ক্ষিপ্ত অক্টোপাস ও সেটির আঘাতের শিকার ল্যান্স কার্লসন। ছবি: সংগৃহীত
আঘাতের দৃশ্যের ভিডিও বা ছবি তুলতে পারেননি কার্লসন। তবে সাঁতরে তীরে আসার সময় যখন সেখানেও তাকে ধেয়ে যায় অক্টোপাসটি, তখন স্মার্টফোনে সেটির ভিডি ধারণ করেন তিনি। ভাইরাল হওয়া সে ভিডিওতেও তেড়ে আসতে দেখা গেছে অক্টোপাসটিকে। সেটির রাগের কারণ অজানা।
অস্ট্রেলিয়ার এক সমুদ্র সৈকতে সাঁতার কাটার সময় হঠাৎই অক্টোপাসের আক্রমণের শিকার হয়েছেন এক ব্যক্তি। বেঁচে ফিরে জানিয়েছেন, ‘ভীষণ রাগী এক অক্টোপাস’ পিটিয়ে লাল করেছে তাকে!
অদ্ভুত শোনালেও প্রমাণ হিসেবে ‘রাগী অক্টোপাস’টির ভিডিও’ ধারণ করেছেন তিনি। সঙ্গে আছে ঘাড়ে ও পিঠে অক্টোপাসের আঘাতের দাগ।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ল্যান্স কার্লসন নামের ওই ব্যক্তি পেশায় ভূতত্ত্ববিদ। ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান সৈকতে।
দুই বছরের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে তীরের কাছেই সাঁতার কাঁটছিলেন তিনি। এমন সময় দূর থেকে পানিতে কোনোকিছুর নড়াচড়া দেখেন তিনি। প্রথমে ভেবেছিলেন লম্বা লেজের স্ট্রিংরে মাছ লেজ দিয়ে বুঝি পানির কাছে আসা কোনো পাখিকে ধরার চেষ্টা করছে। সেটি দেখতে কাছে যাওয়ার পরই অক্টোপাসের অস্তিত্ব চোখে পড়ে তার। এমন সময় হঠাৎই তার হাতে আঘাত করে অক্টোপাসটি।
এ ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গেই মেয়েকে নিয়ে সাগর থেকে উঠে আসেন কার্লসন। এরপর মেয়েকে রেখে একাই সাঁতার কাঁটতে নামলে আবারও তেড়ে আসে অক্টোপাসটি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কার্লসনের ঘাড়ে আর পিঠের ওপরের অংশে আট পেয়ে জীবটির শুঁড়ের ‘থাপ্পড়ের বন্যা’ শুরু হয়ে যায় রীতিমতো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে কার্লসন বলেন, ‘অক্টোপাসটিকে চড়াও হতে দেখে চমকে গিয়েছিলাম আমি। আমার গগলস ঝাপসা আর পানি ময়লা হয়ে গিয়েছিল। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে গেছিলাম।’
আঘাতের দৃশ্যের ভিডিও বা ছবি তুলতে পারেননি কার্লসন। তবে সাঁতরে তীরে আসার সময় যখন সেখানেও তাকে ধেয়ে যায় অক্টোপাসটি, তখন স্মার্টফোনে সেটির ভিডি ধারণ করেন তিনি।
ভাইরাল হওয়া সে ভিডিওতেও তেড়ে আসতে দেখা গেছে অক্টোপাসটিকে। সেটির রাগের কারণ অজানা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে আহত কার্লসন জানান, এ ধরনের ক্ষতে ভিনেগার ঢাললে দ্রুত স্বস্তি পাওয়া যায়। কিন্তু ঘটনার সময় হাতের কাছে ভিনেগার না থাকায় আঘাতের জায়গায় ঠাণ্ডা কোক ঢেলেছেন তিনি।
ভারতের কনিষ্ঠতম ধনী নিখিল কামাথ। ছবি: সংগৃহীত
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে সহায়তা করার জন্য নিখিল কামাথ গড়ে তোলেন নিজের প্রতিষ্ঠান জিরোধা। শেয়ার বাজারের পাশাপাশি মিউচুয়াল ফান্ড এবং বন্ড কেনাবেচায় দালালির কাজ করে তার প্রতিষ্ঠান।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে শুরু করেন নিজের ব্যবসা। পুরোনো ফোন কিনে তা আবার বেশি দামে বিক্রি করতেন নিখিল। বন্ধুর সঙ্গে সেই কাজ করতে গিয়ে স্কুলে ঠিকমতো যাননি তিনি।
কিন্তু বিধি বাম। একদিন ধরা পড়লেন স্কুলশিক্ষক মায়ের কাছে। কাছে থাকা ফোন কেড়ে নিয়ে ফেলে দেন টয়লেটে। মার খান মায়ের হাতে।
