জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেতা আশিষ বিদ্যার্থী গত বৃহস্পতিবার জামাই ষষ্ঠীর দিনই বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে তুলেছেন। ৫৭ বছর বয়সে এসে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করলেন আসামের ফ্যাশন ডিজাইনার রুপালি বড়ুয়ার সঙ্গে। অভিনেতার বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয় চরম ট্রল। কেউ কেউ আবার শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। এবার অভিনেতা নিজেই সমস্ত কিছু নিয়ে মুখ খুললেন।
আশিষ বিদ্যার্থী শুক্রবার রাতে ফেসবুকে লাইভ করেন। সেখানে তিনি যেমন তার প্রাক্তন স্ত্রী পিলু বিদ্যার্থীকে নিয়ে কথা বলেন তেমনই জানালেন কীভাবে তার আলাপ হয়েছিল রুপালি বড়ুয়ার সঙ্গে। তাদের সম্পর্কের নানা অজানা কথা প্রকাশ্যে আনলেন এদিন।
আশিষ তার ভিডিওতে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তার বা পিলুর কারও একে অন্যের বিরুদ্ধে কোনো রাগ নেই। তারা তাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণভাবে দুজনের সম্মতিতে শেষ করেছেন। তাদের ২২ বছরের বিবাহ জীবন ভাঙার কারণও এদিন জানান আশিষ।
অভিনেতা তার লাইভে এসে বলেন, ‘দিনশেষে আমরা সবাই কিন্তু খুশি থাকতে চাই। আর এই খুশির জন্য আজ থেকে ২২ বছর আগে আমরা একে অন্যের হাত ধরেছিলাম। বিয়ে করেছিলাম। আমাদের জীবনে আমাদের সন্তান অর্থ আসে। তারও আজ বয়স ২২। কিন্তু এত সুন্দর একটা সময় কাটানোর পর আমি আর পিলু ক্রমশ বুঝতে পারছিলাম যে আমরা আর ভালো নেই।
‘বরং আমরা আমাদের ভবিষ্যতটা অনেকটাই আলাদাভাবে দেখি। যদিও আমরা দুজনেই আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম এই বিয়েটা টিকিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু তারপর বুঝি এতে কেবল একে অন্যের ওপর বোঝা হয়ে থাকব আমরা। তাই সরে আসার সিদ্ধান্ত নিই।’
হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে ফেসবুক লাইভে আশিষ তার দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণ জানান। পাশাপাশি প্রকাশ্যে আনেন কীভাবে তার সঙ্গে রুপালির আলাপ হয়েছিল।
অভিনেতার কথায়, ‘আমি কারও সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম। কারও হাত ধরতে চেয়েছিলাম। এই ভাবনাটা আজ নয়, ২ বছর আগেই এসেছিল। আমার যখন ৫৫ বছর বয়স তখন আমি সিদ্ধান্ত নিই যে আমি আবার বিয়ে করব। তখনই আমার আলাপ হয় রুপালির সঙ্গে। আমরা কথা বলা শুরু করি। তারপর গত বছর আমরা দেখা করি। তখনই আমরা একে অন্যের প্রতি আকর্ষিত হই এবং মনে হয় যে বাকি জীবন আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে কাটাতে পারি।’
আশিষ তার বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমার বয়স ৫৭ ওর ৫০ কিন্তু তাতে কী? বয়সে কী আসে যায় বন্ধু? জীবনে সবাই খুশি হতে পারে বয়স যাই হোক না কেন। তাই সম্মানের সঙ্গে জীবনে এগিয়ে যাওয়াই ভালো।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে ২২তম ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস বা আইফার আসরে যোগ দিতে বলিউড তারকাদের মতো আবুধাবিতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসান।
আইফার অনুষ্ঠান থেকেই বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন জয়া। তার সঙ্গে দেখা গেছে অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীকে, যিনি কিনা আবার জয়ার হিন্দি ডেবিউ ছবি ‘কড়ক সিং’-র পরিচালক। আইফা অনুষ্ঠানে জয়া নীল ব্লাউজের সঙ্গে ফিউশন শাড়ি পরেছেন। সঙ্গে গলায় পরেছিলেন দামি মুক্তা ও পাথরের গয়না। ধুতি স্টাইলে মসলিন শাড়িটি পরতে দেখা যায় জয়াকে।
এদিকে আইফার অনুষ্ঠানেই পছন্দের বলিউড অভিনেতা বিজয় বর্মার সঙ্গে দেখা হয়ে গেলে তার সঙ্গে ক্যামেরাবন্দি হতেও ছাড়েননি জয়া। জয়ার পোস্টে সেই ছবিও ওঠে এসেছে।
