কিছু হলেই ছবি, কিছু হলেই ভিডিও। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভাইরাল হয়ে যায় খুব সাধারণ ঘটনাও। এ পরিস্থিতির বিপক্ষে মত দিলেন চিত্রনায়ক ওমর সানি। বললেন, এই লোভ ছাড়তে হবে।
ফেসবুকে নানা সময় নানা ঘটনা নিয়ে লেখতে দেখা যায় অভিনেতাকে। পরোক্ষভাবে কাউকে কাউকে দেন পরামর্শও। এবারও তাকে দিতে দেখা গেল এমনই এক পরামর্শ।
রোববার দুপুরে ফেসবুকে ওমর সানি লিখেছেন, ‘টাকার লোভ, ভাইরাল হওয়ার লোভ, সবকিছু নিয়ে সিনেমা ভাবা। শুধু শুধু পাকনামি করা, এগুলি ছাড়তে হবে।’
কাকে নিয়ে এমন কথা লিখলেন, এ প্রশ্ন করেছেন তার ভক্তরা পোস্টের নিচে কমেন্ট করে। কমেন্টের রিপ্লে দিলেও এ ব্যপাারে তিনি কিছু বলেননি।
অভিনেতা লিখেছেন, ‘পরিবার হচ্ছে আসল, এর চেয়ে আর কোন শান্তি নেই।’
ভাইরাল হওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নেয়া ওমর সানিকেও অবশ্য মাঝে মাঝে বিভিন্ন পোস্ট ও তারকাদের পোস্টে কমেন্টে করে ভাইরাল হতে দেখা যাায়।
প্রথম রোজার দিনে নিজের রেস্টুরেন্টের ইফতার সামগ্রী নিয়ে ফেসবুক লাইভে এলেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
শুক্রবার বিকেলে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে বিভিন্ন ইফতার সামগ্রী দেখিয়ে ক্রেতাদের সেখানে আমন্ত্রণ জানান তিনি।
গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহের দিকে যেতে তেলিপাড়া বাজারে ফারিশতা নামের রেস্টুরেন্টটি মাহি ও তার স্বামী সরকারের। গত বছর সেখানে চালু হয়েছে এই রেস্টুরেন্ট।
মাহি ফেসবুক লাইভে ঘুরে ঘুরে ইফতার সামগ্রী দেখান ভক্তদের। কী কী পাওয়া যাচ্ছে তা নিয়েও ধারণা দেন তিনি। এক পর্যায়ে কথা বলেন তার স্বামীও।
সন্তান সম্ভবা মাহি গত সপ্তাহেই ওমরাহ পালন করে এসেছেন দেশে। ফেরার দিন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছিল তাকে। অবশ্য কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জামিনে মুক্ত হন তিনি।
ধর্ষণসহ বেশকিছু অভিযোগ আনা প্রযোজক রহমত উল্লাহর নামে মামলা করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আরফাতুল রাকিবের আদালতে এই মামলা করেন তিনি।
শাকিবের মামলায় রহমতের নামে ‘চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি’ দেয়ার অভিযোগে আনা হয়েছ।
আদালত মামলার পর শাকিবের জবানবন্দি রেকর্ড করে রহমত উল্লাহকে আগামী ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার সমন জারি করেছে।
এই প্রযোজকের নামে মানহানির মামলা করতে এর আগে শনিবার রাতে গুলশান থানায় গিয়েছিলেন শাকিব। তবে পুলিশ মামলাটি না নিয়ে তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার শাকিবকে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। মানহানির অভিযোগ এনে সময় বেধে দিয়ে তাকে ক্ষমা চাইতে বলেন তিনি।
গত ১৫ মার্চ বিকেলে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর শাকিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
তার লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এই প্রযোজক ২০১৭ সালে তার সিনেমাটির শুটিংয়ের সময় শাকিব খানের দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, শুটিংয়ের সময় শাকিবের বিরুদ্ধে এক সহ-প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগও তোলেন তিনি।
প্রযোজক রহমত উল্লাহর সঙ্গে ১৬ মার্চ বৈঠক করেন শাকিব খান। এ বৈঠকের উদ্যোগ নেন শাকিবের সাবেক স্ত্রী নায়িকা অপু বিশ্বাস। তবে ওই বৈঠকে শেষ পর্যন্ত কোনো সমাধান আসেনি।
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহার অভিযোগে বলা হয়, একবার শাকিব খান তাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
