মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হতে যাওয়া সিনেমা অপারেশন জ্যাকপটের পরিচালক নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও মোরশেদুল ইসলাম।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নৌ-সেক্টরে পরিচালিত সফলতম গেরিলা অপারেশন নিয়ে সিনেমাটির নির্মাণ তদারকির দায়িত্ব আগে ছিল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাছে। সে সময়ে তারা গিয়াস উদ্দিন সেলিমকে সিনেমাটির চিত্রনাট্য তৈরি ও পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। চিত্রনাট্য তৈরিতে কয়েক বছর কাজও করেন সেলিম।
তবে বছর দেড়েক আগে তদরকির দায়িত্ব পায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এরপর গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ডাকা দরপত্রে ‘যোগ্য’ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে কিবরীয়া ফিল্মস। তারা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুসহ চার জন পরিচালকের নাম প্রস্তাব করেছে। তাদের মধ্যে ঝন্টুর দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দরপত্রে গিয়াস উদ্দিস সেলিমের প্রতিষ্ঠান ‘আশীর্বাদ চলচ্চিত্র’ অংশ নিলেও তারা কাজটি পায়নি। গিয়াস উদ্দিন সেলিমের অবস্থান ‘নিয়ম বহির্ভূত’ উল্লেখ করে আশীর্বাদ চলচ্চিত্রকে বাদ দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ গিয়াস উদ্দিন সেলিম মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বেশ কয়েক বছর আগে যখন কাজটি শুরু করে, তখন থেকেই আমি সিনেমাটির চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালক হিসেবে যুক্ত হই। পরে যখন কাজটি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে আসে তখনও মন্ত্রণালয়ের ডাকেই আমি সিনেমাটির চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক হিসেবে কাজ করতে থাকি।
‘আমি যে চিত্রনাট্যটি করছিলাম, সেটি মূল্যায়নে মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি করে দেয়া হয়। সে কমিটিতে ছিলেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, মোরশেদুল ইসলাম এবং জুনায়েদ হালিম। তাদের যাতে আমি সাহায্য করতে পারি, সে কারণে আমাকেও কমিটিতে রাখা হয়। এ সব কাজই হচ্ছিল মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে।’
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সিনেমাটি নির্মাণে গত বছরের মধ্যভাগে আকস্মিকভাবে দরপত্র আহ্বান করে বলে জানান সেলিম। এতে তার প্রতিষ্ঠানসহ পাঁচটি প্রোডাকশন হাউজ প্রকল্প প্রস্তাব জমা দেয়। তবে সেলিমের পরিবর্তে নির্বাচিত হয় কিবরীয়া ফিল্মসের প্রকল্পটি।
দরপত্রে বাদ পড়ার কারণ জানতে চাইলে সেলিম বলেন, ‘তারা (মন্ত্রণালয়) বলছে, আমি যেহেতু চিত্রনাট্য প্রস্তুত কমিটিতে ছিলাম, আবার আমিই চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক তাই আমার অবস্থান ও চিত্রনাট্য নিয়ম বহির্ভূত। অথচ আমাকে অ্যাসাইন করা হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকেই।
‘সিনেমাটির জন্য আমি বছরের পর বছর ধরে চিত্রনাট্য করছি, নৌ কমান্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিদেশে গিয়েছি, কারণ সিনেমাটিতে ফ্রান্স, ইন্ডিয়াতে শুটিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে। আমার প্রপোজালেও সেগুলোর উল্লেখ আছে। অন্য যারা টেন্ডারে প্রকল্প জমা দিয়েছেন তাদের গল্প সংক্ষেপ ছাড়া এত অল্প সময়ের মধ্যে চিত্রনাট্য জমা দেয়া সম্ভব নয়। অথচ টেন্ডারে চিত্রনাট্য জমা দেয়ার কথা বলা আছে।’
মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা ভাবছেন বলে জানান সেলিম।
চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অপারেশন জ্যাকপট প্রকল্পের চিত্রনাট্য প্রস্তুত কমিটির সদস্য মোরশেদুল ইসলামের অভিযোগ, মন্ত্রণালয় ‘টাকা খেয়ে’ এ কাজ করেছে। দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে সিনেমাটি নির্মাণের পরিকল্পনার কথা চিত্রনাট্য প্রস্তুত কমিটির সদস্যদের কেউ জানতেন না বলেও দাবি করেন তিনি।
মোরশেদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি মন্ত্রণালয় এটি টাকা খেয়ে করেছে। আমাদের কাজ শুরু থেকে টেন্ডারে প্রকল্প জমা দেয়া পর্যন্ত সচিব, প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) পরিবর্তন হয়েছে। এখন যিনি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব (খাজা মিয়া) তিনি এ কাজগুলো করছেন।
