× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিনোদন
FDCs NOC stands in the way of independent films
google_news print-icon

স্বাধীন চলচ্চিত্রের পথে বাধা এফডিসির ‘এনওসি’

স্বাধীন-চলচ্চিত্রের-পথে-বাধা-এফডিসির-এনওসি
স্বাধীন চলচ্চিত্রের পথে বাধা এফডিসির ‘এনওসি’। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
এফডিসি থেকে এনওসি নিতে চাইলে কোনো সিনেমার প্রযোজকের হতে হয় প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সদস্য। এ সদস্য পদ পেতে দিতে হয় ১ লাখ ৩ হাজার টাকা। এখানেই আটকে যান স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতারা।

পূর্ণ্যদৈর্ঘ্য, স্বল্পদৈর্ঘ্য, প্রামাণ্য বা তথ্যচিত্র সেন্সরের জন্য প্রয়োজন হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) অনাপত্তিপত্র (এনওসি)। আবেদন করা চলচ্চিত্রটি নির্মাণে বিএফডিসির কোনো পাওনা আছে কি না, সেটাই এনওসিতে জানানো হয়।

এফসিডির কাছ থেকে ‘কোনো পাওয়া নেই’ মর্মে প্রত্যয়ন পেলে সিনেমার সেন্সরে প্রদর্শন ও সেন্সর সার্টিফিকেট দেয় সেন্সর বোর্ড। আর প্রত্যয়নপত্র না দিলে সংশ্লিষ্ট সিনেমাকে সেন্সরে জমা নেয় না সেন্সর বোর্ড।

এফডিসি থেকে এনওসি নিতে চাইলে কোনো সিনেমার প্রযোজকের হতে হয় প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সদস্য। সমিতি সূত্র নিউজবাংলাকে জানিয়েছে, এ সদস্যপদ পেতে দিতে হয় ১ লাখ ৩ হাজার টাকা।

এখানেই আটকে যান স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতারা। নানা উপায়ে টাকা জোগাড় করে সিনেমা নির্মাণের পর লাখ টাকায় প্রযোজক পরিবেশক সিমিতির সদস্য হওয়া স্বাধীন চলচ্চিত্রের প্রযোজকদের জন্য কঠিন।

অথচ এফডিসির এনওসি নিয়েই সিনেমা সেন্সর করতে হবে- এমন কোনো আইন চলচ্চিত্র সেন্সরশিপ আইন (১৯৬৩) এবং দ্য ফিল্ম সেন্সরশিপ (এমেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট (২০০৬) এ উল্লেখ নেই।

‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের অনাপত্তিপত্র’র কথা উল্লেখ আছে সেন্সর বোর্ডের আবেদন ফরম পূরণের নিয়মাবলির ‘আবেদন করার পূর্বপ্রস্তুতি’ বিভাগে।

এনওসির মারপ্যাঁচে এখনও আটকে আছে নির্মাতা রেজা ঘটকের হরিবোল সিনেমাটি। রেজা ঘটক নিউজাংলাকে জানান, ২০১৯ সালে তিনি হরিবোল সিনেমাটি সেন্সরে জমা দেন। এফডিসির এনওসি নেননি বলে সিনেমাটির সেন্সর পাওয়া নিয়ে তৈরী হয়েছে জটিলতা।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি কেন এফডিসির এনওসি নিতে যাব। আমি সিনেমাটি বানিয়েছি এফডিসির বাইরে, এমনকি এফডিসির কোনো সুযোগ-সুবিধাই নেইনি। আমি সিনেমা বানিয়েছি, সরাসরি সেন্সরে জমা দেব। এফডিসির এনওসি নিতে গিয়ে পরিচালক সমিতি, প্রযোজক সমিতি এবং এফডিসির ক্লায়েন্ট হতে হবে। এ রকম কোনো পদ্ধতির কথা সেন্সর অ্যাক্টে উল্লেখ নেই।’

যারা কোনো সমিতির সদস্য নন, এফডিসির ক্লায়েন্ট নন, তাদের কীভাবে এনওসি দেয়া হবে, তার একটি নিয়ম উল্লেখ আছে এফডিসির সেবার তালিকায়। সেই নিয়মে প্রযোজক সমিতির প্রত্যয়নের পাশাপাশি পরিচালক সমিতির প্রত্যয়নের কথাও বলা হয়েছে।

