বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত সিনেমা ‘শনিবার বিকেল’ মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।সিনেমাটি নিয়ে সেন্সর বোর্ডের আপিল কমিটির শুনানিতে শনিবার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আপিল বোর্ড সদস্য শ্যামল দত্ত।
তিনি বলেন, ‘‘আজ ‘শনিবার বিকেল’র আপিল বোর্ডের শুনানি হয়েছে। আমরা ছবিটি রিলিজ করে দিয়েছি । খুব শিগগির ছবিটি মুক্তি পাবে। সেন্সর বোর্ড যে সমস্যার কথাগুলো বলেছে আমরা তার সঙ্গে একমত হইনি। এখন আর কোনো বাধা নেই।’’
ছবিটির সেন্সর সার্টিফিকেট দিয়ে দেয়া হবে জানিয়ে শ্যামল দত্ত বলেন, ‘আমরা সিনেমাটির পরিচালক ফারুকীকে একটি চিঠি দিয়ে দেবো যে, এটা মুক্তিতে বাধা নেই। পরিচালক সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন। তারপর তিনি তার মতো করে তারিখ দিয়ে ছবিটি মুক্তি দেবেন।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে সভাপতি ও সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যানকে আহ্বায়ক করে গঠিত হয় সাত সদস্যের সেন্সর আপিল কমিটি। সদস্যরা হলেন সংসদ সদস্য ও অভিনয়শিল্পী সুবর্ণা মুস্তাফা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব নূরুল করিম, অভিনেত্রী সুচরিতা ও সাংবাদিক শ্যামল দত্ত এবং সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সদস্যসচিব হিসেবে ছিলেন।
কাতারভিত্তিক কমিউনিটি সার্ভিস সংগঠন শর্ট ফিল্ম ল্যাব (এসএফএল) আয়োজিত প্রথমবারের মতো উইকেন্ড শর্টফিল্ম চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে এ অনুষ্ঠান হয়।
প্রতিযোগিতাটির পৃষ্ঠপোষক ছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এলএনজি কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি।
প্রতিযোগিতায় স্থানীয় দলগুলো ৪৮ ঘণ্টায় নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করে।
প্রতিটি দল জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ডিজিটাল গল্প তৈরি করেছে, যা অনন্য ও আবেগপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি সামনে নিয়ে এসেছে।
এসএফএলের প্রতিষ্ঠাতা ড. মোহনালক্ষ্মী রাজাকুমার এবং সৃজনশীল পরিচালক দোহায় এসএফএল পরামর্শদাতা প্রোগ্রামের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ইলা রিডল এবং সারা ঈসার নেতৃত্বে এই পুরো অভিজ্ঞতা বাস্তবায়ন হয়।
এক্সিলারেট এনার্জির কান্ট্রি ম্যানেজার হাবিব ভূঁইয়া পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
১৫টি চলচ্চিত্র ইএমকে সেন্টারে প্রদর্শন হয়, যেখানে পাঁচটি পুরস্কার এবং একটি সম্মানিত উল্লেখের মাধ্যমে উদীয়মান চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতিভা ও সৃজনশীলতার স্বীকৃতি দেয়া হয়।
বিজয়ী চলচ্চিত্রগুলো পানির দূষণ থেকে পরিবেশের প্রতি অবহেলা এবং জলবায়ু স্থানচ্যুতি পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে, যা তরুণ গল্পকারদের পরিবেশগত পদক্ষেপের প্রতি সচেতনতা তৈরি করতে চলচ্চিত্রকে ব্যবহার করার বিষয়টি তুলে ধরেছে।
প্রখ্যাত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা সাদিয়া খালিদ রীতি (যিনি রাশিয়া, ইরান এবং ফ্রান্সের মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবসহ একাধিক দেশে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন) বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিজয়ী দলগুলোকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, ট্রিহাউস রেস্টুরেন্ট এবং গ্রামীণ দানোনের ভাউচারসহ বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন:মহা ধুন্ধুমার হতে চলেছে ২০২৬-এ বলিউডের ঈদ আয়োজন। এই একই মৌসুম ঘিরে ঠিক হলো শাহরুখ খানের ‘কিং’ এবং রণবীর কাপুরের ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ চলচ্চিত্রের মুক্তির দিনক্ষণ। উপমহাদেশ জুড়ে ভক্তদের প্রত্যাশার জোয়ার তুলেছে এই ঘোষণা। সে সঙ্গে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে চলেছে ছবি দুটি। এখনও নির্মাণের মঞ্চে না ওঠা সিনেমা দুটি নিয়ে আকর্ষণীয় কিছু তথ্য ইউএনবির প্রতিবেদনে।
