পরিবহন শ্রমিকদের মারধর ও গাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদ, মামলা প্রত্যাহার এবং পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সুনামগঞ্জে ৪ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা বাস, মিনিকোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জ সদরে নতুন বাসস্ট্যান্ডে পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যলয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এই ধর্মঘটের কথা জানান শ্রমিকনেতারা।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন সুনামগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম।
শ্রমিক নেতারা অভিযোগ করে জানান, মানববন্ধন করে প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন করার জন্য আবেদন এবং দাবি আদায় না হলে মে মাসের ৩ তারিখ থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। কিন্তু প্রশাসন তাদের দাবি না মানায় এবং কোনো সুরাহা না করায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ৩ মে এসএসসি পরীক্ষা থাকায় ৪ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস সমিতির সভাপতি সুজাউল কবীর, সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি বুরহান উদ্দিন, সহ সভাপতি মো. আনেয়ার হোসেন ও দপ্তর সম্পাদক মো. সুমন মিয়া প্রমুখ।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ব্যবহারসহ বিভিন্ন অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে দেশের ছয় জেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে মোট ৮৭ জনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। ওই ৮৭ জনসহ মোট ৯৩ জনকে কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম পর্বের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৩৭ জনকে আটক করা হয়েছে গাইবান্ধা জেলায়। এ ছাড়া দিনাজপুরে ১৮, লালমনিরহাটে ১৩, কুড়িগ্রামে ১২, ঠাকুরগাঁওয়ে ৭ ও ঝালকাঠিতে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে।
গাইবান্ধায় ৩৭ জনের নামে মামলা
গাইবান্ধায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে জালিয়াতির অভিযোগে আটক পরীক্ষার্থীসহ ৩৭ জনের নামে মামলা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা চলাকালে জেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ও স্থান থেকে তাদের আটক করে র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের সদস্যরা।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৩২ জন এই নিয়োগ পরীক্ষার পরীক্ষার্থী এবং পাঁচজন বহিরাগত বলে জানান র্যাব-১৩ রংপুর বিভাগের অধিনায়ক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) দেওয়ান মওদুদ আহমেদ মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রথম ধাপের গাইবান্ধার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নকলমুক্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা নেয়া হয়েছে। তারা বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ব্যবহার করে অসদুপায়ে পরীক্ষা দেয়ার সময় ৩৭ জনকে আটক করে এবং কেন্দ্র থেকেই ৩৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৩ রংপুর বিভাগের অধিনায়ক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে থেকে ৩২ জন পরীক্ষার্থী ও এই চক্রের হোতা মারুফ, মুন্না, সোহেল, নজরুল ও সোহাগসহ মোট ৩৭ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ২২টি মাস্টার কার্ড, ১৯টি ব্লুটুথ ডিভাইস, ১৬টি মোবাইল, স্ট্যাম্প ও ব্যাংক চেক উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আটককৃত পরীক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং মোবাইলের মাধ্যমে সুকৌশলে পরীক্ষা দিয়ে আসছিলেন। চক্রের এই পাঁচ হোতা বিভিন্ন পরীক্ষার্থীকে ১৪ থেকে ১৮ লাখ টাকায় চাকরি দেয়ার শর্তে অংশগ্রহণ করায়। এর মধ্যে এই চক্রের সোহেল নামে এক সদস্য ডিভাইস সংগ্রহ ও বিতরণ করতেন, নজরুল পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করতেন এবং মারুফ ও মুন্না বেইরে থেকে প্রশ্নপত্র সমাধান করে পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করতেন।
‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। পাশাপাশি আটককৃতদের নামে মামলা করে গাইবান্ধা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গাইবান্ধার সাত উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্রায় ৭০০টি শূন্য পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থী ৩০ হাজার ৮৮ জন। এর মধ্যে উপস্থিত ২২ হাজার ৮১৩ জন পরীক্ষার্থী জেলার সদর, পলাশবাড়ি ও ফুলছড়িসহ তিন উপজেলার মোট ৪৭টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার লিখিত (বহু নির্বাচনি) প্রথম ধাপের পরীক্ষায় অংশ নেন।
