সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডনেশন নিয়ে নানা বিতর্কিত পোস্ট দেখে অনেকের মতো নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীরও মন খারাপ।
রোববার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি। সম্প্রতি এই মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বিদ্যানন্দের প্রশংসা করেছিলেন এই নির্মাতা।
তিনি বলেছেন, ‘যেটা খারাপ কাজ সেটাকে খারাপ বলতে আমার দ্বিধা নাই। আরেক পেজ থেকে ফটো নিয়ে নিজেদের বলে চালানো নিঃসন্দেহে অসততা! এক গরু কয়েকবার কোরবানি করাও অসততা। এক মজিদ চাচাকে সব জায়গায় হাজির করা হয়ে থাকলে সেটাও অসততা নিশ্চয়ই। এগুলো কোনোভাবেই ভালো ইমপ্রেশন দেয় না।’
ফারুকী লিখেছেন, ‘এখন এটা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া টিমের অপরিপক্কতা কি না সেটা মানুষ বিবেচনা করতে যাবে না। এর দায় টপ ম্যানেজম্যান্টের উপরও নিশ্চয়ই বর্তাবে। যদিও এগুলা কোনোটাই এখন পর্যন্ত এরকম কিছু প্রমাণ করে না যে তারা ফান্ডের অপব্যবহার করেছে, বা তারা আসলেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সৃষ্টি।
‘বিদ্যানন্দকেই তাদের এই আবর্জনাগুলা পরিষ্কার করতে হবে। যারা বিদ্যানন্দকে আতশী কাচের নিচে রেখেছেন, রাখেন! তাদের ভুল দেখলে ধরিয়ে দেন। কিন্তু এটাকে যেনো একটা প্রায় যুদ্ধের পর্যায়ে আমরা নিয়ে না যাই। বিদ্যানন্দের কাজ আমাদের চোখে পড়েছিলো, ভালো লেগেছিলো, সেই জন্য প্রশংসা করেছি। খারাপ কাজ করলে সমালোচনা করতে এক মুহূর্তও দেরি করবো না।’
এই নির্মাতা লিখেছেন, ‘অনেকেই আমাকে লিখেছেন, আপনারা তো আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন নিয়ে লিখেন না! ভাই, জানলে বা তাদের কাজ চোখে পড়লে অবশ্যই লিখবো। আমি কোনো ক্যাম্পান্ধ (ক্যাম্পের অন্ধ অনুসারী অর্থে) মানুষ না, ভাই। আমার বাবা তার জীবনের তিরিশ বছর কাটিয়েছিলেন মসজিদ-মাদ্রাসা আর চ্যারিটি নিয়ে। কে চ্যারিটি করছে, সেটা নিয়ে আমার কোনোই উত্তেজনা বা বিরাগ নাই।
‘বিড়াল সাদা না কালো, তার চেয়ে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিড়াল ইঁদুর ধরতে পারছে কি না। আপনাদের কাছেও যেনো এটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, এই দোয়া করি। বিড়ালের রং বা পরিচয় দিয়ে যেনো বিড়ালকে জাজ না করি আমরা।’
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার একুশে পদক পাওয়া বিদ্যানন্দের আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
এ ছাড়া মজিদ নামের একই ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে আলাদা আলাদা ঘটনার জন্য পোস্ট দেয়া ও ফেসবুকের একটি গ্রুপ থেকে নিয়ে কোনো ক্রেডিট ছাড়াই কয়েকটি ছবি দিয়ে বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়তার আহ্বান জানানোর ঘটনায়ও সমালোচনার মুখে পড়েছে বিদ্যানন্দ।
আরও পড়ুন:চিত্রনায়িকা পরীমনি অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘পাফ ড্যাডি’ প্রচার বন্ধে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।
আলোচিত-সমালোচিত সিরিজটির পাঁচটি দৃশ্যের জন্য প্রচার-প্রচারণা বন্ধে ছয়জনকে আইনি নোটিশ পাঠান কুমিল্লার এক আইনজীবী।
ইমেইল ও ডাকযোগে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
ওই আইনজীবীর নাম জয়নাল আবেদীন মাযহারী। তিনি কুমিল্লা জজ কোর্টে আইন প্র্যাকটিস করেন।