জোর করে ঘরে আটকে রাখা হলো নিখিলকে। সোজা রাস্তায় চলতে বাধ্য করা হয় তাকে। করা হলো ডিগ্রি অর্জনে জোরাজুরি। তাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে নিখিল হয়তো সেদিনই প্রতিজ্ঞা করেন ব্যবসা করবেন।
একদিন বিরক্ত হয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিলেন তিনি। সেই নিখিলই এখন ভারতের কনিষ্ঠতম বিলিওনিয়ার। ২৪ হাজার কোটি রুপি সম্পদের মালিক নিখিল কামাথের বয়স মাত্র ৩৪ বছর।
আনন্দবাজারের খবর থেকে জানা গেছে, নিখিল কামাথ পড়াশোনা ছেড়ে মাত্র ১৭ বছর বয়সে বাড়ি থেকে চলে যান। প্রথমে কাজ শুরু করেন এক কল সেন্টারে। সেখানে তার বেতন ছিল ৮ হাজার টাকা।
কাজ করতে হতো বিকেল ৪টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত। দিনের অন্য সময়টা কাজে লাগাতে শুরু করেন নিখিল।
শেয়ার বাজার, মিউচুয়াল ফান্ড- এসব নিয়ে বরাবরই কৌতূহল ছিল তার। বিষয়গুলোর গভীরে ঢুকতে প্রচুর পড়াশোনা শুরু করেন সে সময়টায়।
এরপর তিনি শেয়ার বাজার নিয়েই কাজ করার সংকল্প করেন। গড়ে তোলেন নিজের প্রতিষ্ঠান জিরোধা। মূলত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে সাহায্য করে তার সংস্থা। পাশাপাশি মিউচুয়াল ফান্ড এবং বন্ড কেনাবেচায় দালালির কাজও করে।
নিখিলেন বাবা রঘুনাথ কামাথ ছিলেন ব্যাংক কর্মী। ছেলের ইচ্ছা পূরণে অবশ্য অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন তিনি। শুধু বাবা নয়, তার উদ্যোগে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিলেন কল সেন্টারের সহকর্মীরাও।
জিরোধা ছাড়াও তার রয়েছে আরেকটি প্রতিষ্ঠান, ট্রু বেকন। বর্তমানে জিরোধার দৈনিক টার্নওভার প্রায় ১ কোটি ডলার।
২০২০ সালে ফোর্বসের প্রথম ১০০ ধনীর তালিকায় জায়গা করে নেন নিখিল। আর ২০২১ সালে হুরানের বৈশ্বিক ধনীর তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানে ভারতের তরুণ ধনী হিসেবে স্থান পেয়েছেন নিখিল। শুধু ব্যবসায়ী হিসেবে নয়, একজন সফল দাবাড়ুও নিখিল। খেলেছেন জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ।
গাছের মালিক আবদুর রহমান বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে বসতবাড়িতে লিচুগাছের চারাটি রোপণ করি। তিন বছরের মাথায় ফল আসে। এবার গাছ পরিচর্যা করতে গিয়ে চোখে পড়ে লিচু সঙ্গেই একই ডালে একটি আমও হয়েছে।’
লিচুগাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে ছোট ছোট লিচু। একটি থোকায় লিচুর সঙ্গে দেখা গেল একটি আম। ঠাকুরগাঁওয়ে এমন একটি ঘটনার ছবি ছড়িয়েছে ফেসবুকে।
গাছটি সদর উপজেলার ছোটবালিয়া সিংগিয়া কোলনীপাড়া গ্রামের আবদুর রহমান মটকির। লিচুগাছে আম ধরার ঘটনা দেখতে আশপাশের গ্রাম থেকেও যাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
নিউজবাংলার প্রতিবেদকও রোববার যান ওই গাছ দেখতে।
বাড়ির আঙিনায় লাগানো গাছটিতে লিচুর থোকায় ওই আমটি সবচেয়ে আগে আবদুর রহমানের নাতি হৃদয়ের চোখে পড়ে। তার কাছ থেকেই পাড়ার লোকজন এই বিরল গাছের বিষয়টি জানতে পারে।
খবরটি সত্যি কি না, তা দেখতে এসেছেন ওই গ্রামের মোকারক আলী। তিনি বলেন, ‘এই প্রথম হামরা শুনলাম যে লিচুগাছত আম ধরছে। প্রথমে আমি বিশ্বাস করিনি। নিজের চোখেত দেখে বিশ্বাস করছি।’
