পাকিস্তান ছেড়ে ২০১৬ সালে ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন তুমুল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আদনান সামি।
কিন্তু কেন পাকিস্তানের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছিলেন এই সংগীতশিল্পী। এবার সেই গুমর ফাঁস করবেন তিনি।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীর্ঘ এক নোট পোস্ট করেছেন আদনান সামি।
তিনি লেখেন, ‘অনেকে আমাকে জিজ্ঞেস করে, পাকিস্তানের প্রতি আমার এত ঘৃণা কেন? কঠিন সত্য হলো পাকিস্তানের জনগণ যারা আমার প্রতি ভালো ব্যবহার করেছে, তাদের প্রতি আমার কোনো ক্ষোভ নেই। আমি প্রত্যেককে ভালোবাসি যারা আমাকে ভালোবাসে।
‘আমার প্রধান সমস্যা রাষ্ট্রকাঠামোর সঙ্গে। যারা আমাকে সত্যিকারভাবে চেনেন তারাও জানেন সেই রাষ্ট্রকাঠামো বহু বছর ধরে আমার সঙ্গে কী করেছে, যা শেষ পর্যন্ত আমার পাকিস্তান ছাড়ার একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’
তিনি আরও লেখেন, ‘তারা আমার সঙ্গে কেমন আচরণ করেছিল তা অনেকেই জানেন না, শিগগিরই একদিন সেই সত্য আমি প্রকাশ করব। যা সাধারণ মানুষকে হতবাক করবে। আমি অনেক বছর ধরে এ নিয়ে নীরব রয়েছি, কিন্তু সব বলার জন্য সঠিক মুহূর্তটি বেছে নেব।’
View this post on Instagram
আদনান সামি ২০২০ সালে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রীতে ভূষিত হন।
সংগীত ছাড়াও বাংলাদেশের শিল্প ও সৃজনশীল জগতে প্রভাব রাখার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে কোক স্টুডিও বাংলা (সিএসবি)।
প্ল্যাটফর্মটির ‘কোক স্টুডিও বাংলা বিলবোর্ড ফ্যান আর্ট কনটেস্ট’ নামের প্রতিযোগিতায় দুই মাসেরও কম সময়ে ৬০টির বেশি শিল্পকর্ম জমা পড়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সিএসবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “প্ল্যাটফর্মটি যাত্রা শুরু করার পর থেকে এই চমৎকার গান ও শিল্পীদের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে হাজারো ভক্ত ও শিল্পীরা তাদের সৃজনশীল চিত্রকর্ম প্রকাশ করেছেন। পেইন্টিং, স্কেচ, ডিজিটাল আর্ট, অ্যানিমেশন, ক্যালিগ্রাফি, এআই-জেনারেটেড ইমেজেস ইত্যাদিসহ হাজারো চিত্রকর্ম ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
“এই উৎসাহ ও সৃজনশীলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে প্ল্যাটফর্মটি ‘কোক স্টুডিও বাংলা বিলবোর্ড ফ্যান আর্ট কনটেস্ট’ শুরু করে। দুই মাসেরও কম সময়ে তাদের কাছে ৬০টির বেশি শিল্পকর্ম জমা পড়ে, যার মধ্যে নির্বাচিত কিছু শিল্পকর্ম ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের ১১টি বিলবোর্ডে প্রদর্শিত হয়েছে।”
এ বিষয়ে কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অফ মার্কেটিং আবীর রাজবীন বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৩ লক্ষের বেশি কথোপকথন, হাজারো ফ্যান আর্ট, মিউজিক ও ড্যান্স কাভার এবং যন্ত্রসংগীতের মাধ্যমে কোক স্টুডিও বাংলা একটি প্রাণবন্ত ও সংযুক্ত কমিউনিটি তৈরি করেছে। এই কমিউনিটি প্ল্যাটফর্মটির গানগুলোর প্রতি নিজেদের ভালোবাসা সবসময় তুলে ধরছে।
