× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

google_news print-icon

বাংলাদেশি বিনিয়োগ চায় পাকিস্তান

বাংলাদেশি-বিনিয়োগ-চায়-পাকিস্তান
ডিসিসিআই সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন পাকিস্তানি দূত
বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, চায়না-পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডোর (সিপিইসি) ব্যবহার করে স্বল্প সময় ও খরচে চীন, মধ্য এশিয়ার দেশ ও রাশিয়ায় পণ্য পরিবহন করা যাবে। পাকিস্তানে বিনিয়োগ করে এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন বাংলাদেশি শিল্প উদ্যোক্তারা।

পাকিস্তানে বিনিয়োগ করতে বাংলাদেশি শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

বাংলাদেশের পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার এই আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি শামস মাহমুদ এর সঙ্গে দেখা করেন পাকিস্তানি দূত। এ সময় তিনি এই আহ্বান জানান।

অর্থনীতির সব কটি সূচকে পাকিস্তানকে বাংলাদেশের ছাড়িয়ে যাওয়া নিয়ে গত প্রায় এক দশক ধরেই নানা আলোচনা আছে। এর মধ্যে এই আহ্বান এল।

ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী জানান, চায়না-পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডোর (সিপিইসি) ব্যবহার করে স্বল্প সময় ও খরচে চীন, মধ্য এশিয়ার দেশ ও রাশিয়ায় পণ্য পরিবহন করা যাবে। পাকিস্তানে বিনিয়োগ করে এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন বাংলাদেশি শিল্প উদ্যোক্তারা।

বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের কথা আলাদা করে উল্লেখ করেন পাকিস্তানি দূত। বলেন, ‘বাংলাদেশ তথ্য-প্রযুক্তি ও এ খাতসংশ্লিষ্ট সেবা খাতে বেশ দক্ষতা ও সফলতা অর্জন করছে‌। এ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলো পাকিস্তানে বিনিয়োগ করতে পারে।’

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তবে এ লক্ষ্য অর্জনে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো নিরসন হওয়া দরকার।’

ডিসিসিআই সভাপতি পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য, তথ্য-প্রযুক্তি সেবা, সিরামিক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিখাদ্য এবং আরও বেশি ওষুধ আমদানির আহ্বান জানান।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি দুই দেশের চেম্বারগুলোর মধ্যকার যোগাযোগ সংহত করার পাশাপাশি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল প্রেরণ, বাণিজ্য মেলা, বিটুবি, রোড-শো আয়োজনেরও প্রস্তাব করেন।

ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার উপরও জোর দেন তিনি।

পাকিস্তান হাইকমিশনারও তার দেশ থেকে শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল ও টেক্সটাইল পণ্য আমদানির আহ্বান জানান।

মত বিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বাশিরউদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আফসারুল আরিফিন, সচিব জয়নাল আব্দীন, পাকিস্তান দূতাবাসের কমার্শিয়াল সেক্রেটারি মোহাম্মদ সুলেমান খান, কমার্শিয়াল অ্যাসিটেন্ট গোলাম নবী প্রমুখ।

২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলার।

এর মধ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি করে পাঁচ কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার ডলারের পণ্য। অন্যদিকে পাকিস্তান রপ্তানি করে ৪৯ কোটি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার ডলারের পণ্য।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Asia is the main driver of global growth

‘বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির প্রধান চালক এশিয়া’

‘বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির প্রধান চালক এশিয়া’ চীনের হাইনান প্রদেশে চার দিনব্যাপী বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া-২০২৩ সম্মেলন শেষে হয়েছে শুক্রবার। ছবি: নিউজবাংলা
চীনের হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত চার দিনব্যাপী বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া-২০২৩ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পারস্পরিক সহযোগিতা ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। এই চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। আগামী দিনে এশিয়া বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে ৭৫ শতাংশ অবদান রাখবে।

বৈশ্বিক অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পারস্পরিক সহযোগিতা ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। এই চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। উদীয়মান ও উন্নয়নশীল এশিয়া বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির প্রধান চালক। আগামী দিনে এশিয়া বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে ৭৫ শতাংশ অবদান রাখবে।

চীনের হাইনান প্রদেশে ২৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া ২০২৩-এ বক্তারা এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ছিয়ংহাই সিটির বোয়াও টাউনে অনুষ্ঠিত চার দিনব্যাপী এই বর্ণাঢ্য সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা ও নতুন পদক্ষেপের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে বৈশ্বিক সমৃদ্ধিতে চীনের ভূমিকা তুলে ধরা হয়।

