× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

ডলার ক্রয় ৮৪ টাকা, বিক্রি ৮৫ টাকায়

ডলার-ক্রয়-৮৪-টাকা-বিক্রি-৮৫-টাকায়
গ্রেট ব্রিটেনের পাউন্ডও শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়। পাউন্ড কেনা গেছে ১০৮ টাকা ৮৩ পয়সা। বিক্রি হয় ১১৩ টাকা ৯৫ পয়সা।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে রোববার ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে টাকার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা দেখা গেছে।

বৈদেশিক লেনদেনে ডলার অপ্রতিরোধ্য গতি ধরে রেখেছে এখনও। রোববার দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে গড়ে প্রতি ডলার কিনতে হয় ৮৪ টাকায়। আর বিক্রি করতে গেলে পাওয়া গেছে ৮৫ টাকা থেকে ৮৫ টাকা ৩০ পয়সা।

যুক্তরাজ্যের পাউন্ডও শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়। পাউন্ড কেনা গেছে ১০৮ টাকা ৮৩ পয়সা। বিক্রি হয় ১১৩ টাকা ৯৫ পয়সায়।

ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরো কিনতে হয় ৯৮ টাকায়। ব্যাংকগুলো বিক্রি করেছে ১০৩ টাকায়।

বাংলাদেশি প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ থাকে সৌদি আরবে। ফলে বিনিময় হারের ক্ষেত্রে সৌদি মুদ্রা রিয়েল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রোববার সৌদি রিয়েল কেনাবেচা হয়েছে যথাক্রমে ২১ টাকা ৬৪ পয়সা ও ২৩ টাকায়।

মালয়েশিয়ার রিঙ্গিতের ক্রয়মূল্য ১৭ টাকা ৮৩ পয়সা; বিক্রয়মূল্য ২১ টাকা ৬৭ পয়সা।

কুয়েতি দিনার কিনতে হয় ২৬০ টাকা ৬৫ পয়সায়। আর ব্যাংকগুলো বিক্রি করেছে ২৮১ টাকা ৬২ পয়সায়।

সিঙ্গাপুর ডলার কেনাবেচা হয় যথাক্রমে ৬০ টাকা ৯২ পয়সা ও ৬২ টাকা ৭৮ পয়সায়।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Dream is offering discounts on hundreds of products during Ramadan

রমজানে শত শত পণ্যে ছাড় দিচ্ছে ‘স্বপ্ন’

রমজানে শত শত পণ্যে ছাড় দিচ্ছে ‘স্বপ্ন’ স্বপ্ন। ছবি: সংগৃহীত
স্বপ্নর হেড অফ মার্কেটিং মাহাদী ফয়সাল বলেন, ‘রমজানের শুরুতে টানা অফার থাকছে আমাদের। বিশেষ করে রমজানের শুরুতেই প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোতে বিশাল ছাড় থাকছে। এছাড়া পুরো রমজানজুড়ে শত শত পণ্যে ছাড় দিচ্ছে স্বপ্ন।’

রমজান উপলক্ষে শত শত পণ্যে ছাড় দিচ্ছে সুপারমার্কেট রিটেইল ব্র্যান্ড চেইনশপ ‘স্বপ্ন’।

প্রতি সপ্তাহের শুক্র এবং শনিবার ক্রেতারা ‘স্বপ্ন’ থেকে সবসময় বিভিন্ন পণ্যে ছাড় পেয়ে থাকেন। আর এবার মাহে রমজান উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি পণ্যের ওপর ছাড় ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

স্বপ্নর হেড অফ মার্কেটিং মাহাদী ফয়সাল বলেন, ‘রমজানের শুরুতে টানা অফার থাকছে আমাদের। বিশেষ করে রমজানের শুরুতেই প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোতে বিশাল ছাড় থাকছে। এছাড়া পুরো রমজানজুড়ে শত শত পণ্যে ছাড় দিচ্ছে স্বপ্ন।’

