মা হয়েছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
রাজধানীর একটি হাসপাতালে মঙ্গলবার রাতে ছেলেসন্তানের মা হন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে বুধবার ভোররাত ৪টা ৩ মিনিটে নবজাতকের একটি ছবি প্রকাশ করেন চিত্রনায়িকা। এর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’।
ছবিতে দেখা যায়, হাসপাতালের বিছানায় ছেলেকে নিয়ে শুয়ে আছেন মাহি। সন্তানের দিকে তাকিয়ে আছেন মাহির স্বামী রাকিব সরকার।
এ ছবিতে কমেন্ট করে অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নায়িকাকে।
অভিনেত্রী শাবস্তী দত্ত তিন্নি লিখেন, ‘অভিনন্দন সুইটহার্ট। ছোট্ট রাজপুত্রের জন্য প্রার্থনা ও ভালোবাসা। মা ও বাবার জন্য শুভেচ্ছা।’
আরেক অভিনেত্রী সাবরিনা সুলতানা কেয়া লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, অনেক দোয়া…অভিনন্দন।’
অভিনেতা শিপন মিত্র লাভ চিহ্ন দিয়ে লিখেন, ‘অভিনন্দন’।
জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলা ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভাবতে ব্রিটিশ কাউন্সিলে জলবায়ু বিষয়ক চারটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর ফুলার রোডের ব্রিটিশ কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘শর্ট ফিল্মস অন ওয়াটার’ শীর্ষক স্বল্পদৈর্ঘ্যের ওই প্রামাণ্যচিত্রগুলো প্রদর্শিত হয়।
বাংলাদেশ কামরি ক্লাইমেট স্টোরি প্রকল্পের আওতায় ঢাকা ডকল্যাব ও যুক্তরাজ্যের ওয়েলস ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের যৌথ উদ্যোগে এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় এ প্রামাণ্যচিত্রগুলো নির্মাণ করা হয়।
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালনের অংশ হিসেবে এ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিবেশে বসবাসরত তৃণমূল জনগোষ্ঠী ও নদীর পাড়ে বসবাসরত মানুষের জীবন ও অভিজ্ঞতাই প্রামাণ্যচিত্রগুলোর মূল উপজীব্য।
প্রামাণ্যচিত্রগুলো হলো বাংলাদেশের আসমা বীথি পরিচালিত দপ্রুঝিরি ও শামসুল ইসলাম স্বপন পরিচালিত লতিকা এবং যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের ম্যারেড রিস পরিচালিত আওয়ার হোম ও লিলি টাইগার টোনকিন পরিচালিত শি সেলস শেলফিশ।
প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন শেষে প্রামাণ্যচিত্রগুলোর পরিচালক, প্রযোজক ও প্রামাণ্যচিত্রের চরিত্রদের পরিচয়পর্ব ও একটি অংশগ্রহণমূলক প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।
এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান; বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ডিরেক্টর ডেভিড নক্স ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ।
এছাড়াও অতিথি ও দর্শনার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, গবেষণা, শিক্ষা, পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে সক্রিয়ভাবে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস ডেভিড নক্স বলেন, ‘জলবায়ু পরবর্তনের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় সকলকে নিয়ে একজোট হয়ে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ-কামরি ক্লাইমেট স্টোরিজ ফিল্মসের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো আমাদের কতটা কাছাকাছি, তা দেখতে ও বুঝতে পারছি। এ থেকে উত্তরণে কার্যকর পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করার আশা ব্যক্ত করছি।’
পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে সকলকে উৎসাহিত করাই ছিল এ আয়োজনের লক্ষ্য।
ঢাকা ডকল্যাব ও ওয়েলস ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফেস্টিভ্যালের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশ কামরি ক্লাইমেট স্টোরিজ চলচ্চিত্র প্রকল্প। প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে চার চলচ্চিত্র নির্মাতা ঢাকা ডকল্যাব ও ওয়েলস ওয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা পেয়েছেন।
সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে চলচ্চিত্রগুলোয় নারীদের সাথে সম্পৃক্ত জলবায়ু পরিবর্তনের গল্প তুলে করা হয়েছে।
চিত্রনায়ক জিয়াউল রোশান ও তার স্ত্রী তাহসিনা এশার ঘরে এসেছে নতুন অতিথি। বাবা-মা হয়েছেন তারা।
বুধবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে রোশান মেয়েকে কোলে নিয়ে দেয়া পোস্টে এ তথ্য জানান।
২০২০ সালের ১১ জুন গোপনে রোশান উত্তরার বাসায় বিয়ে করেন তাহসিনা এশাকে। তবে সে খবর জানান চলতি মাসের ৬ তারিখে।
রোশান বলেন, বর্তমানে মা ও মেয়ে দুজনই সুস্থ আছেন। তবে মেয়ের নাম এখন চুড়ান্ত করা হয়নি।
বাংলা ১৪৩০ সালকে বরণ করে নিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বাংলা পাঠশালার উদ্যোগে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ বছর বিভিন্ন কারণে আয়োজনটি দেরিতে করা হয়।
রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের জন্মজয়ন্তীর সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বর্ষবরণের আয়োজনটি সাজানো হয় এ দুই কবির গান ও কবিতা নিয়ে। এর সঙ্গে ছিল আকর্ষণীয় নৃত্য পরিবেশনা।
মাহবুবুর রহমান ও তাফরিয়া তাইয়্যিবা তানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা সুইস কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক।
পরে জেনেভা বাংলা পাঠশালার পরিচালক এবং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিয়াজুল হক ফরহাদের নেতৃত্বে সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন সুনিষ্কা, মাদিহা, নিতু, রেইন, দিলারা, আফসারা, রোদেলা, পুলক, তান, ফারানা, আরিন, এহতেশামুল হক, রিসালাত রহমান ও সেগুফতা মোহাম্মদ।
জেনেভা বাংলা পাঠশালার পরিচালকের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন আরিনুল হক ও ফারানা হক।
অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে জেনেভায় বসবাসরত বাঙালিদের পাশাপাশি অন্য ভাষাভাষীসহ প্রায় ৭০ জন দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে সবার জন্য ছিল নৈশভোজের আয়োজন।
আরও পড়ুন:ক্যারিয়ারের শুরুতে এক তরুণ অভিনেতার দ্বারা হয়রানির শিকার হওয়া নিয়ে যে খবর বেরিয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন তামিল ও তেলেগু সিনেমার অভিনেত্রী হানসিকা মোতওয়ানি।
এ ধরনের কোনো তথ্য সংবাদমাধ্যমকে তিনি দেননি বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে জানিয়েছেন হানসিকা। বলেছেন, আমি এ ধরনের কথা কখনই বলিনি।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, হানসিকা কস্টিং কাউচের শিকার হয়েছেন বলে সম্প্রতি বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। তার বক্তব্যে এমন দাবি এসেছে জানিয়ে এতে বলা হয়, ওই অভিনেতা বারবার হনসিকাকে জোর করতে থাকে ডেটিংয়ে বাইরে যাওয়ার জন্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রস্তাব স্পষ্টতই অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছিল অভিনেত্রীকে। তিনি সেই ব্যক্তির নাম প্রকাশ না করলেও, দিয়েছিলেন যোগ্য জবাব।
হানসিকার দাবি সাম্প্রতিক সময়ে এ রকম কোনো সাক্ষাৎকার তিনি দেননি। অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এই ধরনের কোট আমি কখনও দেইনি!!! এই সব আবর্জনা ছাপানো বন্ধ করুন।’
আরেক টুইটে তিনি নিউজ পোর্টালগুলোকে অনুরোধ করেন সামজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে এ রকম খবর নেয়া বন্ধ করতে এবং সত্যতা যাচাই না করে তা প্রকাশ না করতে।
তিনি লেখেন, ‘প্রকাশনা সংস্থার কাছে অনুরোধ যে কোনো খবর তুলে নেয়ার আগে তা ক্রস চেক করে নেয়ার। এখন যে ধরনের খবর ঘুরছে তা আমি কখনোই বলিনি। প্রকাশ করার আগে তাই ফ্যাক্ট চেক করে নিন।’
চলতি মাসের শুরুতে হানসিকা চেন্নাইতে পরিচালক ইগোরের তামিল সিনেমা ম্যান -এর শেষ শিডিউলের শুটিং শেষ করেছেন। তিনি একন ফ্যাশন ডিজাইনারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এতে।
