তার গানে প্রেম, বিরহ যাপন করেছেন হাজারও তরুণ। আবার তারই গানে সমাজ, রাজনীতি, বিদ্রোহ, প্রতিবাদ-প্রতিরোধের আগুন খুঁজেছেন অনেক স্বপ্নবাজ।
বলছি কবি, গীতিকার, সুরকার, গায়ক, সাংবাদিক, নাট্যকার ও সংগঠক সঞ্জীব চৌধুরীর কথা।
সব্যসাচী প্রয়াত সেই মানুষটির জন্মদিন আজ। মাত্র ৪৩ বছর বয়সে চলে যাওয়া মানুষটি বেঁচে থাকলে আজ ৫৮ বছর পূর্ণ হতো।
সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিনে তার স্মরণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘একাদশ সঞ্জীব উৎসব ২০২২’। রোববার এ উৎসব হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সঞ্জীব চত্বরে।
২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ’ আয়োজন করে আসছে এ উৎসব।
বিকেল ৪টায় শুরু হয়ে আয়োজন চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এতে একাধিক ব্যান্ড ও শিল্পীর পরিবেশনা থাকবে।
শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন লিমন, লাবিক কামাল গৌরব, জয় শাহরিয়ার, আরমীন মুসা, বাংলা ফাইভ, সন্ধি, সালেকিন, শুভ্র, রিয়াদ হাসান, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, দুর্গ, কোলস্লো, অর্ঘ্য, রাফসান, লিসান পলাশ ও পিজু।
সব্যসাচী সঞ্জীব বেশি সাধারণের হয়ে উঠেছিলেন তার গানের মাধ্যমে। সংগীতে নানাভাবে পাওয়া গেছে তাকে।
‘আমি ঘুরিয়া ফিরিয়া সন্ধান করিয়া, স্বপ্নের ওই পাখি ধরতে চাই’ গানটিতে পাওয়া যায় স্বপ্নবাজ এক সঞ্জীবকে।
আবার ভালোবাসার মধুর স্মৃতি মনে করে তিনি গেয়ে ওঠেন, ‘তোমার বাড়ির রঙের মেলায় দেখেছিলাম বায়োস্কোপ।’
‘সাদা ময়লা রঙ্গিলা পালে’, ‘হাতের ওপর হাতের পরশ’, ‘চোখটা এত পোড়ায় কেন’, ‘তোমার ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও’, ‘হৃদয়ের দাবি’, ‘আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ’সহ অনেক জনপ্রিয় গান রয়েছে সঞ্জীবের। এসব গানেই তার স্বপ্ন ও কথা বয়ে বেড়ান এ প্রজন্মের তরুণেরা।
তাই তো এখনও কোনো তরুণ প্রাণের আড্ডায় বা মাঝরাতে ফাঁকা রাস্তায় শোনা যায়, ‘আমি তোমাকেই বলে দেবো/কী যে একা দীর্ঘ রাত, আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে/ছুঁয়ে কান্নার রং, ছুঁয়ে জোছনার ছায়া।’
১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্ম সঞ্জীব চৌধুরীর। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর বাই লেটারেল সেরিব্রাল স্কিমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তার।
কোক স্টুডিও বাংলার দ্বিতীয় মৌসুমের ‘নাহুবো’ গানে কোনো খারাপ বা বাজে কথা নেই, যাতে হাজং সম্প্রদায় লজ্জিত হবে।
গানটি প্রকাশ হওয়ার পর যারা এর ভাষা ও কথা নিয়ে সমালোচনা করছেন তাদের উদ্দেশে এই বার্তা দিয়েছেন গানের হাজং ভাষার অংশের লেখক অনিমেষ রায়।
হাজং সম্প্রদায়ের অনিমেশ এই গানের শিল্পীও। তার সঙ্গে গানটি লেখায় অংশ নেন শিল্পী সোহানা রহমান। ‘নাসেক নাসেক’ গান দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া অনিমেষ নতুন গানের মাধ্যমে নিজের জাতিগোষ্ঠী হাজংয়ের সংস্কৃতি তুলে এনেছেন।
ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি জানি ভাষাগত কারণে আপনাদের অনেকেরই খুব কষ্ট হচ্ছে এটাকে সহজে বুঝতে। সেটার জন্য আমি দুঃখিত। তবে এটুকু বলতে পারি যে, আমি কোনো বাজে কথা বা খারাপ কথায় এই গানটি রচনা করিনি, যার জন্য আমার হাজং সম্প্রদায় লজ্জিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘দয়া করে আমার ভাষা নিয়ে কেউ বাজে কথা বলবেন না। আমি এতোটা বাজে রুচির মানুষ নই । গান ভালো না লাগতেই পারে। কারণ গানটা আমি আমার ভাবনা, দর্শন,আর আমার রুচিবোধ থেকে লিখেছি এবং গেয়েছি। সেদিক থেকে সবার ভালো না লাগতেই পারে। আর এটাই স্বাভাবিক।
‘তবে, এখানে আমার জাতিসত্তার প্রতি যদি কোনো বাজে প্রভাব পরে, তাহলে আমি এর জন্যে দোষী হয়ে যাচ্ছি। দয়া করে আমাকে এতো বড়ো দোষ দিবেন না। তাহলে হয়তো আর কেউ চেষ্টা করবে না- এটা প্রমাণ করতে যে, বাঙালি সংস্কৃতি কতোটা বৈচিত্র্যময় ।’
অনিমেষ লিখেছেন, ‘আমিও বাঙালি, বাংলাদেশি। কিন্তু যন্ত্রণাটা হলো আমার জন্মগত, বংশগত, সম্প্রদায়গত একটা ভাষা আছে সেটা হলো হাজং ভাষা। জন্মের পর থেকে এই ভাষায় কথা বলা শিখেছি।
‘কিন্তু কিছুটা বড় হওয়ার পর বুঝলাম যে আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলা। শুরু করলাম আমার রাষ্ট্রীয় ভাষা শেখা বাংলা। সেই তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমার কন্ঠ থেকে যতগুলো শব্দ এ সমাজের মানুষের কাছে পৌঁছেছে তার সিংহভাগ বাংলা।’
তিনি লিখেছেন, ‘ইদানিং তো আমার মনে হয় আমি একটা কথাও হাজং ভাষায় বলি না। সব বাংলায়। আর এটাই স্বাভাবিক। এতে আমি বা আমার হাজং ভাষাভাষী জনমানুষের বিন্দু মাত্র দুঃখ,যন্ত্রণা হয়না। কারন আমরা জানি আমরা বাঙালি। আমাদের এখনো হাজং ভাষার কোনো বর্ণমালা নেই
‘তাই খুব করে চেষ্টা করছিলাম যেন এই গানের মাধ্যমে যতটুকু পারি আমার এই ভাষাটাকে বাঁচিয়ে রাখতে। এটার জন্যে আমরা অনেকদিন ধরে বিভিন্ন পদক্ষেপও নিচ্ছি। সৌভাগ্যক্রমে কোক স্টুডিও আমাদের হাজং সম্প্রদয়ের (বাঙালির) জন্যে একটি সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে আসলো। আনন্দে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। এই বুঝি একটু সুযোগ পেলাম হাজং ভাষার অস্তিত্বকে একটু জানান দেবার,বাঁচিয়ে রাখবার।’
অনিমেষ লিখেছেন, ‘আমার কোনো কথায় আপানারা কোনোরকম কষ্ট পেলে আমাকে ক্ষমা করবেন। আরেকটা কথা, বাংলায় এ পর্যন্ত এতো বড়ো একটা জায়গায় মাত্র দুটি হাজং ভাষায় গান হয়েছে। আমি বলছিনা জোর করে ভালো লেগেছে বলতে। শুধু বলছি আমার সৃষ্টিকে ভালো লাগেনি বলতে গিয়ে যেন পুরো বাংলার ঐতিহ্যকে অসম্মান করে বসেন।’
আরও পড়ুন:জীবনের প্রথম চাকরি পেয়েছেন জানিয়ে ভক্তদের কাছে দোয়া চাইলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রোববার এক পোস্টে এই তথ্য দিয়েছেন তিনি।
