কোক স্টুডিও বাংলায় প্রকাশ পেয়েছে নতুন গান ‘দেওরা’। রোববার সন্ধ্যায় কোক স্টুডিও বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে গানটি।
নৌকা বাইচে ‘হাত ছেড়ে দাও সোনার দেওরা রে’ গানের তালে বইঠা ঠেলেন মাঝিমাল্লারা। নৌকা বাইচের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে জনপ্রিয় এই সারি গানটি। এই গানটিই নতুন আয়োজনে নিয়ে এসেছেন প্রীতম হাসান এবং লোকসঙ্গীত শিল্পী ইসলামউদ্দিন পালাকার। গানটিতে আরও আছেন আরমীন মুসা এবং তার কয়্যার ‘ঘাসফড়িং’।
গানটিতে ‘সারি গান,’ ‘জাগ গান’-এর মতো লোকসঙ্গীতের বিভিন্ন ধারা ব্যবহার করা হয়েছে। ‘সারি গান’ সাধারণত শারীরিক পরিশ্রমের সঙ্গে যুক্ত, আর ‘জাগ গান’ পরিচিত এর অনুপ্রেরণামূলক কথার জন্য। গানটিতে ফজলু মাঝি (ফজলুল হক) এবং প্রীতম হাসানের লেখা কথায় মাঝিদের আবেগ ফুটে উঠেছে।
গানটি প্রযোজনা করেছেন প্রীতম। তিনি গানের মূল শিল্পীদের একজন। গানের শুরুর লাইনগুলোতে সঙ্গীতের ব্যাপারে তার নিজস্ব ও অনন্য চিন্তাভাবনার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন এই শিল্পী।
গানটি সম্পর্কে প্রীতম বলেন, ‘আমার পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে আমি গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছি, যা দর্শক-শ্রোতাদের কল্পনাকে জাগিয়ে তুলতে পারবে। কোক স্টুডিও বাংলা আমাকে আরও নতুন ধরনের কিছু করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। দেওরা এমন একটি গান যার সাথে সবাই নিশ্চিতভাবে গলা মেলাবেন। এই গান সবার মাঝে সঙ্গীতের ম্যাজিক জাগিয়ে তুলবে বলে আমার বিশ্বাস।’
আরমীন মুসা বলেন, ‘দেওরাতে কাজ করা একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা ছিল। বেশ কয়েকজন শিল্পী ও কয়্যার মিলে একসঙ্গে কাজ করলে ম্যাজিক্যাল কিছুর সৃষ্টি হয়। ইসলামউদ্দিন পালাকারের অনবদ্য পারফরম্যান্সের ফলে গানটি হয়ে উঠেছে আরও প্রাণবন্ত।’
তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি পালাগান চর্চা ও পারফর্ম করে আসছি। আমি এই শিল্পকে ভালোবেসেছি, এর জন্যই আমার জীবনকে উৎসর্গ করেছি। কোক স্টুডিও বাংলা-র প্ল্যাটফর্মে এই শিল্পটিকে তুলে ধরার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। আশা করি, তরুণ প্রজন্ম এই ফিউশন পছন্দ করবে এবং বাংলা গানের এই ধারাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উৎসাহিত হবে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত বায়োপিক ‘মুজিব-একটি জাতির রূপকার’ আগামী ১৩ অক্টোবর মুক্তি দেয়ার ঘোষণা করে ট্রেলার ও পোস্টার উদ্বোধন করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বলরুমে রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জাকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রটি মুক্তির আগের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমগুলো সম্পন্ন হয়। এ সময় তিনি এ ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এ চলচ্চিত্রটি নিয়ে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় ‘মুজিব’ চরিত্রের অভিনেতা আরিফিন শুভ এবং চলচ্চিত্রের পরিচালক শ্যাম বেনেগাল।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বিএফডিসির অতিরিক্ত সচিব ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিনসহ চলচ্চিত্রটির শিল্পী, কলাকুশলী, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব এবং সাংবাদিকরা।
৯০-এর দশকের নস্টালজিয়া উসকে ‘শক্তিমান’ আসছে। এ খবর তো বহু পুরনো। গত বছর থেকেই শোনা যাচ্ছে। সনি পিকচার্সের পক্ষ থেকে গত বছর এই ছবির কথা ঘোষণাও করা হয়, তবে কে হচ্ছেন বড় পর্দার শক্তিমান?
