জন্মস্থান বাহরাইনে ভ্রমণের অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ।
২৩ ডিসেম্বর বাহরাইন যাওয়ার অনুমতি নিতে মঙ্গলবার পাটিয়ালা আদালতে যান জ্যাকলিন।
এ নিয়ে বার্তা এএনআই জানিয়েছে, অভিনেত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) এই বিষয়ে জবাব দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার এই আবেদন (২২ ডিসেম্বর) শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করেছে আদালত।
বহুল আলোচিত ২০০ কোটি রুপি অর্থ পাচার মামলার মূল হোতা সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনকে অভিযুক্ত করে গত ১৭ আগস্ট আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিল ইডি।
এই মামলায় গত ১৫ নভেম্বর জামিন পান জ্যাকলিন। জামিনের শর্ত অনুযায়ী বিদেশে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সে জন্যই আদালতের দ্বারস্থ হন অভিনেত্রী।
শ্রীলঙ্কান নাগরিক হলেও জ্যাকলিনের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইনে।
আরও পড়ুন:#WATCH | Actor Jacqueline Fernandez arrives at Patiala House Court in Delhi to appear in connection with the Rs 200 crores money laundering case involving conman Sukesh Chandrashekhar pic.twitter.com/o4qhgxUF7B
— ANI (@ANI) December 20, 2022
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) সংসদীয় আসনের মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে যদি ব্যর্থ হন তাহলে হাইকোর্টে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি দুইটি আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেলে উভয় আসনেই নির্বাচন করবেন তিনি। সুষ্ঠু ভোট হলে একশভাগ জয়লাভ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন ঢাকাই সিনেমায় আলোচিত এই অভিনেতা।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইন শাখায় প্রার্থিতা ফিরে পেতে আবেদন জমা দেন।
এর আগে গত রোববার ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনসূচক তালিকায় গরমিল থাকায় বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তারা৷
হিরো আলম বলেন, ‘কাগজ-পাতি সব সহকারে আমি এখানে জমা দিয়েছি। এখন বাদ-বাকিটা তাদের যাচাই-বাছাইয়ে বুঝতে পারবো তারা সুষ্ঠু বিচার করলো আমাদের না অবিচার করলো। এখান থেকে বাতিল করলে আমি আবার হাইকোর্টে যাব। দুই আসন থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেলে দুইটি আসন থেকেই ভোট করব।’
আমি পরিপূর্ণ করেই জমা দিয়েছি দাবি করে তিনি বলেন, ‘কারণ একই ভুলের কিন্তু ২০১৮ সালের ভোট বাতিল করেছিল। আপনারা সবাই জানেন। আমি আপিল করি। আপিল করার পর না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করি। এবার তো এই ভুল করার কথা না। ওনারা যে কথা বলেছে একটা ভুল দেখা গেছে। একটা ভোটারের নাকি নাম্বারই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জমাই দেই নাই আমি। আমরা নাম্বার পেয়েছি ওটা জমা দিয়েছি।’
