ভাঙা সম্পর্কটা যে আর জোড়া লাগেনি, তা বোঝা যায় মাঝেমধ্যেই। এই দূরত্ব বোধহয় আর কমারও সম্ভাবনা নেই। এক সঙ্গে থাকছেন না চিত্রনায়ক শরিফুল ইসলাম রাজ ও নায়িকা পরীমনি। এক সঙ্গে আর তারা কখনও হবেন কি না, প্রশ্ন আছে তা নিয়েও।
অবশ্য পরীমনির কথাবার্তায় ধরেই নেয়া যায়, বিচ্ছেদই তাদের সম্পর্কের শেষ পরিণতি। প্রায়ই বলে থাকেন এমন কথা। শুক্রবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দিলেন তারই আরও স্পষ্ট ইঙ্গিত।
রাজকে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি লিখেছেন, আমি তোমার ওইসব প্রাক্তন প্রেমিকাদের মত নই।
এই টানাপোড়েনের শুরুটা আরেক অভিনেত্রীকে নিয়ে। তার নাম সুনেরাহ বিনতে কামাল। ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও ও ছবি ফাঁস হয়েছিল তার আর রাজের। সেসব ছবি ব্যক্তিগত কি না তা নিয়েও অবশ্য প্রশ্ন তোলা যায়।
ওই ঘটনার পরই জল ঘোলা হয় অনেক। এক পর্যায়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান রাজ। রাজ-পরী একে অন্যকে দোষারোপ করতে থাকেন। শেষটা আর জানাননি কেউই।
সর্বশেষ আপডেট দেয়ার ইঙ্গিত দিয়ে পরীমনি তার কয়েকটি ছবি ফেসবুকে দিয়ে লিখেছেন, ‘এভাবেই বছর পেরোবে, কাল পেরোবে। যেভাবে এখন মাস পেরিয়ে যায়! কিছু তবু ফিরে পাওয়া যায় না।’
নায়িকা লিখেছেন, ‘এই যেমন আমি। হারিয়ে ফেললে তো হারিয়েই ফেললে। আমি তোমার ওইসব প্রাক্তন প্রেমিকার মত নই যে চাইলেই আবার গায়ে ঘেঁষা যায়।’
রাজ-পরী দম্পতির সাংসারিক কলহ ফেসবুকে আসা নতুন কিছু নয়। তবে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালকে জড়িয়ে এবারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে ২৯ মে রাতে। ওই রাতে অভিনেত্রী সুনেরাহ, নাফিজা তুষি ও তানজিন তিশার সঙ্গে রাজের কিছু ছবি এবং ভিডিও রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা হয়।
এসব পোস্টে অসংলগ্ন ভাষায় কথা বলতে দেখা যায় সুনেরাহ ও তানজিন তিশাকে। কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে রাজ ও সুনেরাহকে ভিডিও কলে কথা বলতে। একটি ভিডিওতে লিফটের ভেতরে নাচছিলেন তানজিন তিশা। পরে অবশ্য রাজের অ্যাকাউন্টে সেসব ভিডিও বা ছবি আর পাওয়া যায়নি।
ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার দায় রাজের স্ত্রী নায়িকা পরীমনিকে দিয়ে পরদিন রাতে একটি পোস্ট দেন সুনেরাহ। একই সঙ্গে তিনি দেন আইনি ব্যবস্থারও হুমকি।
পরীমনিকে ইঙ্গিত করে সুনেরাহ লেখেন, ‘দয়া করে এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। আমি নিশ্চিত, ওর (রাজ) আইডি হ্যাকড হয়েছে। কে হ্যাক করেছে, আমরা সেটা জানি; প্রকাশ্যে হইচই করতে যার কোনো কারণ লাগে না। এ ভিডিওগুলো যারা ছড়াবে, তাদের সবার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।’
এর পর দিন সকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পরীমনি। সুনেরাহকে এর দায় দেন তিনি। পরে কথা বলেন রাজও। তার বক্তব্য, তিনি এগুলোর কিছুই জানেন না।
এর পর পরীমনি আবার গণমাধ্যমকে বলেন, রাজের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই বেশ কিছুদিন। সুনেরাহর সঙ্গেই থাকছে রাজ। তার ফোনও নাকি তার কাছেই। এসব ছবি ও ভিডিও সুনেরাহই ছড়িয়েছেন।
নানা ঘটনার পর গত ৫ জুন স্বামী চিত্রনায়ক শরিফুল ইসলাম রাজের সঙ্গে দাম্পত্য কলহ আর না বাড়তে দিয়ে বরং সংসারের হিসাব-নিকাশ মিটিয়ে ফেলার পক্ষে মত দেন পরীমনি।
ওইদিন এক জাতীয় দৈনিকের ফেসবুক পেজে একটি অনুষ্ঠানে এসে লাইভে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন পরীমনি। আগেরদিন একই অনুষ্ঠানে আসেন রাজও। সেখানে পরিবার নিয়ে কথা বলেন তিনি।
পরে ছেলে রাজ্যের বয়স ১০ মাস হওয়া উপলক্ষে রাজ-পরীকে এক সঙ্গে দেখা যায় আবার। তখন গণমাধ্যমে তাদের এক হয়ে যাওয়ার খবর বের হলে, পরীমনি বলেন, আসলে কিছুই ঠিক হয়নি। রাজ এসেছিল তবে বাসা ছেড়ে চলে গেছে।
এর আগেও রাজ-পরীর পারিবারিক দ্বন্দ্বের ব্যাপার সামনে এসেছিল গত পহেলা জানুয়ারি। ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ভোর ৫টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে রাজের সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে ঘোষণা দেন পরীমনি। একই ঘোষণা দিয়েছিলেন রাজও।
এর দু-একদিন আগে থেকে চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমকে রাজের সঙ্গে জড়িয়ে নানা পোস্ট দিচ্ছিলেন পরীমনি। তবে শেষ পর্যন্ত টিকে যায় এ দম্পতির সংসার।