এদিকে হানসিকার হরমোনাল ইঞ্জেকশন নেয়ার খবরটিও ভুয়া বলে দাবি করেন তিনি।
অভিনেত্রী বলেছেন, আজ পর্যন্ত আমি কোনো ইনজেকশন নিইনি। আমার শরীরে কোনো ট্যাটু পর্যন্ত নেই। কারণ আমি ইনজেকশনকে ভয় পাই। আমার সম্পর্কে এই ধরনের ঘটনা যারা রটিয়েছে তারা আসলে আমাকে হিংসা করে।
আরও পড়ুন:সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় শো ‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’-এর পরিচিত মুখ ভারতীয় অভিনেত্রী বৈভাবী উপাধ্যায়।
হিমাচল প্রদেশে মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনায় ৩২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী নিহত হন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রযোজক জেডি মাজেথিয়া ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, জীবন এত অনিশ্চিত। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন অভিনেত্রী বৈভাবী। গাড়ি পাহাড়ি রাস্তায় বাঁক নেয়ার সময় খাদে গিয়ে পড়ে।
মুম্বাইয়ে অভিনেত্রীর শেষকৃত্য হবে বলে জানান মাজেথিয়া।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গাড়িতে বৈভবীর সঙ্গে ছিলেন তার হবু বর, তার অবস্থা স্থিতিশীল। দুজনের বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল।
‘সারাভাই ভার্সেস সারাভাই’ ছাড়াও বৈভবীকে দেখা গেছে টিভি শো ‘কেয়া কাসুর হ্যায় আমলা কা’, ডিজিটাল সিরিজ ‘প্লিজ ফাইন্ড অ্যাটাচড’ এবং ‘ছপক’ সিনেমায়।
গুজরাটি থিয়েটারের জগতে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন বৈভবী। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া পড়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে।
আরও পড়ুন:বিচ্ছেদের পথে এগোচ্ছেন আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সানাই মাহবুব। সংসারে তার ভাঙনের সুর। এই বিচ্ছেদের জন্য স্বামী ও শাশুড়িকে অভিযুক্ত করলেন তিনি।
গত কদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন সানাই। এবার সরাসরি কথা বললেন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে।
সোমবার সানাই বলেছেন, আমার শাশুড়ির জন্যই আমাদের সংসারটা ভাঙনের পথে। এ নিয়ে স্বামীকে বললেও সে চুপ থাকে।
জুন মাসের মাসের ৭ তারিখ কোর্টের মাধ্যমে তাদের আনুষ্ঠানিক ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
সানাই বলেন, আমাদের আর একসঙ্গে থাকা হচ্ছে না। একটা সংসার টিকিয়ে রাখতে দু’জনের চেষ্টা থাকা লাগে। কিন্তু ওর মাঝে সেটা দেখি না।’
একই দিন ফেসবুকে একটি পোস্টেও একই ধরনের মন্তব্য করেছন এই মডেল। তিনি লেখেন, যে স্বামী বোঝেনি তার স্ত্রী তার কাছে কতো টুকু দামি...। ছেড়ে দেয়াই উত্তম সেই পুরুষের হাত যে বোঝেনি নারীর কদর।
এর দুদিন আগে আরেক পোস্টে সানাই লেখেন, বিচ্ছেদ জীবনেরই অংশ।
মডেলিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু সানাই মাহবুবের। পরে কাজ করেন মিউজিক ভিডিওতে। এক পর্যায়ে ‘ময়নার ইতিকথা’ ও ‘শালবনের মহুয়া’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তবে সিনেমা দুটি মুক্তি পায়নি।
ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে আলোচনায় আসা সানাই সবচেয়ে বেশি আলোচিত হন ২০১৮ সালে ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে তার স্তনের আকৃতি বড় করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও ভিডিও প্রকাশ নিয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের পর ভক্তদের কাছে ক্ষমাও প্রার্থনা করেন তিনি। ২০১৯ সালে সাবেক মন্ত্রীকে বিয়ের ঘোষণা দিয়ে আবার আলোচনায় আসেন।
তবে শেষ পর্যন্ত গত বছর অনেকটা গোপনেই আবু সালেহ মুসা নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।
পেশাগত জীবনের চেয়ে ব্যক্তিগত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য এক সময় চর্চার কেন্দ্রে সানাইকে এখন তেমন একটা দেখা যায় না পর্দায়। ফেসবুক বা অন্য মাধ্যমেও আগের মতো আলোচিত কোনো কর্মকাণ্ড নেই তার।
