× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
Who will grace the stage at the Coke Studio Bangla Concert
google_news print-icon

কোক স্টুডিও বাংলা কনসার্টে মঞ্চ মাতাবেন যারা

কোক-স্টুডিও-বাংলা-কনসার্টে-মঞ্চ-মাতাবেন-যারা
‘কোক স্টুডিও বাংলা লাইভ’ কনসার্টের দ্বিতীয় সংস্করণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন শিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত
কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অফ মার্কেটিং আবীর রাজবীন বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে কোক স্টুডিও বাংলা খুবই জনপ্রিয় এবং ভক্তরাও আরেকটা কনসার্ট আয়োজনের জন্য অনুরোধ করে আসছিলেন। কোক স্টুডিও বাংলার ম্যাজিক দিয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মাতাতে প্ল্যাটফর্মটির ১০০ জনের বেশি শিল্পীর একটি দল নিয়ে প্রস্তুত। আমরা বিশ্বাস করি, এই কনসার্ট ভক্তদের জীবনে অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।’

আগামী ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ‘কোক স্টুডিও বাংলা লাইভ’ কনসার্টের দ্বিতীয় সংস্করণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কোক স্টুডিও বাংলা। এতে ‘নাসেক নাসেক’-এর ছন্দ থেকে শুরু করে ‘কথা কইয়ো না’র মতো গান শুনে শ্রোতারা চমৎকার অভিজ্ঞতা পাবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা।

বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে মূল অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়, তবে গেট খুলে যাবে দুপুর দেড়টায়।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবার ভক্তরা উপভোগ করবেন এক্সক্লুসিভ কোক স্টুডিও বাংলা অভিজ্ঞতা, যা আগে কখনও দেখা যায়নি। মূল আয়োজনের আগে বেলা ৩টা থেকে থাকছে প্রি-শো। এ সময়ে ভেন্যুতে উপস্থিত দর্শকদের জন্য থাকবে নানা ধরনের মজার কার্যক্রম।

দর্শকদের কোক স্টুডিও বাংলার জাদুতে মাতাতে লাইনআপে থাকছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব, অনিমেষ রায়, পান্থ কানাই, মমতাজ বেগম, মিজান রহমান, ঋতু রাজ, সানজিদা মাহমুদ নন্দিতা, নিগার সুলতানা সুমি, জালালি সেট, রিপন কুমার সরকার (বগা), সুনিধি নায়েক, সৌম্যদীপ শিকদার (মুর্শিদাবাদী), কানিজ খন্দকার মিতু, মাখন মিয়া, রুবাইয়াত রেহমান, জান্নাতুল ফেরদৌস আকবর, শানিলা ইসলাম, আরমীন মুসা ও ঘাসফড়িং কয়্যার, রিয়াদ হাসান, পল্লব ভাই, মেঘদল, জহুরা বাউল, সোহানা (ডটার অফ কোস্টাল), মুকুল মজুমদার ঈশান, প্রীতম হাসান, ইসলাম উদ্দিন পালাকার, ফজলু মাঝি, ইমন চৌধুরী, এরফান মৃধা শিবলু, আলেয়া বেগম, ফুয়াদ আল মুক্তাদির, বাপ্পা মজুমদার এবং হামিদা বানুসহ দুই সিজনের শিল্পীরা।

উৎসবের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকছেন এলিটা করিম, শুভ (ডি রকস্টার), আনিকা ও অনুরাধা মণ্ডল। ব্যান্ড পারফরম্যান্স দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করতে থাকছে হাতিরপুল সেশনস ও লালন ব্যান্ড।

কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অফ মার্কেটিং আবীর রাজবীন বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে কোক স্টুডিও বাংলা খুবই জনপ্রিয় এবং ভক্তরাও আরেকটা কনসার্ট আয়োজনের জন্য অনুরোধ করে আসছিলেন। কোক স্টুডিও বাংলার ম্যাজিক দিয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মাতাতে প্ল্যাটফর্মটির ১০০ জনের বেশি শিল্পীর একটি দল নিয়ে প্রস্তুত। আমরা বিশ্বাস করি, এই কনসার্ট ভক্তদের জীবনে অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।’

যেভাবে পাওয়া যাবে টিকিট

কোক স্টুডিও বাংলা লাইভ কনসার্টের টিকিট পেতে সংগীতপ্রেমীদের কোকা-কোলার লিমিটেড এডিশন আইসিসি মোড়কের ৬০০ মিলিলিটার অথবা ১.২৫ লিটার বোতল সংগ্রহ করতে হবে। বোতলের মোড়ক তোলার পর ইউনিক কোড পাওয়া যাবে। কিউআর কোডগুলো স্ক্যান করে এবং প্রতিটি বোতলের মোড়কের পেছনে থাকা ইউনিক কোড প্রবেশ করে ভোক্তারা একটি ডিজিটাল কয়েন পাবেন।

