যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে শুটিং করতে গিয়ে আহত হয়েছেন বলিউড তারকা শাহরুখ খান। নাকে চোট পেয়েছেন তিনি। করা হয়েছে অস্ত্রোপচার।
নাকের অস্ত্রপচারের পর বলিউড বাদশা ফিরে এসেছে নিজ দেশে। এখন তার শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো।
মঙ্গলবার টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। তবে ঠিক কবে শাহরুখ আহত হন বা এ নিয়ে কিছুই বিস্তারিত জানানো হয়নি সংবাদমাধ্যমে।
শাহরুখের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানায়, সেটে আচমকা আঘাত পান শাহরুখ। নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয় তার। এক মুহূর্তও দেরি না করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অস্ত্রোপচারও করা হয় শাহরুখের। আপাতত নাকে ব্যান্ডেজ লাগানো রয়েছে তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। অস্ত্রোপচারের পর দেশে ফিরেছেন শাহরুখ। এই মুহূর্তে নিজের বাড়ি মান্নাতে রয়েছেন তিনি।
প্রায় ৩১ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একাধিকবার চোট পেয়েছেন শাহরুখ। প্রতিবারই তার অসুস্থতার খবর মন ভেঙে দিয়েছে তার ভক্তদের।
২০১৭ সালেও তাকে একটি ছোট অপারেশনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। রইস-এর শুটিংয়ের সময় হাঁটুতে চোট পাওয়ার পর হয় হাঁটুর অস্ত্রোপচার। ২০১৩ সালে চেন্নাই এক্সপ্রেসের শুটিং শেষ হওয়ার পর কিং খান করিয়েছিলেন তার অষ্টম অপারেশন। ২০০৯ সালে বাম কাঁধের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার জন্যও শাহরুখকে অপারেশন করতে হয়েছিল।
দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর্দা থেকে দূরে ছিলেন শাহরুখ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পাঠান দিয়ে ফেরেন তিনি। বক্স অফিসে বিশ্বব্যপী প্রায় ১ হাজার কোটির ব্যবসা করেছে এই সিনেমা।
হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন জয়া বচ্চনের মা ও অমিতাভ বচ্চনের শাশুড়ি ইন্দিরা ভাদুড়ি।
বুধবার সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, ইন্দিরা ভাদুড়িকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুম্বাইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ইন্দিরা ভাদুড়ি।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, ইন্দিরা ভাদুড়ির বয়স এখন প্রায় ৯৩ বছর। হার্টের সমস্যায় ভুগছেন তিনি। শীঘ্রই তার অস্ত্রোপচারও করার কথা রয়েছে। তার পেসমেকার সার্জারি হবে বলে খবর। সাধারণত হার্টের, হৃদস্পন্দনের সমস্যা থাকলে পেসমেকার বসানোর প্রয়োজন পড়ে। জয়া বচ্চনের মা ইন্দিরা ভাদুড়িরও এই ধরনেরই কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। যদিও তার অস্ত্রোপচার ঠিক কবে রয়েছে সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে নানান কারণে খবরে উঠে এসেছে বচ্চন পরিবার। সম্প্রতি জয়ার পরিবারের সঙ্গে তার বউমা ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চনের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে বলে শোনা গিয়েছিল। তবে আবার সেই গুঞ্জন উড়িয়ে অমিতাভের নাতি অগস্ত্য নন্দার ছবি ‘দ্য আর্চিস’-এর প্রিমিয়ারে হাজির ছিল গোটা বচ্চন পরিবার। ছিলেন ঐশ্বর্য রায় বচ্চনও।
বেশ কয়েক মাস ধরেই গুঞ্জন, ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে নাকি বচ্চন পরিবারের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এমনও খবর প্রকাশ করেছে, ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন ও অভিষেক বচ্চনের বিচ্ছেদ সময়ের ব্যাপারমাত্র। এই বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মধ্যে অভিষেকের হাত ধরে ‘দ্য আর্চিজ’ সিনেমার প্রিমিয়ারে হাজির হলেন ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন।
