× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
Will remain in peoples hearts Mimi
google_news print-icon

মানুষের হৃদয়ে থেকে যাব: মিমি

মানুষের-হৃদয়ে-থেকে-যাব-মিমি
বৃহস্পতিবার বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে ইস্তফার চিঠি পাঠিয়েছেন। মমতা অনুমতি দিলে সেই চিঠি তিনি সংসদের স্পিকারকেও পাঠাবেন।

২৪ ঘণ্টাও কাটেনি সংসদ সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ভারতীয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। এবার জানালেন, রাজনীতিতে আর থাকছেন কি না, সে প্রশ্নের সংশয়মূলক উত্তর।

শুক্রবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগামধ্যমে পোস্টে মিমি লিখলেন, ‘আগামী দিনে আমি সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি বা না থাকি, আমার কাজের মাধ্যমে নিশ্চিতরূপে মানুষের হৃদয়ে থেকে যাব।’

বৃহস্পতিবার বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে ইস্তফার চিঠি পাঠিয়েছেন। মমতা অনুমতি দিলে সেই চিঠি তিনি সংসদের স্পিকারকেও পাঠাবেন।

আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, পোস্টে মিমি নিজের সাংসদ খাতের টাকা কোথায় কতটা খরচ করেছেন, কীভাবে কাজ করেছেন তার খতিয়ান প্রকাশ করেছেন। দেখিয়েছেন, সাংসদ হিসাবে ২০১৯ সাল থেকে তিনি ১৭ কোটি রুপির বেশি কাজ করেছেন। কোন এলাকায় কত টাকা খরচ হয়েছে, দিয়েছেন তার তালিকা।

বৃহস্পতিবার মিমি যখন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘর থেকে বেরিয়ে নিজের ইস্তফার কথা জানান, তখনও তিনি এই খরচের কথা উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘সাংসদদের ফান্ড কতটা ব্যবহার করা হয়েছে, তা দিয়ে কতটা কাজ করা হয়েছে, নির্দিষ্ট পোর্টালে গিয়ে সেই তথ্য দেখুন। এক নম্বরে কার নাম রয়েছে, এক বার দেখে নিন। এটা আমার গর্ব।’ সেই পরিসংখ্যানই এবার প্রকাশ করেছেন যাদবপুরের সাংসদ।

মিমি পোস্টে লিখেছেন, ‘বিগত পাঁচ বছর আমি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সাংসদ হিসাবে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছি। মানুষের করের অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। সৎপথে মাথা উঁচু করে এগিয়েছি। সেই সফরের কথা মনে করে আমার মারাত্মক আত্মতুষ্টি হয়। তাই বিগত পাঁচ বছরের সাংসদ রূপে আমার যাবতীয় কাজের খতিয়ান জনসমক্ষে তুলে ধরলাম।’

বৃহস্পতিবার মিমি জানিয়েছিলেন, তিনি রাজনীতির সঙ্গে আর যুক্ত থাকতে চান না। কারণ, তিনি রাজনীতি বোঝেন না। রাজনীতি এবং সাংসদ পদ ছাড়ার একাধিক কারণ দেখিয়েছিলেন মিমি। বলেছিলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি আমার জন্য নয়। কারণ, রাজনীতি করলে আমার মতো মানুষকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় লোকে। আমি লোকসভায় কত দিন উপস্থিত থেকেছি, কিছু লোকের তাই নিয়ে মাথাব্যথা।

‘যদি এক মাস দিল্লিতে থাকি, লোকে বলবে সাংসদ দিল্লিতে থাকেন, এখানে কাজ করেন না। আবার এখানে থাকলে বলা হবে, সংসদে আমার উপস্থিতি কম। মানুষকে অনেক পরিষেবা দিয়েছি। নিজের কাজের প্রচার করতে পারিনি। আমি প্রচার করতে পারি না। এটাও রাজনীতি ছাড়ার অন্যতম কারণ। যত বার সংসদে গিয়েছি, আমার এলাকার কাজের কথা বলেছি। রাজ্যের কথা ওরা শোনেন না। তাই কাজও হয়নি। মানুষ ভেবেছে সাংসদ কাজ করেন না।’

সম্প্রতি তৃণমূলের আর এক তারকা সাংসদ দেবও রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। একাধিক প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার পর তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। জল্পনা বাড়িয়েও দেব অবশ্য রাজনীতি শেষ পর্যন্ত ছাড়েননি।