হাইকোর্ট থেকে মনোনয়ন ফিরে পেয়ে গতবারের সংসদ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘তখন প্রথমবার আমি এমপি ইলেকশন করি। তখন অভিজ্ঞতা একটু কম ছিল। বুঝিনি এত ঝামেলা হবে। আমি এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ পরিষদ নির্বাচন করছি এতকিছু তখন ছিল না।’
সেবার আমি হাল ছাড়লাম না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টে রিট করলাম মনোনয়ন ফিরে পেলাম। সেই নির্বাচনে ভোটের দিন আমার সঙ্গে মারামারি হয়। পরে দুপুর বেলা আমি ভোট বর্জন করি।’
সব পরিপূর্ণ থাকার পরও কেন এমন ঝামেলা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা শুধু আমার না। দুইটা আসনে সর্বমোট ১১ জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছে। সবারই একই ভুল। আমার নামে কোনো মামলা বলেন। ঋণখেলাপি বলেন কোনো কিছু নেই। আরো আইনে অনেক সমস্যা থাকে না। কিন্তু একটা দোষ ও তারা খুঁজে৷ বের করতে পারে না।’
বগুড়া পুলিশের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে এমন দাবি সম্পর্কে জানতে ঢাকাই সিনেমায় আলোচিত এই অভিনেতা বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান আমাকে হিরো আলম বলে তো তারা বাইরে রাখবে না। আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য কিছু লোক অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
দুইটা আসনে মনোনয়ন জমা দেয়ায় পর দুইটা বাতিল হয়েছে কেন এমন প্রশ্ন তুলে হিরো আলম বলেন, ‘এর তো কোনো কারণ থাকতে পারে। সামনে নির্বাচন এই মূহুর্তে আমরা বলবো না ষড়যন্ত্র কারা করতেছে। আগে ভোটের মাঠে যাবো। ফলাফল দেখবো। তারপর আপনারাই দেখতে পারবেন কারা ষড়যন্ত্র করে।’
দুইটা আসনে মনোনয়ন কেনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুইটা কেনার কারণ হলো বগুড়া-৪ থেকে মনোনয়ন কিনেছিলাম প্রথমে। তারপরে আমি যখন দেখেছিলাম তারা (বগুড়া সদর) পছন্দের প্রার্থী পাচ্ছিল না। তখন এলাকাবাসী বলল আমাদের সবার দাবি তুমি এবার বগুড়া সদর থেকে নির্বাচন করব। আর আমার বাসা বগুড়া সদরে। সবাই চাইতেছে। আর আগে কাহালু নন্দীগ্রাম থেকে যেহেতু আমি নির্বাচন করেছি। এজন্য সবার মন রক্ষা করার জন্যে ভালোবাসা রক্ষা করার জন্যে আমি দুইটা আসন থেকে নির্বাচন করছি।’
ইউনিয়ন পরিষদে জয় না পেয়েও সংসদ নির্বাচন করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি আশাবাদী। সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। একশ পার্সেন্ট আমি দিতে পারি যে জয়লাভ করব।’
গত একদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয় নাই দাবি করে তিনি বলেন, ‘ভোটের দিন আমার সঙ্গে মারামারি হয়েছিল। তারপর ভোট আমরা বর্জন করছি।’
প্রতিটা লোকের নির্বাচন করার অধিকার আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমি আগেও করেছি এবারও টার্গেট আছে। কথা আছে একবার না পাড়িলে দেখ শতবার। যেহেতু জীবন যুদ্ধে নেমেছি, শেষ কতদূর লড়তে পারি।’
হিরো আলমের কোটি টাকার সম্পদ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু লোক আছে তিলরে তাল করে। লিখতে তো আর সমস্যা হয় না।’
