টালিগঞ্জের জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির সিনেমা ‘দশম অবতার’ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। সিনেমাটির ট্রেলার মুক্তির পরই তা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ট্রেলারে জয়া আহসান ও অনির্বাণ ভট্টাচার্যের একটি চুম্বনের দৃশ্য নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।
পশ্চিমবঙ্গের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে চুম্বনের দৃশ্য নিয়ে কথা বলেছেন জয়া ও অনির্বাণ।
চুমুর দৃশ্য নিয়ে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক প্রশ্ন করতেই জয়া বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়। আমরা তো আগেও চুমু খেয়েছি। ইনফ্যাক্ট আমার আর ওর প্রথম দৃশ্যই ছিল চুমুর।’
এ সময় পাশ থেকে অনির্বাণ বলেন, ‘ঈগলের চোখ সিনেমায় প্রথম শটই ছিল চুমু খাওয়ার।’ তার কথায় জয়া যোগ করেন, ‘আমি বসে আছি (ঈগলের চোখ-এর শুটিংয়ে)। হঠাৎ একটা নতুন ছেলে (সেটা ছিল অনির্বাণের প্রথম সিনেমা) এসে চুমু খেয়ে গেল।’
কয়টা টেকে নেয়া হয়েছে এবারের চুমু?- সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে জয়া ও অনির্বাণ দুজনেই আঙুল তুলে বলে ওঠেন, ‘একটা’। সঞ্চালক তখন টিপ্পনি কাটেন, ‘পারফেকশন এতটা! তার মানে…’
তার কথা শুনে হেসে ওঠেন জয়া।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগে ‘ইগলের চোখ’ এবং পাঁচফোড়ন-এ জয়া-অনির্বাণের রসায়ন দেখেছে সিনেমাপ্রেমীরা।
সত্যিই কি গোপনে প্রেম ছাড়ানো যায়?- এ প্রশ্নে অনির্বাণ মজা করে বলেন, ‘গোপনে একটা প্রেম হয়তো ছাড়ানো যায়, তবে যেহেতু পুরোটাই গোপনে, তাই আরও একটা প্রেম হয়ে যেতে পারে।’
এদিকে ছবি মুক্তির আগেই পড়েছে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের জন্মদিন। অনির্বাণকে জন্মদিনে উপহার দিতে হলে কী দেবেন?- সাক্ষাৎকারে এমন প্রশ্নের উত্তরে জয়া বলেন, ‘জড়িয়ে ধরে আরেকটা চুমু খেয়ে নেব। আর কী দিয়ে মানুষকে খুশি করা যায়…! মানে, মন থেকেই খাব, দেখানোর জন্য নয় কিন্তু!’
দশম অবতার-এ সিরিয়াল কিলিং, পুলিশি তদন্ত ছাড়াও দেখানো হবে পুলিশ অফিসার অনির্বাণের সঙ্গে জয়া আহসানের প্রেম।
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সন্তান, প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপার আগমন উপলক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ, পথসভা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কাজিপুর সোনামুখি বাজার সংলগ্ন মাঠে শুক্রবার সকালে পথসভা, মাইজবাড়ী ঢেকুরিয়া বাজারে শিল্পীর নিজ গ্রামে ও লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন কনকচাঁপা।
ওই সময় তিনি নিজ এলাকার বিভিন্ন বয়সী লোকজনের ভালোবাসায় সিক্ত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে পেয়ে আনন্দিত হয়।
কনকচাঁপা কাজিপুরবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘একজন সংগীতশিল্পী হয়ে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করেছি। আমি বাকি জীবন এলাকাবাসীর সেবা করার মাধ্যমে তাদের মন জয় করতে এবং তাদের ভালোবাসায় বেঁচে থাকতে চাই।’
এদিকে জন্মস্থানের লোকজন গুণী এ শিল্পীকে কাছে পেয়ে আগামীতে তাকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান, সহসভাপতি ও কাজিপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মালেক তরফদার, কাজিপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ইমরুল কায়েস সবুর, ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মাসুদ তরফদার, কামরুন্নাহার ত্বনীসহ অনেকে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের সংগীত নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খান।
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
রোববার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, রাহাত ফাতেহ আলী খান একজন গুণী ব্যক্তি। তিনি শুধু পাকিস্তানের নন, তিনি উপমহাদেশ তথা সারাবিশ্বের সংগীত জগতের সম্পদ। বাংলাদেশে তার অনেক ভক্ত রয়েছে।
এ সময় রাহাত ফাতেহ আলী খান বাংলাদেশের সংগীত নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়নেও কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে আমন্ত্রণের জন্য তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
শনিবার ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে কনসার্টের জন্য রাহাত ফাতেহ আলীকে ধন্যবাদ জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর এ ধরনের একটি কনসার্ট আয়োজনের প্রয়োজন ছিল।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ ওয়াসিফ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেশীয় সংস্কৃতির প্রচারের লক্ষ্যে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সূচনা করেছে বিএনপি।
রাজধানীর গুলশান-১ এ উদয় টাওয়ারে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এই প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা দিয়েছেন।