দিনাজপুরে আটক ১৮ পরীক্ষার্থী
দিনাজপুরের ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ ১৮ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর তাদের বহিষ্কার করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ নিয়োগ পরীক্ষার ৮টি কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানান দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ওসি ফরিদ হোসেন।
আটককৃতরা হলেন- বিরল উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মো. আজহারুল ইসলামের ছেলে ৩২ বছর বয়সী মো. কামরুজ্জামান, একই উপজেলার রানীপুর গ্রামের আবুল কাদেরের স্ত্রী ২৬ বছর বয়সী রাহেনা খাতুন; বীরগঞ্জ উপজেলার এলেঙ্গা গ্রামের প্রদীপ রায়ের স্ত্রী ৩৩ বছর বয়সী শেফালী রায়, একই উপজেলার পশ্চিম কালাপুকুর গ্রামের তাশদিকুল আলমের ছেলে ৩০ বছর বয়সী মো. মনিরুজ্জামান, কগিরপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে ৩১ বছর বয়সী জামিল বাদশা ও বনগাঁও গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে ২৮ বছর বয়সী মো. রাকিব; দিনাজপুর সদর উপজেলার মুরাদপর গ্রামের বেলাল হোসেনের স্ত্রী ২৮ বছর বয়সী মুসলিমা খাতুন, একই উপজেলার দাইনুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে ২৮ বছর বয়সী শরিফুল আলম, ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল সালামের মেয়ে ২৮ বছর বয়সী উম্মে সালমা ও খানপুর গ্রামের সুলতান মাহমুদের মেয়ে ২৯ বছর বয়সী নাসরিন জাহান; চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ আলোকদিঘী গ্রামের ২৭ বছর বয়সী কবিতা রানী রায়, একই উপজেলার দক্ষিণ আলোকদিঘী গ্রামের যতিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে ৩৪ বছর বয়সী সবজ চন্দ্র রায়; হাকিমপুর উপজেলার মাধবপাড়ার গোলাম বিকরিয়ার স্ত্রী ২৬ বছর বয়সী জাকিয়া ফেরদৌস; বিরামপুর উপজেলার দক্ষিণ দায়োরপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে ৩২ বছর বয়সী মহিদুল ইসলাম; নবাবগঞ্জ উপজেলার মতিহারা গ্রামের আবু তালেব সরকারের মেয়ে ৩১ বছর বয়সী তানিয়া মোশতাবী; বোচাগঞ্জ উপজেলার শহিদপাড়ার আব্দুল গফুর মোল্যার ছেলে ২৯ বছর বয়সী সায়েম মোল্যা তন্ময়; ফরিদপুর জেলার নগরবান্দা থানার দফা গ্রামের ফারুক মাতব্বরের মেয়ে ২০ বছর বয়সী উর্মিলা আক্তার এবং ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বকুয়া গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে ২৭ বছর বয়সী সুজন আলী।
ওসি ফরিদ হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রে কর্মকর্তারা ১৮ জনকে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে আটক করেন। পরে তাদেরকে পুলিশে কাছে সোপর্দ করেন তারা।
‘আটককৃত ১৮ জনের মধ্যে ৯ জন নারী ও ৯ জন পুরুষ রয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
লালমনিরহাটে বহিষ্কার ১৬, ১৩ জনের নামে মামলা
লালমনিরহাটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় একই অভিযোগে ১৬ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এদের মধ্যে অপরাধ বিবেচনা করে ১৩ জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয় যাদের নামে পরে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি তিনজনকে কেন্দ্র থেকে সরাসরি বহিষ্কার করা হয়।
লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার চৌধুরী বলেন, ‘জেলায় মোট ১৬ হাজার ৩২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২ হাজার ৪২৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে পরীক্ষা চলাকালে ইলেকট্রনিক ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতি করার কারণে ১৬ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে অপরাধ বিবেচনায় ১৩ জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
ওই ১৩ জন পরীক্ষার্থীকে আসামি করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস মামলা করেছে বলে জানান তিনি।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘আটককৃতদের মধ্যে ১০ জন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা তাদের আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আটক আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
কুড়িগ্রামে বহিষ্কার ১৫, পুলিশে দেয়া হয়েছে ১২ জনকে
