উড়ন্ত বিমান থেকে পছন্দের মোবাইল ফোন পড়ে যাচ্ছে, এমন দৃশ্য কল্পনা করতে গেলে গা শিউরে উঠবে যে কারও। তবে মাটিতে পড়েও যদি সেই ফোন অক্ষত থাকে,তবে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন মোবাইলের মালিক।
এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলিয়ান ডকুমেন্টারি নির্মাতা এরনেস্তো গালিওত্তোর জীবনে।
রিও ডি জেনিরোর কাবো ফ্রিও উপকূল থেকে শুক্রবার ছোট্ট একটি বিমানে চেপে চারপাশের ছবি তুলছিলেন ও ভিডিও ধারণ করছিলেন এরনেস্তো। এ কাজে তিনি ব্যবহার করছিলেন আইফোন সিক্স এস।
একপর্যায়ে তীব্র বাতাসে প্রায় ৯৮৪ ফুট উঁচু থেকে ছিটকে পড়ে যায় আইফোনটি। এ সময় তিনি ভিডিও ধারণ করছিলেন। আর আইফোন পড়ে যাওয়ার দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করেন তার এক সহকর্মী ।
ফোনটি আর অক্ষত অবস্থায় আর পাওয়া যাবে না এমনটিই ভেবেছিলেন এরনেস্তো। তবে তার ভাগ্য অসম্ভব ভালো।
বিমান থেকে নেমে জিপিএসের সহায়তায় আইফোনের সন্ধানে নামেন এরনেস্তো ও তার দল। উপকূলের কাছে অক্ষত অবস্থায় মেলে ফোনটি।
শুধু তাই নয়, ফোনে থাকা সব ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে অক্ষত। কেবল মোবাইলের কাভার ও গ্লাস প্রটেক্টরে সামান্য আঁচড় পড়েছে।
৯৮৪ ফুট উচ্চতা থেকে পড়ার সময় আইফোনের ভিডিও অপশন চালু ছিল। উদ্ধারের পর ফোনে ১৫ সেকেন্ডের সেই ভিডিও পাওয়া গেছে।
উচ্ছ্বসিত এরনেস্তো গালিওত্তো বলেন, ‘দেড় ঘণ্টার বেশি ভিডিও ধারণ করেছিলাম। উদ্ধারের পর আইফোনে ১৬ শতাংশ চার্জও ছিল। হয়তো সূর্যের আলোয় ফোনটি চার্জ হয়েছে।’
আরও পড়ুন:১২ স্ত্রীর ঘরে ১০২ সন্তান আর নাতি-নাতনির সংখ্যা ৫৭৮ জন। এটি হচ্ছে উগান্ডার বুতালেজা জেলার বুগিসা গ্রামের বাসিন্দা মুসা হাসহ্যা কাসেরার সংসারে চিত্র।
৬৮ বছর বয়সী মুসা এএফপিকে বলেন, ‘প্রথমে এটি মজার বিষয় ছিল। এখন এটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এত বিশাল পরিবারের জন্য মাত্র দুই একর জমি রয়েছে। আমার দুই স্ত্রী চলে গেছেন কারণ আমি খাদ্য, শিক্ষা, পোশাকের মতো মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারিনি। ’
এক সময়ের গরু ব্যবসায়ী মুসার এখন বেকার, তবে তাকে দেখতে অনেক পর্যটক তার বাড়িতে ভিড় জমান।
৬৮ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ বলেন, ‘আমার স্ত্রীরা গর্ভনিরোধক ব্যবহার করছে, কিন্তু আমি নই। আমি আর সন্তানের আশা করি না কারণ আমি আমার দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ থেকে শিক্ষা নিয়েছি।’
মুসা প্রথম বিয়ে করেন ১৯৭২ সালে। ১৮ বছর বয়সে তিনি প্রথম সন্তানের বাবা হন।
মুসা জানান, পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতেই আত্মীয় স্বজনদের পরামর্শ শুনে বেশি স্ত্রী ও সন্তান নিয়েছেন তিনি।
মুসার ১০২ সন্তানের বয়স ১০ থেকে ৫০-এর মধ্যে ও সবচেয়ে কম বয়সী স্ত্রীর বয়স ৩৫।
সন্তানদের নাম জিজ্ঞেস করা হলে মুসা বলেন, ‘আমি শুধু প্রথম ও শেষ জনের নাম মনে রাখতে পারি। বাকিদের নাম মনে নেই।
আরও পড়ুন:নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার চকগাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা গোলাম রাব্বানী কাঁচা সুপারি দিয়ে পান খেলেই তার মাথা থেকে ধোঁয়া বের হয়। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ওই এলাকায়। স্থানীয়রা তার নাম দিয়েছেন ‘ধোঁয়া মানব’। এ ঘটনা দেখতে প্রতিনিয়ত লোকজন ভিড় করছেন রাব্বানীর বাড়িতে।
