ছোট পর্দার নতুন এক গল্পে দেখা মিলল আলোচিত অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানের। ‘খুঁজি তোকে’ শিরোনামে একক নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন নতুন এক চরিত্রে। এতে সাদিয়া আরও একবার জুটি বেঁধেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ইয়াস রোহানের সঙ্গে।
ভালোবাসার নতুন এক গল্প নিয়ে নির্মিত এ নাটকটি পরিচালনা করেছেন ইমরাউল রাফাত। একই সঙ্গে চিত্রনাট্য লিখেছেন এই নির্মাতা নিজে। সাদিয়া আয়মান ও ইয়ান রোহানের পাশাপাশি নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, সাবেরী আলম, আরেফিন জিলানী, শওকাত হোসেন মামুন, শামীম আহমেদ, ইমেল হক, মামুন খান, মেহেদি হাসান তরু, দীঘি, সায়মা, প্রসেনজিৎ, আরিয়ান প্রমুখ। সম্প্রতি ক্যাপিটাল ড্রামার ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি দর্শকের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
সাদিয়া আয়মানের কথায়, অভিনয়ের জন্য সবসময় ভালো এবং ব্যতিক্রমী গল্প বাছাই করে কাজ করেন। ‘খুঁজি তোকে’ তেমনই এক নাটক, যার গল্প ও চরিত্র আগের অভিনীত নাটকগুলো থেকে কিছুটা আলাদা। অন্যদিকে ইমরাউল রাফাত একজন পরীক্ষিত নির্মাতা, যার কাজ নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়। কাজ পরিকল্পনামাফিক হয়েছে। যে কারণে গল্প, চরিত্র, শিল্পীদের অভিনয়, নির্মাণ সব মিলিয়ে নাটকটি দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ করবে বলেও আশা করা হয়। সাদিয়া আয়মান ছাড়াও নাটকটি নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন ইয়াশ রোহানসহ অন্য অভিনেতা অভিনেত্রীরা। নির্মাতা ইমরাউল রাফাতও মনে করেন, নাটকটি এ সময়ের দর্শকের মনে ছাপ ফেলবে।
এদিকে ‘খুঁজি তোকে’ ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে আরও বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছেন সাদিয়া আয়মান। যেগুলো চলতি বছরের বিভিন্ন প্রান্তে প্রকাশ পাবে।
যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাচ্ছে আরিফিন শুভ ও মন্দিরা চক্রবর্তী অভিনীত সিনেমা ‘নীলচক্র’। গত কোরবানির ঈদে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল মিঠু খান পরিচালিত এই ছবি। দেশে মুক্তির পর প্রত্যাশিত সাড়া না পেলেও এবার ছবিটির গন্তব্য উত্তর আমেরিকার প্রেক্ষাগৃহ।
শুক্রবার থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিভিন্ন শহরে দেখা যাচ্ছে ‘নীলচক্র’। যুক্তরাষ্ট্রের ২৪টি শহরে মুক্তি দিচ্ছে পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান বায়স্কোপ ফিল্মস, যাদের মাধ্যমে এর আগে অর্ধশতাধিক বাংলা চলচ্চিত্র উত্তর আমেরিকায় প্রদর্শিত হয়েছে। এর বাইরে কানাডার একাধিক শহরেও মুক্তি পাবে ছবিটি।
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার রাজ হামিদ বলেন, ‘আমরা প্রথম লাস ভেগাসে ছবিটির প্রিভিউ করি। এরপরই সিদ্ধান্ত নিই আমরা এটি বিপণন করব। মন্দিরা চক্রবর্তী নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের পরবর্তী সুপারস্টার হতে পারেন। আর ছবিটির প্লটও একেবারেই ভিন্নধর্মী-দর্শকদের মুগ্ধ করবেই।’
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অজানা জগত ও তার ভেতর লুকিয়ে থাকা বিপদ–ফাঁদের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘নীলচক্র’। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন মিঠু খান ও নাজিম উদ দৌলা, প্রযোজনা করেছেন এনায়েত আকবর।