গোটা বচ্চন পরিবারের সঙ্গে হাসিমুখে দেখা মিলল ঐশ্বরিয়াকে। অভিষেকের একমাত্র ভাগ্নে অগস্ত্য নন্দাকে স্টার হওয়ার টিপসও দিলেন ঐশ্বরিয়া।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, ‘দ্য আর্চিজ’ সিনেমার প্রিমিয়ারে কালো রঙের ওয়েস্টার্ন আউটফিটে দ্যুতি ছড়ালেন ঐশ্বরিয়া, পাশে কালো ব্লেজারে ঝলমলে অভিষেক। আরাধ্যাও পৌঁছেছিল পিসতুতো দাদার ছবি দেখতে। নাতির ডেবিউ সিনেমা নিয়ে উচ্ছ্বাস অমিতাভের চোখে-মুখে। পাপারাজ্জিদের দেখে এদিনও মেজাজ হারালেন জয়া। তিনি অবশ্য পরিবারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে কালো পোশাক পরেননি, অফ হোয়াইট আর সোনালি কাফতানে দেখা মিলল জয়ার। অগস্ত্যর দিদি নভ্যার দেখা মিলল লাল গাউনে। পৌঁছেছিলেন বচ্চন কন্যা শ্বেতা এবং তার স্বামী নিখিল নন্দাও।
বেশ কিছুদিন আগে ৫০ বছরে পা দিয়েছেন ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন। তবে তার জন্মদিনে বচ্চন পরিবারের কাউকেই শুভেচ্ছা জানতে দেখা যায়নি। শুধু শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন অভিষেক।
অমিতাভ বচ্চনের ৮০তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ঐশ্বরিয়া পারিবারিক ছবি থেকে শাশুড়ি জয়া বচ্চন ও ননদ শ্বেতা বচ্চন নন্দাকে বাদ দিয়ে ছবি পোস্ট করেন। এমনকি আরাধ্যার ১৩তম জন্মদিনেও বচ্চন বাড়ির কাউকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা যায়নি। পোস্ট করেননি আরাধ্যার দাদা অমিতাভ বচ্চনও। তখনই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল।
এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি মণীশ মালহোত্রার দীপাবলির পার্টিতেও অভিষেককে ছাড়া একাই গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। তারও আগে প্যারিস ফ্যাশন উইকের র্যাম্পে হাঁটেন ঐশ্বরিয়া। আবার সেই একই শোয়ের র্যাম্পে হাঁটেন শ্বেতা বচ্চন নন্দার মেয়ে নব্যা নভেলিও। হাজির ছিলেন শ্বেতা। তবে তাদের ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে দেখা যায়নি। এমনকি শ্বেতা সেই সব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেও ঐশ্বরিয়াকে ট্যাগ করেননি।
সবশেষ মুম্বাইয়ে একটি ব্র্যান্ডের অনুষ্ঠানে দেখা যায় অভিষেককে। সেখানে এই প্রথম অভিষেকের আঙুলে দেখা গেল না তাদের বিয়ের আংটি। এমনই একের পর ঘটনাতেই ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে বচ্চন পরিবারের সম্পর্কে ভাঙন ধরার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন:ভারতের জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘সিআইডি’র অভিনেতা দীনেশ ফাডনিশের মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
মুম্বাইয়ের তুঙ্গা হাসপাতালে সোমবার রাত ১২টা ৮ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন ‘সিআইডি’র অভিনয়শিল্পী দয়ানন্দ শেঠি।
তিনি বলেন, ‘দীনেশ রাত ১২টা ৮ মিনিটের দিকে মারা গেছে। ওর একাধিক কমপ্লিকেশন দেখা দিয়েছিল। ভেন্টিলেটর থেকেও বের করে আনা হয় ওকে। এরপরই একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ায় মারা যায় দীনেশ।’
মঙ্গলবার সকালে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েকদিন আগেই খবর আসে যে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন দীনেশ ফাডনিশ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল রোববার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু পরে দয়ানন্দ জানান, যে খবর রটেছে সেটা ভুল। আসলে দীনেশ দীর্ঘদিন ধরেই লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন। তার লিভার খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
৮০-৯০ দশকের ছেলেমেয়েদের কাছে ‘সিআইডি’ আজও একটা নস্টালজিয়া। নানা ধরনের কেস, সেগুলো সলভ করা, রোমহর্ষক নানা ঘটনায় সাজানো এই ধারাবাহিকটি অনেকেরই বেশ পছন্দের ছিল। ধারাবাহিক জনপ্রিয় হতেই, জনপ্রিয় হয় এই চরিত্রগুলোও। আর তাদেরই অন্যতম ছিলেন দীনেশ ফাডনিশ। অর্থাৎ যাকে সবাই ‘ইন্সপেক্টর ফ্রেডরিকস’ তথা ‘ফ্রেডি’ বলেই চিনত।