পাঁচটি ডিজিটাল কয়েন সংগ্রহ করে কোক স্টুডিও বাংলা লাইভ কনসার্টের টিকিট জেতা যাবে। ভোক্তারা চাইলে আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপ কয়েনের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। এ ছাড়া টিকিট সংগ্রহ করার জন্য ফুডপান্ডার মাধ্যমে ৬০০ টাকা মূল্যের খাবার অর্ডার করে এবং একই সঙ্গে একই দিনে পান্ডামাটের মাধ্যমে দুটি ৬০০ মিলিলিটার অথবা একটি ১.২৫ লিটার কোকা-কোলা বোতল অর্ডার করলে একটি কনসার্ট টিকিট পাওয়া যাবে।

বার্গার কিং, ম্যাডশেফ, ডিগার, পাগলা বাবুর্চি, হারফি, ক্রিস্প, চিজ, সিপি ফাইভ স্টার ও চিলক্স থেকে কোকা-কোলা কম্বো মিল কিনলেও টিকেট মিলবে। এ ছাড়া কোক স্টুডিও বাংলার ভক্তরা Tickify.com থেকেও টিকেট কিনতে পারবেন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরুর পর প্রায় ১০০ গায়ক ও শিল্পীকে নিয়ে ২২টি গান প্রকাশ করে কোক স্টুডিও বাংলা। বাংলা সংগীত ও সংস্কৃতির চোখের আড়ালে থাকা রত্নগুলোকে সবার সামনে তুলে ধরেছে প্ল্যাটফর্মটি। এর ফলে বিশেষত তরুণ প্রজন্মের সংগীত অনুরাগীরা বাংলা সংগীতের মনোমুগ্ধকর জগৎটিকে উপভোগ করতে পেরেছেন।

দুই সিজনেই ভক্তরা এ প্ল্যাটফর্মের প্রতি তাদের ভালোবাসা জানিয়েছেন। তাদের এ সমর্থন ও ভালোবাসাকে স্বীকৃতি দেয়া এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে কোক স্টুডিও বাংলা লাইভের আয়োজন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য ও আপডেটের জন্য কোক স্টুডিও বাংলার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ভিজিট করতে পারেন।

আরও পড়ুন:
আইয়ুব বাচ্চুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ‘বামবা-চ্যানেল আই’ কনসার্ট
দেশসেরা ব্যান্ড নিয়ে বামবা’র কনসার্ট ডিসেম্বরে
নভেম্বর রেইন কনসার্ট ১২ তারিখে
২৩ সেপ্টেম্বর আসছে ‘নদী রক্স কনসার্ট’
এক মঞ্চে গাইবে নগরবাউল, অর্থহীন, আর্টসেল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
Vocalist Kanakchampa next to cool people

শীতার্ত মানুষের পাশে কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা

শীতার্ত মানুষের পাশে কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা নিজ উপজেলা কাজিপুরের চালিতাডাংগা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে উপস্থিত হয়ে শীতার্তদের হাতে কম্বল তুলে দেন বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। ছবি: নিউজবাংলা
রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা বলেন, ‘একজন মানুষের জন্য একটি কম্বল সাধারণ ব্যাপার। তাদের জন্য এ শীতে কষ্ট লাগবের জন্য আরও কিছু করতে পারলে নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম। সারা দেশের মতো সিরাজগঞ্জে শীতের শুরুতে যমুনা নদীর পাড়ের অবস্থিত গ্রামগুলো শীতে কাঁপছে। এ কারণে বেড়েছে গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ।’

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের শীতার্ত মানুষের মধ্যে শনিবার প্রায় দুই হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

বেলা ১১টার দিকে চালিতাডাংগা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে উপস্থিত হয়ে শীতার্তদের হাতে কম্বল তুলে দেন এলাকার সন্তান বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা বলেন, ‘একজন মানুষের জন্য একটি কম্বল সাধারণ ব্যাপার। তাদের জন্য এ শীতে কষ্ট লাগবের জন্য আরও কিছু করতে পারলে নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম। সারা দেশের মতো সিরাজগঞ্জে শীতের শুরুতে যমুনা নদীর পাড়ের অবস্থিত গ্রামগুলো শীতে কাঁপছে। এ কারণে বেড়েছে গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ।