ওভারসিজ মুক্তি প্রসঙ্গে নায়িকা মন্দিরা চক্রবর্তী বলেন, ‘নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকার দর্শকেরা অনেকদিন ধরেই জানতে চাইছিলেন ছবিটি কবে আসছে। অবশেষে বায়স্কোপের উদ্যোগে আমরা ছবিটি নিয়ে যাচ্ছি তাদের কাছে। গল্পে যেমন বিনোদন আছে, তেমনি আছে এক শক্তিশালী সামাজিক বার্তাও।’
‘নীলচক্র’-এর অফিসিয়াল প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয় নিউইয়র্কের কিউ গার্ডেন সিনেমা হলে। ছবিটিতে শুভ ও মন্দিরা ছাড়াও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শিরীন আলম, খালেদা আক্তার কল্পনা, শাহেদ আলী, মনির আহমেদ শাকিল, প্রিয়ন্তী ঊর্বী, মাসুম রেজওয়ান প্রমুখ।
গানে গানে অগণিত শ্রোতার হৃদয় জয় করে পথচলার ছয় দশক পূর্ণ করেছেন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা। ১৯৬৪ সালের ২৪ জুন মাত্র ১২ বছর বয়সে ‘জুগনু’ সিনেমার গান ‘গুড়িয়া সি মুন্নি মেরি ভাইয়া কি পেয়ারি’ দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল তার। গানের কথা লিখেছিলেন তিসনা মেরুতি, সুর করেছিলেন মানজুর। সেই প্রথম গানের অনিন্দ্য কণ্ঠ ও অনবদ্য গায়কিতে শ্রোতারা মুগ্ধ হন, আর সেখান থেকেই শুরু হয় তার দুর্বার সংগীতযাত্রা; যা আজও থেমে যায়নি।
এই ছয় দশকের দীর্ঘ সফরে রুনা লায়লা গেয়েছেন ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান। অর্জন করেছেন অসংখ্য পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় পদক ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি। কিংবদন্তিদের কাতারে তার অবস্থান আজ অবিসংবাদিত।
রুনা লায়লা বলেন, ‘আমি ভীষণ ভাগ্যবতী যে, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এখনো গান গাইতে পারছি, সুর করছি। এটাই অনেক বড় আশীর্বাদ। আজীবন সংগীতের সঙ্গে থাকতে চাই।’
মুক্তিযুদ্ধের আগেই তিনি বাংলা সিনেমায় প্লেব্যাক শুরু করেন। ১৯৭০ সালের ‘স্বরলিপি’ সিনেমায় তার গাওয়া ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’ গানটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসে। এর আগেই পাকিস্তান রেডিও ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসে দেবু ভট্টাচার্যের সুরে দুটি বাংলা গান ‘নোটন নোটন পায়রাগুলো’ এবং ‘আমি নদীর মতো পথ ঘুরে’ গেয়ে নজর কাড়েন তিনি।
পাকিস্তানের সিনেমা ও টেলিভিশনে নিয়মিত প্লেব্যাক করে দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও, স্বাধীনতার পর দেশপ্রেমের টানে কোনো দ্বিধা ছাড়াই ফিরে আসেন নবজাগ্রত বাংলাদেশে। সংগীতজীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয় এখান থেকেই। ১৯৭৪ সালে রুনা লায়লা হন প্রথম বাংলাদেশি শিল্পী, যিনি বলিউডে প্লেব্যাক করেন।
কল্যাণজি-আনন্দজির সুরে ‘এক সে বড়কর এক’ সিনেমায় তার গাওয়া ‘ও মেরা বাবু চেল চাবিলা’ গানটি ভারতসহ বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়তা পায়। এরপর ‘জান-এ বাহার’, ‘ইয়াদগার’, ‘অগ্নিপথ’, ‘স্বপ্ন কা মন্দির’-সহ অসংখ্য সিনেমায় কণ্ঠ দেন তিনি। এ ছাড়া ‘দ্য গ্রেট বিগ ইন্ডিয়ান ওয়েডিং’ শিরোনামের সংগীত আয়োজনে পাঞ্জাবি বিয়ের আটটি গান রেকর্ড করেন দিল্লিতে। কনকর্ড প্রযোজনা সংস্থার চারটি অ্যালবামের জন্য মুম্বাই গিয়ে মাত্র এক দিনে ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়ে ‘গিনেস বুক অব রেকর্ডসে’ নাম লেখান রুনা লায়লা।
