× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
Selena Gomez in Los Angeles in white robes
google_news print-icon

সাদা পোশাকে লস অ্যাঞ্জেলেসে সেলেনা গোমেজ

বিয়ের পরেও কাটেনি শুভ্র আভা
সাদা-পোশাকে-লস-অ্যাঞ্জেলেসে-সেলেনা-গোমেজ

হলিউড তারকা সেলেনা গোমেজকে সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসের বিলাসবহুল বেল-এয়ার হোটেল থেকে বের হতে দেখা গেছে। গত সেপ্টেম্বরে সংগীত প্রযোজক বেনি ব্ল্যাঙ্কোর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরও তার সাজসজ্জায় যেন এখনো নববধূর শুভ্রতার ছোঁয়া বিদ্যমান।

৩৩ বছর বয়সি এই অভিনেত্রীকে দেখা যায় একটি মনোমুগ্ধকর সাদা পোশাকে, যার ফুলানো হাতা ও কুঁচি করা নকশা পোশাকটিকে অনন্য শৈলী দিয়েছিল। সম্পূর্ণ লুকের সঙ্গে ছিল ক্রিম রঙের পাতলা স্ট্র্যাপের ফ্ল্যাট জুতো, যা তার উপস্থিতি আরও মার্জিত করে তোলে। হাতে একটি ছোট বাক্স এবং মোবাইল ফোন নিয়ে তিনি গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। হালকা মেকআপ এবং খোলা চুলে সেলেনার শান্ত, চিরন্তন সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।

গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে সেলেনা গোমেজ এবং বেনি ব্ল্যাঙ্কো একান্ত পরিবেশে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এই আলোচিত বিয়েতে টেলর সুইফটসহ একাধিক তারকা এবং সেলেনার ‘অনলি মার্ডার্স ইন দ্য বিল্ডিং’ সিরিজের সহ-অভিনেতা স্টিভ মার্টিন ও মার্টিন শর্ট উপস্থিত ছিলেন।

তবে অনুষ্ঠানে সেলেনার দীর্ঘদিনের বন্ধু ও কিডনি দাতা ফ্রানসিয়া রাইসার অনুপস্থিতি নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি সেই গুঞ্জনে ইতি টেনে এক স্প্যানিশ সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন ফ্রানসিয়া রাইসা। তিনি বলেন, “আমি জানি সেলেনা বিয়ে করেছে, আর আমি সত্যিই ওর জন্য খুশি।’

২০১৭ সালে সেলেনাকে কিডনি দান করা প্রসঙ্গে ফ্রানসিয়া যোগ করেন, ‘আমি সেটা করেছি সহানুভূতি থেকে, কোনো শর্তে নয়। শুরু থেকেই চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, এটা কেবল একটি দান—এর বেশি কিছু নয়।’ জীবন বাঁচানোই তার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বের—তার মানে এই নয় যে আমরা সবসময় একসঙ্গে থাকতে হব।’

বিয়ের পর এই প্রথম প্রকাশ্যে সেলেনা গোমেজকে সাদা পোশাকে দেখে ভক্তমহলে আবারও তার বিয়ে ও নতুন জীবন নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
Mr Bin is coming with a glimpse of a puddle laugh
‘ম্যান ভার্সেস বেবি’

মিস্টার বিন আসছেন এক পশলা হাসির ঝলক নিয়ে

মিস্টার বিন এবার বাচ্চা সামলাবেন!
মিস্টার বিন আসছেন এক পশলা হাসির ঝলক নিয়ে

মিস্টার বিন খ্যাত রোয়ান অ্যাটকিনসন কৌতুক অভিনয় দিয়ে বিশ্বজুড়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন। পর্দায় তার দেখা মিললেই যেন মন খারাপ উধাও। আনন্দের সংবাদ হলো এক পশলা হাসির ঝলক নিয়ে আবারও আসছেন মিস্টার বিন।

নেটফ্লিক্সে আসছে রোয়ান অ্যাটকিনসন অভিনীত ম্যান ভার্সেস বি-এর সিকুয়েল ‘ম্যান ভার্সেস বেবি’। চার পর্বের এই সিরিজে আগের মতোই ট্রেভর বিংলি চরিত্রে পাওয়া যাবে রোয়ান অ্যাটকিনসনকে। এ সিজনে তার মূল সংকট দুই শিশু। তাদের সামলাতে গিয়ে পদে পদে নাজেহাল মিস্টার বিন!

