চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য (এমপি) বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে লড়তে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন নায়ক ফেরদৌস।
ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে সম্প্রতি এই দলীয় ফরম সংগ্রহ করেন তিনি।
ফেরদৌস দুই দশকের ক্যারিয়ারে দুই বাংলায় উপহার দিয়েছেন বহু ব্যবসা সফল সিনেমা। চলচ্চিত্র জগতের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নানা সময় সক্রিয় দেখা গেছে তাকে। তিনি ক্ষমতাসীন এ দলের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য।
চিত্রনায়ক ফারুকের আসনে ফেরদৌসের আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ফেসবুকে প্রথম প্রসঙ্গটি তোলেন আরেক নায়ক ওমর সানী। এর আগে বিনোদন জগতের আরও কয়েকজনের নামও এসেছে এই আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে। এর মধ্যে আছেন অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান, কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তারাও।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৫ মে মারা যান চিত্রনায়ক ফারুক। পরে তার আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ঢাকা-১৭ শূন্য আসনে ভোট হবে আগামী ১৭ জুলাই। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ১৫ জুন, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ জুন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন।
সিদ্দিক নিজেই চালাচ্ছেন প্রচারণা, ফেরদৌসের সক্রিয় আছেন। আর আলমগীরের নাম তুলেছেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান। তবে আলমগীরের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি এখনও।
নায়ক ফেরদৌস বনানী ডিওএইচএস এলাকায় বসবাস করছেন অনেক দিন ধরেই। এবার এ এলাকার মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান তিনি।
‘এই পদ্মা এই মেঘনা’, ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’- এক সময়ের ব্যাপক জনপ্রিয় এসব গানের গীতিকার ও সুরকার আবু জাফর মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
কন্যা জিহান ফারিয়া তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক আবু জাফর বেশকিছু দিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার, কবি ও সংগীতশিল্পী ছিলেন। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ২০০০ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
আবু জাফর ১৯৪৩ সালের ১৫ মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম খোন্দকার মো. জমির উদ্দিন। কুষ্টিয়া শহরের আডুয়াপাড়ায় তিনি বসবাস করতেন।
আবু জাফর রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন। তার রচিত দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গান এক সময় তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। একাধিক কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। এর মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’ উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও বেশকিছু বই লিখেছেন আবু জাফর। এর মধ্যে ‘নতুন রাত্রি পুরোনো দিন’ (কাব্য), ‘বাজারে দুর্নাম তবু তুমিই সর্বস্ব’ (কাব্য), ‘বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত কবিতা’ (অনুবাদ কাব্য), ‘তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
আবু জাফরের বিখ্যাত গানের মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের তালিকায় স্থান দখল করে। তার রচিত সব গানের বাণীতে অসামান্য সুর সংযোজনও করেন তিনি। এছাড়াও নিজের রচিত ও সুর সংযোজিত বেশিরভাগ গানে তিনি নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন। কোনো কোনো গানে তার সঙ্গে যুগলে কণ্ঠ দিয়েছেন তার সাবেক স্ত্রী লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন।
গুণী এই ব্যক্তিত্বের নামাজে জানাজা শুক্রবার বাদ আসর কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজা শেষে তাকে কুষ্টিয়া পৌর গোরস্তানে সমাহিত করা হবে।
আরও পড়ুন:ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খানের কসমেটিকস, স্কিনকেয়ার, পার্সোনাল কেয়ার ও হোম কেয়ার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রিমার্ক-হারল্যানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান।
গুলশানের দ্য ওয়েস্টিন হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে সোমবার এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তাহসানের সঙ্গে চুক্তিতে সই করেন রিমার্ক-হারল্যানের ডিরেক্টর শাকিব খান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হারল্যান জোনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরসহ রিমার্ক-হারল্যানের অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
রিমার্ক-হারল্যানের ডিরেক্টর শাকিব খান অনুষ্ঠানে বলেন, ‘তাহসানের মতো মাল্টি ট্যালেন্টেড একজন শিল্পীকে আমাদের সাথে পেয়ে আমরা আনন্দিত। তরুণ প্রজন্মের কাছে তাহসানের যে ক্রেজ, তা সত্যিই বিস্ময়কর।