‘সবার আগে বাংলাদেশ’-এর আহ্বায়ক এ্যানী বলেন, এই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে দেশের মানুষ ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর নতুন পরিবেশে নতুনভাবে বিজয়ের মাস উদযাপনের সুযোগ পাবে।
তিনি বলেন, “গত ১৬-১৭ বছরে ফ্যাসিবাদী শাসনামলে আমরা নিজেদের মতো করে বিজয় দিবস পালন ও উদযাপন করতে পারিনি। এবার বিজয় দিবসে আমরা নতুন প্রত্যাশা নিয়ে, নতুনভাবে বাংলাদেশের জনগণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে হাজির হব। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।
“বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ ১৬ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে ব্যাপক কর্মসূচি ও কার্যক্রম প্রণয়ন করেছে।”
এই কনসার্টে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও ব্যান্ডদলের মধ্যে- সৈয়দ আব্দুল হাদী, খুরশীদ আলম, বেবী নাজনীন, মনির খান, কনক চাঁপা, দিলশাদ নাহার কনা, ইমরান মাহমুদুল, প্রীতম, জেফার, মৌসুমী, নগর বাউল (জেমস), ডিফারেন্ট টাচ, অর্ক, সোলস, শিরোনামহীন, আর্টসেল, এভয়েডরাফা এবং সোনার বাংলা সার্কাস অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ সংগঠনটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানি ও যুবদল সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।
‘এই পদ্মা এই মেঘনা’, ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’- এক সময়ের ব্যাপক জনপ্রিয় এসব গানের গীতিকার ও সুরকার আবু জাফর মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
কন্যা জিহান ফারিয়া তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক আবু জাফর বেশকিছু দিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার, কবি ও সংগীতশিল্পী ছিলেন। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ২০০০ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
আবু জাফর ১৯৪৩ সালের ১৫ মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম খোন্দকার মো. জমির উদ্দিন। কুষ্টিয়া শহরের আডুয়াপাড়ায় তিনি বসবাস করতেন।
আবু জাফর রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন। তার রচিত দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গান এক সময় তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। একাধিক কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। এর মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’ উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও বেশকিছু বই লিখেছেন আবু জাফর। এর মধ্যে ‘নতুন রাত্রি পুরোনো দিন’ (কাব্য), ‘বাজারে দুর্নাম তবু তুমিই সর্বস্ব’ (কাব্য), ‘বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত কবিতা’ (অনুবাদ কাব্য), ‘তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
আবু জাফরের বিখ্যাত গানের মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের তালিকায় স্থান দখল করে। তার রচিত সব গানের বাণীতে অসামান্য সুর সংযোজনও করেন তিনি। এছাড়াও নিজের রচিত ও সুর সংযোজিত বেশিরভাগ গানে তিনি নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন। কোনো কোনো গানে তার সঙ্গে যুগলে কণ্ঠ দিয়েছেন তার সাবেক স্ত্রী লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন।
গুণী এই ব্যক্তিত্বের নামাজে জানাজা শুক্রবার বাদ আসর কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজা শেষে তাকে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্তানে সমাহিত করা হবে।
আরও পড়ুন:ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খানের কসমেটিকস, স্কিনকেয়ার, পার্সোনাল কেয়ার ও হোম কেয়ার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রিমার্ক-হারল্যানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান।
গুলশানের দ্য ওয়েস্টিন হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে সোমবার এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তাহসানের সঙ্গে চুক্তিতে সই করেন রিমার্ক-হারল্যানের ডিরেক্টর শাকিব খান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হারল্যান জোনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরসহ রিমার্ক-হারল্যানের অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
রিমার্ক-হারল্যানের ডিরেক্টর শাকিব খান অনুষ্ঠানে বলেন, ‘তাহসানের মতো মাল্টি ট্যালেন্টেড একজন শিল্পীকে আমাদের সাথে পেয়ে আমরা আনন্দিত। তরুণ প্রজন্মের কাছে তাহসানের যে ক্রেজ, তা সত্যিই বিস্ময়কর।