দ্য হলিউড রিপোর্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বুধবার ম্যান ভার্সেস বেবি সিরিজের ফার্স্ট লুক প্রকাশ করেছে নেটফ্লিক্স। তাতে বাচ্চাদের সঙ্গে নানা মুহূর্তে দেখা গেছে রোয়ান অ্যাটকিনসনকে।

নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, ক্রিসমাস উপলক্ষে ১১ ডিসেম্বর থেকে এ প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে ম্যান ভার্সেস বেবি। অভিনয়ের পাশাপাশি উইল ভেডিসের সঙ্গে সিরিজটি লিখেছেন ও নির্দেশনাও দিয়েছেন রোয়ান অ্যাটকিনসন।

চার পর্বের এই সিরিজে আগের মতোই ট্রেভর বিংলি চরিত্রে পাওয়া যাবে রোয়ান অ্যাটকিনসনকে।

এ সিজনে তার মূল সংকট দুই শিশু। তাদের সামলাতে গিয়ে পদে পদে নাজেহাল মিস্টার বিন!

ম্যান ভার্সেস বি-তে বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করতে গিয়ে খুব খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল ট্রেভর বিংলির। তাই ওই কাজ ছেড়ে দিয়েছে। সিদ্ধান্ত নিয়েছে, লোভনীয় বেতনের কোনো প্রস্তাব না পাওয়া পর্যন্ত আপাতত হাউস কেয়ারটেকারের কাজে ফিরবে না। এক স্কুলে কেয়ারটেকারের চাকরি নিয়েছে বিংলি।

কয়েকদিন ধরে বিংলির মন বেশ প্রফুল্ল। কারণ, স্কুলে ক্রিসমাসের ছুটি শুরু হচ্ছে। তবে তার এই আনন্দের সময় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। শেষ ক্লাসের দিন স্কুলের আশপাশে নামপরিচয়হীন দুই শিশুকে খুঁজে পায় বিংলি। কোনো অভিভাবক না পাওয়ায় তার ওপরই পড়ে শিশুদের দেখাশোনার ভার। তাদের সামলাতে গিয়ে একের পর এক ঝামেলায় পড়ে বিংলি। নিজের ক্রিসমাসের ছুটি পণ্ড হয়ে যায়।

মিস্টার বিনকে শেষ দেখা গেছে ২০২২ সালে নেটফ্লিক্সে ‘ম্যান ভার্সেস বি’ ৯ পর্বের কমেডি সিরিজে। এতে এক মৌমাছিই ছিল মিস্টার বিনের যত ঝামেলার মূলে। বিশাল এক প্রাসাদে মৌমাছির সঙ্গে তার সেই যুদ্ধের গল্প বেশ আলোচিত হয়েছিল।

মন্তব্য

বিনোদন
Meeting the Queen of Bollywood with the British Prime Minister

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বলিউডের রানির সাক্ষাৎ

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বলিউডের রানির সাক্ষাৎ

বলিউড ও ব্রিটেনের মধ্যে নতুন সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের সূচনা ঘটল গত বুধবার। ভারত সফরে এসে মুম্বাইয়ের যশ রাজ ফিল্মস (ওয়াইআরএফ) স্টুডিও পরিদর্শন করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। এ সময় তিনি বলিউড তারকা ও যশ রাজ পরিবারের সদস্য রানি মুখার্জিসহ বেশ কয়েকজন সেলিব্রিটির সঙ্গে দেখা করেন।

সফরকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, যশ রাজ ফিল্মসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আগামী বছর ব্রিটেনে তিনটি নতুন ছবির শুটিং শুরু হবে। এই উদ্যোগের ফলে ব্রিটেনে ৩ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্টারমার বলেন, ‘বলিউড আবার ব্রিটেনে ফিরছে- এটি শুধু চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য নয়, আমাদের দুদেশের জনগণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এটি কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ও নতুন সুযোগের দ্বার খুলে দেবে। ভারত ও ব্রিটেনের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এই উদ্যোগের মাধ্যমে।’