‘এলাকার গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষ শীতের তীব্রতায় কষ্ট পাচ্ছেন। তাই তাদের কষ্ট লাঘবের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। একজন মানুষ হয়ে আর একজন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো সকলের নৈতিক দায়িত্ব।’

শীতার্ত মানুষের পাশে কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা

ওই সময় সমাজের সব বিত্তবান মানুষকে অসহায় শীতার্ত নারী-পুরুষদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

কম্বল পাওয়া মহেলা বেওয়া বলেন, ‘তীব্র শীত ও কনকনে ঠান্ডায় যখন কাহিল আমরা, এই সময়ে কম্বল আমাগো খুব উপকার করল। এই শীতে কম্বল গায়ে দিয়ে একটু আরামে ঘুমাতে পারব।

‘শীতে কম্বল দিয়ে অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করছে আমাগো গ্রামের মেয়ে কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা।’

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন কাজিপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুল রহমান বাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লাল মিয়া, উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম খোকন, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়াকত আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ইমরুল কায়েস (সবুর), লক্ষ্মীপুর গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী কামরুল হাসান তরু, তার মেয়ে কামরুন্নাহার তনুসহ অনেকে।

আরও পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে অটোরিকশায় মাইক্রোর ধাক্কা, পাঁচজন নিহত
বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, তিনজন নিহত
সিরাজগঞ্জে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ হত্যা
কাজিপুরে নির্মাণ শেষের আগেই ‘মুজিব কিল্লা’য় ভাঙন
বন্যা: সিরাজগঞ্জে গোখাদ্যের সংকট তীব্র

মন্তব্য

বিনোদন
Ekushey medalist singer Papia Sarwar passed away

চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার

চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। ছবি: ইউএনবি
চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন গুণী এ শিল্পী, যার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্বামী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।

একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন।

রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাপিয়া সারোয়ারের স্বামী সারওয়ার আলম।

তিনি জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে শিল্পীর দাফন সম্পন্ন হবে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন পাপিয়া। গত মাসে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সর্বশেষ তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন গুণী এ শিল্পী, যার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্বামী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।

পাপিয়া সারোয়ার ১৯৫২ সালের ২১ নভেম্বর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্রসংগীত অনুরাগী পাপিয়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছায়ানটে ভর্তি হন। পরে তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি হন।

বেতার ও টিভিতে ১৯৬৭ সাল থেকে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে গান করেন পাপিয়া। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।

১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারতে যান।

দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন পাপিয়া সারোয়ার। তার ব্যতিক্রমী কণ্ঠ ও গায়কীর প্রশংসা ছিল সংগীতাঙ্গনে।

আধুনিক গানেও আছে তার সাফল্য। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দিয়েছে।

সংগীতবোদ্ধাদের মতে, আধুনিক গান বাছাইয়ে বেশ সচেতন ছিলেন বলে তার অ্যালবামের সংখ্যা কম। তার সর্বশেষ অ্যালবাম ‘আকাশপানে হাত বাড়ালাম’ প্রকাশ হয় ২০১৩ সালে।

পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০২১ সালে পান একুশে পদক।

আরও পড়ুন:
পাপিয়ার জামিন স্থগিতই থাকছে
আমি গোপনে বিয়ে করার মতো মানুষ নই: লিজা
রাজপথে তারকারা
ইন্ডাস্ট্রির অন্যদের মতো রাফসানও আমার বন্ধু: জেফার
ভাওয়াইয়া শিল্পী নাদিরা বেগম গুরুতর অসুস্থ

মন্তব্য

বিনোদন
Artist Baby Nazneen is returning home on Sunday

শিল্পী বেবী নাজনীন দেশে ফিরছেন রোববার

শিল্পী বেবী নাজনীন দেশে ফিরছেন রোববার সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন। ছবি: বাসস
সাড়ে চার দশকের ক্যারিয়ারে আধুনিক সংগীতের অর্ধশতাধিক একক অডিও অ্যালবামসহ অসংখ্য দ্বৈত অডিও অ্যালবামে গান গেয়েছেন তিনি। 

যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে রোববার দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নামী সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন।

বিগত ১৬ বছরের আওয়ামী শাসনামলে পেশাগত কাজকর্মে বারবার বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয় বেবী নাজীনের সংগীতজীবন।

বাংলাদেশ বেতার-টিভি-মঞ্চ কোনো মাধ্যমেই বেবী নাজনীন স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারেননি। একপর্যায়ে দেশ ছাড়তেই বাধ্য হন তিনি।

