কিংবদন্তি ব্যান্ড দল মাইলসের সাবেক প্রধান শিল্পী শাফিন আহমেদের মরদেহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসে পৌঁছেছে। দেশের অন্যতম শীর্ষ জনপ্রিয় এই ব্যান্ড তারকার মরদেহ বহনকারী ফ্লাইট সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
একটি কনসার্টে অংশ নিতে গত ৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান ব্যান্ড সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ। ২০ জুলাই ছিল সেই কনসার্ট। কিন্তু তার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এই তারকা। দ্রুত তাকে ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মারা যান শাফিন আহমেদ।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুরে গুলশান আজাদ মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে বাবার কবরে সমাহিত করা হবে এই শিল্পীকে।
আগামী শুক্রবার জুমার নামাজের পর গুলশান কমিউনিটি মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে শিল্পীর কুলখানি।
পরিবার ও প্রিয়জনেরা সবার কাছে প্রয়াত শাফিন আহমেদের আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোয়া চেয়েছেন। অনুরোধ করেছেন জানাজা ও কুলখানিতে উপস্থিত থাকার।
প্রসঙ্গত, আশি ও নব্বইয়ের দশকে দর্শক হৃদয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পায় শাফিন আহমেদের গান। তার জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে রয়েছে- চাঁদ তারা সূর্য, জ্বালা জ্বালা, ফিরিয়ে দাও, ফিরে এলে না, আজ জন্মদিন তোমার প্রভৃতি।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক হয়েছেন নাট্যনির্দেশক ও শিক্ষক সৈয়দ জামিল আহমেদ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সোমবার এই নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এই নাট্য ব্যক্তিত্ব ১৯৭৮ সালে ভারতের ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৮৯ সালে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারউইক থেকে থিয়েটার আর্টস থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে অর্জন করেন পিএইচডি ডিগ্রি।
ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে এই বিভাগেই তিনি শিক্ষকতা করছেন।
ইংরেজিতে প্রকাশিত তার আলোচিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘অচিনপাখি ইনফিনিটি; ইনডিজেনাস থিয়েটার ইন বাংলাদেশ’, ‘ইন প্রেইজ অফ নিরঞ্জন; ইসলাম থিয়েটার অ্যান্ড বাংলাদেশ’, ‘রিডিং এগেইনস্ট দ্য ওরিয়েন্টালিস্ট গ্রেইন; পারফর্মেন্স অ্যান্ড পলিটিকস এন্টুইনড উইথ আ বুড্ডিস্ট স্ট্রেইন এবং এপ্লাইড থিয়েট্রিক্স; এসেস ইন রিফিউসাল’।
মঞ্চনাটক, প্রায়োগিক মঞ্চনির্দেশনা, লোককথা ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের ওপর ড. জামিল আহমেদের লেখা ষাটটিরও বেশি একাডেমিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে বাংলা, ইংরেজি, ফরাসি, নরওয়েজিয়ান, রাশিয়ান, চীনা ও কোরিয়ান ভাষায়।
নাট্যজন সৈয়দ জামিল আহমেদ ১৯৫৫ সালের ৭ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেছেন। ১৯৭১ সালে ষোলো বছর বয়সে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী পদত্যাগ করেছেন।
গতকাল সোমবার তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ গণমাধ্যমকে জানান, ব্যক্তিগত কারণে ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
লিয়াকত আলী লাকী শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান ২০১১ সালের ৭ এপ্রিল। সবশেষ ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ সপ্তমবারের মতো তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। দীর্ঘদিন ধরে লাকীর শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে থাকা নিয়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ক্ষোভ ছিল।
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। আগুন দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও ডাকবাংলোতে। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল।
কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা রোববার বেলা ১১টার দিকে সদর বাস টার্মিনাল সংলগ্ন ফকির মজনু শাহ্ সেতুর পশ্চিম প্রান্তে জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। পরে আন্দোলনকারীদের প্রতিরোধের মুখে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে সরকারি ডাকবাংলো এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় আগুনে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভস্মীভূত হয়। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের মিছিলে বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলে।
কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ডিউটি অফিসার সজিব মিয়া জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনের অংশ ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন লেগেছে।
ঘটনার পর থেকে বিকাল পর্যন্ত এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করে। বড় ধরনের সংঘাত এড়াতে থানা পুলিশ সতর্ক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বাবা সংগীতগুরু কমল দাশগুপ্তের কবরে সমাহিত হলেন নন্দিত সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ। বাবার পাশাপাশি সেখানে শায়িত আছেন তার মা কিংবদন্তি নজরুল সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগম।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় এই নন্দিত সংগীতশিল্পীকে চিরশায়িত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাই তাহসিন আহমেদ ও হামিন আহমেদসহ স্বজন এবং মাইলস সদস্যরা।