যশ রাজ ফিল্মসের সিইও অক্ষয় বিধানি জানান, ব্রিটেন সবসময়ই তাদের জন্য বিশেষ স্থান। তার ভাষায়, ‘আমাদের আইকনিক ছবি দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে (ডিডিএলজে)-এর শুটিংও হয়েছিল সেখানে। প্রধানমন্ত্রী স্টারমার আমাদের স্টুডিওতে এসে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন-এটি আমাদের জন্য বড় সম্মানের।’

তিনি আরও জানান, ডিডিএলজে-এর ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ব্রিটেনে বিশেষ আয়োজন করা হবে। এছাড়া বর্তমানে ওয়াইআরএফ ‘Come Fall in Love’ নামে ডিডিএলজে-প্রাণিত একটি ইংরেজি মিউজিক্যাল প্রযোজনা করছে ব্রিটেনে।

এই নতুন উদ্যোগ দুদেশের মধ্যে শুধু অর্থনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক সম্পর্ককেও আরও মজবুত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি সৃজনশীল সহযোগিতা, নতুন কনটেন্ট ও আন্তর্জাতিক বিনিময়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। সূত্র: রিপাব্লিক ওয়ার্ল্ড

মন্তব্য

বিনোদন
The police surrounded Vijay Thalapatis house

বিজয় থালাপতির বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ

বিজয় থালাপতির বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ

দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা ও রাজনীতিক বিজয় থালাপতির বাড়ি ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে চেন্নাই পুলিশ। তামিলনাডুর নীলঙ্করাই এলাকার ওই বাড়ির চারপাশে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। পাশাপাশি সাদা পোশাকের কর্মকর্তারাও টহল দিচ্ছেন সেখানে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, চেন্নাই পুলিশ সদরদপ্তরে ফোন করে এক ব্যক্তি হুমকি দেন-বিজয় যদি ভবিষ্যতে আবার জনসভা করেন, তাহলে তার বাড়ি বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে। ফোনটি আসে কন্যাকুমারী জেলা থেকে। এরপরই পুলিশ তৎপর হয়ে বিজয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায়, যদিও কোনো বিস্ফোরক বা সন্দেহজনক কিছু মেলেনি।

পুলিশ জানিয়েছে, হুমকিদাতার অবস্থান শনাক্ত করার কাজ চলছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা, ফোনটি ভুয়া বা প্র্যাঙ্ক কল হতে পারে।

এই ঘটনার পেছনে রয়েছে সাম্প্রতিক এক বড় দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপট। গত সপ্তাহে বিজয়ের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম (টিভিকে)-এর কারুরে আয়োজিত সমাবেশে পদপিষ্ট হয়ে ৪১ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। ঘটনাটির পর থেকেই বিজয় ও তার দল ব্যাপক সমালোচনার মুখে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজয় সেদিন সমাবেশস্থলে প্রায় সাত ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছান। দুপুর থেকেই হাজার হাজার মানুষ জমা হতে থাকেন। আয়োজকদের দাবি, যেখানে সর্বোচ্চ ১০ হাজার মানুষের জায়গা ছিল, সেখানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ভিড় করেন। নিরাপত্তা বিধি মানা হয়নি, ছিল না পর্যাপ্ত পানি, খাবার বা চিকিৎসাসেবা। ফলে ভিড়ের চাপে অনেকেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন, অ্যাম্বুলেন্সও ভেতরে ঢুকতে পারেনি।

দুর্ঘটনার পর বিজয় গভীর শোক প্রকাশ করে নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। টিভিকে নেতারা অবশ্য দাবি করছেন, ‘আমরা এর আগে বহু বড় সমাবেশ আয়োজন করেছি, কখনও এমন দুর্ঘটনা ঘটেনি।’

এই পরিস্থিতিতেই তার বাড়িতে বোমা হামলার হুমকি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে তামিলনাডু জুড়ে।

