পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি থেকে দাম্পত্য তিক্ততা রূপ নেয় চরমে। একে অন্যের থেকে সরতে থাকেন দূরে। একপর্যায়ে ছয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক ও দুই বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনে সিদ্ধান্ত নেন আলাদা থাকার।
পাহাড়সম অহম থেকে নিশাত ও আবির যুগলের এ বিচ্ছেদের বলি হয় নবজাতক রাইসা। দুজনের কেউই ভাবছেন না শিশুটির পরিণতি নিয়ে।
ভাঙনের এমন গল্পকে উপজীব্য করে ‘ইতি তোমার মেয়ে’ নামের একক নাটক নির্মাণ করেছেন রানা বর্তমান, যার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ শামীম সিকদারের।
‘‘আমাদের গল্পটি ভিউয়ের গল্প নয়, তবে বর্তমান সময়ের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্লট নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। একটি ব্রোকেন ফ্যামিলির গল্প ‘ইতি তোমার মেয়ে’”, বলেন নির্মাতা রানা বর্তমান।
‘সম্পূর্ণ ফ্যামিলি ড্রামার ওপর নির্মিতব্য নাটকটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখলে দর্শকদের হৃদয় স্পর্শ করবে এবং অনেকের অজান্তেই চোখের পানি গড়িয়ে পড়বে’, যোগ করেন তিনি।
নাটকের সংলাপ ও অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘সমসাময়িক গল্প নিয়ে নাট্যকার শামীম সিকদার দারুণ যত্ন করে নাটকটির চিত্রনাট্য ও সংলাপগুলো লিখেছেন। প্রতিটি কলাকুশলীর সুনিপুণ অভিনয় নাটকটিতে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে।’
শবনম ফারিয়া, আবু হুরায়রা তানভীর, টুটুল চৌধুরী অভিনীত নাটকে দেখা যাবে কয়েকজন শিশুশিল্পীকেও। এতে বিশেষ চরিত্রে থাকছে শিশুশিল্পী জাফনা সুবাইতা হাসান।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টায় এনটিভিতে প্রচার হবে নাটকটি।
নাট্যজন ইশরাত নিশাতের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার নামে মর্যাদাপূর্ণ নাট্য পুরস্কার প্রবর্তন করা হয় ২০২১ সালে। চলতি বছর থেকে ৯টি ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। এর বাইরে জুড়ি বোর্ডের ‘বিশেষ স্বীকৃতি’ পেয়েছে নতুন নাট্যদল এক্টোম্যানিয়ার প্রথম প্রযোজনা ‘হ্যামলেট মেশিন’।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মঞ্চে শুক্রবার সন্ধ্যায় নাট্যকর্মীদের উপস্থিতিতে জুড়ি বোর্ডের ‘বিশেষ স্বীকৃতি’ দলের সদস্যদের হাতে তুলে দেন নাট্যব্যক্তিত্ব সারা যাকের।
জার্মান নাট্যকার হাইন্যার ম্যুলারের লেখা নাটকটির নির্দেশনা দেন নওরীন সাজ্জাদ।
বিশেষ স্বীকৃতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই অনুভূতি অতুলনীয়। এই আবেগ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
‘প্রথম প্রযোজনায় এই প্রাপ্তি আমাদের আনন্দিত করছে; উৎসাহিত করছে দারুণভাবে।’
ঢাকার মঞ্চে ২০২৩ সালে এসেছে ৭৫টি নতুন নাটক। এর মধ্যে ৩৩টি নাটক দেখে জুড়ি বোর্ড নির্বাচিতদের পুরস্কৃত করে।
নাট্যদল এক্টোম্যানিয়ার মুখ্য সম্পাদক তালহা জুবায়ের বলেন, ‘এই অর্জন আমাদের পুরো দলের। ঢাকার মঞ্চে নতুন হিসেবে এই অর্জন আমাদের উৎসাহ, সাহসের সঙ্গে দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে দিচ্ছে আরও নতুন কিছু সৃজনের।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী থিয়েটারের যে অর্জন, সে বিবেচনায় নাট্যকর্মীদের প্রাপ্তি বা মূল্যায়নে এ রকম পুরস্কার দেয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।
মঞ্চ নাটকের অবদানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে পদক দেয়া হলেও সামগ্রিকভাবে কোনো পুরস্কারের প্রচলন ছিল না। বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই দেশের বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব ও গুণিজনদের সম্পৃক্ত করে একটি বাস্তবায়ন কমিটি এ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নামী নাট্যব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ। এর কো-চেয়ারপারসন হিসেবে রয়েছেন অভিনেত্রী সারা যাকের।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শনিবার প্রদর্শনী হবে ঢাকা পদাতিকের ৩৮তম প্রযোজনা ‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’।
একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটির ২৯তম প্রদর্শনী হবে।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীর সেনানী মাস্টার দা সূর্যসেনের প্রহসনমূলক বিচার ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়বস্তুকে উপজীব্য করে নাটকটি মঞ্চে আনে ঢাকা পদাতিক।
‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’ নাটকের রচনার পাশাপাশি নির্দেশনা দেন নাট্যজন মাসুম আজিজ। তার মৃত্যুর পর নব নির্দেশনার কাজটি করেন অভিনেতা নাদের চৌধুরী।
এ বিষয়ে নাদের চৌধুরী বলেন, “‘ট্রায়াল অব সূর্যসেন’ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ঐতিহাসিক একটি নাটক। এর রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রয়াত মাসুম আজিজ ভাই, তবে পরবর্তী সময়ে এই নাটকের কিছু কিছু জায়গায় প্রয়োজন সাপেক্ষে অলংকরণ করে আমি নব নির্দেশনার কাজটি করেছি।
“মাস্টার দা সূর্যসেন এই নাটকের প্রধান চরিত্র, যেটি আমি রূপায়ন করেছি। ঐতিহাসিক নাটকটি আমাদের এখনকার জেনারেশনের দেখা উচিত।’’
ঐতিহাসিক ব্যক্তিরা নাটকটির চরিত্র। এতে মোট ৪০টি চরিত্র রয়েছে।
চরিত্রগুলো হলো সূর্য সেন, প্রীতিলতা, কল্পনা দত্ত, অম্বিকা রায়, নির্মল সেন, ব্রিটিশ উকিল ও বাঙালি উকিল প্রভৃতি।
এসব চরিত্র রূপায়ন করছেন নাদের চৌধুরী, মাহবুবা হক কুমকুম, মিলটন আহমেদ, হাসনা হেনা শিল্পী, মাহাবুবুর রহমান টনি, সাবিহা জামান, শ্যামল হাসান, কাজী আমিনুর, আক্তার হোসেনসহ অনেকে।
২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়।
আরও পড়ুন:নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলার লোক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার লক্ষ্যে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির উদ্যোগে দেশব্যাপী চিরায়ত বাংলা নাটক মঞ্চায়ন কর্মসূচি উদযাপন করছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) থিয়েটার ক্লাব।
এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) আইইউবি মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হলো মনসুর বয়াতি রচিত পালা নাটক ‘দেওয়ানা মদিনা’।
নাটকটির নির্দেশনায় মো. শামীম সাগর এবং সহ-নির্দেশনায় ছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর পরিকল্পনায় ৬৪টি জেলা ও ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। দেওয়ানা মদিনা এই কর্মসুচির তৃতীয় এবং আইইউবি থিয়েটারের ২১তম প্রযোজনা।
দর্শক সারিতে উপস্থিত থেকে নাটকটি উপভোগ করেন আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান, বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের উপ-পরিচালক আলী আহমেদ মুকুল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল জাবির, আইইউবি থিয়েটারের সমন্বয়ক মমতাজ পারভীন এবং আইইউবির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
মনসুর বয়াতি রচিত ‘দেওয়ানা মদিনা’ পালাটি মৈমনসিংহ গীতিকা সংগ্রহের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গীতিকা হিসেবে সমাদৃত। বানিয়াচঙ্গের দেওয়ান সোনাফরের পুত্র আলাল ও দুলালের বিচিত্র জীবনকাহিনী এবং দুলাল ও গৃহস্থ মদিনার প্রেমকাহিনী এই পালার বিষয়বস্তু।
নাটকটিতে অভিনয় করেন আইইউবির নাট্যকর্মী শিক্ষার্থী আনিকা বুশরা শশী, মো. বাসিতুল্লাহ খান, মো. তৌহিদুল ইসলাম অঙ্কুর, সানজিদা আক্তার মীম, আশরাফুল করিম চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল মাহিন সিয়াম, মুবাল্লিক হোক মৃধা (আবিদ), সৌহার্দ্য পাল, সামিয়া রেজা মাইশা, আনিকা ফাইরোজ, মো. সৌমিক উদ্দিন মাহি, মোছা. সাদিয়া আফরিন অর্না, মুবাশশির আল জামী সিয়াম প্রমুখ।
সংগীত সহযোগিতায় ছিল ভিনস ব্যান্ড, জাহিদ হাসান, স্লাঘা অধিকারী, শরীফ মোহাম্মদ শাহজালাল পরান, এস এম শাকিল আমিন এবং আইইউবি মিউজিক ক্লাব।
ছোটপর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যু নিয়ে রহস্য পুরোপুরি খোলাসা হয়নি। অভিনেত্রীর স্বজনদের বরাতে পুলিশ যদিও জানিয়েছে যে আত্মহত্যা করেছেন হিমু। তবে কয়েকটি অমীমাংসিত প্রশ্নের কারণে ঘটনাটি নিয়ে ‘কিন্তু’ থেকে যাচ্ছে।