সে বিষয়ে আনন্দবাজারকে জয়া আহসান বলেন, ‘বিজয় আমার প্রিয় অভিনেতা। আমি ওর ‘দাহাড়’ সিরিজটি দুই বার দেখেছি। আবুধাবিতে ওর সঙ্গে দেখা হয়। টনি দা (অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী) আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন। পছন্দের অভিনেতাকে সামনে পেয়ে ভাবলাম ছবি তোলার সুযোগ মিস করা উচিত নয়। আমরা প্রায় দশ মিনিট কথা বলেছি।’
বলিউড অভিনেতা অভিষেক বচ্চন প্রায় ২৩ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেলেছেন। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বাবা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে একাধিক ছবিতে স্ক্রিন শেয়ার করার সৌভাগ্য হয়েছে অভিষেকের।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করণ জোহরের ‘কাভি আলবিদা না কেহেনা’, যশরাজ ফিল্মসের ‘বান্টি ওর বাবলি’ থেকে শুরু করে রাম গোপাল বর্মার ‘সরকার’, ‘সরকার রাজ’-এর মতো ছবিতে একত্রে ধরা দিয়েছেন রিয়েল লাইফ বাবা-ছেলে জুটি। যদিও অমিতাভ-অভিষেক জুটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছবি ‘পা’।
আর বাল্কি পরিচালিত এই ছবিতে প্রোজেরিয়া আক্রান্ত অমিতাভের বাবার চরিত্রে দেখা মিলেছিল অভিষেকের। বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অন্যতম বিরল ঘটনা এটি। ২০০৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই হিট ছবি। এরপর লম্বা সময় কেটেছে। প্রায় ১৪ বছর পার হওয়ার পরেও একসঙ্গে পর্দায় ধরা দেননি বাবা-ছেলের জুটি।
কেন এত লম্বা অপেক্ষা? অবশেষে মুখ খুললেন অভিষেক। আপাতত আইফা অ্যাওয়ার্ডে যোগ দিতে আবুধাবি পৌঁছেছেন অভিষেক।
সেখানেই পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টি খোলাসা করেছেন নায়ক অভিষেক।
অভিষেকের কথায়, অভিনেতা হিসাবে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করাটা তারা এনজয় করেন। তবে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে দায়িত্বশীল তারা।
অভিনেতা অভিষেক বচ্চন বলেন, ‘আমরা দুজনেই একসঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসি। দারুণ এনজয় করি। কিন্তু অভিনেতা হিসাবে দর্শকদের প্রতি আমাদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। যেহেতু আমরা ইতোমধ্যেই কিছু স্মরণীয় ছবিতে কাজ করেছি, তাই আমরা চাই সেই ধারা বজায় রাখতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সঠিক চিত্রনাট্যের অপেক্ষায় রয়েছি। সেটা পেলেই দুজনে কোমর বেঁধে নেমে পড়ব একসঙ্গে ছবিতে কাজ করতে।’
আর বাল্কির পরবর্তী ছবি ‘ঘুমর’-এ একসঙ্গে দেখা মিলবে অমিতাভ-অভিষেকের।
আরও পড়ুন:টলিউড অভিনেতা দেবের পর এবার একই রকম বিপদে পড়েছেন তার বান্ধবী টলিউড অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রুক্মিণী নিজেই সেকথা জানিয়েছেন। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তার ফেসবুক পেজটি হ্যাকড হয়েছে।
সোমবার রুক্মিণী মৈত্র নিজের ইনস্টাগ্রামে দেয়া স্টোরিতে লিখেছেন, ‘আমার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজটি হ্যাকড করা হয়েছে। আমার সোশ্যাল মিডিয়া টিম বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। যদি এই পেজ থেকে আপনাদের কাছে কোনো মেসেজ যায়, দয়া করে তার উত্তর দেবেন না। যতক্ষণ না আমি আবারও সে বিষয়ে কোনো নোটিশ দিই।’
অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রর ফেসবুকে ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। মূলত ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে, আর ব্র্যান্ড কোলাবরেশনের জন্যই নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজটি ব্যবহার করেন তিনি। রুক্মিণী নিজের ফেসবুক পেজ থেকে প্রায় ৯ মাস আগে একটি পোস্ট করেছিলেন। সেটি ছিল মালদ্বীপ ভ্রমণের ছবি থেকে প্রোফাইল পিকচার। যার ক্যাপশানে লিখেছিলেন, ‘হেই… লুকিং ফর এ ক্যাপশন হেয়ার।’ তারপর তার পেজ থেকে একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় রিলস পোস্ট করা হয়, আর তাতেই তিনি বোঝেন তার পেজটি কেউ হ্যাক করেছেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে দেবের প্রযোজনা সংস্থার ইউটিউব চ্যানেলটিও হ্যাক হয়েছিল। সেখান থেকে বেশকিছু স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যে চ্যানেল থেকে সফটওয়ার সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়, আর তাতে সাংসদ অভিনেতা ও তার টিম বুঝে ছিলেন প্রযোজনা সংস্থার ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাকড হয়েছে।
