জনি ডেপের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বিরহেই দিন কাটাচ্ছিলেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড। তবে সেই বিষাদকে আনন্দে রূপ দিয়ে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে এই অভিনেত্রী। তবে এবার আর কোনো কোর্টরুম নয় বরং এবার তিনি খবরে এসেছেন মাতৃত্বের মহিমা নিয়ে। ‘দ্য ওয়ার্ড’ খ্যাত জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী একসঙ্গে দুই নবজাতকের মা হয়ে চমকে দিয়েছেন ভক্তদের। মা দিবসের সকালে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করা দুটি ছোট্ট পায়ের ছবি যেন জানিয়ে দিল, তার জীবনে এসেছে এক পুত্র এবং এক কন্যা। ৩৯ বছর বয়সে জীবনের সবচেয়ে বড় ও আনন্দঘন এই ভূমিকার খবর নিজেই ভাগ করে নিলেন পুরো বিশ্বের সঙ্গে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই তারকা লিখেছেন, আজ আমি আনুষ্ঠানিকভাবে এই খবরটি শেয়ার করছি যে, আমি যমজ ভাইবোনকে (অ্যাম্বার হার্ডের ছেলে-মেয়ে) হার্ড গ্যাংয়ে স্বাগত জানিয়েছি। আমার মেয়ে অ্যাগনেস এবং পুত্র ওশান আমার হাত পূর্ণ করে রেখেছে। চার বছর আগে যখন আমার প্রথম কন্যা ওনাঘের জন্ম হয়েছিল, তখন আমার পৃথিবী চিরতরে বদলে গিয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম এর চেয়ে বেশি আনন্দ আর হতে পারে না। আচ্ছা, এখন আমি তিনগুণ বেশি আনন্দিত!’
তবে এখন এ অভিনেত্রীর লক্ষ্য হলো হলিউডে সফলভাবে ফিরে আসা। রাডার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, তিনি একটি ‘চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তন’ করতে চান। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি তার অনুকূলে যাচ্ছে না। হার্ড বেশকিছু চলচ্চিত্রে কাজ করতে ইচ্ছুক, এমনকি প্রযোজক হিসেবেও কাজ শুরু করতে চান। তবে জনি ডেপের জনপ্রিয়তা ও ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’-এর প্রতি দর্শকের ভালোবাসা এই পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। একটি সূত্র থেকে জানা যায়, হার্ডের প্রতিনিধি যদিও তার ক্যারিয়ার এগিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন কিন্তু বাস্তবে তিনি কাঙ্ক্ষিত সুযোগ পাচ্ছেন না।
অন্যদিকে, জনি ডেপ ইতোমধ্যেই হলিউডে নিজের হারিয়ে ফেলা জায়গা পুনরুদ্ধার করেছেন। এই অভিনেতা বর্তমানে পেনেলোপ ক্রুজের সঙ্গে ‘দ্য ডে ড্রিংকার’ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত আছেন এবং ‘পাইরেটস’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে তার ফিরে আসারও জোর গুঞ্জন রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালে এ অভিনেতার করা মানহানির মামলায় জয়ের পর থেকেই হার্ড ও ডেপের মধ্যে সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে উঠেছে। অভ্যন্তরীণ এক সূত্রের দাবি, ‘তারা একে অপরকে কখনো ক্ষমা করবে না।’
প্রায় এক যুগ পর একসঙ্গে পর্দায় পাওয়া যাবে জয়া আহসান ও শাকিব খানকে। ঈদুল আজহায় মুক্তির প্রস্তুতি চলছে নতুন সেই সিনেমা ‘তাণ্ডব’। এরই মধ্যে সিনেমাটি নিয়ে আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে সত্যিই এটি ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে কি না তা এখনো নিশ্চিত করেননি নির্মাতা রায়হান রাফী। তবে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া জানান, এই ছবিতে এক বদলে যাওয়া শাকিবকে পেয়েছেন তিনি। এর আগে ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’ নামে একটি সিনেমায় একত্রে দেখা গিয়েছিল শাকিব খান ও জয়া আহসানকে। এরপর আর একসঙ্গে কাজ করেননি তারা। দীর্ঘ এক যুগ পর আবারও পর্দা ভাগাভাগি করছেন এ দুই তারকা। এতদিন পর শাকিবের সঙ্গে অভিনয় করে কেমন লাগছে? কতটা পরিবর্তন এসেছে অভিনেতার? জানতে চাইলে জয়া আহসান বলেন, ‘তার ডেডিকেশন লেভেলটা অনেক বেড়েছে। খুব মন দিয়ে কাজ করেন। নিজের চরিত্রের জন্য সর্বোচ্চটা তিনি দেন, যেটা অ্যাপ্রিশিয়েট করার মতো।’
