মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে চিত্রনায়িকা পরীমনির নামে করা মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে পরীমনির নামে করা মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।
বিচারপতি নুরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।
এই আদেশের ফলে হাইকোর্টে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারিক আদালতে এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন পরীমনির আইনজীবীরা।
আদালতে পরীমনির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও শাহ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
গত বছরের ৮ মার্চ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনির নামে করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছিল চেম্বার আদালত।
গত বছরের ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাবের একটি দল।
বাহিনীটি জানায়, এই অভিনেত্রীর বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
মাদক উদ্ধারের ঘটনায় বনানী থানায় পরীমনিসহ আরও দুজনের নামে মামলা করে র্যাব।
আরও পড়ুন:একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মাসুদ আলী খান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন তার আত্মীয় রবিন মণ্ডল।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে রাজধানীর গ্রিন রোডের নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন মাসুদ আলী খান। বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসাতেই ছিলেন অভিনেতা। চিকিৎসার জন্য কয়েকবার নেয়া হয়েছিল হাসপাতালে। চিকিৎসাও চলছিল। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেল।
মাসুদ আলী খান অভিনয় জগতে ক্যারিয়ার শুরু করেন মঞ্চনাটক দিয়ে। এরপর ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পরপর নূরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’ দিয়ে ছোট পর্দায় তার অভিষেক হয়। আর সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’ দিয়ে বড় পর্দায় তার পথচলা শুরু। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে প্রায় ৫০০ নাটকে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা।
মাসুদ আলী খান অভিনীত কয়েকটি সিনেমা- ‘দুই দুয়ারি’, ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘মাটির ময়না’। তার অভিনীত আলোচিত কয়েকটি নাটক হচ্ছে- ‘কূল নাই কিনার নাই’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘কোথাও কেউ নেই’।
ঢাবি, চবি ও জবির পর এবার প্রকাশ্যে এসেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারির পরিচয়। সোমবার সংগঠনটির পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে দুজনের পরিচয় প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
ফেসবুক পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, ইবি ছাত্রশিবিরের সভাপতির নাম এইচ এম আবু মুসা ও সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সভাপতি আবু মুসা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি পাবনা জেলার দোগাছী ইউনিয়নের দ্বীপচর গ্রামে। ২০০৭ সালে তিনি পাবনার আওরঙ্গাবাদ আবাসিক হাফিজিয়া মাদরাসা থেকে কোরআনে হাফেজ হন। পরে পাবনার রাধানগর উপজেলার আজিজিয়া নূরানী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শেষ করেন। পরে ২০১৪ সালে পাবনা আলিয়া (কামিল) মাদরাসা থেকে দাখিল ও ২০১৬ সালে তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার টঙ্গী শাখা থেকে দাখিল সম্পন্ন করে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
অন্যদিকে সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসান ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায়।
ইতোপূর্বে সভাপতি ও সেক্রেটারি দুজনই ইবি শাখার ফাউন্ডেশন সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক, এইচআরডি সম্পাদক ও অফিস সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানা গেছে।
জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল ‘টারজান: দ্য লর্ড অফ দ্য জঙ্গল’-এর নাম ভূমিকায় অভিনয়কারী রন এলির মৃত্যু হয়েছে, যার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারায় মেয়ের বাড়িতে ২৯ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় এ অভিনেতার।
তার পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে বুধবার এএফপি এ খবর জানায়।
ষাটের দশকের টেলিভিশন শো ‘টারজান’-এ আমেরিকান অভিনেতাকে জঙ্গলের নায়করূপে দেখানো হয়। পরবর্তী আপডেটে তাকে আধুনিক বিশ্বে শিক্ষিত রূপে যে জঙ্গলে তিনি বড় হয়েছিলেন, সেই জঙ্গলে ফিরে আসা চরিত্রে রূপদান করা হয়।
আধুনিক শহুরে টারজান চিত্রায়নে সুঠাম পেশিধারী, শিম্পাঞ্জির সঙ্গী কটি পরিহিত এলি বিপুল মানুষের হৃদয়ে গেঁথে রয়েছেন।
সামাজিক যোগাযাগমাধ্যমে এলির মেয়ে কার্স্টেন এলি বুধবার বলেন, ‘বিশ্ব একজন অবিস্মরণীয় অন্যতম সেরা মানুষকে হারিয়েছে।’