‘তাছাড়া টেন্ডার দিয়ে এসব কাজ হয় নাকি? আমি বিষয়টা মেনে নিতে পারছি না। সম্মান রেখেই বলছি, স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে এমন একটি সিনেমা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর নির্মাণের যোগ্যতা নেই। আমরা এটা প্রতিহত করব।’
তবে অনিয়ম বা অস্বচ্ছতার অভিযোগ অস্বীকার করছেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজায়া মিয়া।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কেউ যদি প্রশ্ন তোলে, তাহলে তুলতে পারে, কিন্তু আমরা তো নিয়মের মধ্যে থেকেই কাজ করব। প্রজেক্টটা অনেক আগের। গিয়াস উদ্দিন সেলিম এতদিন ধরে চিত্রনাট্য মূল্যায়ন কমিটিতে আছেন, কাজ করেছেন, তার তো জানার কথা যে চিত্রনাট্য মূল্যায়ন কমিটিতে থাকলে তিনি প্রজেক্ট জমা দিতে পারবেন না। আমরা সেভাবেই কাজ করেছি।
‘আর আমরা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুকে দেখিনি, আমরা দেখেছি প্রকল্প প্রস্তাব। যেটা নিয়মের মধ্যে ছিল, আমরা সেটাই করেছি।’
প্রকল্পের ওয়ার্ক ওয়ার্ডার শিগগির হয়ে যাবে বলে আশা করছেন খাজা মিয়া।
চলচ্চিত্রটি নির্মাণের দায়িত্ব পাওয়া কিবরীয়া ফিল্মসের কর্ণধার প্রযোজক গোলাম কিবরীয়া লিপু বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাজ পেয়েছি কি পাইনি সেটা এখনই বলতে চাই না। পেলে তো সবাইকে জানাবই।’
অপারেশন জ্যাকপট সিনেমা প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
কিবরীয় ফিল্মসের প্রস্তাবিত দুই চিত্রনাট্যকার হলেন ছটকু আহমেদ ও কাসেম আলী দুলাল। প্রস্তাবিত চার চিত্র পরিচালক হলেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু (বাংলাদেশ), স্বপন চৌধুরী (অন্তর শো-বিজ/বাংলাদেশ), জে পি দত্ত (ভারত) এবং অনুরুদ্ধ রায় (ভারত)।
কিবরীয় ফিল্মসের প্রস্তাবিত অভিনয়শিল্পীদের তালিকায় আছেন শাকিব খান, ওমর সানি, মোশাররফ করিম, রিয়াজ, মৌসুমী, পূর্ণিমা, অপু বিশ্বাস, নিপুণ, মিশা সওদাগর, ববিতা, আহমেদ শরীফ, সুচরিতা, চম্পা, কাজী হায়াৎ, আবুল হায়াৎ, ভারতের রানী মুখার্জি, সানি দেওল, সুনীল, শেঠি, ফারদিন খান, শর্মিলা ঠাকুর, সুস্মিতা সেন, জিনাত আমান, জয়া বচ্চন।
অন্যদিকে আশীর্বাদ চলচ্চিত্র প্রস্তাবিত চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক ছিলেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পরবর্তীতে নির্বাচন করা হবে বলে প্রকল্প প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়।
ভারতের মুম্বাইয়ে নিজ বাসায় অনুপ্রবেশকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলী খান।
স্থানীয় সময় বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রাত আড়াইটায় একজন অনুপ্রবেশকারী বাসায় ঢুকে সাইফ আলীকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করে। বর্তমানে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার চলছে।
হাসপাতালকর্মীরা বলছেন, সাইফ আলী খান এখন বিপদমুক্ত। রাতে তার নিউরো সার্জারি করা হয়েছে। বর্তমানে প্লাস্টিক সার্জারি চলছে।
এ ঘটনায় বান্দ্রা থানায় একটি এজাহার করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, সাইফ আলী যখন বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন একজন অনুপ্রবেশকারী চুপিসারে তার বাসায় ঢোকেন। এ সময়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সাইফের হাতাহাতি হয়।
এরপর সাইফ আলী খানকে ছয়বারের বেশি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান অনুপ্রবেশকারী।
এক বিবৃতিতে লীলাবতী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ছয়টি আঘাতের মধ্যে দুটি তার মেরুদণ্ডের কাছে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।
এরই মধ্যে তার বাসার তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত করছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
এক বিবৃতিতে সাংবাদিক ও ভক্তদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে সাইফ আলী খান টিম।
এতে বলা হয়, ‘এটি এখন পুলিশের কাজ। আমরা আপনাদের হালানাগাদ তথ্য জানিয়ে দেব।’
কারিনা কাপুর খান টিমও একই বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘পরিবারের অন্য সদস্যরা ভালো আছেন।’
