জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনার বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণার পর সহশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির একটি বিতর্কিত পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় কনা তার ফেসবুক পেজে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে লিখেন, "জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে—সবই আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটে।" ঠিক এক ঘণ্টা পর রাত ১২টার দিকে ন্যান্সি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, "জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে-বিচ্ছেদ, এর সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়—বাণীতে শেয়াল রাণী।"
ন্যান্সির এই 'শেয়াল রাণী' উক্তিটি সরাসরি কনাকে উদ্দেশ্য করে বলে ধারণা করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকারীরা। বিশেষ করে কনার পোস্টের ভাষাকে হুবহু উদ্ধৃত করে এই মন্তব্য করায় বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গত বছরের একটি ঘটনাও সামনে আসছে। ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই ন্যান্সি একটি শেয়ালের ছবি পোস্ট করেছিলেন, যা সে সময় কনাকে ইঙ্গিত করে করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করেছিলেন। ওই সময় কনার 'দুষ্টু কোকিল' গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
যদিও দুই শিল্পীই কখনও প্রকাশ্যে একে অপর সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি, তবুও ন্যান্সির এই সাম্প্রতিক পোস্টকে অনেকেই কনার প্রতি পরোক্ষ আক্রমণ হিসেবে দেখছেন।
উল্লেখ্য, কনা ২০০০ সালে এবং ন্যান্সি ২০০৬ সালে সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। ন্যান্সির এই মন্তব্যের পর দুই শিল্পীর মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে।
গেল বছর থেকেই দেবের ‘প্রজাপতি ২’ সিনেমা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ছবিটি নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়। তবে তখনও পর্যন্ত ছবিটি নিয়ে কোনো আপডেট ছিল না। অবশেষে জানা গেল, জুলাই থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ছবিটির শুটিং। তবে শুরুর দিকে ‘প্রজাপতি ২’-তে দেবের নায়িকা হিসেবে তাসনিয়া ফারিণের নাম শোনা গেলেও এখন আর তিনি থাকছেন না। ভিসা জটিলতার কারণে বাদ পড়েছেন তিনি।
এবার ছবিটিতে দেবের নায়িকা হচ্ছেন ওপার বাংলার ছোট পর্দার অভিনেত্রী জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডু। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার এক বৈঠকে ছবিটি নিয়ে প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতার আলোচনা হয়েছে। অতনু-দেব-অভিজিৎ ঠিক করেছেন, কলকাতায় তারা প্রথম শুটিং শুরু করবেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেশের বাইরে শুটিং করবেন। অতনু রায় চৌধুরী প্রযোজিত ‘প্রজাপতি ২’ ছবিটি পরিচালনা করবেন অভিজিৎ সেন।
প্রকাশিত হয়েছে কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলের বায়োগ্রাফি, আশা ভোঁসলে: আ লাইফ ইন মিউজিক। বইটি লিখেছেন রম্যা শর্মা।
এই জীবনীতে আশা ভোঁসলের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে, যা পড়ে বা জেনে অবাক হবেন অনেকেই।
বইটিতে তার স্বামী গণপতরাও ভোঁসলের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যিনি আশার থেকে ২০ বছর বড় ছিলেন। এই সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত দুঃখ আর কষ্টে গিয়ে পৌঁছেছিল।
