বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা চাঙ্কি পান্ডের মেয়ে অনন্যা পান্ডে। বাবার পথ ধরে রূপালি জগতে নাম লিখিয়েছেন। বেশ কয়েকটি সিনেমায় কাজ করলেও এখনো সেভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। তবে অল্প সময়ের ক্যারিয়ার হলেও ছক ভেঙে নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের জন্য এরই মধ্যে প্রশংসার দাবিদার অনন্যা। গ্ল্যমারাস চরিত্র কিংবা আদ্যোপান্ত মাসালা ছবির বাইরে গিয়ে অন্য ঘরানার সিনেমাতেও সাবলীল চাঙ্কিকন্যা। তারকা সন্তান হওয়ার দৌলতে তার নামের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় ‘নেপোকিড’ তকমাও। এমন আবহেই অভিনেত্রীর মুকুটে যোগ হলো নতুন পালক।
প্রথম ভারতীয় হিসেবে ফরাসি বিলাসবহুল ব্র্যান্ড ‘শ্যানেল’র অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত হলেন অনন্যা পান্ডে। গতকাল বুধবার ‘শ্যানেল’ বলিউড তারকাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেছে। ‘শ্যানেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিশীলিত রুচি, স্বাধীন পরিচয়ের একটি প্রজন্মকে বহন করছেন অনন্যা। তার মূল্যবোধ ‘শ্যানেল’র সঙ্গে একইভাবে অনুরণিত হয়, যা তাকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য উপযুক্ত করে তুলেছে। প্যারিসে চ্যানেল স্প্রিং (সামার ২০২৫) শোতে শ্যানেলের ক্রুজ কালেকশনের একটি পোশাক পরে অনন্যার উপস্থিতির পর থেকেই ধারনা করা হচ্ছিল যে, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তার নিয়োগ হচ্ছে শিগগিরই।
আর এমন তকমা এর আগে কোনো ভারতীয় তারকার নামের সঙ্গে যুক্ত হয়নি। সেদিক থেকে বলতে গেলে, অনন্যাই প্রথম ভারতীয় যিনি শ্যানেল-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেব ইতিহাস গড়লেন। এক বিবৃতিতে অনন্যা পান্ডে জানিয়েছেন, ‘এটাই হলো মুক্তির স্বাদ। প্রথম ভারতীয় হিসেবে শ্যানেল-এর জয়যাত্রার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ এবং উচ্ছ্বসিত। আমার স্বপ্ন সত্যি হলো।’
সংস্থার তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানা হয়েছে, ‘অনন্যা পান্ডে এমন একজন নায়িকা যিনি নিজস্ব কৌতূহলে ভর করে গোটা বিশ্ব আঙিনায় নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন এবং বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে নিজস্ব রুচিবোধের প্রভাব ফেলেছেন। অনন্যার মূল্যবোধের সঙ্গে শ্যানেল-এর সাযুজ্য থাকায় আমাদের ঘরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে ওকে বেছে নেওয়া হলো।’
এর আগে গতবছর প্যারিস ফ্যাশন উইকে হেঁটেও বাজিমাত করেছিলেন অনন্যা। এবার শ্যানেল-এর মতো বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন সংস্থার বিজ্ঞাপনী দূত-এর ভূমিকায় তিনি। ‘শ্যানেল’ ছাড়াও অনন্যা আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত। তিনি ‘ল্যাকমে’, ‘বিটস’ এবং ‘টাইমেক্স’র মতো লেবেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরও।
বিনোদন প্রতিবেদক
সময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী তানজিন তিশা অভিনয়ের বাইরেও নানা কারণে আলোচনায় থাকেন। বিনোদন অঙ্গনের তারকাদের সঙ্গেও তার প্রেমের সম্পর্কের কারণে একাধিক খবরের শিরোনাম হন তিনি। এর বাইরে গোপনে বিয়ে করেছেন—এমন খবরও শুনেছেন তিশা। তা–ও আবার একটি নয়, দুটি। এমনকি তার একটি সন্তানও রয়েছে। ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ অনুষ্ঠানে বিয়ে ও সন্তান প্রসঙ্গে কথা বললেন তানজিন তিশা।