‘তাণ্ডব’ ছবিতে জয়া আহসান অভিনয় করলেও শাকিবের নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে না এই তারকাকে। বরং শাকিবের নায়িকা হিসেবে ছবিতে অভিনয় করেছেন সাবিলা নূর। সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে হামলাকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যাবে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার গল্প। সিনেমাটির বিশেষ একটি চরিত্রে কাজ করছেন জয়া আহসান। এরই মধ্যে ‘তাণ্ডব’-এর শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন ছবির অভিনয়শিল্পীরা। এই ছবিতে কাজ করছে একঝাঁক তারকা।
একসঙ্গে কাজ না করলেও জয়া আহসান ও শাকিব খান দুজনেই এককভাবে ব্যস্ত ছিলেন কাজ নিয়ে। একই সঙ্গে ঢাকা ও কলকাতায় কাজ করেছেন দুই তারকাই। বিশেষ করে কলকাতার সিনেমায় জয়ার সম্পৃক্ততা ছিল উৎসাহব্যঞ্জক। অন্যদিকে শাকিব খানও আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে সময় পার করেছেন। গত বছর শাকিব অভিনীত তিনটি সিনেমা মুক্তি পায়।
সিনেমাগুলো নিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি প্রচুর সমালোচনাও সইতে হয়েছে অভিনেতাকে। গত বছর উৎসবের বাইরে শাকিবের ‘দরদ’ নামে একটি সিনেমা মুক্তি পেলেও সেটি সাফল্য পায়নি। সম্প্রতি ঈদুল ফিতরে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় শাকিব অভিনীত দুটি সিনেমা ‘অন্তরাত্মা’ ও ‘বরবাদ’। সিনেমা দুটি নিয়ে নিজের সঙ্গেই নিজেকে লড়াই করতে হয়েছে অভিনেতাকে। দুটি সিনেমাতেই তিনি সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন বিদেশি নায়িকা, যা গত কয়েক বছর ধরেই তার সিনেমায় দেখা যাচ্ছে।
টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নাজিফা তুষিকে ‘হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয় করার আর কোনো নতুন সিনেমায় দেখা যায়নি। ‘হাওয়া’ মুক্তির তিন বছর পার হয়ে গেলেও প্রায়ই সিনেমার খবরে শিরোনাম হয়েছেন জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী। তবে পর্দায় উপস্থিতি মেলেনি। এর মধ্যে দুটি সিনেমার কাজ শেষ করলেও তা এখনো মুক্তি পায়নি। দর্শকরাও বলছিলেন, ‘হাওয়া’র পর কি তবে ‘হাওয়া’-ই হয়ে গেলেন পর্দার গুলতি? তবে সেই কৌতূহলের অবসান ঘটিয়ে এবার অভিনেত্রী জানালেন নতুন সিনেমার খবর।
জানালেন, এরই মধ্যে নতুন আরেকটি সিনেমার কাজ শুরু করেছেন নাজিফা তুষি। সিনেমাটির নাম ‘সখী রঙ্গমালা’। এর কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘রঙ্গমালা’ রূপে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। অষ্টাদশ শতকের নোয়াখালীর জমিদার পরিবারের কাহিনি ঘিরে ২০০ বছরেরও আগের আখ্যান নিয়ে লেখা প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শাহীন আখতারের ‘সখী রঙ্গমালা’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি।