হিমুর মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে যান তার কথিত প্রেমিক মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রাফি ও অভিনেত্রীর মেকআপ আর্টিস্ট মিহির। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করার পর হিমুর মোবাইল ফোনটি নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছেন প্রেমিক রাফি।
পুলিশ তাকে খুঁজছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) উত্তরার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) জ্যোতির্ময় সাহা।
এদিকে জিয়াউদ্দিন রাফির সঙ্গে সম্প্রতি হিমুর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল বলে পরিবারের সদস্যদের বরাতে জানিয়েছেন ডিএমপি উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোর্শেদ আলম।
তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে হুমায়রা হিমুর সঙ্গে রাফির ঝগড়া চলছিল৷ হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে এলেও মৃত্যুর খবর শুনে তিনি পালিয়ে গেছেন।
আরেকটি সংবাদমাধ্যমের খবর, হিমুর ওই প্রেমিক নিজেও বিবাহিত। আলাদা সংসার রয়েছে তার।
উত্তরা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মির্জা সালাউদ্দিনের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, অভিনেত্রী হিমু ছিলেন ব্রোকেন ফ্যামিলির। তিনি তার এক পালিত ভাইকে (মিহির) নিয়ে উত্তরার ফ্ল্যাটে থাকতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য, ‘বিবাহিত ওই যুবকের (রাফি) সঙ্গে অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ছেলেটি তার ফ্ল্যাটে প্রায়ই আসা-যাওয়া করতেন। মাঝে মাঝে তিনি হিমুর সঙ্গে থাকতেনও।’
তিনি বলেন, ‘আজ বিকেল ৩টার দিকে হিমুর বাসায় এসেছিলেন রাফি। পরে তাদের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। হিমুর পালিত ভাই মিহির তখন ওয়াশরুমে ছিলেন। হিমু রুমে একাই ছিলেন। এরপর মিহির বের হয়ে দেখেন হিমু ফ্যানের হ্যাঙ্গারের সঙ্গে ঝুলছেন। রাফি ও মিহির তখন হিমুকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।’
যদিও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে হিমু আত্মহত্যা করেছেন বলেই উঠে এসেছে। আর তা সত্যি হয়ে থাকলেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে- এই আত্মহননের নেপথ্যে কে বা কারা দায়ী? কারণটাই বা কী? রাফি বিবাহিত এবং তার সংসার থাকার পরও হিমুর পরিবারের সঙ্গে তার বিয়ের কথা চলে কীভাবে? বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই কি নিভে গেল আরেকটি সুন্দর জীবনের প্রদীপ?
উত্তর মেলেনি এসব প্রশ্নের। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে একটি প্রশ্ন উঠতেই পারে- আত্মহত্যা কি সত্যিই জীবনের জটিল হিসাবের জট মেলাতে পারে?
আরও পড়ুন:অভিনেত্রী হুমায়র হিমু ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। অভিনেত্রীর পরিবারের বরাতে পুলিশ প্রাথমিকভাবে এ তথ্য পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে নিজ বাসায় ফ্যানের হ্যাঙ্গারে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে। সেখান থেকে হিমুকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে উত্তরার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) জ্যোতির্ময় সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুরতহাল ও পরিবারের বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে জানা যায়, হুমায়রা হিমু আত্মহত্যা করেছেন। সুরতহাল শেষে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
পরিবারের বরাতে তিনি বলেন, ‘পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে লাশ পেয়েছে। অভিনেত্রীর পরিবার জানিয়েছে, ফ্যান লাগানোর হ্যাঙ্গারে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় হিমুকে পাওয়া যায়। পরে মেকআপ আর্টিস্ট মিহির (যাকে হিমু ভাই ডাকতেন) ও প্রেমিক রাফি উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় হুমায়রা হিমুর কথিত বয়ফ্রেন্ড রাফিকে খুঁজছে পুলিশ। হিমুকে রেখে হাসপাতালে রেখে তিনি পালিয়েছেন।’
