রাজধানীর পল্লবীতে শুটিং স্পটে দগ্ধ হয়েছেন অভিনেত্রী শারমিন আঁখি।
শনিবার একটি টেলিফিল্মের শুটিংয়ে দগ্ধ এই অভিনেত্রীকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত আঁখির স্বামী নির্মাতা রাহাত কবির নিউজবাংলা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নায়ক সজলের সঙ্গে একটি টেলিফিল্মের শুটিং ছিল মিরপুরের পল্লবীতে। শনিবার দুপুরের দিকে আঁখি মেকআপ নিয়ে ওয়াশরুমে যায় চুল ডিজাইন করার জন্য। হেয়ার স্টেটমেন্ট অন কিংবা অফ করতে গিয়ে বিস্ফোরণে আগুনের ঘটনা ঘটে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডাক্তার এস এম আইউব হোসেন বলেন, শনিবার রাতে মিরপুরের পল্লবী থেকে শারমিন আঁখি নামে একজন নারী দগ্ধ হয়ে এখানে এসেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরে ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার ইনহেলিসন বার্ন রয়েছে।
শারমিনের শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে তার স্বামী রাহাত বলেন, এ বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। চিকিৎসক অনেকগুলো পরীক্ষা দিয়েছেন। সেগুলোর ফলাফলের পর বলা যাবে পরিস্থিতি।
তিনি বলেন, তবে হাসপাতালে প্রায় এক মাস থাকতে হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে প্রায় ১ বছর সময় লাগতে পারে তার। সবার কাছে আঁখির জন্য দোয়া চাই।
বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পান্নু মানেই আলোচনা, সমালোচনা। এ যেন তার জীবনের নিত্যদিনের ঘটনা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার একটি ফ্যাশন শোতে হেঁটে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে সমালোচিত হলেন তিনি।
বলিউডের ‘হাসিন দিলরুবা’র ইনস্টাগ্রামে ওই অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করার পর পোশাক ও গয়নার ধরন দেখে তেলে-বেগুনে জ্বলছেন ভক্তরা।
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, মুম্বাইয়ে এক নামী ফ্যাশন শোয়ের র্যাম্পে পোশাকশিল্পী মনীষা জয়সিংহের জন্য হেঁটেছিলেন তাপসী। পোশাকশিল্পীর বানানো লাল গাউনে সেজেছিলেন তিনি। এক মাথা কোঁকড়ানো চুল, সঙ্গে গলায় ছিল সোনালিরঙা ভারী গহনা। ওই পোশাকে একগাল হাসি নিয়ে ছবিও তোলেন অভিনেত্রী।
এ ছবি পোস্ট করার পর থেকেই সমালোচনার সূত্রপাত। তাপসীর গলার গহনা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। অভিনেত্রীর পরনের লাল গাউনের কাঁধ থেকে নাভি পর্যন্ত খোলা। বুকের মাঝে বসেছিল চোকার জাতীয় গহনাটি। সেই গহনার মাঝে এক হিন্দু দেবীর ছবি।
স্পষ্ট বুঝতে পারা না গেলেও, দূর থেকে তা লক্ষ্মী দেবীর ছবি বলেই মনে হচ্ছে। তাতেই খেপেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। তাদের অভিযোগ, এই ধরনের ‘অসভ্য’ পোশাকের সঙ্গে ওই গহনা পরে অশালীনতার সীমা ছাড়িয়েছেন অভিনেত্রী।
অনেকের অভিযোগ, ‘অপবিত্রভাবে’ হিন্দু দেবীকে গহনার মাধ্যমে ধারণ করেছেন তাপসী। তাপসীর ছবিতে মন্তব্য করতে গিয়ে কেউ লিখেছেন, ‘শরীর দেখাতে চাইছেন, দেখান। সঙ্গে আমাদের দেবীর মুখ বসানো গহনা পরছেন কেন?’