মাসখানেক আগে অবকাশযাপনে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তানজিন তিশা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির সেই চিত্রও দেখা গেছে। এরই ফাঁকে একটি আড্ডার অনুষ্ঠানের অতিথি হন তিনি। বছরখানেকের বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্রে থাকা চিত্রনায়ক জায়েদ খানের উপস্থাপনায় সেই অনুষ্ঠানে বিয়ে ও সন্তান প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি। উপস্থাপকের প্রশ্ন ছিল এমন একটি গুজব যা তুমি শুনেছ, উত্তরে তানজিন তিশা বললেন, ‘আমার নাকি দুটি বিয়ে হয়েছে। তিন নম্বর বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। আমার একটা বাচ্চা আছে, যা দাদির কাছে আছে। ইনশা আল্লাহ আমি বিয়ে করব। তবে এমনটা শুনে আমি ও আমার পরিবারের সবাই হেসেছি।’
তবে আরেক প্রশ্নের জবাবে তানজিন তিশা জানালেন, তিনি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিয়ের জন্য তার পাঁচ বছর সময় লাগবে। পাঁছ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান—এই প্রশ্নে তিশা বলেন, ‘ডেফিনিটলি আই উইল বি আ মাদার। এর মধ্যে আমি বিয়ে করব। মা হব। আমি জানি, সহজে কোনো নারী শিল্পী এই ধরনের কথা বলে না। আমি বলি কারণ, মানুষের পেশাগত জীবনের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনও থাকে। এটাকে আমরা এড়িয়ে চলতে পারব না। আজ অথবা আগামীকাল আমাকে বিয়ে করতে হবে। সবাই তো করছে। সবারই একটা ভবিষ্যৎ আছে। সেই জায়গা থেকে যদি আমার ভবিষ্যতের কথা ভাবি, তাইলে বিয়ের ব্যাপারটাই মাথায় আসে।’
এদিকে ঘোরাঘুরি শেষে দেশে ফিরেছেন তানজিন তিশা। শুরু করেছেন নতুন কাজও। এরই মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং করেছেন ভিকি জাহেদ পরিচালিত সেই নাটকের। ‘খোয়াবনামা’ নামের সেই নাটকে তিশার সহশিল্পী তৌসিফ মাহবুব।
জনপ্রিয় তারকা জুটি তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সম্পর্ক বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে শুরু হয়েছিল। ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে একমাত্র কন্যাসন্তান আইরা তাহরিম খান ২০১৩ সালে জন্ম নেয়। ‘আদর্শ দম্পতি’ হিসেবে পরিচিত ছিল ভক্তদের মধ্যে। ২০১৭ সালের মে মাসে তাদের বিচ্ছেদ অনেকেই হতাশ করেছিল। আট বছর পর বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেছেন মিথিলা। তিনি বলেন, তখন অনেক অল্পবয়সি এবং তরুণী মা ছিলেন। ভালো মন্দ বিচার করার শক্তি তার ছিল না। একটি পডকাস্ট অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মিথিলা জানান, বিচ্ছেদের চূড়ান্ত ঘোষণার আগে তারা প্রায় দুই বছর আলাদা ছিলেন এবং এ সময়ে তিনি তাহসানের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াটা মানতেই পারছিলেন না।
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, তাহসানের সঙ্গে সেপারেশনে থাকার সময় ভেবেছিলেন শেষ পর্যন্ত হয়তো বিচ্ছেদ হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়নি।