ভাইনাল রেকর্ড, ক্যাসেট, সিডি, ভিসিডি থেকে শুরু করে অনলাইন মাধ্যম– সব জায়গায় ছড়িয়ে আছে তার কণ্ঠের মাদকতা। তিনি শুধু সিনেমা বা স্টেজেই নন, টিভি ও নাটকের গানেও সমান পারদর্শী। ছয় দশক ধরে সংগীতের প্রতিটি মাধ্যমেই তার সুরেলা কণ্ঠ ছুঁয়ে গেছে শ্রোতার হৃদয়। নন্দিত অভিনেতা-পরিচালক আলমগীরের ‘একটি সিনেমার গল্প’ চলচ্চিত্রে সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে প্রথম সিনেমাতেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। তার সুরে তৈরি এক মিশ্র অ্যালবামে গেয়েছেন ভারতীয় কিংবদন্তি আশা ভোঁসলে, হরিহরণ, পাকিস্তানের আদনান সামি ও রাহাত ফতেহ আলি খান।
বরেণ্য এই সংগীতশিল্পীর ষাট বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে মাছরাঙা টিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘স্টার নাইট’-এর একটি বিশেষ পর্ব সাজানো হয়েছে রুনা লায়লাকে কেন্দ্র করে। শুক্রবার রাত ৯টায় মাছরাঙা টিভিতে বিশেষ এই পর্বটি প্রচার হয়।
জানা গেছে, এই আয়োজনে ৬০টি গোলাপে বরণ, ৬০ সংখ্যাকে উপজীব্য করে কেক কাটা, ৬০টি প্রশ্নে আলাপচারিতা। বিশেষ এই পর্বে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় ১০ সংগীত তারকা। তারা হলেন– কনা, লিজা, লুইপা, কোনাল, ঝিলিক, সুকন্যা, সাব্বির, কিশোর, অপু ও ইউসুফ। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনের শিল্পীরাও পাঠিয়েছেন শুভেচ্ছা বার্তা।
রুনা লায়লা বলেন, ‘দেশে ফিরে মাছরাঙার এই আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত। ষাট বছরের পথচলার এ উদযাপনটি আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত।’
‘স্টার নাইট’-এর গ্রন্থনা করেছেন রুম্মান রশীদ খান, প্রযোজনা করেছেন অজয় পোদ্দার, সহযোগিতায় ছিলেন নিয়াজ মোরশেদ রাজীব। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন মৌসুমী মৌ।
সিনেমার ট্রেলার নয়, কোনো গানও নয়-একটি মাত্র ছবিই তুমুল চর্চা হচ্ছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। ইউটিউব তারকা মিস্টারবিস্ট (জিমি ডোনাল্ডসন) করে দেখালেন এমন কিছু, যা বহু বছরেও কোনো বলিউড পরিচালক পারেননি-বলিউডের তিন খান, শাহরুখ, সালমান ও আমিরকে একসঙ্গে একই ফ্রেমে আনলেন তিনি। খবর স্টেটেমেনের।
ছবিটি তোলা হয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত জয় ফোরাম ২০২৫-এ। মিস্টারবিস্ট গত ১৬ অক্টোবর নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ছবিটি শেয়ার করেন। ফ্রেমে দেখা যায়, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউটিউবারের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন ভারতের তিন কিংবদন্তি তারকা-শাহরুখ খান, সালমান খান ও আমির খান।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়! ছবির সঙ্গে মিস্টারবিস্টের এক লাইন ক্যাপশন যেন আগুনে ঘি ঢেলে দিল—হে ভারত, আমরা সবাই মিলে কিছু করি নাকি?
এই এক লাইনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন আগুন লেগে যায়। হাজার হাজার ভক্ত তৎক্ষণাৎ কমেন্টে ঝাঁপিয়ে পড়েন—কেউ ভবিষ্যদ্বাণী করেন কোনো বিশাল যৌথ প্রজেক্টের, কেউ আবার মজা করে বলেন, মিস্টারবিস্ট হয়তো এবার ইউটিউব ভার্সনে বানাবেন ‘করন অর্জুন’!