ঐতিহাসিক পুনর্মিলনী
শাহরুখ অভিনীত ফারাহ খানের পুনর্জন্ম কাহিনী ‘ওম শান্তি ওম’ ছিল ২০০৭-এর দীপাবলির ব্লকবাস্টার। একই সময়ে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘সাওয়ারিয়া’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে রণবীর কাপুরের। তারপর থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর পর বক্স অফিসে বলিউড বাদশার মুখোমুখি হতে চলেছেন রণবীর। বলাই বাহুল্য, আজ আর তিনি সেই ‘সাওয়ারিয়া’র রণবীর নেই।
নির্মাতা বানসালির সঙ্গে চলচ্চিত্র যুদ্ধে এসআরকে সে বছর জিতে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু ২০১৫’তে শাহরুখের ‘দিলওয়ালে’ খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি বনসালির ‘বাজিরাও মাস্তানি’র কাছে। এবার তৃতীয়বারের মতো কিং খানের সঙ্গে বক্স অফিস প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে যাচ্ছেন ১৫ বার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জয়ী এই চলচ্চিত্র নির্মাতা।
শাহরুখের ‘কিং’
‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ এবং ‘ডানকি’র মতো পর পর হিট মুভি দেয়ার পর শাহরুখের এবারের চমকের নাম ‘কিং’। বহুল প্রত্যাশিত এই ক্রাইম ড্রামার মধ্য দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় প্রকাশিত চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে শাহরুখ-কন্যা সুহানা খানের। ছবিটির পরিচালনায় থাকবেন সুজয় ঘোষ।
এসআরকে’র রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে সিনেমার সহ-প্রযোজনায় অংশ নেবে সিদ্ধার্থ আনন্দের মারফ্লিক্স পিকচার্স।
২০১৩-এর ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এর দুর্দান্ত সফলতার পর থেকে দীর্ঘ বিরতির পর এই প্রথম ঈদের মৌসুমে ছবি প্রকাশ করছেন কিং খান।
ছবিতে প্রধান খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে অভিষেক বচ্চনকে। তারকাশিল্পীদের মধ্যে আরও থাকবেন সম্প্রতি সাড়া জাগানো হরর-কমেডি মুঞ্জিয়া-খ্যাত অভিনেতা অভয় ভার্মা।
ধাওয়া-পাল্টাধাওয়াসহ অভূতপূর্ব কিছু অ্যাকশন সিকোয়েন্স এবং নজরকাড়া কিছু ভিজুয়াল ইফেক্ট দিয়ে সাজানো হবে মুভিটি। সঙ্গত কারণেই বেশ সময় নিয়ে পরিকল্পনা চলছে ছবি নির্মাণে। সবকিছু ঠিকঠাক এগুলে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে আগস্ট বা সেপ্টেম্বর নাগাদ শেষ হবে নির্মাণের যাবতীয় কাজ।
রণবীরের ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’
প্রথম দিকে ২০২৫-এর ক্রিসমাসে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও সময় পিছিয়ে নতুন তারিখ ঠিক করা হয়েছে ২০২৬-এর ২০ মার্চ। সেই থেকেই ‘কিং’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এর।
সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত এই এপিক রোমান্টিক মুভিতে অভিনয় করবেন রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট ও ভিকি কৌশল। ‘ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান’ (২০২২)-এর পর এটি রণবীর-আলিয়া দম্পতির প্রথম চলচ্চিত্র।
বলিউডের ঈদ আয়োজনে এই পরিবর্তনের নেপথ্যে