আরও পড়ুন:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জয়া আহসানের ছবি মানেই আলোচনা। সঙ্গে ভক্ত, অনুসারীদের নানা রকম মন্তব্য।
রোববার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কালো টপ পরা কিছু ছবি পোস্ট করেছেন জয়। একই পোশাকে কিছুদিন আগে ছবি পোস্ট করতে দেখা গেছে তাকে।
রোববার প্রকাশ করা ছবিগুলো দেখে মন্তব্যকারীরা ‘শীত’, ‘শীতার্ত’, ‘উষ্ণতা’ শব্দগুলো ব্যবহার করে লিখছেন তাদের প্রতিক্রিয়া।
ছবিগুলো নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে, তার শিরোনাম কেমন হতে পারে, তার পরামর্শ দিয়ে এক মন্তব্যকারীদের লিখেছেন, ‘তীব্র শীতের রাতে জয়া আহসান সবচেয়ে বেশি উষ্ণতা ছড়িয়ে দিলেন শীতার্তদের মাঝে। শিরোনাম এটাই হোক।’
একজন ‘টপ ফ্যান’ ব্যাজ ধারী মন্তব্যকারী লিখেছেন, ‘শৈত্যপ্রবাহ কে ভেঙে-চুরে গুঁড়ো গুঁড়ো করে দিলেন জয়া আহসান।’
আরেক ‘টপ ফ্যান’ ব্যাজ ধারী লিখেছেন, ‘জয়ার রুপের আগুনে জ্বলি আমি সারাক্ষণ।’
এক ভেরিফায়েড ব্যাজ ধারী ভক্ত লিখেছেন, ‘গরম চলে আসছে ঢাকায়।’
আরেক ভেরিফায়েড ব্যাজ ধারী ভক্ত লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী ভারতেও বেড়েছে শীতের আধিপত্য। দেশটির অনেক জায়গায় চলছে শৈত্যপ্রবাহ। এছাড়াও অনেক রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে।’ (সংক্ষিপ্ত)
শীত ও উষ্ণতা নিয়ে আরও অনেক রকম মন্তব্য আছে ছবিটির কমেন্ট বক্সে। মজার ছলে আরও অনেকেই লিখেছেন নিজেদের মনের ভাব।
রাত ৮টায় শেয়ার করা ছবির পোস্টে ১ ঘণ্টার কিছু বেশি সময়ে ৩১ হাজার রিয়্যাকশন, ১০ হাজার মন্তব্য পড়েছে। শেয়ার হয়েছে ৩৭৩ বার।
আরও পড়ুন:বরাবরই জনপ্রিয়তা ও খ্যাতির তুঙ্গে ছিলেন কন্নড় রকিংস্টার যশ। তবে কেজিএফ মুক্তির পর তা বেড়েছে আরও বহু গুণ। দেশ-বিদেশে তৈরি হয়েছে তার অসংখ্য নতুন ভক্ত।
ভক্তদের ভালোবাসায় প্রতিনিয়ত সিক্ত এই তারকার জন্মদিন আজ। রোববার ৩৭ বছরে পা দিলেন কেজিএফ ফ্র্যাঞ্চাইজি রকি ভাই।
নিজে জন্মদিন উদযাপন না করলেও তার ভক্তরা নানাভাবে উদযাপন করেন। তাই তো ভক্তদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা এই অভিনেতার।
জন্মদিনের দুই দিন আগেই ভক্তদের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ একটি নোট পোস্ট করেন যশ।
ভক্তদের নিজের শক্তি উল্লেখ করে যশ লেখেন, ‘বছরজুড়ে ও বিশেষ করে আমার জন্মদিনে যেভাবে আপনারা ভালোবাসা ও আবেগ প্রকাশ করেন তার জন্য আমার হৃদয় কৃতজ্ঞতায় পরিপূর্ণ। আমি কখনোই জন্মদিন উদযাপনের মানুষ নই, কিন্তু বছরের পর বছর ধরে, আপনারা যে উৎসাহের সঙ্গে উদযাপন করেন, তাতে দিনটিকে স্মরণীয় করার জন্য আপনাদের সঙ্গে আমি দেখা করতে চাই।
‘যে বিষয়ে আমার আগ্রহ ও প্যাশন রয়েছে, সেখানে বিশেষ কিছু অর্জনে আমি সব সময় কাজ করে চলেছি। আপনারা আমাকে আরও বড় ও নতুন চিন্তা করার ক্ষমতা দেন। আপনাদের সঙ্গে দেখা হলে সেই খবর জানাব। সেটার জন্য আমার আরও কিছু সময় দরকার। ৮ জানুয়ারির মধ্যে সম্ভব নয়। সুতরাং এই বছর আমি নির্দিষ্ট একটি উপহার চাই- আপনাদের ধৈর্য এবং সহনশীলতা।’
View this post on Instagram