আরও পড়ুন:খ্যাতিমান অভিনেতা প্রবীর মিত্রের মৃত্যু হয়েছে, যার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোববার রাত ১০টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
অভিনেতার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৮১ বছর বয়সী প্রবীর মিত্র বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা নিয়ে ১৩ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শরীরে অক্সিজেন স্বল্পতাসহ বেশ কিছু অসুস্থতায় গত ২২ ডিসেম্বর তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু দিনে দিনে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়।
প্রবীর মিত্র ১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র।
পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুল জীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমানের মৃত্যু হয়েছে, যার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাকালে শুক্রবার রাতে তার মৃত্যুু হয়।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর সংবাদমাধ্যমকে অঞ্জনার মৃত্যুর বিষয়টি জানান।
অভিনেতা জায়েদ খানসহ অনেক শিল্পী ও কলাকুশলী তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নামী অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরটি জানান।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে শনিবার বেলা ১১টার দিকে তার জানাজা হবে।
মৃত্যুর আগে তিন দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন অঞ্জনা।
গত ২৪ ডিসেম্বর জ্বর নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেত্রী। পরে তার রক্তে সংক্রমণ পান চিকিৎসকরা, যা পুরো শরীরে ছড়িয়ে হার্ট ও কিডনিতে জটিলতা সৃষ্টি করে। অঞ্জনার ফুসফুসে পানি আসে এবং তিনি স্ট্রোক করেন।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকায় ১৯৬৫ সালের ২৭ জুন জন্মগ্রহণ করেন অঞ্জনা। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
আরও পড়ুন:ভারতের হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারের বাইরে গত ৩ ডিসেম্বর পদদলিত হয়ে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা আল্লু অর্জুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’-এর প্রদর্শনীতে অভিনেতার অনির্ধারিত উপস্থিতির সময় নারীর মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আল্লু অর্জুনকে জুবিলি হিলসের বাসভবন থেকে হেফাজতে নিয়ে চিক্কাদপল্লি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় তার বাবা ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা আল্লু অরবিন্দ এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা বাসায় ছিলেন।
গ্রেপ্তারের পর ৪১ বছর বয়সী এ অভিনেতা সোমবার পর্যন্ত তার আটকাদেশ স্থগিত রাখার আবেদন করেন। শুক্রবার এ আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে হায়দরাবাদ পুলিশ আল্লু অর্জুন, তার নিরাপত্তা দলের সদস্য এবং সন্ধ্যা থিয়েটারের ব্যবস্থাপকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
ঘটনার দিন অভিনেতাকে একপলক দেখার জন্য প্রচুর ভিড় হওয়ায় পদপিষ্টের ঘটনায় তাদের ভূমিকার বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন:কাতারভিত্তিক কমিউনিটি সার্ভিস সংগঠন শর্ট ফিল্ম ল্যাব (এসএফএল) আয়োজিত প্রথমবারের মতো উইকেন্ড শর্টফিল্ম চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে এ অনুষ্ঠান হয়।
প্রতিযোগিতাটির পৃষ্ঠপোষক ছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এলএনজি কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি।
প্রতিযোগিতায় স্থানীয় দলগুলো ৪৮ ঘণ্টায় নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করে।
প্রতিটি দল জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ডিজিটাল গল্প তৈরি করেছে, যা অনন্য ও আবেগপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি সামনে নিয়ে এসেছে।
এসএফএলের প্রতিষ্ঠাতা ড. মোহনালক্ষ্মী রাজাকুমার এবং সৃজনশীল পরিচালক দোহায় এসএফএল পরামর্শদাতা প্রোগ্রামের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ইলা রিডল এবং সারা ঈসার নেতৃত্বে এই পুরো অভিজ্ঞতা বাস্তবায়ন হয়।