ধর্ষণসহ বেশকিছু অভিযোগ আনা প্রযোজক রহমত উল্লাহর নামে মামলা করতে ঢাকার আদালতে উপস্থিত হয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।
বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পৌঁছান তিনি।
ওই প্রযোজকের নামে মানহানির মামলা করতে এর আগে শনিবার রাতে গুলশান থানায় গিয়েছিলেন শাকিব। তবে পুলিশ মামলাটি না নিয়ে তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার শাকিবকে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। মানহানির অভিযোগ এনে সময় বেধে দিয়ে তাকে ক্ষমা চাইতে বলেন তিনি।
গত ১৫ মার্চ বিকেলে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর শাকিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
তার লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এই প্রযোজক ২০১৭ সালে তার সিনেমাটির শুটিংয়ের সময় শাকিব খানের দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, শুটিংয়ের সময় শাকিবের বিরুদ্ধে এক সহ-প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগও তোলেন তিনি।
প্রযোজক রহমত উল্লাহর সঙ্গে ১৬ মার্চ বৈঠক করেন শাকিব খান। এ বৈঠকের উদ্যোগ নেন শাকিবের সাবেক স্ত্রী নায়িকা অপু বিশ্বাস। তবে ওই বৈঠকে শেষ পর্যন্ত কোনো সমাধান আসেনি।
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহার অভিযোগে বলা হয়, একবার শাকিব খান তাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
এতে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ওই নারী তখন এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি নিজেও একজন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত নারী। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে আবার অস্ট্রেলিয়ায় আসলে শাকিব ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। তবে সেই নারী প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই ছাড়া পেয়ে যান।
আরও পড়ুন:বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পান্নু মানেই আলোচনা, সমালোচনা। এ যেন তার জীবনের নিত্যদিনের ঘটনা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার একটি ফ্যাশন শোতে হেঁটে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে সমালোচিত হলেন তিনি।
বলিউডের ‘হাসিন দিলরুবা’র ইনস্টাগ্রামে ওই অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করার পর পোশাক ও গয়নার ধরন দেখে তেলে-বেগুনে জ্বলছেন ভক্তরা।
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, মুম্বাইয়ে এক নামী ফ্যাশন শোয়ের র্যাম্পে পোশাকশিল্পী মনীষা জয়সিংহের জন্য হেঁটেছিলেন তাপসী। পোশাকশিল্পীর বানানো লাল গাউনে সেজেছিলেন তিনি। এক মাথা কোঁকড়ানো চুল, সঙ্গে গলায় ছিল সোনালিরঙা ভারী গহনা। ওই পোশাকে একগাল হাসি নিয়ে ছবিও তোলেন অভিনেত্রী।
এ ছবি পোস্ট করার পর থেকেই সমালোচনার সূত্রপাত। তাপসীর গলার গহনা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। অভিনেত্রীর পরনের লাল গাউনের কাঁধ থেকে নাভি পর্যন্ত খোলা। বুকের মাঝে বসেছিল চোকার জাতীয় গহনাটি। সেই গহনার মাঝে এক হিন্দু দেবীর ছবি।
স্পষ্ট বুঝতে পারা না গেলেও, দূর থেকে তা লক্ষ্মী দেবীর ছবি বলেই মনে হচ্ছে। তাতেই খেপেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। তাদের অভিযোগ, এই ধরনের ‘অসভ্য’ পোশাকের সঙ্গে ওই গহনা পরে অশালীনতার সীমা ছাড়িয়েছেন অভিনেত্রী।
অনেকের অভিযোগ, ‘অপবিত্রভাবে’ হিন্দু দেবীকে গহনার মাধ্যমে ধারণ করেছেন তাপসী। তাপসীর ছবিতে মন্তব্য করতে গিয়ে কেউ লিখেছেন, ‘শরীর দেখাতে চাইছেন, দেখান। সঙ্গে আমাদের দেবীর মুখ বসানো গহনা পরছেন কেন?’