মিমির ক্ষেত্রেও তেমন কোনো ঘটনা দেখা যায় কি না, সে দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। কারণ, মিমি প্রাথমিকভাবে ইস্তফাপত্র দলনেত্রীর কাছে দিয়েছেন। এখনও সংসদে তার পদত্যাগের চিঠি যায়নি। তৃণমূল তাঁকও আটকে দেয় কি না, তা অবশ্য ভবিষ্যৎ বলবে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
I understand this day what is true good luck in life wonderful

এই দিনে বুঝি—জীবনে সত্যিকারের সৌভাগ্য কী: অপূর্ব

এই দিনে বুঝি—জীবনে সত্যিকারের সৌভাগ্য কী: অপূর্ব

দুই দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ার জিয়াউল ফারুক অপূর্বের। মডেলিং দিয়ে শুরু, এরপর নাম লেখান অভিনয়ে। নান্দনিক অভিনয় ও চরিত্রের ভিন্নতায় আজ তিনি টেলিভিশন নাটকের বরপুত্র, অনেকে তাকে রাজপুত্রও বলে থাকেন। রোমান্টিক অবয়বের জন্য ভক্তরা তাকে ‘রোমান্স কিং’ বলেও আখ্যা দেন।

গতকাল শুক্রবার জনপ্রিয় এ তারকার জন্মদিন। দেখতে দেখতে জীবনের অনেকগুলো বসন্ত পার করে দিলেন। ঘড়ির কাঁটা বারোটা বাজার আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহকর্মী, ভক্ত অনুরাগীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন এ সুপারস্টার।

মজার বিষয় হলো, আজ বাবা-ছেলে দুজনেরই জন্মদিন।

নিজের জন্মতারিখেই পৃথিবীতে আসেন অপূর্বর একমাত্র ছেলে জায়ান ফারুক আয়াশ। বাবা-ছেলে দুজনেই সবার ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন। নিজের জন্মদিন নিয়ে কখনও কোন আয়োজন না করলেও আয়াশকে ঘিরে প্রতিবারই বাসায় ঘরোয়াভাবে আনন্দ আয়োজন রাখা হয়। তবে এবার দেশের বাইরে থাকায় ছেলেকে নিয়ে কোনো আয়োজন নেই বাবা অপূর্বের।

জিয়াউল ফারুক অপূর্ব বলেন, ‘আজকের দিনটা শুধুই একটা তারিখ নয়, বরং জীবনের সবচেয়ে অলৌকিক উপহার স্মরণ করার দিন। আজ আমার জন্মদিন। কিন্তু এই দিনটা আরও বিশেষ হয়ে ওঠে, কারণ আজ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ, আমার ছেলে আয়াশেরও জন্মদিন। একই দিনে আমরা দুজন, বাবা ও ছেলে—জীবনের এই অনন্য বন্ধনটুকু ভাগ করে নেওয়া যেন এক অদ্ভুত আশীর্বাদ, জীবনের সবচেয়ে সেরা উপহার।’

সবার ভালোবাসায় সিক্ত হওয়া নাটকের এই ‘বড় ছেলে’ আরো বলেন, ‘সকাল থেকেই চারপাশটা ভরে উঠেছে অফুরন্ত ভালোবাসায়। বন্ধু-বান্ধবের শুভেচ্ছা, পরিবারের আলিঙ্গন, শুভাকাঙ্ক্ষীদের দোয়া, আর আপনাদের—আমার কাছের কিংবা দূরের ভক্তদের অকুণ্ঠ ভালোবাসা। প্রতিটি বার্তা, প্রতিটি ফোন, প্রতিটি মিষ্টি শব্দ আমার মন ছুঁয়ে গেছে।

এই দিনে বুঝি—জীবনে সত্যিকারের সৌভাগ্য কী! আমার আয়াশকে সঙ্গে নিয়ে এই দিনটা উদযাপন করতে পারা, এবং আপনাদের সবার শুভকামনায় সিক্ত হওয়া—এ যেন জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত।’

কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সবশেষে তিনি বলেন, ‘আমাদের পাশে থাকার জন্য, এই আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য, এবং আবারও মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যে আমরা কতটা ভাগ্যবান—সবার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা। আমার এবং আয়াশের পক্ষ থেকে, অসংখ্য ভালোবাসা, হৃদয়ের গভীর থেকে আরও একবার—ধন্যবাদ।’

এর আগে অপূর্ব বলেছিলেন, এই বিষয়টা খুবই বিরল মনে হয় আমার কাছে যে, বাবা-ছেলের জন্মদিন একই তারিখে। আমি সত্যি ভীষণ ভাগ্যবান বাবাদের একজন। নিজেকে পৃথিবীর সেরা ভাগ্যবান বাবা বলে মনে হয়। আয়াশ আমার জন্মদিনের সেরা উপহার। আমি কখনোই আমার জন্মদিন ঘটা করে পালন করি না তবে এ দিনটা আয়াশকে ঘিরেই কাটিয়ে দেই সবসময়। সেই আয়োজনের আনন্দে নিজের জন্মদিনের কথা ভুলেই যাই।

উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। আগামী সপ্তাহে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

মন্তব্য

বিনোদন
Amirs cinema in 4 crore clubs in four days

চার দিনেই ১০০ কোটির ক্লাবে আমিরের সিনেমা

চার দিনেই ১০০ কোটির ক্লাবে আমিরের সিনেমা

প্রি-বুকিংয়ে প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া না পেলেও মুক্তির পর বদলে গেছে দৃশ্যপট। দর্শকের ভালোবাসা আর প্রশংসায় ভাসছে আমির খানের নতুন ছবি ‘সিতারে জমিন পার’। বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে ছবিটি। চার দিনেই নাম লিখিয়েছে ১০০ কোটি রুপি আয়ের ক্লাবে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ৮০ কোটি রুপির বাজেটে নির্মিত এই সিনেমাটি মুক্তির মাত্র চার দিনেই আয় করেছে ১০০ কোটি রুপি। এখন পর্যন্ত মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১১০ কোটিতে। ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদের কাছেও মিলছে প্রশংসা।

ছবির এই অর্জনে খুশি চলচ্চিত্রপ্রেমীরা। উচ্ছ্বসিত বর্ষীয়ান লেখক-চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘কে বলে ভালো ছবির দিন শেষ? ‘সিতারে জমিন পার’ তার প্রমাণ। আমির খান ও তার পুরো দলকে অভিনন্দন।’

বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের নিয়ে নির্মিত মানবিক এই ছবিতে আমির খানকে দেখা গেছে একজন বাস্কেটবল কোচের চরিত্রে। আর এস প্রসন্ন পরিচালিত সিনেমাটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন জেনেলিয়া দেশমুখ। এতে অভিনয় করেছেন ১০ জন বিশেষভাবে সক্ষম শিল্পী। তাদের সবার অভিনয় দর্শক হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলেছে।

কাশ্মীর ইস্যুতে ছবিটিকে বয়কটের ডাক এলেও এর গল্প, অভিনয় ও নির্মাণের মুন্সিয়ানার স্রোতে ভেসে গেছে সব নেতিবাচকতা। দর্শক ছবিটি দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন। ভালো রিভিউ দিচ্ছেন। সেসব রিভিউ দর্শক বাড়াচ্ছে সিনেমাটির।

মন্তব্য

বিনোদন
Zaid Khan is finally returning

অবশেষে ফিরছেন জায়েদ খান

অবশেষে ফিরছেন জায়েদ খান

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত মুখ জায়েদ খান। জুলাই বিপ্লবের আগে থেকেই স্টেজ শোয়ের কারণে তিনি অবস্থান করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর এখন পর্যন্ত আর তিনি দেশে ফিরেননি। অনুমান করা যাচ্ছে, সহসা তিনি দেশে ফিরবেনও না।

নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা ভাষাভাষীদের গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’য় ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ নামের বিশেষ শোয়ের মাধ্যমে প্রথমবার হোস্ট হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে তার। প্রথম পর্বটি প্রচার হতে যাচ্ছে ৪ জুলাই, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।

তবে ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’ প্রথম পর্বে কে বা কারা থাকছেন সে বিষয়টি আগাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন জায়েদ খান। তিনি বললেন, ‘সেটা না হয় চমক হিসেবেই তোলা থাক।’

জায়েদ খান বলেন, ‘এটা আমার জন্য এক নতুন যাত্রা। আমি এমন একটি অনুষ্ঠান উপহার দিতে চাই, যেখানে আমাদের গল্পগুলো উঠে আসবে-বাস্তব, অনুপ্রেরণাদায়ক এবং চেতনাকে নাড়া দেওয়ার মতো।’

‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবিতে টিক্কা খানের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন জায়েদ খান। কয়েক সেকেন্ডে পর্দায় দেখা গিয়েছিল তাকে। তার জন্য বরাদ্দ ছিল একবাক্যের একটি সংলাপ। এতেই বাজিমাত করেছেন তিনি।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন এই ঢালিউড তারকা। পরিকল্পনা করছেন জায়েদ খান হলিউডে সিনেমা করার বিষয়েও।

মন্তব্য

বিনোদন
Shravanti is confident in marriage even after breaking the world three times