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু মারা গেছেন।
অভিনয়শিল্লী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিউজবাংলাকে জানান।
তিনি বলেন, ‘রাজধানীর উত্তরার একটি বাসায় থাকতেন হুমায়রা হিমু। সেখান থেকে তাকে আজ বিকেলে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নেয়া হলে ৪টা ৪৬ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
কেন ও কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি রওনক হাসান। তবে বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।
২০০৬ সালে ‘ছায়াবীথি’ নামের একটি নাটকের মাধ্যমে ছোটপর্দায় নাম লেখান হিমু। অল্পদিনেই লাভ করেন জনপ্রিয়তা। তার অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’ উল্লেখযোগ্য।
চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন হিমু। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এ ছবি তে অরু চরিত্রে দেখা যায় তাকে। হিমুর মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে তার সহকর্মীদের মাঝে। সামাজিক মাধ্যমে সেই শোক প্রকাশ করছেন তারা।
বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক মঞ্চায়িত নাটক আগাথা ক্রিস্টির ‘দ্য মাউসট্র্যাপ’ আসছে শিল্পকলার মঞ্চে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের পরিবেশনায় শুক্র ও শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে নাটকটি।
নাটকটির নির্দেশনায় আছেন বিভাগের প্রভাষক আফরিন হুদা।
তিনি বলেন, নাটকটির ঘটনা রহস্যঘেরা এক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। প্রচলিত বাংলায় অত্যন্ত সহজ ও প্রাঞ্জল অনুবাদ অভিনেতাদের বোধগম্য করে তুলতে সাহায্য করেছে। হত্যা, খুনি, গোয়েন্দা, মানসিক বিকারগ্রস্ততা- এসবের মাঝে এক জটিল ধাঁধার মধ্যদিয়ে নাটকের কুশীলবরা খুনের রহস্য উদঘাটন করেন।
‘নাটকের প্রতিটি ধাপে নতুন পরিস্থিতি, সন্দেহ, অবিশ্বাস মানব মন ও অস্তিত্বের এক জটিল সমীকরণ খোঁজার চেষ্টা করে। জটিল ও দ্বান্দ্বিক প্রশ্নের উত্তরের এই নাটকীয় উপস্থাপনা দর্শকদের মনস্তত্ত্বের গভীরে পৌঁছে এক স্নায়বিক আলোড়ন সৃষ্টি করে।’
‘কুইন অফ ক্রাইম’ খ্যাত লেখক আগাথা ক্রিস্টি রচিত নাটকটির অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক আব্দুস সেলিম। অভিনয়ে রয়েছেন- রাফিউল রকি, বিলাস, তৌফিক মেসবাহ, ইব্রাহিম, ব্রততি, বুশরা, তূর্ণা, ইমাম, সাগর, তানভীর, মুন্না, রাখি, পৃথা, শুভ্রা, সুব্রত, কৈসর, অনন্যা, পিংকি ও কেয়া।
আবহ সঙ্গীত পরিকল্পনা ও প্রয়োগে ইনজয়; পোশাক পরিকল্পনা সহযোগী মৌ, সাবিহা, বৃষ্টি ও কর্ণা; আলোক প্রক্ষেপণ সহযোগী মাহাবুব ও রঞ্জন; সেট নির্মাণে রঞ্জন, নোভা, আনোয়ার, কাঁকন, সাকিব ও অথৈ; প্রপস নির্মাণে উচ্ছ্বাস, ফিজা, সিফাত, বিথু, মীম, সৌমিক ও বাবলু; প্রকাশনায় সিয়াম; অঙ্গ রচনায় নিশা, অনামিকা, সোমালি, প্রিয়তী, স্বপ্নীল ও কর্ণা।
প্রসঙ্গত, আগাথা ক্রিস্টি রচিত ‘দ্য মাউসট্র্যাপ’ নাটকটির আগের নাম ছিল ‘থ্রি ব্লাইন্ড মাইস’। এটি প্রথমে একটি রেডিও নাটক হিসেবে প্রচলিত ছিল। রাজা পঞ্চম জর্জের স্ত্রী কুইন মেরি-র ৮০তম জন্মদিনের উপহার হিসেবে আগাথা ক্রিস্টি নাটকটি লিখেছিলেন।
১৯৪৭ সালের ৩০ মে নাটকটি প্রথম রেডিওতে ব্রডকাস্ট হয়। তখন থ্রি ব্লাইন্ড মাইস নামে আরও একটি নাটক প্রচলিত থাকায় আগাথা ক্রিস্টি নাটকটির নাম বদলে করেন ‘দ্য মাউসট্র্যাপ’।
নাটকটি মূলত লন্ডনের কালভার্ট স্ট্রিটে ভিড়ের মধ্যে সংঘটিত হওয়া একটি হত্যাকাণ্ড নিয়ে। হত্যাকাণ্ডটি ঘটে যাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই পাঁচজন অদ্ভুত লোক কাকতালীয়ভাবে একই দিনে, একজন দম্পতির নতুন খোলা গেস্ট হাউসে এসে ওঠে। তার পরদিনই একজন পুলিশ সার্জেন্ট সেই গেস্ট হাউসে আসেন। আবিষ্কার হয়, অতিথিদের মাঝে একজন খুনি রয়েছে। ভয়ে, আতঙ্কে প্রত্যেক চরিত্র একের পর এক তাদের বিভীষিকাময় অতীত প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য