জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১-এর জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এবার ২৭ ক্যাটাগরিতে ৩৪টি পুরস্কার দেয়া হচ্ছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে গত ২৬ জানুয়ারি এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
শিগগির অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়ার কথা রয়েছে।
চলচ্চিত্রশিল্পে বিশেষ অবদান রাখায় এবার আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন (যৌথভাবে) অভিনেত্রী ডলি জহুর ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে (যৌথভাবে) নির্বাচিত হয়েছে মাতিয়া বানু শুকু নির্মিত ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ও রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত নির্মিত ‘নোনাজলের কাব্য’।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন (যৌথভাবে) মো. সিয়াম আহমেদ (মৃধা বনাম মৃধা) ও মীর সাব্বির মাহমুদ (রাতজাগা ফুল); শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (যৌথভাবে) হয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন (রেহানা মরিয়ম নূর) ও তাসনোভা তামান্না (নোনাজলের কাব্য)।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)। পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা এম ফজলুর রহমান বাবু (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী শম্পা রেজা (পদ্মপুরাণ) ও খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে মো. আবদুল মান্নান জয়রাজ (লাল মোরগের ঝুঁটি)পুরস্কার পেয়েছেন।
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে আকা রেজা গালিবের ‘ধর’ এবং শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে কাওসার চৌধুরীর ‘বধ্যভূমিতে একদিন।’
এবার শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হয়েছেন সুজেয় শ্যাম (যৈবতী কন্যার মন)। শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে কে. এম. আবদুল্লাহ-আল-মুর্তজা মুহিন (শোনাতে এসেছি আজ-পদ্মপুরাণ), শ্রেষ্ঠ গায়িকা চন্দনা মজুমদার (দেখলে ছবি পাগল হবি-পদ্মপুরাণ), শ্রেষ্ঠ গীতিকার প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন), শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে সুজেয় শ্যাম (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন) এবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
এ ছাড়া শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা চরিত্রে প্রভাষ কুমার ভট্টাচার্য্য মিলন (মৃধা বনাম মৃধা), শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে আফিয়া তাবাসসুম (রেহানা মরিয়ম নূর) পুরস্কার পেয়েছেন। শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন জান্নাতুল মাওয়া ঝিলিক (যা হারিয়ে যায়)।
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে নূরুল আলম আতিক (লাল মোরগের ঝুঁটি) এবং শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার পেয়েছেন তৌকীর আহমেদ (স্ফুলিঙ্গ)।
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক হিসেবে সামির আহমেদ (লাল মোরগের ঝুঁটি), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক শিহাব নূরুন নবী (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক (দলগত) সৈয়দ কাশেফ শাহবাজি, সুমন কুমার সরকার, মাজহারুল ইসলাম রাজু (লাল মোরগের ঝুঁটি), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক শৈব তালুকদার (রেহানা মরিয়ম নূর), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা শিল্পী হিসেবে ইদিলা কাছরিন ফরিদ (নোনাজলের কাব্য) পুরস্কার জিতেছেন। শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান (দলগত) পুরস্কার পেয়েছেন মো. ফারুক ও মো. ফরহাদ রেজা মিলন (লাল মোরগের ঝুঁটি)।
