স্বামী শরিফুল ইসলাম রাজের সঙ্গে দাম্পত্য কলহ আর না বাড়তে দিয়ে বরং সংসারের হিসাব-নিকাশ মিটিয়ে ফেলার পক্ষে মত দিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।
কাগজে-কলমে ডিভোর্স না হলেও এখন থেকে আর রাজের স্ত্রী নন বলে দাবি করেছেন তিনি। বলেছেন, শিগগিরই এই সম্পর্ক মিটিয়ে ফেলা দরকার।
সুনেরাহ বিনতে কামলাসহ কয়েকজন অভিনেত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়া নিয়ে অভিনেতা রাজের সংসারে টানাপোড়েন চলছে কদিন ধরেই।
এরই মধ্যে এসব বিষয় নিয়ে এক জাতীয় দৈনিকের ফেসবুক পেজে একটি অনুষ্ঠানে এসে লাইভে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন রাজ। সোমবার একই অনুষ্ঠানে আসেন পরীমনিও। সেখানেই পরিবার নিয়ে কথা বলেন তিনি।
পরীমনি বলেন, ‘আজকে থেকে আমি রাজের বউ না। রাজ আমাকে কাগজে-কলমে ডিভোর্স দেয়নি তো কী হয়েছে। এই মুহূর্তে এটা অসম্মাজনক।
‘যে মানুষটা সত্যিকারের সম্মান করতে জানে না; আমি বলব, যত দ্রুত সম্ভব এটাকে সেটেল ডাউন করে ফেলি।’
তিনি বলেন, ‘আমি কোনোকিছু ব্লেইম নিতে চাই না। যেটা আমার সাথে অন্যায় সেটা আমি মেরুদণ্ড সোজা করে উত্তর দিতে চাই। সে একা থাকতে চাচ্ছে। তার জন্য অনেকেই আছেন।
‘আমি যথেষ্ট সময় দিয়েছি। পাঁচ মাস একটা দীর্ঘ সময়। সাপোর্ট আমি কখনই রাজের থেকে পাইনি। ও কখনই আমার সাথে বসতে চায়নি। আমি টেবিল টক করতে চাই, ও চায়নি।’
নায়িকা বলেন, ‘আমি বলতে চাই। আমাকে মাফ করে দাও। আমি ব্লেইম গেম নিতে চাই। বাচ্চা নিয়ে থাকতে চাই। কাজ নিয়ে থাকতে চাই। সুস্থ জীবন চাই।’
সার্বিক পরিস্থিতিতে বোঝা যাচ্ছে, স্পষ্টতই অবনতির দিকে যাচ্ছে শরিফুল ইসলাম রাজ ও পরীমনির সম্পর্ক। জল ঘোলা হচ্ছে ক্রমেই। সংসার করা হবে কি না, তা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। পর্দার এ নায়ক ও নায়িকার সম্পর্ক এখন দা-কুমড়া বললেই চলে।
কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছেন না। এই রাজ কথা বলছেন, তো একটু পরই তার উত্তর দিচ্ছেন পরীমনি। অবশ্য এসব সামনাসামনি নয়, বরং সংবাদমাধ্যম বাসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
রাজ-পরী দম্পতির সাংসারিক কলহ ফেসবুকে আসা নতুন কিছু নয়। তবে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালকে জড়িয়ে এবারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে ২৯ মে রাতে। ওই রাতে অভিনেত্রী সুনেরাহ, নাফিজা তুষি ও তানজিন তিশার সঙ্গে রাজের কিছু ছবি এবং ভিডিও রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা হয়।
এসব পোস্টে অসংলগ্ন ভাষায় কথা বলতে দেখা যায় সুনেরাহ ও তানজিন তিশাকে। কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে রাজ ও সুনেরাহকে ভিডিও কলে কথা বলতে। একটি ভিডিওতে লিফটের ভেতরে নাচছিলেন তানজিন তিশা। পরে অবশ্য রাজের অ্যাকাউন্টে সেসব ভিডিও বা ছবি আর পাওয়া যায়নি।
ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার দায় রাজের স্ত্রী নায়িকা পরীমনিকে দিয়ে পরদিন রাতে একটি পোস্ট দেন সুনেরাহ। একই সঙ্গে তিনি দেন আইনি ব্যবস্থারও হুমকি।
পরীমনিকে ইঙ্গিত করে সুনেরাহ লেখেন, ‘দয়া করে এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। আমি নিশ্চিত, ওর (রাজ) আইডি হ্যাকড হয়েছে। কে হ্যাক করেছে, আমরা সেটা জানি; প্রকাশ্যে হইচই করতে যার কোনো কারণ লাগে না। এ ভিডিওগুলো যারা ছড়াবে, তাদের সবার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।’