তিনবার সংসার ভাঙার পরও বিয়েতেই আস্থা শ্রাবন্তীর

তিনবার সংসার ভাঙার পরও বিয়েতেই আস্থা শ্রাবন্তীর

ওপার বাংলার নায়িকা শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির ব্যক্তিগত জীবন তথা বিয়ে-ডিভোর্স নিয়ে চর্চা যেন একটু বেশিই। তিনবার ভেঙেছে এই নায়িকার সংসার। কিন্তু ভালোবাসায় ভরসা রাখেন অভিনেত্রী। সম্পর্কের প্রতি তার বিশ্বাস এখনো অটুট। শুধু তাই নয়, বিয়েতে এখনো বিশ্বাস রাখেন নায়িকা! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই বললেন শ্রাবন্তী।

নায়িকা বলেন, ‘আমি এখনও বিয়েতে বিশ্বাস করি। কারণ আমি আমার বাবা-মাকেও দেখেছি। আমি মনে করি যারা বিয়ে করছেন, তারা ভালো থাকুন। তাদের যেন একে অপরের প্রতি স্বচ্ছতটা বজায় থাকে। কেন বিয়ে করবে না? এটা তো আমরা বহু বছর ধরে দেখে আসছি।’

কিন্তু নায়িকার কোনো দাম্পত্য সম্পর্কই স্থায়িত্ব লাভ করেনি। কোথায় ভুলটা ছিল- এমন প্রশ্নে শ্রাবন্তীর জবাব, ‘আমার যেটা ভুল ছিল, আমি জীবনে ভুল মানুষ বেছে নিয়েছিলাম, যেটা হয়তো আমার আরও ভালো করে বুঝে নিয়ে করা উচিত ছিল। আসলে আমি তো খুব ইমোশোনাল একজন মানুষ। সেখানে আমার মনে হয়, আবেগে না ভেসে, আরও বাস্তবতা দিয়ে জীবনটাকে দেখা উচিত ছিল। আমি বলব নিজের ভালো থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি নিজের সম্মানটা যেখানে বজায় থাকবে সেখানে এগিয়ে যাওয়া উচিত।’

নায়িকা আরও বলেন, ‘একটাই জীবন, তাই লোকে কী বলছে না বলছে, সেটা দেখে এগিয়ে যাওয়া উচিত নয়। নিজের মন যেটা বলছে, যেটা করলে আপনার ধারণা আপনার ভালো হবে, সেটাই করা উচিত।’

বয়স ১৮ হওয়ার আগেই পরিচালক রাজীব কুমার বিশ্বাসকে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী। এই বিয়ে সূত্রেই ছেলে ঝিনুক ওরফে অভিমন্যুকে জন্ম দেন তিনি। তারপর অবশ্য ২০১৬ সালে রাজীবের সঙ্গে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন অভিনেত্রী। এরপর শ্রাবন্তী ফের প্রেমে পড়েন, ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসেন কৃষাণ ব্রিজের সঙ্গে। তবে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে সেই বিয়ের মেয়াদ ছিল মাত্র ১ বছর। তারপর ফের তৃতীয় বার রোশন সিংকে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী। এক গুরুদুয়ারাতে গিয়ে প্রায় চুপিচুপিই দুজনে বেঁধেছিলেন গাঁটছড়া। কিন্তু দেখা যায় যে, বছর ঘোরার আগেই, দুজনের সমস্যা শুরু। ছাদ আলাদা হয় রোশন ও শ্রাবন্তীর। তারপর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দুজনে আইনিভাবে আলাদা হয়েছেন।

মন্তব্য

বিনোদন
Nancys fox queen controversy after the divorce of the musician Kanar

সংগীতশিল্পী কনার বিবাহবিচ্ছেদের পর ন্যান্সির 'শিয়াল রাণী' মন্তব্যে বিতর্ক

সংগীতশিল্পী কনার বিবাহবিচ্ছেদের পর ন্যান্সির 'শিয়াল রাণী' মন্তব্যে বিতর্ক

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনার বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণার পর সহশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির একটি বিতর্কিত পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় কনা তার ফেসবুক পেজে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে লিখেন, "জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে—সবই আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটে।" ঠিক এক ঘণ্টা পর রাত ১২টার দিকে ন্যান্সি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, "জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে-বিচ্ছেদ, এর সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়—বাণীতে শেয়াল রাণী।"