কুড়িগ্রামে নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ ধরা পড়ে মোট ১৫ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছেন। এদের মধ্যে ১২ জনকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নবেজ উদ্দিন সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার এ কুড়িগ্রামের ৪৫টি কেন্দ্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মোট ২৬ হাজার ৮০৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ২০ হাজার ৭১ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ৬ হাজার ৭৩৪ জন।
ঠাকুরগাঁওয়ে আটক ৭ পরীক্ষার্থী
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কেন্দ্রে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যাবহার ও অবৈধভাবে ওএমআর শিট নিয়ে প্রবেশের অভিযোগে মোট সাত পরীক্ষার্থী আটক হয়েছেন। এদের মধ্যে চার যুবক ডিভাইস ব্যবহার করার অভিযোগে এবং তিন নারী পরীক্ষার্থী ওএমআর শিট নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের অভিযোগে আটক হন। ধরা পড়ার পর ওই সাতজনকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করে পুলিশে দেয়া হয়।
আটককৃত চার যুবক হলেন- রাণীশংকৈল উপজেলার বাজে বকশা গ্রামের পঞ্চানন চন্দ্রের ছেলে টংকনাথ বর্মণ; তিনি পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে আটক হন। একই উপজেলার আলশিয়া গ্রামের মো. হুমায়ুনের ছেলে সোহানুর রহমান; তিনি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আটক হন। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আলোকসিপি গ্রামের হাসান আলীর ছেলে আনোয়ার খালিদ সরকারি কলেজ কেন্দ্র থেকে আটক হন। পীরগঞ্জ উপজেলার পাটুয়া পাড়া গ্রামের আজিম উদ্দীনের ছেলে ওমর ফারুক। তিনি কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে আটক হন।
তিন নারী পরীক্ষার্থী হলেন- পীরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের সামিরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. আর্জিনা; তিনি আর কে স্টেট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আটক হন। এ ছাড়া বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারি গ্রামের আনিসুর রহমানের স্ত্রী হাসনা হেনা এবং সদর উপজেলার রুহিয়া মধুপুর গ্রামের আজহারুলের স্ত্রী রোড ডিগ্রি কলেজ থেকে আটক হন।
এসব তথ্য নিশ্চিৎ করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি ফিরোজ কবির জানান, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চারজন ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার ও অবৈধভাবে ওএমআর শিট নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ ও ব্যবহার করার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ আটককৃতদের পুলিশে সোপর্দ করে। এ বিষয়ে আইনগত পক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ঝালকাঠিতে প্রক্সি দিতে এসে ধরা যুবক
অন্যের হয়ে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে এসে ঝালকাঠিতে আটক হয়েছেন এক পরীক্ষার্থী। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম পর্বের জেলা পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা চলাকালে অবৈধ ইলেকট্রনিক ডিভাইসহ তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত ওই যুবকের নাম অভি চন্দ্র দাস। ২২ বছর বয়সী অভির বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নে। সেখানকার গোবিন্দ ধবল গ্রামের অরুণ চন্দ্র দাসের ছেলে তিনি।
রাজাপুর উপজেলায় গালুয়া ইউনিয়নের কানুদাসকাঠি গ্রামের গণি হাওলাদারের ছেলে ইব্রাহীম নামের মুল পরীক্ষার্থীর পক্ষে প্রক্সি দিতে আসেন তিনি। শুক্রবার ঝালকাঠি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ডিভাইসে যান্ত্রিক ত্রুটি কল্যাণে তিনি ধরা পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ দিন সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এক ঘণ্টার পরীক্ষার ৩০ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পর অভির কানে বসানো ইলেট্রনিক ডিভাইসটিতে টিট টিট আওয়াজ দিতে থাকে। বিষয়টি হল পরিদর্শকের নজরে এলে তিনি অভিকে আসন থেকে উঠিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শক মো. আব্দুল করিমের কাছে নিয়ে যান। সেখানে থাকা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসান মোহাম্মদ সোয়াইব এবং কেন্দ্রের সুপারইন্টেনডেন্ট অধ্যক্ষ জিন্নাত রেহানা ফেসদৌসী ওই পরীক্ষার্থীর কাগজপত্র যাচাই করে তার প্রক্সির বিষয়টি নিশ্চিত হন।
এ ঘটনায় প্রকৃত পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং দুপরে অভিকে সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রীয়া চলছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জড়িতদের তথ্য বের করা হবে।’
নিউজবাংলার গাইবান্ধা, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও ও ঝালকাঠি প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গাছে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় দুই বন্ধু নিহত হয়েছে।
