পূর্ণ্যদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য, প্রামাণ্য বা তথ্যচিত্র সেন্সরের জন্য প্রয়োজন হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) অনাপত্তিপত্র (এনওসি)। আবেদন করা চলচ্চিত্রটি নির্মাণে বিএফডিসির কোনো পাওনা আছে কি না, সেটাই এনওসিতে জানানো হয়।
এফসিডির কাছ থেকে ‘কোনো পাওয়া নেই’ মর্মে প্রত্যয়ন পেলে সিনেমার সেন্সরে প্রদর্শন ও সেন্সর সার্টিফিকেট দেয় সেন্সর বোর্ড। আর প্রত্যয়নপত্র না দিলে সংশ্লিষ্ট সিনেমাকে সেন্সরে জমা নেয় না সেন্সর বোর্ড।
এফডিসি থেকে এনওসি নিতে চাইলে কোনো সিনেমার প্রযোজকের হতে হয় প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সদস্য। সমিতি সূত্র নিউজবাংলাকে জানিয়েছে, এ সদস্যপদ পেতে দিতে হয় ১ লাখ ৩ হাজার টাকা।
এখানেই আটকে যান স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতারা। নানা উপায়ে টাকা জোগাড় করে সিনেমা নির্মাণের পর লাখ টাকায় প্রযোজক পরিবেশক সিমিতির সদস্য হওয়া স্বাধীন চলচ্চিত্রের প্রযোজকদের জন্য কঠিন।
অথচ এফডিসির এনওসি নিয়েই সিনেমা সেন্সর করতে হবে- এমন কোনো আইন চলচ্চিত্র সেন্সরশিপ আইন (১৯৬৩) এবং দ্য ফিল্ম সেন্সরশিপ (এমেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট (২০০৬) এ উল্লেখ নেই।
‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের অনাপত্তিপত্র’র কথা উল্লেখ আছে সেন্সর বোর্ডের আবেদন ফরম পূরণের নিয়মাবলির ‘আবেদন করার পূর্বপ্রস্তুতি’ বিভাগে।
এনওসির মারপ্যাঁচে এখনও আটকে আছে নির্মাতা রেজা ঘটকের হরিবোল সিনেমাটি। রেজা ঘটক নিউজাংলাকে জানান, ২০১৯ সালে তিনি হরিবোল সিনেমাটি সেন্সরে জমা দেন। এফডিসির এনওসি নেননি বলে সিনেমাটির সেন্সর পাওয়া নিয়ে তৈরী হয়েছে জটিলতা।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি কেন এফডিসির এনওসি নিতে যাব। আমি সিনেমাটি বানিয়েছি এফডিসির বাইরে, এমনকি এফডিসির কোনো সুযোগ-সুবিধাই নেইনি। আমি সিনেমা বানিয়েছি, সরাসরি সেন্সরে জমা দেব। এফডিসির এনওসি নিতে গিয়ে পরিচালক সমিতি, প্রযোজক সমিতি এবং এফডিসির ক্লায়েন্ট হতে হবে। এ রকম কোনো পদ্ধতির কথা সেন্সর অ্যাক্টে উল্লেখ নেই।’
যারা কোনো সমিতির সদস্য নন, এফডিসির ক্লায়েন্ট নন, তাদের কীভাবে এনওসি দেয়া হবে, তার একটি নিয়ম উল্লেখ আছে এফডিসির সেবার তালিকায়। সেই নিয়মে প্রযোজক সমিতির প্রত্যয়নের পাশাপাশি পরিচালক সমিতির প্রত্যয়নের কথাও বলা হয়েছে।
পরিচালক সমিতির প্রত্যয়ন পেতে চাইলে তাকে পরিচালক সমিতির সদস্য হতে হবে এবং সেই সদস্যপদ নিতে সমিতিতে দিতে হয় ৭৫ হাজার টাকা। পুরো বিষয়টিকে ‘চক্র’ বলে দাবি করছেন নির্মাতা রেজা ঘটক।
এফডিসির এনওসি ছাড়া সেন্সর সনদ পাওয়া নিয়ে জটিলতার আরেকটি ঘটনা ফেসবুকে জানিয়েছিলেন চলচ্চিত্রকর্মী স্বজন মাঝি। তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘আমার চেনা একজন নির্মাতা বন্ধু সরকারি অনুদানে স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। ভদ্রলোক পাহাড়ে বসবাসকারী একটি স্বতন্ত্র জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে কাজ করবেন বলে পাহাড়ে শুট করতে গেলেন। শুটিং শেষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ফুটেজ জমা দিয়ে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আনতে গেলেন। তাকে এফডিসির ছাড়পত্র জোগাড় করতে বলা হলো।
‘এফডিসিতে গিয়ে জানতে পারলেন ছাড়পত্র নিতে গেলে আগে তাকে এক লাখ টাকা জমা দিয়ে এফডিসির ক্লায়েন্ট হতে হবে। তিনি কর্তৃপক্ষকে জানালেন, ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য আমার তো এফডিসিতে কোনো কাজ নাই। আমার তো রাঙ্গামাটি বান্দরবানের পার্বত্যাঞ্চলে লোকেশন। এফডিসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রতি-উত্তরে বললেন, আপনি চাইলে এফডিসিতে রাঙ্গামাটির সেট বানিয়ে শুট করতে পারেন। ভদ্রলোক বললেন, এটা প্রামাণ্যচিত্র ভাই, সেট বানিয়ে শুট করার সুযোগ নাই!
