মোহিত সুরির পরিচালনায় ‘সাইয়ারা’ ২০২৫-এ বলিউডে একের এর এক রেকর্ড গেড়েছে। এই সিনেমার সুবাদে নবাগত আহান পান্ডে ও অনিত পাড্ডা যেন রাতারাতি হয়ে উঠেছেন বি-টাউনের নতুন সেনসেশন। শুধু তারকাখ্যাতি নয়- ‘সাইয়ারা’ জায়গা করে নিয়েছে বছরের অন্যতম আলোচিত ও ব্লকবাস্টার ছবির তালিকায়। সেইসঙ্গে সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসছে সিনেমাটি।
বলিউড হাঙ্গামার রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘সাইয়ারা’ ২০২৫ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমা। এটি বিশ্বব্যাপী আয় ৫৪১.১৩ কোটি রুপি, যার মধ্যে ভারতের অভ্যন্তরীণ আয় চার সপ্তাহে পৌঁছেছে ৩১৯.৭১ কোটি রুপি।
সিনেমাটি ইতোমধ্যেই পেছনে ফেলেছে আমির খানের ‘সিতারে জামিন পর’, অজয় দেবগনের ‘রেইড ২’, সালমান খানের ‘সিকান্দার’ এবং অক্ষয় কুমারের ‘স্কাই ফোর্স’-এর মতো ছবিকে।
‘সাইয়ারা’ বিশেষ করে তরুণদের হৃদয়ে ঝড় তুলেছে। সিনেমা হলে দর্শকদের কাঁদার দৃশ্যও ভাইরাল হয়েছে- এটা প্রমাণ করে, গল্পের আবেগ কতটা গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে তাদের মন।
সিনেমার হলে সাফল্যের পর ওটিটিতে আসছে সিনেমাটি। যশরাজ ফিল্মসের কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মা ইনস্টাগ্রামে ঘোষণা করেছেন, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে নেটফ্লিক্সে ‘সাইয়ারা’র স্ট্রিমিং শুরু হবে। আহান ও অনিতের পোস্টার সম্বলিত রি-শেয়ার করা পোস্টে মুক্তির তারিখ নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনার ঢেউ।
আজ আমরা যার কথা বলছি, তিনি শুধু বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রীদের একজনই নন— তিনি হলিউডেও বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তিনি এখন আন্তর্জাতিক তারকা। যদিও তার অভিনয় যাত্রা শুরু হয়েছিল দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে।
সেখান থেকে বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করা এবং ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হয়ে ওঠার লড়াইটা সহজ ছিল না।
এরপর বলিউডের সীমা টপকে তিনি এখন হলিউডেও নিজের একটি জায়গা তৈরি করেছেন। সেখানেও নিজের প্রতিভা ও ব্যক্তিত্বের ছাপ রেখেছেন।
তিনি আর কেউ নন ‘দেশি গার্ল’খ্যাত অভিনেত্রী প্রিয়াংকা চোপড়া। তিনি এখন গ্লোবাল আইকন। বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় প্রতিনিধিত্বের এক উজ্জ্বল মুখ। কিন্তু আপনি জানেন কি, এ অভিনেত্রী সাফল্যের পেছনে রয়েছে সংগ্রামে গল্প?