বিশেষ করে রমজানের শুরুতেই, পুষ্টি সয়াবিন তেল ৫ লিটার ৮৭০ টাকা, ছোলা প্রতি কেজি ৮৫ টাকা, এসিআই লবণ ১ কেজিতে ৮ টাকা ছাড়, খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১২ টাকা, মসুর ডাল প্রতি কেজি ৯৯ টাকা, ট্যাং ২ কেজিতে ১৫০ টাকা ছাড়, ম্যাগি নুডলস ৭৪৪ গ্রামে ৩০ টাকা ছাড়, ডানো মিল্ক পাউডার ১ কেজিতে ৫১ টাকা ছাড়, হেড অ্যান্ড শোল্ডারস শ্যাম্পু ৬৫০ মিলিতে ৩০০ টাকা ছাড়, ইস্পাহানি চা পাতা ৪০০ গ্রামে ৩০ টাকা ছাড় থাকছে।

এছাড়াও সুলতান ও স্বপ্ন ব্ল্যাকটিতে ৬০ টাকা পর্যন্ত ছাড়, আড়ং ও প্রাণ ঘি ৪০০ গ্রামে ৬০ টাকা পর্যন্ত ছাড়, ডাবর মধু ৫০০ গ্রামে ৭০ টাকা ছাড়সহ নানা পণ্যে চলতি সপ্তাহের ২৪ থেকে ২৬ মার্চ অবধি থাকছে বিশাল ছাড়।

আরও পড়ুন:
নজরদারিতে আরাবের ২ সহযোগী
কমতে শুরু করেছে ব্রয়লারের দাম
বেগুনের দাম একদিনের ব্যবধানে দ্বিগুণ
৬ ঘণ্টায় বদলে গেল সব‌জির দাম
রমজানে বেশি দাম নিলে দোকান বন্ধের হুঁশিয়ারি মেয়র আতিকের

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Consumer rights campaign in New Market raw market on the second fast

দ্বিতীয় রোজায় নিউ মার্কেট কাঁচাবাজারে অভিযান ভোক্তা অধিকারের

দ্বিতীয় রোজায় নিউ মার্কেট কাঁচাবাজারে অভিযান ভোক্তা অধিকারের রাজধানীর একটি কাঁচাবাজার। ফাইল ছবি
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মন্ডল নিউজবাংলাকে জানান, অভিযানে রমজানে বেশি বিক্রি হয় এমন পণ্যগুলোর দাম ঠিক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি পণ্যগুলোর সরবরাহ ঠিক আছে কি না, তাও দেখা হবে।

রোজার প্রথম দিন শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিযান চালিয়েছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় রমজানের দ্বিতীয় দিন শনিবার ঢাকা নিউ মার্কেটের কাঁচাবাজারে অভিযান শুরু করে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।

অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মন্ডল নিউজবাংলাকে জানান, অভিযানে রমজানে বেশি বিক্রি হয় এমন পণ্যগুলোর দাম ঠিক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি পণ্যগুলোর সরবরাহ ঠিক আছে কি না, তাও দেখা হবে।

তিনি জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হওয়া এ অভিযানে নেতৃত্বে আছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

এর আগে প্রথম রোজায় কারওয়ান বাজারে অভিযানেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।

গতকাল কারওয়ান বাজারে অভিযান নিয়ে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বেসরকারি চ্যানেল আরটিভিকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুসারে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনসহ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বিএসটিআই, সিটি করপোরেশন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ—আমরা সমন্বিতভাবে এবারে বাজার তদারকিতে নেমেছি। দেখার বিষয় হলো বাজারে মানুষ সেবা পাচ্ছে কি না, মূল্য কতটুকু বেড়েছে। আল্লাহর রহমতে মুদির দোকানদাররা বলেছে, পণ্যের মূল্য কিন্তু আগের চেয়ে কমতির দিকে।

‘মুরগি নিয়ে সবার একটা ক্ষোভ ছিল, আক্ষেপ ছিল। গতকাল (বৃহস্পতিবার) তারা যে দাম কমিয়েছে, সেটা বাজারে খুচরা পর্যায়ে আসতে তিন দিন লাগবে, তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যেই বেগুন আমরা পাইকারি বাজারে পেয়েছি ৪০ টাকা, কারওয়ান বাজারে খুচরা দেখেছি আমরা সেটা ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তখন আমরা মার্কেট সমিতির সেক্রেটারি মহোদয়কে বলেছি, এটা আজকের মধ্যেই ঠিক করতে হবে। কারণ আমরা এবার যদি বাংলাদেশের সব ব্যবসায়ী সমিতি, তারা যদি দায়িত্ব না নেয়, তাহলে কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আমরা তাদের বিরুদ্ধে লিখব।’

ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভাউচার রাখা ও রসিদ দেয়ার কথা বলা হয়েছে জানিয়ে ভোক্তা অধিকারের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘পাশাপাশি আমরা আরেকটা যে বিষয় বলেছি সবাইকে, ক্রয় ভাউচার রাখতে হবে; বিক্রয় রশিদ দিতে হবে। আর মূল্যতালিকা টানাতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের যে ঢাকা মহানগরীতে সাতটি টিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চারটি, দেশব্যাপী ভোক্তা অধিকারের ৫৬টি টিম কাজ করবে এবং আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পাইকারি বাজারগুলোতে অবস্থান করছি।

‘আমাদের টিম রয়েছে কাপ্তানবাজারে, আমাদের টিম রয়েছে মিরপুর শাহ আলী মার্কেটে, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে। সব বাজারগুলোতে যাচ্ছি আমরা। বনানী থেকে উত্তরা, সব বাজার। আমরা চাইব ব্যবসায়ী সমিতি, যারা বাজারে থাকবেন। তারা থেকে এটা নিশ্চিত করবেন।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The traditional Baburhat of Narsingdi is active at the beginning of the fast

রোজার শুরুতেই সরগরম নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী বাবুরহাট

রোজার শুরুতেই সরগরম নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী বাবুরহাট ক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম দেশীয় কাপড়ের পাইকারি বাজার নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী শেখেরচর বাবুরহাট। ছবি: নিউজবাংলা
শেখেরচর-বাবুরহাট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি প্রতি বছরের মতো এবারও দোকানে দোকানে নিত্যনতুন কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। প্রতি বছর রমজানে ২০০ কোটি টাকার উপরে কাপড় বিক্রি হয় এ হাটে। এবার তুলনামূলক ক্রেতা কম হলেও বিক্রির পরিমাণ ঠিক আছে।’

রোজায় ক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম দেশীয় কাপড়ের পাইকারি বাজার নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী শেখেরচর বাবুরহাট। এখান থেকে কাপড় কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন দেশের নানা প্রান্তের খুচরা বিক্রেতারা।

কাপড়ের চাহিদা মিটানো এই হাটে প্রতি বছরের মতো নিত্য নতুন কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। এ বছর প্রস্তুতকৃত কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি হওয়া কাপড়ের মূল্য হ্রাস পেয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানান ব্যবসায়ীরা।

রোজার প্রথমদিন শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনয়নে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে বৃহত্তর এই হাট ঘুরে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

রোজার শুরুতেই সরগরম নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী বাবুরহাট

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার ব্যবসায়ীর দোকান। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিন জমে ওঠে দেশের অন্যতম পাইকারি কাপড়ের হাট বাবুরহাট।

এখানে শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, থ্রিপিস, শার্ট পিস, প্যান্ট পিস, পাঞ্জাবির কাপড়, থান কাপড়, বিছানার চাদরসহ প্রায় সব ধরনের কাপড় বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। ঈদের বাজারে খুচরা কাপড় বিক্রির জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা পাইকারি কাপড় কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন এই হাটে।

রোজার শুরুতেই সরগরম নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী বাবুরহাট

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুতার দামে অস্থিরতার কারণে এবার দেশের সব বাজারেই কাপড়ের দাম বেশি। তবে বাবুরহাটে সর্বনিম্ন পাইকারি মূল্যে বিক্রি হয়ে থাকে সব ধরনের কাপড়। তাই এই হাটে রোজার শুরুতে থাকে কাপড় বিক্রির ধুম। এই হাট তিনদিন ক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম থাকে। এ ছাড়া এ হাটের কাপড় রপ্তানি হচ্ছে দেশের বাহিরেও। সকল সংকট কাটিয়ে এবার ঈদে কাঙ্খিত বেচাকেনা হবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।’