এদিকে অভিনেতার জন্মদিনে কেজিএফ থ্রির আপডেট জানিয়েছে বলিউড সংবাদমাধ্যম পিঙ্কভিলা।
সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হাম্বল ফিল্মসের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ২০২৫ সালে শুটিং ফ্লোরে যাবে কেজিএফ থ্রি। কারণ, সিনেমাটির পরিচালক প্রশান্ত নীল এই বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রভাসকে নিয়ে সালার সিনেমার কাজে ব্যস্ত থাকবেন।
আরও পড়ুন:বলিউডের তুমুল জনপ্রিয় তারকা দম্পতি রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট গত বছরের ৬ নভেম্বর কন্যা সন্তানের বাবা-মা হয়েছেন। এর কিছুদিন পরেই মেয়ে নাম জানালেও এখনও মেয়ের ছবি প্রকাশ করেননি তারা।
মেয়ে রাহার প্রতি অত্যন্ত যত্নশীল এই তারকা দম্পতি। কয়েকদিন আগে মেয়েকে নিয়ে শহরের রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে ধরা পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছিলেন তারা।
তবে শনিবার পাপারাজ্জিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে মেয়ে রাহার ছবি না তোলার অনুরোধ জানালেন রণবীর-আলিয়া।
ই-টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ নিয়ে রণবীর বলেছেন, অন্তত কয়েক বছর তারা রাহার সম্পর্কে খুব সুরক্ষামূলক থাকতে চায়। রাহা যখন বড় হবে এবং সে সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকতে চাইবে, তখন এটা হয়ত তার পছন্দ হবে, কিন্তু বাবা-মা হিসেবে তারা আপাতত যতটা সম্ভব প্রতিরক্ষামূলক হতে চায়।
রণবীরের সঙ্গে আলিয়া যোগ করেন, তারা সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পেরেছেন যে পাপারাজ্জিরা কেবল তাদের কাজ করছেন, কিন্তু এই মুহূর্তে রাহা ছোট্ট মেয়ে, যে সবেমাত্র তার বাবা-মায়ের মুখ দেখতে ও চিনতে শুরু করেছে, তাই সে খ্যাতি ও সেলিব্রিটি জীবন সম্পর্কেও জানেনা। তাই তারা চান না মেয়ের ছবি এই মুহূর্তে ক্লিক করা হোক।
আলিয়া আরও যোগ করেন, রণবীর এবং তিনি নার্ভাস বাবা-মা। যেহেতু প্রথমবার তারা বাবা-মা হয়েছেন তাই তারা অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে চান।
এই দম্পতি পাপারাজ্জিদের আরও আশ্বস্ত করেন যে, তারা সবসময় তাদের জন্য পোজ দেবেন এবং কখনই ছবির জন্য না বলবেন না, তবে তারা রাহার ছবি ক্লিক না করলে খুবই ভালো হয়।
আলিয়া পাপারাজ্জিদের পরামর্শ দেন, যদি রাহার ছবি ক্লিক করতে হয়, তবে তাদের উচিত তার মুখ হার্ট ইমোজি বা অন্য কোনো গ্রাফিক দিয়ে লুকিয়ে রাখা।
রণবীর-আলিয়ার অনুরোধ মেনে নিয়েছেন পাপারাজ্জিরা এবং অফ দ্য রেকর্ড পাপারাজ্জিদের রাহার ছবি দেখিয়েছিলেন এই তারকা দম্পতি। আলিয়া পাপারাজ্জিদের বলেন, তারাই প্রথম রাহার ছবি দেখলেন।
আরও পড়ুন:ভারতের কন্নড় ও তেলেগু সিনেমার তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশ্মিকা মান্দানা গত বছরের অক্টোবরে মুক্তি পাওয়া গুডবাই সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষিক্ত হন। হাতে রয়েছে বলিউডের একাধিক সিনেমা।