মন্তব্য

বিনোদন
Actress Farin Khan is not satisfied with her performance

নিজের অভিনয় নিয়ে সন্তুষ্ট নন অভিনেত্রী ফারিন খান

নিজের অভিনয় নিয়ে সন্তুষ্ট নন অভিনেত্রী ফারিন খান

নাটকের বর্তমান সময়ের অভিনেত্রী ফারিন খান। আলোচিত সব নাটক ও অভিনয়শৈলী দিয়ে হয়ে উঠেছেন দর্শকপ্রিয় মুখ। তবে তার ক্যারিয়ার শুরু হয় ‘ধ্যাৎতিরিকি’ নামে একটি সিনেমা দিয়ে।

এরপর কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ‘ফিমেল থ্রি’ নাটক দিয়ে ছোটপর্দায় যাত্রা শুরু করেন। ‘প্রিয় ঠিকানা’, ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘লাভ বাজ’, ‘প্রথম প্রেমের গল্প’, ‘সুইচ’, ‘আজান’ নামে নাটকগুলোতে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মাঝে মুগ্ধতার রেশ ছড়িয়েছেন। তবে তুলনামূলক কাজ কমে করেন ফারিন। শুরু থেকেই গল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটু বেশিই সচেতন ছিলেন। যেখানে তার চরিত্রটি আরো চ্যালেঞ্জিং ও নিজেকে ভেঙে উপস্থাপনের সুযোগ থাকবে, এমন গল্পেই ছিল আগ্রহ।

নাটকে নিয়মিত এ অভিনেত্রীর পথচলা ততটা মসৃণ ছিলনা। এক দশকের অভিনয় জীবনে নানা প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে তাকে। তবু অভিনয়কে আকড়ে ধরে চলতে চান আরও দীর্ঘ পথ। এ প্রসঙ্গে ফারিন বলেন, ‘অভিনয় অঙ্গনের সবচেয়ে ছোট্ট মানুষটি আমি। এখনো হাতেখড়িই চলছে। নিজের অভিনয় নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। আরো বহুদূর যেতে হবে আমাকে। চেষ্টা করছি ভালো কিছু করার। অবশ্যই দর্শকের ভালোবাসা পাবার জন্যই কাজ করি। আরো ভালো ভালো গল্পের নাটকে এবং সিনেমাতে অভিনয় করতে চাই।’

এদিকে নতুন কোনো সিনেমায় এখন কাজ না করলেও, ফারিন অভিনীত তিনটি সিনেমা রয়েছে মুক্তির তালিকায়। এগুলো হলো ‘আয়না’, ‘প্ল্যানার’, ‘ফেসবুক’। নাটক, সিনেমার বাইরে এ অভিনেত্রীকে মিউজিক ভিডিওর মডেল হতেও দেখা গেছে। আসিফ আকবরের ‘প্রেমের নদী’ ও শেখ সাদীর ‘তোমায় ছোঁয়ার ইচ্ছে’ দুটি মিউজিক ভিডিওতেও মডেল হয়ে প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন তিনি।

মন্তব্য

বিনোদন
Deshlai of Bengal

এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ উৎসবে বাংলার ‘দেশলাই’

এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ উৎসবে বাংলার ‘দেশলাই’

বাংলাদেশ ও ভারতের তরুণসমাজ এবং ইন্টারনেট সংস্কৃতির সমসাময়িক বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে সিনেমা ‘দেশলাই’। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব তাসভির ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বিশ্বপ্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে ছবিটির। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে আয়োজিত এ উৎসবে ১২ অক্টোবর সমাপনী সিনেমা হিসেবে প্রদর্শিত হবে ‘দেশলাই’।

সিনেমাটির কাহিনি গড়ে উঠেছে জুয়েল নামের এক তরুণ টিকটকারকে ঘিরে। হিরো হওয়ার স্বপ্নে বিভোর জুয়েলের ১৫ হাজার অনুসারী রয়েছে। জুয়েল ও তার ভাই জীবন দুজনেই দৈনিক মজুরির কাজ করে। তারা কাতারে গিয়ে একটি ইনফ্লুয়েন্সার কোম্পানিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করে।