ক্রিস্টেন এলি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেন, ‘আমার বাবা এমন একজন মানুষ ছিলেন যাকে লোকে হিরো বলে ডাকত।
‘তার মধ্যে সত্যিই জাদুকরী কিছু গুণাবলী ছিল। বিশ্ব তাকে সেভাবেই জানত।’
‘টারজান’-এর দুটি মৌসুম শেষ হওয়ার পর এলি ১৯৯০-এর দশকে টিভিতে অভিনয় চালিয়ে যান। ২০১৪ সালে ‘এক্সপেক্টিং অ্যামিশ’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি।
দুটি ডিটেকটিভ উপন্যাসেরও লেখক তিনি, তবে টারজানে অভিনয় তাকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেয়।
হোটেলের বারান্দা থেকে পড়ে মারা গেছেন ওয়ান ডিরেকশন ব্যান্ডের সাবেক সদস্য জনপ্রিয় গায়ক লিয়াম পেইন।
বুধবার আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে পালেরমো এলাকার কাসা সুর হোটেলের তৃতীয় তলার এক বারান্দা থেকে পড়ে ৩১ বছর বয়সি এই গায়কের মৃত্যু হয় বলে এপির প্রতিবেদনে জানানা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, চিকিৎসকরা ঘটনাস্থলেই লিয়াম পেইনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বুয়েন্স আয়ার্সের নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ পরিচালক পাবলো পোলিচিও’র বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, পেইন হোটেলে তার কক্ষ সংলগ্ন বারান্দা থেকে লাফিয়ে পড়েন। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার পর ‘মাদক বা অ্যালকোহলের প্রভাবে আক্রমণাত্মক অবস্থায় থাকা’ এক ব্যক্তির বিষয়ে খবর পেয়ে হোটেলটিতে যায় পুলিশ।
হোটেলের ম্যানেজার ৯১১ নম্বরে কল করে পুলিশকে খবরটি জানিয়েছিলেন।
টোডো নোটিসিয়াস টিভি চ্যানেলকে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রীয় জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রধান আলবার্তো ক্রিসেন্তি জানান, কর্তৃপক্ষ লিয়াম পেইনের মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
মদ্যপানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন পেইন। গত বছরের জুলাইয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আত্মনিয়ন্ত্রণের বিষয় তুলে ধরে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
এদিকে পেইনের মৃত্যুর বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে কাসা সুর হোটেলের সামনে ওয়ান ডিরেকশন ভক্তদের ভিড় জমে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে এক পর্যায়ে পাহারা বসাতে হয়।
হোটেলের বাইরে একটি অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করে সারি সারি মোমবাতি ও ফুলের তোড়া দিয়ে পেইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ভক্তরা।
২০১০ সালে ব্রিটিশ গানের প্রতিযোগিতা সিরিজ ‘দ্য এক্স ফ্যাক্টর’-এ অডিশন দিতে যাওয়া পাঁচজন- লিয়াম পেইন, জেইন মালিক, হ্যারি স্টাইলস, নিয়াল হোরান ও লুই টমলিনসন মিলে গড়ে তুলেছিলেন ওয়ান ডিরেকশন।
পপ গানের বিশেষ ধরন এবং ‘হোয়াট মেকস ইউ বিউটিফুল’, ‘নাইট চেঞ্জেস’ ও ‘স্টোরি অফ মাই লাইফ’-এর মতো রোমান্টিক গানগুলোর জন্য জনপ্রিয়তা পায় ওয়ান ডিরেকশন।
পেইনের ‘স্টোল মাই হার্ট’ ও ‘চেঞ্জ ইওর টিকিট’সহ বেশকিছু গান জনপ্রিয়তা পায়। ২০১৬ সালে ভেঙে যাওয়ার আগে ওয়ান ডিরেকশনের ছয়টি গান বিলবোর্ড চার্টের শীর্ষ দশে ছিল।
অভিনয়শিল্পী জামালউদ্দিন হোসেনের মৃত্যু হয়েছে, যার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় কানাডার একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।
অভিনেতার ছেলে তাশফিন হোসেন বলেন, শনিবার বাদ জোহর জামালউদ্দিন হোসেনের মরদেহ দাফন করা হবে।
তিন সপ্তাহ ধরে কানাডার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন জামালউদ্দিন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রর আটলান্টায় মেয়ের কাছে ছিলেন। সেখান থেকে কানাডার ক্যালগিরিতে ছেলে তাশফিন হোসেনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান প্রবীণ এই অভিনেতা হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে ছেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা তার মূত্র সংক্রমণ হয়েছে বলে জানান। একসময় জানা যায়, তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সত্তরের দশকের মাঝামাঝি থেকে মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু করেন জামালউদ্দিন হোসেন। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের এ সদস্য পরে টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রেও কাজ করেন। যদিও বয়সজনিত জটিলতায় গত ১৫ বছর অভিনয়ে একেবারে অনিয়মিত ছিলেন তিনি।
গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে থাকতেন জামালউদ্দিন। তার ছেলে তাশফিন হোসেন কানাডার মাউন্ট রয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক। মেয়ে তার পরিবার নিয়ে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে।
জামালউদ্দিন হোসেন ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তিনি তার নিজের নাট্যগোষ্ঠী নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বল শুরু করেন এবং এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন।
