টালিউড অভিনেত্রী পার্নো মিত্র এবং বনি সেনগুপ্ত নতুন ছবিতে জুটি বাঁধছেন। এবার তারা একত্রে ধরা দেবেন এক গ্যাংস্টারের গল্পে। যদিও সেখানে একই সঙ্গে উঠে আসবে একাধিক সম্পর্কের গল্পও। আর এই প্রতিটি সম্পর্কের সুতা জড়িয়ে আছে একে অন্যের সঙ্গে, সব সম্পর্কই এগিয়ে যাবে সমান্তরালভাবে।
এই ছবির গল্পে উঠে আসবে এক মেয়ের কথা। যে আসলে মফস্বলের মেয়ে। আর এরকম একটি মেয়ের প্রেমে পড়েন সেই গ্যাংস্টার যাকে নিয়েই এই ছবি। তারপর তারা ঠিক করেন একসঙ্গে পালিয়ে যাবেন। এই ছবির গল্পে নানা সম্পর্কের কথা যতই সমান্তরালভাবে বয়ে চলুক না কেন আদতে সেখানে রয়েছে হাজারো ওঠা পড়া, আর সেগুলো সবই এক সুতায় গাঁথা। সময়ের সঙ্গে এগিয়ে চলা এই সম্পর্কের গল্পই বলবে ‘পাকদণ্ডী’।
এই ছবিতে বনি এবং পার্নো ছাড়াও দেখা যাবে চন্দন সেন, লোকনাথ দে, অনুষ্কা চক্রবর্তী, দেবজ্যোতি রায়চৌধুরী আরও অনেককে। ছবির পরিচালনা করেছেন রোহন সেন। সৃজন দেব এই ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন।
ছবিটির বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকারে রোহন জানান, এই ছবিতে একটি গ্যাংস্টারের ঠেকের গল্প উঠে আসবে। সেটাকে ঘিরেই ছবি এগিয়ে যাবে। সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে ৪৫টি চরিত্র। আর এরা সবাই একে অন্যের সঙ্গে জড়িত।
হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতার বিভিন্ন অংশে এই ছবির শুটিং হবে। পরিচালককে এই ছবিতে একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে বলেও শোনা যাচ্ছে।
বলিউড নায়িকা ক্যাটরিনা কাইফের প্রেগন্যান্সি জল্পনা নতুন নয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভিকি কৌশলের সঙ্গে বিয়ে সেরেছিলেন ক্যাটরিনা। বিয়ের পর থেকে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নায়িকার মা হওয়ার গুঞ্জন সামনে এসেছে, তবে প্রতিবারই জল্পনা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, তবে এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই শেষ কয়েকবার ঢিলেঢালা পোশাকে প্রকাশ্যে এসেছে অভিনেত্রী।
মাসখানেক আগে এক জুয়েলারি সংস্থার অনুষ্ঠানে কলকাতায় এসেছিলেন ক্যাটরিনা, তখনও সংবাদমাধ্যমকে তার ধারেকাছে ঘেঁষতে দেয়া হয়নি। তাহলে কি ক্যাটরিনা এবার সত্যিই মা হতে চলেছেন?