সরকারি অনুদানে এটি নির্মাণ করছেন ‘চন্দ্রাবতী কথা’ পরিচালক এন রাশেদ চৌধুরী। সিনেমার খবরটি নিশ্চিত করে নাজিফা তুষি জানিয়েছেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সিনেমাটির শুটিং করছেন তিনি। এর মধ্যে এক লটের শুটিং শেষও করে ফেলেছেন। শিগগিরই অংশ নেবেন পরের লটে।
নাজিফা তুষি বলেন, ‘প্রায় দুইশ বছর আগের গল্প, স্পিরিচুয়াল বিষয় নিয়ে কাজ; মনে হয়েছে এই কাজটা আমার করা উচিত। এ রকম একটা ঐতিহাসিক গল্পের উল্লেখযোগ্য একটা চরিত্র হতে পারাটাও আনন্দের। সিনেমাটির গল্প নোয়াখালীর জমিদার পরিবারের, আমি নিজেও নোয়াখালীর মেয়ে; সেদিক থেকে একটা অন্যরকম ভালো লাগা তো আছেই। সব কিছু মিলিয়ে দারুণ উপভোগ করছি।’
পরিচালক জানিয়েছেন, প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শাহীন আখতারের ‘সখী রঙ্গমালা’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মাণ করছি। যেহেতু অনুদানের সিনেমা, সেটার প্রথমাংশ পাবার পর সিনেমাটি প্রায় ৪০ ভাগ অংশের শুটিং শেষ করেছি এরমধ্যে। বাকি অংশের কাজও শিগগিরই শেষ করব।
২০২৩-২৪ সালে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘সখী রঙ্গমালা’র রঙ্গমালা চরিত্রে নাজিফা তুষি এবং ফুলেশ্বরী চরিত্রে অভিনয় করছেন স্বর্ণালী চৈতি। এ ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন স্বর্ণালী চৈতি, প্রান্তর দস্তিদার, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, তৌফুকুল ইমন, শিল্পী সরকার অপু প্রমুখ। চলতি বছরে নভেম্বর-ডিসেম্বরে সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলা গোটা ভারতকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ভয়াবহা এই সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান প্রায় ২৬ জন। এই ঘটনার ঠিক ১৫ দিন পর অপারেশন সিঁদুরের আওতায় পাকিস্তানকে পাল্টা জবাব দেয় ভারত। তবে তিন দিন পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় আপাতত বন্ধ হয় পাক-ভারত সহিংসতা। বিষয়টি নিয়ে বলিউড ও টিভি তারকাদের অনেকেই এতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানি শিল্পীদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন অনেকেই। চুপ ছিলেন অনেক তারকা। এমন পরিস্থিতিতে নিজের একটি পোস্ট ডিলিট করে তোপের মুখে পড়েন বলিউড তারকা সালমান খান।
শুরুতে পেহেলগামে জঙ্গি হামলা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন সালমান। এর পরে আবার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে নীরবই ছিলেন তিনি। দিনভর বিমান হামলা নিয়েও নীরব ছিলেন, সে বিষয়ে কোনো পোস্টই করেননি ভাইজান। গত ১০ মে বিকেল ৫টায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি একটি পোস্ট করেন। আর সেই পোস্ট দেখা মাত্রই বহু লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
গত শনিবার রাত রাত ৯টা নাগাদ এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটার) সালমান লেখেন, ‘যুদ্ধবিরতির জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।’ আর এই পোস্ট করা মাত্রই সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণের মুখে পড়েন ভাইজান। তবে আবার নিজের পোস্টের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের ক্ষোভ দেখে কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের সেঅ পোস্ট ডিলিট করে দেন এই সুপারস্টার। কিন্তু ততক্ষণে বহু নেটিজেন তার পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে ফেলেন। এই পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করেই মানুষ তার উপর ক্ষোভ উগরে দেন। তাদের মধ্যে এক নেটিজেন সালমানের একটি পুরানো ভিডিও শেয়ার করেন যেখানে তাকে পাকিস্তান সম্পর্কে কথা বলতে দেখা যায়। তবে শুধু সালমানকেই নয়, সেই পোস্টে বলিউডের তিন খানকেও টেনে আনা হয়। কেউ আবার প্রশ্ন করেছেন, ‘গত ৩ দিন কোথায় ছিলেন? যখন পাকিস্তান ভারতের উপর হামলা চালাচ্ছিল।’
