× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
Arrest warrant issued against Mumtaz in India
google_news print-icon

মমতাজের বিরুদ্ধে ভারতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মমতাজের-বিরুদ্ধে-ভারতে-গ্রেপ্তারি-পরোয়ানা
দেশবরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম। ছবি: সংগৃহীত
চুক্তিভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালতের মূখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক অলকেশ দাস এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালত। চুক্তিভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় এ পরোয়ানা জারি হয়েছে।

বুধবার বহরমপুর আদালতের মূখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক অলকেশ দাস এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এ মামলায় এর আগে তিনবার মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আনন্দবাজার। তার পর মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন মমতাজ। তবে উচ্চ আদালত তার সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।

বহরমপুর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে মমতাজকে।

এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গে মমতাজের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, তার মক্কেল আদালতকে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৯ অগস্ট মুর্শিদাবাদের মূখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল মমতাজের। ৮ অগস্ট বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মমতাজের মামলার চার্জ গঠন হবে। সেদিন তিনি উপস্থিত না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে। এরপরই মমতাজ বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে আদালতে একটি আবেদনপত্র দাখিল করে জানান, ওই সময়ে তিনি কানাডায় একটি অনুষ্ঠানে থাকবেন। ফলে তার পক্ষে আদালতে হাজিরা দেয়া সম্ভব হবে না। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) মুর্শিদাবাদের মূখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ওই আবেদন খারিজ করে দিয়ে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

আদালত সূত্র জানায়, মুর্শিদাবাদে ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য আয়োজক সংস্থার মালিক শক্তিশঙ্কর বাগচীর সঙ্গে মমতাজের লিখিত চুক্তি হয়। সেই চুক্তি মোতাবেক শক্তিশঙ্করের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মমতাজ নিয়মিত অংশ নিতেন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ১৪ লাখ টাকায় মুর্শিদাবাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা ছিল দেশবরেণ্য এ সংগীত শিল্পীর। এ উপলক্ষে তিনি অগ্রিম টাকাও নেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত চুক্তি অমান্য করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি মমতাজ। এরপরই শক্তিশঙ্কর চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদের মূখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মমতাজের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার ভিত্তিতে আদালত পরবর্তীতে সমন জারি করে।

অভিযোগ রয়েছে, মমতাজ আদালতের নির্দেশ এড়িয়ে যান। পরে এ মামলা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু সেখানে ‘রক্ষাকবচ’ পাননি মমতাজ।

এর আগেও তামিলনাড়ুর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে মমতাজের বিরুদ্ধে। সেই মামলা এখনও তামিলনাড়ুর আদালতে বিচারাধীন।

মামলার ব্যাপারে শক্তিশঙ্কর বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে এই মামলা চলছে। আমিও এই মামলার শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব। মামলাটির জন্য আজ আমি নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি। সেদিন ১৪ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে তিনি (মমতাজ) অনুষ্ঠান না করায় আমি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। আমি ন্যায়বিচার চাই। আমার দেয়া অগ্রিম অর্থ সুদসহ, মামলার সব খরচ এবং আমার ১৫ বছরের হয়রানির ক্ষতিপূরণের টাকা চাই।’

মমতাজের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত বলেন, ‘মক্কেলের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা হয়নি। তবে আমার সঙ্গে এখন পর্যন্ত যা কথা হয়েছে, উনি আদালতকে সহযোগিতা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আশা করছি, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর উনি আদালতে হাজিরা দেবেন।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
I can see what the viewer eats Afsana Mimi

দেখতে পাচ্ছি দর্শক কী কী খায় : আফসানা মিমি

দেখতে পাচ্ছি দর্শক কী কী খায় : আফসানা মিমি

দর্শকের হৃদয়ে এক সময় রাজত্ব করা জনপ্রিয় অভিনেত্রী আফসানা মিমি আবারও আলোচনার কেন্দ্রে। নাটকে সাবলীল অভিনয়ের জাদুতে যিনি এক সময় হয়ে উঠেছিলেন ঘরোয়া বিনোদনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই মিমি এবার ফিরেছেন বড় পর্দায়, ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত ‘উৎসব’ সিনেমায় অভিনয় করে। সময় বদলেছে, মাধ্যম বদলেছে, কিন্তু মিমির সেই অনবদ্য উপস্থিতি আজও তেমনই আবেগঘন, মুগ্ধকর, যেমনটা ছিল নব্বইয়ের নাট্যজগতে।