ক্যাটরিনার এক ঘনিষ্ঠ সূত্র হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, ‘ক্যাটরিনা কাইফের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরের কোনো ভিত্তি নেই। তিনি অন্তঃসত্ত্বা নন। এমনকি তিনি জনসমাগমও এড়িয়ে চলছেন না। তিনি তার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।’
এয়ারপোর্টেও আজকাল গোপনেই যাতায়াত সারছেন ক্যাটরিনা। খুব ভোরের ফ্লাইট ধরছেন, পাপারাৎজিদের ক্যামেরার সামনে আসছেন না কিছুতেই। এর কারণ কী? তা একমাত্র ক্যাটরিনাই জানেন, তবে সামনেই ব্যস্ততা বাড়বে ক্যাটরিনার। কারণ নভেম্বরে মুক্তি পাচ্ছে অভিনেত্রীর বহুচর্চিত ছবি টাইগার ৩। এই ছবিতে ফের একবার সালমান খানের সঙ্গে স্ত্রিন শেয়ার করবেন ক্যাটরিনা। যশ রাজ ফিল্মসের এই স্পাই থ্রিলারে থাকছেন ইমরান হাশমিও। ক্যামিও চরিত্রে দেখা মিলবে শাহরুখ খানের।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে নাম লিখিয়েছেন বলিউডেও। অবশেষে শেষ হচ্ছে বাঁধনের ভক্তদের অপেক্ষা। অভিনেত্রীর প্রথম হিন্দি সিনেমাটি আগামী ৫ অক্টোবর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছে একটি ভারতীয় গণমাধ্যম।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলিউড হাঙ্গামার খবর অনুযায়ী, আগামী ৫ অক্টোবর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে বাঁধন অভিনীত সিনেমা ‘খুফিয়া’। এটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ।
২০২২ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় সিনেমাটির টিজার। তবে ওই সময় মুক্তির কথা থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত আর হয়ে ওঠেনি। ২০২২ সালেই ‘খুফিয়া’র শুটিং শেষ হয়েছে। সিনেমায় বাঁধন ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন আলী ফজল, টাবু, আশীষ বিদ্যার্থীসহ অনেকেই।
বলিউডের জনপ্রিয় তারকাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতার বিষয়ে বাঁধনের ভাষ্য, এটা অবশ্যই আমার জন্য ভালো লাগার বিষয়। যদিও সিনেমায় চরিত্রের দৈর্ঘ্য খুব একটা বড় নয়, তবে টাবুর সঙ্গে কাজ করে ভীষণ ভালো লেগেছে। তার সঙ্গে পর্দা ভাগ করা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।
২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত ‘খুফিয়া’ সিনেমার লুক টেস্টের জন্য মুম্বাই যান বাঁধন। পরে ওই বছরের অক্টোবরেই দিল্লিতে শুরু হয় সিনেমাটির শুটিং।
সম্প্রতি মনিরুল ইসলামের প্রথম প্রযোজিত ছবি ‘ছায়াবাজ’ সিনেমায় চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করতে বাংলাদেশে এসেছিলেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। কিন্তু সিনেমার নৃত্য পরিচালকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে শুটিং পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই হঠাৎ কলকাতায় ফিরে গেছেন নায়িকা।
শুটিং না করেই দেশে ফিরে গেছেন এ দাবি উড়িয়ে দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে সায়ন্তিকা বলেন, ‘যদিও এখানে মাইকেলের নাম উঠছে, তবে গোড়ায় গণ্ডগোল। বলা যেতে পারে, নায়িকাকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে প্রযোজকের অব্যবস্থাপনার জন্য।’
সায়ন্তিকা বলেন, ‘প্রথমে অন্য মাস্টারজি এসেছিলেন নাচের দৃশ্য শুটিংয়ের জন্য। কিন্তু সেখানেও টাকাপয়সা নিয়ে সমস্যার জন্য তিনি চলে যান। তার পর মাইকেল নামক বাচ্চা ছেলেটি আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন পেশাদার শিল্পী। তাই এ রকম করার কথা ভাবতেই পারি না। মাইকেল আমার থেকে অনুমতি না নিয়েই হাত ধরে আমায় সরাতে গিয়েছিল। তখন আমি সবার সামনেই বাধা দিই।’