এতে ৫০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের দুই সহস্রাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন। এছাড়া ১৭০টিরও বেশি গণমাধ্যমের ১১০০ জনেরও বেশি সাংবাদিক অনুষ্ঠানটি কাভার করেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিদেশি অতিথিরা বলেন, ‘বিশ্বের অনির্দিষ্টতা বেড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশের উচিত ঐক্যবদ্ধ হয়ে এশিয়া ও বিশ্বের সমৃদ্ধ উন্নয়নে অবদান রাখা। এশিয়ায় প্রধান অর্থনীতি হিসেবে চীন বহু পক্ষবাদ ও আঞ্চলিক সহযোগিতায় অব্যাহতভাবে ভূমিকা রাখবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ থাকলেও সহযোগিতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’

এ সময় বিশ্ব নেতারা বিভিন্ন দেশের যৌথভাবে সহযোগিতা জোরদার, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং আরও শক্তিশালী এশিয়া গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বোয়াও এশিয়া ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল, ‘একটি অনিশ্চিত বিশ্ব: চ্যালেঞ্জসমূহ, উন্নয়নের জন্য সংহতি ও সহযোগিতা’।

‘বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির প্রধান চালক এশিয়া’
বোয়াও সম্মেলনে যোগ দিয়ে বক্তব্য দেন চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। ছবি: নিউজবাংলা

ফোরামে যোগ দিয়ে চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বলেন, ‘অনিশ্চয়তার বিশ্বে চীনের স্থিতিশীলতা একটি প্রধান ভিত্তি, যা বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নকে রক্ষা করে। এটি অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি বাস্তবসম্মত।

‘বিশ্ব যেভাবেই পরিবর্তিত হোক না কেন, চীন সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ এবং উদ্ভাবন-চালিত উন্নয়ন মেনে চলবে। এটি করার মাধ্যমে চীন কেবল বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন প্রেরণা দেবে না, বরং বিশ্বকে চীনের উন্নয়ন থেকে সুযোগ নিতে সক্ষম করবে।’

কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব থেকে চীনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রবণতা উল্লেখ করে লি বলেন, ‘মার্চ মাসে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির তুলনায় মূল সূচকগুলোর ক্রমাগত উন্নতি হচ্ছে। চীনের অর্থনীতির প্রচুর সম্ভাবনা ও প্রাণশক্তি রয়েছে।

‘চীনের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়া, স্থিতিশীল ও টেকসই প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখার ব্যাপারে আমাদের আত্মবিশ্বাস রয়েছে।’

লি কিয়াং উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ রক্ষা এবং বৈশ্বিক অস্থির অবস্থায় যৌথভাবে চেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান। বলেন, ‘এশিয়া ভবিষ্যতে বৃহত্তর উন্নয়ন অর্জন করতে চাইলে অবশ্যই বিশৃঙ্খলা বা যুদ্ধ হবে না। চীন শান্তিপূর্ণ উপায়ে দেশগুলোর মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে এবং যৌথভাবে বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

‘চীন সব সময় বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করাতে গুরুত্ব দিয়েছে। চীন বাজারে প্রবেশের সুযোগ আরও সহজ করবে, উচ্চমানের মুক্ত বাণিজ্য এলাকার বিশ্বভিত্তিক নেটওয়ার্ক প্রসারিত করবে।’

বৈশ্বিক অর্থনীতি বেশ কিছুদিন ধরেই মহামারি, ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব এবং বিশ্বায়ন বিরোধী মনোভাবসহ বেশ কয়েকটি কারণে চাপে রয়েছে। তবে প্রতিটি মেঘের একটি রূপালী আস্তরণ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন।

তিনি বলেন, ‘উদীয়মান ও উন্নয়নশীল এশিয়া বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির প্রধান চালক। এশিয়া বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে ৭৫ শতাংশ অবদান রাখবে।’

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেন, ‘বাণিজ্য একীকরণের কল্যাণে গত কয়েক বছরে এশিয়ার অর্থনীতির শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। গত তিন বছরে নিম্ন আয়ের অনেক দেশ সমস্যায় পড়েছে৷ খাদ্য নিরাপত্তাসহ অনেক দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়েছে। এসব দেশকে টেনে তোলার পরিকল্পনা নিতে হবে। সহায়তার মাধ্যমে এসব সমস্যা দূর করতে হবে।’