আইনজীবী মাযহারী জানান, তিন দিনের মধ্যে চিত্রনায়িকা পরীমনি অভিনীত ওয়েব সিরিজ পাফ ড্যাডি প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন বন্ধ করতে চেয়ে আইনি নোটিশ দিয়েছেন।
এ আইনজীবী রোববার দুপুর ১টার দিকে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তার ভাষ্য, সিরিজটিতে ইতিবাচক কোনো বার্তা নেই।
নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, “‘পাফ ড্যাডি’তে বিয়ে-বহির্ভূত সম্পর্ককে প্রমোট করা হয়েছে। পাশাপাশি বিয়েতে অনুৎসাহিত করা, আধ্যাত্মিক মনীষীর চরিত্রকে অত্যন্ত বাজেভাবে হরণ করা, প্রতি মুহূর্তে যৌন সুড়সুড়ির দৃশ্য উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ওই মুভিতে আর কোনো বার্তা নেই।”
ইমেইলের মাধ্যমে ও ডাকযোগে পাঠানো আইনি নোটিশ যাদের পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান।
এর আগে গত এপ্রিলে অভিনেত্রী প্রভাকেও আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী মাযহারী।
আরও পড়ুন:মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার বাউশিয়া এলাকায় বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক ‘মানা বে’র উদ্বোধন হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ওপেনিং প্যারেড, ওয়ারিয়র ড্যান্স, হাক্কা ড্যান্স ও স্টিল্ট ওয়াকিং পারফরম্যান্সসহ একটি প্রাণবন্ত কার্নিভালের আয়োজন করা হয়।
সম্পূর্ণ ব্রিটিশ বিনিয়োগে এসিএস টেক্সটাইলের মালিকানায় পরিচালিত এ ওয়াটার পার্কটি দর্শনার্থীদেরকে অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা দিতে ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে দাবি করেন উদ্যোক্তারা।
প্রকল্পটিকে বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে স্বনামধন্য রাইড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হোয়াইটওয়ার্টার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল।
প্রায় ৬০ হাজার স্কয়ার মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত পার্কটিতে সকল বয়সের মানুষের জন্য বৈচিত্র্যময় সব আয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম তিনটি আয়োজন হলো- ওয়াটার স্লাইড ট্যুর, ওয়েভ পুল ও ফ্লোরাইডার ডাবল। এর পাশাপাশি বাচ্চাদের জন্য একটি আলাদা জোন ও একটি কৃত্রিম নদীর ব্যবস্থা রয়েছে পার্কটিতে।
বিকেল ৪টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
চিত্রনায়িকা পরীমনির পাঠানো ডির্ভোস লেটার পেয়েছেন চিত্রনায়ক শরিফুল ইসলাম রাজ। দাম্পত্য অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে পরীর এই সিদ্ধান্তকে সম্মান করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাজ বলেছেন, ‘এখন পরী যে পদক্ষেপটা নিয়েছে, সেটার সঙ্গে আমি আন্তরিকভাবে একাত্মতা পোষণ করছি। আলহামদুলিল্লাহ কবুল বলছি।’
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ডিভোর্স লেটার পাঠন পরীমনি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গণমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশ হয় ২০ সেপ্টেম্বর। এর পর শুক্রবার একটি গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেন রাজ।
রাজ আরও বলেছেন, ‘পরীমনি যা যা বলেছে, একদমই ঠিক। পুরোপুরি সত্য। সবকিছু আমি মেনে নিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ!’