একজন নেটিজেন টুইট করেছেন, ‘তথাকথিত ভাই.... মানুষ হয়ে বা না হয়ে.....গত ৪ দিনে উনি কেবল যুদ্ধবিরতির বিষয়ে চিন্তা করতে পারতেন.... উনি যদিও পোস্টটি মুছে ফেলেছেন, তবে আমরা কিন্তু জানি ওর সিনেমাগুলিকে কী করা উচিত...’। আরও একজন লেখেন, ‘অপারেশন সিঁদুর সময় নীরব ছিলেন মেরুদণ্ডহীন সলমন খান যুদ্ধবিরতির বিষয়ে উনি একটি টুইট করেন আবার সেই টুইট মুছেও ফেলেন। লজ্জা হয় না তোমার উপর ভাই’।
সালমানের কাণ্ডে বিরক্ত হয়ে তার এক অনুরাগী লিখে বসেন, ‘তোমার পাগল ভক্ত হিসেবে আমার শুধু একটি অনুরোধ আছে যে ৩ দিন পরে যুদ্ধবিরতির জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ বলে টুইট করার পর আপনি যখন তুমি জানতে পারেন যে পাকিস্তান আবারও আক্রমণ শুরু করেছে তখন আপনি সেই পোস্টটি মুছে ফেলার পরিবর্তে। আপনার উচিত নিজের দেশ ভারতকে সমর্থন করা!’
সম্পর্ক বহুমুখী। প্রতিটি মানুষের জীবনে থাকে ভাঙা-গড়ার গল্প। জীবনে চলার পথে একাধিক সম্পর্ক তৈরি হয়। সেসব সম্পর্ক রক্তের নয়। তেমনই এক সম্পর্কে জড়িয়েছেন ‘জয়া ও শারমিন’। যদিও জয়া জানেন, সব প্রতিশ্রুতি আসলে মিথ্যা। শেষ পর্যন্ত নাকি কেউ পাশে থাকে না। অভিনেত্রী জয়া আহসান ও তার গৃহকর্ম সহায়িকা শারমিন- দুই নারীর সমীকরণই যেন পর্দায় তুলে ধরবেন। এই ছবিতে প্রথমবার প্রযোজকের ভূমিকায় দেখা যাবে জয়াকে। ছবিতে দুজন মুখ্য চরিত্র জয়া এবং তার গৃহকর্ম সহায়িকা শারমিন।
কোভিড মহামারির সময় লকডাউনে আটকে থাকা দুই নারীর সম্পর্কের গল্প নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন পিপলু আর খান। সেই সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৬ মে। এই ছবিতেই তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে দুই নারী একে অপরের সুখ দুঃখের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ভাগাভাগি করে নেয় একে অপরের যাপন। বাস্তব জীবনেও নাকি জয়া এমনই। জয়া বলেন, ‘আমরা এই কোভিডের সময় এই ছবিটার শুটিং করি। যখন সকলে বাড়ি থেকে প্রায় অবসাদে ডুবে যাচ্ছিলেন। তখনও অল্প ইউনিট নিয়ে ছবিটি ক্যামেরাবন্দি করা হয়। কিন্তু ছবিটা বেশ বড়। দুজন আলাদা সামাজিক অবস্থানে বেড়ে ওঠা দুই নারীর বন্ধুত্বের গল্প।’
এরই মধ্যে ছবির ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, অভিনেত্রী জয়া আহসান এবং মহসিনা আক্তারকে। কোভিড মহামারির সময় তাদের জীবনের কিছু দৃশ্য উঠে এসেছে ট্রেলারে। শুরুর দিকে আনন্দ-আড্ডা, রান্না দিয়ে দুজনকে দারুণ সময় পার করতে দেখা গেছে। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের জীবনে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং বাইরের দুনিয়া থেকে আসা দুঃসংবাদগুলো তাদের জীবনে নিঃশব্দে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতা ও ভয় ঢুকিয়ে দেয়।