আরও পড়ুন:
বিশ্বকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে নেবে এশিয়া

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Conducted ethics committee meeting regarding implementation of ethics of Sonali Bank

সোনালী ব্যাংকের শুদ্ধাচার বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নৈতিকতা কমিটির সভা

সোনালী ব্যাংকের শুদ্ধাচার বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নৈতিকতা কমিটির সভা সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের নৈতিকতা কমিটি ও অংশীজনের অংশগ্রহণে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের তৃতীয় সভায় উপস্থিত ব্যক্তিরা। ছবি: নিউজবাংলা
গত বুধবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের নৈতিকতা কমিটি ও অংশীজনের অংশগ্রহণে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত বুধবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের নৈতিকতা কমিটির আহ্বায়ক, সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর আফজাল করিমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ, সঞ্চিয়া বিনতে আলী, মীর মোফাজ্জল হোসেন, সুভাষ চন্দ্র দাস, কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, পারসুমা আলম, প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজারসহ ব্যাংকের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে নৈতিকতা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Discussion and Iftar Mahfil held on the 40th anniversary of Islami Bank

ইসলামী ব্যাংকের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা ও ইফতার মাহফিল

ইসলামী ব্যাংকের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা ও ইফতার মাহফিল ইসলামী ব্যাংকের আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: নিউজবাংলা
ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নাজমুল হাসান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমেদ, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন, ডিরেক্টর মো. জয়নাল আবেদীন, অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল আলম, সৈয়দ আবু আসাদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, এফসিএমএ।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সর্বজনীন কল্যাণে ইসলামী ব্যাংকিং’ শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বৃহস্পতিবার এসব অনুষ্ঠান হয়।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নাজমুল হাসান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমেদ, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন, ডিরেক্টর মো. জয়নাল আবেদীন, অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল আলম, সৈয়দ আবু আসাদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, এফসিএমএ।

অনুষ্ঠানে মূল আলোচনা উপস্থাপন করেন ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার। স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী। দোয়া পরিচালনা করেন শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদ। গ্রাহকদের পক্ষ থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন মিনিস্টার মাই ওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান রাজ ও আলিফ গ্রুপ অব কোম্পানিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আজিজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস ও মো. আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরসহ জ্যেষ্ঠ নির্বাহী, বিচারপতি, কূটনীতিক, আইনজীবী, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, উলামা ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির ভাষণে অধ্যাপক মো. নাজমুল হাসান বলেন, ‘কল্যাণমুখী ব্যাংকিংয়ের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ১৯৮৩ সালের এই দিনে ইসলামী ব্যাংক যাত্রা শুরু করে। দেশের আমানত, বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আহরণ, শিল্পায়ন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ মার্কেট শেয়ার ধারণ করে ইসলামী ব্যাংক জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম শক্তিতে পরিণত হয়েছে। গণমানুষের অপরিসীম আস্থা ও ভালোবাসায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

‘আন্তরিক রেমিট্যান্স সেবার মাধ্যমে প্রবাসীদের অবিচল আস্থা অর্জন করেছে এই ব্যাংক। এই ব্যাংকের কল্যাণধর্মী সেবা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমাদৃত।’

ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তুলতে ইসলামী ব্যাংকের আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সেবা, সেলফিন অ্যাপ ও ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ সব আর্থিক সেবা গ্রহণ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক আজ সাফল্য ও অগ্রগতির ৪০ বছর অতিক্রম করেছে। এ ব্যাংকের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এখন দেশে ১০টি ব্যাংক পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংকসহ প্রায় ৩৪টি ব্যাংক শাখা ও উইনডোর মাধ্যমে ইসলামি ব্যাংকিং পরিচালনা করছে।

‘দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ইসলামী ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক সবচেয়ে বেশি পরিপালনকারী ব্যাংক এবং দেশের ব্যাংকিং খাতে এ ব্যাংকের দক্ষতা ও পরিচালন কৌশল শ্রেষ্ঠত্বের মানে উন্নীত। এ ব্যাংক জাতীয় উন্নয়নের গর্বিত অংশীদার।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্স প্রকল্প।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital markets moving towards desired targets BSEC Chairman