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন শরিফুল রাজ ও পরীমনি। দীর্ঘদিন গোপনেই ছিল তাদের বিয়ের খবর। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তাদের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে।
পরীমনির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরটিই প্রথমে জানা যায়, পরে জানা যায় তাদের বিয়ের খবর। রাজ-পরীর একমাত্র সন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। গত বছরের ১০ আগস্ট জন্ম হয় রাজ্যের।
আরও পড়ুন:অভিনয়শিল্পী জামালউদ্দিন হোসেনের মৃত্যু হয়েছে, যার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় কানাডার একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।
অভিনেতার ছেলে তাশফিন হোসেন বলেন, শনিবার বাদ জোহর জামালউদ্দিন হোসেনের মরদেহ দাফন করা হবে।
তিন সপ্তাহ ধরে কানাডার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন জামালউদ্দিন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রর আটলান্টায় মেয়ের কাছে ছিলেন। সেখান থেকে কানাডার ক্যালগিরিতে ছেলে তাশফিন হোসেনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান প্রবীণ এই অভিনেতা হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে ছেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা তার মূত্র সংক্রমণ হয়েছে বলে জানান। একসময় জানা যায়, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সত্তরের দশকের মাঝামাঝি থেকে মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু করেন জামালউদ্দিন হোসেন। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের এ সদস্য পরে টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রেও কাজ করেন। যদিও বয়সজনিত জটিলতায় গত ১৫ বছর অভিনয়ে একেবারে অনিয়মিত ছিলেন তিনি।
গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে থাকতেন জামালউদ্দিন। তার ছেলে তাশফিন হোসেন কানাডার মাউন্ট রয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক। মেয়ে তার পরিবার নিয়ে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে।
জামালউদ্দিন হোসেন ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তিনি তার নিজের নাট্যগোষ্ঠী নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বল শুরু করেন এবং এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বেতার টেলিভিশন শিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জামালউদ্দিন হোসেন ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘রাজা রানী’, ‘চাঁদ বণিকের পালা’, ‘আমি নই’, ‘বিবি সাহেব’, ‘যুগলবন্দী’সহ কয়েকটি আলোচিত মঞ্চনাটক পরিচালনা করেন। তার স্ত্রী অভিনেত্রী রওশন আরা হোসেন।
আরও পড়ুন:শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক পদ থেকে অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতিকে অব্যাহতি দিয়েছে সরকার।
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব নিলুফার ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জ্যোতির পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া আরও চার পরিচালককে অব্যাহতি দেয়া হয়।
অব্যাহতি পেয়ে নিজেকে অনেকটা ‘ভারমুক্ত’ বলে দাবি করেছেন জ্যোতিকা জ্যোতি। পাশাপাশি খানিকটা আক্ষেপও শোনা গেল তার কণ্ঠে।
ফেসবুকে অব্যাহতির প্রজ্ঞাপনের একটি ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখেন, ‘প্রজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো আমার প্রথম সরকারি চাকরি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমার চাকরির মেয়াদ থাকার পরও আমাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
‘আজ (১ অক্টোবর) থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদের দায়িত্বে আমি আর নেই।’ এতদিন তার সঙ্গে কাজের সুবাদে যুক্ত থাকা লেখক, গবেষক, প্রকাশকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কোনো প্রয়োজনে সরাসরি শিল্পকলার গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগে যোগাযোগ করবেন।’
সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে জ্যোতি লিখেন, ‘দেড় বছরের এই যাত্রায় নতুন নতুন অভিজ্ঞতায় আমাকে ঋদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।’