হঠাৎ জুয়েলের ভাই জীবন মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে ধরা পড়ে। অর্থাভাবে জুয়েল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। সেখানে শুরু হয় তার জীবনের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি।

ছবিটি নির্মাণ করেছেন ভারতের কৌশিক মুখার্জি। তিনি জানান, প্রথমে সিনেমাটির নাম ছিল ‘জুয়েল’। পরে সেটি পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘দেশলাই’।

ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিজু শাহরিয়ার, প্রিয়ম অর্চি, কাজী নওশাবা আহমেদ, সায়ন ঘোষ, অমিত রুদ্র, রাহি আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

উৎসবে দেশলাই দলের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকবেন অভিনেত্রী প্রিয়ম অর্চি। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি, ওড জয়েন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের লুমিনারি পিকচার্স, ড্রিমস অন সেল ও প্ল্যাটুন ফিল্মস।

মন্তব্য

বিনোদন
Tisha is not staying in the movie with Sharman Joshi

শারমান যোশির সঙ্গে সিনেমায় থাকছেন না তিশা

বিপরীতে সুস্মিতা চ্যাটার্জি
শারমান যোশির সঙ্গে সিনেমায় থাকছেন না তিশা

মাসকয়েক আগে কলকাতার সিনেমার খবরে শিরোনামে এসেছিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা। ওপার বাংলার সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হওয়ার কথা ছিল তার। এম এন রাজ পরিচালিত ‘ভালোবাসার মরশুম’ নামে সেই সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন বলিউডের ‘থ্রি ইডিয়টস’ খ্যাত অভিনেতা শারমান যোশি।

গেল মে মাসের শেষদিকে কলকাতায় সিনেমাটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন শারমান যোশি ও সিনেমার আরেক নায়িকা সুস্মিতা চ্যাটার্জি।

কিন্তু অনুপস্থিত ছিলেন তানজিন তিশা। মহরতের কিছুদিন পর শুটিং শুরু হলেও কোথাও দেখা যায়নি তিশাকে।

এরমধ্যে খবর, সিনেমাটিতে তিশা আর থাকছেন না বলেই জানা গেছে। যদিও এ সিনেমাটি নিয়ে গণমাধ্যমে কোনো কথা বলতেও দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের এক সদস্য গণমাধ্যমকে জানান, তানজিন তিশা ভিসা জটিলতায় পড়েছেন। সে কারণেই তিনি শুটিংয়ে অংশ নিতে পারেননি। এখনো নিশ্চিত না, তিনি পরবর্তী সময়ে যুক্ত হতে পারবেন কি না। তবে সিনেমার টিম তার আশা ছেড়ে দিয়েছে।

এদিকে তিশার অনুপস্থিতিতে শারমান যোশির বিপরীতে অভিনয় করছেন কলকাতার সুস্মিতা চ্যাটার্জি, যিনি সম্প্রতি পরিচালক সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জনে আলোচনায়।

এর আগে এই সিনেমাটিতে তিশা ছাড়াও অভিনয়ের কথা ছিল খায়রুল বাসারের। কিন্তু নাম ঘোষণার পরপরই এক স্ট্যাটাসে অভিনেতা জানিয়ে দেন, সিনেমাটিতে থাকছেন না তিনি।

এদিকে ‘ভালোবাসার মরশুম’ অনিশ্চিত হলেও তানজিন তিশা সম্প্রতি যুক্ত হয়েছেন শাকিব খানের নতুন সিনেমা ‘সোলজার’-এ। সবকিছু ঠিক থাকলে এই সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে তার।

এরইমধ্যে ছবিটির শুটিং শুরু হয়েছে।

মন্তব্য

বিনোদন
Jasims departure is 20 years

জসিমের চলে যাওয়ার ২৭ বছর

‘জসিম ভাইয়ের কাছে শেখা অভিনয় আমি মান্নাকে শিখিয়েছি’
জসিমের চলে যাওয়ার ২৭ বছর

ঢাকাই সিনেমার সোনালি দিনের নায়ক জসিম। খল অভিনেতা হিসেবে সিনেমায় নাম লিখিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন এক নম্বর অ্যাকশন হিরো। গতকাল বুধবার জসিমের চলে যাওয়ার ২৭ বছর পার হলো। ১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর আকস্মিক মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।