কুষ্টিয়া থেকে কাপড় কিনতে এই হাটে প্রথম আসেন, আবুল হোসেন নামে খুচরা বিক্রেতা। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মানুষের মুখে শুনেছি বাবুরহাটের কথা। আজ রোজার প্রথম দিন আসলাম। তবে অন্যান্য শহরের বাজারগুলো থেকে এই হাট থেকে পাইকারি কাপড় ক্রয়ে সুলভ মূল্য পেয়েছি।’

ঢাকা বকশি বাজারের এক নারী উদ্যোক্তা তাবাসসুম আক্তার মিম নিউজবাংলাকে জানান, করোনাকালীন সময় এই হাট থেকে দেশীয় থ্রী, বুটিকস, ওড়না নিয়ে অনলাইনে বিক্রি শুরু করেন তিনি। এরপর থেকে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাবুরহাট থেকে কাপড় কিনে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। পবিত্র ঈদুল ফিতরে অনেক অর্ডার পরেছে, তাই আগে থেকেই কাপড় কিনে মজুত করছেন। এসব কাপড় অনলাইনে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করছেন তিনি। আজ দুই লাখ টাকার পরিমাণ বিভিন্ন প্রকারের কাপড় কিনে ট্রান্সপোর্টে যশোর পাঠিয়েছেন তিনি।

রোজার শুরুতেই সরগরম নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী বাবুরহাট

এই বাবুরহাট বাজারের পাশে রয়েছে বিভিন্ন ট্রাসপোর্ট এসেন্সী। এসব এসেন্সীর মাধ্যমে নিরাপদে কাপড় পৌঁছে যায় বিভিন্ন জেলা শহরসহ বিদেশেও।

নিউ খাজা ট্রাসপোর্টের পরিচালক আল-আমিন ভূইয়া প্রধান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সব কিছুর মূল্যবৃদ্ধি পেলেও মালামাল ট্রাসপোর্টের জন্য পরিবহন ভাড়া তেমন বাড়েনি। কারণ আমরা ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে সুলভ সাশ্রয়ে ট্রাসপোর্ট সেবা দিয়ে থাকি।’

শেখেরচর-বাবুরহাট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি প্রতি বছরের মতো এবারও দোকানে দোকানে নিত্যনতুন কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। প্রতি বছর রমজানে ২০০ কোটি টাকার উপরে কাপড় বিক্রি হয় এ হাটে। এবার তুলনামূলক ক্রেতা কম হলেও বিক্রির পরিমাণ ঠিক আছে।’

তবে সুতার বাজার অস্থিতিশীল ও কাপড় তৈরির কাচাঁমালের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ার কারণে কাপড়ের মূল্য বেড়ে গেছে। এতে বাবুরহাটে পাইকারি ক্রেতার কম সমাগম হলেও সব সংকট কাটিয়ে এবার ঈদে কাঙ্খিত বেচাকেনা হবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ী এই নেতা।

আরও পড়ুন:
পাইকারি ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর
ব্যবসায়ী শিবু অপহরণ: ল্যাংড়া মামুন রিমান্ডে
ব্যবসা সহজীকরণে দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা চায় বাংলাদেশ
ভোজ্যতেলের খোঁজে অভিযান নিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ
কোম্পানীগঞ্জে ‘৮০০ টাকার’ জন্য ব্যবসায়ীকে খুন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
936 crore looted in Poltrikha in 52 days

‘পোল্ট্রি খাতে ৫২ দিনে ৯৩৬ কোটি টাকা লুট’

‘পোল্ট্রি খাতে ৫২ দিনে ৯৩৬ কোটি টাকা লুট’ পোল্ট্রিখাতে হরিলুটের অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন। ছবি: নিউজবাংলা
‘ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক দামের কারণ প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতি পোষাতে না পেরে খামার বন্ধ করে উৎপাদন থেকে ছিটকে পড়েছেন। এ সুযোগে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো পোলট্রির ফিড বা খাবার ও মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রান্তিক খামারি উৎপাদনে গেলে তখন বাজারে দাম কমিয়ে দিয়ে ক্ষতিতে ফেলছে।’