১৯৯৮ সালে প্রথমবার সম্প্রচারিত হয় ‘সিআইডি’। কুড়ি বছর ধরে এই ধারাবাহিকটি চলেছিল। সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতেন দীনেশ। এ ছাড়া তাকে তারক মেহতা কা ‘উল্টা চশমা’ ধারাবাহিকেও দেখা গিয়েছিল। কেবল ছোট পর্দায় নয়, বড় পর্দাতেও কাজ করেছেন দীনেশ। তাকে ‘সুপার ৩০’, ‘সারফারোশ’ ইত্যাদি সিনেমাতে দেখা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন:জাঁকজমক নয়, ঘরোয়া আয়োজনের মাধ্যমে সোমবার বিয়ের পর্ব সারেন পরমব্রত-পিয়া। বন্ধু পরমব্রতকে দেখে টালিউড অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষও নিয়ে ফেললেন বিয়ের শপথ।
এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ রুদ্রনীল ঘোষ জানান, পরমব্রত এভাবে আচমকা বিয়ে করে নেয়ায় তিনি দারুণ খুশি। রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিকও নাকি এ বিষয়ে কিছু জানতেন না। এভাবেই হঠাৎ করে রুদ্রনীল বিয়ে করে ফেলতে চান। কিন্তু বললেই তো হল না। সামনে লোকসভা নির্বাচন। এরপরই তারকার বিয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।
রুদ্রনীল জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে তার বিয়ে করার প্ল্যান রয়েছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন বলছে, কিন্তু এবার অভিনেতা রুদ্রনীল শপথ নিয়েছেন, ২০২৪ সালেই বিয়েটা সেরে ফেলবেন। কিন্তু পাত্রী কে? কাউকে কথা দিয়ে রেখেছেন? নাকি খুঁজছেন? সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানাননি রুদ্রনীল।
এর আগে বন্ধু পরমব্রতকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে রুদ্রনীল বলেন, ‘ও যাকেই বিয়ে করুক না কেন, নিশ্চয়ই ভবিষ্যতের কথা ভেবে করেছে। পরমের ভবিষ্যৎ আরও সুন্দর হয়ে উঠুক এটাই প্রার্থনা করব। আমার তরফ থেকে শুভেচ্ছা রইল।’
কিডনিতে স্টোন নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই ভুগছিলেন পিয়া চক্রবর্তী। সোমবার মধ্যরাতে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। মঙ্গলবার সফল অস্ত্রোপচারের পর এখন সুস্থ আছেন পিয়া।
গত ২৭ নভেম্বর সবাইকে অবাক করে দিয়ে রেজিস্ট্রি বিয়ে সারেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তী। নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে একদম ‘ক্লোজড ডোর’ রিসেপশনে হাজির হয়েছিলেন পরমব্রতর প্রিয়জনরা। সোমবার সন্ধ্যায় ভবানীপুরে বসেছিলেন সেলিব্রেশন। প্যাস্টেল বেনারসিতে সেজে ঝলমল করছিলেন পিয়া। কিন্তু আচমকাই অসুস্থবোধ করেন তিনি। মাঝরাতে কোমর-পিঠে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বিয়ের পরদিন দুপুরেই ঢাকুরিয়া আমরিতে ভর্তি হন পিয়া। পরীক্ষার পর স্পষ্টই জানা যায়, তার কিডনিতে দিনকয়েক আগে যে স্টোন ধরা পড়েছিল তার জেরেই বেহাল দশা তার। ওইদিনই অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত নেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ অস্ত্রোপচার শেষ হয়। ঘণ্টাখানেক ধরে চলে পুরো প্রক্রিয়া। পিয়া এখন একদম স্থিতিশীল রয়েছেন, তবে হাসপাতাল থেকে কবে ছাড়া পাবেন তা স্পষ্ট নয়।
২৪ ঘণ্টা পিয়াকে পর্যবেক্ষণে রেখে সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা। কবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের যোধপুর পার্কের বাড়িতে ফিরবেন পিয়া, সেটাই দেখার। তবে অসুস্থ স্ত্রীকে সারাক্ষণ আগলে রাখছেন পরমব্রত।
বেশ কয়েক মাস ধরেই গুঞ্জন, ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে নাকি বচ্চন পরিবারের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। এবার বচ্চন বাড়ির দীপাবলি উদযাপনে যোগ দেননি তিনি। ওইদিনই তিনি মেয়েকে নিয়ে শহর ছাড়েন। আর তখন থেকেই ফাটলের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
এই গুঞ্জন উসকে দিয়েছে আরও একটি ঘটনা। ইদানিং শ্বশুরবাড়ির থেকে বাপের বাড়িতেই বেশি সময় কাটাচ্ছেন ঐশ্বরিয়া। তবে সমস্যাটা ঠিক কী নিয়ে তা স্পষ্ট নয়।
বচ্চন পরিবারের সমস্যা, কোনো জটিলতা কোনোদিনই সেভাবে প্রকাশ্যে আসতে দেয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রেও তাই সবাই চুপ। তবে আপাতত মা বৃন্দা রায়ের কাছেই রয়েছেন ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন। সঙ্গে রয়েছে তার মেয়ে আরাধ্যাও।