সানাই বেশ কিছুদিন আগে ঘোষণা দেন অনলাইনে শাড়ির ব্যবসার। স্বামী-সংসার, পারিবারিক ব্যবসা এসব নিয়েই সময় কাটছে তার। তবে এবার বোধহয় ভেঙেই যাচ্ছে তার সংসার।
আরও পড়ুন:তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের চলাফেরায় সতর্কতা জারি বিএনপির অপরাজনীতির ফসল। দলটি হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
টেলিভিশন নাট্যপরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে সোমবার সচিবালয়ে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। এতেই প্রমাণ হয় বিএনপি আসলে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিটাই করছে। বিএনপি নেতাদের মনে এবং দলের মধ্যে এটাই ঘুরপাক খাচ্ছে। আর সেটাই তাদের রাজশাহী জেলা আহ্বায়কের মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে।’
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের চলাফেরায় সতর্ক বার্তা জারি সম্পর্কে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এটি করা খুবই স্বাভাবিক। বিএনপি গাড়ি ভাংচুর ও আগুন দেয়া শুরু করেছে। সেসব দেখেই যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে।
‘বিএনপি এবং দলটির নেতৃত্বের জোট এরকম জ্বালাও-পোড়াও করতে থাকলে অনেকেই এমন সতর্ক করতে পারে। এটি বিএনপির অপরাজনীতিরই ফসল।’
বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠানগুলোর মান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশ বিবেচনায় নিলে মানুষ বাংলাদেশ টেলিভিশনই বেশি দেখে। বিটিভি’র অনুষ্ঠানে বহু গুণগত পরিবর্তন এসেছে। যে কোনো টেলিভিশনের চেয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রোগ্রামের মান এখন অনেক উন্নত।’
তথ্যমন্ত্রী এর আগে ডিরেক্টরস গিল্ডের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সব টেলিভিশনকে উৎসাহ দিচ্ছি যাতে তারা বাংলাদেশের শিল্পী, কলাকুশলীদের নিয়ে দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সিরিয়াল বানায়। একইসঙ্গে সেগুলো যেন সমাজকে ভালো জিনিস শেখায়। যে কোনো সিরিয়াল বা নাটক যেমন বিনোদন দেবে পাশাপাশি যদি সেখানে সমাজহিতৈষী বার্তা থাকে, তাহলে সেটিকে আমি যথার্থ এবং পরিপূর্ণ মনে করি।’
ডিরেক্টরস গিল্ড সভাপতি অনন্ত হীরা সংগঠনের পক্ষে তিনটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টে ডিরেক্টরস গিল্ডের একজন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা, টেলিফিল্মকে আলাদা ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আওতায় আনা এবং টেলিভিশন মাধ্যমে কর্মরতদের পেশার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি।
সহ-সভাপতি মনোজ সেনগুপ্ত বিটিভিতে ডিরেক্টরস গিল্ড সদস্যদের পালাক্রমে কাজের সুযোগ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনার প্রস্তাব দেন।
মন্ত্রী প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনার আশ্বাস দেন এবং বলেন, ‘বাংলাদেশে টেলিভিশনের সংখ্যা যতো বৃদ্ধি পাচ্ছে নাটকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশি সিরিয়াল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি ক্রমবর্ধমান সেক্টর।
‘আমরা বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে যথেচ্ছভাবে বিদেশি সিরিয়াল প্রচারের লাগাম টেনে ধরেছি। কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে একসঙ্গে একটির বেশি সিরিয়াল প্রচার করতে দিচ্ছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক দেশের সিরিয়াল দেখানোর জন্য আমাদের কাছে আবেদন আসে। কিন্তু আমরা সবগুলো দেই না। কারণ সেসব দেশের সমাজ ব্যবস্থার তুলনায় আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ভিন্ন। এতে অনেক টেলিভিশন সতর্ক হয়েছে এবং তারা নিজেরা সিরিয়াল বানাচ্ছে।
‘আগে এ বিষয়ে অনুমতির বালাই ছিলো না। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার পর থেকে আমরা এ ব্যবস্থা নিয়েছি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য