“প্রথম দুই সিজনে আমরা অভূতপূর্ব সমর্থন ও সাড়া পেয়েছি। এতে আমরা সৃজনশীল ক্ষেত্রে নতুন কিছু করার প্রেরণা পাই।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৮ সালে কোক স্টুডিওর যাত্রা শুরু হওয়ার পর সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে আসে কোক স্টুডিও বাংলা (সিএসবি)। শুরু হওয়ার পর থেকেই বৈচিত্র্যময় ধারার প্রতিভাগুলোকে একত্রিত করে সৃজনশীল ও নতুন ধারার সংগীত সৃষ্টির মাধ্যমে সংগীত জগতে আলোড়ন তৈরি করে প্ল্যাটফর্মটি। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গান প্ল্যাটফর্মটিতে পরিবেশন হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন প্রায় ১০০ জন শিল্পী, যার মধ্যে আছেন অনিমেষ রায়, হামিদা বানু, আলেয়া বেগম, মুকুল মজুমদার ঈশানসহ অনেক লুকিয়ে থাকা রত্ন।
সিএসবির ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ২৮.৬ লাখের বেশি। ইউটিউবে সিএসবির সেরা গানের তালিকায় রয়েছে প্রথম সিজনের ‘ভবের পাগল’, ‘বুলবুলি’ ও ‘নাসেক নাসেক’ এবং দ্বিতীয় সিজনের ‘দেওরা’ ও ‘কথা কইয়ো না’।
আরও পড়ুন:বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা।
তবে খবরটি হঠাৎ প্রচার হওয়ায় গণমাধ্যমে এই গায়িকা গোপনে বিয়ে করেছেন বলে খবর ছড়িয়েছিল। খবর ইউএনবির
কিন্তু এ নিয়ে এবার নিজেই জানালেন তিনি।
গণমাধ্যমে লিজা বিয়ের খবরটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, গোপনে তিনি বিয়ে করেননি।
লিজা বলেন, ‘আমি গোপনে বিয়ে করার মতো মানুষ নই। বিয়ের খবর আমার কাছের সবার জানা। উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে আমরা বিয়ে করেছি। অপেক্ষা করছিলাম সবাইকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব।’
এক বছর আগে বিয়ে করেছেন বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ব্যস্ততার কারণে এখনও অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করতে পারিনি, তবে শিগগিরই তা করব। এর আগেই খবরটি ছড়িয়ে যায়।’
লিজার স্বামী একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ দুই দেশেই তিনি ব্যবসা করেন।
আরও পড়ুন:জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটিকে নতুনভাবে সুর করে সম্প্রতি তোপের মুখে পড়েছেন ভারতের অস্কারজয়ী সংগীতজ্ঞ এ আর রহমান।
গানটি ব্যবহৃত হয় সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া হিন্দি সিনেমা ‘পিপ্পা’- তে।
গানটির নতুন সুর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দুই বাংলার অসংখ্য তারকা ও সাধারণ মানুষ। অবশেষে এ নিয়ে অফিশিয়াল বক্তব্য দিল সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘রায় কাপুর ফিল্মস’। খবর ইউএনবির
১৩ নভেম্বর বিকেলে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমা চেয়ে একটি পোস্ট করে ‘রায় কাপুর ফিল্মস’।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রযোজক, পরিচালক ও সংগীত পরিচালক হিসেবে আমরা কাজী নজরুল ইসলামের পরিবারের থেকে প্রয়োজনীয় স্বত্ব নিয়ে শিল্পের খাতিরে গানটি তৈরি করেছি। নজরুল ইসলাম ও তার সৃষ্টির প্রতি আমাদের মনে গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘উপমহাদেশের সংগীত, রাজনীতি ও সামাজিক পরিমণ্ডলে তার যে অবদান, সেটা অসামান্য। এই অ্যালবামটি বাংলাদেশের ওই সব নারী ও পুরুষের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে, যারা স্বাধীনতা ও ন্যায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গানটি তৈরির পূর্বে কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী ও তার পুত্র কাজী অনির্বাণের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছেন তারা। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল গানটির ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে সম্মান জানানো। আর সুরের পরিবর্তন চুক্তি অনুযায়ী করা হয়েছে। মূল গানটির প্রতি সবার আবেগ আমরা অনুভব করি। যেহেতু শিল্প ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভরশীল। সুতরাং যদি আমাদের কাজটি কারও আবেগে আঘাত করে থাকে, সেটার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’
তবে এখন পর্যন্ত এই বিতর্ক নিয়ে কোনো কথা বলেননি এ আর রহমান, তবে তার ইনস্টাগ্রামে পোস্টটি শেয়ার করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন:সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পেয়েছে রাজাকৃষ্ণ মেনন পরিচালিত বলিউড সিনেমা ‘পিপ্পা’।
এতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি নতুনভাবে সুর করেছেন ভারতীয় গায়ক ও সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান।
এ নিয়ে দুই বাংলার সাধারণ মানুষ ও শিল্প-সংস্কৃতি ব্যক্তিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এবার এ নিয়ে কথা বললেন কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি অনিন্দিতা কাজী। খবর ইউএনবির
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘আমি অনিন্দিতা কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি, বর্তমানে নিউজার্সি প্রবাসী। দাদুর ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি সুর বিকৃতি ঘটিয়েছেন বিশিষ্ট গীতিকার সুরকার শিল্পী এ আর রহমান। বিশ্বজুড়ে বিতর্কের ঝড়ে তোলপাড়। আমার মা কল্যাণী কাজী, যার বেঁচে থাকাই ছিল নজরুলকে নিয়ে, নজরুলকে ঘিরে, নজরুলকে তিনি ধারণ করেছিলেন। তিনি ২০২১ সালে গানটি অবিকৃত রেখে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলেন বলে জানতে পারি। কিন্তু এর পরিণতি এমন হবে তিনি ভাবতেও পারেননি।’’
তিনি আরও লেখেন, ‘পরিবার থেকে অনেক টাকা নিয়ে গানটি ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে ২০২১ সালে কি চুক্তি হয়েছিল সেটা জানা প্রয়োজন, তাহলে সব বিতর্কের অবসান হবে এবং যারা চুক্তির বিপক্ষে গিয়ে এ কাজটি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া যাবে।’
সবার সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে অনিন্দিতা আরও লেখেন, ‘সার্বিক স্বচ্ছতার কারণে এবং পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে এ অজানা বিষয়টি জানার দাবি রাখি। মিডিয়া থেকে জানতে পারি, চুক্তির কাগজ কাজী অনির্বাণের কাছে আছে। পরিবারের অন্যতম সদস্য হিসেবে আমি সেটা দেখতে চাই, পেতে চাই ও বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই। সকলের সহযোগিতা চাই।’
