সরকারি অনুদান পাওয়া শিশুতোষ সিনেমা ‘অ্যাডভেঞ্চার অফ সুন্দরবন’ মুক্তি পাচ্ছে ২০ জানুয়ারি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহিলা সমিতিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সিনেমাটির পোস্টার উন্মোচন ও ট্রেইলার প্রকাশ অনুষ্ঠান।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সিনেমার পরিচালক আবু রায়হান জুয়েল, অভিনয়শিল্পী সিয়াম আহমেদ, পরীমনি ও শিশুশিল্পীরা।
সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ উপন্যাস অবলম্বনে। অনুষ্ঠানে জাফর ইকবাল উপস্থিত ছিলেন। আরও ছিলেন নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম ও চিলড্রেন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আয়োজক মুনিরা মোর্শেদ মুন্নি।
নির্মাতা আবু রায়হান জুয়েল বলেন, ‘সিনেমার শুটিং করতে করতে করোনা মহামারি শুরু হয়। সে সময় বাচ্চাগুলোর বাবা-মা আমাদের অনেক সাহায্য করেছেন। বাচ্চারাও অনেক উৎসাহ দিয়েছে আমাকে। ‘অ্যাডভেঞ্চার অফ সুন্দরবন শিশুদের সুস্থ বিনোদনের জন্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র। সিনেমাটি সব বয়সীরাই দেখতে পারবেন। প্রত্যাশা করি সবাই সিনেমাটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে আসবেন।’
চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি খুব এক্সাইটেড। কারণ বাচ্চাদের আরেকটা সিনেমা আসবে। শিশুতোষ সিনেমা তো তেমন হয় না। আশা করছি সেই সিনেমাটিও অনেক ভালো করবে।
‘২৬ বছর আগে জাফর ইকবালের গল্প থেকে সিনেমা বানিয়েছিলাম দিপু নম্বর টু। সেটা নাকি এখনও অনেকের ভালো লাগে। সেই ভালোলাগা ছাপিয়ে যাবে অ্যাডভেঞ্চার অফ সুন্দরবন, সেই আশা করছি।’
তিনি বলেন, চিলড্রেন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল শুরু হবে ৪ ফেব্রুয়ারির দিকে। অ্যাডভেঞ্চার অফ সুন্দরবন সিনেমা দিয়ে উৎসব শুরু করতে পারলে সবারই অনেক ভালো লাগবে।’
মুনিরা মোর্শেদ মুন্নি বলেন, ‘এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী, দিপু নম্বর টু, আমার বন্ধু রাশেদ ছাড়া তেমন কোনো সিনেমা নেই শিশুদের জন্য। অভিভাবকদের বলব, আপনারা অনেক সময় দেখি বাচ্চাদেরকে নিয়ে বড়দের সিনেমা দেখছেন। অথচ পাশের প্রেক্ষাগৃহেই ছোটদের সিনেমা চলছে, সেটা দেখছেন না। সেই সিনেমা দেখার অনুরোধ করব। কারণ বাচ্চারা আপনাদের ওপর নির্ভরশীল।’
সিনেমাটির জন্য প্রথমবারের জন্য গান লিখেছেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। সে বিষয়ের উল্লেখ করে লেখক বলেন, ‘আমরা লিখি। কিন্তু সিনেমায় সেটা দেখানো অনেক কঠিন। গানটা যখন লিখি, তখন জানতাম না এতো ভালো হবে। গানটার দৃশ্য ধারণ হওয়ার পর আমাকে দেখাতে নিয়ে এসেছিলেন পরিচালক। আমার নাতি দেখে খুব পছন্দ করেছে। তখন বুঝলাম ভালোই হয়েছে গানটা।’
সিনেমায় সিয়াম অভিনয় করছেন রাতুল চরিত্রে। তিনি বলেন, ‘করোনা থেকে অনেকেই যেমন ফিরে এসেছে, তেমনি সিনেমাটাও ফিরেছে। রাতুল চরিত্রটা আমার অনেক আগে থেকে জানা। সেই চরিত্রটা করতে পারব, এটা কোনোদিন ভাবিনি। সেটাই হলো এবং এটা স্বপ্ন পূরণের মতো। আমি সিয়াম আহমেদ হয়ে গিয়ে ছিলাম, শিশুরা আমাকে রাতুল ভাইয়া করে ঢাকায় পাঠিয়েছ।’
পরীমনি অভিনয় করেছেন তিশা চরিত্রে। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে নিয়ে এসেছি অনুষ্ঠানে। সিনেমাটাও দেখব। ও যখন বড় হবে, তখন দেখাব যে তোমার জন্য একটি উপহার এই সিনেমা। করোনার সময় মনে হয়েছিল, সিনেমাটা শেষ পর্যন্ত আসবে কিনা। এখন সিনেমাটা মুক্তি পাচ্ছে, সেটাই বড় পাওয়া।’
আরও পড়ুন:বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজছেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের নাতনি ও অভিনেত্রী মুনমুন সেনের মেয়ে রাইমা সেন।