তিনি বলেন, পরীর সিদ্ধান্তের সঙ্গে থাকতে চাই। আজ হোক বা কাল, সম্পর্কটা হয়তো টিকত না। বিয়ের কিছুদিন পরই আমাদের মধ্যে সমস্যা শুরু হয়।
নানা জটিলতায় জড়ানো ছিল রাজ আর পরীমনির সংসার, এই ভাঙে তো এই জোড়া লাগে! এরই মধ্যে কদিন ধরে গুঞ্জন ওঠে, ভেঙে গেছে তাদের সম্পর্ক! তবে শেষ পর্যন্ত জানা যায় রাজকে ডির্ভোাস লেটার পাঠিয়েছেন পরী।
রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের কারণ হিসেবে পরীমনি জানিয়েছেন, মনের অমিল হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজখবর না নেয়া ও মানসিক অশান্তির জন্য আর সংসার করবেন না।
এ ছাড়া রাজকে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে একটি পোস্টও করেছিলেন পরী। এতে নায়কের প্রতি নানা বিষয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন তিনি। তবে কিছুক্ষণ পরই সেই পোস্ট ডিলিট করে দেন তিনি।
এর আগে সর্বশেষ একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয় পরী-রাজের। সেখানে ছেলের জন্মদিনের কেক কাটেন তারা। তবে ওই কেক কাটার ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে আসার পরই দুজনের মারামারির খবরও প্রকাশ্যে আসে।
রাজ ও পরীর সম্পর্কটা অনেক দিন ধরেই বৈরি পথে যাচ্ছিল। এই বিবাদের শুরুও বেশ আগে। এ দম্পতির সাংসারিক কলহও ফেসবুকে আসা নতুন কিছু নয়।
তবে সর্বশেষ অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালকে জড়িয়ে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে গত ২৯ মে রাতে। ওই রাতে অভিনেত্রী সুনেরাহ, নাফিজা তুষি ও তানজিন তিশার সঙ্গে রাজের কিছু ছবি এবং ভিডিও রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা হয়।
এসব পোস্টে অসংলগ্ন ভাষায় কথা বলতে দেখা যায় সুনেরাহ ও তানজিন তিশাকে। কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে রাজ ও সুনেরাহকে ভিডিও কলে কথা বলতে। একটি ভিডিওতে লিফটের ভেতরে নাচছিলেন তানজিন তিশা। পরে অবশ্য রাজের অ্যাকাউন্টে সেসব ভিডিও বা ছবি আর পাওয়া যায়নি।
ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার দায় রাজের স্ত্রী নায়িকা পরীমনিকে দিয়ে পরদিন রাতে একটি পোস্ট দেন সুনেরাহ। একই সঙ্গে তিনি দেন আইনি ব্যবস্থারও হুমকি। এর পর দিন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পরীমনি। সুনেরাহকে এর দায় দেন তিনি। পরে কথা বলেন রাজও। তার বক্তব্য, তিনি এগুলোর কিছুই জানেন না।
এরপর পরীমনি আবার গণমাধ্যমকে বলেন, রাজের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই বেশ কিছুদিন। সুনেরাহর সঙ্গেই থাকছে রাজ। তার ফোনও নাকি তার কাছেই। এসব ছবি ও ভিডিও সুনেরাহই ছড়িয়েছেন। এ নিয়ে একে অন্যকে দায় দিয়েছেন তারা।
আগেও রাজ-পরীর পারিবারিক দ্বন্দ্বের ব্যাপার সামনে এসেছিল, গত পহেলা জানুয়ারি ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ভোর ৫টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে রাজের সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে ঘোষণা দেন পরীমনি। একই ঘোষণা দিয়েছিলেন রাজও।
এর দু-একদিন আগে থেকে চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমকে রাজের সঙ্গে জড়িয়ে নানা পোস্ট দিচ্ছিলেন পরীমনি। তবে শেষ পর্যন্ত টিকে যায় এ দম্পতির সংসার।
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন শরিফুল রাজ ও পরীমনি। দীর্ঘদিন গোপনেই ছিল তাদের বিয়ের খবর। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তাদের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে।
পরীমনির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরটিই প্রথমে জানা যায়, পরে জানা যায় তাদের বিয়ের খবর। রাজ-পরীর একমাত্র সন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। গত বছরের ১০ আগস্ট জন্ম হয় রাজ্যের।