এই মুহূর্তে রণবীর কাপুরের সঙ্গে কাজ করছেন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা পরিচালিত অ্যানিমাল নামে একটি সিনেমায়। কদিন আগেই প্রকাশ করা হয়েছে সিনেমাটির ফার্স্ট লুক। এতে রণবীরের লুক দেখেই সিনেমাটি নিয়ে উত্তেজনা বেড়েছে দর্শকদের।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সিনেমাটি ও এতে তার সহ অভিনেতাদের নিয়ে কথা জানিয়েছেন রাশ্মিকা। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, রণবীরের সঙ্গে অ্যানিমাল-এ কাজ করতে গিয়ে কীভাবে তার অভিনয় প্রভাবিত হয়েছে।
বলিউড বাবলকে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে রশ্মিকা বলেন, ‘আমি মনে করি অ্যানিমেল-এর শুটিংয়ের পর যা ঘটছে তা আমাকে একজন অভিনেতা হিসেবে কয়েকটি জিনিস উপলব্ধি করতে শিখিয়েছে। আমি মনে করি, আমার চলচ্চিত্রের পছন্দ ভিন্ন হতে চলেছে, আমি যেভাবে পারফর্ম করতে যাচ্ছি সেটা অন্যরকম হতে চলেছে। আমার ওপর এইসব প্রভাবের কারণ সন্দীপ স্যার, রণবীর ও অনিল স্যারের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা।’
পুষ্পা খ্যাত এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমি অ্যানিমেল নিয়ে খুব উত্তেজিত। এটা আশ্চর্যজনক যে, আপনি যখন সত্যিকার অর্থে কোনো কিছু নিয়ে উত্তেজিত হন, তখন তা আপনার কাজে বেরিয়ে আসে। আপনি ক্রমাগত শুট সম্পর্কে চিন্তা করছেন এবং একটি দৃশ্য করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে ভাবছেন। এটি আমি অ্যানিমেল-এ শিখেছি।’
সেই উদাহরণ দিয়ে অভিনেত্রী যোগ করেন, ‘যেমন দুঃখ দেখানোর এক উপায় কখনই হতে পারে না। দুঃখ দেখানোর চার, পাঁচ, ছয়, সাতটি উপায় আছে। সুতরাং আপনি এই সব চেষ্টা করুন। যেটি আপনার সঙ্গে সবচেয়ে ভালো মানায়, তা বেছে নেবেন।’
এদিকে অ্যানিমেল-এর আগেই চলতি মাসে সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সঙ্গে মিশন মজনুতে দেখা দিবেন রাশ্মিকা।
আরও পড়ুন:নারীদের চোখে দেখা গল্প বা নারীজীবনের গল্প পুরুষরা বলে যাচ্ছে কিন্তু নারীরা বলতে পারছে না। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন প্রকল্পে নারী নির্মাতা ও ক্রুরাও সুযোগ পাচ্ছেন না। এটা মূলত মানসিকতার সমস্যা বলে মনে করছেন দেশের নারী নির্মাতারা।
লিট ফেস্টে শনিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত ‘থ্রু হার লেন্স’ সেশনে এসব কথা বলেন আলোচকেরা। নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা হুমায়রা বিলকিস, এলিজাবেথ ডি. কস্তা, তাসমিয়াহ আফরীন মৌ ও সিনেমাটোগ্রাফার রায়ান সায়মা।
মৌ বলেন, ‘একটা অ্যান্থোলজি সিনেমা হয়েছিল, নাম ইতি তোমারই ঢাকা। সেখানে ১১ জন পুরুষ পরিচালক ছোট ছোট করে তাদের চোখে দেখা সিনেমা নির্মাণ করেছেন। সেখানে নারীর চোখে দেখা গল্প কই?’
হুমায়রা বলেন, ‘শুধু নারী দিবসে নারী নির্মাতাদের কদর কিছুটা বাড়ে। আমি একটা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে ফোন পেয়েছিলাম নারী দিবসের প্রকল্পে কাজ করতে। সেটাও খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে। আমি শুধু পরিচালনা করব। অন্য সব তারা করবেন। এভাবে কি কাজ করা যায়?’