তিনি বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বেতার টেলিভিশন শিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জামালউদ্দিন হোসেন ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘রাজা রানী’, ‘চাঁদ বণিকের পালা’, ‘আমি নই’, ‘বিবি সাহেব’, ‘যুগলবন্দী’সহ কয়েকটি আলোচিত মঞ্চনাটক পরিচালনা করেন। তার স্ত্রী অভিনেত্রী রওশন আরা হোসেন।
আরও পড়ুন:শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক পদ থেকে অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতিকে অব্যাহতি দিয়েছে সরকার।
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব নিলুফার ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জ্যোতির পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া আরও চার পরিচালককে অব্যাহতি দেয়া হয়।
অব্যাহতি পেয়ে নিজেকে অনেকটা ‘ভারমুক্ত’ বলে দাবি করেছেন জ্যোতিকা জ্যোতি। পাশাপাশি খানিকটা আক্ষেপও শোনা গেল তার কণ্ঠে।
ফেসবুকে অব্যাহতির প্রজ্ঞাপনের একটি ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখেন, ‘প্রজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো আমার প্রথম সরকারি চাকরি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমার চাকরির মেয়াদ থাকার পরও আমাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
‘আজ (১ অক্টোবর) থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদের দায়িত্বে আমি আর নেই।’ এতদিন তার সঙ্গে কাজের সুবাদে যুক্ত থাকা লেখক, গবেষক, প্রকাশকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কোনো প্রয়োজনে সরাসরি শিল্পকলার গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগে যোগাযোগ করবেন।’
সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে জ্যোতি লিখেন, ‘দেড় বছরের এই যাত্রায় নতুন নতুন অভিজ্ঞতায় আমাকে ঋদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।’
জ্যোতিকা জ্যোতি ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ থেকে দুই বছরের চুক্তিতে একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর কর্মস্থলে উপস্থিত হননি তিনি।
সম্প্রতি শিল্পকলায় নতুন মহাপরিচালক হিসেবে সৈয়দ জামিল আহমেদের নিয়োগ পাওয়ার খবর শুনে ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিজ কর্মস্থলে যান জ্যোতি। সেখানে গিয়ে সহকর্মীদের তোপের মুখে পড়েন এ অভিনেত্রী। ওই ঘটনার দুই সপ্তাহ পর শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো জ্যোতিকে।
আরও পড়ুন:মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত কাওয়ালি অনুষ্ঠানে বহিরাগতদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্র আন্দোলনের তিনজন আহত হয়েছেন। পরে সেনাবাহিনী ও সদর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পণ্ড হয়ে যায় অনুষ্ঠান।
রোববার বিকেলে মাদারীপুর শিল্পকলা একাডেমীতে দু’দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও আয়োজকরা জানান, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে কাওয়ালি সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রোববার বেলা ২টার দিকে শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠান শুরুও হয়। হঠাৎ জুবায়ের আহমেদ নাফিজ, মুন্না কাজীসহ বেশকিছু লোক অনুষ্ঠানস্থলে এসে আয়োজকদের ওপর হামলা করে। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী নেয়ামত উল্লাহ ও আশিকুল তামিম আশিক আহত হন। সেনাবাহিনী ও সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়। বিষয়টি সমাধানের জন্যে দুপক্ষের লোকজন নিয়ে বসেও কোনো ফল আসেনি। পরে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরার পথে ইখতিয়ার আহমাদ সাবিদ নামে আরেকজন আয়োজককে ইট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ। পরে আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আয়োজকদের একজন আব্দুর রহিম বলেন, ‘যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে সম্পৃক্ত রয়েছে, তাদের নিয়েই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু কয়েকজন নিজেদের ছাত্র আন্দোলনের কর্মী দাবি করে অনুষ্ঠানে আমাদের ওপর হামলা করে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের কর্মী রয়েছে। আমরা এদের বিচার দাবি করছি।’
তবে হামলাকারী জুবায়ের আহমেদ নাফিজ দাবি করেছেন, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন। তাকে না জানিয়ে কাওয়ইল গানের আয়োজন করায় বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখা হয়েছে।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি এইচএম সালাউদ্দিন বলেন, ‘অনুষ্ঠানস্থলে আসার আগেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে আসার পর আর কোনো ঘটনা ঘটেনি। আহতরা অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করে মামলা নেয়া হবে।’
মন্তব্য