তিনি বলেন, যে কোনো বিচ্ছেদ বা যে কোনো সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া সহজ না খুবই কঠিন। বন্ধু বা এটা যে কোনো ক্ষেত্রে হতে পারে। আমি ছিলাম তখন অনেক অল্পবয়সী এবং তরুণী মা। আমি যে কোনো একটা ভালো মন্দ বিচার করব বা কোনো একটা সিদ্ধান্তে আসব, সেটার শক্তিই আমার ছিল না। কারণ আমার একটা ১ বছরের বাচ্চা। আমার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না, যেখানে আমি কোনো একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো নিজের জীবনের।
অভিনেত্রী জানান, ২৩ বছর বয়স থেকে আমি আমার জীবনকে একভাবে ভেবে এসেছিলাম। হঠাৎ করে জীবনটা সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমি আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষদের সঙ্গে থেকেছি। একে তো আমার বাচ্চা আছে তারপর আমি জানলাম সেই জায়গাটা আমার ভবিষ্যৎ না। আমি তখন চাকরি করতাম, কিন্তু আমার একটা গাড়িও ছিল না। কিন্তু আমার তো অভ্যাস ছিল গাড়িতে করে বাইরে যাওয়ার, আমার বাচ্চার অভ্যাস ছিল গাড়িতে চড়ার।
মিথিলা বলেন, মেয়েদের নিজেদের আসলে জায়গা থাকে না। শ্বশুরবাড়ি আবার বাবার বাড়ি, থ্যাঙ্কফুলি এখন আমার নিজের জায়গা আছে। মেয়েদের সবার আগে যেটা দরকার সেটা হলো অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। এ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া জীবনের অন্য সব সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়।
বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও একটি বড় ইতিহাস গড়লেন। হলিউডের বিখ্যাত ওয়াক অফ ফেম-এর ২০২৫ সালের মোশন পিকচার বিভাগের জন্য তার নাম মনোনীত হয়েছে। দীপিকা হলেন প্রথম এবং একমাত্র ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে সম্মানে ভূষিত হলেন।
হলিউড চেম্বার অফ কমার্স সম্প্রতি ২০২৫ সালের ওয়াক অফ ফেম-এ স্থানপ্রাপ্ত বিশিষ্টদের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় দীপিকার পাশাপাশি রয়েছেন ডেমি মুর, এমিলি ব্লান্ট, র্যাচেল ম্যাক অ্যাডামস, স্ট্যানলি টুসি এবং টিমোথি চালামেটের মতো বিশ্ববিখ্যাত তারকারা।
দীপিকা পাড়ুকোন ২০১৭ সালে ‘XXX: Return of Xander Cage’ ছবির মাধ্যমে তিনি হলিউডে পা রাখেন। এর আগেও টাইম ম্যাগাজিন তাকে ২০১৮ সালে বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির একজন হিসেবে বেছে নিয়েছিল। এছাড়াও তিনি টাইম ১০০ ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড এবং ফিফা বিশ্বকাপে ট্রফি উন্মোচনের মতো মঞ্চে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
এখন পর্যন্ত দীপিকার তিনটি বলিউড সিনেমা একাধিকবার ১০০০ কোটির ঘর পার করেছে। অভিনয়ের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তার কাজও প্রশংসিত হয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরে।
১৭ বছর পর ফের একসঙ্গে বড়পর্দায় দেখা যাবে বলিউডের দুই জনপ্রিয় অভিনেতা অক্ষয় কুমার এবং সাইফ আলি খানকে। প্রবীণ পরিচালক প্রিয়দর্শনের আসন্ন হাই-অক্টেন থ্রিলার ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করছেন এই জুটি। ছবির নামও ইতোমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে ‘হাইওয়ান’। নাম ঘোষণার পর থেকেই ছবিটি নিয়ে উৎসাহের পারদ তুঙ্গে।
‘হাইওয়ান’ মূলত ২০১৬ সালের সুপারহিট মালয়ালম ছবি ‘ওপ্পামে’র হিন্দি রিমেক। মালয়ালম ছবিটিতে মোহনলাল মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। বলিউড রিমেকে অক্ষয় কুমারকে এবার দেখা যাবে খলনায়কের চরিত্রে। সাইফ আলি খানও এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকছেন।