আরও পড়ুন:মা হয়েছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
রাজধানীর একটি হাসপাতালে মঙ্গলবার রাতে ছেলেসন্তানের মা হন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে বুধবার ভোররাত ৪টা ৩ মিনিটে নবজাতকের একটি ছবি প্রকাশ করেন চিত্রনায়িকা। এর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’।
ছবিতে দেখা যায়, হাসপাতালের বিছানায় ছেলেকে নিয়ে শুয়ে আছেন মাহি। সন্তানের দিকে তাকিয়ে আছেন মাহির স্বামী রাকিব সরকার।
এ ছবিতে কমেন্ট করে অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নায়িকাকে।
অভিনেত্রী শাবস্তী দত্ত তিন্নি লিখেন, ‘অভিনন্দন সুইটহার্ট। ছোট্ট রাজপুত্রের জন্য প্রার্থনা ও ভালোবাসা। মা ও বাবার জন্য শুভেচ্ছা।’
আরেক অভিনেত্রী সাবরিনা সুলতানা কেয়া লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, অনেক দোয়া…অভিনন্দন।’
অভিনেতা শিপন মিত্র লাভ চিহ্ন দিয়ে লিখেন, ‘অভিনন্দন’।
আরও পড়ুন:দীর্ঘ দুমাস চিকিৎসা শেষে অবশেষে বাড়ি ফিরলেন শুটিং হাউজে বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়া মডেল অভিনেত্রী শারমিন আঁখি।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ অভিনেত্রীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
এসময় বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শারমিন, শ্বাসনালিও দগ্ধ ছিল। তাকে কয়েক দিন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল। সব মিলিয়ে দীর্ঘ দুই মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ তাকে ছাড়পত্র দেয়া হলো।
তিনি আরও বলেন, অনেকটা যুদ্ধ করে তাকে সুস্থ করে তুলেছেন আমাদের চিকিৎসকেরা। এ জন্য আমরাও অনেক আনন্দিত। তবে এমন ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের এখনই সজাগ হতে হবে। নইলে এমন ঘটনার শিকার আমাদের হতেই হবে।
অভিনেত্রী আঁখি বলেন, সামনের ছয় মাস আমার জন্য আরও চ্যালেঞ্জিং হবে। এ সময়ে শরীরে রোদ লাগাতে পারব না। লাইটের আলো থেকেও নিজেকে দূরে রাখতে হবে। পুরোপুরি অন্ধকার ঘরবন্দী থাকতে হবে।
গত ২৮ জানুয়ারি বেলা ২টার দিকে মিরপুর-১১, কালশী রোড অ্যাপেক্স শো–রুমের পাশের একটি শুটিং স্পটে দুর্ঘটনার শিকার হন আঁখি। ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তার দুই হাতের সম্পূর্ণ, দুই পা, মুখমণ্ডল ও মাথার একপাশসহ শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন শারমিন আঁখি। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা আঁখির মঞ্চে যাত্রা শুরু ‘অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়’র মধ্য দিয়ে। এই দলের নিয়মিত প্রযোজনা তারাসংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ নাটকের মূল চরিত্র ‘বসন’ করেই আলোচনায় আসেন তিনি। পরবর্তীতে টিভি নাটকে কাজ করেন তিনি।
আরও পড়ুন:রমজান মাস উপলক্ষে হলেও মনকে পবিত্র রাখতে ভক্তদের প্রতি আহ্বান জানালেন আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সুপ্রভা মাহবুব বিনতে সানাই।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের মুখ ঢাকা একটি ছবি দিয়ে এক পোস্টে এ আহ্বান জনিয়েছেন তিনি।