আশা ভোঁসলে লিখেছেন, ওদের পরিবার খুব রক্ষণশীল ছিল, তারা একটা গায়িকাকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে পারেনি।
স্বামীকে নিয়ে আশা বলেন, আমার স্বামীর মেজাজ খুব খারাপ ছিল। হয়তো তিনি কষ্ট দিতে ভালোবাসতেন, হয়তো তিনি স্যাডিস্ট ছিলেন। কিন্তু বাইরের কেউ এসব জানতে পারত না। আমি তাকে সবসময় সম্মান দিয়েছি, কখনো প্রশ্ন করিনি। আমি শুধু নিজের কর্তব্য পালন করতাম।
তিনি আরও বলেন, একবার আমার মনে হয়েছিল আত্মহত্যা করি। আমি তখন অসুস্থ ছিলাম। আমি চার মাসের গর্ভবতী ছিলাম এবং হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম, যেখানে অবস্থা এত খারাপ ছিল যে মনে হয়েছিল আমি নরকে চলে এসেছি।
যোগ করে কিংবদন্তি এই গায়িকা বলেন, মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলাম, তখন পুরো এক বোতল ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু আমার গর্ভের সন্তানের প্রতি ভালোবাসা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে আমি মারা যাইনি। আমি আবার জীবনে ফিরে এসেছিলাম।
কাজল তার নতুন হরর সিনেমা ‘মা’-এর প্রচারের সময় আলটপকা মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন। অভিনেত্রী একটি সাক্ষাৎকারে হায়দরাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটিতে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে এটিকে ‘ভুতুড়ে জায়গা’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, বলাই বাহুল্য তার এই কথা অনেকেরই ভালো লাগেনি। সমালোচনার পর কাজল তার এক্স অ্যাকাউন্টে নতুন একটি পোস্টে সুর বদল করেন।
কাজলের বক্তব্য
নতুন বিবৃতিতে কাজল বলেন, ‘আমার ছবি ‘মা’-এর প্রচারের সময় রামোজি ফিল্ম সিটি নিয়ে আমার আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করতে চাই। আমি রামোজি ফিল্ম সিটিতে একাধিক প্রকল্পের শুটিং করেছি এবং বছরের পর বছর ধরে সেখানে অনেকবার থেকেছি। আমি বরবারই চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য এটিকে পেশাদার জায়গা বলে মনে করেছি। দেখেছি অনেক পর্যটক এখনে ঘুরতে আসেন। এটি একটি দুর্দান্ত পর্যটন গন্তব্য; পরিবার ও শিশুদের জন্য একেবারে নিরাপদ।’
যেভাবে বিতর্ক
গালাট্টা ইন্ডিয়ার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে, কাজলকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি কখনো নেতিবাচক শক্তির অভিজ্ঞতা পেয়েছেন কি না।
তিনি বলেন, ‘আমার একাধিকবার এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। একে নেতিবাচক শক্তি বা যা-ই বলুন, কখনো কখনো, আপনি যখন কোনো জায়গায় যান, তখন আপনার মনে হয় যে কিছু ঠিক নেই। আমি এমন জায়গায় শুটিং করেছি, যেখানে আমি সারা রাত ঘুমাতে পারিনি, যেখানে আমার মনে হয়েছে যদি আমি এই জায়গা ছেড়ে যেতে পারি তবে ভালো হবে। এ রকম বেশ কয়েকটি জায়গা আছে। একটি প্রধান উদাহরণ হায়দরাবাদের রামোজি রাও স্টুডিও, যা বিশ্বের সবচেয়ে ভুতুড়ে জায়গাগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও আমি যথেষ্ট ভাগ্যবান যে কিছুই (ভূত) দেখিনি।’ ‘মা’ ২৭ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। বিশাল ফুরিয়া পরিচালিত ছবির অন্যতম প্রযোজক কাজলের স্বামী অজয় দেবগন।