২০০৮ সালের ‘তাশান’-এর পর এই প্রথমবার পর্দায় ফিরছে অক্ষয়-সইফ জুটি। তাদের আগের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি একসময় দর্শকদের দারুণ মন জয় করেছিল। সেই পুরনো রসায়ন আবার ফিরে আসবে কি না, এখন সেটাই দেখার।
ছবির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘হাইওয়ান’ নামটি একাধিক বিকল্পের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে, কারণ এটি গল্পের থিম ও চরিত্রগুলির গভীরতা সবচেয়ে ভালোভাবে প্রকাশ করে। থ্রিলারধর্মী এই গল্পের অন্ধকার ও রহস্যময় পরিবেশকে আরও জোরালো করে তুলতে এই নামটি যথাযথ বলে মনে করা হচ্ছে।
‘হাইওয়ান’-এর শুটিং শুরু হতে চলেছে আগামী অগস্টে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে, ছবিটি ২০২৬ সালে মুক্তি পেতে পারে। ইতোমধ্যেই ভক্তরা প্রতীক্ষায় দিন গুনতে শুরু করেছেন।
অক্ষয় কুমার সম্প্রতি প্রিয়দর্শনের আরেকটি ছবি ‘ভূত বাংলা’র শুটিং শেষ করেছেন। অন্যদিকে, সাইফ আলি খান শেষ বার দেখা গিয়েছেন ‘জুয়েল থিফ’-এ, যেখানে তার পারফরম্যান্স দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল। এখন ‘হাইওয়ান’-এর মাধ্যমে তারা আবারও প্রমাণ করতে চলেছেন, পরিণত অভিনয়ে এখনো তারা বলিউডের প্রথম সারির তারকা।
পশ্চিমা বিশ্বের তারকাদের অনেকেই কিশোরী বয়সে কুমারিত্ব হারিয়েছেন। কেউ কেউ হয়েছেন গর্ভবতীও। এরকম কথা শোনা গিয়েছিল বলিউডের এক তারকার ক্ষেত্রেও। তিনি কারিনা কাপুর খান। উইকিপিডিয়া বলছে তার বয়স ৪০ পেরিয়েছে। বলিপাড়ায় তাকে নিয়ে আলোচনার কমতি নেই। অনেকেরই মতে তিনি নাকি বড়লোকের বখে যাওয়া সন্তান, যাকে ইংরেজিতে বলে ‘স্পয়েল্ট ব্র্যাট’।
গুঞ্জন রয়েছে মাত্র ১৪ বছর বয়সে স্কুলে থাকাকালীন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন কারিনা। ইন্ডাস্ট্রিতে শোনা যায়, টিনএজার কারিনার সঙ্গে নাকি ঘটে যায় এমন এক ঘটনা, যা নিয়ে সে সময় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টিভি নাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪ বছর বয়সে কারিনা নাকি হয়ে পড়েন অন্তঃসত্ত্বা। বাবা হিসেবে কার নাম উঠে আসে জানেন? তার আগে একবার ঝালিয়ে নেওয়া যাক কারিনা কাপুরের ছোটবেলা। ১৯৮০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ে জন্ম নেন কারিনা। বাবা রণধীর কাপুরের সঙ্গে মা ববিতার সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না।
কাপুর পরিবারের নিয়মানুসারে বিয়ের পর বউদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের নিষেধাজ্ঞা ছিল, আর এই যুক্তিই কোনোভাবে মানতে পারেননি ববিতা। দুই মেয়ে, কারিনা ও কারিশমাকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন তিনি। প্রথম যমুনাবাই নার্সিং স্কুলে কারিনাকে ভর্তি করা হলেও কিছু বছর পরেই বলিউডের বেবোকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় দেরাদুনের ওয়েলহাম গার্লস স্কুলে। সেখানেই দীর্ঘ সময় কাটান তিনি।
রটনা বলে, ওই স্কুলে থাকতে থাকতে নাকি নবম শ্রেণিতে আচমকাই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। তখন তার বয়স মোটে ১৪ বছর। এখানেই কি শেষ? সন্তানের বাবা হিসেবে উঠে আসে হৃতিক রোশনের নামও। তার সঙ্গে কারিনার যে বিশেষ সম্পর্ক ছিল এ খবর কে না জানেন?