প্রিয়াংকার এ জায়গায় পৌঁছানোর লড়াইটা সহজ ছিল না। তার যাত্রাপথে এসেছে বহু চ্যালেঞ্জ। গায়ের রঙ নিয়ে কটাক্ষ, ক্যারিয়ারের শুরুতে অবহেলা— বলিউড হোক কিংবা হলিউড, তাকে বারবার প্রমাণ করতে হয়েছে নিজের যোগ্যতা। তবে তিনি টিনএজ লাইফেই এতটা মানসিক চাপে ছিলেন, মাত্র ১৮ বছর বয়সে আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন অভিনেত্রী।
এ হৃদয়বিদারক তথ্য প্রকাশ করেছেন তার সাবেক ম্যানেজার। তবু, সব বাধা পেরিয়ে প্রিয়াংকা আজ এক অনুপ্রেরণা— যার গল্প শুধু সাফল্যের নয়, সাহস, আত্মবিশ্বাস ও অদম্য মানসিক শক্তির প্রতিচ্ছবি।
নব্বই দশক পুরোটাই মাতিয়ে রেখেছিলেন যে অভিনেতা তার নাম আলমগীর। আলমগীর সিনেমায় আছে মানেই, সিনেমাটি দেখতে হবে- এমনটাই ছিল তখনকার মানুষের ভাষ্য। সেই আলমগীর চলচ্চিত্রে এসেছিলেন একটি কাকতালীয় ঘটনার কারণে। আলমগীরদের বাড়িতে ভাড়াটিয়া এসেছিলেন একজন চিত্র পরিচালক।
এই পরিচালক যদি সেদিন বাসাটি ভাড়া না নিতেন তাহলে হয়তো এদেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি পেত না আলমগীরকে।
এমনটাই জানালেন কন্যা আঁখি আলমগীর। এক ফেসবুক পোস্টে আঁখি আলমগীর একটি ছবি শেয়ার করে বলেন, ছবিতে পুরোটা দেখা যাচ্ছে না, এল শেপ্ড এই বাড়িটি তেজগাঁও স্টেশন রোডে অবস্থিত আমার দাদার বাড়ি। ১৯৫৫ সালে নির্মিত। আমার জন্যে অনেক বেশি আবেগের কারণ জন্মের পর থেকে এখানে অনেক বছর ছিলাম। যতটা সামনে দেখা যাচ্ছে পেছনে তার চেয়েও বড়, সন্ধ্যা হলে বিশাল জমির উপর অবস্থিত বিরাটাকার এই বাড়িতে ভয় পাওয়া যেমন মনে আছে তেমন মনে আছে চাচা ফুফু আর কাজিনদের সাথে কাটানো সুন্দর সময় গুলো। আঁখি আলমগীরের এখানেই বেড়ে ওঠা। স্মৃতি মনে করে গায়িকা বললেন, এখানেই আমাদের সবার বেড়ে ওঠা।
ছোট্ট আমার কাছে দাদার বাথরুমের বাথটাব ছিলো সবচেয়ে মজার জায়গা। আরেকটা বাথটাব বাড়ির পেছনে গাছের নিচে কেন ফেলা ছিল তার উত্তর জানা নাই। ছাদে যাওয়া আমাদের ছোটদের একদম নিষেধ ছিল, আমরা কি আর কথা শুনতাম। চলে যেতাম যখন তখন, পরে ভুতের ভয় দেখিয়ে আমাদের থামানো হলো। মনে পড়ে দাদি এখানেই মারা যান, তার অনেক আগে দাদা, তবে আমি দেখিনি দাদাকে, ভেঙে ফেলার আগের এই ছবি।
আঁখি আলমগীর বলেন, এখন এখানে অনেক অনেক অ্যাপার্টমেন্ট, এত বছর পরেও যখন যাই আগের বাড়ির একটা বাতাস কোথা থেকে যেন গায়ে হাত বুলিয়ে যায়। আধুনিক যান্ত্রিক জীবনের পরতে পরতে আমি বার বার অতীত কে ফিরে পাই। খুঁজতে হয়না, অতীত আমাকে খুঁজে নেয়। তার বাবা অর্থাৎ নায়ক আলমগীরের চলচ্চিত্রে আসার কাকতালীয় ঘটনার কথা উল্লেখ করে আঁখি আলমগীর লিখেছেন, এই বাড়ির একটা অংশ ভাড়া নিতে এসেছিলেন শ্রদ্ধেয় পরিচালক আলমগীর কুমকুম। তার ভালো লাগে এই বাড়ির এক সুদর্শন তরুণকে। এভাবেই আবিষ্কৃত হন বাংলাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীর। পরবর্তীকালে কুমকুম আংকেল আমার নাম রাখেন আঁখি। যদিও আলমগীরের পিতা কলিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে দুদু মিয়া ঢালিউডের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ এর একজন অন্যতম প্রযোজক। তারপরেও ছেলে আলমগীরের চলচ্চিত্রে আসার ঘটনাটা ভিন্নভাবে ঘটেছে। আলমগীর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র আলমগীর কুমকুম পরিচালিত যুদ্ধভিত্তিক আমার জন্মভূমি ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায়।