গায়ক লিখেছেন, ‘মার্চের এক তারিখ থেকেই আমার চাকরি জীবন শুরু হয়েছে। জীবনে প্রথম কোন চাকরিতে যোগদান করলাম। আজ থেকে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে অফিস শুরু করতে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘চাকরির অফার এবং ধরন-দুটোই আমার পছন্দ হয়েছে। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আরো একটি নতুন পালক যুক্ত হলো। আমি বেশ আনন্দ নিয়েই কাজে যোগদান করেছি।’
আসিফ লিখেছেন, ‘এই চাকরির মাধ্যমে দেশের জন্য, আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য অনেক কিছু করার সুযোগ আমার আছে।’
ভার্সেটিল গ্রুপের ‘হ্যালো সুপারস্টার’ (অ্যাপ)-এর ‘কান্ট্রি হেড’ পদে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই সংগীতশিল্পী।
ভার্সেটিল গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. কামরুল আহসান আসিফ আকবরকে নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমার প্রিয় ভাই আসিফ আকবরকে ভার্সেটিলে স্বাগত জানাই। আপনাকে পেয়ে আমরা সম্মানিত এবং আনন্দিত।
আরও পড়ুন:
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসান খান আগামী দুই বছরের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর শুভেচ্ছা দূত হয়েছেন। টানা কয়েক বছর শরণার্থীদের জন্য কাজ করার ধারাবাহিকতায় এবারও তাকে শুভেচ্ছা দূত করা হয়েছে।
সংস্থাটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তাহসান খান শরণার্থীদের বিষয়ে জানতে ও জানাতে ইউএনএইচসিআর-এর সঙ্গে কাজ করছেন ২০১৯ সাল থেকে। তিনি প্রতিবছর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেন এবং আশ্রিতদের চাহিদা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যতের আশা সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে ইউএনএইচসিআরকে সাহায্য করেছেন।
বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও বলেন, ‘তাহসানের সঙ্গে কাজ করা খুবই আনন্দের এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার তার এই সিদ্ধান্তে আমরা কৃতজ্ঞ। তার অনন্য ব্যক্তিত্ব আমাদের সাহায্য করে মানুষকে বোঝাতে যে রোহিঙ্গারাও মানুষ।’
তাহসান খান বলেন, ‘ইউএনএইচসিআর-এর শুভেচ্ছা দূত হয়ে মানবতার জন্য কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করা একটি সম্মানের বিষয়। তাদের সঙ্গে আমার কাজের মাধ্যমে আমি শরণার্থীদের সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং স্থানীয় জনগণ ও শরণার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি আনতে বড় ভূমিকা রাখতে পারব।’
তাহসান বিশ্বব্যাপী ইউএনএইচসিআর-এর ৪০ জন শুভেচ্ছা দূতের একজন; যারা তাদের জনপ্রিয়তা, আত্মত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি কোণে শরণার্থীদের অবস্থা ও ইউএনএইচসিআর-এর কাজকে তুলে ধরতে সাহায্য করেন।
প্রায় দুই বছর পর শ্রোতা-দর্শকদের সামনে নতুন গান নিয়ে উপস্থিত হতে যাচ্ছেন শিল্পী ধ্রুব গুহ। ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস)-এর ব্যানারে আসছে ‘দাগা’ শিরোনামের গান।
প্রিন্স রুবেলের কথা ও সুরে গানটির সংগীত আয়োজন করেছেন তরিক আল ইসলাম।