ঘটনার সূত্রপাত ঈদে ছবি মুক্তি থেকে বলিউডের ভাইজান-খ্যাত সুপারস্টার সালমান খানের সরে দাঁড়ানো থেকে। বছরের পর বছর ধরে অনেকটা একচেটিয়া ঈদ মৌসুমকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে সালমান খানের মুভিগুলো। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা ভেঙে ২০২৬ সাল থেকে যাচ্ছে একটু ভিন্ন রকমের।
২০২৫ সালের ঈদের জন্য নির্ধারিত ‘সিকান্দার’ মুভির কাজ শেষ করেই পরিচালক অ্যাটলির সঙ্গে পরবর্তী মেগা-বাজেটের ছবি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সালমান। ব্যাপক শুটিং ও ভিএফএক্স নিয়ে এই নতুন প্রজেক্টে রয়েছে বেশ ভারী কাজের চাপ।
স্বভাবতই অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজনীয়তা ছবি মুক্তির দিনক্ষণকে ঠেলে দিয়েছে ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে। এতে ২০২৬-এর ঈদ মৌসুমে সৃষ্টি হয় বিগ বাজেটের চলচ্চিত্র-শূন্যতা। আর এই শূন্যস্থান পূরণেই মুক্তির তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ‘কিং’ এবং ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এর।
শেষাংশ
২০২৬-এ বলিউডের ঈদ আয়োজনে শাহরুখ ও রণবীরের মুখোমুখি হওয়াটা জন্ম দিয়েছে নতুন মাত্রার ব্লকবাস্টার প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা। একদিকে ‘কিং’-এর পিতা-কন্যার আবেগঘন চিত্রনাট্য, অন্যদিকে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এ প্রেম ও সংঘর্ষের চিরনবীন পটভূমি। সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ২০২৬-এর ঈদুল ফিতর হতে চলছে বলিউডের সবচেয়ে প্রত্যাশিত আয়োজনগুলোর মধ্যে একটি। কার মাথায় মুকুট উঠবে তা নিয়ে রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষার পাশাপাশি মুভিপ্রেমীদের সামনে এক স্মরণীয় উৎসবমুখর সপ্তাহের হাতছানি।
আরও পড়ুন:রাজধানীর আদাবরে গার্মেন্টকর্মী রুবেলকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আদাবর থানায় এই দুই সাবেক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার হত্যা মামলাটি দায়ের করেন নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম।
আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম শুক্রবার মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে মামলার ২৮ নম্বর এবং চিত্রনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌসকে ৫৫ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় নাম উল্লেখ করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমসহ (এস আলম) ১৫৬ জনের। অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে আরও ৪০০-৫০০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহেনা, আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো. হারুন-উর-রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক পিএমটি ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশীদ, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম ডপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান, ডিএমপির সহকারী কমিশনার মেহেদী হাসান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানির ছোট ভাই ও ডিএমপির সহকারী কমিশনার গোলাম রুহানী, সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের দুই ছেলে আহসানুল আলম মারুফ ও আশরাফুল আলমসহ ১৫৬ জন।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে ছাত্র-জনতার প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেন। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য-সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে মিছিলে গুলি ছোড়া হয়। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসারত অবস্থায় ৭ আগস্ট মারা যান।