অভিনেত্রী বলেন, ‘মূল সমস্যার নেপথ্যে রয়েছেন ছবির প্রযোজক। বারবার আমি প্রযোজক মনিরুলের সঙ্গে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা নিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কোনো উত্তরই পাওয়া যায়নি। ওর কোনো পরিকল্পনা নেই। কোনো ব্যবস্থা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুদিন ধরে কক্সবাজারে গিয়ে অপেক্ষা করেছি। শুটিং নিয়ে প্রযোজকের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। হঠাৎই বলা হলো নাচের দৃশ্যের শুটিং করা হবে! তাই তখন বলেছিলাম, আমি এভাবে কাজ করব না মাইকেলের সঙ্গে।’
সায়ন্তিকার দাবি, এত কিছুর পরও প্রযোজক নাকি জানিয়েছিলেন মাইকেলকে নিয়েই কাজ করতে হবে।
ছবিটির কাজ শেষ করা নিয়ে সায়ন্তিকা বলেন, ‘তিনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করেন, তা হলে আমি নিশ্চয়ই ছবিটার কাজ শেষ করব। কিন্তু তার আগে আমায় চিত্রনাট্য, শট ডিভিশন পুঙ্খানুপুঙ্খ জানাতে হবে।’
‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিং সেরে কলকাতা ফিরে যাওয়ার আগে জায়েদের সঙ্গে আরও একটি সিনেমার সই করেছেন সায়ন্তিকা।
আরও পড়ুন:দুদিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। রাষ্ট্রীয় এ সফরে তিনি ব্যস্ত সময় পার করছেন, তবে এর ফাঁকে তিনি গেলেন ঢাকার ধানমন্ডিতে সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও বাদ্যযন্ত্রী রাহুল আনন্দের বাসায়। প্রাণ ও প্রকৃতির শিল্পী ‘জলের গান’ এর স্রষ্টা রাহুল আনন্দ তাকে শুনিয়েছেন গান। পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তার হাতে তৈরি বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে। রাহুলের স্টুডিওতে বসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট গান শুনেছেন, বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রসঙ্গে জেনেছেন। সেই সঙ্গে উপহার দিয়েছেন ও পেয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটে রোববার রাতে। রাত পৌনে ১২টার দিকে রাহুল আনন্দের বাসায় হাজির হন ইমানুয়েল মাখোঁ। তিনি ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট বাংলার লোক-ঐতিহ্যের আবহে ডুবে ছিলেন, তবে তার থাকার কথা ছিল মাত্র ৪০ মিনিট। কিন্তু গানে-গল্পে এতটাই মশগুল ছিলেন যে কখন ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট হয়ে গেছে তিনি নিজেও টের পাননি।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের জন্য বাসার ফটকের সামনের অংশ ফুল দিয়ে সাজিয়েছেন রাহুল আনন্দ ও তার স্ত্রী শর্মিলা শুক্লা। এতে ছিল গোলাপ ও গাদা। ফুলের সাজসজ্জা দেখে বিমোহিত হয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাখোঁ । এ ছাড়া বাড়তি কোনো সাজসজ্জা ছিল না বাড়ি জুড়ে।
বাড়ির পথ মাড়িয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সোজা চলে যান রাহুল আনন্দের স্টুডিওতে। যেখানে সাজানো রয়েছে নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র। সেখানে বসেই রাহুল গান শোনান প্রেসিডেন্টকে।
লালন থেকে প্রতুল মুখোপাধ্যায়, আব্বাসউদ্দীন আহ্মদ থেকে আবদুল আলীমের গান শুনিয়েছেন তিনি। কখনও ‘আমি বাংলায় গান গাই’, কখনও ‘নাইয়ারে নায়ের বাদাম তুইলা, কোন দূরে যাও চইলা’ গেয়ে শোনান রাহুল আনন্দ।
রাহুল আনন্দ প্রেসিডেন্টকে একতারা উপহার দেন। প্রেসিডেন্ট তাকে উপহার দেন কলম। প্রেসিডেন্ট উপহার পাওয়া একতারা দিয়ে মরমী শিল্পী আবদুল আলীমের ‘নাইয়ারে নায়ের বাদাম তুইলা’ গানটি গাওয়ার চেষ্টা করেন। তাকে গাইতে সহযোগিতা করেন রাহুল। তারপর দুইজন একসঙ্গে একতারা বাজাতে থাকেন।
ওই সময় রাহুল বলেন, ‘এই পরিবেশনাকে বলতে পারেন বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের দুই সংগীতশিল্পীর সম্মিলন! প্রেসিডেন্ট হলেও আপনি দারুণ সংগীতশিল্পী। আশা করি, এই উপহার (একতারা) আপনার কাছে বাংলাদেশকে মনে করিয়ে দেবে। এটি প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা। এটাই আমার স্টাইল।’