ফুরফুরে মেজাজে আছেন ব্ল্যাকপিংক তারকা রোজে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুখবর মিলেছে তার। এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে আট শাখায় মনোনয়ন পেয়েছেন রোজে। এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র সময় বুধবার মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ করেছে এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস কর্তৃপক্ষ। এতে ভিডিও অব দ্য ইয়ার, সং অব দ্য ইয়ার, বেস্ট কোলাবোরেশন, বেস্ট পপ, বেস্ট ডিরেকশন, বেস্ট আর্ট ডিরেকশন ও বেস্ট ভিজ্যুয়াল ইভেক্টস বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন রোজে। বেস্ট পপ বিভাগে ‘টক্সিক টিল দ্য এন্ড’ গানের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে রোজে লিখেছেন, ‘আমি প্রচণ্ড অবাক হয়েছি, কী বলব বুঝতে পারছি না। আমি রীতিমতো বাক্রুব্ধ।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আজকের দিনটা একদম অবিশ্বাস্য, অদ্ভূত ব্যাপার। কী ঘটছে?’
ব্ল্যাকপিংকের বাকি তিন সদস্যও মনোনয়ন পেয়েছেন। তারা হলেন—জেনি (লাইক জেনি), জিসু (আর্থকোয়াক) ও লিসা (বর্ন এগেইন)।
বেস্ট পপ বিভাগে রোজে ছাড়াও মনোনয়ন পেয়েছেন জিমিন (হু), এসপা (উইপ্লাশ), স্ট্রে কিডস (চিক চিক বুম)।
এই বছর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ইউবিএস অ্যারেনায় আগামী ৮ সেপ্টেম্বর এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসের আসর বসবে।
জেনির জন্ম ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণ কোরিয়ায়, মাঝে বছর পাঁচেক নিউজিল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন তিনি। পড়াশোনা শেষ করে ২০১০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে আসেন জেনি, ২০১৬ সালে নাম লেখান ব্ল্যাকপিংকে।
মাত্র সাত বছরের ক্যারিয়ারে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়েছেন কোরীয় ব্যান্ড ব্ল্যাকপিংকের সদস্য জেনি; গানের বাইরে অভিনয়েও অভিষেক ঘটেছে তার।
দুই বছরের বিরতির পর ‘ডেডলাইন’ কনসার্ট দিয়ে গানে ফিরেছে ব্ল্যাকপিংক। লস অ্যাঞ্জেলেস, নিউইয়র্ক, টরন্টো, প্যারিস, লন্ডনসহ ১৬ শহরে মোট ৩১টি কনসার্টে গাইবেন জেনি, লিসারা।
অভিনয়ে আগের মতো ব্যস্ততা নেই শবনম ফারিয়ার। কয়েক মাস ধরে চাকরি করছেন তিনি। তবে সময়–সুযোগ পেলে অভিনয় করেন। এর বাইরে সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন ছোটপর্দার এই অভিনেত্রী।
তার ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আলোচনাও চলে বেশ। এবার শবনম ফারিয়া ফেসবুক পোস্টে দেশ নিয়ে তার আক্ষেপের কথা প্রকাশ করলেন। হতাশ প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, এদিকে আবার এই সবুজ পাসপোর্টে কেউ ভিসাও দিচ্ছে না! কই যাব আমরা?
এদিকে চব্বিশের অভ্যুত্থানেও প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন অভিনেত্রী। তবে এক ফেসবুক পোস্টে দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে লেখেন, এমন এক দেশে জন্ম, কার কাছে বিচার দেব, জানি না। এক পার্টির বড়রা টাকা মেরে ভাগছে, ছোটরা অনলাইনে জুলাই সিডিআই লিখে সেই শোক কমায়, আর বাকিরা চাঁদাবাজি, ডোনেশন, হাদিয়া নিয়ে কামড়াকামড়ি করে পারাপারের রাস্তা ঠিকঠাক করে!