ভালো মনের মানুষ পেলেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান বলে সম্প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকাকে জানিয়েছেন টালিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।
৪৩ বছর বয়সী রাইমা বলেছেন, ‘আমি সিঙ্গেল। আমি তো চাই বিয়ে করতে। পাত্র খুঁজে দিলেই বিয়ে করব।’
ইন্ডাস্ট্রিতে পার করে ফেলেছেন এক যুগেরও বেশি। কখনও চর্চা হয়েছে তার কাজ, কখনও আবার শিরোনামে উঠে এসেছে তার ব্যক্তিগত জীবন। ঋতুপর্ণ ঘোষের মাধ্যমে দর্শক পেয়েছিলেন এক অন্য রাইমাকে।
প্রেম নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও এখনও বিয়ে করা হয়নি এই অভিনেত্রীর। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে রাইমা বলেন, ‘ভালো মানুষ চাই। আমার এমন এক জন মানুষ চাই যে আমার জীবনধারার সঙ্গে মিশে যেতে পারবে, সঙ্গে একটু রসবোধ থাকবে। আর ব্যাঙ্কে টাকা থাকা তো জরুরি। ওটা না থাকলে তো চলবে না।
‘যদিও আমি যে আংটিটা পরে থাকি তা দেখে অনেকেই ভাবেন আমি হয়তো এনগেজড, কিন্তু আমি সিঙ্গেল, সবাইকে বলতে চাই।’
হিন্দি এবং বাংলা দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই সমান তালে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন রাইমা। তবে বেশিসংখ্যক কাজের থেকেও ভাল কাজ করা তার লক্ষ্য।
রাইমার কথায়, আমি একটু বেছে কাজ করি তাই আমায় অনেকে আনপ্রেডিক্টেবল ভাবে। কিন্তু আমি ভাল কাজ করার পক্ষপাতী। তাই তো অনেক দিন পর রক্তকরবী-তে কাজ করলাম। কী দারুণ চিত্রনাট্য। বিক্রমও বেশ ভালো। একটু বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে।
মুম্বাইয়ে বেশ কিছু ছবির কাজ করছেন রাইমা। বাংলা সিরিজ়ের পাশাপাশি তার অভিনীত তামিল ছবিও এখন মুক্তির অপেক্ষায়। শিগগিরই মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার নতুন ওয়েব সিরিজ় ‘রক্তকরবী।’
আরও পড়ুন:প্রথম স্ত্রী দেবশ্রী রায়কে এখনও ভুলতে পারেন না ভারতীয় বাংলা সিনেমার সবচেয়ে পরিচিত মুখ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। সংসার ভাঙার দায়ও নিলেন তিনি। বললেন বন্ধুত্ব রাখতে চাওয়ার কথাও।
তিন দশক ধরে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের সামনে থাকা বুম্বাদার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা কম হয় না। নানাভাবে সামনে আসে সেসব প্রসঙ্গ। এবার তাই অভিনেতা নিজেই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন।
জি ২৪ ঘন্টাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘বিয়ের কপালটা আমার খারাপ। প্রত্যেক জায়গায় আমি একটাই কথা বলি, যেটাই হয়েছে সেটা আমার দোষ, আমি তাকে বুঝতে পারিনি।’
ভালোবাসে পরস্পরকে বিয়ে করেছিলেন তারা। ছোটবেলার বন্ধুত্ব, যৌবনে পা দিয়েই দাম্পত্যে জড়ান। সালটা ১৯৯২। তবে খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি এই সম্পর্ক। তিন বছর পরেই ভেঙে যায় প্রসেনজিৎ-দেবশ্রীর বিয়ে।
অভিনেতা জানান, দেবশ্রীর সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। দু-বছর বাড়ির বাইরে বার হননি।
প্রসেনজিৎ বলেন, ‘জীবনে প্রথম প্রেম, প্রথম ভালোবাসার একটা আলাদা জায়গা থাকে। আরেকটা ফ্যাক্টর ছিল আমার বয়সটা। আমি যে সময় বিয়ে করেছিলাম, যদি আরও পাঁচ বছর পর বিয়ে করতাম, হয়ত বিষয়টা আমরা দুজনেই অনেকটা ম্যাচিউরডভাবে হ্যান্ডেল করতে পারতাম। তবে আমি কোনও জায়গায় কাউকে দোষ দিইনি। বলেছি সবটা আমার দোষ।’
অভিনেতা আরও বলেন, ‘সবাই জানতো আমাদের প্রেম, আমাদের ভালোবাসার কথা। আমি ভয় পেতাম। লোকে ভাববে আমার ভালোবাসাটা বোধহয় জেনুইন ছিল না। হয়তো আমার ভালোবাসাটা ভুল ছিল, আমি ভালোবাসতে পারিনি।