ছবিতে শাহরুখ খানকে দেখা যায় ডার্ক রঙের দারুণ মানানসই স্যুটে, তার স্বভাবসুলভ ক্যারিশমা ছড়াতে। সালমান খানও সমান আত্মবিশ্বাসী, ফরমাল পোশাকে দারুণ লাগছে তাকে। আমির খান নিজের স্বকীয়তায় ভর করে হাজির হয়েছেন কালো পাঞ্জাবি আর সাদা পায়জামায়। আর মিস্টারবিস্ট, যথারীতি সাধারণ অথচ স্টাইলিশ ব্ল্যাক আউটফিটে।
তিন খানকে একসঙ্গে দেখা বলিউডে এক বিরল ঘটনা। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তারা শাসন করে চলেছেন ভারতের বিনোদন দুনিয়া। একসময় পেশাগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও এখন তাদের মধ্যে রয়েছে পরস্পরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্ব। শাহরুখ ও সালমানের বহু পুরোনো ভুল বোঝাবুঝি এখন অতীত, আর আমির সব সময়ই ছিলেন দুজনের কাছের মানুষ।
শেষবার তিনজনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল আমিরের ছবি সিতারে জমিন পার–এর বিশেষ প্রদর্শনীতে। চলতি বছরও তারা একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন আনন্দ আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের অনুষ্ঠানে, যেখানে তিনজন একসঙ্গে পারফর্ম করে সোশ্যাল মিডিয়া কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন।
ভক্তদের মনে এখনো টাটকা সেই স্মৃতি, যখন তিন খান অতিথি চরিত্রে দেখা দিয়েছিলেন আরিয়ান খানের ওয়েব সিরিজ ‘দ্য ব্যডস অব বলিউড’-এ, যদিও একই দৃশ্যে একত্রে ছিলেন না তারা। তবু সেই উপস্থিতিই শিরোনাম দখল করেছিল।
সংগীত, চলচ্চিত্র এবং সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২৪তম সিজেএফবি পারর্ফমেন্স অ্যাওয়ার্ড-এ ‘বিশেষ সম্মানানা’ পাচ্ছেন বেবী নাজনীন (সংঙ্গীত), পূর্ণিমা (চলচ্চিত্র) এবং কাজী জেসিন (সাংবাদিকতা)।
কাল শুক্রবার বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টারের হল অফ ফেমে বর্ণাঢ্য আয়োজনে এই তিন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সম্মাননা তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, সিজেএফবির সভাপতি এনাম সরকার।
এছাড়া ২০২৪ সালে সংঙ্গীত, চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন বিভাগে বছর সেরা পারর্ফমেন্সের জন্য পুরস্কৃত হবেন এই তিন বিভাগের সেরা তারকারা। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান জুড়ে থাকছে জনপ্রিয় তারকাদের পারর্ফমেন্স।
দেশের প্রধান জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন মিডিয়া এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অফ বাংলাদেশ-সিজেএফবি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পর থেকেই সংগঠনটি বাংলাদেশের মিডিয়া সংশ্লিষ্টদের দিয়ে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুন বর্তমানে তেলেগু ও বলিউডে সমানভাবে আলোচনায়। এবার তাকে দেখা যাবে জনপ্রিয় পরিচালক অ্যাটলি কুমারের পরবর্তী বিগ বাজেট সাই-ফাই প্রোজেক্টে। ছবিতে আল্লুর বিপরীতে থাকছেন বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। তবে চমকের এখানেই শেষ নয়, এই ছবির জন্য আল্লুকে দেওয়া হচ্ছে ১৭৫ কোটি টাকার পারিশ্রমিক। যা বর্তমানে ভারতের চলচ্চিত্র ইতিহাসে অন্যতম সর্বোচ্চ!