‘সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি আন্তর্জাতিক মানের অথেনটিক হোম অ্যান্ড পার্সোনাল কেয়ার, স্কিন কেয়ার ও কালার কসমেটিকস পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রিমার্ক-হারল্যান ভোক্তাদের কাছে সর্বোচ্চ মান ও সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই উদ্দেশ্য পূরণে তাহসানের মতো একজন গুণী এবং জনপ্রিয় সেলেব্রিটির সাথে সংযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে তাহসান বলেন, ‘অথেনটিক কসমেটিকসের জন্য রিমার্ক-হারল্যানের সুনাম শুনেছিলাম বহু আগেই। আজ অফিশিয়ালি যুক্ত হলাম দেশের মানুষকে নকল ও ভেজাল পণ্যের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি দিতে রিমার্ক-হারল্যানের এই প্রচেষ্টার সাথে।
‘আমি খুবই উচ্ছ্বসিত রিমার্ক-হারল্যানের সাথে যোগ দিয়ে। খুব শিগগিরই রিমার্ক-হারল্যানের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচার-প্রচারণায় আমাকে দেখতে পাবেন ভক্তরা।’
আরও পড়ুন:অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ রুবেল। সড়ক দুর্ঘটনায় তিনিসহ আহত হয়েছেন আটজন। শনিবার সকাল ১১টার দিকে মাদারীপুরের কলবাড়ি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
চিত্রনায়ক রুবেল ও তার সহযাত্রীদের বহনকারী মাইক্রোবাসকে একটি পরিবহন পাশ থেকে চাপ দিলে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুবেলসহ আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর আড়াই শ’ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসে।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রুবেলসহ তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর আমতলীতে একটি ক্লাব উদ্বোধনের উদ্দেশ্যে চিত্রনায়ক রুবেল ও তার সহযোগীরা মাইক্রোবাসযোগে যাচ্ছিলেন। মাদারীপুর সদর উপজেলার কলাবাড়ি এলাকায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি পৌঁছলে বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস পাশ থেকে চাপ দেয়। তখন রুবেলদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে চিত্রনায়ক রুবেল ও তার সঙ্গে থাকা সাতজন আহত হন।
এই দুর্ঘটনায় চিত্রনায়ক রুবেল খুব বেশি আহত না হলেও তার এক সহযাত্রী ও মাইক্রোবাসের চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। মাদারীপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রুবেলসহ আহত ছয়জনকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। তবে রুবেলের ট্রেইনার মোহাম্মদ কবির ও গাড়িচালক ওমর ফারুক ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে রুবেলের সফরসঙ্গী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অল্পের জন্যে আমরা প্রাণে বেঁচে গেছি। বাসটি আমাদের মাইক্রোবাসকে চাপ দিলে আমাদের চালক গাছের সঙ্গে গাড়ি লাগিয়ে বিপদ থেকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন।
‘এতে আমরা সবাই কম-বেশি আহত হয়েছি। রুবেল স্যার তেমন গুরুতর আহত হননি। তাকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দুজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ইমরানুর রহমান সনেট বলেন, ‘প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নায়ক রুবেল আর তার কয়েকজন সঙ্গীকে ঢাকায় পাঠিয়েছি। গুরুতর কোনো জখম নেই নায়ক রুবেলের। তবে তার সহযাত্রী কয়েকজনের জখম আছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।’
এদিকে চিত্রনায়ক রুবেল সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মাদারীপুর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভক্ত-অনুসারীরা হাসপাতালে জড়ো হন। তাদের ঠেকাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হয়।
মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক আরব আলী বলেন, ‘আমাদের কাছে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে চলে আসি। এসে নায়ক রুবেলকে একটি ভ্যানে বসা অবস্থায় দেখি। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। পরিবহনটিকে চিহ্নিত করা যায়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্রনায়ক রুবেল কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন:ছোট পর্দার অভিনেত্রী আফরোজা হোসেন মারা গেছেন। রোববার ভোর ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে আফরোজা হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী মনিরা আক্তার মিঠু।
জানা যায়, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ ছিলেন আফরোজা হোসেন। জরায়ুমুখ ক্যানসার ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড থেকে হাড়ে ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে ক্যানসারের কাছে হার মেনে চলে গেলেন না-ফেরার দেশে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আফরোজার সঙ্গে তোলা কিছু ছবি শেয়ার করে মনিরা মিঠু লিখেন, ‘ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন। অভিনেত্রী আফরোজা হোসেন আর নেই। আজ ভোর ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।’
আশি ও নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের শো-বিজ ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন আফরোজা হোসেন। ক্যারিয়ারের শুরুতে টেলিভিশন নাটকে তিনি জনপ্রিয়তা পান। পরে চলচ্চিত্রেও নিয়মিত কাজ করেন এই অভিনেত্রী।
বলিউডের ভাইজানখ্যাত সুপারস্টার সালমান খানের পর এবার বলিউড বাদশা শাহরুখ খানকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।