এর পর দিন সকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পরীমনি। সুনেরাহকে এর দায় দেন তিনি। পরে কথা বলেন রাজও। তার বক্তব্য, তিনি এগুলোর কিছুই জানেন না।
এরপর পরীমনি আবার গণমাধ্যমকে বলেন, রাজের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই বেশ কিছুদিন। সুনেরাহর সঙ্গেই থাকছে রাজ। তার ফোনও নাকি তার কাছেই। এসব ছবি ও ভিডিও সুনেরাহই ছড়িয়েছেন।
এর আগেও রাজ-পরীর পারিবারিক দ্বন্দ্বের ব্যাপার সামনে এসেছিল গত পহেলা জানুয়ারি। ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ভোর ৫টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে রাজের সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে ঘোষণা দেন পরীমনি। একই ঘোষণা দিয়েছিলেন রাজও।
এর দু-একদিন আগে থেকে চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমকে রাজের সঙ্গে জড়িয়ে নানা পোস্ট দিচ্ছিলেন পরীমনি। তবে শেষ পর্যন্ত টিকে যায় এ দম্পতির সংসার।
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন শরিফুল রাজ ও পরীমনি। দীর্ঘদিন গোপনেই ছিল তাদের বিয়ের খবর। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তাদের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে।
পরীমনির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরটিই প্রথমে জানা যায়, পরে জানা যায় তাদের বিয়ের খবর। রাজ-পরীর একমাত্র সন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। গত বছরের ১০ আগস্ট জন্ম হয় রাজ্যের।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের দর্শক মাতাতে তৃতীয়বারের মতো ঢাকায় আসছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম।
আতিফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বৃহস্পতিবার বিকেলে দেয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এ গায়ক নিজেই।
সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই ঢাকায় কনসার্টে মাতাবেন তিনি। এ দিন বিকেলে ফেসবুকে ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন আতিফ। যেখানে তার ছবি, মিউজিকের সঙ্গে লেখা ছিল- ‘বাংলাদেশ, চলো একসঙ্গে সংগীত উপভোগ করি।’
মুহূর্তের মধ্যেই আতিফের এই পোস্ট ঝড় তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মাত্র ৪০ মিনিটেই ৯ হাজার রিয়্যাক্ট এক হাজার কমেন্ট জমা পড়ে সেই ভিডিওতে।
যদিও সেই পোস্টে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি এই তারকা। কবে বাংলাদেশে আসছেন, কী প্রোগ্রামে আসছেন সেসবও পরিষ্কার করেননি, তবে আতিফের পোস্টের পর থেকেই এটা নিশ্চিত, খুব শিগগিরই বাংলাদেশে পা রাখছেন বলিউডের জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী।
পাকিস্তানে জন্ম হলেও বলিউডের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম। দুনিয়াজুড়ে যার রয়েছে অসংখ্য ভক্ত-অনুসারী। বলিউডের বহু সুপারহিট গানের স্রষ্টা তিনি। বাংলাদেশের সংগীত অনুরাগীরও পছন্দের তালিকায় রয়েছেন তিনি।
মাসখানেক আগেই আতিফ আসলামের বাংলাদেশে আসার গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। সে সময় স্টার বক্স এজেন্সি নামে একটি প্রতিষ্ঠান জানায়, ২০২৪ সালে কনসার্ট করতে বাংলাদেশে আসবেন আতিফ আসলাম।
এর আগে ২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে প্রথম ঢাকায় এসেছিলেন আতিফ আসলাম। পরে ২০১৬ সালে এটিএন এন্টারটেইনমেন্টের আমন্ত্রণে দ্বিতীয়বার ঢাকায় আসেন।
পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে জন্ম নেওয়া উপমহাদেশের তুমুল জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৩ সালে, ‘জাল’ ব্যান্ডের মাধ্যমে। মূলত উর্দু ভাষায় গাইলেও তিনি হিন্দি, পাঞ্জাবি, বাংলা, পশতুসহ অনেক ভাষায় নিজের দক্ষতা প্রকাশ করেছেন। ‘জেহের’ সিনেমার ‘ওহ লামহে ওহ বাতে’ গান দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
এরপর একে একে উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় গান। তারমধ্যে উল্লেখ্য ‘পেহলি নাজার ম্যায়’, ‘বাখুদা তুমহি হো’, ‘তু জানে না’, ‘ম্যায় রং শরবতো কা’, ‘দিল দিয়া গাল্লা’ সহ প্রায় শতাধিক গান।
আরও পড়ুন:চুপিসারে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন ভারতীয় অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়। আনি আনি করেও মনের মানুষকে প্রকাশ্যে আনছেন না তিনি। একই বোধহয় বলে, ‘ডুবে ডুবে জল খাওয়া’।
বসন্ত উৎসবের দিন জানালার ধারে মনের মানুষের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন দিতিপ্রিয়া। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ছবি পোস্ট করতেই ভক্তদের মনে প্রশ্ন জেগেছে পাশে দাঁড়ানো এই রহস্যমানব কে?
এ প্রশ্নের উত্তরে এই সময়কে তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমার জীবনে একজন আছে। গত তিন মাস আমি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছি। তবে এখনই সবটুকু জানাতে চাই না। ক্রমশ প্রকাশ্য।’
দিতিপ্রিয়া বলেন, ‘ছয় মাস হোক তারপর সবটুকু সবাইকে জানাব। শুধু এটুকু বলতে পারি আমার যার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সে এই ইন্ডাস্ট্রির কেউ নয়। সম্পূর্ণ আলাদা জগতের মানুষ। খুব শিগগিরই আমি সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব।’
দিতিপ্রিয়ার এই প্রেমের সম্পর্ক কতদিনের সেটাও খোলসা করতে চাননি অভিনেত্রী।
২০২৩- এ দিতিপ্রিয়ার জন্মদিনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তখন প্রশ্ন করা হয়েছিল, প্রেম করছেন? জবাব ছিল, ‘হ্যাঁ করছি তো…।’ এরপরই সহাস্য সংযোজন, ‘কেরিয়ারের সঙ্গে।’
গত বছরে সিঙ্গল ছিলেন বলেই দাবি দিতিপ্রিয়ার। আগে সুহোত্র মুখোপাধ্যায় এবং দিব্যজ্যোতি দত্তের মতো অভিনেতার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার।
শিশুশিল্পী হিসেবে বিনোদন জগতের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। মা, দুর্গা, অপরাজিত, তোমায় আমায় মিলে, ব্যোমকেশের মতো জনপ্রিয় সিরিয়ালে কাজ করেছেন। তারপর হয়ে ওঠেন টেলিভিশনের করুণাময়ী রানি রাসমণি। রানিমা হিসেবে ব্যাপক খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি।
সিরিয়ালের পাশাপাশি সিনেমাতেও দুর্দান্ত কাজ করেছেন। রাজকাহিনি, অভিযাত্রিক, আয় খুকু আয়, অচেনা উত্তম, কলকাতা চলন্তিকার মতো সিনেমায় কাজ করেছেন। রুদ্রবীণার অভিশাপ, মুক্তি, বোধন, ডাকঘর, রাজনীতির মতো সিরিজেও তার জুড়ি মেলা ভার।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’স লেক পাড়ের চিড়িয়াখানায় ২৩ ফেব্রুয়ারি বাঘ জো বাইডেন ও বাঘিনী জয়ার সংসারে আসে তিনটি শাবক। আর জন্মের এক মাসেরও বেশি সময় পর নাম পেয়েছে ওরা তিন বোন।