আরও পড়ুন:বুধবার দুপুরেই জানা গেছে স্বামী শরীফুল রাজকে ডিভোর্স দিয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী পরিমনি। জানা যায়, ১৮ সেপ্টেম্বর রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন পরীমনি। তবে এ বিষয়ে সারাদিন দুজনের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া না গেলেও আজ রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে রাজ বিষয়ে পুরোনো একটি স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট দিয়ে পরীমনি এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
স্ট্যাটাসে পরীমনি লিখেছেন-
'নিশ্চই এই স্ট্যাটাসের কথা মনে আছে অনেকেরই! সেবার ও রাজ পাঁচ দিনের মাথায় বাসায় ফিরে আমার ফেইসবুক থেকে এটা ডিলেট করে দিয়েছিলো। তারপর এসব ঘটনা সে পুনরাবৃত্তি করেছে বার বার। সরি বলা, না খেয়ে থাকা, পা ধরে মাফ করে দাও আর হবে হবে না, এমনকি সুইসাইড এর মতো হুমকতেও ব্লাকমেলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে! একই রকম ভুলের ক্ষমা কতো বার করা যায় আমি জানি না। আমি শুধু সব ভুলে সুন্দর স্বাভাবিক একটা পারিবারিক সম্পর্ক চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কখনোই এই সম্পর্কটাকে ওউন করেনি। সবার সামনে আমার বৌ, আমার বাচ্চা করে বেড়ানো ভয়ংকর মানুষ একজন। যে কিনা এই সম্পর্কটাকে শুধু নিজের স্বার্থে ইউজই করে গেলো প্রতিনিয়ত!
আমি এমন ভয়ংকর একজন মানুষকে বার বার সুযোগ দিয়েছি।সেও সুযোগ পেতো কারন আইনগত ভাবে তার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি।
এসবে বারবার আমি অসন্মানিত হয়েছি আপনাদের কাছেও।
আমাকে ক্ষমা করবেন।
***আমি তাকে অফিসিয়ালি ডিভোর্স দিয়েছি। খুবই স্বাভাবিক ওয়েতে। এটাও তাকে আমার এক প্রকার ক্ষমা করে দেয়া। না হয় আমার সাথে যে অন্যেয়গুলো করেছে তাতে তার জেল হওয়ার কথা।
বিঃদ্রঃ আমার ছেলের যাবতীয় খরচ, মানে ভরণপোষণ থেকে আগামীতে পড়াশোনা যা কিছু আছে সব আমি বহন করবো।এতো দিন যেভাবে করেছি। বাচ্চার ফুল গার্ডিয়ান শিপ এখন তার মা’র। এ বিষয়ে যা কিছু বলার আমার আইনজীবীরা বলবেন।'
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বিয়ে করেন পরীমনি ও রাজ। তবে খবরটি প্রকাশ্যে আনেন ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। গত বছরের ১০ আগস্ট পরীমনির কোলজুড়ে আসে ছেলে রাজ্য। সন্তান জন্মের বছরখানেকের মাথায় ভেঙে গেল রাজ-পরীর সংসার।
আরও পড়ুন:নানা জটিলতায় জড়ানো চিত্রনায়ক শরিফুল ইসলাম রাজ আর নায়িকা পরীমনির সংসার, এই ভাঙে তো এই জোড়া লাগে! এরই মধ্যে কদিন ধরে গুঞ্জন উঠেছে ভেঙে গেছে তাদের সম্পর্ক! তবে বুধবার দুপুরেই জানা গেছে, স্বামী শরীফুল রাজকে ডিভোর্স দিয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী পরিমনি।
জানা যায়, ১৮ সেপ্টেম্বর রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন পরীমনি। তবে এ বিষয়ে পরীমনি এবং শরিফুল রাজের অনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে তাদের একটি তালাকানামা। সেই তালাকনামায় পরীমনি বিচ্ছেদের চারটি কারণ উল্লেখ করেছেন।
কারণগুলো হলো―মনের অমিল হওয়া, ববিবনা না হওয়া, খোঁজখবর না নেওয়া ও মানসিক অশান্তি। মূলত এই চার কারণ উল্লেখ করেই পরীমনি রাজ বরাবর তালাকনামা পাঠিয়েছেন।
১৮ সেপ্টেম্বর রাজকে ডিভোর্স লেটারও পাঠিয়েছেন এই নায়িকা। এমন ইঙ্গিত অবশ্য পরী রেখেছিলেন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসেও।
১৭ সেপ্টেম্বর তিনি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘কালকের দিনটা আমার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন!’ তারপর একটি সাইনিং ইমো দিয়ে লেখেন, আল্লাহ ভরসা।
পরীর সেই স্ট্যাটাসে একজন শুভ কামনা জানিয়ে লেখেন, ‘দিনটি আনন্দময় ও মনের মতো হোক।’ জবাবে পরী লেখেন, ‘হোক, কষ্টের অবসান।’ পরীর এমন জবাবে অনেকেই তখন রাজের সাথে বিচ্ছেদের আভাস পেয়েছিলেন!