দেশের পোল্ট্রি খাতে হরিলুটের অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। সংগঠনটির দাবি, এই খাতের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো গত ৫২ দিনে মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

বিপিএর সভাপতি সুমন হাওলাদারের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশে প্রতিদিন ব্রয়লার মুরগির চাহিদা ৩ হাজার ৫০০ টন। প্রান্তিক খামারিদের ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ এখন কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। আর করপোরেট প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যয় ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। তবে পাইকারি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২৩০ টাকা পর্যন্ত এসব মুরগি বিক্রি হয়েছে। তাতে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো কেজিপ্রতি অন্তত ৬০ টাকা বেশি মুনাফা করেছে।’

বিপিএর বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘করপোরেট প্রতিষ্ঠানের (তাদের চুক্তিভিত্তিক ফার্মসহ) মাধ্যমে প্রতিদিন দুই হাজার টন মুরগি বাজারে আসে। সেই হিসাবে প্রতিদিন তাদের অতিরিক্ত মুনাফা হয় ১২ কোটি টাকা। এভাবে গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত ৫২ দিনে ৬২৪ কোটি টাকা মুরগি বিক্রির মাধ্যমে লাভ করেছে কোম্পানিগুলো। আর এক দিনের মুরগির বাচ্চা বিক্রি করে তাদের মুনাফা ৩১২ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।’

সংগঠনটির দাবি, ‘দেশে প্রতিদিন মুরগির বাচ্চা উৎপাদন হয় ২০ লাখ। এসব বাচ্চা কোম্পানিগুলো উৎপাদন করে। একেকটি মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে খরচ হয় ২৮ থেকে ৩০ টাকা, যা চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ছিল ১০ থেকে ১৫ টাকা। প্রতিটি এখন ৬২ থেকে ৬৮ টাকায় দেয়ার কথা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। প্রতিটি বাচ্চায় ৩০ টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছে কোম্পানিগুলো।’

বিপিএ বলেছে, ‘ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক দামের কারণ প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতি পোষাতে না পেরে খামার বন্ধ করে উৎপাদন থেকে ছিটকে পড়েছেন। এ সুযোগে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো পোলট্রির ফিড বা খাবার ও মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রান্তিক খামারি উৎপাদনে গেলে তখন বাজারে দাম কমিয়ে দিয়ে ক্ষতিতে ফেলছে।’

সংগঠনটি আরও বলেছে, ‘পোলট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চা শতভাগ উৎপাদন করে করপোরেট প্রতিষ্ঠান। তারাই আবার আংশিক ডিম ও মুরগি উৎপাদন করে। চুক্তিভিত্তিক খামারও রয়েছে তাদের। এতে করে বাজার তাদের দখলে চলে যাচ্ছে। এটা বন্ধ করা না গেলে এই খাতের অস্থিরতা কমানো সম্ভব নয়।’

আরও পড়ুন:
ব্রয়লারের দামে রেকর্ডের কারণ কী
ব্রয়লার মুরগির মাংস ঝুঁকিপূর্ণ নয়: কৃষিমন্ত্রী
ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ক্ষতিকারক দিক
ব্রয়লারের দামে ধস, হতাশ খামারিরা
ব্রয়লার নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর দুঃখ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of broiler has started to decrease

কমতে শুরু করেছে ব্রয়লারের দাম

কমতে শুরু করেছে ব্রয়লারের দাম বাজারে কমতে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগির দাম, রোজার শুরুতে মাছের দামও কিছুটা কম। ছবি: কোলাজ নিউজবাংলা
শ্যামবাজারের রাতুল এন্টারপ্রাইজের শফিকুল মোড়ল বলেন, 'এখন এমন সময় আইছে যে রমজানেও মানুষের আনাগোনা কম দেখা যাচ্ছে। অথচ রমজান মাস আইলে মানুষের ভীড় লাইগ্যা থাকতো। আর এখন হাতেগোনা মানুষ বাজারে আসতাছে।

পোলট্রি খাতের শীর্ষস্থানীয় চার প্রতিষ্ঠান খামার পর্যায়ে ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর খুচরা বাজারে এর দাম কমতে শুরু করেছে।