‘যাই হোক, শেষ পর্যন্ত সেই ভদ্রলোককে বাধ্যতামূলক এক লাখ টাকা জমা দিয়ে এফডিসির ক্লায়েন্ট হয়ে ছাড়পত্র সংগ্রহ করে মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মানতে হয়েছিল।’ (স্ট্যাটাসের সংক্ষিপ্ত অংশ)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এফডিসির এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, তারা প্রযোজক সমিতির প্রত্যয়ন চান, পরিচালক বা শিল্পী সমিতির কোনো প্রত্যয়ন তাদের প্রয়োজন হয় না।
এফডিসি থেকে এনওসি কেন নিতে হবে, জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘৩৫ মিলিমিটার ফিল্মে যখন সিনেমা নির্মাণ করা হতো, তখন এফডিসিতে অনেকেই সেবা নিয়ে টাকা বাকি রেখে সিনেমা নির্মাণ করেছেন এবং সিনেমা মুক্তিও দিয়েছেন। পরে আর টাকা পরিশোধ করেননি। এ সুযোগ যেন কোনো প্রযোজক আর না নিতে পারেন, সে জন্যই এনওসি নেয়াটা জরুরি।’
সে ক্ষেত্রে প্রযোজক সমিতির প্রত্যয়ন বা এফডিসির ক্লায়েন্ট হওয়া কেন জরুরি, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা এফডিসির ক্লায়েন্ট নন বা কোনো সমিতির সদস্য নন, তাদের জন্য প্রযোজক সমিতির প্রত্যয়ন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে করে আমরা দেশীয় সিনেমার মাদার অর্গানাইজেশন থেকে জানতে পারি যে আবেদনকারী একজন প্রযোজক এবং নথি সংরক্ষণের জন্যও এ প্রক্রিয়া জরুরি।
‘এ ছাড়া প্রযোজক সমিতির প্রতিনিধি এফডিসির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। আট সদস্যের পর্ষদের সাতজনই সরকারি কর্মকর্তা, একজন প্রযোজক সমিতির প্রতিনিধি।’
এখন অবশ্য প্রযোজক সমিতির কোনো কমিটি নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সমিতিটি এখন পরিচালনা করছেন মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ করা সরকারি কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এফডিসির সেই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যারা সিনেমা এফডিসির বাইরে বানান, তাদের জন্য আমরা এনওসি ফি নিই ১৫ হাজার টাকা। ১ লাখ টাকা দিয়ে এফডিসির তালিকাভুক্ত হতে হয়। যারা তালিকাভুক্ত হন, তারা যদি ১ লাখ টাকার কম সেবা নেন, তাহলে বাকি টাকা আমরা তাকে দিয়ে দেই, ১ লাখের বেশি লাগলে বাকি টাকা তার কাছ থেকে সংগ্রহ করি। এ ক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে আলাদা করে এনওসি ফি রাখা হয় না।’
সেপ্টেম্বর মাসে স্বাধীন চলচ্চিত্র সাঁতাও পেয়েছে সেন্সর ছাড়পত্র। এর পরিচালক খন্দকার সুমন কোনো সমিতির সদস্য ছিলেন না। কিন্তু এনওসি পেতে তাকে হতে হয়েছে প্রযোজক সমিতির সদস্য।
খন্দকার সুমন গত ৩১ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং সে সময়ে তথ্য সচিবের দায়িত্বে থাকা মকবুল হোসেন বরাবর দুটি চিঠি ইস্যু করেন। যেখানে তিনি এফডিসির এনওসি নিতে একজন স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতার সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
সুমন নিউজবাংলাকে জানান, চিঠি পেয়ে মকবুল হোসেন চিঠির মারফত এফডিসির এনওসির বিষয়টি সেন্সর আইনে আছে কি না জানতে চান সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাইফুল্লার কাছে। মো. সাইফুল্লা চিঠির মাধ্যমে মকবুল হোসেনকে জানান, এমন কোনো আইন সেন্সর অ্যাক্টে নেই।
নিউজবাংলাও মো. সাইফুল্লার কাছে জানতে চেয়েছিল সেন্সর পেতে এফডিসির এনওসি নেয়ার প্রক্রিয়াটি সেন্সর আইনে আছে কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি কোনো আইনসিদ্ধ প্রক্রিয়া কি না সেটা বলার আগে বলতে চাই, এটা মন্ত্রণালয়ের (তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়) ইস্যু, এটা তারাই ভালো বলতে পারবে। তাদের সঙ্গে কথা বলেন।’
এফডিসির এনওসি নিয়ে কাজ করাকে সেন্সর বোর্ড তেমন সমর্থন করে না বলে শোনা যায় বোর্ড কর্মকর্তা ও বোর্ড সদস্যদের কাছে। তবে এনওসি ইস্যু করার মাধ্যমে এফডিসির কিছু আয় হয়, সে জন্য মন্ত্রণালয় থেকে পদ্ধতিটি চালু রাখতে বলা হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানান সেন্সর বোর্ডের দুই কর্মকর্তা।