কানাঘুষা বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল রণবীর সিং-কে নাকি ‘শক্তিমান’ করা হতে পারে, তবে এবার সেই জল্পনা উসকে দিয়ে তেমনই ইঙ্গিত দিলেন অভিনেতা প্রযোজক টোভিনো থমাস। টোভিনো থমাস কিছুদিন আগেই ইনস্টাগ্রামে লাইভে হাজির হয়েছিলেন। সেই লাইভ নজরে আসে রণবীর সিংয়ের।
তিনি কমেন্টে ঢুকে লেখেন, ‘মুম্বাই থেকে ভালবাসা।’
টোভিনো এই মন্তব্য দেখে রণবীর সিংয়ের প্রশংসা করেন। এরপরেই পরিচালক বাসিল ও রণবীর একসঙ্গে কাজ করতে চলেছেন, এমনই জানান টোভিনো। এদিকে বাসিল জোসেফ নাকি শক্তিমান ছবির পরিচালক।
এরপর টোভিনো থমাস ছবির নাম খোলসা না করলেও জানান, রণবীর আর বাসিল একসঙ্গে ছবিতে কাজ করছেন, যার শুটিং দ্রুত শুরু হবে।
সেখানেও রণবীর আরও একটি মন্তব্য করেন। লেখেন ‘এখানে কে টোভিনো এক্স রণবীর চায়?’
রণবীর লেখেন, ‘আশা করি আমি একদিন তোমার সঙ্গে কাজ করতে পারব। সেটা দারুণ!’
সূত্রের খবর, বাসিল জোসেফ নাকি ‘শক্তিমান’ ছবির পরিচালক। আর তাতেই দুই দুই চার করে নিয়ে মনে করা হচ্ছে বাসিল জোসেফের পরিচালনায় শক্তিমান হচ্ছেন রণবীর সিং।
হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শক্তিমান’ ছবিটি সোনি পিকচার্স এবং মুকেশ খান্নার ভীষ্ম ইন্টারন্যাশনালের সহ প্রযোজনায় তৈরি হবে। এদিকে এর আগে জানা গিয়েছিল, রণবীর সিংকে শক্তিমানে মুখ্য নায়কের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। রণবীর শক্তিমান চরিত্রটি নিয়ে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছেন।
এদিকে ফারহান আখতারের ডন-থ্রিতেও নতুন ডন হিসাবে দেখা যেতে চলেছে রণবীর সিংকে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্টেডিয়ামে বসেছে শোবিজ তারকাদের অংশগ্রহণে ‘সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের’ আসর। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। তবে হঠাৎ করেই শুক্রবার রাতে ঘটে যায় তুলকালাম কাণ্ড। খেলার মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে সেখানে।
বিষয়টি নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় আয়োজকদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য দেন দুই দলের অধিনায়ক।
এসময় পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ বলেন, ‘আপনার সবাই জানেন, গতকাল একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এটার জন্য ব্যক্তিগতভাবে আমি লজ্জিত। এই ঘটনার সঙ্গে আমার টিম থেকে যারা জড়িত তাদের জন্যও আমি লজ্জিত। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যেহেতু এটা আমাদের পারিবারিক বিষয়, তাই আমরা এটার ইন্টারনাল সমাধান করেছি।’
শুক্রবার রাতের এই ঘটনাকে মারামারি বলতে নারাজ নির্মাতা দীপঙ্কর দীপন। তারা কেউ মারামারি করেননি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। দীপন বলেন, ‘গতকালের এই ঘটনাটাকে আপনারা মারামারি বলবেন না। এখানে সেলিব্রিটিদের মারামারি হয়নি। কিছু মানুষ এখানে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। আপনার ভিডিও ফুটেজে দেখলে বুঝবেন, এখানে আমাদের দুই দলের কেউ এই ঝামেলায় জড়ায়নি। মাত্র ৫-৬ জনের হামলা এটা। পরে তাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তাদের সরিয়ে নিতে দুই দলই সহযোগিতা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার দলের খেলোয়াড়-অভিনেতা মনোজ প্রামাণিককে মাঠে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে। পরে তিনি বাইরে তার গাড়িতে গিয়ে বসেছিলেন। পরে আমার কথা বলে তাকে মাঠে আসতে বলা হয়। কিন্তু তিনি গাড়ি থেকে বের হননি।’