ওই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য হাসান আলী বলেন, ‘প্রথমে গাছের মালিক যখন আমাদের বলে আমরা বিশ্বাস করিনি। বরং উল্টা তাকে পাগল বলছি। পরে তার বাড়ি গিয়ে দেখি ঘটনাটি সত্যি।’
বিরল লিচু গাছটির মালিক আবদুর রহমান বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে বসতবাড়িতে লিচুগাছের চারাটি রোপণ করি। তিন বছরের মাথায় ফল আসে। এবার লিচুগাছে মনমতো মুকুল আসছে। গাছ পরিচর্যা করতে গিয়ে চোখে পড়ে লিচুর পাশে একই ডালে একটি আমও হয়েছে। এ যেন আল্লাহর নিয়ামত।’
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনে গাছটি দেখতে গেছিলাম। আমি প্রথমে মনে করছি হয়তো লিচুগাছে কলম করে আমগাছের চারা রোপণ করেছে। কিন্তু তা নয়।
‘সত্যিই লিচুগাছে লিচুর সঙ্গে আম ঝুলছে। পুরো গাছে একটি আমই ধরেছে। তবে আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব।’
তবে এলাকার অনেকের সন্দেহ, বিশেষ কৌশলে ওই গাছে আমটি ঝুলিয়ে রাখা হয়ে থাকতে পারে।
কানাডার কুইবেকের সংসদ সদস্য উইলিয়াম আমোস। ছবি: সংগৃহীত
ভার্চুয়াল সেশন চলা অবস্থায় ল্যাপটপের ক্যামেরা চালু হওয়ার পর লিবারেল পার্টির এমপি উইলিয়াস আমোস নগ্ন অবস্থায় হাজির হন। এ সময় তার হাতে মোবাইল ফোন ছিল। দুই পাশে ছিল কুইবেক ও কানাডার পতাকা।
কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সের অনলাইন বৈঠকে নগ্ন হয়ে হাজির হয়েছেন এক সংসদ সদস্য (এমপি)।
অসাবধানতাবশত এমনটি হয়েছে জানিয়ে সহকর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভার্চুয়াল সেশন চলা অবস্থায় ল্যাপটপের ক্যামেরা চালু হওয়ার পর লিবারেল পার্টির এমপি উইলিয়াস আমোস নগ্ন অবস্থায় হাজির হন। এ সময় তার হাতে মোবাইল ফোন ছিল। দুই পাশে ছিল কুইবেক ও কানাডার পতাকা।
পরে বিষয়টি নিয়ে আমোস ক্ষমা চান সহকর্মীদের কাছে। তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই বড় ভুল করে ফেলেছি; আমি বিব্রত।’
৪৬ বছর বয়সী আমোস এ ঘটনায় একটি টুইটও করেছেন। এতে তিনি বলেন, ‘আমি জগিং করে এসে অফিসের পোশাক পরার সময় ভুলক্রমে ক্যামেরা অন হয়ে যায়।
‘সহকর্মীদের কাছে বিনীতভাবে ক্ষমা চাই। এটা সত্যিই খুব বড় ভুল এবং এমন ভুল আর ভবিষ্যতে হবে না।’
কিন্তু কুইবেকের ওই এমপি কোন সেশন কিংবা কোন বিষয়ে ও কোন সময়ের মিটিংয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা জানা যায়নি।
দেশটিতে পোশাক পরার ‘বিধি ও ডেকোরামে’ সংসদ বা কোনো মিটিংয়ে বসার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পোশাক পরার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে সমসাময়িক পোশাককে উৎসাহিত করা হয়। এর মধ্যে বিজনেস জ্যাকেট, শার্ট ও টাই রয়েছে।
এদিকে এমপির নগ্ন হওয়ার বিষয়টি জানাজানি শুধু হাউস অব কমন্স সদস্যদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
ক্ষমতাসীন দল লিবারেল পার্টির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এখনও বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
বিরোধী দলের হুইপ ক্লড ডিবেলেফিউল বিষয়টি নিয়ে পয়েন্ট অব অর্ডারে মন্তব্য করেন, দুর্ঘটনাবশত এমন কর্মকাণ্ড হলেও নিজেকে আবৃত রাখা উচিত।
তিনি বলেন, নির্দিষ্ট কোনো পোশাকে বাধ্যবাধকতা না থাকলেও পুরুষের ক্ষেত্রে যে পোশাকের কথা বলা আছে, শার্ট, প্যান্ট-স্যুট, তা-ই পরা উচিত। কোনোভাবেই বক্সার পরে আসা উচিত নয়। সেটা শোভনও নয়।