এ নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মো. নজরুল ইসলাম এবং উপসচিব সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন:বাণিজ্যিক ঘরানার পাশাপাশি অভিনব গল্প ও আধুনিক চিত্রনাট্যে সমৃদ্ধ সিনেমা সাদরে গ্রহণ করেছে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রপ্রেমিরা। বিশেষ করে ঈদ উৎসবে এখনও সিনেমা হলগুলোতে থাকে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতরেও নানান উদ্দীপনার খোরাক যোগাচ্ছে নতুন কিছু ছবি। চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আসন্ন ঈদে ২০২৫ ঈদুল ফিতরে ঢালিউডে মুক্তি পাচ্ছে যে সকল চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় থাকা চলচ্চিত্রগুলো।
২০২৫ ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাচ্ছে যে সকল বাংলাদেশি চলচ্চিত্র
বরবাদ
ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান ও কলকাতার ইধিকা পল জুটির এই দ্বিতীয় কাজটি নিয়ে ইতোমধ্যে চলচ্চিত্র পাড়ায় বেশ হৈচৈ চলছে। এর আগে প্রিয়তমা (২০২৩)-তে বেশ সাড়া ফেলেছিলো এই জুটি। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ভারতের যীশু সেনগুপ্তের যুক্ত হওয়া ছবিটির প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। একটি আইটেম গানে ক্যামিও চরিত্রে থাকবেন কলকাতার আরেক তারকা নুসরাত জাহান-কে।
রোমান্টিক অ্যাকশন থ্রিলারটি পরিচালনার মধ্য সিনেমা নির্মাণে পদার্পণ করেন মেহেদী হাসান হৃদয়। প্রযোজনায় রয়েছেন শাহরিন আক্তার সুমি (রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন) এবং আজিম হারুন (রিধি সিধি এন্টারটেইনমেন্ট)।
অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, মামুনুর রশীদ, এবং ইন্তেখাব দিনার।
সংগীত আয়োজনে আছেন প্রীতম হাসান। ২০২৪ সালের তুফান চলচ্চিত্রে তার ‘লাগে উড়া ধুরা’ গানটি বিভিন্ন মহলে বেশ সমাদৃত হয়। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার কাজ করছেন শাকিব খানের সঙ্গে। প্রীতমসহ ছবির বিভিন্ন গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বলিউডের কয়েকজন গায়ক।
অ্যাকশন দৃশ্য পরিচালনা করেছেন বলিউড ও তেলুগু ইন্ডাস্ট্রির অ্যাকশন ডিরেক্টর রবি বর্মা। নাচের কোরিওগ্রাফি করেছেন বলিউডের আদিল শেখ।
জংলি
বেশ কয়েকবার মুক্তির তারিখ পিছিয়ে অবশেষে প্রেক্ষাগৃহে যাচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র জংলি। এম রাহিম পরিচালিত রোমাঞ্চকর নাট্য চলচ্চিত্রটির প্রধান ভূমিকায় আছেন এ সময়কার দর্শকনন্দিত তারকা সিয়াম আহমেদ। তার প্রধান সহশিল্পীরা হলেন শবনম বুবলী ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।
সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমার গল্প লিখেছেন আজাদ খান। মেহেদী হাসান ও সুকৃতি সাহা যৌথভাবে গল্পটিকে চিত্রনাট্যে রূপ দিয়েছেন।
অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, দিলারা জামান, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এবং এরফান মৃধা শিবলু।
প্রিন্স মাহমুদের সংগীত পরিচালনায় একটি বিশেষ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তাহসান খান। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে এমআইবি স্টুডিও এবং টাইগার মিডিয়া।
দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে ২৫ এপ্রিল চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিকভাবে উন্মুক্ত হবে।
দাগি