সমালোচনার ঝড় বয়ে গেলেও এখনও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি তাপসী।
আরও পড়ুন:কিছু হলেই ছবি, কিছু হলেই ভিডিও। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভাইরাল হয়ে যায় খুব সাধারণ ঘটনাও। এ পরিস্থিতির বিপক্ষে মত দিলেন চিত্রনায়ক ওমর সানি। বললেন, এই লোভ ছাড়তে হবে।
ফেসবুকে নানা সময় নানা ঘটনা নিয়ে লেখতে দেখা যায় অভিনেতাকে। পরোক্ষভাবে কাউকে কাউকে দেন পরামর্শও। এবারও তাকে দিতে দেখা গেল এমনই এক পরামর্শ।
রোববার দুপুরে ফেসবুকে ওমর সানি লিখেছেন, ‘টাকার লোভ, ভাইরাল হওয়ার লোভ, সবকিছু নিয়ে সিনেমা ভাবা। শুধু শুধু পাকনামি করা, এগুলি ছাড়তে হবে।’
কাকে নিয়ে এমন কথা লিখলেন, এ প্রশ্ন করেছেন তার ভক্তরা পোস্টের নিচে কমেন্ট করে। কমেন্টের রিপ্লে দিলেও এ ব্যপাারে তিনি কিছু বলেননি।
অভিনেতা লিখেছেন, ‘পরিবার হচ্ছে আসল, এর চেয়ে আর কোন শান্তি নেই।’
ভাইরাল হওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নেয়া ওমর সানিকেও অবশ্য মাঝে মাঝে বিভিন্ন পোস্ট ও তারকাদের পোস্টে কমেন্টে করে ভাইরাল হতে দেখা যাায়।
আরও পড়ুন:
রহমত উল্লাহ নামের এক প্রযোজকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে শনিবার গভীর রাতে গুলশান মডেল থানায় গিয়েছিলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান, তবে শাকিবকে আদালতে মামলার পরামর্শ দিয়েছেন থানার কর্মকর্তারা।
শাকিব খান মামলার উদ্দেশ্যে গুলশান থানায় গিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে বেরিয়েই তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে থানা থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে আদালতে মামলা করার জন্য।’
এ অভিনেতার ভাষ্য, ‘আমার বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ এনেছেন তিনি আসলে প্রযোজক কি না আপনারা প্রযোজক সমিতিতে গেলেই আসল তথ্য পেয়ে যেতেন। উনি কোনো প্রযোজকই নন।
‘আমার বিরুদ্ধে একটি ভুয়া অভিযোগ এনেছেন। যেহেতু ভুয়া অভিযোগ এসেছে, আমি আইনি পদক্ষেপ নিতে আমার এরিয়া গুলশান থানায় এসেছি।’
আদালতে মামলার বিষয়ে শাকিব বলেন, ‘আমি এখানকার (গুলশান থানা) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই আমি আগামীকাল আদালতে মামলা করতে যাব।’
অস্ট্রেলিয়ায় শাকিবের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে, তা নিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম অভিনেতা বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার আইন কি এতই দুর্বল যে, আমার বিরুদ্ধে সেখানে মামলা হলে বিচার ছাড়াই আমি বাংলাদেশে চলে আসতে পারব? আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখুন যে মামলা নম্বর উনি উল্লেখ করেছেন, সেটি ভুয়া।’
শাকিবের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ প্রযোজকের
গত ১৫ মার্চ চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন একটি সিনেমার প্রযোজক।
ওই দিন বিকেলে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
লিখিত অভিযোগে এই প্রযোজক ২০১৭ সালে তার সিনেমাটির শুটিংয়ের সময় শাকিব খানের মাধ্যমে কী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু অভিযোগ তোলেন।
অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার বলেছেন, ‘যার বিরুদ্ধে অভিযোগটি এসেছে তিনি দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা। যাচাই-বাচাইয়ের আগে আমরা এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না।’
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহর অভিযোগে বলা হয়, একবার শাকিব খান তাদের একজন নারী সহপ্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
এতে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ওই নারী তখন এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি নিজেও একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে আবার অস্ট্রেলিয়ায় এলে শাকিব ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন, তবে সেই নারী প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই সময় ছাড়া পেয়ে যান।
আরও পড়ুন:অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চিত্রনায়িকা পরীমনি।
শনিবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পরীমনি লিখেছেন, 'এইটা কোনো কথা না ভাই। চুপ করে থাকতে থাকতে কখন যে বোবা হয়ে যাবো আমরা…..'