ধ্রুব গুহ বললেন, ‘অনেকদিন ধরেই আমার গানের শ্রোতা ও শুভানুধ্যায়ীদের চাওয়া ছিল নতুন গানের। ইচ্ছেটা আমারও ছিল। কিন্তু গত দুই বছর আমাদেরকে একটি দুর্বিষহ সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
‘সত্যি বলতে সবারই চোখে-মুখে ছিল উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ। মরণঘাতী করোনা ভাইরাস আমাদের থমকে দিয়েছিল। তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও একটা বিরতি নিয়েছিলাম একটু ভালো সময় আসার প্রতীক্ষায়। এ বছর মনে হলো এখন কিছুটা হলেও সময়টা স্বস্তির। সে কারণেই শ্রোতাদের কথা চিন্তা করে একটা শ্রুতিমধুর গান উপহার দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, “আমি বরাবরই শ্রোতাদের জন্য সহজ কথায় সহজ সুরের গান গাইতে পছন্দ করি। ‘দাগা’ গানটিও সেরকম একটি। আমি আশাবাদী, আমার আগের গানগুলো যেভাবে শ্রোতারা ভালোবেসে নিজের করে নিয়েছেন, এই নতুন গানটিও সেভাবেই ভালোবেসে গ্রহণ করবেন তারা।”
ইতোমধ্যে গানটির মিউজিক ভিডিওর শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। সিনেআর্ট প্রডাকশনের ব্যানারে গল্পনির্ভর এই ভিডিও নির্মাণ করেছেন শুভব্রত সরকার। গল্প লিখেছেন মৌমিতা বিশ্বাস। মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন আকাশ, রিয়া ও তামুর। শিল্পী ধ্রুব গুহ’র উপস্থিতিও রয়েছে মিউজিক ভিডিওটিতে।
গানটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, ভালোবাসা দিবসের আগেই ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে অবমুক্ত করা হবে গানটি। ইউটিউব চ্যানেলের পাশাপাশি গানটি শুনতে পাওয়া যাবে দেশি ও আর্ন্তজাতিক একাধিক অ্যাপেও।
উল্লেখ্য, ধ্রুব গুহর গাওয়া ‘শুধু তোমার জন্য’, ‘যে পাখি ঘর বোঝে না’, ‘আদরে রাখিও বন্ধু’, ‘একলা পাখি’, ‘তোমার ইচ্ছে হলে’, ‘তোমার উঁকিঝুঁকি’ গানগুলো শ্রোতাদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
আরও পড়ুন:আবার শুরু হচ্ছে কোক স্টুডিও বাংলা। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস (১৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে প্রচারে আসবে এর নতুন সিজন। কোক স্টুডিওর অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে উপভোগ করা যাবে সব গান। পাশাপাশি প্রতিটি গান দেখা যাবে বেসরকারি টিভি চ্যানেল দীপ্ত টিভির পর্দাতে।
সংশ্লিষ্ট এক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, কোক স্টুডিও বাংলার নতুন সিজন শুরু হবে কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লার গান দিয়ে। শুধু তাই নয়, চলতি বছরের সিজনে শোনা যাবে পান্থ কানাই, ইমন চৌধুরী, মেঘদলসহ আরও বেশ কিছু শিল্পীর নতুন গান। এ ছাড়াও রকস্টার জেমস একটি আয়োজনে থাকবেন বলে জানা গেছে।
এবারের সিজনে মোট ১০টি গান প্রকাশ পাওয়ার কথা রয়েছে। তার মধ্যে কিছু গানের রেকর্ডিং এখনও বাকি। সেগুলোর কাজ চলছে।
৩১ জানুয়ারি দ্বিতীয় সিজনের লোগো উন্মোচন করে কোক স্টুডিও বাংলার পেজ থেকে বলা হয়, ‘অনেক অপেক্ষার পর আমরা আবার আসছি নতুন সিজন নিয়ে, নতুন গানের সঙ্গে। রেডি তো দ্বিতীয় সিজনের জন্য?’