I made a really unfortunate mistake today & obviously I’m embarrassed by it. My camera was accidentally left on as I changed into work clothes after going for a jog. I sincerely apologize to all my colleagues in the House. It was an honest mistake + it won’t happen again.
— Will Amos (@WillAAmos) April 14, 2021
টেসকোর সপ্তাহব্যাপী ‘সুপার সাবস্টিটিউটস’ প্রচারের অংশ হিসেবে দেয়া হয়েছে এ উপহার। ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সৌভাগ্যবান ৮০ জন ক্রেতাকে চমকে দিতে উপহারের তালিকায় রাখা হয়েছে এয়ারপড, স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব এ-সেভেনের মতো পণ্য।
ব্রিটিশ বহুজাতিক অনলাইন সুপারমার্কেট চেইন টেসকোর ওয়েবসাইটে দিনের বাজারসদাই করতে ঢুকেছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব নিক জেমস। আপেলসহ টুকটাক বিভিন্ন পণ্য অর্ডারও করেন তিনি। কল্পনাতেও ছিল না বাজারের থলেতে কী বিস্ময় অপেক্ষা করছে তার জন্য।
গত বুধবার বয়ে আনা ব্যাগ খোলার আগেই সুপারমার্কেট কর্মী তাকে বলেছিলেন, দারুণ এক ‘সারপ্রাইজ’ অপেক্ষা করছে। এতেও তেমন অবাক হননি নিক। ভেবেছিলেন বিনা মূল্যে ডিম বা এ-জাতীয় কিছু পেয়েছেন হয়তো।
কিন্তু নিককে চমকে দিয়ে ব্যাগ থেকে বের হয়ে আসে বক্সসমেত একটি আইফোন এসই। সঙ্গে টেসকোর দেয়া একটি ছোট্ট চিঠি। এ থেকে তিনি জানতে পারেন, যে আপেল কিনতে অর্ডার প্লেস করেছিলেন তিনি, তার বদলে দেয়া হয়েছে আইফোনটি।
এমন ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যের টুইকেনহ্যামে। ভুলে নয়, বাণিজ্যিক প্রচারের অংশ হিসেবে আপেল কেনার বিনিময়ে উপহার দেয়া হয়েছে ব্রিটিশ মুদ্রায় ৪০০ পাউন্ড মূল্যের স্মার্টফোনটি।
টেসকোর বরাত দিয়ে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য মিরর জানিয়েছে, সপ্তাহব্যাপী ‘সুপার সাবস্টিটিউটস’ প্রচারের অংশ হিসেবে দেয়া হয়েছে এ উপহার। ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সৌভাগ্যবান ৮০ জন ক্রেতাকে চমকে দিতে উপহারের তালিকায় রাখা হয়েছে এয়ারপড, স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব এ-সেভেনের মতো পণ্য।
আইফোনটি পাওয়ার পরপরই টুইটারে ছবিসহ এ খবর জানান নিক জেমস, যা ভাইরাল হয় মুহূর্তেই।
এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার মায়ের বাৎসরিক শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে অংশ নেন হাজারো মানুষ। ছবি: নিউজবাংলা
গণভোজে দীঘিনালা উপজেলার ত্রিপুরা-অধ্যুষিত জামতলী গ্রামের পাশাপাশি দূরদূরান্তের কয়েক হাজার মানুষ যোগ দেন। প্রতি ব্যাচে পাঁচ শতাধিক মানুষের খাবার মেন্যুতে ছিল মাছ, সবজি ও ডাল। অতিথির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেলা ২টার পর তৈরি হয় খাবার-সংকট।
খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার মায়ের বার্ষিক শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে বিধিনিষেধের মধ্যেই শনিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালার জামতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার মা উমাদিনী ত্রিপুরা গত বছরের ২৯ মার্চ বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