বহুমাত্রিক চরিত্রে সাবলীলভাবে অভিনয় করে বলিউডে নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন রাজকুমার রাও। দর্শকের ভালোবাসা আর একের পর এক ব্যবসাসফল ছবিই এর প্রমাণ। ভারতীয় শিল্পপতি শ্রীকান্ত বোল্লার চরিত্রে অসাধারণ পারফরম্যান্স অভিনেতা হিসেবে তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। এবার রাজকুমারকে দেখা যাবে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে, ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর বায়োপিকে সৌরভের চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন তিনি। এত দিন মুখ না খুললেও এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেন এ অভিনেতা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ গাঙ্গুলীর ভূমিকায় অভিনয়ের কথা নিশ্চিত করেছেন রাজকুমার রাও। তিনি বলেন, ‘এখন যেহেতু দাদা (গাঙ্গুলী) নিজেই বলে দিয়েছেন, আমিও জানাচ্ছি, হ্যাঁ, আমি তার বায়োপিকে কাজ করছি।’ অভিনেতা জানিয়েছেন, এই চরিত্র নিয়ে বেশ নার্ভাস তিনি। কারণ, এটি বিশাল দায়িত্ব বলে মনে করছেন তিনি।
এই বায়োপিকের জন্য রাজকুমার রাওকে শিখতে হচ্ছে বাংলা ভাষা, যেখানে তার স্ত্রী পত্রলেখা তাকে সাহায্য করেছেন। ছবিটি পরিচালনা করবেন বিক্রমাদিত্য মোটওয়ানে; এটি প্রযোজনা করছে লাভ ফিল্মস।
রাজকুমার রাওয়ের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী বলেন, রাজকুমার রাও একজন দারুণ অভিনেতা এবং এই চরিত্রের জন্য উপযুক্ত পছন্দ। তিনি আরও জানান, ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে ছবির শুটিং শুরু হবে এবং মুক্তি পাবে ডিসেম্বর ২০২৬-এ। গাঙ্গুলী নিজেও ছবির সৃজনশীল দিকগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত থাকবেন।
এর পাশাপাশি রাজকুমার রাওয়ের পরবর্তী ছবি ‘মালিক’। পুলকিত পরিচালিত এই অ্যাকশন-ড্রামা ছবিটি এলাহাবাদ শহরকে পটভূমি করে গড়ে উঠেছে। এক গ্যাংস্টারের অপরাধজগতের শীর্ষে পৌঁছানোর গল্প নিয়ে তৈরি ‘মালিক’ মুক্তি পাবে আগামী ১১ জুলাই ২০২৫–এ।
একদিকে মুক্তি পেয়েছে আমির খানের ‘সিতারে জমিন পর’ ছবি। অপর দিকে ধানুশ, নাগার্জুন আর রাশমিকা মান্দানার প্যান ইন্ডিয়া ছবি ‘কুবের’। এই দুই ছবির মুখোমুখি ‘সংঘাত’ হয়েছে। এদিকে কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া অক্ষয় কুমারের ‘হাউসফুল ৫’ এখনো চলেছে। বক্স অফিসের দৌড়ে কোন ছবি এগিয়ে আর কোন ছবি পিছিয়ে, তা দেখে নেওয়া যাক।
গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে আমির খান প্রযোজিত এবং অভিনীত ছবি ‘সিতারে জমিন পর’। আমির কোমর বেঁধে এই ছবির প্রচারণা করেছেন। ২০০৭ সালে আমিরের ব্লক বাস্টার ছবি ‘তারে জমিন পর’-এর সিকুয়েল এটি। ‘সিতারে জমিন পর’ ছবিটি স্প্যানিশ ছবি ‘চ্যাম্পিয়নস’-এর অফিশিয়াল রিমেক। এই ছবির মূল আকর্ষণ আমির ছাড়া ১০ জন নিউরোডাইভারজেন্ট ব্যক্তি। ‘সিতারে জমিন পর’ ছবিতে আমিরের সঙ্গে তারা পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন। আমিরের ছবিটি চিত্রসমালোচকদের পাশাপাশি সাধারণ দর্শকের মন জয় করেছে।
আর এস প্রসন্না পরিচালিত এই ছবির শুরুটা একটু ধীরগতিতে হয়েছিল। তবে গত শনি আর গত রোববার বক্স অফিসে বেশ ভালোই দাপট দেখিয়েছে আমিরের এই ছবি। ‘সিতারে জমিন পর’ বক্স অফিসের খাতা খুলেছিল ১০ কোটি দশমিক ৭ লাখ রুপি দিয়ে। ছবিটি মুক্তির দ্বিতীয় দিন; অর্থাৎ গত শনিবার ২০ কোটি ২ লাখ রুপি ব্যবসা করেছে। আর গত রোববার, মানে মুক্তির তৃতীয় দিনে ‘সিতারে জমিন পর’-এর আয়ের অঙ্ক ২৯ কোটি ২২ লাখ। স্পোর্টস কমেডি–ধর্মীর ছবিটির তিন দিনে মোট আয় ৬০ কোটি ১২ লাখ।
‘কুবের’