এরপর ১ ফেব্রুয়ারি একটি পারফরম্যান্সের ছোট্ট অংশ প্রোমো হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র শিল্পীর সঙ্গে এক ঝলকে দেখা গেছে অর্ণবকে। ‘কোক স্টুডিও বাংলা’র এই সিজনেও সংগীত প্রযোজক হিসেবে থাকছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব।
আরও পড়ুন:‘দ্যাখো সারেং ছাড়া জাহাজ চলে, কার ইশারায় কিসের বলে/ মন্দ হাওয়ার খবর দিছে আগাম...’; লোককথার গাথা গভীরতম ভাবদর্শনের গানটির কথার মতোই মন্দ হাওয়া লেগেছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমনির সংসার জীবনে।
তবে সেসবের মাঝেই এমন ভাবদর্শনের গানটি দিয়েই কিছুটা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন পরী। কারণ, গানটি তার আসন্ন সিনেমা অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন-এর।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিনেমাটির ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়েছে ‘সারেং ছাড়া জাহাজ চলে’ শিরোনামের গানটি। সেটি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে পরীমনি লেখেন, ‘এনজয়'।
প্রয়াত গীতিকার দেওয়ান লালন আহমেদের কথায় গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন স্বনামধন্য বাউলশিল্পী শফি মণ্ডল। গত বছরের শুরুর দিকে গানটি রেকর্ডিং করা হয়। এর সুর সংযোজন ও মিউজিক কম্পোজিশন করেছেন খ্যাতনামা সংগীত পরিচালক ইমন চৌধুরী।
গত বছর ১৪ জুলাই মারা গেছেন গীতিকার দেওয়ান লালন। ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে গানটি নিয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেছিলেন তিনি।
সে সময় দেওয়ান লালন বলেন, ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন সিনেমার কাহিনির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই গানটি লেখা। লোককথার দ্বারা সহজভাবে গভীরতম ভাব ও দর্শন তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানটিতে। আমি খুব আশাবাদী যে গানটি দর্শক-শ্রোতাদের ভালো লাগবে।’
মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপন্যাস ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ অবলম্বনে সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমাটি পরিচালনা করেন রায়হান জুয়েল।
সিনেমাটিতে পরীমনির বিপরীতে রয়েছেন চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, আজাদ আবুল কালাম, আশীষ খন্দকারসহ অনেকে। ২০ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি।
আরও পড়ুন:ভারতের বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সুমিত্রা সেন মারা গেছেন। দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সুমিত্রা সেনের কন্যা রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী শ্রাবণী সেন মায়ের মৃত্যুর খবর দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, 'আজ ভোরে মা চলে গেলেন।'
গত ২১ ডিসেম্বর আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুমিত্রা সেনকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সোমবার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল বলে জানান শ্রাবণী।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্ষীয়ান সংগীতশিল্পী সুমিত্রা সেন বার্ধক্যজনিত একাধিক রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি তার ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া ধরা পড়ে। অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও এর প্রভাব পড়ে।
সুমিত্রা সেনের প্রয়াণে সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লা বলেন, 'দিদি খুব মিশুক ছিলেন। সব ধরনের গান গাইতেন। আমাকে খুব স্নেহ করতেন। আমার ভীষণ প্রিয় মানুষ ছিলেন। দিদির মৃত্যুতে সংগীতজগতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো।'
সুমিত্রা সেনের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী সুমিত্রা সেনের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। সুমিত্রা সেনের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। তার প্রয়াণে সংগীতজগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আমি সুমিত্রাদির দুই কন্যা ইন্দ্রাণী ও শ্রাবণী এবং সুমিত্রাদির পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।'
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, দেবব্রত বিশ্বাস, সুচিত্রা মিত্র ও কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমসাময়িক শিল্পী সুমিত্রা সেন। তার জন্ম ১৯৩৩ সালে।
১৯৫১ সালে দুটি নজরুলগীতি রেকর্ডিংয়ের মধ্য দিয়ে শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সুমিত্রা সেন। তার দুই মেয়ে ইন্দ্রাণী সেন ও শ্রাবণী সেনও বাংলার সংগীতজগতে অবদান রাখছেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য