২০২৩ সালে শাকিব অভিনীত প্রিয়তমার সাথে প্রতিযোগিতা করেছিলো আফরান নিশোর সুড়ঙ্গ। এবার তারই পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে আসন্ন ঈদে। প্রথম ছবি সুড়ঙ্গ-এর পর প্রায় দেড় বছরের বিরতিতে ছিলেন ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় অভিনেতা। তারপর ভক্তদের হতবাক করে দিয়ে দিলেন দ্বিতীয় চলচ্চিত্র দাগি’র সংবাদ। তার বিপরীতে নায়িকার অবস্থানও থাকছে অপরিবর্তিত। দেড় বছর সিনেমা থেকে দূরে থাকার পর দ্বিতীয়বারের মতো নিশোর সাথে জুটি বদ্ধ হয়েছেন তমা মির্জা।
একটি বিশেষ ভূমিকায় দেখা যাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার জয়ী অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালকে। সিনেমায় আরও রয়েছেন মনোজ কুমার প্রামানিক, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, রাশেদ মামুন অপু, মনিরা আক্তার মিঠু, এবং মিলি বাশার।
পরিচালনার পাশাপাশি ছবির কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য গড়েছেন শিহাব শাহীন। এখানে বলা হয়েছে একজন সাধারণ মানুষের অপরাধজগতে জড়ানোর গল্প। এই পটভূমিকে উপজীব্য করেই কাহিনী এগিয়ে গেছে মূল চরিত্রের প্রায়শ্চিত্য ও মুক্তির দিকে।
২০১৫ সালে ‘ছুঁয়ে দিলে মন’-এর পর ‘দাগি’ নির্মাতার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। এটি এসভিএফ আলফা-আই এবং দেশীয় ওটিটি (ওভার দ্যা টপ) চরকির একটি যৌথ প্রযোজনা।
চক্কর ৩০২
মোশাররফ করিম ভক্তদের জন্য এবারের ঈদে রয়েছে দারুণ চমক। শরাফ আহমেদ জীবনের গল্প, পরিচালনা এবং সহ-প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘চক্কর ৩০২’। সহ-প্রযোজনায় আরও ছিলেন আবুল ফজল মোহাম্মদ রিতু, সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন, সরদার সানিয়াত হোসেন, এবং আদনান আল রাজীব।
সিনেমাতে মোশাররফ করিম একটি মার্ডার কেসের তদন্তকারী কর্মকর্তা। তার স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু।
সংলাপ লিখেছেন নাহিদ হাসনাত, যিনি সৈয়দ গাউসুল আলম শাওনের সাথে যৌথভাবে ভূমিকা রেখেছেন চিত্রনাট্যে।
বিভিন্ন চরিত্রের অভিনয়ে ছিলেন তারিন জাহান, ইন্তেখাব দিনার, মৌসুমী নাগ, রওনক হাসান, শাশ্বত দত্ত্ব, সুমন আনোয়ার, সারা আলম, ফারজানা বুশরা, আহমেদ গোলাম দস্তগীর শান, এবং ডিকন নূর।
সঙ্গীত পরিচালনার কাজ করেছেন ইমন চৌধুরী, জাহিদ নিরব, অমিত চ্যাটার্জি।
বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্রের অনুদানে নির্মিত ছবিটি মুক্তি পাবে কারখানা প্রোডাকশন এবং গামাফ্লিক্স-এর ব্যানারে।
জ্বীন ৩
জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনায় আরও এক কিস্তি নিয়ে হাজির হচ্ছে ভৌতিক চলচ্চিত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি জ্বীন। এর পূর্বে ২০২৩ থেকে প্রতি বছর জ্বীন-এর একটি করে সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।
দ্বিতীয় কিস্তিতে অনুপস্থিত থেকে এবার প্রধান চরিত্রে ফিরেছেন সজল নূর। তার বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে পুরো মুভি সিরিজে প্রথমবারের মতো যুক্ত হয়েছেন নুসরাত ফারিয়া। এটি বড় পর্দায় সজলের সাথে তার প্রথম কাজ।
জাজের অধীনে প্রযোজনার পাশাপাশি ছবির গল্প, সংলাপ, ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আব্দুল আজিজ। কামরুজ্জামান রোমান পরিচালিত সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে ময়মনসিংহের একটি বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন তানিয়া আহমেদ এবং আহসানুল হক মিনু। এছাড়াও দেখা যাবে অভিনেতা নাদের চৌধুরীকে, যিনি জ্বীন ১-এর পরিচালক ছিলেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত ছবির কন্যা শিরোনামের গানটি সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান মাহমুদুল ও দিলশাদ নাহার কনা।
পিনিক
শবনম বুবলী ও আদর আজাদ জুটির এই চলচ্চিত্রটিকে ঘিরে অনেক দিন ধরে শোরগোল চলছে দর্শকদের মাঝে। জাহিদ জুয়েল পরিচালিত থ্রিলার, অ্যাকশন, ও সাসপেন্সের সংমিশ্রণে গড়া ছবিটি অবশেষে এই ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। ‘তালাশ’ (২০২২) এবং ‘লোকাল’ (২০২৩)-এর পর তৃতীয়বারের মত বড় পর্দায় আসছেন বুবলী-আদর জুটি।