‘গুণিন’ সিনেমার সেটে শরিফুল রাজ-পরীমনির পরিচয় ও প্রেম হয়। পরে ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে রাজ-পরীর সম্পর্কের খবর। গত বছরের ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকা দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। ২১ জানুয়ারি হয় তাদের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান। রাজের সঙ্গে সংসারজীবনের ১০ মাসের মাথায় তার কোলজুড়ে আসে সন্তান।
আরও পড়ুন:নানা জটিলতায় জড়ানো চিত্রনায়ক শরিফুল ইসলাম রাজ আর নায়িকা পরীমনির সংসার, এই ভাঙে তো এই জোড়া লাগে! এরই মধ্যে কদিন ধরে গুঞ্জন উঠেছে ভেঙে গেছে তাদের সম্পর্ক! এবার এলো নতুন আরেক তথ্য- পরী ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন রাজকে!
সম্প্রতি বিয়েবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে নায়িকা ওই ডিভোর্স লেটার পাঠান বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খোলেননি দুজনের কেউই। তাদের বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
রাজ-পরীর একাধিক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি বলছেন, ১৮ সেপ্টেম্বর পরী রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন। রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের কারণ হিসেবে পরীমনি জানিয়েছেন, মনের অমিল হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজখবর না নেয়া ও মানসিক অশান্তির জন্য আর সংসার করবেন না।
এ ছাড়া রাজকে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে একটি পোস্টও করেছিলেন পরী। এতে নায়কের প্রতি নানা বিষয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন তিনি। তবে কিছুক্ষণ পরই সেই পোস্ট ডিলিট করে দেন তিনি।
এর আগে সর্বশেষ একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয় পরী-রাজের। সেখানে ছেলের জন্মদিনের কেক কাটেন তারা। তবে ওই কেক কাটার ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে আসার পরই দুজনের মারামারির খবরও প্রকাশ্যে আসে।
রাজ ও পরীর সম্পর্কটা অনেক দিন ধরেই ভালো যাচ্ছে না। এই বিবাদের শুরু বেশ আগে। মোবাইল ফোন থেকে ফেসবুকে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালসহ আরও কয়েকজনের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা নিয়ে জল গড়িয়েছে অনেক দূর। নানা বিতণ্ডা, মান-অভিমান; এসবের পর আলাদা থাকছেন রাজ-পরী।
এ দম্পতির সাংসারিক কলহ ফেসবুকে আসা নতুন কিছু নয়। তবে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালকে জড়িয়ে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে গত ২৯ মে রাতে। ওই রাতে অভিনেত্রী সুনেরাহ, নাফিজা তুষি ও তানজিন তিশার সঙ্গে রাজের কিছু ছবি এবং ভিডিও রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা হয়।
এসব পোস্টে অসংলগ্ন ভাষায় কথা বলতে দেখা যায় সুনেরাহ ও তানজিন তিশাকে। কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে রাজ ও সুনেরাহকে ভিডিও কলে কথা বলতে। একটি ভিডিওতে লিফটের ভেতরে নাচছিলেন তানজিন তিশা। পরে অবশ্য রাজের অ্যাকাউন্টে সেসব ভিডিও বা ছবি আর পাওয়া যায়নি।
ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার দায় রাজের স্ত্রী নায়িকা পরীমনিকে দিয়ে পরদিন রাতে একটি পোস্ট দেন সুনেরাহ। একই সঙ্গে তিনি দেন আইনি ব্যবস্থারও হুমকি। এর পর দিন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পরীমনি। সুনেরাহকে এর দায় দেন তিনি। পরে কথা বলেন রাজও। তার বক্তব্য, তিনি এগুলোর কিছুই জানেন না।
এরপর পরীমনি আবার গণমাধ্যমকে বলেন, রাজের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই বেশ কিছুদিন। সুনেরাহর সঙ্গেই থাকছে রাজ। তার ফোনও নাকি তার কাছেই। এসব ছবি ও ভিডিও সুনেরাহই ছড়িয়েছেন। এ নিয়ে একে অন্যকে দায় দিয়েছেন তারা।
আগেও রাজ-পরীর পারিবারিক দ্বন্দ্বের ব্যাপার সামনে এসেছিল, গত পহেলা জানুয়ারি ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ভোর ৫টার দিকে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে রাজের সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলে ঘোষণা দেন পরীমনি। একই ঘোষণা দিয়েছিলেন রাজও।
এর দু-একদিন আগে থেকে চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমকে রাজের সঙ্গে জড়িয়ে নানা পোস্ট দিচ্ছিলেন পরীমনি। তবে শেষ পর্যন্ত টিকে যায় এ দম্পতির সংসার।
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন শরিফুল রাজ ও পরীমনি। দীর্ঘদিন গোপনেই ছিল তাদের বিয়ের খবর। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তাদের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে।
পরীমনির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরটিই প্রথমে জানা যায়, পরে জানা যায় তাদের বিয়ের খবর। রাজ-পরীর একমাত্র সন্তান শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। গত বছরের ১০ আগস্ট জন্ম হয় রাজ্যের।
সোমবার রাত ১১টা ৫৩ মিনিটে বিদায় নিয়েছেন ‘ঘুড্ডি’ খ্যাত নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী। এদিন আচমকাই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
১৯৮০ সালে মুক্তি পাওয়া তার নির্মিত ঘুড্ডি সিনেমাটি কালজয়ী সিনেমা হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত। সেই সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন নন্দিত অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। স্বাভাবিকভাবেই তার মৃত্যুতে শোকাহত সুবর্ণা।
প্রিয় পরিচালকের মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগম্যাধমে লিখেছেন সুবর্ণা। তার ভাষায়, ‘১৩ তারিখ রাতেও কথা হলো। বুঝিনি এটাই শেষবার! ক্ষমা করে দিয়েন জাকী ভাই, কিছুই করা হয়নি আপনার জন্য। আমি কেবল গ্রহণই করেছি আপনার আদর, আপনার ভালোবাসা, শিক্ষা। আবার অভিভাবক শূন্য হলাম আমরা। অনেক ভালোবাসি আপনাকে। শান্তিতে ঘুমান আপনি। পরম শ্রদ্ধা।’
কিছুদিন আগে তিনি ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় দুটি চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করেন। একটি ‘অপরাজেয় একা’ অন্যটি ‘ক্রান্তিকাল’। তবে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ইচ্ছেমতো ছোটাছুটি করতে পারতেন না সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী। তারপরও তাকে দমানো যায়নি। হুইলচেয়ারে বসেই ক্যারিয়ারের ৭ নম্বর চলচ্চিত্রটি বানান। ‘অপরাজেয় একা’ সেই নামের ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
মন্তব্য