তিনি আরও লিখেছেন, 'দেখছেন মাহীর দিকে। বুক কাঁপলো না আপনাদের! একজন অন্তঃসত্ত্বার এই শারীরিক ও মানসিক ধকলের দায়ভার কে নিচ্ছে তাহলে! আইনের এই খেলা বন্ধ হোক। মাহিকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেয়া হোক।'
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তার বিষয়ে পুলিশকে সংবেদনশীল থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।
শনিবার বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্টে পুলিশকে এ অনুরোধ করেন তিনি।
জয়া ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রেপ্তার করা হয়েছে। মাত্রই খবরে পড়লাম, পুলিশ তাকে রিমান্ডে আনার আবেদন করলেও আদালত তা মঞ্জুর করেননি। মাহি জনপ্রিয় অভিনেত্রী, কিন্তু দেশের সব নাগরিকের মতো তিনিও আইনের অধীন। তবে এই কথাটা বিশেষভাবে মনে রাখা দরকার, তিনি এখন নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।’
‘তার অভিযোগের তদন্ত চলুক, কিন্তু একজন গর্ভধারিণী মা এবং তার সন্তানের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। রিমান্ড মঞ্জুর না করার জন্য বিজ্ঞ আদালতকে ধন্যবাদ জানাই। পুলিশের কর্মকর্তাদেরও অনুরোধ করব, মা আর অনাগত শিশুর যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে যেন সংবেদনশীল থাকবেন।’
আরও পড়ুন:গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির অভিযোগ তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এতিমখানায় খাবার বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুনেছি গাজীপুরের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে এসে মাহি কিছু বক্তব্য দিয়েছেন। এ জন্য মামলা হয়েছে। আমি সব কিছু জানি না, শুনেছি। এটা ভালো করে জেনে আমি বলতে পারব।’
মাহি তার স্বামীর শোরুম ভাঙচুর ও দখলের অভিযোগ করেছেন পুলিশের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তদন্ত করা হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যখন একটা অভিযোগ আসে তখন তদন্ত করতে হয়। তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। মাহির বক্তব্য সঠিক কি না কিংবা পুলিশ যেটা করেছে সেটি সঠিক কি না তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।’
পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি আরাব খান ওরফে রবিউল ইসলামকে ফেরানোর উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইন্টারপোলের সহায়তায় তাকে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে তাকে ধরতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
‘আমরা অনেক কিছুই শুনেছি, জেনেছি। যেসব তথ্য আমাদের কাছে এসেছে, তা যাচাই-বাচাই করে বাদবাকি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শনিবার গ্রেপ্তার করে জিএমপি।
জিএমপি ডিবির সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) আসাদুজ্জামান জানান, সৌদি আরব থেকে আসা মাহিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘মাহীর স্বামী রকিব সরকার পলাতক রয়েছে।’
জিএমপির মামলা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারের নামে শুক্রবার রাতে মামলা করে জিএমপি।
গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোকন মিয়া বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।
এর বাইরে জমি দখলের অভিযোগে মাহি ও তার স্বামীকে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন। এ মামলায় মাহি ও রকিব সরকারসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়।
জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি মিথ্যা বলে মানুষের সহানুভূতি নেয়ার চেষ্টা করেছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ করেছেন। তারা পুলিশকে বিতর্কিত করার মিশনে নেমেছেন। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে তাদের নামে মামলা করেছে।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার ভোরে জমি দখলের বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই পক্ষই পালিয়ে যায়। ইসমাইল হোসেনসহ তার পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে আহত ইসমাইল বাদী হয়ে ২৮ জনের নামে বাসন থানায় মামলা করেন, যা নিয়ে তদন্ত চলছে।
ফেসবুক লাইভ
স্বামীর সঙ্গে ওমরাহ পালন করতে যাওয়া চিত্রনায়িকা মাহি শুক্রবার ভোরে সৌদি আরবের মক্কা শহর থেকে ফেসবুক লাইভে রকিবের গাড়ির শোরুম ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ করেন।
ওই সময় তিনি দাবি করেন, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে ‘সনিরাজ কার প্যালেস’ নামে তার স্বামীর একটি গাড়ির শোরুম রয়েছে। সেই শোরুমে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা তার শোরুমের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা শোরুমের বিভিন্ন আসবাব, দরজা, জানালার কাচ, টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করেছে।
মাহির অভিযোগ, শোরুমের সাইনবোর্ডও খুলে ফেলা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা তার স্বামীর অফিসকক্ষ তছনছ করে টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন ও মামুন সরকারের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়।