রমজানের প্রথম দিন শুক্রবার রাজধানীর শ্যামবাজার, সূত্রাপুর বাজার, ধুপখোলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবারও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৬০-২৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় বৃহস্পতিবার এ খাতে দেশের চার প্রধান প্রতিষ্ঠান কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, আফতাব বহুমুখী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর কোম্পানিগুলো খামার পর্যায়ে নির্ধারিত এ দামে মুরগি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয়।

এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। বাজারে হাড়সহ গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি, হাড়ছাড়া ১ হাজার টাকা কেজি, খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি, বকরি ১ হাজার টাকা কেজি।

এছাড়া বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের মতোই প্রকারভেদে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি, বুটের বেসন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, খেসারি ডালের বেসন ১০০ টাকা যা গত সপ্তাহেও একই দাম ছিল। মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা আর চিকন মসুর ডাল ১৪৫ টাকায় অপরিবর্তিত দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনির মূল্য গত সপ্তাহের সমান ১২০ টাকা কেজি, মুড়ি ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, লেবু প্রকারভেদে ৪০-৬০-৮০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

শ্যামবাজারের রাতুল এন্টারপ্রাইজের শফিকুল মোড়ল বলেন, ‘এখন এমন সময় আইছে যে রমজানেও মানুষের আনাগোনা কম দেখা যাচ্ছে। অথচ রমজান মাস আইলে মানুষের ভীড় লাইগ্যা থাকত। আর এখন হাতেগোনা মানুষ বাজারে আসতাছে। যেই হারে দাম বাড়ছে, মানুষও কী কইরা কিনবো? দাম কমলেই ভালা, আমরার বেচে বিক্রি বেশি হয়।’

মাছের দর কমেছে কিছুটা

রুই মাছ গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। বাজারে প্রকারভেদে রুই ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঙাশ ২৫০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কমে ২০০ টাকায়, ইলিশ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চাহিদা বেড়েছে তরমুজ বেলের

ইফতারিতে শরবত বানাতে তরমুজ ও বেলের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। বাজারে ৪০ টাকা কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। আর প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা হালি বেল বিক্রি হচ্ছে।

তরমুজ কিনতে আসা রিফাত হাসান বলেন, ‘তরমুজ কেজি ও পিস উভয় ভাবেই কিনতে পারছি। কেজি হিসেবে কিনলে ৪০ টাকা আর পিস হিসেবে কিনলে দেখা যাচ্ছে প্রকারভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দিয়ে কেনা যাচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
কমল স্বর্ণের দাম
রোজায় কম দামে দুধ, ডিম, মাংস বেচবে সরকার
নামমাত্র লেনদেনে সূচকের উত্থান
বিনিয়োগ সীমার নিচের ব্যাংকগুলোতে কঠোর হচ্ছে বিএসইসি
রমজানে পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Mayor Atiq warns of closing shops if high prices are charged during Ramadan

রমজানে বেশি দাম নিলে দোকান বন্ধের হুঁশিয়ারি মেয়র আতিকের

রমজানে বেশি দাম নিলে দোকান বন্ধের হুঁশিয়ারি মেয়র আতিকের বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘অন্যান্য দেশে রমজান বা অন্য কোনো উৎসব এলে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের জন্য ছাড় দেন। আর আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করেন। এটা খুবই লজ্জাজনক।’

পবিত্র রমজান মাসে কোনো দোকানদার ক্রেতার কাছে সরকার নির্ধারিত বাজারমূল্যের বেশি নিলে এবং তা প্রমাণ হলে সংশ্লিষ্ট দোকান বন্ধ করে দেয়া হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মহাখালী কাঁচাবাজার পরিদর্শন এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শনের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড উদ্বোধনকালে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন।

মূল্য তালিকা প্রদর্শনের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড উদ্বোধনের আগে মেয়র ঢুকে পড়েন মহাখালী কাঁচাবাজারে। প্রথমে দুটি মুদি পণ্যের দোকানে এবং পরে একটি চালের দোকানে যান। সেখানে মূল্য তালিকা অনুযায়ী দোকানে পণ্যের দরদাম পরীক্ষা করেন। এ সময় তিনি দোকানদারদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'ডিসপ্লেতে প্রদর্শিত নির্ধারিত মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি দাম নিলে দোকান বন্ধ করে দেব। কেউ ছাড় পাবেন না।'