এই পরিচালক মনে করেন, ‘এই আয়োজনে কিছু ত্রুটি ছিল, নিরাপত্তার কিছুটা অভাব ছিল। বহিরাগতদের ঢোকা নিয়ে সমস্যা ছিল। এই বিষয়গুলোকে আমার সংস্কার করার কথা বলেছি। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি, এমনটি আর কখনো ঘটবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্টরা জানান, ওই ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন, যাদের সুস্থ হতে কিছুদিন সময় লাগবে। তাছাড়া যে দলগুলো রয়েছে তাদের অনেকেই এখন খেলতে অসম্মতি জানাচ্ছেন। যে কারণে সাময়িকভাবে খেলা স্থগিত থাকবে। পুরো টুর্নামেন্ট আবার নতুন করে শুরু হবে কি না বা যেখানে খেলা শেষ হয়েছে সেখান থেকে শুরু হবে কি না-এসব বিষয়ে বিস্তারিত খুব শিগগিরই জানানো হবে।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে উৎসাহ দিতে তিনদিন ব্যাপী সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ (সিসিএল) আয়োজন করা হয়েছে। এতে মোট ১৬টি দল অংশ নিয়েছে। শনিবার ফাইনালের মধ্য দিয়ে এ আসর সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল। তবে এখন তা অনিশ্চিত।
দক্ষিণের ‘ফিমেল সুপারস্টার’ নয়নতারা বলিউডে এসেই করেছেন বাজিমাত। শাহরুখ খানের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে উপহার দিয়েছেন ‘জওয়ান’। অভিনয় দক্ষতার পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনে আর্থিক মানদণ্ডেও ‘বড় তারকা’ তিনি। সবমিলিয়ে তার সম্পদের পরিমাণ ২০০ কোটি রুপির বেশি।
তামিলনাড়ু থেকে মুম্বাইয়ে অভিনেত্রেীর যে বিলাসবহুল সম্পত্তি, তার একটি হলো বিলাসবহুল বড় বাড়ি, যার দাম ১০০ কোটি রুপি। স্বামী পরিচালক ভিগনেশ শিভানের সঙ্গে তিনি যে ফ্ল্যাটে থাকেন তার দামও ১০০ কোটি রুপি।
নিউজ এইটটিন বলছে, নয়নতারার ফ্ল্যাটটিতে একটি ব্যক্তিগত সিনেমা হল আছে। আছে সুইমিং পুল এবং জিমের মতো আরও কিছু রয়েছে৷ এ ছাড়াও তার হায়দ্রাবাদের বানজারা হিলসে দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে, যার প্রতিটির মূল্য প্রায় ৩০ কোটি রুপি করে।
বিলাসবহুল গাড়ির প্রতি ঝোঁকের জন্যও পরিচিত নয়নতারা। তিনি বেশ কয়েকটি দামি গাড়ির মালিক। তার সবচেয়ে দামি গাড়ি বিএমডব্লিউ ৭ সিরিজের, যার দাম ১.৭৬ কোটি রুপি। এতে আছে অত্যাধুনিক লাইটিং, যা মেজাজের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করা যায়। আরও কয়েকটি গাড়ি আছে তার।
ভারতীয় অভিনেত্রীদের একচেটিয়া ক্লাবে যারা ব্যক্তিগত বিমানের মালিক, নয়নতারা তাদের একজন। এই অভিজাত দলে তার সঙ্গে আছেন শিল্পা শেঠি, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং মাধুরী দীক্ষিত। নয়নথারার প্রাইভেট বিমানটির দাম প্রায় ৫০ কোটি রুপি। প্রায়শ তার স্বামীর সঙ্গে এতে বিলাসবহুল ভ্রমণে বের হন।
বর্ণাঢ্য অভিনয় ক্যারিয়ারের বাইরে নয়নতারা লিপ বাম কোম্পানিতে ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগে উদ্যোগী হয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের তেল ব্যবসায় ১০০ কোটি রুপি বিনিয়োগ করেছেন এই সুপারস্টার। হয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্যোগী। ‘জওয়ান’ সিনেমায় কাজ করার জন্যও নাকি ১০ কোটি টাকা নিয়েছেন নয়নতারা।
স্বামীর সঙ্গে রাউডি পিকচার্স ব্যানার নামে পরিচিত একটি প্রযোজনা সংস্থার সহ-মালিক তিনি। এই প্রোডাকশন হাউসই প্রাথমিকভাবে তার চলচ্চিত্র নির্মাণ করে।