‘সেই ভাবনাটা থেকে ভেতরে ভেতরে কষ্ট পেতাম। লজ্জা, ভয়, অভিমান মিশিয়ে আমি কারুর সামনে যেতে পারিনি। সেইসময় অনেক পরিচালক, কাছের বন্ধুরা আমার বাড়িতে এসে বলেছেন- এটা জীবন নয়। এরপর ধীরে ধীরে গৃহবন্দি দশা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াই।’
দেবশ্রীর সঙ্গে পুরোনো বন্ধুত্ব ফিরে পেতে চান প্রসেনজিৎ।
প্রথম বিয়ে ভাঙার পর অপর্ণা গুহঠাকুরতাকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা, তাদের মেয়ে প্রেরণা। সেই সম্পর্কেও প্রসেনজিৎ ইতি টানেন ২০০২ সালে। এখন অর্পিতাকে নিয়ে ঘর করছেন। তাদের একমাত্র ছেলে তৃষাণজিৎ।
আরও পড়ুন:শুরু হচ্ছে শিশুদের প্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুরের নতুন মৌসুম, সিজন-১৫। নতুন এই মৌসুমে হালুম, টুকটুকি, ইকরি ও শিকু হাজির হবে নতুন নতুন সব গল্প নিয়ে আর সঙ্গে থাকবে তাদের নতুন বন্ধু জুলিয়া।
জুলিয়া চরিত্রটি সিসিমপুরে বিশেষ সংযোজন। তার মধ্যে আছে অটিজম বিষয়ক বৈশিষ্ট্য। সিসিমপুরে বাংলাদেশের অটিজমসম্পন্ন শিশুদের প্রতিনিধিত্ব করবে জুলিয়া।
ইউএসএআইডি/বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত নতুন এই সিজনের স্লোগান- ছন্দে ছন্দে পনেরো এলো- সবাই মিলে এগোই চলো। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সিজন-১৫ এর আনকোরা পর্বগুলো দেখা যাবে দুরন্ত টেলিভিশনের পর্দায়।
সবাইকে অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া- এই বিষয় দুটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হয়েছে সিসিমপুরের ১৫তম মৌসুম। এছাড়া মজার মজার গল্পের মাধ্যমে প্রাক-গণিত, প্রাক-পঠন, অটিজম, পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব, বিশ্লেষণী চিন্তা-ভাবনা, জেন্ডার বিষয়ক প্রচলিত সংস্কারকে জয় করা এবং ভিন্ন ভিন্ন ভাবপ্রকাশের উপায়কে সম্মান দেখানোর মতো বিষয়গুলোকে তুলে ধরা হবে।
এতে থাকবে গণিত, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিজ্ঞান নিয়ে দারুণ সব এনিমেশন। আর শিশুদের নিয়ে লাইভ এ্যাকশন ফিল্ম। এছাড়া ‘ইকরির সাথে বর্ণ চেনা’ এবং ‘টুকটুকির সাথে সংখ্যা চেনা’র প্রতিটি পর্বে ইকরি একটি করে বর্ণ এবং টুকটুকি একটি করে সংখ্যা চেনাবে।
১৫তম সিজনের পর্বগুলো বর্ণনামূলক, ‘শিকুর বিজ্ঞানের জগৎ’ এবং ‘ইকরির সাথে খেলার সময়’ এই তিন ধরনের ফরমেটে তৈরি। এবারের পর্বগুলোতে সিসিমপুরের বন্ধু হালুম, টুকটুকি, ইকরি, শিকুর সাথে নতুন বন্ধু জুলিয়া ছাড়াও অংশ নিয়েছে আমিরা এবং শিকুর সহকারি বানর।
এ ছাড়া থাকছে প্রতিবন্ধী, প্রান্তিক এবং আদিবাসী শিশুরাও। আর সিসিমপুরের নিয়মিত অন্যান্য চরিত্ররা তো থাকছেই। এই সিজনের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কিছু পর্বে ব্যবহার করা হয়েছে ইশারা ভাষা।
৩০ জানুয়ারি সিসিমপুরের সিজন-১৫-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত ও অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডেভিস স্টিভেন্স।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নতুন সিজনের উদ্বোধনী আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের সিইওও ডা. সাকী খন্দকার।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন এশিয়াটিকের কো-চেয়ারম্যান সারা যাকের, বিটিভি’র পরিচালক জগদীশ এষ, মাছরাঙা টেলিভিশনের নির্বাহী পরিচালক অজয় কুমার কুণ্ডু এবং ‘ইউএসএআইডি সিসিমপুর’ প্রজেক্টের চিফ অফ পার্টি মোহাম্মদ শাহ আলম-সহ অনেক গুণীজন। সঙ্গে ছিল সিসিমপুরের বন্ধু বাহাদুর, ইকরি, শিকু, টুকটুকি, হালুম ও নতুন বন্ধু জুলিয়া।
ইউএসএআইডির আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত ‘সিসিমপুর’ ২০০৫ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক শিশু বিকাশ কার্যক্রমের আওতায় ‘সর্বত্র শিশুরা হয়ে উঠুক আরও সম্পন্ন, আরও সবল এবং আরও সদয়’ এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারে সহায়তা করছে ‘মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ এবং বিদ্যালয়ভিত্তিক কার্যক্রমে সহায়তা করছে ‘প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়’।