তার অনবদ্য অভিনয়, বিশেষ করে অ্যাকশন দৃশ্যে তার নিপুণ উপস্থাপন আজও দর্শকদের হৃদয়ে অমলিন।

বিএফডিসিতে নায়ক জসিমের নামে রয়েছে ‘মুক্তিযোদ্ধা চিত্রনায়ক জসিম ফ্লোর’। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২ নম্বর সেক্টরে মেজর হায়দারের নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশ নেন তিনি।

দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে ‘দেবর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালি পর্দায় অভিষেক করেন জসিম।

যদিও এই অভিনেতার শুরুটা তারও অনেক আগে। শুরুর দিকে তিনি ‘এক্সট্রা আর্টিস্ট’ হিসেবে চলচ্চিত্রে কাজ করতেন। বিষয়টি এক সাক্ষাৎকারে জসিম নিজেই জানিয়েছিলেন। সেই এক্সট্রা আর্টিস্ট থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান তিনি।

জসিমকে নিয়ে অভিনেতা পারভেজ গাঙ্গুয়ার স্মৃতিচারণ

ঢাকার পল্টনে বেকারির দোকান ছিল অভিনেতা পারভেজ গাঙ্গুয়ার। সেই দোকানেই যাতায়াত ছিল চিত্রনায়ক জসিমের। জসিমের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরেই চলচ্চিত্রে আসেন গাঙ্গুয়া। এরপর জসিমের তত্ত্বাবধানে অভিনয় জগতে নাম লেখান আলোচিত এই খল অভিনেতা।

জসিম গাঙ্গুয়াকে হাতেকলমে অভিনয়ের পাঠ শিখিয়েছেন।

গতকাল বিকেলে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে গাঙ্গুয়া বলেন, ‘জসিম ভাই আমার দোকানে আসতেন। বেকারি থেকে খাবার কিনতেন। এভাবেই তার সঙ্গে আমার পরিচয় গড়ে ওঠে। একসময় বললেন, তুমি চলচ্চিত্রে আসো, চলচ্চিত্রে এলে ভাল করবে। আমি নিজেও তার কথা শুনে আগ্রহী হলাম। এরপর জসিম ভাই আমাকে এফডিসিতে নিয়ে গেলেন। একদিন দেখলাম ‘আবার তোরা মানুষ হ’ চলচ্চিত্রের শুটিং হচ্ছে। সেটা মনে হয় ১৯৭৪ সালের কথা। আমি ছবিতে ছোট্ট একটা চরিত্রে অভিনয় করলাম। এরপর জসিম ভাইয়ের কাছে এসে বললাম, আমি অভিনয় করেছি। শুনে জসিম ভাই খুবই খুশি হলেন।’

জসিমের সঙ্গে প্রথম অভিনয় প্রসঙ্গে গাঙ্গুয়া বলেন, ‘এরপর অনেক ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে কাজ করলাম। তবে জসিম ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম ছবিতে কাজ করা হলো ‘আক্রোশ’ চলচ্চিত্রে। জসিম ভাই আমাকে বললেন, তোমাকে আমি অভিনয় শেখাব। তার কথা অনুযায়ী জসিম ভাইয়ের লালমাটিয়ার বাড়িতে চলে যাই। সেখানে তিনি একাই থাকতেন। আমাকে জসিম ভাই হাতেকলমে অভিনয় শেখাতে লাগলেন। পরে জসিম ভাই নাসরিন ভাবীকে বিয়ে করে উত্তরায় চলে গেলেন। আমি সেখানে গেলাম। জসিম ভাই আমাকে বলতেন, অভিনয় হলো কথা না বলেও বোঝাতে হবে যে তুমি কিছু একটা করতে যাচ্ছ। তুমি এক পা এগোবে, তোমার সেই পা কথা বলবে। এভাবেই জসিম ভাইয়ের কাছে অভিনয় শিখলাম।’