চলচ্চিত্রটির প্রেসমিট অনুষ্ঠানে কালবেলার এক সাক্ষাৎকারে ‘উৎসব’-এ অভিনয়ের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী।

মিমি বলেন, উৎসব সিনেমা এবার প্রমাণ করতে পারল, এ রকম সিনেমা দেখার জন্য আমরা মুখিয়ে থাকি। আমরা সবসময় বলি দর্শক এটা খায়, ওটা খায় না। এখন আমরা তো দেখতে পাচ্ছি দর্শক আসলে কী কী খায়। তাই সবরকমই থাকুক না দর্শকদের পাতে। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন কোনটা দেখবেন আর কোনটা দেখবেন না।

অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি দুইবার একা একা সিনেমাটি দেখেছেন। ছবি দেখে আমি তো ভূতেদের প্রেমে পড়ে গেছি। একটা ভূত অপি এবং আরেকটা ভূত চঞ্চল যারা আমার পাশেই আছেন। আজ জয়াকে খুব মিস করছি। তবে আমি খুব খুশি সাদিয়া ও সৌম্যের অভিনয় দেখে। ওদের কেমিস্ট্রিটা এত সুন্দর স্ক্রিনে ফুটে উঠেছে সেটা বলে বোঝানো যাবে না।

তানিম নূরের পরিচালনায় নির্মিত এ চলচ্চিত্রটিতে আফসানা মিমি জেসমিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আরও অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন, জয়া আহসান, জাহিদ হাসান, চঞ্চল চৌধুরী, সৌম্য জ্যোতি, সাদিয়া আয়মানসহ অনেকে।

মন্তব্য

বিনোদন
Tania is the rain of trying to surpass himself regularly

প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা তানিয়া বৃষ্টির

প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা তানিয়া বৃষ্টির

নাটকের আকাশে উজ্জ্বল এক তারার নাম তানিয়া বৃষ্টি। ২০১৫ সালে অভিনয়ের জগতে পা রেখেছেন। একটানা পথচলার দশ বছর পেরিয়ে আজ তিনি এক পরিপক্ব শিল্পী। এই এক দশকে তার অভিনয়ের পরিধি ছুঁয়েছে বিভিন্ন ধরনের চরিত্র– নরম-কোমল প্রেমিকা, প্রতিবাদী নারী, প্রান্তিক জনপদের নারী, পরিবারের দায়িত্বশীল কন্যা কিংবা ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের গল্প বলা এক মানুষ। প্রতিটি ভূমিকায় তিনি নিজেকে ভেঙে গড়েছেন, প্রতিবার যেন নতুন এক তানিয়া বৃষ্টিকে খুঁজে পাওয়া যায়।

তানিয়া বৃষ্টির অভিনয়ে একটি অনাড়ম্বর সৌন্দর্য আছে, যা সহজে দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তার হাসি যেমন মিষ্টি, তেমনি চোখের ভাষায় খেলা করে এক অনুচ্চারিত বেদনা। অভিনয়ের ভেতরে যে আত্মনিবেদন, তা হয়তো খুব বেশি উচ্চকিত নয়, তবে গভীর। কখনও কখনও ক্যামেরার সামান্য এক দৃষ্টি বিনিময়েই বোঝা যায় দৃশ্যের ভেতরে তার অনুরণন।

ঈদ মানেই উৎসব, আর সে উৎসবে তানিয়া বৃষ্টির নাটক যেন দর্শকের জন্য এক পরম প্রাপ্তি। গত ঈদেও তার সরব উপস্থিতি ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো। ‘তাসের ঘর’, ‘মানুষ’, ‘ভালোবাসা অন্তহীন’, ‘পাষাণী’, ‘মনে পড়ে তোমাকে’ ও ‘ক্যাফেতে ভালোবাসা’– এই নাটকগুলো এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রচার হয়েছে ইউটিউব ও টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলে। প্রতিটি নাটকে তিনি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে, ভিন্ন ভিন্ন রূপে ধরা দিয়েছেন। একটি নারীর মনের প্রতিটি স্তর যেন খুলে ধরেছেন তিনি অভিনয়ের পরতে পরতে।

এই জনপ্রিয়তার পথে কেবল ফুল বিছানো ছিল না। কিছু কাজ হয়তো তাকেও তৃপ্ত করেনি, কিছু চিত্রনাট্যে হয়তো গভীরতা ছিল না, তবু তিনি বলছেন, এখনকার দিনে গল্প বাছাইয়ে তিনি অনেক বেশি সচেতন। তার কথায়, ‘গল্পের প্রতি আগের চেয়ে বহুগুণ বেশি মনোযোগী আমি। এখন মনে হয়, নিজেকে বারবার ভাঙার মতো চরিত্রই আমাকে টানে।