শাহরুখ খানকে মোবাইলে ফোন করে ৫০ লাখ রুপি দাবি করা হয়েছে। তা না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়েছে এক ব্যক্তি।
মুম্বাই পুলিশ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে। এ ঘটনায় বান্দ্রা থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ভারতের ছত্তিশগড়ের রায়পুর থেকে যে ব্যক্তি ফোন করা ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে ‘হিন্দুস্তানি’ বলে উল্লেখ করেন।
এদিকে যে মোবাইল নম্বর থেকে ফোনটি করা হয়েছিল সেটির মালিকের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।
কল করা ওই ব্যক্তির নাম ফৈজান খান বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। তবে তিনি দাবি করেন, ২ নভেম্বর তার ফোনটি চুরি হয়ে যায়।
গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিট নাগাদ ফোনটি আসে, যেখানে মুক্তিপণ না দিলে বলিউড তারকার ক্ষতি করার হুমকি দেয়া হয়।
শাহরুখ খানকে এই প্রথম হুমকি দেয়া হলো বিষয়টি এমন নয়। গত বছরের অক্টোবরে তাকে একইভাবে হুমকি দেয়া হয়েছিল। এরপর কর্তৃপক্ষ তার সুরক্ষা ওয়াই-প্লাস স্তরে উন্নীত করে। এই স্তরের সুরক্ষার আওতায় তাকে ২৪ ঘণ্টা ছয়জন সশস্ত্র কর্মী সরবরাহ করা হচ্ছে। এই সুরক্ষা সুবিধা পাওয়ার আগে তার দু’জন সশস্ত্র সুরক্ষা প্রহরী ছিল।
সম্প্রতি বলিউডের আরেক তারকা সালমান খানের একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাহরুখ খানকে এই হুমকি দেয়া হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে সালমানকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, তাকে পাঁচ কোটি টাকা দিতে হবে। নয়তো কৃষ্ণসার হরিণ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ভিখারাম জালারাম বিষ্ণোই নামে ওই গ্যাংয়ের এক সদস্য এই হুমকি দেন বলে জানা গেছে। এই গ্যাংয়ের নেতা কর্ণাটকে এখনও আটক রয়েছেন।
৩০ অক্টোবর আরেকটি ঘটনায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি সালমান খানের কাছে দুই কোটি রুপি চাঁদা দাবি করে সতর্ক করেছিল। বার বার এমন হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে সালমান খানের সুরক্ষাও জোরদার করা হয়। বিশেষ করে ১২ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের পর আইন-শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ এই ব্যবস্থা নেয়।
আরও পড়ুন:একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মাসুদ আলী খান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন তার আত্মীয় রবিন মণ্ডল।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে রাজধানীর গ্রিন রোডের নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন মাসুদ আলী খান। বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসাতেই ছিলেন অভিনেতা। চিকিৎসার জন্য কয়েকবার নেয়া হয়েছিল হাসপাতালে। চিকিৎসাও চলছিল। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেল।
মাসুদ আলী খান অভিনয় জগতে ক্যারিয়ার শুরু করেন মঞ্চনাটক দিয়ে। এরপর ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পরপর নূরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’ দিয়ে ছোট পর্দায় তার অভিষেক হয়। আর সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’ দিয়ে বড় পর্দায় তার পথচলা শুরু। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে প্রায় ৫০০ নাটকে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা।
মাসুদ আলী খান অভিনীত কয়েকটি সিনেমা- ‘দুই দুয়ারি’, ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘মাটির ময়না’। তার অভিনীত আলোচিত কয়েকটি নাটক হচ্ছে- ‘কূল নাই কিনার নাই’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘কোথাও কেউ নেই’।
ঢাবি, চবি ও জবির পর এবার প্রকাশ্যে এসেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারির পরিচয়। সোমবার সংগঠনটির পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে দুজনের পরিচয় প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
ফেসবুক পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, ইবি ছাত্রশিবিরের সভাপতির নাম এইচ এম আবু মুসা ও সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সভাপতি আবু মুসা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি পাবনা জেলার দোগাছী ইউনিয়নের দ্বীপচর গ্রামে। ২০০৭ সালে তিনি পাবনার আওরঙ্গাবাদ আবাসিক হাফিজিয়া মাদরাসা থেকে কোরআনে হাফেজ হন। পরে পাবনার রাধানগর উপজেলার আজিজিয়া নূরানী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শেষ করেন। পরে ২০১৪ সালে পাবনা আলিয়া (কামিল) মাদরাসা থেকে দাখিল ও ২০১৬ সালে তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার টঙ্গী শাখা থেকে দাখিল সম্পন্ন করে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
অন্যদিকে সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসান ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায়।
ইতোপূর্বে সভাপতি ও সেক্রেটারি দুজনই ইবি শাখার ফাউন্ডেশন সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক, এইচআরডি সম্পাদক ও অফিস সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানা গেছে।
মন্তব্য