এক ফাঁকে রাহুল আনন্দের ছেলে তোতার সঙ্গে সময় কাটান প্রেসিডেন্ট। তাকে অটোগ্রাফ দেন এবং ছবি তোলেন।
যেকোনো দেশে সফরকালে স্থানীয় সংস্কৃতি উপভোগ করেন ইমানুয়েল মাখোঁ। এর অংশ হিসেবে ঢাকায় আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের তত্ত্বাবধানে রাহুল আনন্দের স্টুডিও পরিদর্শন করলেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ঢাকার পরিচালক ফ্রাঁসোয়া গ্রোজ্যঁ, তবে ইমানুয়েল মাখোঁ নিজেও একজন শিল্পী। পিয়ানো বাজানোতে তার দক্ষতা রয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা সফরে এসেছেন ইমানুয়েল মাখোঁ। সোমবার সকাল ৮টায় ধানমন্ডি লেকে হেঁটেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। আজই তার ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন:‘পাঠান’ সিনেমার পর ফের একবার ঝড় তুললেন শাহরুখ খান ‘জওয়ান’ সিনেমা দিয়ে। শুধু ভারত নয়, বিশ্বব্যপী বক্স অফিসেও ভালো ফল করেছে দক্ষিণী পরিচালক অ্যাটলি কুমারের এ সিনেমা।
ফিল্ম ট্রেড অ্যানালিসিস্ট রমেশ বালার রিপোর্ট বলছে, প্রথম দিনে ‘জওয়ান’ সিনেমা ভারত ও ভারতের বাইরে মিলিয়ে প্রায় ১৫০ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে।
ফিল্ম ট্রেড অ্যানালিসিস্ট তরণ আদর্শও ‘জওয়ান’ সিনেমা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জার্মানি ও ইউকেতে কেমন ফল করেছে তার রিপোর্ট পেশ করেছেন।
এক্সে (এর আগের টুইটার) তরণ লিখেন, ‘এক্সক্লুসিভ ডেটা এসআরকে নিজের আধিপত্য বিস্তার করেছে গোটা বিশ্বে। আন্তর্জাতিক বাজারেও ঝড় তুলেছে শাহরুখ খানের সিনেমা।’
রমেশ টুইট করেন, ‘জওয়ান ১৫০ কোটির বেশি আয় করেছে বিশ্বব্যাপী’।
এ ছবিতে শাহরুখ খান ছাড়াও রয়েছেন নয়নতারা, বিজয় সেতুপতি, সানিয়া মালহোত্রা, সুনীল গ্রোভার, ঋদ্ধি ডোগরাসহ আরও অনেকে।
অন্যদিকে বক্স অফিস রিপোর্ট প্রদানকারী সাকনিল্কের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে, ‘জাওয়ান’ ৭৫ কোটি আয় করেছে গোটা দেশ জুড়ে। যার মধ্যে ৬৫ কোটি হিন্দিতে। আর বাকি ৫ কোটি তামিল ও ৫ কোটি তেলেগুতে।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পাঠান’ সিনেমার রেকর্ড ভেঙে দিয়ে আপাতত জওয়ানের দখলেই রয়েছে সর্বোচ্চ ওপেনিং পাওয়া হিন্দি সিনেমার তকমাটা। এর আগে ‘পাঠান’ প্রথম দিনে বিশ্বব্যাপী ১০০ কোটির ব্যবসা করেছিল বক্স অফিসে।
আরও পড়ুন:প্রয়াত সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর অপ্রকাশিত গানগুলো শোনা যাবে আগামী বছর থেকে। এমন উদ্যোগ নিয়েছে আইয়ুব বাচ্চুর ফাউন্ডেশন। এরই মধ্যে ফাউন্ডেশনটি গানগুলো শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
বেঁচে থাকা অবস্থায় নিয়মিত নতুন গান রেকর্ড করতেন আইয়ুব বাচ্চু। শেষের দিকে নানা কারণে বেশ কিছু গান প্রকাশ করে যেতে পারেননি তিনি। এ ছাড়া কিছু গানের সুর করা আছে, রেকর্ডিং বাকি, কিছু গানের মিক্সিং বাকি। সে গানগুলো আগামী বছর থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে চায় ফাউন্ডেশনটি।
ফাউন্ডেশনের অন্যতম সদস্য গীতিকবি নিয়াজ আহমেদ অংশু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘অপ্রকাশিত গানগুলো প্রকাশ করার পরিকল্পনা আমাদের অনেক দিনের। গানগুলো নিখুঁতভাবে প্রকাশ করার জন্যই আমরা সময় নিচ্ছি। বাচ্চু ভাই সবসময় তার গানের ব্যাপারে অনেক যত্নশীল ছিলেন। একই রকমভাবে যত্ন নিয়ে গানগুলো প্রকাশ করতে চাই।’
তিনি জানান, আইয়ুব বাচ্চু শুধু এলআরবির জন্যই গান করেননি, তিনি কাজ করেছেন অনেক গীতিকার ও সুরকারদের সঙ্গে। তাদের কাছে যদি কোনো অপ্রকাশিত গান বা সুর থেকে থাকে, তাহলে আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশনের কাছে জমা দেয়ার আহ্বান করেন তিনি।