রুবাইয়াত হোসেন বলেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে নতুন বছরে অনেকগুলো প্রজেক্ট ঘোষণা করেছে, কিন্তু সেখানে নারী নির্মাতাদের অংশগ্রহণ নেই। তারা নারী নির্মাতার ওপর আস্থা রাখতে পারে না, কিন্তু নারীদের প্রজেক্টগুলো ঠিকমতো শেষ হওয়ার উদাহরণ বেশি।’
অনেক জায়গায় নারীদের দেখানোর শুধু রাখা হয় উল্লেখ করে এলিজাবেথ ডি. কস্তা বলেন, ‘আমাকে যদি কেউ শুধু রাখার জন্য রাখতে চায়, তাহলে সেই প্রকল্পতে আমি থাকব না। সেটাই বেশি হয়।’
সিনেমাটোগ্রাফার সায়মার জন্য এগিয়ে যাওয়া ছিল বেশি কঠিন। সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তিনি জানান, নারী এ জন্য তার সঙ্গে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজ করতে চাননি। তার ডিরেকশনও কয়েকজন মানতে রাজি ছিলেন না।
মানসিক পরিবর্তনের মাধ্যমে এসব দূর করবে বলে মনে করেন তারা। চেয়েছেন পলিসিরও পরিবর্তন।
আরও পড়ুন:ভারতের তামিল সুপারস্টার থালাপতি বিজয় ও তার স্ত্রী সঙ্গীতার প্রেম কাহিনি সিনেমার চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।
১৯৯৬ সালের কথা, চেন্নাইয়ে বিজয়ের এক সিনেমার শুটিংয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী সঙ্গীতা সোর্নালিঙ্গম নামের এক ভক্ত। ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পেয়েছিল বিজয়ের সিনেমা পুভ উনাক্কাগা। সেই সাক্ষাতে সিনেমাটিতে তার অভিনয়ের প্রশংসা এবং সঙ্গীতার দেখা করার যে প্রচেষ্টা, তা জেনে অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছিলেন বিজয়।
ওই সাক্ষাতেই বিজয়কে পরের দিন তার বাড়িতে যেতে এবং পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বলেছিলেন সঙ্গীতা। এরপর ধীরে ধীরে একে অপরকে পছন্দ করতে শুরু করেন তারা।
দুজনের সম্পর্ক নিয়ে তাদের বাবা-মাও সম্মত হন। এরপর ১৯৯৯ সালের ২৫ আগস্ট হিন্দু ও খ্রিস্টান দুই রীতিতে গাঁটছড়া বাঁধেন তারা। প্রায় ২৩ বছরের সংসার তাদের। রয়েছে এক ছেলে ও এক মেয়ে।
পারিবারিক বিষয় খুব একটা প্রকাশ্যে আনেন না বিজয়-সঙ্গীতা। তবে দক্ষিণী তারকাদের মধ্যে ভক্তদের কাছে অন্যতম পছন্দের দম্পতি তারা। কিন্তু হঠাৎ করে কদিন ধরেই নেট দুনিয়া ও কিছু প্রতিবেদনে রটেছে ভাঙছে বিজয়ের সংসার!
আসলেই কি তাই? গুজব শুরু হয়েছিল বিজয়ের উইকিপিডিয়া পেজকে কেন্দ্র করে। সেখানে নাকি বলা হয়েছে, তিনি এবং তার স্ত্রী পারস্পরিক সম্মতিতে বিয়েবিচ্ছেদ করছেন। তবে এটি একদমই ভিত্তিহীন। কারণ উইকিপিডিয়া পেজে এরকম কিছুই বলা হয়নি।
এ নিয়ে পিঙ্কভিলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিনেতার একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ‘বিজয় এবং সঙ্গীতার বিয়েবিচ্ছেদের গুজব ভিত্তিহীন। কীভাবে এটি শুরু হয়েছিল তা আমরা জানি না।’
পিঙ্কভিলা বলছে, বিয়েবিচ্ছেদের গুজবে ইন্ধন যুগিয়েছে দুটি ঘটনা। নিজের আসন্ন সিনেমা ভারিসুর অডিও লঞ্চে তার সঙ্গে ছিলেন না সঙ্গীতা। আবার দক্ষিণী নির্মাতা অ্যাটলির স্ত্রী প্রিয়ার বেবি সাওয়ারে উপস্থিত থাকতে পারছেন না তারা। আর তাদেরকে একসঙ্গে না দেখেই এমনটি রটিয়েছেন নেটিজেনরা। তবে এই মুহূর্তে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটাচ্ছেন বিজয়।
এদিকে ১১ জানুয়ারি মুক্তি পেতে যাচ্ছে বিজয়ের সিনেমা ভারিসু। এতে তার বিপরীতে রয়েছেন রাশ্মিকা মান্দানা। স্টারকাস্ট নিয়ে নির্মিত এই সিনেমায় আরও রয়েছেন আর শরৎ কুমার, প্রকাশ রাজ, জয়সুধা, খুশবু, শ্রীকান্ত, শাম, যোগী বাবু, সঙ্গীতা কৃষসহ অনেকে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য