সিনেমার পরিচালক পিপলু আর খান জানিয়েছেন, মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে সারা হয়েছিল ‘জয়া আর শারমিন’ সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ। সীমিত লোকবল নিয়ে মহামারির সময়ে শুটিং করা হয়েছিল সিনেমাটির। পিপলু বলেন, ‘মহামারির সময় একটি বাড়িতে আটকে পড়ে জয়া ও শারমিন নিজেদের মধ্যে তৈরি করে নেয় ছোট্ট এক জগৎ। সেই আবদ্ধ জগতে তারা নিজেদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করেন। তবে বাইরের কঠিন বাস্তবতায় সেই সম্পর্কে ফাটলও ধরতে শুরু করে। বন্ধুত্ব, ভয়, সাহস আর হারানোর অনুভূতির মিশেলে গড়ে উঠেছে সিনেমার আখ্যান।’
একাকীত্ব কীভাবে দুই নারীর সম্পর্কে ভরসা ও নির্ভরতার জন্ম দেয় সেই গল্প সিনেমায় বলা হয়েছে জানিয়েছেন পিপলু। সিনেমা নিয়ে জয়া আহসান বলেন, ‘দুজন নারীর অচেনা ভুবনের সিনেমা। আমাদের অন্তর্জগতের ঘাত-প্রতিঘাত আর অনুক্ত অনুভূতির ডকুমেন্টেশন। অদ্ভুত এক সময়ে শুট করা ছোট্ট একটি সিনেমা, তবে দর্শকের অনুভূতিতে নাড়া দেবে বলে আশা করি।’
বলিউড তারকা আমির খানের মুম্বাইয়ের বাসভবনে দেখা গেছে ‘পুষ্পা’-খ্যাত দক্ষিণী অভিনেতা আল্লু অর্জুনকে। একসঙ্গে তাদের একটি ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। আর তা দেখেই শুরু হয়েছে বিরাট জল্পনা। অভিনেতাদের ফ্যান ক্লাবগুলি দুজনের একটি ছবি শেয়ার করেছে। তাদের এই ছবি দেখে অনেকেই অনুমান করছেন যে দুই তারকা কী তাহলে একসঙ্গে কোনো ছবিতে ধরা দিতে চলেছেন। গতকাল বুধবার একটি ফ্যান অ্যাকাউন্ট এক্স হ্যান্ডেলে দুই তারকার একটি ছবি পোস্ট করে। অর্জুন এবং আমির দুজনই ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হেসে পোজ দিয়েছেন। আল্লুর পরনে ছিল একটি সাদা টি-শার্ট, কালো প্যান্ট এবং স্নিকার্স। গলায় সোনার চেন পরেছিলেন নায়ক। অন্যদিকে, আমির কালো প্যান্ট এবং ক্যাজুয়াল স্লিপারের সঙ্গে একটি নীল প্রিন্টেড কুর্তা পরেছিলেন।
অ্যাকশন ড্রামা ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’-এর বিরাট সাফল্যের পর, আল্লু অর্জুন পরিচালক অ্যাটলির সঙ্গে নতুন ছবি নিয়ে আসতে চলেছেন। আপাতত সেই ছবির নাম AA22XA6। এই ছবিটির কথা গত মাসে ঘোষণা করা হয়েছিল। এই ছবির খবর প্রকাশ্যে আসতেই অনুরাগীরা বেশ উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে বিরাট আলোচনা শুরু হয়েছিল। এবার তার মাঝেই আল্লু আর আমিরের ছবি। তাই অনেকেই অনুমান করছেন একসঙ্গে কোনো ছবিতে হয়তো তাদের দেখা যেতে পারে। ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে তাই মুখোমুখি হলেন দুই নায়ক।
জানা গেছে , অ্যাটলির পরিচালনায় আল্লুকে যে ছবিতে দেখা যাবে তার জন্য নাকি বিরাট শারীরিক পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে। সেলিব্রিটি ফিটনেস প্রশিক্ষক লয়েড স্টিফেন্স বর্তমানে আল্লু অর্জুনকে এ ক্ষেত্রে সাহায্য করছেন। লয়েড সম্প্রতি আল্লুর সঙ্গে একটি সেলফিও শেয়ার করেছেন। আর তার থেকেই বোঝা গেছে ইতোমধ্যেই প্রশিক্ষণ শুরু করে দিয়েছেন আল্লু।
অন্যদিকে আমির খান তার ২০০৭ সালের হিট ছবি ‘তারে জমিন পার’-এর সিক্যুয়াল ‘সিতারে জামিন পর’-এর মক্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অভিনেতা সম্প্রতি তার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিটির প্রথম লুকও শেয়ার করেছেন, যা ভক্তদের মধ্যে বেশ উন্মাদনার সৃষ্টি করেছে। প্রসন্ন পরিচালিত এই ছবিটি আগামী ২০ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।