ঐশ্বরিয়া তার মায়ের কাছে গিয়েছিলেন প্রয়াত বাবা কৃষ্ণরাজ রায়ের জন্মদিন পালন করতে। সেই সেলিব্রেশনেও ঐশ্বরিয়া আর আরাধ্যাকেই দেখা গিয়েছে। ছিলেন না অভিষেক। আর তারপর থেকে মায়ের কাছেই রয়েছেন এই অভিনেত্রী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে ৫০ বছরে পা দিয়েছেন ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন। তবে তার জন্মদিনে বচ্চন পরিবারের কাউকেই শুভেচ্ছা জানতে দেখা যায়নি। শুধু শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন অভিষেক।
অমিতাভ বচ্চনের ৮০তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ঐশ্বরিয়া পারিবারিক ছবি থেকে শাশুড়ি জয়া বচ্চন ও ননদ শ্বেতা বচ্চন নন্দাকে বাদ দিয়ে ছবি পোস্ট করেন। এমনকি আরাধ্যার ১৩তম জন্মদিনেও বচ্চন বাড়ির কাউকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা যায়নি। পোস্ট করেননি আরাধ্যার দাদা অমিতাভ বচ্চনও। তখনই সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল।
এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি মণীশ মালহোত্রার দীপাবলির পার্টিতেও অভিষেককে ছাড়া একাই গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। তারও আগে প্যারিস ফ্যাশন উইকের র্যাম্পে হাঁটেন ঐশ্বরিয়া। আবার সেই একই শোয়ের র্যাম্পে হাঁটেন শ্বেতা বচ্চন নন্দার মেয়ে নব্যা নভেলিও। হাজির ছিলেন শ্বেতা। তবে তাদের ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে দেখা যায়নি। এমনকি শ্বেতা সেই সব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেও ঐশ্বরিয়াকে ট্যাগ করেননি।
এমনই একের পর ঘটনাতেই ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে বচ্চন পরিবারের সম্পর্কে ভাঙন ধরার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন:উপস্থাপক রাফসান সাবাব বর্তমানে আলোচনায় আছেন তার বিয়ে বিচ্ছেদ নিয়ে। স্ত্রী সানিয়া এশার সঙ্গে তার তিন বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনেছেন সম্প্রতি। আর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন সংগীতশিল্পী জেফার রহমান।
কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে, স্ত্রী ডিভোর্স দেয়ার কারণ জেফারের সঙ্গে রাফসানের সম্পর্ক। খবর ইউএনবির
অন্যদিকে, এশা তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আমি এই ডিভোর্স চাইনি। এটা আমাদের দুজনের সিদ্ধান্তে হয়নি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি শেষ পর্যন্ত আমাদের সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি, তবে রাফসান আমার অনুমতি ছাড়াই এমনকি ডিভোর্স লেটারে আমার স্বাক্ষর ছাড়াই বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছে।’
এবার বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুললেন জেফার।
তিনি বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা এড়িয়ে চলতে চাই। কারণ কথায় আরও কথা বাড়ে। কিন্তু এই ঘটনাটি অনেক দূর গড়িয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির অন্যদের মতো রাফসান আমার বন্ধু। আর সামাজিক মাধ্যমে যা পাওয়া যায় তাই বিশ্বাস করবেন না। কেউ আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে, সেটি আবার কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই, এর মানে এই নয় যে আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে।’
৯ নভেম্বর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে নিজের বিয়ে বিচ্ছেদের খবর জানান রাফসান।
তিনি লেখেন, ‘ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমাকে বলতে হচ্ছে যে, এশার সঙ্গে আমার সম্পর্কের ইতি ঘটেছে। বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়াটা খুব সহজ ছিল না, কিন্তু অনেক চিন্তাভাবনার পর দুজনের আলাদা হয়ে যাওয়াটাই আমার কাছে সেরা উপায় বলে মনে হয়েছে। আমাদের একসঙ্গে তিন বছরের পথচলা এবং আমি চাই শেষটা সম্মানজনকভাবেই হোক।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য