সমালোচনার ঝড় বয়ে গেলেও এখনও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি তাপসী।
আরও পড়ুন:রহমত উল্লাহ নামের এক প্রযোজকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে শনিবার গভীর রাতে গুলশান মডেল থানায় গিয়েছিলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান, তবে শাকিবকে আদালতে মামলার পরামর্শ দিয়েছেন থানার কর্মকর্তারা।
শাকিব খান মামলার উদ্দেশ্যে গুলশান থানায় গিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে বেরিয়েই তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে থানা থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে আদালতে মামলা করার জন্য।’
এ অভিনেতার ভাষ্য, ‘আমার বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ এনেছেন তিনি আসলে প্রযোজক কি না আপনারা প্রযোজক সমিতিতে গেলেই আসল তথ্য পেয়ে যেতেন। উনি কোনো প্রযোজকই নন।
‘আমার বিরুদ্ধে একটি ভুয়া অভিযোগ এনেছেন। যেহেতু ভুয়া অভিযোগ এসেছে, আমি আইনি পদক্ষেপ নিতে আমার এরিয়া গুলশান থানায় এসেছি।’
আদালতে মামলার বিষয়ে শাকিব বলেন, ‘আমি এখানকার (গুলশান থানা) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই আমি আগামীকাল আদালতে মামলা করতে যাব।’
অস্ট্রেলিয়ায় শাকিবের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে, তা নিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম অভিনেতা বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার আইন কি এতই দুর্বল যে, আমার বিরুদ্ধে সেখানে মামলা হলে বিচার ছাড়াই আমি বাংলাদেশে চলে আসতে পারব? আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখুন যে মামলা নম্বর উনি উল্লেখ করেছেন, সেটি ভুয়া।’
শাকিবের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ প্রযোজকের
গত ১৫ মার্চ চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন একটি সিনেমার প্রযোজক।
ওই দিন বিকেলে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
লিখিত অভিযোগে এই প্রযোজক ২০১৭ সালে তার সিনেমাটির শুটিংয়ের সময় শাকিব খানের মাধ্যমে কী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু অভিযোগ তোলেন।
অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার বলেছেন, ‘যার বিরুদ্ধে অভিযোগটি এসেছে তিনি দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা। যাচাই-বাচাইয়ের আগে আমরা এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না।’
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহর অভিযোগে বলা হয়, একবার শাকিব খান তাদের একজন নারী সহপ্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
এতে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ওই নারী তখন এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি নিজেও একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে আবার অস্ট্রেলিয়ায় এলে শাকিব ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন, তবে সেই নারী প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই সময় ছাড়া পেয়ে যান।
আরও পড়ুন:অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চিত্রনায়িকা পরীমনি।
শনিবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পরীমনি লিখেছেন, 'এইটা কোনো কথা না ভাই। চুপ করে থাকতে থাকতে কখন যে বোবা হয়ে যাবো আমরা…..'
তিনি আরও লিখেছেন, 'দেখছেন মাহীর দিকে। বুক কাঁপলো না আপনাদের! একজন অন্তঃসত্ত্বার এই শারীরিক ও মানসিক ধকলের দায়ভার কে নিচ্ছে তাহলে! আইনের এই খেলা বন্ধ হোক। মাহিকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেয়া হোক।'
মন্তব্য