বছর ঘুরে আবারও এল ২৫ বৈশাখ। বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান পুরুষ কবিগুরু-খ্যাত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী আজ বৃহস্পতিবার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংগীতের আবেদন অবিস্মরণীয় ও চিরকালীন। বাঙালির স্বাধিকার, বিশেষত স্বাধীনতা সংগ্রামে রবীন্দ্রসংগীত প্রেরণার উৎস। রবীন্দ্রনাথের গান আবহমানকালের বাঙালি সংস্কৃতির মূলধারাকে বিকশিত ও সমৃদ্ধ করে চলেছে। এ দেশের সংস্কৃতমনা মানুষের কাছে রবীন্দ্রসংগীত হয়ে উঠেছে জাতীয় সংস্কৃতি বিকাশের প্রধানতম অবলম্বন ও প্রাতঃস্মরণীয়। বহুমুখী প্রতিভার এই মানুষটির জন্মদিন উপলক্ষে চারপাশে শুরু হয়ে গেছে সাজসাজ রব। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলা এমনকি মফস্বল শহরগুলোতেও নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী। থিয়েটার পাড়া, বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভিসহ দেশের প্রায় সবকটি টিভি চ্যানেলে বিশেষভাবে পালিত হচ্ছে বিশ্বকবির জন্মদিন।
রাজধানীর বাইরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন আয়োজনে পালিত হচ্ছে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় এবং কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় পর্যায়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান। এ বছর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ’। কুষ্টিয়ার শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফরহাদ সিদ্দিক এবং স্মারক বক্তব্য প্রদান করবেন অধ্যাপক মনসুর মুসা। পাশপাশি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে আগামীকাল শুক্রবার দেশের ৭টি বিভাগে বিশ্বকবিকে নিয়ে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। অনুষ্ঠানসমূহ সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
কবিগুরুর ১৬৪তম রবীন্দ্রজয়ন্তী স্মরণে জাহিদ রিপনের নির্দেশনায় নাট্যসংগঠন স্বপ্নদলের দেশ-বিদেশে প্রশংসিত দু’টি প্রযোজনা ‘হেলেন কেলার’ এবং ‘চিত্রাঙ্গদা’র যথাক্রমে মঞ্চ ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে দুটি বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে মনোড্রামা ‘হেলেন কেলার’-এর মঞ্চায়ন এবং রাত ১১টায় বিটিভিতে কাব্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’র সম্প্রচার হবে। রবীন্দ্রনাথ-হেলেন কেলারের সম্পর্ক নিয়ে ‘হেলেন কেলার’ রচনা করছেন অপূর্ব কুমার কুণ্ডু এবং মহাভারতের উপাখ্যান অবলম্বনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অসামান্য সৃজন কাব্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’। এ ছাড়া দেশের প্রায় সবকটি টিভি চ্যানেলেই থাকছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।
১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে এবং ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কালজয়ী এ কবি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে ‘গুরুদেব’, ‘কবিগুরু’ ও ‘বিশ্বকবি’ অভিধায় ভূষিত করা হয়।
১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯৩৭ সালে একবার অচৈতন্য হয়ে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়েছিল কবির। সেবার সেরে উঠলেও ১৯৪০ সালে অসুস্থ হওয়ার পর আর সেরে উঠতে পারেননি। এই সময়পর্বে রচিত রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলো ছিল মৃত্যুচেতনাকে কেন্দ্র করে। মৃত্যুর সাত দিন আগ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টিশীল ছিলেন। দীর্ঘ রোগভোগের পর ১৯৪১ সালের ৬ আগস্ট জোড়াসাঁকোর বাসভবনেই শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মন্তব্য