আমির খানের ‘সিতারে জমিন পর’ ছবির মুক্তির দিনেই ধানুশের ‘কুবের’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। ‘কুবের’ মুক্তির প্রথম দিন বক্স অফিসের দৌড়ে আমিরের ছবিকে পেছনে ফেলে দিয়েছিল। এই ছবি ওপেনিং ডে-তে আয় করেছিল ১৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপি। কিন্তু সপ্তাহান্তে বাজিমাত করেছে ‘সিতারে জমিন পর’। গত শনিবার ‘কুবের’ আয় করেছে ১৬ কোটি ৫ লাখ। আর রোববার ‘কুবের’ ব্যবসা করেছে ১৭ কোটি ৬২ লাখ। এখনো পর্যন্ত ধানুশ আর নাগার্জুন অভিনীত ছবিটি আয় করেছে প্রায় ৪৮ কোটি ৮৮ লাখ রুপি।
‘হাউসফুল ৫’
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বক্স অফিস ধরে আছে অক্ষয় কুমার অভিনীত ছবি ‘হাউসফুল ৫’। তরুণ মনসুখানি পরিচালিত এই কমেডি ঘরানার ছবিতে অক্ষয় ছাড়া আছেন নানা পাটেকর, জ্যাকি শ্রফ, অভিষেক বচ্চন, সঞ্জয় দত্ত, রিতেশ দেশমুখ, শ্রেয়স তলপড়ে, চাঙ্কি পান্ডে, চিত্রাঙ্গদা সিং, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ, নারগিস ফাখরিসহ আরও অনেকে। ‘হাউসফুল ৫’ ছবিটি মুক্তির তৃতীয় সপ্তাহান্তে কোটির বেশি আয় করেছে। গত শনিবার অক্ষয়ের ছবিটি ব্যবসা করেছিল ২ কোটি ৫ লাখ রুপি। মুক্তির তৃতীয় রোববার ছবিটি আয় করেছে ৩ কোটি ৩৫ লাখ রুপি। সব মিলিয়ে ‘হাউসফুল ৫’ পঞ্চম সিকুয়েলটি মুক্তির ১৭ দিন পর্যন্ত আয় করেছে ১৭৫ কোটি ৯৫ লাখ রুপি।
অভিনেতা রণবীর কাপুরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ভেঙে পড়েছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন। এর পর রণবীর সিংয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় অভিনেত্রীর। ‘রামলীলা’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে দুজনের সম্পর্কের সেতু তৈরি হয়। দীর্ঘ দিন সম্পর্কে থাকার পর ২০১৮ সালে বিয়ে করেন এ তারকা জুটি। বর্তমানে অভিনেত্রী রণবীর সিংয়ের ঘরনি। এক সন্তানের মা।
তবে একটা সময়ে দীপিকার প্রেমিকের তালিকাটা ছিল বেশ লম্বা। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সাবেক প্রেমিকদের প্রসঙ্গে কথা বলেন অভিনেত্রী।
দীপিকা পাডুকোনকে নিয়ে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে ঘটে গেছে অনেক কাহিনি। বিজয় মালিয়ার ছেলে সিদ্ধার্থ মালিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ দিন সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী। পরে সে সম্পর্ক ভেঙে যায়। সেই সময় সিদ্ধার্থ মালিয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন— সম্পর্ক ভাঙার পরও দীপিকার সঙ্গে তার সৌজন্যমূলক যোগাযোগ ছিল।
বলিপাড়ার ডিভা তিনি। কারণ ব্যক্তিগত জীবনের জন্য বারবার খবরের শিরোনামে উঠে আসেন অভিনেত্রী। ২০০৮ সালে ‘বাচনা অ্যায় হাসিনো’ সিনেমার সেটে রণবীর কাপুরের সঙ্গে প্রথম দেখা দীপিকার। সেই সিনেমার সেট থেকেই প্রেম শুরু অভিনেত্রীর। তবে সেই সম্পর্কও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি তার। শোনা যায়, রণবীরই তার সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন।
এর আগে সিদ্ধার্থ মালিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রণবীরের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীনও দীপিকাকে তার প্রেমজীবন নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে অভিনেত্রী বলেছিলেন— আমি লক্ষ করেছি, আমার সাক্ষাৎকারে অন্য বিষয় নিয়েই আলোচনা বেশি হয়।
দীপিকা আরও বলেছিলেন— আমার বড় হয়ে ওঠার ধরন সম্পূর্ণ ভিন্ন। বেঙ্গালুরুর খুবই সাধারণ ও সুরক্ষিত পরিবার থেকে এসেছি আমি। আমার বাবা-মা এবং অন্য যে কোনো সম্পর্কই খুব মজবুত। তাই বড় হওয়ার সময়ে বেশ ভালোবাসা পেয়েই বড় হয়েছি আমি। ভেতর থেকে নিজে খুবই সংবেদনশীল মানুষ বলেও দাবি করেন দীপিকা।
মন্তব্য