দেশের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছেও সমাদৃত হন বেবী নাজনীন। দীর্ঘ প্রবাস জীবনে আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এ শিল্পী।

সাড়ে চার দশকের ক্যারিয়ারে আধুনিক সংগীতের অর্ধশতাধিক একক অডিও অ্যালবামসহ অসংখ্য দ্বৈত অডিও অ্যালবামে গান গেয়েছেন তিনি।

ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলে, বাপ্পি লাহিড়ী, কুমার শানু, কবিতা কৃষ্ণমূর্তির সঙ্গেও একাধিক অডিও অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে তার।

বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিশেষ শ্রেণির তালিকাভুক্ত সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন দেশের চলচ্চিত্র, অডিও মাধ্যমে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দেন।

আরও পড়ুন:
‘সরলতার প্রতিমা’র গায়ক খালিদ মারা গেছেন
সরকারের স্বীকৃতি চান দারুশিল্পী নরেশ
আমি গোপনে বিয়ে করার মতো মানুষ নই: লিজা
রাজপথে তারকারা
ইন্ডাস্ট্রির অন্যদের মতো রাফসানও আমার বন্ধু: জেফার

মন্তব্য

বিনোদন
Cancellation of Khasam permission in favor of flood regulation

বন্যার ‘সুরের ধারা’র অনুকূলে খাসজমির অনুমতি বাতিল

বন্যার ‘সুরের ধারা’র অনুকূলে খাসজমির অনুমতি বাতিল সংগীত বিদ্যালয় সুরের ধারার একটি কক্ষ। ছবি: ফেসবুক পেজ
ভূমি মন্ত্রণালয়ের খাস জমি-১ অধিশাখার উপসচিব মো. আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে ঢাকার জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে।

রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’র অনুকূলে ঢাকার লালমাটিয়ায় বন্দোবস্ত দেয়া খাসজমির অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের খাস জমি-১ অধিশাখার উপসচিব মো. আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে এ বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে ঢাকার জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে।

পত্রে বলা হয়, এ জমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তে সুরের ধারার চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার পক্ষে অনুমোদিত হয়েছিল। জমিটি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানার রামচন্দ্রপুর মৌজায় অবস্থিত।

এতে উল্লেখ করা হয়, বাতিল হওয়া জমিটি খাস খতিয়ানভুক্ত, যার দাগ নম্বর সিএস ও এসএ-৬৯২, আরএস-১৮৯৫, সিটি-১১৬৬৭ এবং ১১৪১২। মোট জমির পরিমাণ শূন্য দশমিক পাঁচ এক দুই শূন্য একর। এ জমির সিএস ও আরএস রেকর্ডে ‘খাল’ হিসেবে শ্রেণিকরণ থাকার কারণে এ বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ
বন্যা: শেরপুরে প্রাণহানি বেড়ে ৭, পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ
নির্বাচনে বিলম্ব হলে দেশ সংকটে পড়বে: মানবজমিন সম্পাদক
শেরপুরে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, তিনজনের মৃত্যু
বন্যাদুর্গতদের সহায়তা অব্যাহত ইসমাইলি সিভিক বাংলাদেশের

মন্তব্য

বিনোদন
Shafins body will arrive in the country in the afternoon and will be buried on Tuesday

শাফিনের মরদেহ দেশে আসছে বিকেলে, দাফন মঙ্গলবার

শাফিনের মরদেহ দেশে আসছে বিকেলে, দাফন মঙ্গলবার ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ। ফাইল ছবি
কুল এক্সপোজার কমিউনিকেশন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরশাদুল হক টিংকু সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, ‘মাইলস ব্যান্ডের প্রাক্তন ভোকাল এবং বেইজিস্ট শাফিন আহমেদের মরদেহ বাংলাদেশে আসবে আজ বিকাল ৫.৩০-এ। আগামীকাল মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, বাদ জোহর আজাদ মসজিদ, গুলশান-২-এ জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।’

দেশের অন্যতম শীর্ষ জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা ও কিংবদন্তি ব্যান্ড দল মাইলসের সাবেক প্রধান শিল্পী শাফিন আহমেদের মরদেহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আসছে সোমবার বিকেলে।

কুল এক্সপোজার কমিউনিকেশন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরশাদুল হক টিংকু আজ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, ‘মাইলস ব্যান্ডের প্রাক্তন ভোকাল এবং বেইজিস্ট শাফিন আহমেদের মরদেহ বাংলাদেশে আসবে আজ বিকাল ৫.৩০-এ। আগামীকাল মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, বাদ জোহর আজাদ মসজিদ, গুলশান-২-এ জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় গত বুধবার শাফিন আহমেদের মৃত্যু হয়, যার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