শুধু ক্যামেরায় মুখ দেখানোর জন্য কাজ করতে রাজি নই। এখন যেকোনো নাটকে কাজ করার আগে গল্পটা ভালো হওয়া জরুরি মনে করি। কারণ দর্শক গল্পটাই আগে খোঁজেন। এরপর চরিত্রে নিজের অভিনয় করার সুযোগটা কেমন আছে তাও ভেবে দেখি।’ এই আত্মঅনুসন্ধানী মনোভাবই তাকে করে তুলছে আরও পরিণত, আরও আবেগপ্রবণ শিল্পী।

শুধু কাজের মাধ্যমেই নয়, তানিয়া বৃষ্টি প্রায়ই থাকেন আলোচনায় ব্যক্তিগত নানা প্রসঙ্গেও। প্রেম, বিয়ে, সম্পর্ক সবকিছুতে থাকে ভক্তদের কৌতূহল। তবে তিনি নিজেই জানিয়েছেন, আপাতত ব্যক্তিগত জীবনের এসব পরিকল্পনা থেকে দূরে তিনি। বর্তমানে নিজের সব মনোযোগ অভিনয়ে, নিজেকে আরও শিল্পসম্মত করে গড়ে তোলায়।

বরাবরই নাটকের ছোটপর্দা থেকে সিনেমার বড়পর্দার প্রতি বেশি আগ্রহ ছিল তার। ক্যারিয়ারের শুরুতে সুযোগ পেয়ে যান আকরাম খানের ‘ঘাসফুল’ ছবিতে। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমার প্রস্তাব পেলেও নিয়মিত হননি বড়পর্দায়। ছোটপর্দাকে ঘিরে যার স্বপ্ন। এখন তিনি চেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। ২০১২ সালে ‘ভিট চ্যানেল আই টপ মডেল’ দ্বিতীয় রানারআপের মধ্য দিয়ে শোবিজে আসেন তানিয়া বৃষ্টি। এরপরই রচিত হয় শুধুই।

মন্তব্য

বিনোদন
Karisma is no longer married after divorce

বিচ্ছেদের পর আর বিয়ে করেননি কারিশমা, কারণ কী

বিচ্ছেদের পর আর বিয়ে করেননি কারিশমা, কারণ কী

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিন আগে মৃত্যুবরণ করেছেন বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের সাবেক স্বামী সঞ্জয় কাপুর। ২০০৩ সালে কারিশমা কাপুরের সঙ্গে এ প্রয়াত শিল্পপতির বিয়ে হয়েছিল। কারিশমা কাপুর ও সঞ্জয় কাপুরের ঘরে দুই সন্তানের জন্মও জন্মও হয়েছিল। তবে তাদের বিয়ে স্থায়ী হয়নি।

বিবাহবিচ্ছেদের পরে শুধুই সন্তান ও কাজে মন দিয়েছিলেন কারিশমা কাপুর। কিন্তু দ্বিতীয়বার বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল কিনা তা এ অভিনেত্রীর, সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর আবারও সেই প্রশ্ন উঠেছে।

কারিশমা কাপুর সঞ্জয়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর আর বিয়ে করেননি। এমনকি কখনো কারও সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জনও শোনা যায়নি। সঞ্জয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে ২০০২ সালে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছিলেন কারিশমা কাপুর। তবে বিয়ের আগেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এর এক বছর যেতে না যেতে সঞ্জয়ের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন কারিশমা। সঞ্জয় ও অভিষেক ছাড়া আর কোনো পুরুষের সঙ্গে কখনো সম্পর্কে জড়াননি এ অভিনেত্রী। শুধু তা-ই নয় ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনো তিনি খুব একটা কথাও বলেননি। কারিশমাকে ২০২২ সালে ইনস্টাগ্রামে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক অনুরাগী প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনি কি দ্বিতীয় বিয়ে করতে ইচ্ছুক?’ তিনি জবাবে কিছুই বলেননি। শুধু একটি ইমোজি দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে লিখেছিলেন, ‘পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।’ সেই ইমোজি ও মন্তব্য দেখে তার ভক্তরা ধারণা করেছিলেন, দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে নিশ্চয়ই সিদ্ধান্তহীনতা ভুগছেন কারিশমা। মানে কোথাও গিয়ে তার মনে এখনো বিয়ের ইচ্ছে রয়েছে কিনা। যদিও এরপরে বিয়ে নিয়ে আর কখনো তিনি মুখ খোলেননি।