৭৬তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে এবারও ঝলমলে উপস্থিতি বলিউড তারকাদের। এশা গুপ্তা, উর্বশী রাউতেলা থেকে সারা আলি খান ইতোমধ্যে কানের রেড কার্পেটে নিজেদের দ্যুতি ছড়িয়েছেন। তবে কান অপেক্ষায় ছিল ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের। কান চলচ্চিত্র উৎসবের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন প্রাক্তন এই বিশ্বসুন্দরী। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কানের রেড কার্পেটে দেখা মিলল ঐশ্বরিয়ার।
নীল নয়না সুন্দরী ৭৬তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে নিজের প্রথম লুক হিসাবে বেছে নিলেন একটি ওভার সাইজ হুড দেয়া রুপালি-কালো চকচকে গাউন। কোমরের কাছে ঝুলছিল একটি সুবিশাল কালো রঙের বো। ‘ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য ডায়েল অফ ডেস্টিনি’ র স্ক্রিনিংয়ে হাজির হয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া।
ঐশ্বরিয়া ওভারসাইজ পোশাকে মোটেই সাবলীলভাবে নড়াচড়া করতে সক্ষম হননি, যথেষ্ট অস্বস্তিতে ভুগতে হলো তাকে। পোশাক সামলাতে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গী ছিলেন দুইজন ব্যক্তি। তবে মুখের হাসি অটুট রেখেছিলেন অভিনেত্রী।
এদিন ঐশ্বরিয়ার ঝলক দেখা মাত্র আলোকচিত্রীরা ঘিরে ধরে অভিনেত্রীকে। কালো-রুপালি পোশাকের সঙ্গে খোলা চুল আর হালকা মেকআপে ধরা দিলেনঐশ্বরিয়া, সঙ্গে গাঢ় লাল লিপস্টিক। এদিন ঐশ্বর্যর লুক দেখে নেটিজেনরা কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না।
একজন লিখেন, ‘ওইরকম অ্যালুমেনিয়াম ফয়েল জড়িয়ে রেড কার্পেটে কেন?’
অপর একজন লিখেন, ‘বোরখা পরেছে নাকি? ওটা কী ধরনের পোশাক?’
কেউ কেউ আবার ঐশ্বর্যকে জাপানি পুতুল বলেও ট্রল করেন। তবে গুণমুগ্ধরা অবশ্য ঐশ্বর্যকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
ঐশ্বরিয়ার এই লুক হিট না মিস তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। তবে কানের মঞ্চে ঐশ্বরিয়া বরাবারই কাঙ্ক্ষিত। এই নিয়ে ২১তম বার কানের রেড কার্পেটে হাঁটলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০২ সাল থেকে একটানা কানের মঞ্চে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন রাই সুন্দরী। সেই বছর ‘দেবদাস’ পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি এবং শাহরুখ খানের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। পরের বছর কানের জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন ঐশ্বর্য, তারপর থেকে এক আন্তর্জাতিক কসমেটিক ব্র্যান্ডের মুখ হিসাবে কানে অংশ নিচ্ছেন নায়িকা।
আরও পড়ুন:বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট একাধিক কারণে আজকাল শিরোনামে উঠে আসছেন। সম্প্রতি তাকে গুচির গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। আর সেই উপলক্ষে মঙ্গলবার আলিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে প্রথমবার হাজির হলেন গুচির অ্যাম্বাসেডর হিসেবে। ওখানে গুচির ক্রুজ শো ২০২৩ এ অংশ নিলেন আলিয়া ভাট।
আলিয়ার পোশাক সকলের মনে ধরলেও সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় তার হাতের স্বচ্ছ ব্যাগ। আলিয়ার পরনে ওইদিন ছিল কালো রঙের শর্ট ড্রেস, হাতে গুচি জ্যাকি ১৯৬১-র বিশেষ এডিশনের স্বচ্ছ ব্যাগ। আলিয়ার এই বহু মূল্যবান ব্যাগের কারণে ফের ট্রলের শিকার হন তিনি।