রাব্বানী জানান, প্রায় সাত থেকে আট বছর আগে থেকেই কাঁচা সুপারি দিয়ে পান খেলে তার মাথা দিয়ে ধোঁয়া বের হয়। এই ধোঁয়া দেখে অনেকেই আনন্দ পান। সবার আনন্দ দেখে তারও ভালো লাগে।
বিভিন্ন এলাকায় গেলে রাব্বানীর কাছ থেকে অনেকে মাথা থেকে ধোঁয়া বের হওয়ার দৃশ্য দেখতে চান। আর এ জন্য প্রতিদিন প্রায় ৩০টি পান খাওয়া হয় তার।
রাব্বানীর স্ত্রী তানিয়া খাতুন জানান, শারীরিক সমস্যা না হওয়ায় ধোঁয়া বের হওয়ার বিষয়টি নিয়ে কোনো চিকিৎসকের কাছে যাননি তারা। এখন অনেক লোকজন ধোঁয়া দেখার জন্য তাদের বাড়িতেও ভিড় করেন। অনেকেই এই ধোঁয়া দেখার জন্য তার স্বামীকে শখ করে পান খাওয়ান।
স্থানীয় বাসিন্দা মঞ্জুরুল আলম মাসুম বলেন, মাথা দিয়ে ধোঁয়া ওঠার ঘটনাটি বিরল ও বিস্ময়কর। রাব্বানীকে নিয়ে আড্ডা আর হাসি-আনন্দে সময় কাটায় এলাকার সব বয়সী মানুষ। তরুণরা তার সঙ্গে নিজেদের সেলফিবন্দিও করেন।
বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কাঁচা সুপারিতে এমন উপাদান আছে যা শরীরে অতিরিক্ত উত্তাপ সৃষ্টি করে। সেই উত্তাপ বের করে দিতে জলীয় বাষ্পের সৃষ্টি হয়। সে কারণে অতিরিক্ত ঘাম হয়। রাব্বানীর মাথা দিয়ে ধোঁয়া ওঠার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলা যাবে।’
নাটোরের সিভিল সার্জন ড. রোজী আরা খাতুন বলেন, ‘কাঁচা সুপারি দিয়ে পান খেলে নানা শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়। মাথা দিয়ে ধোঁয়া বের হওয়ার কারণ জানতে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে বুধবার রাব্বানীর শরীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।’
অদ্ভুত দেখতে এ মুরগির নাম ‘ডং তাও’। তবে বেশি পরিচিত ড্রাগন চিকেন নামে। মোটা পায়ের এ মুরগির বাণিজ্যিক চাষ হয় দক্ষিণ এশীয় দেশ ভিয়েতনামে। দেশটির উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামের নামকরণ করা হয়েছে মুরগিটির নামে। সেখানে সবচেয়ে বেশি ড্রাগন মুরগির ফার্ম রয়েছে।
ড্রাগন মুরগির সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো এর পা। পুরু লালচে আবরণে ঢাকা এই পা লম্বায় হতে পারে একটি ইটের সমান। এর থাবা মানুষের হাতের তালুর আকৃতির। মুরগিটির শুধু পায়ের ওজনই এক দেড় কেজি পর্যন্ত হয়, যা এর শরীরের মোট ওজনের এক-পঞ্চমাংশ।
পুরো মুরগির ওজন ৫-৮ কেজি, কোনো কোনোটি ১০ কেজিও হয়। সবচেয়ে বড় আকারেরগুলো বাজারে ২০০০ হাজার ডলারেও বিক্রি হয়, যার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় দুই লাখেরও বেশি। বড় পা যুক্ত, আকর্ষণীয় চেহারার ড্রাগন মুরগির চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে।
১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ড্রাগন মুরগি চাষ করছেন লে ভ্যান হিয়েন।
তিনি বলেন, ‘এই মুরগিকে দিনের বেশ কিছুটা সময় খোলা পরিবেশে ছেড়ে রাখা হয়। এরা যত বেশি হাঁটে, তত বেশি পায়ের পেশি শক্তিশালী ও বড় হয়। আর মুরগিকে খাবার হিসেবে দেয়া হয় ভুট্টা ও চালের গুড়ো, যা এর মাংশের স্বাদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।’