আরও পড়ুন:ভারতে দক্ষিণী সিনেমার শীর্ষ অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম সামান্থা রুথ প্রভু। তবে নানা কারণে প্রায় এক বছর ধরে অভিনয় ধেকে দূরে লাস্যময়ী এই তারকা। হঠাৎই অসুখের আক্রমণ। মায়োসিটিস ধরা পড়লে তিনি কাজ গুটিয়ে চিকিৎসায় গুরুত্ব দেন।
এই এক বছরে ভক্তরা সামান্থার প্রতি নিজেদের ভালোবাসা ও সমর্থন প্রকাশে কুণ্ঠিত হননি। বিষয়টি সম্ভব হয়েছে সামান্থার ব্যক্তি ও কর্মজীবনের কারণে। সিনেমায় তিনি নিয়মিত ছিলেন এবং চরিত্র নিয়ে করেছিলেন নানা নিরীক্ষা। এর মধ্য দিয়ে প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন দর্শকের। কোনো বিতর্ক তোলেননি নিজে থেকে।
নাগা চৈতন্যর সঙ্গে বিচ্ছেদ বিষয়ে একটা বিতর্ক তৈরি হলেও দুজনই নিজেদের সম্মান রেখে তা মোকাবেলা করেছিলেন। এতসব কারণেই সিনেমায় না থেকেও নিয়মিত আলোচনায় থাকেন সামান্থা।
তবে এর মধ্যেও অভিনয়ে আবার ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই অভিনেত্রী। শোনা যাচ্ছে শাহরুখ খানের নায়িকা হতে যাচ্ছেন সামান্থা।
মুম্বাইয়ের এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সবে শুরু হয়েছে ছবির পরিকল্পনা। তবে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ছবিটি পরিচালনা করছেন খ্যাতিমান নির্মাতা রাজকুমার হিরানি।
নতুন সিনেমাটির নাম এখনও ঠিক হয়নি। সিনেমার গল্পটি হবে দেশপ্রেমের। এখানেও শাহরুখকে দেখা যাবে মারদাঙ্গা অ্যাকশনে। সবশেষ শাহরুখকে নিয়ে হিরানি বানিয়েছেন ‘ডাঙ্কি’। গত বছর মুক্তি পাওয়া শাহরুখের তৃতীয় এই ছবিটি সবচেয়ে কম ব্যবসা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শাহরুখের সঙ্গে হিরানির জাহাজে এবার এক লম্বা ভ্রমণের জন্য তৈরি হচ্ছেন সামান্থা।
সবশেষ সামান্থাকে দেখা গিয়েছিল শিব নির্ভানা পরিচালিত ‘খুশি’ সিনেমায়। এতে বিজয় দেবারাকোন্ডার বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। ২০২৩ সালের শেষদিকে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি বাণিজ্যিকভাবে ছিল ব্যবসাসফল।
সামান্থাকে শিগগিরই দেখা যাবে অ্যাকশনধর্মী ছবি ‘সিটাডেল’-এর ভারতীয় সংস্করণে। এতে তার সঙ্গে অভিনয় করেছেন বরুণ ধাওয়ান। এ ছাড়া ‘চেন্নাই স্টোরি’ নামে আরও একটি সিনেমায় দেখা যাবে সামান্থাকে।
‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান টু’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় এই অভিনেত্রীর। ২০১০ সাল থেকে তামিল ও তেলেগু সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন তিনি। ইতোমধ্যে চারবার ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন সামান্থা।
আরও পড়ুন:ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে হত্যাচেষ্টা, মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমণি।
মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন পরীমণি। শুনানি শেষে বিচারক এক হাজার টাকা মুচলোখায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ১৮ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে আসামি পরীমণি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ২৫ জুন পরীমণি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে হাজির হতে সমন জারি করেন।
সাভার বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২০২২ সালের ৬ জুলাই একই আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন পরীমণির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম। ওই বছরের ১৮ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