সিনেমায় অভিনয়ের আগে নয়নতারা দক্ষিণের টিভি শো ‘চামায়াম’-এর জন্য সঞ্চলনা করতেন। দক্ষিণের কৈরালি টিভিতে তাকে তার দর্শকদের ফ্যাশন ও সৌন্দর্যের টিপস দিতে দেখা গিয়েছে।
নয়নতারা মালায়ালম সিনেমা মানসিনাক্কারে (২০০৩) দিয়ে অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখেন। এরপর বহু সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে সংসার করছেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন:বড় ছেলে আব্রাম খান জয়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।
চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের গর্ভে জন্ম নেয়া আব্রাম এবার পা দিয়েছে জীবনের সপ্তম বছরে। এ নিয়ে বুধবার নিজের ভেরিফায়েড পেজে ওই শুভেচ্ছা বার্তা দেন শাকিব।
শাকিব লিখেছেন, তোমাকে ভালোবাসি আব্রাম। এমন দিনে আরও অনেক আনন্দ ফিরে আসুক। আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুন।
পোস্টে ছেলের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন নায়ক। এতে বাবাকে নিয়ে গান গাইতে দেখা যায় তাকে।
এদিকে শাকিবের ছোট ছেলে শেহজাদ খান বীরও বড় ভাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। তার ফেসবুক পেজ থেকে দেয়া এক পোস্টে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে মুখে বীর বলছে- হ্যাপি বার্থডে টু ইউ। আর ক্যাপশনে লেখা, হ্যাপি বার্থডে ভাইয়া।
‘সাবেক’ দুই স্ত্রীর সঙ্গে শাকিবের সম্পর্ক ভালো না হলেও দুই ছেলের সঙ্গে তার বোঝাপড়া বেশ গভীর। প্রায়ই তাদের সঙ্গে সময় কাটান তিনি। এসব ঘটনার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
শাকিব খান ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্ম হয় এ জুটির ছেলে আব্রাম খান জয়ের।
২০১৭ সালের এপ্রিলে একটি টিভি চ্যানেলে সব তথ্য ফাঁস করেন অপু বিশ্বাস। ২০১৭ সালের নভেম্বরে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের।
পরের বছরের ২০ জুলাই শবনম বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব। ২০২০ সালের ২১ মার্চ আমেরিকায় জন্ম হয় তাদের ছেলে শেহজাদ খান বীরের।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরে এসব তথ্য জানান বুবলী। শাকিবের সঙ্গেও বুবলীর বিচ্ছেদ হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। তবে বুবলী দিয়েছেন ভিন্ন তথ্য।
একই বছরে দুবার বক্স অফিসের হাজার কোটির শৃঙ্গ জয় করলেন শাহরুখ খান। প্রথমে ‘পাঠান’ এরপর ‘জওয়ান’। শুধু ভারত নয়, বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসেও ভালো ফল করেছে দক্ষিণী পরিচালক অ্যাটলি কুমারের এ সিনেমা।
এনডিটিভির মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, জওয়ান বিশ্বব্যাপী বক্স অফিস কালেকশন ১ হাজার কোটি রুপি ছাড়িয়েছে। সোমবার মুক্তির ১৮ দিনেই এ রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি। এর আগে মুক্তির পর ২৭ দিনে হাজার কোটিতে প্রবেশ করে ‘পাঠান’। ফলে সবচেয়ে কম সময়ে ১ হাজার কোটি কালেকশন করা হিন্দি সিনেমা এখন ‘জওয়ান’।
শাহরুখ খান-গৌরি খানের রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট সোমবার জওয়ানের ১ হাজার কোটি রেকর্ড উপলক্ষে তাদের ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে। সেখানে ক্যাপশনে লেখা, ‘ইতিহাস তৈরির পথে জওয়ান! আপনি এখনও এটা দেখেছেন কি?’