পুঁজিবাজার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

পুঁজিবাজার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে: বিএসইসি চেয়ারম্যান ইফতার পার্টিতে বক্তব্য দেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অ্যধাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘পুঁজিবাজার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে। এই বাজারের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ আনার জন্য বিভিন্ন দেশে যে রোড শো আয়োজন করা হয়েছিল, সেগুলোর সুফল আসতে শুরু করেছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নানা বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।’

দেশের পুঁজিবাজার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অ্যধাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

রাজধানীর একটি হোটেলে শুক্রবার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ইফতার পার্টিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘পুঁজিবাজার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে। এই বাজারের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ আনার জন্য বিভিন্ন দেশে যে রোড শো আয়োজন করা হয়েছিল, সেগুলোর সুফল আসতে শুরু করেছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নানা বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সঠিক পথে আগাচ্ছে। এভাবে এগুতে থাকলে অবশ্যই আমরা উন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবো।’

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, কমিশনার ড. মিজানুর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মাদ হাসান বাবু, পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, রুবাবা দৌলা, শাকিল রিজভী, শরীফ আনোয়ার, বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও, সিসিবিএলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ফরহাদ আহমেদ, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, আনোয়ার হোসেন, ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক একে এম সাইফুর রহমান, সিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফারুক, ইআরএফের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জিয়াউর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মাদ হাসান বাবু বলেন, আমাদের বাজারে বড় এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রয়োজন। তাই আমরা আরও বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আমাদের পুঁজিবাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট বা যুক্ত করার চেষ্টা করবো।

সিএমজেএফ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সব সরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশাধিকার ও ডিজিটাল সিকিউরিটিজ অ্যাক্ট বাতিলের দাবি জানান। তিনি বলেন, স্বাধীন ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা পুঁজিবাজার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থেই জরুরি।

আরও পড়ুন:
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হবে: ডিএসই চেয়ারম্যান
শেষ কর্মদিবসে সূচক ও লেনদেনে উত্থান
সূচকের উত্থান-পতনে শেষ হলো লেনদেন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
If you cheat in the sale of clothes on Eid action will be taken

ঈদে পোশাক বিক্রিতে প্রতারণা করলে ব্যবস্থা

ঈদে পোশাক বিক্রিতে প্রতারণা করলে ব্যবস্থা ফাইল ছবি
সভায় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলা হয়, ঈদ উপলক্ষে একই পোশাকের দাম অন্যান্য সময়ের তুলনায় বাড়িয়ে দেয়া, মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, এক ধরনের পোশাকে ভিন্ন ভিন্ন দামের ট্যাগ লাগানো, ছিট কাপড়ের ক্ষেত্রে মিটারের পরিবর্তে গজের ব্যবহার এবং আসল বলে নকল কাপড় বিক্রির অভিযোগ পেলে ভোক্তা আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আসন্ন ঈদ উপলক্ষে পোশাকসহ নানা পণ্য কেনাকাটায় ক্রেতারা যেন প্রতারণার শিকার না হন সে ব্যাপারে নজরদারি করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভোক্তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের প্রতারণা করলে নেয়া হবে ব্যবস্থা।

রাজধানীতে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে সম্প্রতি পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তৈরি পোশাকের বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও বুটিক হাউসের শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ ’-বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এমন বার্তা দেয়া হয় বলে শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সভায় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলা হয়, ঈদ উপলক্ষে একই পোশাকের দাম অন্যান্য সময়ের তুলনায় বাড়িয়ে দেয়া, মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, এক ধরনের পোশাকে ভিন্ন ভিন্ন দামের ট্যাগ লাগানো, ছিট কাপড়ের ক্ষেত্রে মিটারের পরিবর্তে গজের ব্যবহার এবং আসল বলে নকল কাপড় বিক্রির অভিযোগ পেলে ভোক্তা আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ছাড়া কারখানা থেকে পোশাকের মোড়কের গায়ে খুচরা মূল্য না লেখা, খুচরা মূল্য ঘষামাজা বা কাটাকাটি করে বেশি মূল্য নির্ধারণ, পুরোনো মূল্যের ওপর নতুন স্টিকার লাগিয়ে বেশি দাম নেয়া, শতভাগ কটন ঘোষণা দিয়ে তাতে ভেজাল দেয়া, কাটা-ফাটা পোশাক বিক্রি করা, সময়মতো কাপড় পরিবর্তন করে না দেয়া এবং টাকা পরিশোধে লম্বা সারিতে অপেক্ষমাণ না রাখার বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের তাগিদ দেয়া হয়।