যদিও এই ঘটনার কোনো উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায় না, তাই এটা নিছকই রটনা নাকি সত্যিই ঘটেছিল এমন কোনো ঘটনা, তা এখনো ধোঁয়াশা। কারিনাও কখনো এ নিয়ে মুখ খোলেননি।
বাংলাদেশের সংগীত জগতের এক উজ্জ্বল নাম, প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী জীনাত রেহানা আর নেই। বুধবার (০২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ‘সাগরের তীর থেকে’ গানটি দিয়ে শ্রোতাদের মন জয় করেছিলেন এ গুণী সংগীতশিল্পী।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন জীনাত রেহানা। চিকিৎসা চলছিল তার। অবশেষে বুধবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন। জীনাত রেহানার স্বামী ছিলেন দেশের টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মোস্তফা কামাল সৈয়দ। তিনি আগেই প্রয়াত হয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (০২ জুলাই) জোহরের নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিকাল ৩টায় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে এই গুণী শিল্পীকে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশ বেতারে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে যুক্ত হন জীনাত রেহানা। তার কণ্ঠে গাওয়া ১৯৬৮ সালের গান ‘সাগরের তীর থেকে’ শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নেয়। গানটি তাকে এনে দেয় ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও পরিচিতি। ১৯৬৫ সালে টেলিভিশনের শিল্পী হিসেবেও সংগীতজগতে যাত্রা শুরু করেন তিনি। যদিও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ সময় কাজ করার কারণে তাকে নিয়মিত গানে পাওয়া যায়নি, তবুও তার গাওয়া বেশ কিছু গান আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।
আধুনিক, আধ্যাত্মিক ও ছোটদের গান, তিন ক্ষেত্রেই তিনি রেখেছেন অনন্য অবদান। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘একটি ফুল আর একটি পাখি বলতো কি নামে তোমায় ডাকি’, ‘আমি কাকন দিয়ে ডেকেছিলেম মুখে লজ্জা ছিল বলে’, ‘কপালে তো টিকলি পরবো না’, ‘আমি যার কথা ভাবছি মনে আনমনে’, ‘আমায় যদি ডাকো কাছে’, ‘কণ্ঠবীণা’, ‘মনে রেখো, স্মৃতি থেকে’ ইত্যাদি।
প্রথমবারের মতো স্বামী সাইফ আলী খানের উপর হওয়া ভয়াবহ হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মুম্বাইতে তাদের বাসভবনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কারিনা জানান, সেই দিনের স্মৃতি এখনো তার মনে তাজা।
কারিনা বলেন, আমি এখনো মানসিকভাবে পুরোপুরি বিষয়টা মেনে নিতে পারিনি। প্রায় সময় ভাবি, কীভাবে একজন ব্যক্তি ঢুকে আমার সন্তানের ঘরের সামনে সাইফকে ছুরিকাঘাত করতে পারে। এটা মুম্বাই শহরের জন্য খুবই অস্বাভাবিক একটি ঘটনা।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই কয়েক মাস তার জন্য ছিল অত্যন্ত কঠিন। রাতে ঘুমাতে পারতেন না, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সময় লেগেছে। এখনো সেই ভয় তার মনে রয়ে গেছে। তবে তিনি চান না, এই আতঙ্ক তার সন্তানদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক।
কারিনা বলেন, ঘটনার পর থেকেই আমি আমার সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখছি। ওরা যেটা দেখেছে, সেটা তাদের বয়সের জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। তবুও এই অভিজ্ঞতা হয়তো ওদের জীবনের জন্য এক ধরনের প্রস্তুতি হয়ে থাকবে। আমার ছোট ছেলে এখনো ভাবে তার বাবা ব্যাটম্যান বা আয়রনম্যান— যে সবাইকে হারিয়ে দিতে পারে। আমাদের চোখেও সাইফ তাই, কারণ সে সেই আঘাত সহ্য করেছে।
অভিনেত্রী আরও জানান, তিনি সচেতনভাবে চেষ্টা করছেন নিজের আতঙ্ক যেন সন্তানদের মধ্যে না ছড়িয়ে পড়ে। তার ভাষায় সাইফ বলেছে— ভয়ে বাঁচা যাবে না। যা হয়েছে, সেটা হয়ে গেছে। আমরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী পরিবার। আমার বিশ্বাস, ছেলেরা একদিন এমন মানুষ হয়ে উঠবে, যারা জীবনের কঠিন সময়েও সাহসের সঙ্গে লড়তে পারবে।
মন্তব্য