ফিল্ম ট্রেড অ্যানালিসিস্ট তরণ আদর্শ এক্স-এ (পূর্বের টুইটার) বক্স অফিসের রিপোর্টগুলো প্রকাশ করেছেন।
এর আগে তরণ ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘নতুন রেকর্ড সতর্কতা! সবচেয়ে দ্রুত সময়ে ৫০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করা সিনেমা এখন জওয়ান।’
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ‘পাঠান সিনেমার রেকর্ড ভেঙে দিয়ে আপাতত জওয়ানের দখলেই রয়েছে সর্বোচ্চ ওপেনিং পাওয়া হিন্দি সিনেমার তকমাটা। এর আগে ‘পাঠান’ প্রথম দিনে বিশ্বব্যাপী ১০০ কোটির ব্যবসা করেছিল বক্স অফিসে।
আরও পড়ুন:‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’ সিনেমার পোস্টার প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক ছড়িয়েছে চারদিকে। বিতর্কে জড়িয়েছেন ভারতীয় ভারতীয় অভিনেত্রী রাইমা সেনও। এবার এ নিয়েই মুখ খুললেন তিনি।
একটি সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছেন, সমালোচনার আগে সিনেমাটি দেখুন।
রাইমা বলেন, ‘প্রচুর দর্শক দেখলাম গালাগাল দিতে শুরু করল আমায়। এক এক করে আনফলোও হয়ে গিয়েছে প্রচুর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। আমার বক্তব্য একটাই। সিনেমা না দেখেই কী করে প্রোপাগান্ডা বলে ধরে নিচ্ছে মানুষ?’
তিনি বলেন, ‘বিবেক অগ্নিহোত্রীর শেষ সিনেমা দেখে এমনটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল সবাই? না দেখে এত জাজমেন্ট দেয়া তো ঠিক নয়। তাই সবাইকে একটাই কথা বলব, দয়া করে সিনেমা দেখুন, তারপর যা বলার বলবেন।
‘আমি কী সিনেমা করছি সেটা দেখে তো আমায় বিবেক সিনেমা দেয়নি। একবারও জিজ্ঞেস করেনি যে কেন এখন আমি সিনেমা করছি না। আমার মনে হয়েছে আমার কেরিয়ারের জন্য এটা অত্যন্ত জাস্টিফাইং একটা চরিত্র। যেটা করে আমারও বেশ ভালো লেগেছে।’
চলতি বছরের জুনে প্রথম প্রকাশ্যে আসে ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’ সিনেমার পোস্টার। একঝলক দেখেই শুরু হয়ে গিয়েছিল এর গল্প নিয়ে নানা আলোচনা। এরপর বহু বিতর্ক মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে বলেন, দেশের দুঃসময় নিয়ে এমন সিনেমা কী করে বানাতে পারলেন বিবেক?
বলিউড সিনেমায় এর মধ্য দিয়েই প্রথম অভিনয় করছেন রাইমা। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিবেক অগ্নিহোত্রী কলকাতায় এলে তার সঙ্গে আমি দেখা করি। তারপর আমায় পুরো গল্পটা তিনি শোনান। সেই কঠিন সময়ে যা আমরা পার করেছি, গোটা ভারতবর্ষ যা দেখেছে সেটা তুলে ধরা হবে।
‘এই সিনেমায় দু ধরনেরর চরিত্র থাকবে। একশ্রেণি যারা বলবেন, ভারতবর্ষ ভ্যাকসিনের লড়াই করে দেখাতে পারবে। আরেক শ্রেণি যারা বলবে, না কোনোভাবে পারবে না। সেই সময় এই ধরনের ঘটনাই তো ঘটছিল চারিদিকে। আমি একজন সায়েন্স জার্নালিস্টের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। যে বিশ্বাস করেন, ভারতবর্ষ এটা করতে পারবে না কখনোই।’
রাইমা বলেন, ‘পুরো সিনেমায় দেখা যাবে রিসার্চের ওপর ভিত্তি করে সেই সাংবাদিক সব তথ্য তুলে ধরছেন। এ রকম নয় যে, সবাই যা বলছে সেটাই সাংবাদিকও তুলে ধরছে। আমাকে বিবেক বলেছিলেন, তুমি তোমার চরিত্রটা খুব পজিটিভলি তুলে ধরো। তারপর সবটা দর্শকের ওপর ছেড়ে দাও। হয়তো তাদের ভালো লাগবে না। তারা তোমায় ঘৃণা করতে শুরু করবে। কিন্তু, তুমি যে বার্তা দেবে তারা সেটা ইগনোরও করতে পারবে না কোনোভাবে।’
মন্তব্য