ডিসপ্লে বোর্ড উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র বলেন, ‘অন্যান্য দেশে রমজান বা অন্য কোনো উৎসব এলে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের জন্য ছাড় দেন। আর আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করেন। এটা খুবই লজ্জাজনক।

‘আমরা কাউন্সিলরকে আহ্বায়ক করে বাজার মনিটরিং কমিটি করে দিয়েছি। এছাড়া আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কাউন্সিলররা মাঠে থাকবেন। কেউ বেশিমূল্য নিচ্ছে কি না তা জানতে আমরা মনিটরিং করব পুরো রমজান মাস।’

তিনি জানান, প্রতিদিন বিকেল ৩টায় পণ্যের দাম জানিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ডিএনসিসির মনিটরিং টিমের কাছে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হবে। সেই মূল্য পাওয়ার পর তা ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে সবার কাছে তুলে ধরা হবে।’

মহাখালী কাঁচাবাজারে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আ. ন. ম তরিকুল ইসলাম, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী, বাজার মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক ও ৩২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলামসহ অন্যান্য কাউন্সিলর এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
প্ল্যাটিনাম হোটেলস্ বাই শেলটেকে ইফতার ও সেহরির বিশেষ আয়োজন
‘রমজানে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির শঙ্কা নেই’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Assurance of sale of broiler in the farm within 195 rupees

খামারে ১৯৫ টাকার মধ্যে ব্রয়লার বিক্রির আশ্বাস

খামারে ১৯৫ টাকার মধ্যে ব্রয়লার বিক্রির আশ্বাস প্রতীকী ছবি
শুক্রবার থেকে এ চারটি কোম্পানি নতুন দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করবে করলে ভোক্ত পর্যায়ে এর দাম কমবে বলে আশা করছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

খামার পর্যায়ে দাম ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা ব্রয়লার মুরগি বিক্রির আশ্বাস দিয়েছে এ খাতে দেশের চার প্রধান প্রতিষ্ঠান কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, আফতাব বহুমুখী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় চার কোম্পানিকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর কোম্পানিগুলো খামার পর্যায়ে নির্ধারিত এ দামে মুরগি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেন।

শুক্রবার থেকে এ চারটি কোম্পানি নতুন দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করবে করলে ভোক্ত পর্যায়ে এর দাম কমবে বলে আশা করছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, রোজায় বাজারে ব্রয়লার মুরগির দামে ৩০-৪০ টাকার একটা প্রভাব পড়বে। আশা করছি, ভোক্তা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগির দাম কমবে ৩০-৪০ টাকা।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘কাজী ফার্ম, সিপি, প্যারাগন ও আফতাব ফার্মের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। কোম্পানিগুলো আজ পর্যন্ত প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা করে মিলগেটে বিক্রি করেছে। তারা আজ বৈঠকে আমাদের জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে ১৯০-১৯৫ টাকায় বিক্রি করবে। আশা করছি, ভোক্তা পর্যায়ে এখন দাম ৩০-৪০ টাকা কমবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি তাদের আহ্বান করেছি, আপনারা এই রমজান মাসে একটু কম লাভ করেন। তারা একমত হয়েছেন। ফার্ম থেকে ব্রয়লার আসছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা রেটে। সে ক্ষেত্রে তো খোলাবাজারে ২৫০ টাকা হবেই।’

ব্রয়লারের দাম কমাতে প্রয়োজনে বর্ডার উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলেও জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

আরও পড়ুন:
ব্রয়লারের দামে রেকর্ডের কারণ কী
ব্রয়লার মুরগির মাংস ঝুঁকিপূর্ণ নয়: কৃষিমন্ত্রী
ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ক্ষতিকারক দিক
ব্রয়লারের দামে ধস, হতাশ খামারিরা
ব্রয়লার নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর দুঃখ

মন্তব্য

p
উপরে