সানাই লিখেছেন, ‘রমজানের উসিলায় হলেও মনকে পবিত্র রাখুন। দেখবেন এটা আপনার ভালো অভ্যাসে পরিণত হবে।’
আলোচিত এই মডেল লিখেছেন, ‘বিশ্বাস করুন সব কিছু ওই মনটাতেই। ওই মনেই মসজিদ স্থাপন করা যায়, যদি আপনি চান।’
মডেলিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু সানাই মাহবুবের। পরে কাজ করেন মিউজিক ভিডিওতে। এক পর্যায়ে ‘ময়নার ইতিকথা’ ও ‘শালবনের মহুয়া’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তবে সিনেমা দুটি মুক্তি পায়নি।
ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে আলোচনায় আসা সানাই সবচেয়ে বেশি আলোচিত হন ২০১৮ সালে ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে তার স্তনের আকৃতি বড় করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও ভিডিও প্রকাশ নিয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের পর ভক্তদের কাছে ক্ষমাও প্রার্থনা করেন তিনি। ২০১৯ সালে সাবেক মন্ত্রীকে বিয়ের ঘোষণা দিয়ে আবার আলোচনায় আসেন। তবে শেষ পর্যন্ত গত বছর একজন ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘর বাঁধেন তিনি।
পেশাগত জীবনের চেয়ে ব্যক্তিগত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য এক সময় চর্চার কেন্দ্রে সানাইকে এখন তেমন একটা দেখা যায় না পর্দায়। ফেসবুক বা অন্য মাধ্যমেও আগের মতো আলোচিত কোনো কর্মকাণ্ড নেই তার।
সানাই বেশ কিছুদিন আগে ঘোষণা দেন অনলাইনে শাড়ির ব্যবসার। স্বামী-সংসার, পারিবারিক ব্যবসা এসব নিয়েই সময় কাটছে তার।
আরও পড়ুন:ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন স্বজন,বন্ধু ও ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোমাধ্যমে ভালোবাসার কথা লিখছেন তারা।
ফেসবুকে এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার সাবেক স্ত্রী চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীও। অবশ্য নায়ককে নিয়ে প্রায়ই তাকে নানা পোস্ট দিতে দেখা যায়। এবারও যেন তার ব্যতিক্রম নয়।
তবে এখনও এই মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা আসেনি আরেক সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাসের কাছ থেকে। ফেসবুক বা অন্য কোনো মাধ্যমে শাকিবকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায়নি তাকে। শাকিবকে নিয়ে মাঝেমধ্যে বুবলীর পোস্ট দিতে দেখা গেলেও অপুকে তেমন কিছু পোস্ট দিতে দেখা যায় না।
বুবলী ছেলে শেহজাদ বীরের সঙ্গে শাকিবের একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, হ্যাপি বার্থডে। সঙ্গে ভালোবাসার একটি ইমোজিও দিয়েছেন তিনি। এই পোস্টের কমেন্টে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনেকে।
তারকা অভিনেতা শাকিব সিনেমা দিয়ে আলোচনায় থাকলেও তার ব্যক্তিজীবনও এসেছে বারবার আলোচনায়। দুই সাবেক স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমের শিরোনাম হন শাকিব।
১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেই এই সুপারস্টার। জীবনের ৪৩ বসন্ত পেরিয়ে ৪৪ পা দিলেন তিনি। অনন্ত ভালবাসা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৯৯ সালে।
শাকিব খান ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেন অপু বিশ্বাসকে। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্ম হয় এ জুটির ছেলে আব্রাম খান জয়ের। ২০১৭ সালের এপ্রিলে একটি টিভি চ্যানেলে সব তথ্য ফাঁস করেন অপু বিশ্বাস। ২০১৭ সালের নভেম্বরে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের।