আরও পড়ুন:আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুত বহুল আলোচিত ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমা মুক্তির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
সোমবার দুপুরে এই সিনেমার নির্মাতা ও তার স্বামী মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর এ সংক্রান্ত একটি ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এই আহ্বান জানান তিনি।
তিশা লিখেছেন, ‘আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুত শনিবার বিকেল মুক্তির ব্যবস্থা করা হউক!’
তিনি যে পোস্টটি শেয়ার করেছেন তাতে ফারুকী লিখেছেন, ‘সেন্সর বোর্ডের প্রিয় ভাই-বোনেরা, আমরা এখনও আপনাদের চিঠির অপেক্ষায়। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আপিল বোর্ড একটা সিনেমার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতা রাখে। শনিবার বিকেলের ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত দেশি-আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকা এবং টেলিভিশনের কল্যাণে সারা দুনিয়ার মানুষ জানে। তারা সবাই তাকিয়ে আছে।
‘আর দেরি না করে চিঠিটা তাড়াতাড়ি পাঠান। আমরা বাংলাদেশকে আর বিব্রতকর অবস্থায় না ফেলি। ওদিকে ফারাজ রিলিজ হচ্ছে তিন তারিখ। বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে শনিবার বিকেল মুক্তির দিকে, ফারাজের সাথে একই দিন বা এক ঘন্টা আগে হলেও।’
তিনি লিখেছেন, ‘সুতরাং এটা দ্রুত সমাধান করেন। আমরা হাসিমুখে সিনেমাটা রিলিজ করি। পৃথিবীর নানা দেশে সিনেমাটা দেখানো হয়েছে, হচ্ছে। এবার বাংলাদেশের মানুষের পালা। পাশাপাশি এটাও আপনাদের ভাবার সময় আসছে, এই নতুন মিডিয়ার যুগে সিনেমা আটকানোর মতো সেকেলে চিন্তা আদৌ কোনো কাজে আসে কি না। কারণ যে কেউ চাইলে তার ছবি ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে উন্মুক্ত করে দিতে পারে। ফলে ছবি আটকানোর চেষ্টা একটা পণ্ডশ্রম যা কেবল দেশের জন্য বদনাম-ই বয়ে আনতে পারে।
‘আরেকটা কথা যেটা বারবারই বলছি, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করে কারো সিনেমা বানানোর দরকার নাই। দেশের বাইরে যে কোনো দেশ থেকে ইউটিউব-ফেসবুকে একটা দশ মিনিটের ভিডিও আপ করে দিলেই হয়। শিল্প রচনার মতো এতো কষ্টসাধ্য পথে যাওয়ার তো দরকার নাই।’
পোস্টে এই নির্মাতা লিখেছেন, ‘আর তাছাড়া শিল্পীর লক্ষ্য এতো ন্যারো থাকে না, ভাই। কারো ভাবমূর্তি রক্ষা বা ক্ষুন্ন করার মতো কাজ তার না। তার লক্ষ্য মহাকালের সাথে তার কালের কথোপকথন! ইতি,আপনাদেরই বঙ্গসন্তান!’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে বহুদিন ধরে আটকে ছিল মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’। অবশেষে সিনেমাটি নিয়ে সেন্সর বোর্ডের আপিল কমিটির শুনানিতে জানানো হয়, এই সিনেমা মুক্তিতে আর বাধা নেই।
জানা যায়, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটা ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। দেশে সিনেমাটি এখনও প্রদর্শিত না হলেও মিউনিখ, মস্কো, সিডনি, বুসান, প্যারিসের ভেসুল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শনিবার বিকেল প্রদর্শিত হয়েছে এবং পুরস্কৃতও হয়েছে।
বাংলাদেশ, ভারত ও জার্মানির যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত শনিবার বিকেল। প্রযোজনায় আরও আছে জাজ মাল্টিমিডিয়া ও ছবিয়াল এবং ভারতের শ্যাম সুন্দর দে।
এতে অভিনয় করেছেন অস্কার মনোনীত ওমর সিনেমার অভিনেতা ইয়াদ হুরানিসহ নুসরাত ইমরোজ তিশা, জাহিদ হাসান, ইরেশ জাকের, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।