চন্দ্র নববর্ষে ভিয়েতনামের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার ‘টেট’ বানানোর প্রধান উপকরণ ড্রাগন মুরগি। ঐতিহ্যগতভাবে দেশটির ধনী পরিবারে উৎসবের দিনে এই খাবার পরিবেশন করা হয়। ড্রাগন মুরগির মাংসের রঙ তুলনামূলক কালো, অনেকটা গরুর মাংসের মতো। মাংস ছাড়াও এর পা দিয়ে রান্না করা বিশেষ খাবারও বেশ জনপ্রিয়। যা সেদ্ধ, ভাজা কিংবা লেমনগ্রাস দিয়ে পরিবেশন করা হয়। মুরগির পা যত বড়, খেতে ততই সুস্বাদু।
বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বিরলতম মুরগির জাতের মধ্যে একটি এই ড্রাগন মুরগি। এরা গড়ে ৬ থেকে ৭ বছর বাঁচে। প্রজনন হার খুবই কম। একটি মুরগি মাত্র ১০-১৫টি ডিম দেয়। ডিম ফুটে বাচ্চা প্রাপ্তবয়স্ক হতে সময় লাগে ৮ থেকে ১২ মাস, যেখানে সাধারণ মুরগি মাত্র ১৬ থেকে ২০ সপ্তাহ সময় নেয়। এসব কারণেই এ মুরগির বাজারমূল্য চড়া।
আরও পড়ুন:বর টাকা গুণতে না পারায় বিয়ের মাঝপথেই তা বন্ধ করে দিলেন এক কনে। এমনটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিয়ের অনুষ্ঠানে পুরোহিত বরের আচরণ সন্দেহজনক দেখে কনের পরিবারকে জানান। এরপরই বিয়ের মণ্ডপ থেকে উঠে যান কনে। এ নিয়ে তখন বর ও কনের পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কনের পরিবারের দাবি, বিয়ের আগ দিন পর্যন্ত তারা জানতেন না যে, বর মানসিকভাবে দুর্বল।
কনের ভাই বলেন, ‘বিয়ের ঘটক ছিলে আমার একজন নিকটাত্মীয়। তাই আমরা তাকে বিশ্বাস করেছিলাম। পুরোহিত বরের অদ্ভুত আচরণ সম্পর্কে জানালে আমরা একটি পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিই। আমরা ১০ রুপির ৩০টি নোট বরকে গুণতে দিয়েছিলাম, কিন্তু সে তা পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে আমার বোন বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।’
উত্তর প্রদেশের পুলিশ কর্মকর্তা অনিল কুমার চৌবে বলেন, ‘এ ঘটনায় কোনো মামলা করা হয়নি।’
অন্তঃসত্ত্বা হতে শ্বশুর বাড়ি ও জামাইর কথায় বাধ্য হয়ে মানুষের হাড়গুড়ো খেতে হয়েছে এক স্ত্রীর। কালো জাদুর অংশ হিসেবেই এটি খাওয়ানো হয়েছে।
এমন হতবাক করা ঘটনাই ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনেতে। এ ঘটনায় স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে বুধবার মামলা করেছেন ওই স্ত্রী।
বার্তা সংস্থা এএনআইর প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে যৌতুক ও কালো জাদুতে বাধ্য করানোর মামলা করেছেন ওই স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, অমাবস্যা রাতে শ্মশানে নিয়ে জোর করে ওই নারীকে মানুষের হাড়ের গুড়ো খাওয়ানো হয়। এর সঙ্গে একজন ওঝাও জড়িতে রয়েছেন।
পুনে শহরের পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সুনিল শর্মা বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা ওই শ্মশানটি কোথায় তা জানার চেষ্টা করছি। শিগগিরই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে। ’
আরও পড়ুন:
১১৫ বছর বয়সী মারিয়া ব্রানিয়াস মোরেরা। গত মঙ্গলবার ১১৮ বছর বয়সে ফরাসি লুসিল রাঁদোঁর মৃত্যুর পর তাকে বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ হিসেবে ভাবছে গিনেক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ। যদিও এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি সংস্থাটি।
আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, জীবদ্দশায় এক দিনের জন্যও হাসপাতালে যেতে হয়নি মারিয়াকে। ১১৫ বছরের জীবনে ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারি, দুই বিশ্বযুদ্ধ এবং স্পেনের গৃহযুদ্ধ ও করোনাভাইরাসের মহামারির সাক্ষী হয়েছেন তিনি।
মারিয়ার পূর্বপুরুষরা স্পেনের বাসিন্দা হলেও তার জন্ম আমেরিকায়। ১৯০৭ সালের শুরুর দিকে তার বাবা-মা মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় চলে আসেন। ওই বছরেই ৪ মার্চ সান ফ্রান্সিসকোতে জন্ম হয় মারিয়ার।
১৯১৫ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মারিয়ার পরিবার স্পেনে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। জাহাজে আমেরিকা থেকে স্পেন যাওয়ার পথে মারিয়ার বাবা যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সমুদ্রে ফেলে দেয়া হয়েছিল তার মৃতদেহ।
১৯৩১ সালে মারিয়া একজন চিকিৎসকে বিয়ে করেন। চার দশকের বেশি একসঙ্গে থাকার পর তার স্বামী ৭২ বছর বয়সে মারা যান। মারিয়া তিন সন্তানের মা, যদিও একজন মারা গেছেন। এ ছাড়া ২২ জন নাতি-পুতি রয়েছে মারিয়ার।
মারিয়ার ছোট মেয়ে ৭৮ বছর বয়সী রোসা মোরেট বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তার মা জীবনে কোনো দিন হাসপাতালে যাননি। একেবারে ঠিক আছেন। ‘জিনগত’ কারণেই মারিয়া দীর্ঘজীবী হয়েছেন বলে মনে করেন তিনি।
বর্তমানে স্পেনে একটি বৃদ্ধাশ্রমে থাকছেন মারিয়া। ২০১৯ সালে ১১৩তম জন্মদিনের কয়েক সপ্তাহ পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েও হাসপাতালে যেতে হয়নি তাকে।
২০১৯ সালে বার্সেলোনাভিত্তিক একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মারিয়া বলেছিলেন, ‘আমি আহামরি কিছু করিনি। শুধু প্রাণবন্ত থাকার চেষ্টা করেছি।’
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা থেকে অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া। দূরত্ব ১৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি। কোনো বিরতি ছাড়া দীর্ঘ এ পথ পাড়ি দিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে একটি বার টেইলড গডউইট পাখি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, সমুদ্রের ওপর দিয়ে ১৩ হাজার ৫৬০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম পরিভ্রমণের রেকর্ড গড়েছে পাখিটি।
১১ দিনের এ পরিভ্রমণে খাবার খাওয়া কিংবা বিশ্রামের জন্য এক সেকেন্ডের জন্যও থামেনি গডউইট। পায়ে লাগানো স্যাটেলাইট ট্যাগের মাধ্যমে পাখিটির পরিভ্রমণ পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা।
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, ২৩৪৬৮৪ ট্যাগ লাগানো গডউইট আগের রেকর্ড গড়া পাখির চেয়ে ২১৭ মাইল বেশি উড়েছে। ২০২০ সালে আগের রেকর্ডটি গড়ে একই প্রজাতির পাখি।
গত বছরের ১৩ অক্টোবর পরিভ্রমণ শুরু করে পাখিটি। একটানা ১১ দিন না খেয়ে, না থেমে উড়তে থাকে সে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ জানায়, এ ভ্রমণে পাখিটির ওজন অর্ধেক কমে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য