মন্তব্য

বিনোদন
Jenlia married John Abraham

জন আব্রাহামকে বিয়ে করেছিলেন জেনেলিয়া

জন আব্রাহামকে বিয়ে করেছিলেন জেনেলিয়া

বলিউডে যাদের প্রেম ও দাম্পত্যের গল্প রূপকথার মতো মনে হয়, রিতেশ দেশমুখ ও জেনিলিয়া ডিসুজা সেই তালিকার শীর্ষে থাকবেন নিঃসন্দেহে। ‘তুঝে মেরি কাসম’ ছবিতে একসঙ্গে পথচলা শুরু, তারপর প্রেম আর বিবাহ, সব মিলিয়ে যেন নিখুঁত সিনেমার চিত্রনাট্য। তবে এই প্রেমকাহিনির পেছনে ছিল আরেকটি অজানা অধ্যায়। জানা যায়, রিতেশকে বিয়ে করার আগে জেনেলিয়া নাকি জন আব্রাহামকে প্রায় বিয়েই করে বসেছিলেন।

রীতেশের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার বছর দুয়েক আগে ২০১০ সালে জন আব্রাহামের সঙ্গে জুটি বেঁধে সিনেমা করেন অভিনেত্রী। সেখানেই বিয়ের দৃশ্যে পুরোহিত এনে অগ্নিসাক্ষী রেখে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তারা, হয় সিঁদুরদানও। যদিও গোটাটাই ছিল সিনেমার অংশ। কিন্তু, আচমকা খবর ছড়িয়ে যায়, বিয়ে করে ফেলেছেন জেনেলিয়া-জন।

এ বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমকে জেনেলিয়া বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না এ সব নিয়ে। সব বাজে কথা। আমরা বিয়ে করেছি, এ সব পিআর-দের বানানো গল্প।’

চলতি বছরের ২০ জুন মুক্তি পেতে চলেছে জেনেলিয়া অভিনীত সিতারে জমিন পার সিনেমাটি। অভিনেতা আমির খানের প্রযোজনায় এ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন নির্মাতা আর.এস. প্রসন্ন। জেনেলিয়ার পাশাপাশি এ ছবিতে অভিনয় করেছেন, আমির খান, ব্রিজেন্দ্র কালা, ডলি আহলুওয়ালিয়াসহ আরও অনেকে।

মন্তব্য

বিনোদন
After a month from jail to the frame

জেল থেকে ফ্রেমে, এক মাস পর...

জেল থেকে ফ্রেমে, এক মাস পর...

এক মাসের নীরবতা ভেঙে অবশেষে কাজে ফিরলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। ফেসবুকে একগুচ্ছ প্রাণবন্ত ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘১ মাস পর…।’ ক্যাপশন ছোট হলেও তার প্রত্যাবর্তন ছিল বড়সড় চমক।

ফেসবুকে প্রকাশিত ছবিগুলোতে খোলা চুল, ঠোঁটে মিষ্টি হাসি- যেন ঝলমলে আলোয় ফিরে এসেছেন ফারিয়া। অনেক ভক্ত-অনুরাগী যেন খুঁজে পেয়েছেন সেই পুরোনো নায়িকাকে নতুন রূপে।

বলা দরকার, গত মাসে থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফারিয়া কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মে ঢাকার ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন নুসরাত ফারিয়া। অভিযোগ ছিল- বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতা ও হত্যাচেষ্টার মতো গুরুতর বিষয়। ঘটনার পর মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। তবে ২০ মে জামিনে মুক্তি পেয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে বের হন এই চিত্রনায়িকা।

মন্তব্য

বিনোদন
Send Tiger Versus to Two Khan Tiger

মুখোমুখি হবেন দুই খান, ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’

মুখোমুখি হবেন দুই খান, ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’

ভারতের হিন্দি সিনেমার দুই তারকা শাহরুখ খান ও সালমান খানকে একসঙ্গে নিয়ে ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’ নামের যে সিনেমাটি নির্মাণের কথা শোনা গিয়েছিল বছর খানেক আগে, সেই সিনেমার কাজ আগাচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় সিনেমা বন্ধের যে গুঞ্জন উঠেছে সেটি ‘সঠিক নয়’ বলে জানিয়েছে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। এনডিটিভি লিখেছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’ সিনেমার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে, তবে সময় লাগবে।