পরিচালক সমিতির প্রত্যয়ন পেতে চাইলে তাকে পরিচালক সমিতির সদস্য হতে হবে এবং সেই সদস্যপদ নিতে সমিতিতে দিতে হয় ৭৫ হাজার টাকা। পুরো বিষয়টিকে ‘চক্র’ বলে দাবি করছেন নির্মাতা রেজা ঘটক।

এফডিসির এনওসি ছাড়া সেন্সর সনদ পাওয়া নিয়ে জটিলতার আরেকটি ঘটনা ফেসবুকে জানিয়েছিলেন চলচ্চিত্রকর্মী স্বজন মাঝি। তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘আমার চেনা একজন নির্মাতা বন্ধু সরকারি অনুদানে স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। ভদ্রলোক পাহাড়ে বসবাসকারী একটি স্বতন্ত্র জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে কাজ করবেন বলে পাহাড়ে শুট করতে গেলেন। শুটিং শেষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ফুটেজ জমা দিয়ে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আনতে গেলেন। তাকে এফডিসির ছাড়পত্র জোগাড় করতে বলা হলো।

‘এফডিসিতে গিয়ে জানতে পারলেন ছাড়পত্র নিতে গেলে আগে তাকে এক লাখ টাকা জমা দিয়ে এফডিসির ক্লায়েন্ট হতে হবে। তিনি কর্তৃপক্ষকে জানালেন, ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য আমার তো এফডিসিতে কোনো কাজ নাই। আমার তো রাঙ্গামাটি বান্দরবানের পার্বত্যাঞ্চলে লোকেশন। এফডিসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রতি-উত্তরে বললেন, আপনি চাইলে এফডিসিতে রাঙ্গামাটির সেট বানিয়ে শুট করতে পারেন। ভদ্রলোক বললেন, এটা প্রামাণ্যচিত্র ভাই, সেট বানিয়ে শুট করার সুযোগ নাই!

‘যাই হোক, শেষ পর্যন্ত সেই ভদ্রলোককে বাধ্যতামূলক এক লাখ টাকা জমা দিয়ে এফডিসির ক্লায়েন্ট হয়ে ছাড়পত্র সংগ্রহ করে মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মানতে হয়েছিল।’ (স্ট্যাটাসের সংক্ষিপ্ত অংশ)

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এফডিসির এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, তারা প্রযোজক সমিতির প্রত্যয়ন চান, পরিচালক বা শিল্পী সমিতির কোনো প্রত্যয়ন তাদের প্রয়োজন হয় না।

এফডিসি থেকে এনওসি কেন নিতে হবে, জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘৩৫ মিলিমিটার ফিল্মে যখন সিনেমা নির্মাণ করা হতো, তখন এফডিসিতে অনেকেই সেবা নিয়ে টাকা বাকি রেখে সিনেমা নির্মাণ করেছেন এবং সিনেমা মুক্তিও দিয়েছেন। পরে আর টাকা পরিশোধ করেননি। এ সুযোগ যেন কোনো প্রযোজক আর না নিতে পারেন, সে জন্যই এনওসি নেয়াটা জরুরি।’

সে ক্ষেত্রে প্রযোজক সমিতির প্রত্যয়ন বা এফডিসির ক্লায়েন্ট হওয়া কেন জরুরি, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা এফডিসির ক্লায়েন্ট নন বা কোনো সমিতির সদস্য নন, তাদের জন্য প্রযোজক সমিতির প্রত্যয়ন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে করে আমরা দেশীয় সিনেমার মাদার অর্গানাইজেশন থেকে জানতে পারি যে আবেদনকারী একজন প্রযোজক এবং নথি সংরক্ষণের জন্যও এ প্রক্রিয়া জরুরি।

‘এ ছাড়া প্রযোজক সমিতির প্রতিনিধি এফডিসির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। আট সদস্যের পর্ষদের সাতজনই সরকারি কর্মকর্তা, একজন প্রযোজক সমিতির প্রতিনিধি।’

এখন অবশ্য প্রযোজক সমিতির কোনো কমিটি নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সমিতিটি এখন পরিচালনা করছেন মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ করা সরকারি কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এফডিসির সেই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যারা সিনেমা এফডিসির বাইরে বানান, তাদের জন্য আমরা এনওসি ফি নিই ১৫ হাজার টাকা। ১ লাখ টাকা দিয়ে এফডিসির তালিকাভুক্ত হতে হয়। যারা তালিকাভুক্ত হন, তারা যদি ১ লাখ টাকার কম সেবা নেন, তাহলে বাকি টাকা আমরা তাকে দিয়ে দেই, ১ লাখের বেশি লাগলে বাকি টাকা তার কাছ থেকে সংগ্রহ করি। এ ক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে আলাদা করে এনওসি ফি রাখা হয় না।’