উপজেলার কাশদহ গ্রামের হান্নানের মোড় নামক স্থানে রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো দুজন হলো ১৬ বছর বয়সী জুয়েল রানা ও ১৫ বছর বয়সী সাজিদ মিয়া। জুয়েল রানা রংপুরের পশ্চিম খাসবাগ তিনমাথা এলাকার আল আমিন মিয়ার ছেলে। সে রংপুরের একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। অপরজন সাজিদ মিয়া একই এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে। সে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। তারা দুজন বন্ধু বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, দুই বন্ধু হাত ছেড়ে দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে সুন্দরগঞ্জ এলাকা থেকে রংপুরের দিকে যাচ্ছিল। চালকের আসনে ছিল জুয়েল। সে হাত ছেড়ে মোটরসাইকেল ড্রাইভ করছিল। আর সাজিদ পেছন থেকে দাঁড়িয়ে ছিল। যখন তারা কাশদহ গ্রামের হান্নানের মোড় নামক স্থানে পৌঁছায় তখন তারা মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অপরজনকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।
তিনি আর জানান, স্থানীয়দের খবরে পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে এবং পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে অন্তত ৩০ যাত্রী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী মিয়ামী পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব- ১১-৮৮২৬) বাসটি উপজেলার রায়পুর দিঘির পাড়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে যায়।
এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকেও যান বন্ধ ছিল।
দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা চালায়। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুজনকে আশংকাজনক ব্যবস্থা ঢাকায় পাঠানো ঞয়।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি সরাতে কাজ চলছে। দ্রুতই যান চলাচল শুরু হবে। দুর্ঘটনায় প্রায় ৩০ জন যাত্রী আহত হন।
অন্যের হয়ে সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে এসে ঝালকাঠিতে আটক হয়েছেন এক পরীক্ষার্থী। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর প্রথম পর্বের জেলা পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা চলাকালে অবৈধ ইলেকট্রনিক ডিভাইসহ তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত ওই যুবকের নাম অভি চন্দ্র দাস। ২২ বছর বয়সী অভির বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নে। সেখানকার গোবিন্দ ধবল গ্রামের অরুণ চন্দ্র দাসের ছেলে তিনি।
রাজাপুর উপজেলায় গালুয়া ইউনিয়নের কানুদাসকাঠি গ্রামের গণি হাওলাদারের ছেলে ইব্রাহীম নামের মুল পরীক্ষার্থীর পক্ষে প্রক্সি দিতে আসেন তিনি। শুক্রবার ঝালকাঠি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ডিভাইসে যান্ত্রিক ত্রুটি কল্যাণে তিনি ধরা পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ দিন সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এক ঘণ্টার পরীক্ষার ৩০ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পর অভির কানে বসানো ইলেট্রনিক ডিভাইসটিতে টিট টিট আওয়াজ দিতে থাকে। বিষয়টি হল পরিদর্শকের নজরে এলে তিনি অভিকে আসন থেকে উঠিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শক মো. আব্দুল করিমের কাছে নিয়ে যান। সেখানে থাকা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসান মোহাম্মদ সোয়াইব এবং কেন্দ্রের সুপারইন্টেনডেন্ট অধ্যক্ষ জিন্নাত রেহানা ফেসদৌসী ওই পরীক্ষার্থীর কাগজপত্র যাচাই করে তার প্রক্সির বিষয়টি নিশ্চিত হন।
এ ঘটনার পর দুপরে তাকে সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রীয়া চলছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জড়িতদের তথ্য বের করা হবে।’
আরও পড়ুন:লালমনিরহাটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে ১৬ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে জেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ১৬ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। এর মধ্যে অপরাধ বিবেচনা করে ১৩ পরীক্ষার্থীকে আটক করে সদর থানা পুলিশে সোপর্দ এবং তিনজনকে সরাসরি বহিষ্কার করা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার চৌধুরী বলেন, ‘জেলায় মোট ১৬ হাজার ৩২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২ হাজার ৪২৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ইলেকট্রনিক ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতি করার কারণে ১৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু বহিষ্কৃত ১৬ জনের মধ্যে অপরাধ বিবেচনায় ১৩ জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এই ১৩ জন পরীক্ষার্থীকে আসামি করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস মামলা করেছে।’