বাংলাদেশ ব্যান্ড মিউজিক ফ্যানস কমিউনিটির (বিবিএমএফসি) বরাত দিয়ে ইউএনবি এ তথ্য জানিয়েছিল।

বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন শিল্পী ও সংগীত রচয়িতা শাফিন। সেখানে স্থানীয় সময় বুধবার হৃৎপিণ্ড ও কিডনি বিকল হয়ে তার মৃত্যু হয়।

উপমহাদেশের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী দম্পতি কমল দাসগুপ্ত ও ফিরোজা বেগমের সন্তান শাফিন ১৯৬১ সালের ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে রক ব্যান্ড মাইলসে যোগ দেন। দলটিতে বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতের আরেক শীর্ষ তারকা সহোদর হামিন আহমেদের সঙ্গে কাজ করেন তিনি।

শুরুতে মাইলসের অ্যাকাউস্টিক গিটারিস্ট ছিলেন শাফিন, যিনি ১৯৯১ সালে ব্যান্ডটির প্রধান শিল্পী ও বেইজিস্ট হিসেবে নতুন যাত্রা শুরু করেন।

শৈশবেই সংগীতে হাতেখড়ি হয় শাফিনের। কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে সংগীত তারকা মা-বাবার সুবাদে ৯ বছর বয়সে নজরুল সংগীতের তালিম নেয়া শুরু করেন তিনি।

ঢাকার সেন্ট জোসেফ স্কুলে পড়ালেখা শেষ করে বড় ভাই হামিনের পাশাপাশি ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন শাফিন। সে সময়ে পশ্চিমা সংগীতের প্রভাব শুরু হয় তার জীবনে।

মাইলসে ভোকালিস্ট, সংগীত রচয়িতা, বেজ গিটারিস্টের মতো ভূমিকা পালন করা শাফিন প্রথমবার ব্যান্ডটি ছাড়েন ২০০৯ সালে। এর কয়েক বছর পর ২০১৪ সালে ফের ব্যান্ডটিতে যোগ দিয়ে ২০১৭ সাল নাগাদ ছিলেন তিনি। ওই বছর আবার মাইলস ছাড়েন আলোচিত এ তারকা।

শাফিন শেষবারের মতো মাইলসে প্রবেশ করেন ২০১৮ সালে, যে যাত্রার অবসান হয় ২০২১ সালে এসে।

আরও পড়ুন:
বরগুনায় মাইক্রো দুর্ঘটনা: ৭ জনের দাফন মাদারীপুরে
জমির জন্য বাবার কবরে শুয়ে পড়লেন ছেলে
সিরাজগঞ্জে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের দাফন
ফাঁসির মরদেহ দাফনে সমাজপতিদের বাধা
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ফায়ার ফাইটার রানার বিদায়

মন্তব্য

বিনোদন
Death of band star Shafin Ahmed

ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের মৃত্যু

ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদের মৃত্যু ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
উপমহাদেশের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী দম্পতি কমল দাসগুপ্ত ও ফিরোজা বেগমের সন্তান শাফিন ১৯৬১ সালের ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে রক ব্যান্ড মাইলসে যোগ দেন। দলটিতে বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতের আরেক শীর্ষ তারকা সহোদর হামিন আহমেদের সঙ্গে কাজ করেন তিনি।

দেশের অন্যতম শীর্ষ জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা ও কিংবদন্তি ব্যান্ড দল মাইলসের সাবেক প্রধান শিল্পী শাফিন আহমেদের মৃত্যু হয়েছে, যার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

বাংলাদেশ ব্যান্ড মিউজিক ফ্যানস কমিউনিটির (বিবিএমএফসি) বরাত দিয়ে ইউএনবি এ তথ্য জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন শিল্পী ও সংগীত রচয়িতা শাফিন। সেখানে স্থানীয় সময় বুধবার হৃৎপিণ্ড ও কিডনি বিকল হয়ে তার মৃত্যু হয়।

উপমহাদেশের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী দম্পতি কমল দাসগুপ্ত ও ফিরোজা বেগমের সন্তান শাফিন ১৯৬১ সালের ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে রক ব্যান্ড মাইলসে যোগ দেন। দলটিতে বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতের আরেক শীর্ষ তারকা সহোদর হামিন আহমেদের সঙ্গে কাজ করেন তিনি।

শুরুতে মাইলসের অ্যাকাউস্টিক গিটারিস্ট ছিলেন শাফিন, যিনি ১৯৯১ সালে ব্যান্ডটির প্রধান শিল্পী ও বেইজিস্ট হিসেবে নতুন যাত্রা শুরু করেন।