ন্যান্সির এই 'শেয়াল রাণী' উক্তিটি সরাসরি কনাকে উদ্দেশ্য করে বলে ধারণা করছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকারীরা। বিশেষ করে কনার পোস্টের ভাষাকে হুবহু উদ্ধৃত করে এই মন্তব্য করায় বিতর্ক আরও ঘনীভূত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গত বছরের একটি ঘটনাও সামনে আসছে। ২০২৩ সালের ১৪ জুলাই ন্যান্সি একটি শেয়ালের ছবি পোস্ট করেছিলেন, যা সে সময় কনাকে ইঙ্গিত করে করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করেছিলেন। ওই সময় কনার 'দুষ্টু কোকিল' গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

যদিও দুই শিল্পীই কখনও প্রকাশ্যে একে অপর সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি, তবুও ন্যান্সির এই সাম্প্রতিক পোস্টকে অনেকেই কনার প্রতি পরোক্ষ আক্রমণ হিসেবে দেখছেন।

উল্লেখ্য, কনা ২০০০ সালে এবং ন্যান্সি ২০০৬ সালে সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। ন্যান্সির এই মন্তব্যের পর দুই শিল্পীর মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে।

মন্তব্য

বিনোদন
Who is the heroine of Dev?

বাদ পড়লেন ফারিণ, কে হচ্ছেন দেবের নায়িকা?

বাদ পড়লেন ফারিণ, কে হচ্ছেন দেবের নায়িকা?

গেল বছর থেকেই দেবের ‘প্রজাপতি ২’ সিনেমা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ছবিটি নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়। তবে তখনও পর্যন্ত ছবিটি নিয়ে কোনো আপডেট ছিল না। অবশেষে জানা গেল, জুলাই থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ছবিটির শুটিং। তবে শুরুর দিকে ‘প্রজাপতি ২’-তে দেবের নায়িকা হিসেবে তাসনিয়া ফারিণের নাম শোনা গেলেও এখন আর তিনি থাকছেন না। ভিসা জটিলতার কারণে বাদ পড়েছেন তিনি।

এবার ছবিটিতে দেবের নায়িকা হচ্ছেন ওপার বাংলার ছোট পর্দার অভিনেত্রী জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডু। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার এক বৈঠকে ছবিটি নিয়ে প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতার আলোচনা হয়েছে। অতনু-দেব-অভিজিৎ ঠিক করেছেন, কলকাতায় তারা প্রথম শুটিং শুরু করবেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেশের বাইরে শুটিং করবেন। অতনু রায় চৌধুরী প্রযোজিত ‘প্রজাপতি ২’ ছবিটি পরিচালনা করবেন অভিজিৎ সেন।

মন্তব্য

বিনোদন
It seemed to be suicide Asha Bhosle

মনে হয়েছিল আত্মহত্যা করি: আশা ভোসলে

মনে হয়েছিল আত্মহত্যা করি: আশা ভোসলে

প্রকাশিত হয়েছে কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলের বায়োগ্রাফি, আশা ভোঁসলে: আ লাইফ ইন মিউজিক। বইটি লিখেছেন রম্যা শর্মা।

এই জীবনীতে আশা ভোঁসলের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে, যা পড়ে বা জেনে অবাক হবেন অনেকেই।

বইটিতে তার স্বামী গণপতরাও ভোঁসলের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যিনি আশার থেকে ২০ বছর বড় ছিলেন। এই সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত দুঃখ আর কষ্টে গিয়ে পৌঁছেছিল।

আশা ভোঁসলে লিখেছেন, ওদের পরিবার খুব রক্ষণশীল ছিল, তারা একটা গায়িকাকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে পারেনি।

স্বামীকে নিয়ে আশা বলেন, আমার স্বামীর মেজাজ খুব খারাপ ছিল। হয়তো তিনি কষ্ট দিতে ভালোবাসতেন, হয়তো তিনি স্যাডিস্ট ছিলেন। কিন্তু বাইরের কেউ এসব জানতে পারত না। আমি তাকে সবসময় সম্মান দিয়েছি, কখনো প্রশ্ন করিনি। আমি শুধু নিজের কর্তব্য পালন করতাম।

তিনি আরও বলেন, একবার আমার মনে হয়েছিল আত্মহত্যা করি। আমি তখন অসুস্থ ছিলাম। আমি চার মাসের গর্ভবতী ছিলাম এবং হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম, যেখানে অবস্থা এত খারাপ ছিল যে মনে হয়েছিল আমি নরকে চলে এসেছি।

যোগ করে কিংবদন্তি এই গায়িকা বলেন, মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলাম, তখন পুরো এক বোতল ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু আমার গর্ভের সন্তানের প্রতি ভালোবাসা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে আমি মারা যাইনি। আমি আবার জীবনে ফিরে এসেছিলাম।

মন্তব্য

p
উপরে