জেলা প্রশাসক ও চিড়িয়াখানার সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সোমবার দুপুরে চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে গেলে বাঘ শাবকগুলোকে জনসম্মুখে আনা হয়। এ সময় তিনি মেয়ে শাবক তিনটিকে কোলে নিয়ে এগুলোর নামকরণ করেন। তিন বোনের নাম দেয়া হয়- প্রকৃতি, স্রোতস্বিনী ও রূপসী।
জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী ও চট্টগ্রাম লেডিস ওয়েলফেয়ার ক্লাবের সভাপতি তানজিয়া রহমান, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরাফাত সিদ্দিকী, চিড়িয়াখানার সদস্য সচিব ও এনডিসি হুছাইন মুহাম্মদ, স্টাফ অফিসার টু ডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল-আমিন এবং চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শুভ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাঘ শাবক দেখতে চিড়িয়াখানায় গিয়ে জেলা প্রশাসক উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দু’টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নিয়ে এসেছিলাম। সে দু’টি থেকে বর্তমানে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় তিনটি শাবকসহ মোট বাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭টি। এর মধ্যে ৫টি বাঘ ও ১২টি বাঘিনী। এখানে সাদা বাঘও রয়েছে।’
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রাণী বিনিময়ের আওতায় দু’টি বাঘ রংপুর চিড়িয়াখানায় দিয়ে দু’টি জলহস্তী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়। প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তিতে স্বাক্ষর করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সম্মানার্থে সাবেক জেলা প্রশাসক বাঘটির নাম রাখেন জো বাইডেন। বাঘিনী জয়ার জন্ম ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আর বাঘ জো বাইডেনের জন্ম ২০২০ সালে ২৮ ডিসেম্বর।
বাঘ জো বাইডেন জন্মের পরপরই ওর মা থেকে পরিত্যক্ত হলে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনায় লালন-পালন করা হয়। এক বছর লালনপালনের পর বিশেষ প্রক্রিয়ায় খাঁচায় অবস্থিত বাঘ পরিবারের সঙ্গে সোশালাইজেশনের মাধ্যমে সদস্য হএসবে রি-ইন্ট্রোডাকশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো জো বাইডেন নিজের সংসার তৈরি করলো। মানুষের হাতে লালন-পালন হয়ে পুনরায় বাঘ পরিবারের সঙ্গে একত্রীকরণের মাধ্যমে বংশবিস্তার করার চক্র একটি বিরল ঘটনা।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার পার্শ্ববর্তী প্রায় ১০ একর জমি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলে ছিল। সেগুলো আমরা ইতোমধ্যে উদ্ধার করে সরকারের দখলে নিয়ে এসেছি। সেখানে আমরা বার্ডস পার্ক করার পরিকল্পনা করেছি।
‘ইতোমধ্যে কিছু আমেরিকার ফ্ল্যামিংগোর ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছি। এর বাইরে কিছু পেলিক্যান ও কিছু ম্যাকাও পাখি পাওয়া গেলে চট্টগ্রামে আর্ন্তজাতিক মানের একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বার্ডস পার্ক করতে পারব আশা করছি।’
মা হারিয়ে শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরি।
রোববার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে নিজ বাসায় মা ঝর্ণা রায়ের মৃত্যুর পর এক ফেসবুক পোস্টে মাকে ঘিরে কিছু কথা লিখেছেন তিনি।
অ্যাম্বুলেন্সের ছবি পোস্ট করে পূজা লিখেছেন, ‘এভাবে আমাকে একা করে দিলা মামুনি? এইটা তো কথা ছিল না। তুমি না বলছিলা আমার পাশে সবসময় থাকবা। আমার এখন কি হবে? আমি কাকে আমার সব কথা বলবো মামুনি?’