শৈশবেই সংগীতে হাতেখড়ি হয় শাফিনের। কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে সংগীত তারকা মা-বাবার সুবাদে ৯ বছর বয়সে নজরুল সংগীতের তালিম নেয়া শুরু করেন তিনি।

ঢাকার সেন্ট জোসেফ স্কুলে পড়ালেখা শেষ করে বড় ভাই হামিনের পাশাপাশি ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন শাফিন। সে সময়ে পশ্চিমা সংগীতের প্রভাব শুরু হয় তার জীবনে।

মাইলসে ভোকালিস্ট, সংগীত রচয়িতা, বেজ গিটারিস্টের মতো ভূমিকা পালন করা শাফিন প্রথমবার ব্যান্ডটি ছাড়েন ২০০৯ সালে। এর কয়েক বছর পর ২০১৪ সালে ফের ব্যান্ডটিতে যোগ দিয়ে ২০১৭ সাল নাগাদ ছিলেন তিনি। ওই বছর আবার মাইলস ছাড়েন আলোচিত এ তারকা।

শাফিন শেষবারের মতো মাইলসে প্রবেশ করেন ২০১৮ সালে, যে যাত্রার অবসান হয় ২০২১ সালে এসে।

মন্তব্য

বিনোদন
Surprising love beyond 30

৩০ পেরিয়ে ‘অবাক ভালোবাসা’

৩০ পেরিয়ে ‘অবাক ভালোবাসা’ ‘অবাক ভালোবাসা’ গানে অংশ নেয়া ওয়ারফেজ ব্যান্ডের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
কয়েক প্রজন্ম ধরে অবাক ভালোবাসা শ্রোতাদের খুব প্রিয় একটি গান। এটি ভালোবাসা আর সুরের শক্তিতে অনেক মানুষকে কাছে এনেছে।

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ওয়ারফেজ ৪০ বছরে পা দিয়েছে ৬ জুন।

বেশ কিছু অ্যালবাম, পুরস্কার, অসাধারণ ও হিট গানের সঙ্গে বাংলাদেশের সংগীত জগতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে ব্যান্ডটি। তা ছাড়া গানের কথা ও সুরের মধ্য দিয়ে কয়েক প্রজন্ম ধরে সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে তারা।

গত সপ্তাহে কোক স্টুডিও বাংলায় নতুন আঙ্গিকে প্রকাশ হয়েছে ওয়ারফেজের বিখ্যাত গান ‘অবাক ভালোবাসা’। গানটি নতুন করে প্রমাণ করল কিছু গান, কিছু সুর কখনও পুরোনো হয় না। কয়েক প্রজন্ম পরও এসব গান আবার নতুন করে ফিরে আসে।

গানটির নতুন সংস্করণ ইউটিউবে ৭০ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। এমন সময়ে এর আদি সংস্করণের কথাও আমাদের মনে পড়ে যায়।

আজ থেকে ৩০ বছর আগে ‘অবাক ভালোবাসা’ নামের অ্যালবামে মুক্তি পায় এ গান। অ্যালবামটি তো হিট হয়েছিলই, সেই সঙ্গে অবাক ভালোবাসা গানটিও।

বেশ কিছু চমৎকার উপাদান এতে যুক্ত করা হয়েছিল। শুরুতেই কয়েক মিনিটের সেই গিটার সলো, পাথরে ধাক্কা খাওয়া ঢেউয়ের শব্দ, আকাশে উড়তে থাকা গাঙচিলের ডাক, আর তারপর অসাধারণ কথা ও সুরের সমন্বয়। তখনকার তরুণরা গানটিকে লুফে নিয়েছিল।

প্রায় তিন দশক পর প্রকাশিত অবাক ভালোবাসা গানের নতুন সংস্করণটি বর্তমান সময়ের তরুণদের ভালোবাসা পাচ্ছে। গানটিতে অংশ নিয়েছেন ওয়ারফেজের বর্তমান সদস্যরা শেখ মনিরুল আলম টিপু, ইব্রাহিম আহমেদ কমল (লিড গিটার), পলাশ নূর (ভোকাল), সামির হাফিজ (লিড গিটার), নাইম হক রজার (বেইজ গিটার) ও শামস মনসুর গণি (কিবোর্ড)। এতে পারফর্ম করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসেছিলেন ব্যান্ডটির সাবেক ভোকাল ও এই গানের স্রষ্টা বাবনা করিম। আরও ছিলেন একঝাঁক শিল্পী, যারা গানের সঙ্গে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েছেন ও ভোকালাইজ করেছেন।