চলতি বছরের শুরুতে সালমান এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘এই সিনেমাটি হয়ত হচ্ছে না’। এরপর থেকেই নানা গুঞ্জন ছড়াতে থাকে যে সিনেমাটি আর আলোর মুখ দেখবে না।

‘পিপিং মুন’ নামের যে অনলাইন পত্রিকাটি ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’ বন্ধ হওয়ার খবর প্রকাশ করেছিল, তারাও পরে সেই প্রতিবেদন সরিয়ে নেয়। ‘টাইগার বনাম পাঠান’ সিনেমাটি যশরাজ চলচ্চিত্রের স্পাই ইউনিভার্সের অংশ।

এই ফ্রাঞ্জাইজির শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত ‘এক থা টাইগার’ সিনেমা দিয়ে। সেখানে সালমানের চরিত্র ছিল রাষ্ট্রীয় গুপ্তচর সংস্থার কর্মকর্তা।

তারপর ২০১৭ সালে এর সিক্যুয়েল ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ মুক্তি পায়। এরপর ২০২৩ সালে আসে ‘টাইগার থ্রি’।

এই ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে শাহরুখ খান যুক্ত হন ২০২৩ সালে, তার অভিনীত ‘পাঠান’ সিনেমার মাধ্যমে। ওই সিনেমায় সালমান খান হাজির হন ক্যামিও চরিত্রে।

এই ধারাবাহিকের আরও সিনেমার মধ্যে আছে হৃতিক রোশন ও টাইগার শ্রফ অভিনীত ‘ওয়ার’। যেটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১৯ সালে। এর সিক্যুয়েল ‘ওয়ার ২’ সিনেমার কাজ চলছে। যেখানে দেখা মিলবে হৃতিক রোশান ও দক্ষিণের তারকা জুনিয়র এনটিআরের। যা পরিচালনা করছেন অয়ন মুখোপাধ্যায়।

এছাড়া ‘আলফা’ নামের নতুন সিনেমারও পরিকল্পনা রয়েছে , যেখানে অভিনয় করবেন আলিয়া ভাট ও শরভারি ওয়াঘ।

শাহরুখ খান ও সালমান খানের আগেও একাধিক সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘করন অর্জুন’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘হাম তুমহারে হ্যায় সানাম’সহ আরো কয়েকটি।

সালমান খানকে সর্বশেষ দেখা গেছে এ আর মুরুগাদোস পরিচালিত ‘সিকান্দার’ সিনেমায়। চলতি বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

অন্যদিকে শাহরুখ খান অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ছিল রাজকুমার হিরানির ‘ডাঙ্কি’। সামনে তাকে দেখা যাবে ‘কিং’ সিনেমায়।

মন্তব্য

বিনোদন
In Gujarat 5 people died in rainfall

গুজরাটে বৃষ্টিপাতে ১৮ জনের মৃত্যু

গুজরাটে বৃষ্টিপাতে ১৮ জনের মৃত্যু

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের কিছু অংশে সোমবার থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাতে কমপক্ষে ১৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। রাজ্যের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আহমেদাবাদ থেকে এএফপি জানায়, রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে বাসিন্দাদের সাহায্য করার জন্য দুর্যোগ সহায়তা দল মোতায়েন করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাতে রাজ্য সরকার জানায়, ‘বৃষ্টির কারণে ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন, এবং দুর্যোগ সহায়তা দলগুলো নিম্নাঞ্চল থেকে কয়েক ডজন মানুষ উদ্ধার করেছে।’

ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত পালিতানা ও জেসার শহরে গত ২৪ ঘন্টায় ৮৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

রাজ্যের ত্রাণ কমিশনার অলোক কুমার পান্ডে বলেন, ঝড়, বজ্রপাত, প্রতিকূল আবহাওয়া ও কাঠামোগত ধসে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

পান্ডে বলেন, ‘পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত, এবং দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান নিশ্চিত করার জন্য আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় জোরদার করা হচ্ছে।’

উদ্ধারকৃতদের মধ্যে রয়েছে গাধাদা এলাকার আম বাগানে আটকা পড়া ১৮ জন কৃষি শ্রমিক এবং সুরেন্দ্রনগর জেলার ২২ জন, যেখানে নদীর পানি উপচে পড়ায় তাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে।

১.৪ বিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ ভারত জুড়ে প্রতি বছর বর্ষাকালে আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে বিপূল সংখ্যক মানুষ প্রাণ হারায়।

মন্তব্য

p
উপরে