এর আগে মৃত্যুর চার দিন পর মাতৃভূমিতে শাফিন আহমেদের মরদেহ আসে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায়।
৩০ জুলাই জোহরের নামাজের সময় নেয়া হয় গুলশান আজাদ মসজিদে। এখানে জানাজা ও সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শাফিন আহমেদের নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বনানী কবরস্থানে।
পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে কুলখানির বিষয়ে। শাফিন আহমেদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কুলখানি হবে শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজের পর বনানী কবরস্থানের পাশে গুলশান কমিউনিটি মসজিদে।
প্রসঙ্গত, প্রবাসীদের গান শুনাতে ৯ জুলাই ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে যান শাফিন আহমেদ। দ্বিতীয় কনসার্ট ছিল ২০ জুলাই, ভার্জিনিয়ায়। সেই শোয়ের মঞ্চে ওঠার খানিক আগেই হোটেল রুমে লুটিয়ে পড়েন ৬৩ বসন্তের এই রকার। হাসপাতালে ভর্তি, লাইফ সাপোর্ট এবং ২৫ জুলাই বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৯ মিনিটে তিনি পাড়ি জমান না-ফেরার দেশে।
শাফিন আহমেদ রেখে গেছেন দুই বড় ভাই তাহসিন ও হামিন, স্ত্রী ডা. রুমানা দৌলা, তিন পুত্র মাইসিম, আজরাফ ও রেহান এবং এক কন্যা রানিয়াকে। সঙ্গে অগুনতি ভক্ত ও বন্ধু-স্বজন।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে হার্টের অসুখে ভুগছিলেন শাফিন আহমেদ। ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এই নন্দিত শিল্পী।
আরও পড়ুন:মরণ ব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ ১১ বছর ধরে লড়াই করে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি।
মৃত্যুকালে জুয়েলের বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তার জন্ম ১৯৬৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। তিনি স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তান রেখে গেছেন।
২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও ক্যানসার সংক্রমিত হয়। তখন থেকেই দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল।
গত অক্টোবর থেকে জুয়েলকে প্যালিয়েটিভ কেয়ারে রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে সম্প্রতি তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। এরপর একে একে তার দশটি একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি। এটি প্রকাশের পর তার নাম হয়ে যায় ‘এক বিকেলের জুয়েল’।
জুয়েল একইসঙ্গে সংগীতশিল্পী, টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। মঙ্গলবার নগরীর ষোলশহর থেকে মুরাদপুর এলাকার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেছেন, নিহতদের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনজনের মরদেহ গেছে। তাদের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থী, অন্যজন পথচারী। দুজনের মরদেহ মুরাদপুর ও ষোলশহর এলাকা থেকে আনা হয়েছে। নিহত পথচারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায়।
আকরাম চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তর সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ইদ্রিস আলী।
নিহত পথচারীর নাম ফারুক। ৩২ বছর বয়সী এই যুবক রড-আয়রনের মিস্ত্রি বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
নিহত তৃতীয় জন ফয়সাল আহমদ শান্ত (২০) ওমরগণি এমইএস কলেজের ছাত্র বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে এই তিনজনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বুলেট ইনজুরিতে। আরেকজনের শরীরে ফিজিক্যাল অ্যাসল্টের চিহ্ন রয়েছে।’
সংঘর্ষের মধ্যে অন্তত ৪০ জনকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানান মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার।
বন্দর নগরীতে দ্বিতীয় দিনের মতো মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুরো ষোলশহর ২ নম্বর গেট থেকে মুরাপুর পর্যন্ত ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে।
এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিকেল ৩টা থেকে ষোলশহর স্টেশনে জড়ো হওয়া শুরু করেন। এরপ সেখান থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন।
অপরদিকে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি অংশ মিছিল নিয়ে দুই নম্বর গেট থেকে মুরাদপুরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
বিকেল ৪টার দিকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এরই মধ্যে থেমে থেমে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। কারও কারও হাতে অস্ত্রও দেখা যায়।
তবে ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান চোখে পড়েনি। নগরীর কেজিডিসিএল কার্যালয়ের সামনে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করে থাকেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা মুরাদপুর হয়ে অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে ষোলশহর এলাকায় যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান। এরপর তারা আত্মরক্ষার্থে পাল্টা হামলা চালান।
এ সময় তাদের দুজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য