সিনেমাটিতে প্রথমবারের মতো খলনায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বুবলী। প্রতিশোধ ও পাল্টা প্রতিশোধের গল্প নির্ভর মুভির চিত্রনাট্য লিখেছেন আখিউজ্জামান মেনন।
চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করছেন ফজলুর রহমান বাবু, আলী রাজ, আজাদ আবুল কালাম, জয়িতা মহলানবীশ, মাসুম বাশার, মোমেনা চৌধুরী, সমু চৌধুরী, এ কে আজাদ সেতু, নাফিস আহমেদ বিন্দু, এবং শরীফ সিরাজ।
ইউরো বাংলা এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত সিনেমাটির সহ-প্রযোজনায় আছেন অভিনেতা শিমুল খান।
হাউ সুইট
বিয়ে থেকে পালানোর জন্য আঁটঘাট বেধে নেমেছে সুইটি। অপরদিকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে নাছোড়বান্দা আদনান। এমনি দুটো চরিত্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে রম্য নাট্য-চলচ্চিত্র ‘হাউ সুইট’। ওয়েব ফিল্মটির গল্প, চিত্রনাট্য, ও পরিচালনায় রয়েছেন এ সময়ের দর্শকনন্দিত নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি।
আদনান চরিত্রে রয়েছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, আর সুইটি চরিত্রে দেখা যাবে তাসনিয়া ফারিণকে।
তাদের সহশিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন সাইদুর রহমান পাভেল, সুষমা সরকার, আবদুল্লাহ রানা, আরফান ম্রিধা শিবলু, এবং নাইমা আলম মাহাসহ আরও অনেকে।
নাচে, গানে ভরপুর বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমাটির সুর ও সঙ্গীতে দায়িত্ব পালন করেছেন আকাশ সেন।
গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন বালাম ও ন্যান্সি।
প্রযোজক হিসেবে ছিলেন মুশফিকুর রহমান মঞ্জু। বুম ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত ছবিটি সম্প্রচারিত হবে ওটিটি বঙ্গতে।
শেষাংশ
২০২৫-এর ঈদুল ফিতরকে ঘিরে বাংলাদেশি সিনেমাপ্রেমিদের উদ্দীপনার কেন্দ্রে রয়েছে বরবাদ, দাগি, ও জংলি। ঈদের আনন্দকে নতুন মাত্রা দিতে এবার থাকছে মোশাররফ করিমের ‘চক্কর ৩০২’ আর অমি ভক্তদের জন্য ‘হাউ সুইট’। বুবলিকে খলনায়িকা রূপে দেখার আগ্রহ আলাদা ভাবে দর্শক টানবে ‘পিনিক’। জ্বীন ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে নুসরাত ফারিয়ার সম্পৃক্ততা কতটা চমকপ্রদ হবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ‘জ্বীন ৩’ মুক্তি পর্যন্ত। সব মিলিয়ে, দারুণ এক প্রতিযোগিতামুখর হতে যাচ্ছে ঢালিউডের এবারের ঈদ আয়োজন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে সাবেক সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারকে।
সমিতির সহসভাপতি ও মুখপাত্র ডি এ তায়েব মঙ্গলবার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি বিকেলে কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার করে কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে এক বিবৃতি প্রদান করেন নিপুণ আক্তার। সেখানে নিজেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করেন তিনি। গত ১৭ জুলাই নিজের ফেসবুকে সেটা পোস্টও দেন। এ নিয়ে সে সময় ব্যাপক সমালোচনা হয়।
‘অনৈতিকভাবে’ সমিতির প্যাড ব্যবহার করায় মিশা-ডিপজল নেতৃত্বাধীন কমিটি গত বছরের ৩০ জুলাই সমিতির ষষ্ঠ সভায় এ বিষয় উত্থাপিত হলে নিপুণকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তিনি তা তোয়াক্কা করেননি।
তার আগে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে নিয়ে গণমাধ্যমে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে এ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে।
গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজ করায় নিপুণকে নোটিশ দেয় কার্যনির্বাহী পরিষদ। তবে আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার কাছের মানুষ হওয়ায় তিনি কোনো চিঠিই আমলে নেননি বলে অভিযোগ আছে।