মায়ের বার্ষিক শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার গ্রামের বাড়িতে শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয় বিভিন্ন ধর্মীয় আয়োজন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে শুরু হয় গণভোজ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গণভোজে দীঘিনালা উপজেলার ত্রিপুরা-অধ্যুষিত জামতলী গ্রামের পাশাপাশি দূরদূরান্তের কয়েক হাজার মানুষ যোগ দেন। প্রতি ব্যাচে পাঁচ শতাধিক মানুষের খাবার মেন্যুতে ছিল মাছ, সবজি ও ডাল। অতিথির সংখ্যা বেড়ে যাওয়া বেলা ২টার পর তৈরি হয় খাবার-সংকট।
অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করতে দেখা যায়নি। প্রতিটি টেবিলে ১২ জন করে নারী, পুরুষ, শিশু একসঙ্গে বসে খাবার গ্রহণ করেন। শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরীসহ অনেক সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতিও দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একজন সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি অবশ্যই নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। ঘটনাটি নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যবিধির পরিপন্থি। যেহেতু তিনি একজন এমপি, তাই সে বিষয়টি প্রশাসন দেখবে।’
এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাসকে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি। তবে দিঘিনালা থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান হয়েছে, কিন্তু এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’
অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখনকার পরিস্থিতিতে এমন অনুষ্ঠান করা, এমনকি সেখানে আমার উপস্থিত হওয়া উচিত হয়নি। তবে ধর্মীয় ব্যাপার বলে সেখানে গিয়েছি।’
লকডাউনের সময়ে এ ধরনের আয়োজন নিয়ে এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার বক্তব্য জানা যায়নি। একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ধরেননি।
ওড়িষার এক গ্রামে জন্ম হয়েছে মাথা, বুক ও পেট জোড়া লাগা জমজ মেয়েশিশু। ছবি: দি ইন্ডিপেনডেন্ট
কেন্দ্রপাড়া জেলা হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. দেবাশিষ সাহু বলেন, শিশু দুটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। জন্মগতভাবে ব্যতিক্রম তারা। শিশু দুটির বুক-পেটও সংযুক্ত। মায়ের জরায়ুর ফিটাসের বৃদ্ধি ঠিকমতো না হলেই কেবল এমনটা ঘটে।
ভারতের ওড়িশা রাজ্যে এক কৃষক পরিবারে দুই মাথা, তৃতীয় হাত, বুক ও পেট জোড়া অবস্থায় বিরল যমজ মেয়েশিশুর জন্ম হয়েছে।
এই যমজ শিশুর জন্ম দেন রাজ্যের কেন্দ্রপাড়া জেলার রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা ৩২ বছর বয়সী অম্বিকা পরিদা। সন্তান ভূমিষ্ঠের আগে তিনি জানতেন না, তার গর্ভে জোড়া লাগা যমজ শিশু বড় হচ্ছে। বেসরকারি এক নার্সিং হোমে সিজারিয়ান অপারেশনের পর বিষয়টি তিনি জানতে পারেন।
দি ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ভূমিষ্ঠ হওয়া যমজ মেয়েশিশু দুটির পেটের অংশে জোড়া লাগা। এ ছাড়া তাদের যৌনাঙ্গও এক। তাদের মাথা থেকে তৃতীয় একটি হাত বের হয়েছে।