ট্রান্সপ্যারেন্ট ব্যাগটি ছিল সম্পূর্ণ খালি। সেটা দেখেই চোখ কপালে নেটিজেনদের। কেউ ট্রল করেন, ‘আলিয়ার মাথার মতোই ব্যাগটাও ফাঁকা’।
আবার কেউ লিখেন, ‘ওটা ব্যাগ না পানির বোতল’।
নারীরা হাতে পার্স তো প্রয়োজনীয় জিনিস রাখতেই ব্যবহার করেন, হাতে খালি ব্যাগ রাখবার মানেটা কী? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন অনেকেই।
অবশেষে এই ট্রেলের জবাব দিলেন আলিয়া ভাট। তাও একদম নিজের মতো করে।
আলিয়া ইনস্টাগ্রামে অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেন সঙ্গে ক্যাপশনে লিখেন, ‘হ্যাঁ, ব্যাগটা একদম ফাঁকাই ছিল’।
আলিয়ার শেয়ার করা ছবিতে কখনও চর্চিত ফাঁকা ব্যাগ হাতে পোজ দিতে দেখা যায় নায়িকাকে, আবার কখনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত অপর তারকাদের সঙ্গে হ্যাং আউট করতে দেখা যায় বলিউডের এই নায়িকাকে।
ওইদিন আলিয়ার সাজ ছিল একদম অন্যমাত্রার। কালো রঙের শর্ট ড্রেসের সঙ্গে রুপালি রঙের দুল ঝলমল করছিল তার কানে। পায়ে পরেছিলেন কালো রঙের প্ল্যাটফর্ম হিল। মাঝখানে সিঁথি, চুলে পনিটেল। চোখে ন্যুড আই শ্যাডো, ব্ল্যাক আইলাইনার, কাজল, মাসকারার ব্যবহারে স্মোকি লুক দিয়েছিলেন নায়িকা। একদম হালকা মেকআপেই ওইদিন পাওয়া গেল আলিয়াকে।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলিয়াকে শেষ দেখা গিয়েছে সুপারহিট ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র পার্ট ১: শিবা’ তে। শীঘ্রই হলিউডে আত্মপ্রকাশ করবেন আলিয়া। নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে তার ডেবিউ ছবি ‘হার্ট অফ স্টোন’।
আরও পড়ুন:বলিউড অভিনেত্রী সারা আলি খান প্রথমবার কানের রেড কার্পেটে হাঁটলেন। মঙ্গলবার সারাকে দেখা যায় বেইজ লেহেঙ্গায়। সারার বেশকিছু ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ইভেন্টের জন্য সারা একটি আইভরি লেহেঙ্গা, ম্যাচিং ব্লাউজ পরেছিলেন। সঙ্গে ছিল লম্বা ট্রেলসহ দুপাট্টা। সঙ্গে ছিল ম্যাচিং কানের দুল আর ব্রেসলেট। চোখ ফেরানো যাচ্ছিল না সারা আলি খান থেকে।
ইনস্টাগ্রামে শেয়ার হওয়া সারার ভিডিওর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক ভক্ত মন্তব্য করেন, ‘সারার মধ্যে সবসময় ওর দেশের প্রতি টান ফুটে ওঠে। ওর পোশাকেও দেশ এবং সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব।’
অন্য আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘পুরো পতৌদির রাজকুমারীর ভাইব আসছে তার পোশাক থেকে।’
তৃতীয়জন লিখেন, ‘সারাকে পুরো তার মা অমৃতার মতো লাগছে এই পোশাকে।’
সারা ইনস্টাগ্রামে তার কানের লুক শেয়ার করেছেন। ফ্রেঞ্চ রিভেরায় তোলা ছবিগুলিতে তিনি লোকেশনে জিও ট্যাগ করেছেন ফ্রান্সকে। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ইউ কানস ডু ইট’।
সারার এক ভক্ত মন্তব্য করেন, ‘তোমার জন্য গর্ব হচ্ছে। তুমি অনেক দূর যাবে।’ আরেকজন লিখেন, ‘বউয়ের মতো দেখতে।’
আবু জানি আর দীপক খোসলার ডিজাইনার লেহেঙ্গা পরেছিলেন সারা। রেড কার্পেটে ব্রুট ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় সারা বলেছিলেন, ‘হ্যালো এবং নমস্তে (হাত জোড় করে)। কিছুটা নার্ভাস। আমি সবসময় এখানে আসার আকাঙ্ক্ষা করেছি। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না আমি এখানে আছি।’
সঙ্গে নিজের পোশাকের বর্ণনা করে বলেন, ‘এটি আবু এবং সন্দীপের (খোসলা) একটি ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী ডিজাইন যা সম্পূর্ণ হাতে তৈরি করা। আমি সবসময়ই আমার ভারতীয়ত্ব নিয়ে গর্ববোধ করি। এটি সবসময় মনে করায় যে আমি কে। এই পোশাক যতটাই আধুনিক, ততটাই ঐতিহ্যবাহী।’
হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানে যাওয়ার আগেই সামনে এসেছে সারা আর ভিকির ‘জারা হটকে জারা বাঁচকে’-র ট্রেলার। এ ছাড়া ‘এ ওয়াতান মেরে ওয়াতান’ ছবিও রয়েছে পাইপলাইনে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য