আরও পড়ুন:জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১-এর জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এবার ২৭ ক্যাটাগরিতে ৩৪টি পুরস্কার দেয়া হচ্ছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে গত ২৬ জানুয়ারি এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
শিগগির অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়ার কথা রয়েছে।
চলচ্চিত্রশিল্পে বিশেষ অবদান রাখায় এবার আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন (যৌথভাবে) অভিনেত্রী ডলি জহুর ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে (যৌথভাবে) নির্বাচিত হয়েছে মাতিয়া বানু শুকু নির্মিত ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ও রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত নির্মিত ‘নোনাজলের কাব্য’।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন (যৌথভাবে) মো. সিয়াম আহমেদ (মৃধা বনাম মৃধা) ও মীর সাব্বির মাহমুদ (রাতজাগা ফুল); শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (যৌথভাবে) হয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন (রেহানা মরিয়ম নূর) ও তাসনোভা তামান্না (নোনাজলের কাব্য)।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)। পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা এম ফজলুর রহমান বাবু (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী শম্পা রেজা (পদ্মপুরাণ) ও খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে মো. আবদুল মান্নান জয়রাজ (লাল মোরগের ঝুঁটি)পুরস্কার পেয়েছেন।
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে আকা রেজা গালিবের ‘ধর’ এবং শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে কাওসার চৌধুরীর ‘বধ্যভূমিতে একদিন।’
এবার শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হয়েছেন সুজেয় শ্যাম (যৈবতী কন্যার মন)। শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে কে. এম. আবদুল্লাহ-আল-মুর্তজা মুহিন (শোনাতে এসেছি আজ-পদ্মপুরাণ), শ্রেষ্ঠ গায়িকা চন্দনা মজুমদার (দেখলে ছবি পাগল হবি-পদ্মপুরাণ), শ্রেষ্ঠ গীতিকার প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন), শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে সুজেয় শ্যাম (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন) এবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
এ ছাড়া শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা চরিত্রে প্রভাষ কুমার ভট্টাচার্য্য মিলন (মৃধা বনাম মৃধা), শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে আফিয়া তাবাসসুম (রেহানা মরিয়ম নূর) পুরস্কার পেয়েছেন। শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন জান্নাতুল মাওয়া ঝিলিক (যা হারিয়ে যায়)।
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে নূরুল আলম আতিক (লাল মোরগের ঝুঁটি) এবং শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার পেয়েছেন তৌকীর আহমেদ (স্ফুলিঙ্গ)।
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক হিসেবে সামির আহমেদ (লাল মোরগের ঝুঁটি), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক শিহাব নূরুন নবী (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক (দলগত) সৈয়দ কাশেফ শাহবাজি, সুমন কুমার সরকার, মাজহারুল ইসলাম রাজু (লাল মোরগের ঝুঁটি), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক শৈব তালুকদার (রেহানা মরিয়ম নূর), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা শিল্পী হিসেবে ইদিলা কাছরিন ফরিদ (নোনাজলের কাব্য) পুরস্কার জিতেছেন। শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান (দলগত) পুরস্কার পেয়েছেন মো. ফারুক ও মো. ফরহাদ রেজা মিলন (লাল মোরগের ঝুঁটি)।