দুই বছর ধরে আইয়ুব বাচ্চুর মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ, ডিজিটাল আর্কাইভ তৈরি, শিল্পীর জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন আয়োজন করে আসছে ফাউন্ডেশনটি।
আইয়ুব বাচ্চু পরিচিত নাম হলেও তার পুরো নাম আইয়ুব বাচ্চু রবিন, এ বি নামেও বেশ পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সেখানেই কেটেছে কৈশোর আর তারুণ্যের দিনগুলো।
আইয়ুব বাচ্চুর সংগীত জগতে যাত্রা শুরু হয় ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে ১৯৭৮ সালে। তার কণ্ঠ দেয়া প্রথম গান ‘হারানো বিকেলের গল্প’। এরপর যোগ দেন সোলসে। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালে তিনি সোলস ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৮৬ সালে তিনি প্রথম ‘রক্তগোলাপ’ নামে একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন। অ্যালবামটি তেমন সাফল্য না পেলেও সফলতার শুরু তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ময়না’ দিয়ে ১৯৮৮ সালে।
১৯৯০-এর দশকের শেষদিকে বাচ্চু সোলস থেকে বের হয়ে আসার পর ১৯৯১ সালে তিনি ঢাকায় আসেন। তিনি ‘ইয়েলো রিভার ব্যান্ড’ নামের একটি ব্যান্ড গঠন করেন। ১৯৯১ সালে এটির নামকরণ করা হয় ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’। তারপর থেকে এই নামেই পরিচিতি পায় ও গান এবং অ্যালবাম প্রকাশ পেতে থাকে।
অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছে ব্যান্ডটি। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর না ফেরার দেশে চলে যান এলআরবির প্রাণ ভোমরা আইয়ুব বাচ্চু।
আরও পড়ুন:ঢাকাই সিনেমায় সালমান শাহকে বলা হয় ‘স্বপ্নের নায়ক’। ১৯৯৩ সালে ধূমকেতুর মতো বাংলা চলচ্চিত্রে আবির্ভাব সালমান শাহর। প্রথম সিনেমা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দিয়ে জয় করে নেন দর্শকের মন। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। মাত্র ৪ বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তার প্রায় সব চলচ্চিত্রই সুপারহিট।
১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ। আর ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়। ২৭ বছর হলো নেই বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা এ তারকা, তবে আজও ভক্তদের মধ্যে বেঁচে আছেন ‘স্বপ্নের নায়ক’ হয়েই।
‘স্বপ্নের নায়ক’ নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেন সালমান শাহ। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই। মুক্তির আগেই মারা যান তিনি, তবে ভক্তদের মনে স্থায়ীভাবে ঠাঁই নেন স্বপ্নের নায়ক হয়েই। নিজের জনপ্রিয়তার চূড়ান্ত ধাপ তিনি দেখে যেতে পারেননি। তাই তো মৃত্যুর ২৭ বছর পর আজও কাঁদেন সালমান ভক্তরা।
মাত্র ২৫ বছর বয়সে মারা যান সালমান শাহ। তখনও তুমুল জনপ্রিয় তিনি। চলচ্চিত্র অঙ্গনে তার ক্যারিয়ার ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। মাত্র তিন বছরেই তিনি অভিনয় করে ফেলেন ২৭টি সিনেমায়, তবে সালমান শাহ অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আরও আগে থেকে। ১৯৮৫ সালে বিটিভির ‘আকাশ ছোঁয়া’ নাটক দিয়ে অভিনয় শুরু করেন তিনি।
সালমান শাহ অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘বিক্ষোভ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘বিচার হবে’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘স্বপ্নের নায়ক’ ও ‘আনন্দ অশ্রু’ অন্যতম। সিনেমার পাশাপাশি এর গানগুলোও তুমুল জনপ্রিয় শ্রোতাদের কাছে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হলেও তার মৃত্যু নিয়ে আজও রহস্য রয়েছে। জন্মস্থান সিলেটে তাকে সমাহিত করা হয়।
পরে তার মৃত্যু নিয়ে মামলা করে পরিবার, যা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য