‘কত কথা জমা হয়ে আছে, ভেবেছিলাম তুমি সুস্থ হলে সব কথা গড়গড় করে বলবো। কিন্তু এইটা কি হলো? তুমি তোমার এই মেয়ের কথা চিন্তা করলে না?’
পূজা লিখেছেন, ‘বুকে আটকে থাকা এই কষ্ট নিয়ে কীভাবে আমি সারাজীবন পার করবো? বলো তুমি??? মা, মাগো পারলে আমাকে মাফ করে দিও মা। একমাত্র তুমি ছিলে যার সাথে হাসতাম, রাগ হলে চিল্লাতাম আবার অন্যের রাগও তোমার ওপর ঝাড়তাম। আহ, তখন কি যে শান্তি লাগতো। কিন্তু এখন!!’
তিনি লিখেছেন, ‘মামুনি বলারও কেউ নাই। নিজেকে এখন সান্ত্বনা দিচ্ছি সবাইকে চলে যেতে হয়। চিন্তা করো না মামুনি তোমার কাছে একদিন না একদিন আমিও আসবো। তোমার পিছু তোমার এই মেয়ে ছাড়বে না বলে দিলাম। ভালো থেকো মা আমার।’
চিত্রনায়িকা পূজা চেরির মা ঝর্ণা রায় মারা গেছেন।
রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের বাসায় তিনি মারা যান বলে প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়া এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘ঝর্ণা অ্যান্টি (পূজা চেরির মা) আর নেই । সবাই উনার বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া করবেন।’
জানা গেছে, ঝর্ণা রায় বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি তিনি মিরপুরের একটি হাসপাতালে থেকে বাসায় ফেরেন।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মাত্র ১৪ বছর বয়সে শিশুশিল্পী থেকে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন পূজা চেরি।
মেয়েদের শাড়ি পরা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মমতা শংকরের যে বক্তব্য আলোড়ন তুলেছে অবশেষে সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। তার মতে, যা বলেছেন ভেবেই বলেছেন।
আনন্দবাজার অনলাইনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওই মন্তব্যটি করেছিলেন অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে সমালোচনা নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের সঙ্গে শনিবার কথা বলেছেন তিনি।
নিজের মতের প্রতি সমর্থন দিয়ে মমতা শংকর বলেন, ‘যা বলেছি ভেবেচিন্তেই বলেছি। বক্তব্য থেকে সরে আসার প্রশ্নই নেই। আমার বক্তব্যটা মন দিয়ে শুনুন। ঠিক কী বলেছি, দয়া করে বোঝার চেষ্টা করুন। যাদের উদ্দেশে কথাগুলো বলেছি তাদের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। কাউকে অসম্মান করিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এই মন্তব্যকে তো অনেকে সমর্থনও করেছেন। কই তা নিয়ে তো কথা হচ্ছে না। কেবল নেতিবাচক নিয়েই যত আলোচনা। যাই হোক, আমার বক্তব্যের সঙ্গে সবাই সহমত হবেন এমনটা আমি আশা করি না। এই বিষয়ে আমার আর কোনো বক্তব্য নেই। দয়া করে এবার থামুন।’
নতুন প্রজন্মের সাজে আভিজাত্য রয়েছে? নাকি সাজে আধুনিকতার নামে শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করে ফেলছেন নারীরা- এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মমতা শংকর বলেছিলেন, যারা ল্যাম্প পোস্টের নীচে দাঁড়াতে বাধ্য হন, তাদেরকে আমি আমার শ্রদ্ধা জানিয়েছি। কারণ তারা পেশার তাগিদে বাধ্য হন ওভাবে শাড়ি পরতে। যারা বিনা কারণেও পরেন সেটা ঠিক আমি মেনে নিতে পারি না।