আরও পড়ুন:এবার রুপালি পর্দায় ‘সত্যান্বেষী’ ব্যোমকেশ হয়ে ধরা দেবেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার নায়ক দীপক অধিকারী দেব।
ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার ১৭ বছর পূর্তির দিন শনিবার টলি সুপারস্টার এই ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র ‘ব্যোমকেশ’ নিয়ে খেলা টলিউডে নতুন নয়। গত দেড় দশকে প্রায় হাফ ডজন ব্যোমকেশের দেখা মিলেছে। অবশ্য রুপালি পর্দায় ব্যোমকেশের সফর শুরু উত্তম জমানায়।
যিশু সেনগুপ্ত, আবির চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সুজয় ঘোষ, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, গৌরব চট্টোপাধ্যায় বড় পর্দা, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, এমনকি ছোট পর্দাতেও ব্যোমকেশ হিসেবে ধরা দিয়েছেন।
প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত বলিউডে ‘ডিটেক্টিভ ব্যোমকেশ বক্সী’ হয়ে ধরা দিয়েছিলেন। এবার এই পথেই হাঁটবেন দেব।
‘পাগলু ডান্স’ করা দেব গত কয়েক বছরে নিজেকে ভেঙেছেন বিস্তর। কখনও তিনি ‘টনিক', আবার কখনও তিনি ‘নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী’।
ব্যোমকেশ নিয়ে খুব বেশি রহস্য ভেদ করেননি দেব। জানিয়েছেন ছবির নাম ‘ব্যোমকেশ দুর্গ রহস্য’। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘দুর্গ রহস্য’-এর জট পর্দায় খুলবেন দেব।
সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর গুঞ্জন ছিল এই ছবির পরিচালকের আসনে থাকবেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তবে সৃজিত জানান, দেবের ‘দুর্গ রহস্য’ মোটেই পরিচালনা করছেন না তিনি। তবে দেবকে ঐতিহাসিক চরিত্রে কাস্ট করে ছবি তৈরিতে আগ্রহী তিনি।
অন্যদিকে ‘ব্যোমকেশ’ দেবের সত্যবতী কে হবেন সেই নিয়েও জল্পনা বিস্তর। গার্লফ্রেন্ড রুক্মিণীর সঙ্গেই কি আবারও জুটি বাঁধবেন দেব?
রিয়েল লাইফ এই জুটিকেই পর্দায় স্বামী-স্ত্রী হিসাবে দেখা যাবে কি না সেই নিয়ে জলঘোলা হলেও সেই সম্ভাবনা কমই। সেক্ষেত্রে এই ছবিতে নতুন জুটি দেখতে পেতে পারে দর্শক।
আরও পড়ুন:রাজধানীর পল্লবীতে শুটিং স্পটে দগ্ধ হয়েছেন অভিনেত্রী শারমিন আঁখি।
শনিবার একটি টেলিফিল্মের শুটিংয়ে দগ্ধ এই অভিনেত্রীকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত আঁখির স্বামী নির্মাতা রাহাত কবির নিউজবাংলা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নায়ক সজলের সঙ্গে একটি টেলিফিল্মের শুটিং ছিল মিরপুরের পল্লবীতে। শনিবার দুপুরের দিকে আঁখি মেকআপ নিয়ে ওয়াশরুমে যায় চুল ডিজাইন করার জন্য। হেয়ার স্টেটমেন্ট অন কিংবা অফ করতে গিয়ে বিস্ফোরণে আগুনের ঘটনা ঘটে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডাক্তার এস এম আইউব হোসেন বলেন, শনিবার রাতে মিরপুরের পল্লবী থেকে শারমিন আঁখি নামে একজন নারী দগ্ধ হয়ে এখানে এসেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরে ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার ইনহেলিসন বার্ন রয়েছে।
শারমিনের শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে তার স্বামী রাহাত বলেন, এ বিষয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। চিকিৎসক অনেকগুলো পরীক্ষা দিয়েছেন। সেগুলোর ফলাফলের পর বলা যাবে পরিস্থিতি।
তিনি বলেন, তবে হাসপাতালে প্রায় এক মাস থাকতে হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে প্রায় ১ বছর সময় লাগতে পারে তার। সবার কাছে আঁখির জন্য দোয়া চাই।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য