এমন বাস্তবতায় অনৈতিকভাবে শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার এবং সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয় নিপুণ আক্তারকে।
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গত ১০ জানুয়ারি সকালে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নিপুণের পাসপোর্ট অফলোড করে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
নিপুণের নামে মামলা না থাকায় ওই দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:ভারতের মুম্বাইয়ে নিজ বাসায় অনুপ্রবেশকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলী খান।
স্থানীয় সময় বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রাত আড়াইটায় একজন অনুপ্রবেশকারী বাসায় ঢুকে সাইফ আলীকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করে। বর্তমানে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার চলছে।
হাসপাতালকর্মীরা বলছেন, সাইফ আলী খান এখন বিপদমুক্ত। রাতে তার নিউরো সার্জারি করা হয়েছে। বর্তমানে প্লাস্টিক সার্জারি চলছে।
এ ঘটনায় বান্দ্রা থানায় একটি এজাহার করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, সাইফ আলী যখন বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন একজন অনুপ্রবেশকারী চুপিসারে তার বাসায় ঢোকেন। এ সময়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সাইফের হাতাহাতি হয়।
এরপর সাইফ আলী খানকে ছয়বারের বেশি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান অনুপ্রবেশকারী।
এক বিবৃতিতে লীলাবতী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ছয়টি আঘাতের মধ্যে দুটি তার মেরুদণ্ডের কাছে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।
এরই মধ্যে তার বাসার তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত করছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
এক বিবৃতিতে সাংবাদিক ও ভক্তদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে সাইফ আলী খান টিম।
এতে বলা হয়, ‘এটি এখন পুলিশের কাজ। আমরা আপনাদের হালানাগাদ তথ্য জানিয়ে দেব।’
কারিনা কাপুর খান টিমও একই বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘পরিবারের অন্য সদস্যরা ভালো আছেন।’
আরও পড়ুন:খ্যাতিমান অভিনেতা প্রবীর মিত্রের মৃত্যু হয়েছে, যার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোববার রাত ১০টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
অভিনেতার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৮১ বছর বয়সী প্রবীর মিত্র বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা নিয়ে ১৩ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শরীরে অক্সিজেন স্বল্পতাসহ বেশ কিছু অসুস্থতায় গত ২২ ডিসেম্বর তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু দিনে দিনে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়।
প্রবীর মিত্র ১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র।
পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুল জীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমানের মৃত্যু হয়েছে, যার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাকালে শুক্রবার রাতে তার মৃত্যুু হয়।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর সংবাদমাধ্যমকে অঞ্জনার মৃত্যুর বিষয়টি জানান।
অভিনেতা জায়েদ খানসহ অনেক শিল্পী ও কলাকুশলী তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নামী অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরটি জানান।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে শনিবার বেলা ১১টার দিকে তার জানাজা হবে।
মৃত্যুর আগে তিন দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন অঞ্জনা।