এই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ বিষয়ে মমতা শংকরের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘আমি আমার ডিগনিটি (আত্মমর্যাদা) নিয়েই থাকতে চাই। সেটাকে কখনই বিসর্জন দেব না। আমি আর এই ব্যাপার নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে নারাজ।’
নিরাপত্তার ইস্যুতে বন্ধ রাখা হয়েছে সারা বিশ্বে শিশুদের কাছে জনপ্রিয় সিরিজ হ্যারি পটারের বিভিন্ন পর্বে প্রদর্শিত বাষ্পচালিত ট্রেন পরিষেবা ‘দ্য হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস’।
স্থানীয়ভাবে ‘দ্য জ্যাকোবাইট সার্ভিস’ নামে পরিচিত এ সেবাটি যুক্তরাজ্যে দর্শনার্থীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের জায়গা। ট্রেনটি বন্ধ থাকার ফলে প্রায় ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত লোকসান হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন এর অপারেটর।
বিবিসির খবরে বলা হয়, হ্যারি পটার সিনেমাখ্যাত এই হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পর্যটকদের সেবা দিয়ে আসছে। বাষ্প ইঞ্জিনের এই ট্রেন এতদিন যাবত বিশেষ ছাড়ের অধীনে পর্যটকদের মনোরঞ্জন করে আসছিল। তবে এখন বাঁধ সেধেছে ট্রেনটির পুরোনো ধাঁচের দরজা।
বর্তমানে এই দরজার অনুমোদন নেই দেশটিতে। তাই ওয়েস্ট কোস্ট রেলওয়ের (ডব্লিউসিআর) এই পরিষেবাটি আবারও চালু করতে অনুমোদন লাগবে ইংল্যান্ডের অফিস অফ রেল অ্যান্ড রোডের (ওআরআর)। এই সংস্থা অনুমোদ দিলেই পুনরায় চলতে পারবে দ্য হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস।
২০০২ সালে জে কে রাউলিংয়ের বিখ্যাত শিশুতোষ সিরিজ হ্যারি পটারের দ্বিতীয় খণ্ড ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটস’-এ প্রথম প্রদর্শিত হয়েছিল এই বাষ্পচালিত ট্রেন। এরপর এটি আরও কয়েকটি খণ্ডে প্রদর্শিত হয়। মূলত সেখান থেকেই দর্শকদের আকর্ষণের জায়গা হয়ে ওঠে হাইল্যান্ডসের গ্লেনফিনান ভায়াডাক্টের ওপর দিয়ে মালাইগ থেকে ফোর্ট উইলিয়াম পর্যন্ত পাড়ি দেওয়া এই হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস।
পরিষেবাটি বছরের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চালু থাকে। এ বছরও দর্শনার্থীদের পরিষেবা দিতে ট্রেনটি বিশেষ ছাড়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত দ্য জ্যাকোবাইট সার্ভিসটি বন্ধ থাকবে। তবে যারা এতে চড়তে আগেই টিকিট বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন, তারা পুরো টাকা ফেরত পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
ডব্লিউসিআরের বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক জেমস শাটলওয়ার্থ বলেন, ‘পরিষেবাটি স্থগিত হওয়ায় আমরা হতাশ; আমাদের ট্রিপ বুক করা গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
তিনি বলেন, ‘জ্যাকোবাইট পরিষেবাটি হাজার হাজার পর্যটকের আকর্ষণের জায়গা। এটি মালাইগ এবং ফোর্ট উইলিয়ামের স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশপাশি যুক্তরাজ্যের পর্যটন খাতে প্রতি বছর অন্তত ২০ মিলিয়ন পাউন্ড যোগ করে। ওআরআর যদি আমাদের আবারও ছাড় না দেয়, তাহলে এতে স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে অন্তত ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড লোকসান হতে পারে।’
মন্তব্য