‘সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি আন্তর্জাতিক মানের অথেনটিক হোম অ্যান্ড পার্সোনাল কেয়ার, স্কিন কেয়ার ও কালার কসমেটিকস পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রিমার্ক-হারল্যান ভোক্তাদের কাছে সর্বোচ্চ মান ও সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই উদ্দেশ্য পূরণে তাহসানের মতো একজন গুণী এবং জনপ্রিয় সেলেব্রিটির সাথে সংযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে তাহসান বলেন, ‘অথেনটিক কসমেটিকসের জন্য রিমার্ক-হারল্যানের সুনাম শুনেছিলাম বহু আগেই। আজ অফিশিয়ালি যুক্ত হলাম দেশের মানুষকে নকল ও ভেজাল পণ্যের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি দিতে রিমার্ক-হারল্যানের এই প্রচেষ্টার সাথে।
‘আমি খুবই উচ্ছ্বসিত রিমার্ক-হারল্যানের সাথে যোগ দিয়ে। খুব শিগগিরই রিমার্ক-হারল্যানের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচার-প্রচারণায় আমাকে দেখতে পাবেন ভক্তরা।’
আরও পড়ুন:অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ রুবেল। সড়ক দুর্ঘটনায় তিনিসহ আহত হয়েছেন আটজন। শনিবার সকাল ১১টার দিকে মাদারীপুরের কলবাড়ি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
চিত্রনায়ক রুবেল ও তার সহযাত্রীদের বহনকারী মাইক্রোবাসকে একটি পরিবহন পাশ থেকে চাপ দিলে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুবেলসহ আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর আড়াই শ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসে।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রুবেলসহ তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর আমতলীতে একটি ক্লাব উদ্বোধনের উদ্দেশ্যে চিত্রনায়ক রুবেল ও তার সহযোগীরা মাইক্রোবাসযোগে যাচ্ছিলেন। মাদারীপুর সদর উপজেলার কলাবাড়ি এলাকায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি পৌঁছলে বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস পাশ থেকে চাপ দেয়। তখন রুবেলদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে চিত্রনায়ক রুবেল ও তার সঙ্গে থাকা সাতজন আহত হন।
এই দুর্ঘটনায় চিত্রনায়ক রুবেল খুব বেশি আহত না হলেও তার এক সহযাত্রী ও মাইক্রোবাসের চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। মাদারীপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রুবেলসহ আহত ছয়জনকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। তবে রুবেলের ট্রেইনার মোহাম্মদ কবির ও গাড়িচালক ওমর ফারুক ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে রুবেলের সফরসঙ্গী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অল্পের জন্যে আমরা প্রাণে বেঁচে গেছি। বাসটি আমাদের মাইক্রোবাসকে চাপ দিলে আমাদের চালক গাছের সঙ্গে গাড়ি লাগিয়ে বিপদ থেকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন।
‘এতে আমরা সবাই কম-বেশি আহত হয়েছি। রুবেল স্যার তেমন গুরুতর আহত হননি। তাকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দুজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ইমরানুর রহমান সনেট বলেন, ‘প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নায়ক রুবেল আর তার কয়েকজন সঙ্গীকে ঢাকায় পাঠিয়েছি। গুরুতর কোনো জখম নেই নায়ক রুবেলের। তবে তার সহযাত্রী কয়েকজনের জখম আছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।’
এদিকে চিত্রনায়ক রুবেল সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মাদারীপুর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভক্ত-অনুসারীরা হাসপাতালে জড়ো হন। তাদের ঠেকাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হয়।
মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক আরব আলী বলেন, ‘আমাদের কাছে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে চলে আসি। এসে নায়ক রুবেলকে একটি ভ্যানে বসা অবস্থায় দেখি। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। পরিবহনটিকে চিহ্নিত করা যায়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্রনায়ক রুবেল কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন:ছোট পর্দার অভিনেত্রী আফরোজা হোসেন মারা গেছেন। রোববার ভোর ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে আফরোজা হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী মনিরা আক্তার মিঠু।
জানা যায়, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ ছিলেন আফরোজা হোসেন। জরায়ুমুখ ক্যানসার ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড থেকে হাড়ে ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে ক্যানসারের কাছে হার মেনে চলে গেলেন না-ফেরার দেশে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আফরোজার সঙ্গে তোলা কিছু ছবি শেয়ার করে মনিরা মিঠু লিখেন, ‘ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন। অভিনেত্রী আফরোজা হোসেন আর নেই। আজ ভোর ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।’
আশি ও নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের শো-বিজ ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন আফরোজা হোসেন। ক্যারিয়ারের শুরুতে টেলিভিশন নাটকে তিনি জনপ্রিয়তা পান। পরে চলচ্চিত্রেও নিয়মিত কাজ করেন এই অভিনেত্রী।
মন্তব্য