জ্যোতিকা জ্যোতি ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ থেকে দুই বছরের চুক্তিতে একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর কর্মস্থলে উপস্থিত হননি তিনি।
সম্প্রতি শিল্পকলায় নতুন মহাপরিচালক হিসেবে সৈয়দ জামিল আহমেদের নিয়োগ পাওয়ার খবর শুনে ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিজ কর্মস্থলে যান জ্যোতি। সেখানে গিয়ে সহকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন এ অভিনেত্রী। ওই ঘটনার দুই সপ্তাহ পর শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো জ্যোতিকে।
আরও পড়ুন:মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত কাওয়ালি অনুষ্ঠানে বহিরাগতদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্র আন্দোলনের তিনজন আহত হয়েছেন। পরে সেনাবাহিনী ও সদর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পণ্ড হয়ে যায় অনুষ্ঠান।
রোববার বিকেলে মাদারীপুর শিল্পকলা একাডেমীতে দু’দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও আয়োজকরা জানান, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে কাওয়ালি সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রোববার বেলা ২টার দিকে শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠান শুরুও হয়। হঠাৎ জুবায়ের আহমেদ নাফিজ, মুন্না কাজীসহ বেশকিছু লোক অনুষ্ঠানস্থলে এসে আয়োজকদের ওপর হামলা করে। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী নেয়ামত উল্লাহ ও আশিকুল তামিম আশিক আহত হন। সেনাবাহিনী ও সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়। বিষয়টি সমাধানের জন্যে দুপক্ষের লোকজন নিয়ে বসেও কোনো ফল আসেনি। পরে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরার পথে ইখতিয়ার আহমাদ সাবিদ নামে আরেকজন আয়োজককে ইট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ। পরে আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আয়োজকদের একজন আব্দুর রহিম বলেন, ‘যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে সম্পৃক্ত রয়েছে, তাদের নিয়েই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু কয়েকজন নিজেদের ছাত্র আন্দোলনের কর্মী দাবি করে অনুষ্ঠানে আমাদের ওপর হামলা করে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের কর্মী রয়েছে। আমরা এদের বিচার দাবি করছি।’
তবে হামলাকারী জুবায়ের আহমেদ নাফিজ দাবি করেছেন, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন। তাকে না জানিয়ে কাওয়ইল গানের আয়োজন করায় বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখা হয়েছে।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি এইচএম সালাউদ্দিন বলেন, ‘অনুষ্ঠানস্থলে আসার আগেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে আসার পর আর কোনো ঘটনা ঘটেনি। আহতরা অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করে মামলা নেয়া হবে।’
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক হয়েছেন নাট্যনির্দেশক ও শিক্ষক সৈয়দ জামিল আহমেদ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সোমবার এই নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এই নাট্য ব্যক্তিত্ব ১৯৭৮ সালে ভারতের ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৮৯ সালে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারউইক থেকে থিয়েটার আর্টস থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে অর্জন করেন পিএইচডি ডিগ্রি।
ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে এই বিভাগেই তিনি শিক্ষকতা করছেন।
ইংরেজিতে প্রকাশিত তার আলোচিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘অচিনপাখি ইনফিনিটি; ইনডিজেনাস থিয়েটার ইন বাংলাদেশ’, ‘ইন প্রেইজ অফ নিরঞ্জন; ইসলাম থিয়েটার অ্যান্ড বাংলাদেশ’, ‘রিডিং এগেইনস্ট দ্য ওরিয়েন্টালিস্ট গ্রেইন; পারফর্মেন্স অ্যান্ড পলিটিকস এন্টুইনড উইথ আ বুড্ডিস্ট স্ট্রেইন এবং এপ্লাইড থিয়েট্রিক্স; এসেস ইন রিফিউসাল’।
মঞ্চনাটক, প্রায়োগিক মঞ্চনির্দেশনা, লোককথা ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের ওপর ড. জামিল আহমেদের লেখা ষাটটিরও বেশি একাডেমিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে বাংলা, ইংরেজি, ফরাসি, নরওয়েজিয়ান, রাশিয়ান, চীনা ও কোরিয়ান ভাষায়।