গাঙ্গুয়া বলেন, ‘জসিম ভাইয়ের সিনেমা ‘মাস্তান রাজা’য় অভিনয় করে আমি প্রথম আলোচনায় আসি। এরপর ‘বাবার আদেশ’, ‘গরিবের ওস্তাদ’ আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়। তবে দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘প্রেমগীত’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তুমুল আলোচনায় চলে আসি। আমি জসিম ভাইয়ের কাছে অভিনয়ের যে শিক্ষা পেয়েছি এখন পর্যন্ত চলচ্চিত্রে তার চার ভাগের এক ভাগ হয়তো দিতে পেরেছি। বাকিটা দেওয়ার সুযোগ হয়নি। তবে জসিম ভাই যে আমাকে শিখিয়েছেন এই ব্যাপারটা টের পেয়েছিলেন নায়ক মান্না। মান্না আমার কাছ থেকে অভিনয় শিখতে আগ্রহী হন।’

মান্নার সঙ্গে নির্মাতা এনায়েত করিমের ছবিতে কাজ করতে গিয়ে কথা হয়। গাঙ্গুয়া বলেন, ‘এনায়েত করিম ভাইয়ের একটি ছবিতে কাজ করতে গিয়ে আমি তাকে টুকটাক পরামর্শ দিয়েছি, তখন তিনি জানতে পারেন আমাকে অভিনয় শিখিয়েছেন জসিম ভাই। ‘রুটি’ চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে মান্না আমাকে ধরলেন তাকে অভিনয় শেখাতে হবে। তখন আমি তাকে বললাম, আপনি মান্না বাইরের যে মানুষ, সে মানুষটা যেন চলচ্চিত্রের মানুষ না হয়। ‘রুটি’ ছবিতে আমার শিখিয়ে দেওয়া বিষয়গুলো মান্না প্রয়োগ করেন। এরপর মান্নার সংলাপ দেওয়া থেকে শুরু করে কথা বলা সবকিছুই আলাদা হতে থাকে। পরে ‘লাল বাদশাহ’ তুমুল হিট হলো। মান্না নিজেও খুশি হয়েছেন, আমাকে সবসময় তিনি ওস্তাদ বলে ডাকতেন।’

জসিমের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গাঙ্গুয়া বলেন, ‘জসিম ভাই যখন নায়ক হিসেবে অভিনয় শুরু করলেন তখন তো তিনি আর খলনায়কের অভিনয়টা করতে পারতেন না। কিন্তু তার ইচ্ছা- অভিনয়ের ব্যাপারগুলো প্রয়োগ করার। তখন তিনি আমাকে বলতেন- তোমার মাধ্যমে আমি আমার অভিনয় দক্ষতা দেখাতে চাই। এজন্যই জসিম ভাই আমাকে খুবই ভালোবেসে শেখাতেন। একসঙ্গে জসিম ভাইয়ের সঙ্গে অনেক ছবিতে কাজ করা হয়েছে। তবে শেষদিকে ‘স্বামী কেন আসামি’ ছবিতে আমার কাজ করা হয়নি, কোনো এক কারণে জসিম ভাইয়ের সঙ্গে আমার মনোমালিন্য হয়েছিল। যদিও পরে সেটা ঠিক হয়ে যায়।’

ব্যক্তি জসিম ছিলেন অনেক নরম ও মানবিক- এমনটাই জানিয়ে গাঙ্গুয়া বললেন, ‘সহকর্মীদের প্রতি তার ছিল ভালোবাসা। যারা সিনেমার ফাইটে অংশ নিতেন তাদের কথা জসিম ভাই খুবই চিন্তা করতেন। তিনি ফাইটারদের নিয়ে সংগঠন চালু করেন এফডিসিতে। এছাড়া ফাইটারদের বিপদে-আপদে তিনি পাশে থাকতেন। তাদের চিকিৎসা থেকে শুরু সবকিছুই তিনি তদারক করতেন। অসুস্থতার কারণে কোনো শিল্পী কাজ না করতে পারলে তাকে সহায়তা করতেন জসিম ভাই।’

মন্তব্য

p
উপরে