আরও পড়ুন:আগামী ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ‘কোক স্টুডিও বাংলা লাইভ’ কনসার্টের দ্বিতীয় সংস্করণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কোক স্টুডিও বাংলা। এতে ‘নাসেক নাসেক’-এর ছন্দ থেকে শুরু করে ‘কথা কইয়ো না’র মতো গান শুনে শ্রোতারা চমৎকার অভিজ্ঞতা পাবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে মূল অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়, তবে গেট খুলে যাবে দুপুর দেড়টায়।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবার ভক্তরা উপভোগ করবেন এক্সক্লুসিভ কোক স্টুডিও বাংলা অভিজ্ঞতা, যা আগে কখনও দেখা যায়নি। মূল আয়োজনের আগে বেলা ৩টা থেকে থাকছে প্রি-শো। এ সময়ে ভেন্যুতে উপস্থিত দর্শকদের জন্য থাকবে নানা ধরনের মজার কার্যক্রম।
দর্শকদের কোক স্টুডিও বাংলার জাদুতে মাতাতে লাইনআপে থাকছেন শায়ান চৌধুরী অর্ণব, অনিমেষ রায়, পান্থ কানাই, মমতাজ বেগম, মিজান রহমান, ঋতু রাজ, সানজিদা মাহমুদ নন্দিতা, নিগার সুলতানা সুমি, জালালি সেট, রিপন কুমার সরকার (বগা), সুনিধি নায়েক, সৌম্যদীপ শিকদার (মুর্শিদাবাদী), কানিজ খন্দকার মিতু, মাখন মিয়া, রুবাইয়াত রেহমান, জান্নাতুল ফেরদৌস আকবর, শানিলা ইসলাম, আরমীন মুসা ও ঘাসফড়িং কয়্যার, রিয়াদ হাসান, পল্লব ভাই, মেঘদল, জহুরা বাউল, সোহানা (ডটার অফ কোস্টাল), মুকুল মজুমদার ঈশান, প্রীতম হাসান, ইসলাম উদ্দিন পালাকার, ফজলু মাঝি, ইমন চৌধুরী, এরফান মৃধা শিবলু, আলেয়া বেগম, ফুয়াদ আল মুক্তাদির, বাপ্পা মজুমদার এবং হামিদা বানুসহ দুই সিজনের শিল্পীরা।
উৎসবের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকছেন এলিটা করিম, শুভ (ডি রকস্টার), আনিকা ও অনুরাধা মণ্ডল। ব্যান্ড পারফরম্যান্স দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করতে থাকছে হাতিরপুল সেশনস ও লালন ব্যান্ড।
কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড অফ মার্কেটিং আবীর রাজবীন বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে কোক স্টুডিও বাংলা খুবই জনপ্রিয় এবং ভক্তরাও আরেকটা কনসার্ট আয়োজনের জন্য অনুরোধ করে আসছিলেন। কোক স্টুডিও বাংলার ম্যাজিক দিয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মাতাতে প্ল্যাটফর্মটির ১০০ জনের বেশি শিল্পীর একটি দল নিয়ে প্রস্তুত। আমরা বিশ্বাস করি, এই কনসার্ট ভক্তদের জীবনে অনন্য অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।’
যেভাবে পাওয়া যাবে টিকিট
কোক স্টুডিও বাংলা লাইভ কনসার্টের টিকিট পেতে সংগীতপ্রেমীদের কোকা-কোলার লিমিটেড এডিশন আইসিসি মোড়কের ৬০০ মিলিলিটার অথবা ১.২৫ লিটার বোতল সংগ্রহ করতে হবে। বোতলের মোড়ক তোলার পর ইউনিক কোড পাওয়া যাবে। কিউআর কোডগুলো স্ক্যান করে এবং প্রতিটি বোতলের মোড়কের পেছনে থাকা ইউনিক কোড প্রবেশ করে ভোক্তারা একটি ডিজিটাল কয়েন পাবেন।
পাঁচটি ডিজিটাল কয়েন সংগ্রহ করে কোক স্টুডিও বাংলা লাইভ কনসার্টের টিকিট জেতা যাবে। ভোক্তারা চাইলে আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপ কয়েনের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। এ ছাড়া টিকিট সংগ্রহ করার জন্য ফুডপান্ডার মাধ্যমে ৬০০ টাকা মূল্যের খাবার অর্ডার করে এবং একই সঙ্গে একই দিনে পান্ডামাটের মাধ্যমে দুটি ৬০০ মিলিলিটার অথবা একটি ১.২৫ লিটার কোকা-কোলা বোতল অর্ডার করলে একটি কনসার্ট টিকিট পাওয়া যাবে।