টিপু বলেন, ‘গত নভেম্বরে অর্ণব কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনের ব্যাপারে আমার সাথে যোগাযোগ করে। তারা একটা এপিসোডে ওয়ারফেজকে ফিচার করতে চাইছিল। বিভিন্ন শর্ত, নানা বিষয়ে একমত হওয়ার পরে আমরা এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করলাম।’

টিপু জানান, তারা প্রথমে তাদের অন্য একটি হিট গান ‘একটি ছেলে’ নতুনভাবে করতে চাইছিলেন।

তিনি বলেন, “আমাদের বর্তমান ভোকাল পলাশ এই গানটা চমৎকার গায়। আমরা সবাই ভাবছিলাম এই গানটা দারুণ হবে, কিন্তু কোক স্টুডিও টিমের পছন্দ ছিল ‘অবাক ভালোবাসা’। অনেক চিন্তাভাবনার পর আমরা কোকের সিদ্ধান্তই মেনে নিলাম। সাথে সাথেই আমরা গানটি যার লেখা ও সুর করা, সেই বাবনা করিমের সাথে যোগাযোগ করলাম।”

টিপুর মতে, পুরো ব্যাপারটাই ছিল একটি দলীয় প্রচেষ্টা। নতুন সংস্করণটির প্রযোজনায় অর্ণব আর সামিরের সঙ্গে তিনি নিজেও কাজ করেছেন।

অবাক ভালোবাসা গানের ভিজ্যুয়াল পরিচালনায় ছিলেন ডোপ প্রোডাকশনের কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। এর সেট তৈরিতে ব্যবহৃত হয় অন্তত ৩০০ কেজি বালি।

আর্ট ডিরেক্টর শিহাব নূর এবং কস্টিউম ডিজাইনার নিশাত দিশার সঙ্গে মিলে কৃষ্ণেন্দু আর তার টিম একটি চমৎকার ডিজাইন তৈরি করেছেন। এখানে ছিল কক্সবাজারের সমুদ্র, ‘অ্যাঞ্জেল ড্রপ’ নামের একটি ক্যাফে এবং নীলচে আভার সন্ধ্যাবেলা।

বেড়ে ওঠার সময়ে গানটি কৃষ্ণেন্দুর ভীষণ প্রিয় ছিল। তিনি বলেন, ‘অবাক ভালোবাসা শুনে আমার সবসময়ই শান্ত সমুদ্র আর রাতের তারাভরা আকাশের কথা মনে পড়ে। সেই কারণে ভিজ্যুয়ালের ক্ষেত্রে আমরা নীল আর সাদা টোন নিয়ে কাজ করেছি।’

পরিচালক আরও জানান, লাইভ শ্যুট করা সবসময়ই বেশ ঝামেলার। সেটে কাজ করার সময় প্রযুক্তিগত নানা সমস্যা মোকাবিলা করতে গিয়ে অডিও ও ভিডিও দুটি টিম মিলে একটি টিম হয়েই কাজ করেছিল।

অবাক ভালোবাসা গানের গীতিকার ও সুরকার বাবনা করিম জানান, গানটি মুক্তি পাওয়ার বছর দুয়েক আগে ১৯৯২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি তিনি গানটি লিখেছিলেন। তার ভাষায়, ‘আমার মাথায় প্রথমে সুরটা এসেছিল। গানের কথা এসেছে আরও পরে।’

১৯৯৪ সালে ‘অবাক ভালোবাসা’ নামের অ্যালবামটি মুক্তি পাওয়ার পর ব্যান্ডটি ‘কোকা-কোলা ব্যান্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’-এর খোঁজ পায়।

প্রতিযোগিতায় এই গান জমা দেয়ার জন্য খুবই আগ্রহী ছিল ব্যান্ডটি, কিন্তু তাদের সাড়ে তিন হাজার টাকার মতো ঘাটতি ছিল।

এ নিয়ে টিপু বলেন, ‘প্রতিযোগিতার বিচারকরা আমাদের কাছে পাঁচটি ক্রোম ক্যাসেটে গানটির রেকর্ড, গানের কথা এবং গঠন (কনস্ট্রাক্ট) চেয়েছিলেন। বাবনা বা আমার কারও কাছেই ওই টাকা ছিল না। তাই আমি রেইনবোর কবির ভাইয়ের কাছে গেলাম। তিনি সাথে সাথেই আমাকে টাকাটা দিলেন এবং নিজেই ক্রোম ক্যাসেটগুলোও রেকর্ড করে দিলেন।’