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘আটককৃতদের মধ্যে ১০ জন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা তাদের আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আটক আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে বহিষ্কৃত ১৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এসব পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
ফরিদপুরের নগরকান্দায় ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে তিন দিনের টানা বর্ষণে ডুবে গেছে খেতের ফসল। এতে বীজতলাসহ খেত পানিতে ডুবে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পেঁয়াজ চাষ। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ৭০ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। এতে করে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার দুশ্চিন্তা তাদের কপালে।
নগরকান্দা গ্রামের কৃষক মো. আহাদ হোসেন বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে আমাদের খেতের পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হালি পেঁয়াজ পচে যাওয়ার ভয়ে কাদার মধ্যেই চারা রোপন করছি। এতে করে আমরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ব।’
একই এলাকার কৃষক ফরহাদ শেখ বলেন, ‘এনজিও থেকে লোন তুলে পেঁয়াজের চারা রোপন করেছি। তিন দিনের বৃষ্টিতে আমার রোপনকৃত সব চারা ডুবে গেছে, আমি এখন কী করব? কীভাবে এনজিওর টাকা শোধ করব?- ভেবে পাচ্ছি না।’
নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তিলক কুমার ঘোষ বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে উপজেলার প্রায় সাড়ে তিন শ’ হেক্টর জমির মুড়িকাটা পেঁয়াজ ও চল্লিশ হেক্টর জমির হালি পেঁয়াজ বৃষ্টির পানিতে আক্রান্ত হয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের জমি থেকে পানি নামিয়ে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় এ বছর প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে। তবে বৃষ্টিতে এভাবে নষ্ট হয়ে গেলে আগামী মৌসুমে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে বলে ধারণা কৃষকদের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরো দেশ উন্নয়নের আলোয় আলোকিত, তাই এখন কোনো অভাব নেই বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
শুক্রবার বিকেলে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগ নেতাদের আয়োজনে বিজয়ের মাস উপলক্ষে আয়োজিত যুবসমাবেশ ও আনন্দর্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, নৌকা উন্নয়নের প্রতীক। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, নিরাপদ পানির জন্য টিউবওয়েল, ল্যাট্রিন ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে কোনো কিছুর সংকট নেই। আগামী দিনেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করতে হবে। তাই নিজেদের স্বার্থে এই সরকারের সঙ্গেই থাকতে হবে।
এম এ মান্নান বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরো দেশ এখন উন্নয়নের আলোয় আলোকিত। দেশে এখন কোনো কিছুর অভাব নেই। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সারা দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের এই অভাবনীয় উন্নয়ন দেখে মানুষ খুশি। আগে সব জায়গায় বিদ্যুৎ ছিল না, এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, বিদ্যুতের আলোয় সারা বাংলাদেশ হাসছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমি আপনাদের সন্তান। আমার কোনো চাহিদা নেই। আপনাদের সেবা করাই আমার কাজ। আমি শেখ হাসিনার সাথে কাজ করে বলছি, তিনি হাওরাঞ্চলের মানুষকে ভালোবাসেন। তিনি চান হাওরাঞ্চলের উন্নয়ন হোক৷ তাই হাওরাঞ্চলের মানুষের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
যুব সমাবেশে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর সিতুর সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম শিপনের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পরিকল্পনামন্ত্রীর পুত্র সাদাত মান্নান অভি, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী তালুকদার, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন প্রমুখ৷
এরআগে যুব সমাবেশ উপলক্ষে একটি আনন্দ র্যালি শান্তিগঞ্জ বাজার থেকে শুরু হয়ে স্লোগানে স্লোগানে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলোচনা সভায় এসে মিলিত হয়৷
মন্তব্য