‘এমএএসএইচ’, ‘ক্লুট’ ও ‘দ্য হাঙ্গার গেমস’ খ্যাত অভিনেতা ডোনাল্ড সাদারল্যান্ড দীর্ঘদিনের অসুস্থতার পর বৃহস্পতিবার মায়ামিতে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
ডোনাল্ড সাদারল্যান্ডের ছেলে কিফার সাদারল্যান্ড বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আপনাদের জানাচ্ছি যে আমার বাবা ডোনাল্ড সাদারল্যান্ড মারা গেছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সিনেমার ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতা ছিলেন তিনি। তার অভিনয় করা ভালো, মন্দ বা কুৎসিত কোনো চরিত্রেই কখনও হতাশ হইনি।’
কিফার বাবাকে নিয়ে আরও লিখেছেন, ‘তিনি যা করতেন তা ভালবাসতেন এবং তিনি যা ভালবাসতেন তাই করতেন। কেউ জীবনে এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতে পারে না। এমন ভালোভাবে বেঁচে থাকাটাই আসল জীবন।’
এই অভিনেতা এইচবিওর সিনেমা ‘সিটিজেন এক্স’-এ সোভিয়েত কর্মকর্তা হিসেবে অভিনয়ের জন্য এমি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। পাশাপাশি গোল্ডেন গ্লোব জুটিও অর্জন করেন।
৫০ বছরেরও দীর্ঘ সময়ের ক্যারিয়ারে ১৪০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন ডোনাল্ড সাদারল্যান্ড। এর মধ্যে তাকে শেষ দেখা গেছে লিমিটেড সিরিজ ‘ট্রাস্ট’ এবং এইচবিওর ‘দ্য আনডুয়িং’-এ। ‘ট্রাস্টে’ তিনি অয়েল টাইকুন জে পল গেটি চরিত্রে অভিনয় করেন।
সাদারল্যান্ড ‘দ্য ডার্টি ডজেন’, ‘ডোন্ট লুক নাও’, অলিভার স্টোনের ‘জেএফকে’, অস্কারজয়ী সিনেমা ‘অর্ডিনারি পিপল’, ‘বাফি দ্য ভ্যাম্পায়ার স্লেয়ার’, ‘ব্যাকড্রাফ্ট’ এবং ‘দ্য ইটালিয়ান জব’, ‘ফেলিনিস ক্যাসানোভা’সহ অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
অনেক তরুণ সিনেমাপ্রেমী তাকে ‘দ্য হাঙ্গার গেমসের’ ভিলেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনে রাখবেন।
সাদারল্যান্ডের জন্ম নিউ ব্রান্সউইকের সেন্ট জনে। শৈশবে পোলিওসহ বেশ কয়েকটি অসুখে ভুগেছিলেন তিনি। তিনি টরন্টো ইউনিভার্সিটি থেকে প্রকৌশল বিদ্যায় অধ্যয়নের পাশাপাশি নাটক এবং মঞ্চ নিয়েও পড়াশোনা করেন। উভয় ক্ষেত্রেই ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক পাস করেন তিনি।
৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার এই অভিনেতার প্রথম স্ত্রী লোইস হার্ডউইকের সঙ্গে দেখা হয় তার কলেজ জীবনে। ১৯৫৯ সালে বিয়ে করেন তারা। তিনি এরপর লন্ডনে চলে যান, যেখানে তিনি কিছু মঞ্চের কাজ পেয়েছিলেন এবং অবশেষে ১৯৬০-এর দশকে হলিউডে আসেন।
১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি অভিনেত্রী শার্লি ডগলাসকে বিয়ে করেন, যার সঙ্গে তার হরর মুভি ‘ক্যাসল অফ দ্য লিভিং ডেড’ চিত্রগ্রহণের সময় দেখা হয়।
দ্বিতীয় বিয়েও বিচ্ছেদে শেষ হয় এবং ১৯৭২ সালে সাদারল্যান্ড তার তৃতীয় স্ত্রী অভিনেত্রী ফ্রান্সিন র্যাসেটকে বিয়ে করেন, যার সঙ্গে তার তিনটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
সাদারল্যান্ড ২০১৭ সালে একাডেমি অফ মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস বোর্ড থেকে সম্মানসূচক পুরস্কার পান এবং অর্ডার অফ কানাডায় ভূষিত হন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে একটি ছবি নিয়ে এতটা হুল্লোড় আর মাতামাতি হতে পারে তা ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগে সেভাবে বোঝা যায়নি। ঈদুল আজহার কয়েকদিন আগে থেকে যখন ছবির টিজার আর পোস্টার ঝলক ছাড়া হয়েছিল, তখনই শাকিব ভক্ত তথা ঢাকাই সিনেমাপাড়ার দর্শকরা বলেছিল ‘তুফান’ সত্যিকারের তুফান নামিয়ে আনবে।