অনুমিতভাবেই প্রতিযোগিতায় তারা প্রথম স্থান লাভ করে ৫০ হাজার টাকা জিতে নেন। এর ফলে নিঃসন্দেহে ব্যান্ডটি এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছে; সংগীত জগতে তাদের অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে।

এখন তিন দশক পরে এসে ভাগ্যই যেন ওয়ারফেজ আর কোকা-কোলাকে আবার এক মঞ্চে নিয়ে এলো। কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় সিজনে যুক্ত হলো জনপ্রিয় ব্যান্ডটি।

কোক স্টুডিও বাংলার নতুন সংস্করণের প্রযোজনা ও সেট নিয়ে বাবনা করিম বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে আমার চমৎকার লেগেছে। আর দুটো ভিন্ন স্কেলকেও বেশ ভালোভাবেই মেলানো হয়েছে।’

আদি সংস্করণ ও নতুন সংস্করণের উল্লেখযোগ্য পার্থক্যটির দিকে নির্দেশ করে বাবনা বলেন, ‘এটা করার কারণ হলো পলাশ আর আমি দুই ধরনের স্কেলে গান করি।’

বাবনা করিম যে স্কেলের পরিবর্তনের কথা বলছেন, তা হলো সেটে নতুন সংস্করণটি লাইভ গাওয়ার সময় ই মাইনর থেকে সি মাইনরে চলে যাওয়া। অনেক সময় পারফরম্যান্সকে আরও শৈল্পিক করে তোলার জন্য একাধিক স্কেল ব্যবহার করা হয়। এ রকম ক্ষেত্রে গানের গতিতেও আসে পরিবর্তন।

দুই বা ততধিক ভোকাল একই গান গাওয়ার সময়ও স্কেলের এই পরিবর্তন দেখা যায়। অবাক ভালোবাসার ক্ষেত্রে এ কারণেই পরিবর্তনটি করা হয়।

পলাশ বলেন, ‘এই গানে আমরা সি মাইনর থেকে ই মাইনরে গিয়েছি। অর্থাৎ মোট চারবার স্কেল পাল্টেছে!’ দুজন ভোকালিস্টের স্বাচ্ছন্দ্যময় পারফর্মের সুবিধার্থে এটা করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, ‘ঠিক কীভাবে এই ট্রানজিশনটা আনা হবে, সে ব্যাপারে ওয়ারফেজ আর অর্ণবের মাঝে দীর্ঘ আলোচনা হয়। একসময় একটা পয়েন্ট ঠিক করা হয়, যেখানে ভোকাল আর বাদ্যযন্ত্রের এই ট্রানজিশনটা সুন্দরভাবে হয়। সেদিন আমি নতুন কিছু জিনিস শিখতে পেরেছিলাম!’

নব্বই দশকের সংগীতপ্রেমী আর ওয়ারফেজের ভক্তদের স্মৃতিকাতর করে তুলেছে গানটির এ নতুন সংস্করণ, তবে নতুন আইডিয়া ও কয়্যার, বাঁশি ও পারকাশনসহ নতুন একটি সেটআপে গানটি করতে রাজি হওয়ার সাহস দেখানোর জন্য ওয়ারফেজকে ধন্যবাদ দিতেই হয়।

এ থেকে স্পষ্ট যে, সংগীতের বিবর্তন কখনও থেমে থাকে না এবং কিংবদন্তি ব্যান্ড ওয়ারফেজের অবাক ভালোবাসা সব মিলিয়ে ছিল অসাধারণ।

কয়েক প্রজন্ম ধরে অবাক ভালোবাসা শ্রোতাদের খুব প্রিয় একটি গান। এটি ভালোবাসা আর সুরের শক্তিতে অনেক মানুষকে কাছে এনেছে।

এখন সময় তরুণ শিল্পীদের এগিয়ে আসার, নতুন কিছু করার। সেটা তখনই সম্ভব হবে, যখন কিংবদন্তি শিল্পীরা নতুন ধরনের জিনিসগুলো গ্রহণ করার মানসিকতা দেখান, তাদের এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা করে দেন।

লেখক: সংগীতশিল্পী

আরও পড়ুন:
‘কে প্রথম কাছে এসেছি, কে প্রথম ভালোবেসেছি’
এতিম শিশুদের নিয়ে ‘রূপসী নওগাঁর’ ভালোবাসা দিবস
ছুঁয়ে যায় বসন্ত ভালোবাসা
মায়ের পা ধুয়ে শিশুদের ভালোবাসা দিবস পালন
শিক্ষক সামিউলের অন্যরকম ভালোবাসা বিনিময়

মন্তব্য

p
উপরে