এক্সিলারেট এনার্জির কান্ট্রি ম্যানেজার হাবিব ভূঁইয়া পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
১৫টি চলচ্চিত্র ইএমকে সেন্টারে প্রদর্শন হয়, যেখানে পাঁচটি পুরস্কার এবং একটি সম্মানিত উল্লেখের মাধ্যমে উদীয়মান চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতিভা ও সৃজনশীলতার স্বীকৃতি দেয়া হয়।
বিজয়ী চলচ্চিত্রগুলো পানির দূষণ থেকে পরিবেশের প্রতি অবহেলা এবং জলবায়ু স্থানচ্যুতি পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে, যা তরুণ গল্পকারদের পরিবেশগত পদক্ষেপের প্রতি সচেতনতা তৈরি করতে চলচ্চিত্রকে ব্যবহার করার বিষয়টি তুলে ধরেছে।
প্রখ্যাত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা সাদিয়া খালিদ রীতি (যিনি রাশিয়া, ইরান এবং ফ্রান্সের মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবসহ একাধিক দেশে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন) বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিজয়ী দলগুলোকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, ট্রিহাউস রেস্টুরেন্ট এবং গ্রামীণ দানোনের ভাউচারসহ বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন:মহা ধুন্ধুমার হতে চলেছে ২০২৬-এ বলিউডের ঈদ আয়োজন। এই একই মৌসুম ঘিরে ঠিক হলো শাহরুখ খানের ‘কিং’ এবং রণবীর কাপুরের ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ চলচ্চিত্রের মুক্তির দিনক্ষণ। উপমহাদেশ জুড়ে ভক্তদের প্রত্যাশার জোয়ার তুলেছে এই ঘোষণা। সে সঙ্গে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে চলেছে ছবি দুটি। এখনও নির্মাণের মঞ্চে না ওঠা সিনেমা দুটি নিয়ে আকর্ষণীয় কিছু তথ্য ইউএনবির প্রতিবেদনে।
ঐতিহাসিক পুনর্মিলনী
শাহরুখ অভিনীত ফারাহ খানের পুনর্জন্ম কাহিনী ‘ওম শান্তি ওম’ ছিল ২০০৭-এর দীপাবলির ব্লকবাস্টার। একই সময়ে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘সাওয়ারিয়া’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে রণবীর কাপুরের। তারপর থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর পর বক্স অফিসে বলিউড বাদশার মুখোমুখি হতে চলেছেন রণবীর। বলাই বাহুল্য, আজ আর তিনি সেই ‘সাওয়ারিয়া’র রণবীর নেই।
নির্মাতা বানসালির সঙ্গে চলচ্চিত্র যুদ্ধে এসআরকে সে বছর জিতে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু ২০১৫’তে শাহরুখের ‘দিলওয়ালে’ খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি বনসালির ‘বাজিরাও মাস্তানি’র কাছে। এবার তৃতীয়বারের মতো কিং খানের সঙ্গে বক্স অফিস প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে যাচ্ছেন ১৫ বার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জয়ী এই চলচ্চিত্র নির্মাতা।
শাহরুখের ‘কিং’
‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ এবং ‘ডানকি’র মতো পর পর হিট মুভি দেয়ার পর শাহরুখের এবারের চমকের নাম ‘কিং’। বহুল প্রত্যাশিত এই ক্রাইম ড্রামার মধ্য দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য পর্দায় প্রকাশিত চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে শাহরুখ-কন্যা সুহানা খানের। ছবিটির পরিচালনায় থাকবেন সুজয় ঘোষ।
এসআরকে’র রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে সিনেমার সহ-প্রযোজনায় অংশ নেবে সিদ্ধার্থ আনন্দের মারফ্লিক্স পিকচার্স।
২০১৩-এর ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এর দুর্দান্ত সফলতার পর থেকে দীর্ঘ বিরতির পর এই প্রথম ঈদের মৌসুমে ছবি প্রকাশ করছেন কিং খান।
ছবিতে প্রধান খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে অভিষেক বচ্চনকে। তারকাশিল্পীদের মধ্যে আরও থাকবেন সম্প্রতি সাড়া জাগানো হরর-কমেডি মুঞ্জিয়া-খ্যাত অভিনেতা অভয় ভার্মা।
ধাওয়া-পাল্টাধাওয়াসহ অভূতপূর্ব কিছু অ্যাকশন সিকোয়েন্স এবং নজরকাড়া কিছু ভিজুয়াল ইফেক্ট দিয়ে সাজানো হবে মুভিটি। সঙ্গত কারণেই বেশ সময় নিয়ে পরিকল্পনা চলছে ছবি নির্মাণে। সবকিছু ঠিকঠাক এগুলে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে আগস্ট বা সেপ্টেম্বর নাগাদ শেষ হবে নির্মাণের যাবতীয় কাজ।
রণবীরের ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’
প্রথম দিকে ২০২৫-এর ক্রিসমাসে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও সময় পিছিয়ে নতুন তারিখ ঠিক করা হয়েছে ২০২৬-এর ২০ মার্চ। সেই থেকেই ‘কিং’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এর।
সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত এই এপিক রোমান্টিক মুভিতে অভিনয় করবেন রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট ও ভিকি কৌশল। ‘ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান’ (২০২২)-এর পর এটি রণবীর-আলিয়া দম্পতির প্রথম চলচ্চিত্র।
বলিউডের ঈদ আয়োজনে এই পরিবর্তনের নেপথ্যে
ঘটনার সূত্রপাত ঈদে ছবি মুক্তি থেকে বলিউডের ভাইজান-খ্যাত সুপারস্টার সালমান খানের সরে দাঁড়ানো থেকে। বছরের পর বছর ধরে অনেকটা একচেটিয়া ঈদ মৌসুমকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে সালমান খানের মুভিগুলো। কিন্তু এই ধারাবাহিকতা ভেঙে ২০২৬ সাল থেকে যাচ্ছে একটু ভিন্ন রকমের।
২০২৫ সালের ঈদের জন্য নির্ধারিত ‘সিকান্দার’ মুভির কাজ শেষ করেই পরিচালক অ্যাটলির সঙ্গে পরবর্তী মেগা-বাজেটের ছবি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সালমান। ব্যাপক শুটিং ও ভিএফএক্স নিয়ে এই নতুন প্রজেক্টে রয়েছে বেশ ভারী কাজের চাপ।
স্বভাবতই অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজনীয়তা ছবি মুক্তির দিনক্ষণকে ঠেলে দিয়েছে ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে। এতে ২০২৬-এর ঈদ মৌসুমে সৃষ্টি হয় বিগ বাজেটের চলচ্চিত্র-শূন্যতা। আর এই শূন্যস্থান পূরণেই মুক্তির তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ‘কিং’ এবং ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এর।
শেষাংশ
২০২৬-এ বলিউডের ঈদ আয়োজনে শাহরুখ ও রণবীরের মুখোমুখি হওয়াটা জন্ম দিয়েছে নতুন মাত্রার ব্লকবাস্টার প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা। একদিকে ‘কিং’-এর পিতা-কন্যার আবেগঘন চিত্রনাট্য, অন্যদিকে ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’-এ প্রেম ও সংঘর্ষের চিরনবীন পটভূমি। সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ২০২৬-এর ঈদুল ফিতর হতে চলছে বলিউডের সবচেয়ে প্রত্যাশিত আয়োজনগুলোর মধ্যে একটি। কার মাথায় মুকুট উঠবে তা নিয়ে রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষার পাশাপাশি মুভিপ্রেমীদের সামনে এক স্মরণীয় উৎসবমুখর সপ্তাহের হাতছানি।
আরও পড়ুন:রাজধানীর আদাবরে গার্মেন্টকর্মী রুবেলকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আদাবর থানায় এই দুই সাবেক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার হত্যা মামলাটি দায়ের করেন নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম।
আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম শুক্রবার মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে মামলার ২৮ নম্বর এবং চিত্রনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌসকে ৫৫ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় নাম উল্লেখ করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমসহ (এস আলম) ১৫৬ জনের। অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে আরও ৪০০-৫০০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহেনা, আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো. হারুন-উর-রশিদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক পিএমটি ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশীদ, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম ডপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান, ডিএমপির সহকারী কমিশনার মেহেদী হাসান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানির ছোট ভাই ও ডিএমপির সহকারী কমিশনার গোলাম রুহানী, সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের দুই ছেলে আহসানুল আলম মারুফ ও আশরাফুল আলমসহ ১৫৬ জন।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে ছাত্র-জনতার প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেন। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য-সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে মিছিলে গুলি ছোড়া হয়। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসারত অবস্থায় ৭ আগস্ট মারা যান।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য