‘পুষ্পা’ ফ্র্যাঞ্চাইজির অভাবনীয় সাফল্যের পর আল্লুর জনপ্রিয়তা এখন জাতীয় স্তরে। সেই জনপ্রিয়তা মাথায় রেখেই অ্যাটলির এই নতুন প্রজেক্টের বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু ভিএফএক্স–এর পিছনেই খরচ করা হবে ২৬০ কোটি এবং অভিনেতা-পরিচালক ও অন্যান্য টেকনিক্যাল টিমের জন্য বরাদ্দ ২৫০ কোটি টাকা।
সূত্রের দাবি, এই সিনেমায় বিভিন্ন লুক ও চরিত্রে দেখা যাবে আল্লু অর্জুনকে। যার জন্য একাধিক আন্তর্জাতিক টেকনিশিয়ান কাজ করছেন। ইতোমধ্যে আল্লু অ্যাটলির সঙ্গে হলিউডের কয়েকটি প্রখ্যাত স্টুডিওতে ভিজিটও সেরেছেন।
পরিচালক অ্যাটলি , ‘এটা একেবারেই লার্জার দ্যান লাইফ প্রজেক্ট। আমরা এক ধাপ এক ধাপ এগোচ্ছি। অডিয়েন্সের জন্য এমন কিছু আনতে চাই, যা আগে কখনও দেখা যায়নি। ছবিতে দীপিকার পাশাপাশি আরও দেখা যেতে পারে রাশ্মিকা মন্দানা, জাহ্নবী কাপুর, ম্রুণাল ঠাকুর ও আর মাধবনকে। অ্যাটলি আরও জানান, হলিউডের যেসব টেকনিশিয়ানরা আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন, তারাও বলেছেন এটা তাদের জন্যও দারুণ চ্যালেঞ্জিং। তবে কাজটা তারা ভীষণ উপভোগ করছেন। আর কয়েক মাসের মধ্যেই সবকিছু সামনে আসবে।’
দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমা। ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে গান করে যাচ্ছেন তিনি। মধ্যে খানিক বিরতি নিলেও পরবর্তীতে ফের ব্যস্ত হন দেশ-বিদেশের স্টেজ শো এবং নতুন গানে। গত এক দশকে নারী কণ্ঠশিল্পীদের মধ্যে নতুন গান দিয়ে যে কজন আলোচনায় রয়েছেন, সালমা তাদের মধ্যে অন্যতম। বিশেষ করে সংগীতের দুরবস্থাতেও সালমার বিভিন্ন গানে শ্রোতারা প্রাণ খুঁজে পেয়েছেন। সালমাও নিজেকে এগিয়ে নিয়েছেন সময়ের সঙ্গে। সিডি থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে গান প্রকাশ শুরু হলে অনেকেই সেই মাধ্যমে হারিয়ে যান। কিন্তু সালমা একে একে নতুন সব গান প্রকাশ করে নিজেকে এই মাধ্যমেও প্রমাণ করেছেন। বিভিন্ন কোম্পানির বাইরে নিজের ইউটিউব চ্যানেলেও নিয়মিত গান প্রকাশ করছেন তিনি। কথা প্রসঙ্গে সালমা , ক্যাসেট থেকে সিডি, সিডি থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে গান প্রকাশ হচ্ছে। একজন শিল্পীকে কিন্তু সময়ের সঙ্গে থাকতে হয়। সেই চেষ্টাটা আমিও করেছি। হয়তো সামনে মাধ্যমে আরও পরিবর্তন আসতে পারে। তাই বলে তো থেমে গেলে চলবে না। প্রতিটি মাধ্যমের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারাটাও কিন্তু বড় ব্যাপার। সেদিক থেকে আমি আমার শ্রোতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। তাদের চাওয়ার কারণেই আমি এখন অবধি গান করে যেতে পারছি। বর্তমান ব্যস্ততা সম্পর্কে এ গায়িকা , স্টেজ শো ভালো চলছে আলহামদুলিল্লাহ্। সবশেষ শো করলাম ঢাকার নন্দন পার্কে। তার আগে করলাম কক্সবাজারে। কার কী অবস্থা, বলতে পারি না। তবে, স্টেজ শোর ব্যস্ততা আমার ভালোই যাচ্ছে। এদিকে, নতুন গান নিয়েও চলছে এ গায়িকার ব্যস্ততা। সালমা , মঙ্গলবার একটি গানের রেকর্ডিং আছে। নতুন গান নিয়মিতই করছি। সামনেই একে একে এগুলো প্রকাশ হবে। এদিকে সালমা জানালেন, সম্প্রতি একটি গান রেকর্ডিং করেছেন তিনি। যেটি বেশ বিশেষ। সেটি সম্পর্কে অবশ্য এখনই জানাতে চান না তিনি। দ্রুতই আসবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
মন্তব্য