নকল পণ্যের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘অন্য বারের মতো এবারও কাপড়ের বাজারে আমাদের তদারকি থাকবে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিদেশি পোশাক ও প্রসাধনীর ক্ষেত্রে আমদানিকারকের নাম ও সিল থাকতে হবে।’

শপিংমলগুলোতে অনিয়ম পেলে মার্কেট কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে কিছু ব্যবসায়ী আমাদের দেশে আসেন। তারা বাসা ভাড়া নিয়ে ভেতরে–ভেতরে টার্গেট কাস্টমারের কাছে বিদেশি কাপড় বিক্রি করেন। এ ধরনের কার্যক্রম দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে দেয়া হলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা চাই, সবাই আইন মেনে ব্যবসা করুক। ভোক্তারা যেন ন্যায্যমূল্যে পণ্য পান।’

সভায় স্বাগত বক্তব্যে ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাপড়ের গুণগত মান যেন ভালো থাকে। যাতে বিদেশি যারা আসেন, তারা যেন কাপড়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারেন। কাপড়ের দামের ট্যাগ যেন কারখানায় লাগানো হয়। বিক্রয়কেন্দ্রে যেন দামের ট্যাগ লাগানো না হয়। এর ব্যত্যয় হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, আড়ং, আর্টিসান, অঞ্জনস, টপ টেন, লুবনান, নগরদোলা, রং বাংলাদেশসহ বিভিন্ন পোশাকের ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
ফুটপাতে জমে উঠেছে ঈদকেন্দ্রিক কেনাকাটা
ঈদে ৬ দিন ফেরিতে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান পারাপার বন্ধ
শপিং মলে অনিয়ম পেলে মার্কেট কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of broiler increased again

আবার বাড়ল ব্রয়লারের দাম

আবার বাড়ল ব্রয়লারের দাম ব্রয়লারের দাম বেড়েছে। কোলাজ: নিউজবাংলা
গত বেশ কিছু দিন ধরে দেশের বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে ‘অরাজকতা’ চলছিল। ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা মধ্যে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম হাঁকিয়েছিলেন বিক্রেতারা। তবে এর কয়েক দিন পরই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা দেশের ‘বিগফোর’ খ্যাত চারটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে তলব করলে দাম কিছুটা কমে ২০০ টাকার ঘরে এসেছিল।

দুদিনের মতো ২০০ টাকার ঘরে থাকার পর ব্রয়লার মুরগির দাম আবার বেড়েছে। শুক্রবার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।

গত বেশ কিছু দিন ধরে দেশের বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে ‘অরাজকতা’ চলছিল। ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা মধ্যে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম হাঁকিয়েছিলেন বিক্রেতারা। তবে এর কয়েক দিন পরই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা দেশের ‘বিগফোর’ খ্যাত চারটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে তলব করলে দাম কিছুটা কমে ২০০ টাকার ঘরে এসেছিল।

ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা চাইলেন দাম বাড়ে, তারা চাইলেই দাম কমে। এই ‘সিন্ডিকেট’ থেকে মুক্তি চান ক্রেতারা।

শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডা, কারওয়ান বাজার, নাখালপাড়া কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লারের দাম গত সপ্তাহে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, ভোক্তার তলবের পর চার প্রতিষ্ঠান আশ্বাস দেয় খামার পর্যায়ে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা বিক্রি করার। সেই আশ্বাসের পর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। মিলগেটে বিক্রি হয় ১৫৫ টাকায়। তবে তার দুদিন পরই এই দাম আরেকবার লাফ দেয়। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। এ ছাড়া লেয়ার মুরগি ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হতে দেখা গেছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজিতে।

বাড্ডা বাজারে ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা আনোয়ার হোসেন সবুজ বলেন, ‘দেখলাম ব্রয়লারের দাম একটু কমেছে। এখন বাজারে এসে দেখি আবার ২০ টাকা কেজিতে বেড়ে গেছে। দুই দিনের ব্যবধানে কেজি ৬০-৮০ টাকা কমিয়ে তারা কীভাবে ২০০ টাকা বিক্রি করছিল? এখন তাহলে আবার কেন কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে দিল? তাহলে তো বোঝাই যাচ্ছে এগুলোর দাম তারা নিজের ইচ্ছেমতো বাড়ায় ও কমায়। এসব সিন্ডিকেট থেকে মুক্ত হওয়া দরকার।’

এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজিতে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা কেজিতে। আর ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০৫০ টাকা কেজিতে।

গত সপ্তাহের মতোই প্রকারভেদে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি, বুটের ডালের বেসন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, খেসারি ডালের বেসন ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও একই দাম ছিল। মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, আর চিকন মসুর ডাল ১৪৫ টাকায় অপরিবর্তিত দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনির মূল্য গত সপ্তাহের সমান ১২০ টাকা কেজি, মুড়ি ৮০ টাকা, বেগুনের দর ৮০ টাকা, আলুর কেজি ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর দাম কিছুটা কমে প্রকারভেদে হালি ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির মধ্যে সবগুলোর দামই গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে। করলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় এবং শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্রতি কেজি পটলের দাম ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকার মধ্যে রাখা হচ্ছে। লাউ প্রকারভেদে প্রতিটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার স্থিতিশীল

বাজারে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের মাছের দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে। রুই আকারভেদে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা প্রতি কেজিতে। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়।

দাম অপরিবর্তিত থাকার ব্যাপারে নাখালপাড়া কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী সোহেল হোসাইন বলেন, ‘রোজা এলে সবকিছুর দামই একটু বাড়তির দিকে থাকে। তবে রোজার কয়েক দিন যাওয়ার পর থেকেই দাম কমা শুরু করে। তাই গত সপ্তাহে যেসব পণ্যের দাম কমেছিল, সেগুলো আগের দরেই আছে। রোজার আরও কিছুদিন পর আরেকটু কমতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এখন কমা বা আগের দাম থাকলেও ঈদের কয়েক দিন আগে আবার কিছুটা দাম বাড়বে। বুঝেনই তো, মানুষ ঈদের আগে একটু কেনাকাটার পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। তাই চাহিদাও বাড়ে, দামও বাড়ে। তবে দাম কম থাকলে আমাদের বেচাকেনা বেশি হয়।’

আরও পড়ুন:
ব্রয়লারের দামে রেকর্ডের কারণ কী
ব্রয়লার মুরগির মাংস ঝুঁকিপূর্ণ নয়: কৃষিমন্ত্রী
ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ক্ষতিকারক দিক
ব্রয়লারের দামে ধস, হতাশ খামারিরা
ব্রয়লার নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর দুঃখ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Foreign Secretary wants more investment in skills development of expatriates

প্রবাসীদের দক্ষতা উন্নয়নে আরও বিনিয়োগ চান পররাষ্ট্র সচিব

প্রবাসীদের দক্ষতা উন্নয়নে আরও বিনিয়োগ চান পররাষ্ট্র সচিব সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাজ করছেন প্রবাসীরা। ফাইল ছবি
মাসুদ বিন মোমেন প্রবাসীদের ক্ষমতায়নে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক মডেল উদ্ভাবনের পাশাপাশি আইসিটি শিক্ষার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা উন্নয়নে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানান।

যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশের অভিযাত্রায় প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন।

জাতিসংঘের সদরদপ্তরে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আয়োজিত ‘উন্নয়নের এজেন্ট হিসেবে প্রবাসী, অভিবাসী এবং বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মাসুদ বিন মোমেন প্রবাসীদের ক্ষমতায়নে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক মডেল উদ্ভাবনের পাশাপাশি আইসিটি শিক্ষার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা উন্নয়নে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে নিজ দেশের পণ্যের অন্যতম ভোক্তা হিসেবে প্রবাসীরা রপ্তানি বৃদ্ধি ও রপ্তানি বৈচিত্র্য আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তারা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক মডেল তৈরিতে অবদান রাখে এবং নিজ দেশে তাদের পরিবার ও পরিচালিত ব্যবসায় অর্থ পাঠিয়ে সেখানকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেন।’

আরও পড়ুন:
বিদেশে বসেই এনআইডি কার্ড পাবেন প্রবাসীরা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩০ ডিসেম্বর প্রবাসী দিবস
মধ্যপ্রাচ্যে নির্ধারণ হচ্ছে বাংলাদেশিদের সর্বনিম্ন বেতনসীমা
বিজয়ের মাসে রেমিট্যান্সে ফের ঊর্ধ্বগতি
১০৭ টাকার বেশি দরে রেমিট্যান্স আনছে কয়েকটি ব্যাংক

মন্তব্য

p
উপরে