মাহি ও রকিব ফেসবুক লাইভে দাবি করেন, জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে তাদের গাড়ির শোরুম দখল করে দিচ্ছেন ইসমাইলকে।
মাহির ফেসবুক লাইভের পর সংবাদ সম্মেলন করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, ‘রকিব সরকার তার প্রায় সোয়া ১১ শতাংশ জমি দখল করে গাড়ির শোরুম করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে তিনি এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য দফায় দফায় চেষ্টাও করা হয়।’
এরপর শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাহি ও রকিব আবারও সৌদি আরব থেকে ফেসবুক লাইভে আসেন।
লাইভে বলা হয়, ‘গাজীপুর মহানগর পুলিশ আমাদের সিকিউরিটিসহ অন্যান্যদের অ্যারেস্ট করেছে। আমাদের শোরুম থেকে সবাইকে বের করে দিচ্ছে। বলেছে, না বের হলে গুলি করবে। পুলিশ কখনও এগুলো করতে পারে? আমরা সকালে এয়ারপোর্টে নামব। হয়তো আমাদেরও গ্রেপ্তার করবে।’
আরও পড়ুন:ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)।
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন জিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উত্তর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজ সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। সেখান থেকে তাকে গাজীপুর নিয়ে আসা হচ্ছে।’
জিএমপি ডিবির সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) আসাদুজ্জামান জানান, সৌদি আরব থেকে আসা মাহিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, ‘মাহীর স্বামী রকিব সরকার পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে জিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
জিএমপির মামলা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রকিব সরকারের নামে শুক্রবার রাতে মামলা করে জিএমপি।
গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোকন মিয়া বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।
এর বাইরে জমি দখলের অভিযোগে মাহি ও তার স্বামীকে হুকুমের আসামি করে আরও একটি মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন। এ মামলায় মাহি ও রকিব সরকারসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়।
জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি মিথ্যা বলে মানুষের সহানুভূতি নেয়ার চেষ্টা করেছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ করেছেন। তারা পুলিশকে বিতর্কিত করার মিশনে নেমেছেন। ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে তাদের নামে মামলা করেছে।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার ভোরে জমি দখলের বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই পক্ষই পালিয়ে যায়। ইসমাইল হোসেনসহ তার পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে আহত ইসমাইল বাদী হয়ে ২৮ জনের নামে বাসন থানায় মামলা করেন, যা নিয়ে তদন্ত চলছে।
ফেসবুক লাইভ
স্বামীর সঙ্গে ওমরাহ পালন করতে যাওয়া চিত্রনায়িকা মাহি শুক্রবার ভোরে সৌদি আরবের মক্কা শহর থেকে ফেসবুক লাইভে রকিবের গাড়ির শোরুম ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগ করেন।
ওই সময় তিনি দাবি করেন, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে ‘সনিরাজ কার প্যালেস’ নামে তার স্বামীর একটি গাড়ির শোরুম রয়েছে। সেই শোরুমে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা তার শোরুমের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা শোরুমের বিভিন্ন আসবাব, দরজা, জানালার কাচ, টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করেছে।
মাহির অভিযোগ, শোরুমের সাইনবোর্ডও খুলে ফেলা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা তার স্বামীর অফিসকক্ষ তছনছ করে টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন ও মামুন সরকারের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়।
মাহি ও রকিব ফেসবুক লাইভে দাবি করেন, জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে তাদের গাড়ির শোরুম দখল করে দিচ্ছেন ইসমাইলকে।
মাহির ফেসবুক লাইভের পর সংবাদ সম্মেলন করেন স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, ‘রকিব সরকার তার প্রায় সোয়া ১১ শতাংশ জমি দখল করে গাড়ির শোরুম করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে তিনি এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি মীমাংসার জন্য দফায় দফায় চেষ্টাও করা হয়।’
এরপর শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাহি ও রকিব আবারও সৌদি আরব থেকে ফেসবুক লাইভে আসেন।
লাইভে বলা হয়, ‘গাজীপুর মহানগর পুলিশ আমাদের সিকিউরিটিসহ অন্যান্যদের অ্যারেস্ট করেছে। আমাদের শোরুম থেকে সবাইকে বের করে দিচ্ছে। বলেছে, না বের হলে গুলি করবে। পুলিশ কখনও এগুলো করতে পারে? আমরা সকালে এয়ারপোর্টে নামব। হয়তো আমাদেরও গ্রেপ্তার করবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য