কমে ৮৪০ টাকা। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।

মন্তব্য

p
উপরে