ওই পোস্টে তিনি নিজেকে সাধারণ মানুষ উল্লেখ করে লেখেন, মাঝখানে আমরা সাধারণ মানুষ, নীরব দর্শক হয়ে রঙিন তামাশা দেখি। কিছু বললেই এক পক্ষ বলে, ডলার খেয়েছেন, লাল স্বাধীনতা কেমন লাগে? অন্য পক্ষ বলে, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর! ১৬ বছর কিছু বলেননি কেন।
তবে ওই পোস্টে রাজনীতি নিয়ে শেষ স্ট্যাটাস জানিয়ে অভিনেত্রী বলেছিলেন, এই স্ট্যাটাসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া বন্ধ করলাম! কারণ, ফাইনালি আমি বুঝে গেছি, জাতি হিসেবে আমরা অত্যন্ত বেহায়া এবং নির্লজ্জ, আমরা কখনো ভালো হবো না, যত আন্দোলন হোক, সরকার পরিবর্তন হোক, যতই শান্তিতে নোবেল পাওয়া মানুষ আসুক, আমাদের কেউ দুর্নীতি এবং চুরি করা থেকে আটকাতে পারবে না! শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ যে–ই ক্ষমতা পাবে, সে–ই তার অসৎ ব্যবহার করবে।
বেশ কয়েকদিন আগেই মার্কিন মুলুকের উদ্দেশে উড়াল দেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। শাকিব খান যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাওয়ার পরেই খবর পাওয়া গিয়েছিল চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীও সেখানে যাচ্ছেন। ছেলে শেহজাদ খান বীরকে সময় দেওয়ার জন্য শাকিবের আহবানে বুবলী নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন। তবে কবে যাচ্ছেন বা যাবেন সে তথ্য উভয়ই গোপন রাখেন। তবে গোপনীয়তা ভেদ করে জানা গেল বুবলী নিউ ইয়র্কে চলে গেছেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ঘুরে বেড়ানোর বেশ কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, শাকিবের সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে পার্কে ঘুরছেন বুবলী। যেখানে দেখা যাচ্ছে নিউইয়র্কের রুজভেল্ট আইল্যান্ডে বেড়াতে গেছেন শাকিব খান। সঙ্গে ছেলে শেহজাদ খান বীর ও শবনম বুবলী। ছবিতে দেখা যায়, একটি কালো গাড়ি থেকে একসঙ্গে নামছেন শাকিব, বীর ও বুবলী। শাকিবের হাত ধরে হাঁটছে ছোট্ট বীর, পেছনে হাঁটছেন মা বুবলী।
রবিবার (০৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শবনম বুবলীর পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ছেলেকে নিয়ে এই দুই তারকা কাটাচ্ছেন একান্ত সময়। কয়েকটি ছবিতে শাকিব-বুবলীকে অন্তরঙ্গও দেখা গেছে। দৃশ্যটা নেহাতই পারিবারিক- চোখে-মুখে প্রশান্তি আর ছেলের প্রতি মায়া। ধারণা করা হচ্ছে, নিউইয়র্কের বাঙালি অধ্যুষিত জনাকীর্ণ এলাকা এড়িয়ে ছেলেকে নিয়ে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য রুজভেল্ট আইল্যান্ডকেই বেছে নিয়েছেন তারা।
এর আগেও বড় ছেলে আব্রাহাম খান জয়কে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে বেড়িয়েছিলেন শাকিব খান। সে সময়েই এই তারকা বলেছিলেন, ‘আমি চাই আব্রাহামের মনে থাকুক সুন্দর এই স্মৃতিগুলো।’
শুধু তাই নয়, শাকিব আরও জানান, আব্রামের মতো বীরকেও তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসবেন। মেগাস্টার তার কথা কথা রেখেছেন। দুই সন্তানকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে সময় ও ভালোবাসা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে। অন্যদের মতো ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।
অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘উত্তরার দিয়াবাড়ির এলাকায় মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় অত্যন্ত দুঃখজনক, এমন ঘটনা মর্মাহত হয়েছি। সবার জন্য দোয়া চাই। সবার জন্য দোয়া রইল।’