বাংলা ছবি যে তার পথ পরিবর্তন করছে তা ‘তুফান’ ছবি দেখেই ধারণা করা যাচ্ছে। শাকিবিয়ানদের উন্মাদনা, রায়হার রাফীর মেকিং আর গল্পের ধরন সবকিছুর মিশেলে ঈদ আনন্দে ‘তুফান’ বলা যায় ঝড় তুলেছে।
এই তুফান যে ঢাকাই ছবির জগত আলাদাভাবে তুফানময় করে তুলবে, তা অবশ্য মুক্তির আগেই চলচ্চিত্র বোদ্ধারা ধারণা করেছিলেন।
অবশ্য শাকিব হেটার্সদের অবস্থান ভিন্ন। তারা তুফান নিয়ে নানামুখী সমালোচনা করে যাচ্ছেন। অবশ্য শাকিবিয়ানদের মতে, ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত অন্য ছবিগুলো আলোচনায় আনার জন্যই তারা নানা কথা বলে বেড়াচ্ছে।
ঈদুল আজহার পরের দিন থেকেই মূলত প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবি দেখে থাকে দর্শক। ঈদের দিনের কোরবানির একটা ব্যস্ততায় সেভাবে বিনোদনের জন্য সময় বের করা হয় না মানুষের। তাই তো তুফানের মূল দর্শক আলোচনা ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই বেশি বোঝা যায়। আর বুধবার ঈদের তৃতীয় দিন তো তুফান নিয়ে রীতিমতো দর্শক মাতোয়ারা বলা যায়।
তুফান ছবিতে শাকিব খান এবং কলকাতার মিমি ছাড়াও ভিন্ন কিছু পারফর্মার যোগ করায় পরিচালক রায়হান রাফী কিছু সিগনেচার রেখেছেন। ছবিতে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা। এছাড়া সালাহউদ্দিন লাভলু, নাবিলাসহ আরও কিছু অভিনয়শিল্পীর উপস্থিতি সত্যিকার অর্থে ছবিটিকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে। আর মেকিংয়ের মুনশিয়ানা তো আছেই।
এতদিন বাংলা ছবির দর্শকরা দক্ষিণি তামিল-তেলেগু ছবি দেখে আফসোস করত ঢাকাই ছবিতে কবে এরকম ছবির পালক যোগ হবে। ‘তুফান’ সে খরায় অনেকটা বৃষ্টি হয়ে ঝরেছে।
এদিকে তুফান নিয়ে চঞ্চল চৌধুরী তার উচ্ছ্বসিত অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “দর্শকদের যখন ভালো লাগে, তখন আমাদেরও ভালো লাগে। আমরা আমাদের ভেতর আলাদা গতি পাই, উৎসাহ পাই।
“এই ‘তুফান’ নিয়ে যে পরিমাণ আগ্রহ দর্শকের, এতে খুব ভালো লাগছে। ছবিটি সুপারডুপার হিট হলে আরও বড় বড় প্রজেক্টে কাজ করব। আর সব সময়ই দর্শকদের জন্য অভিনয়টা করে যেতে চাই। আর দর্শক চাইলেই তুফান-২ হবে।”
‘তুফান’ নিয়ে উচ্ছ্বসিত শাকিব খান এবং পরিচালক রায়হান রাফীও। গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাফী বলেছেন, “পয়সা উসুল সিনেমা ‘তুফান’। সিনেমাটি দেখলে পয়সা উসুল তো হবেই, সে সঙ্গে আরও বেশি কিছু হবে। আমার সিনেমা দেখে কখনও কেউ ধোঁকা খাননি। ‘পরান’, ‘সুড়ঙ্গ’ দর্শকদের ভালো লেগেছে। এখন ‘তুফান’ দেখে তাদের বিশ্বাসটা আরও বাড়বে। উৎসবটা আসলে এখন সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে।”
ঈদুল আজহায় ‘তুফান’ ছাড়াও চারটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। সেসব ছবিও দর্শকদের আগ্রহ তৈরি করছে বলে জানা গেছে। এমডি ইকবাল পরিচালিত ‘রিভেঞ্জ’ ভালো যাচ্ছে বলে জানা যায়। এতে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন জিয়াউল রোশান ও শবনম বুবলী, দীপা খন্দকার, মিশা সওদাগর, সীমান্তসহ অনেকে।
মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’ রয়েছে আলোচনায়। ক্রাইম থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমায় নায়ক হিসেবে আছেন নবাগত মুন্না খান।
ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আগন্তুক’ ও ‘ময়ূরাক্ষী’ ছবি দুটিও ভালো যাচ্ছে বলে জানা গেছে। ‘আগন্তুক’-এর প্রধান চরিত্রে আছেন পূজা চেরী ও শ্যামল মাওলা। ‘ময়ূরাক্ষী’-তে জুটি বেঁধেছেন চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি ও সুদীপ বিশ্বাস দীপ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য