নাট্যজন সৈয়দ জামিল আহমেদ ১৯৫৫ সালের ৭ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেছেন। ১৯৭১ সালে ষোলো বছর বয়সে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী পদত্যাগ করেছেন।
গতকাল সোমবার তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ গণমাধ্যমকে জানান, ব্যক্তিগত কারণে ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
লিয়াকত আলী লাকী শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান ২০১১ সালের ৭ এপ্রিল। সবশেষ ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ সপ্তমবারের মতো তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। দীর্ঘদিন ধরে লাকীর শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে থাকা নিয়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ক্ষোভ ছিল।
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। আগুন দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও ডাকবাংলোতে। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল।
কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা রোববার বেলা ১১টার দিকে সদর বাস টার্মিনাল সংলগ্ন ফকির মজনু শাহ্ সেতুর পশ্চিম প্রান্তে জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। পরে আন্দোলনকারীদের প্রতিরোধের মুখে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে সরকারি ডাকবাংলো এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় আগুনে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভস্মীভূত হয়। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের মিছিলে বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলে।
কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ডিউটি অফিসার সজিব মিয়া জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনের অংশ ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন লেগেছে।
ঘটনার পর থেকে বিকাল পর্যন্ত এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করে। বড় ধরনের সংঘাত এড়াতে থানা পুলিশ সতর্ক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বাবা সংগীতগুরু কমল দাশগুপ্তের কবরে সমাহিত হলেন নন্দিত সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ। বাবার পাশাপাশি সেখানে শায়িত আছেন তার মা কিংবদন্তি নজরুল সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগম।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় এই নন্দিত সংগীতশিল্পীকে চিরশায়িত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাই তাহসিন আহমেদ ও হামিন আহমেদসহ স্বজন এবং মাইলস সদস্যরা।
এর আগে মৃত্যুর চার দিন পর মাতৃভূমিতে শাফিন আহমেদের মরদেহ আসে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায়।
৩০ জুলাই জোহরের নামাজের সময় নেয়া হয় গুলশান আজাদ মসজিদে। এখানে জানাজা ও সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শাফিন আহমেদের নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বনানী কবরস্থানে।
পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে কুলখানির বিষয়ে। শাফিন আহমেদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কুলখানি হবে শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজের পর বনানী কবরস্থানের পাশে গুলশান কমিউনিটি মসজিদে।
প্রসঙ্গত, প্রবাসীদের গান শুনাতে ৯ জুলাই ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে যান শাফিন আহমেদ। দ্বিতীয় কনসার্ট ছিল ২০ জুলাই, ভার্জিনিয়ায়। সেই শোয়ের মঞ্চে ওঠার খানিক আগেই হোটেল রুমে লুটিয়ে পড়েন ৬৩ বসন্তের এই রকার। হাসপাতালে ভর্তি, লাইফ সাপোর্ট এবং ২৫ জুলাই বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৯ মিনিটে তিনি পাড়ি জমান না-ফেরার দেশে।
শাফিন আহমেদ রেখে গেছেন দুই বড় ভাই তাহসিন ও হামিন, স্ত্রী ডা. রুমানা দৌলা, তিন পুত্র মাইসিম, আজরাফ ও রেহান এবং এক কন্যা রানিয়াকে। সঙ্গে অগুনতি ভক্ত ও বন্ধু-স্বজন।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে হার্টের অসুখে ভুগছিলেন শাফিন আহমেদ। ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এই নন্দিত শিল্পী।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য