পরের বছরের ২০ জুলাই শবনম বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব খান। ২০২০ সালের ২১ মার্চ আমেরিকায় জন্ম হয় তাদের ছেলে শেহজাদ খান বীরের। গত ৩০ সেপ্টেম্বরে এসব তথ্য জানান বুবলী। শাকিবের সঙ্গেও বুবলীর বিচ্ছেদ হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
আরও পড়ুন:
রুচির দুর্ভিক্ষে হিরো আলমের উত্থান হয়েছে বলে নাট্যজন মামুনুর রশীদ যে মন্তব্য করেছেন তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। এ নিয়ে আত্মহত্যারও হুমকি দিয়েছেন তিনি।
হিরো আলম বলেছেন, আপনাদের রুচিসম্পন্ন মানুষের কারণে যদি আমি আত্মহত্যা করি, তবে এর দায় আপনাদেরই নিতে হবে।
সম্প্রতি অভিনয় শিল্পী সংঘের একটি অনুষ্ঠানে মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একটা লোকের উত্থান হয়েছে। যে উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কীভাবে রোধ করা যাবে, এটা যেমন রাজনৈতিক সমস্যা, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও।’
রোববার সংবাদমাধ্যমে ‘রুচির দুর্ভিক্ষে হিরো আলমের উত্থান: মামুনুর রশীদ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি ভাইরাল হয় ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে। এ প্রেক্ষাপটে সোমবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন হিরো আলম। বলেন নানা বিষয় নিয়ে কথা।
হিরো আলম বলেন, ‘তাদের মতো এত বড় মানুষ আমাকে নিয়ে কথা বলেছেন। এটা আমার জন্য সৌভাগ্য। তিনি বলেছেন, মানুষের রুচি নাকি নষ্ট হয়ে গেছে। আমি নাকি ১৮ কোটি লোকের রুচি নষ্ট করেছি। আপনারা কেন আমাকে সাপোর্ট করেন, রুচি নষ্ট করেন।’
তিনি বলেন, ‘স্যার আপনি আমাকে নিয়ে যে কথাবার্তা বলেছেন, অনেক আর্টিস্ট আপনার হাতে তৈরি। অনেক লোক আপনার হাতে তেরি। স্যার আপনি ইচ্ছে করলে কিন্তু আমাকে তৈরি করতে পারতেন। কিন্তু করেন না। হিরো আলমের জন্য, বাংলাদেশ নাকি আমার কারণে নষ্ট হচ্ছে। যখন নাটকে গালিগালাজ করে, তখন কি আপনাদের রুচি নষ্ট হয় না।
‘আমার কী অপরাধ, কেন আমার লেখাপড়া নাই, চেহারা নাই? আপনার ছেলে যদি হতাম আমি। এভাবে বলতে পারতেন কেউ। হিরো আলমের মামা খালু নাই, ওয়েট নাই। অনেক এমপি দেখছি সমাজের, দেশের, মানুষের কথা বলে না। নিজেরা ব্যস্ত।’
হিরো আলম বলেন, ‘মানুষের রুচি কেন নষ্ট হবে। কয়টা লোকের রুচি আছে, সংসদে যারা তাদের কয়জনের লেখাপড়া আছে। ১৮ কোটি লোক থাকতে আমাকে নিয়ে কেন রুচিতে বাধে আপনাদের। হিরো আলমকে মেরে ফেলে দেন। মেরে না ফেলে দিলে কেউ থামাতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার যোগ্যতায় আলম থেকে আজ হিরো আলম। মামুনুর রশীদ স্যার, আপনি আমাকে তৈরি করুন। আমাকে তৈরি করবে কে। আমাকে কেউ তৈরি করবে না। তাহলে রুচির পরিবর্তনও হবে না।’
হিরো আলম বলেন, ‘আজ আমার জন্য কে দায়ী। আরে ভাই, আপনার আমাকে নিয়ে কথা কেন বলেন। কেন ভাই। একদিন এমন লাইভ করে পৃথিবী থেকে চলে যাব। আপনার রুচি নিয়ে থাকেন। আমি যদি আত্মহত্যা করি, এর জন্য দায়ী থাকবেন আপনারা।’
তিনি বলেন, ‘হিরো আলমের কাজগুলো দেখেন, রুচি আছে কি না। কত রুচি সম্পন্ন গান উপহার, নাটক বানাতে পারি। এতে আমার কী করণীয়।’
লাইভে হিরো আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনি আমাকে জেলে দেন। আমাকে সাহায্য করেন কেউ? করেন, করেন না। আমাকে ধিক্কার দেয়া বন্ধ করুন। আপনারা বড় বড় কথাবার্তা বলেন। রুচি চেঞ্জ করতে পারেন না কেন। আমি কি অপরাধ করেছি।
‘মানুষ আত্মহত্যা কখন করে জানেন? সবকিছুতে টর্চারিং করতেছেন। আমি যদি রুচি নষ্ট করে থাকি। টিকটক দেখেন তো। কেন তাদের বন্ধ করতে পারতেছেন না। অন্যদের নিয়ে কথাবার্তা বলেন না। এসবের আমি যদি আত্মহত্যা করি। এর জন্য দয়ী থাকবেন রুচিসম্পন্ন মানুষেরা। অন্যদের মতো আমি তো এই রুচি নিয়ে আসি নাই।’
কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে জনসাধারণের রুচি নিয়ে নাট্যজন মামুনুর রশীদের এক মন্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেন ঝড় উঠেছে, এবার এ নিয়ে মত দেবেন হিরো আলমও।
সোমবার রাত ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে কিছু সময় পর লাইভে আসছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
আগেরদিন রোববার সংবাদমাধ্যমে ‘রুচির দুর্ভিক্ষে হিরো আলমের উত্থান: মামুনুর রশীদ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই বিষয়টি ভাইরাল হয় ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে।
ওই প্রতিবেদনে মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একটা লোকের উত্থান হয়েছে। যে উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির উত্থান। এই উত্থান কীভাবে রোধ করা যাবে, এটা যেমন রাজনৈতিক সমস্যা, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিক সমস্যাও।’ সম্প্রতি অভিনয় শিল্পী সংঘের একটি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
হিরো আলম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রিয় দেশবাসী রোরবার একটি সাক্ষাৎকারে দেশের স্বনামধন্য নাট্যজন শ্রদ্ধেয় মামুনুর রশীদ স্যার আমাকে নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। আমি অতিক্ষুদ্র মানুষ। সততা ও সৎসাহসই আমার একমাত্র সম্বল। ’
তিনি লিখেছেন, ‘মামুনুর রশীদ স্যারের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আজ রাত ১০টা ৩০ মিনিটে লাইভে কিছু কথা বলবো। শাসন করা তাকেই মানায়, আদর করেন যিনি।’
ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যাবে এবার পুলিশের ভূমিকায়। সঙ্গে থাকছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও।
৮০-এর দশকের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার ঘরনার সিনেমা ‘শিবপুর’-এ দেখা যাবে এমন দৃশ্য।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোববার নিজের নতুন সিনেমার খবর জানালেন পরমব্রতই। অফিসিয়াল পোস্টার শেয়ার করেছেন তিনি।
তিনি লিখেছেন, ২০২৩ সালের আসছে শিবপুর। শিবপুরের অফিসিয়াল পোস্টার প্রকাশ্যে এলো। এই গ্রীষ্মেই মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।
পরমব্রতর শেয়ার করা ছবিতে তাকে পুলিশের পোশাকে দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে কালো রোদচশমা। অন্যদিকে রয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তার পরনে সাদা শাড়ি। তিনি হাত জড়ো করে রয়েছেন।
তাদের দুজনের ঠিক নিচে দেখা যাচ্ছে একটি পুলিশের জিপ দাঁড়ানো আর তার আশেপাশের বাড়ি, ঘর, টায়ার সব জ্বলছে দাউ দাউ করে। শিবপুর লেখাটার মধ্যে দেখা যাচ্ছে রক্তের দাগ। ফলে এখানে যে অ্যাকশন, রক্তপাত, ইত্যাদি দেখা যাবে সেটার একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
হিন্দুস্তান টাইমস জনিয়েছে, সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। পরমব্রত এবং স্বস্তিকা ছাড়াও এখানে দেখা যাবে খরাজ মুখোপাধ্যায়, সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত, মমতা শঙ্কর, প্রমুখকে। প্রযোজনা করেছে ইন্দো আমেরিকানা প্রোডাকশন। সিনেমা মুক্তি পেতে চলেছে ৫ মে।
এক ভক্ত লিখেছেন, অরিন্দম ভট্টাচার্যের ছবি মানেই আলাদা কিছু হতে চলেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য