কেন্দ্রপাড়া জেলা হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. দেবাশিষ সাহু বলেন, শিশু দুটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। জন্মগতভাবে ব্যতিক্রম তারা। শিশু দুটির বুক-পেটও সংযুক্ত। মায়ের জরায়ুর ফিটাসের বৃদ্ধি ঠিকমতো না হলেই কেবল এমনটা ঘটে।
তিনি বলেন, বিরল এ ঘটনা ১০ লাখের মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়।
নার্সিং হোম থেকে আরও চিকিৎসার জন্য যমজ শিশু দুটিকে ওড়িশা রাজ্যের কটক শহরের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক্সে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিক প্রভাত কুমার পরিদা বলেন, কৃষক উমাকান্ত পরিদা ও তার স্ত্রী অম্বিকা মেয়েদের সার্জারির জন্য রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।
তিনি বলেন, যমজ শিশু দুটির বাবা-মা অনেক দরিদ্র। তাদের পক্ষে অস্ত্রোপচারের ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়। আবার চিকিৎসকেরাও জানিয়েছেন, শিশু দুটির বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম।
প্রভাত বলেন, এক ছেলেসন্তানের মা অম্বিকা গর্ভধারণের প্রথম দিকে স্ক্যান করেন। কিন্তু তার যমজ শিশু দুটি জোড়া লাগা- এ বিষয়ে সে সময় চিকিৎসকেরা কিছুই বলেননি।
২০১৭ সালে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে জোড়া লাগা যমজ শিশু জগা ও কালিয়াকে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পৃথক করা হয়। ওই চিকিৎসার খরচ সে সময় ওড়িশা রাজ্য সরকার বহন করেছিল।
বিখ্যাত অলডি গ্রোসারি স্টোর থেকে প্যাকেটজাত লেটুসপাতা কিনে বাসায় ফেরেন লেসলি কুন। তার ছেলে অ্যালেক্সান্ডার হোয়াইট সেই প্যাকেট নেড়েচেড়ে দেখতেই চমকে ওঠে। ভেতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে ফ্যাকাশে মাথার এক বাচ্চা সাপ!
প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্যে বিভিন্ন সময়ে কীটপতঙ্গ পাওয়ার অভিযোগ পুরোনা, কিন্তু তাই বলে একেবারে জ্যান্ত সাপ!
অবিশ্বাস্য এমন ঘটনা ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। সেখানকার বিখ্যাত অলডি গ্রোসারি স্টোর থেকে প্যাকেটজাত লেটুসপাতা কিনে বাসায় ফেরেন লেসলি কুন নামের এক নারী।
লেসলির ছেলে অ্যালেক্সান্ডার হোয়াইট সেই প্যাকেট নেড়েচেড়ে দেখতেই চমকে ওঠে। ভেতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে ফ্যাকাশে মাথার এক বাচ্চা সাপ!
লেটুসপাতার প্যাকেটের ভেতরে সাপের ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন লেসলি। এরপরই তা বিশ্বব্যাপী ভাইরাল হয়ে যায়। এটি অত্যন্ত বিষধর প্রজাতির সাপ বলে জানিয়েছে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।
এ ব্যাপারে বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চেয়েছে অলডি কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সাপটির প্রাকৃতিক আবাস চিহ্নিত করতে আমাদের দল ওই ক্রেতার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। কীভাবে এ ঘটনাটি ঘটতে পারে, তা খতিয়ে দেখতে আমাদের পণ্য সরবরাহকারীদের সঙ্গেও কাজ করছি।’
এ ঘটনার পর সবজিজাতীয় খাদ্যপণ্যের প্যাকেট খোলার আগে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন লিসলি।
মন্তব্য