বার্গার কিং, ম্যাডশেফ, ডিগার, পাগলা বাবুর্চি, হারফি, ক্রিস্প, চিজ, সিপি ফাইভ স্টার ও চিলক্স থেকে কোকা-কোলা কম্বো মিল কিনলেও টিকেট মিলবে। এ ছাড়া কোক স্টুডিও বাংলার ভক্তরা Tickify.com থেকেও টিকেট কিনতে পারবেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরুর পর প্রায় ১০০ গায়ক ও শিল্পীকে নিয়ে ২২টি গান প্রকাশ করে কোক স্টুডিও বাংলা। বাংলা সংগীত ও সংস্কৃতির চোখের আড়ালে থাকা রত্নগুলোকে সবার সামনে তুলে ধরেছে প্ল্যাটফর্মটি। এর ফলে বিশেষত তরুণ প্রজন্মের সংগীত অনুরাগীরা বাংলা সংগীতের মনোমুগ্ধকর জগৎটিকে উপভোগ করতে পেরেছেন।
দুই সিজনেই ভক্তরা এ প্ল্যাটফর্মের প্রতি তাদের ভালোবাসা জানিয়েছেন। তাদের এ সমর্থন ও ভালোবাসাকে স্বীকৃতি দেয়া এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে কোক স্টুডিও বাংলা লাইভের আয়োজন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য ও আপডেটের জন্য কোক স্টুডিও বাংলার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ভিজিট করতে পারেন।
আরও পড়ুন:মুক্তি পেতে যাচ্ছে গ্যাব্রিয়েল সুমনের প্রথম মৌলিক গান ‘চন্দ্রগ্রস্থ’। বুধবার পূর্ণিমা রাতে প্রকাশ হতে যাচ্ছে এ গান।
গানটির কথা ও সুর গ্যাব্রিয়েল সুমনের নিজেরই এবং গানটির অডিও প্রডাকশন ও সংগীত আয়োজন করেছেন হাইওয়ে ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা, ভোকাল ও কম্পোজার হাসান ইথার।
গানটি গ্যাব্রিয়েল সুমনের ইউটিউব চ্যানেল (https://www.youtube.com/channel/UCZxkYPcaTS2SzmqFacSx00Q) ছাড়াও স্পটিফাই, আই টিউনস, আমাজন মিউজিক, এপল স্টোর সহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে।
প্রথম গান প্রকাশের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে গ্যাব্রিয়েল বলেন, ‘প্রথম সন্তান জন্মের রাত দিন কিংবা ভোরের যে অনুভূতি আমার অনুভূতি অনেকটা সে রকম। নিজের এবং অন্য অনেক কিছুর সাথে সুদীর্ঘ যুদ্ধের পর একটি গান অবশেষে মুক্তি দেয়া যাচ্ছে এবং বাংলা গানে একটা নতুন গান যোগ করা যাচ্ছে এই আনন্দ লিখে বলে কিংবা সিনেমা বানিয়েও বোঝানো যাবে না। আমাদের পূর্বসূরিরা একটা নতুন গানের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন, সেই স্রোতে আমি একটি গান রাখতে পারছি এটা ভাবতে ভালো লাগছে।’
গ্যাব্রিয়েল প্রথম নিজের বেশ কয়েকটি গান করতে আসেন অলিয়স ফ্রসেজ আয়োজিত ‘ফেটা দে লা মিউজিক ২০১৬’তে। এরপর নিজের সৃজন করা গান নিয়ে মনোযোগী হন এবং নগরীর বিভিন্ন গানঘরে তাকে গান গাইতে দেখা গেছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রথম তার কোনো গান রিলিজ হতে যাচ্ছে। এটি গ্যাব্রিয়েল সুমন প্রথম মৌলিক গানের এ্যালবাম ‘আত্মজীবনীর পৃষ্ঠা উল্টাতে গিয়ে আমার ১ এস্রাজ বাদকের চরিত্র ভালো লেগে গেলো’র প্রথম গান। এ্যালবামের অন্য গানগুলি ক্রমান্বয়ে প্রকাশিত হতে থাকবে। চন্দ্রগ্রস্থ গানটির ভিডিও ফিল্ম অচিরেই প্রকাশিত হবে যেটি পরিচালনা করবেন গ্যাব্রিয়েল নিজেই।
প্রসঙ্গত, গ্যাব্রিয়েল সুমন মূলত বাংলা ভাষার একজন কবি। ২০০৮ সালে তিনি প্রথম (পত্র-পত্রিকায়) কবিতা লিখতে আসেন এবং হাওয়াকাঠের ঘোড়া (২০১৩), ফ্লপ অডিয়েন্স (২০১৮) ও লাস্ট নাইট এট প্যাগোডা (২০২০) নামে তার তিনটি কবিতাপুস্তক প্রকাশিত হয়।
গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করা বিমানের এয়ার হোস্টেস চক্র মাদক সরবরাহ করে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘এই চক্রের একজন নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। সে তাকে মাদক সাপ্লাই দেয়। এমনকি তাদের এই সকল বিষয় নিয়ে আমি কথা বলায় আমাকে বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি দেয়া হতো, তবে আমি নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছি না।’
রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সালসাবিল।
প্রতারণার মামলায় নোবেলকে গ্রেপ্তারের পর তার স্ত্রী সালসাবিলকে মিন্টো রোডে ডাকে পুলিশ। সেখানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন নোবেলের স্ত্রী।
নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে সালসাবিল বলেন, ‘নোবেল মাদক সেবন করে বাসায় এসে আমাকে নির্যাতন করত। একদিন ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশ ডাকি। তারা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
‘নোবেল সেই পুলিশ সদস্যদের সামনে স্বীকার করেছে মাদক সেবনের কারণে আমাকে মারধর করে। এরপর আমি গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।’
তিনি বলেন, ‘তার (নোবেল) ও আমার পরিবার আমাদের বিষয়টা নিয়ে বসে। তখন সে প্রতিশ্রুতি দেয়, সে এইসব থেকে ফিরবে। তার আশেপাশের মহল, যাদের প্ররোচনায় পড়ে মাদক পাচ্ছে, ওইটার ভেতর থেকে সে বেরিয়ে আসতে পারে নাই, যার কারণে আজকের এই অবস্থা। আজ ডিবি পুলিশ থেকে আমাকে ডাকা হয়েছে। আমি তাদের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি।’
নোবেলের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কী বলল ডিবি
নোবেলের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ডিবির কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘নোবেল একজন প্রতিষ্ঠিত গায়ক, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হাই স্কুলে সাবেক শিক্ষার্থীদের আয়োজনে গান গাওয়ার চুক্তি করে। তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নেয়।
‘নিজেও যাওয়ার কথা জানিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে, কিন্তু অনুষ্ঠানে সেখানে যায়নি। টাকা চাওয়ার পরে তাও ফেরত দেয়নি। এই ঘটনার পরে মামলা হয়, কিন্তু সে মামলার পরেও পুলিশের কাছে আসে না কিংবা আদালতেও আত্মসমর্পণ করেনি।’
এ ছাড়া নোবেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে মঞ্চ অনুষ্ঠানে গিয়ে ভাঙচুর, মাতলামি করার অভিযোগ রয়েছে বলে জানান ডিবির প্রধান।
তিনি বলেন, ‘তার এই সকল অপকর্মের বিষয়ে আমরা নোবেলকে একাধিকবার বুঝিয়েছি, কিন্তু সে নিয়মিত মাদক সেবন করছে। স্ত্রীকে মারধর করছে। ‘মাদকাসক্ত থাকার কারণে আমরা সে কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা দিয়েও যেতে পারে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে হারুন আরও বলেন, ‘আমরা নোবেলকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করব। সে কোথা থেকে মাদক পায়, কারা সাপ্লাই দেয়, এটা খুঁজে বের করব। তার এই সকল কার্যক্রমের কারণে তার বাবা তাকে ত্যাজ্যপুত্র করেছে।
‘উত্তরবঙ্গের একটি অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে মাতলামি করেছে, মঞ্চ ভাঙচুর করেছে, স্ত্রীকে মারধর করেছে। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ রয়েছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য