সর্বশেষ জানা গেছে, বড় হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে উল্লেখ করে অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব লিখেছেন, ‘মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের জন্য প্রার্থনা। ধারণা হচ্ছে, ব্যাপক হতাহত হতে পারে।’
এমন ঘটনায় ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক ভিডিও। সেখানে কাউকে দেখা যায় অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে। কারও শরীর পুড়ে গেছে। আতঙ্কিত ঘটনা নিয়ে শোক প্রকাশ করে গায়িকা আঁখি আলমগীর লিখেছেন, ‘মাইলস্টোন কলেজ দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাসের ওপর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় আমি আতঙ্কিত। আহা, কী অসহায় আমরা। আল্লাহ সবাইকে ক্ষমা করুন, সহায় হোন।’
শোনা যাচ্ছে, এ ঘটনায় আহতের সংখ্যা বাড়ছে। আহত ব্যক্তিদের জন্য রক্ত দরকার। অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব লিখেছেন, ‘যারা উত্তরার আশপাশে আছেন, রক্ত দিতে পারবেন; তারা আশপাশের হাসপাতালে চলে যান।’ অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানও একই কথা লিখেছেন, ‘উত্তরা আধুনিক, মনসুর আলী মেডিকেলে প্রচুর রক্তদাতা লাগবে। প্লিজ, এগিয়ে আসেন।’
আতঙ্কিত হওয়ার মতো ঘটনার মধ্যে রয়েছে অনেক শিশু আহত হওয়া খবর। এসব শিশু ও হতাহতদের জন্য সাহায্য কামনা করেছেন চিত্রনায়িকা তমা মির্জা। তিনি লিখেছেন, ‘আল্লাহ দয়া করে সাহায্য করুন এবং নিষ্পাপ আত্মাদের রক্ষা করুন। শিশু, শিক্ষক এবং তাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা রইল।’
বিমান দুর্ঘটনায় কেউ কেউ এআই দিয়ে ছবি বানিয়ে পোস্ট করছেন। এতে অনেক বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ছে। এ নিয়ে গায়ক ও গীতিকার লুৎফর হাসান লিখেছেন, ‘বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে ট্রেন্ডি পোস্ট দিতে গিয়ে এআই দিয়ে ছবি বানিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা থেকে দূরে থাকুন। যেহেতু দুর্ঘটনা, তাতে হতাহতের ঘটনা ঘটতেই পারে। কারও হতাহতের খবর আপনার ট্রেন্ড না হোক। ইতোমধ্যে প্রচুর এআই ছবি দেখতে পাচ্ছি, যা খুবই দুঃখজনক।’
উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। পরিচালক মোস্তফা কামাল রাজ লিখেছেন, ‘প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাটা খুবই দুঃখজনক ও হৃদয়বিদারক। আল্লাহ তুমি রহম করও, সবাইকে নিরাপদে রাখো। যারা আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, আল্লাহ তাদের জন্য সহায় হোন।’
সমবেদনা জানিয়েছেন অভিনেত্রী রিচি সোলায়মান। তিনি লিখেছেন, ‘উত্তরা মাইলস্টোনের ট্র্যাজেডিতে শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। মহান সৃষ্টিকর্তা এই শোক কাটিয়ে ওঠার শক্তি দিন।’
কদিন আগেই ভারতের আহমেদাবাদের মেডিকেল হোস্টেলে বিমান পড়েছিল। সেই ঘটনা মনে করিয়ে অভিনেতা আনন্দ খালেদ লিখেছেন, ‘জগতে একই ঘটনা বারবার ঘটে। আহমেদাবাদে বিমানটি পড়েছিল মেডিকেল হোস্টেলের ক্যানটিনের ছাদে। আর এটা পড়ল মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের ক্যানটিনের ছাদে।’ শামীম হাসান সরকার লিখেছেন, ‘বাচ্চাদের এই কষ্ট মেনে নেওয়ার মতো না। আমাদের সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।’
মন্তব্য