গত ২৪ ডিসেম্বর জ্বর নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেত্রী। পরে তার রক্তে সংক্রমণ পান চিকিৎসকরা, যা পুরো শরীরে ছড়িয়ে হার্ট ও কিডনিতে জটিলতা সৃষ্টি করে। অঞ্জনার ফুসফুসে পানি আসে এবং তিনি স্ট্রোক করেন।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকায় ১৯৬৫ সালের ২৭ জুন জন্মগ্রহণ করেন অঞ্জনা। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
আরও পড়ুন:ভারতের হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারের বাইরে গত ৩ ডিসেম্বর পদদলিত হয়ে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা আল্লু অর্জুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’-এর প্রদর্শনীতে অভিনেতার অনির্ধারিত উপস্থিতির সময় নারীর মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আল্লু অর্জুনকে জুবিলি হিলসের বাসভবন থেকে হেফাজতে নিয়ে চিক্কাদপল্লি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় তার বাবা ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা আল্লু অরবিন্দ এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা বাসায় ছিলেন।
গ্রেপ্তারের পর ৪১ বছর বয়সী এ অভিনেতা সোমবার পর্যন্ত তার আটকাদেশ স্থগিত রাখার আবেদন করেন। শুক্রবার এ আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে হায়দরাবাদ পুলিশ আল্লু অর্জুন, তার নিরাপত্তা দলের সদস্য এবং সন্ধ্যা থিয়েটারের ব্যবস্থাপকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
ঘটনার দিন অভিনেতাকে একপলক দেখার জন্য প্রচুর ভিড় হওয়ায় পদপিষ্টের ঘটনায় তাদের ভূমিকার বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন:কাতারভিত্তিক কমিউনিটি সার্ভিস সংগঠন শর্ট ফিল্ম ল্যাব (এসএফএল) আয়োজিত প্রথমবারের মতো উইকেন্ড শর্টফিল্ম চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে এ অনুষ্ঠান হয়।
প্রতিযোগিতাটির পৃষ্ঠপোষক ছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এলএনজি কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি।
প্রতিযোগিতায় স্থানীয় দলগুলো ৪৮ ঘণ্টায় নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করে।
প্রতিটি দল জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ডিজিটাল গল্প তৈরি করেছে, যা অনন্য ও আবেগপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি সামনে নিয়ে এসেছে।
এসএফএলের প্রতিষ্ঠাতা ড. মোহনালক্ষ্মী রাজাকুমার এবং সৃজনশীল পরিচালক দোহায় এসএফএল পরামর্শদাতা প্রোগ্রামের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ইলা রিডল এবং সারা ঈসার নেতৃত্বে এই পুরো অভিজ্ঞতা বাস্তবায়ন হয়।
এক্সিলারেট এনার্জির কান্ট্রি ম্যানেজার হাবিব ভূঁইয়া পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
১৫টি চলচ্চিত্র ইএমকে সেন্টারে প্রদর্শন হয়, যেখানে পাঁচটি পুরস্কার এবং একটি সম্মানিত উল্লেখের মাধ্যমে উদীয়মান চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতিভা ও সৃজনশীলতার স্বীকৃতি দেয়া হয়।
বিজয়ী চলচ্চিত্রগুলো পানির দূষণ থেকে পরিবেশের প্রতি অবহেলা এবং জলবায়ু স্থানচ্যুতি পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে, যা তরুণ গল্পকারদের পরিবেশগত পদক্ষেপের প্রতি সচেতনতা তৈরি করতে চলচ্চিত্রকে ব্যবহার করার বিষয়টি তুলে ধরেছে।
প্রখ্যাত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা সাদিয়া খালিদ রীতি (যিনি রাশিয়া, ইরান এবং ফ্রান্সের মর্যাদাপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসবসহ একাধিক দেশে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন) বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিজয়ী দলগুলোকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, ট্রিহাউস রেস্টুরেন্ট এবং গ্রামীণ দানোনের ভাউচারসহ বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য