সেপ্টেম্বর মাসে স্বাধীন চলচ্চিত্র সাঁতাও পেয়েছে সেন্সর ছাড়পত্র। এর পরিচালক খন্দকার সুমন কোনো সমিতির সদস্য ছিলেন না। কিন্তু এনওসি পেতে তাকে হতে হয়েছে প্রযোজক সমিতির সদস্য।

স্বাধীন চলচ্চিত্রের পথে বাধা এফডিসির ‘এনওসি’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং সে সময়ের তথ্যসচিবকে দেয়া নির্মাতা খন্দকার সুমনের চিঠি। ছবি: সংগৃহীত

খন্দকার সুমন গত ৩১ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং সে সময়ে তথ্য সচিবের দায়িত্বে থাকা মকবুল হোসেন বরাবর দুটি চিঠি ইস্যু করেন। যেখানে তিনি এফডিসির এনওসি নিতে একজন স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতার সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

সুমন নিউজবাংলাকে জানান, চিঠি পেয়ে মকবুল হোসেন চিঠির মারফত এফডিসির এনওসির বিষয়টি সেন্সর আইনে আছে কি না জানতে চান সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাইফুল্লার কাছে। মো. সাইফুল্লা চিঠির মাধ্যমে মকবুল হোসেনকে জানান, এমন কোনো আইন সেন্সর অ্যাক্টে নেই।

নিউজবাংলাও মো. সাইফুল্লার কাছে জানতে চেয়েছিল সেন্সর পেতে এফডিসির এনওসি নেয়ার প্রক্রিয়াটি সেন্সর আইনে আছে কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি কোনো আইনসিদ্ধ প্রক্রিয়া কি না সেটা বলার আগে বলতে চাই, এটা মন্ত্রণালয়ের (তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়) ইস্যু, এটা তারাই ভালো বলতে পারবে। তাদের সঙ্গে কথা বলেন।’

এফডিসির এনওসি নিয়ে কাজ করাকে সেন্সর বোর্ড তেমন সমর্থন করে না বলে শোনা যায় বোর্ড কর্মকর্তা ও বোর্ড সদস্যদের কাছে। তবে এনওসি ইস্যু করার মাধ্যমে এফডিসির কিছু আয় হয়, সে জন্য মন্ত্রণালয় থেকে পদ্ধতিটি চালু রাখতে বলা হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানান সেন্সর বোর্ডের দুই কর্মকর্তা।

এ নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মো. নজরুল ইসলাম এবং উপসচিব সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন:
কলকাতা সফরে যা করবেন তারা
রাজের হ্যাটট্রিক, সিয়াম-রাফির দুটি করে
কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন ২৯ অক্টোবর
কলকাতা যাচ্ছে দেশের ২৫টি সিনেমা
‘জিদ আছে তো জিত আছে’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিনোদন
Why dont you like watching the movie of the mother of Kajol?

কেন মায়ের সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন না কাজলের সন্তানেরা?

কেন মায়ের সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন না কাজলের সন্তানেরা?

নব্বইয়ের দশকে রাজত্ব করা রাভিনা ট্যান্ডনের মেয়ে রাশা থাডানিরও বলিউডে অভিষেক হয়েছে। শুধু রাশাই নন, উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তালিকায় সুহানা খান, অনন্যা পাণ্ডে থেকে শুরু করে অনেক স্টারকিডই আছেন। সেদিক থেকে যেন ব্যতিক্রম কাজলের মেয়ে।

কাজলের মেয়ে নাইসা দেবগনের চলচ্চিত্র জগতে পা রাখার পরিকল্পনা আছে কি না, এমন প্রশ্নে ফিল্মিজ্ঞানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেন কাজল।

কাজলকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে রাশা যেমন তার মা রাভিনার উত্তরাধিকার বহন করছে, তেমন করেই কি নাইসাও তার উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাবে? এরপর কাজল বলেন, ‘না, আমার মনে হয় না ও তা করবে। ও সিনেমায় আগ্রহী নয়। আমি আমার পরিবারের সব বাচ্চাকে ভালোবাসি এবং আমি চাই ওরা এমন কিছু করুক যা করতে ওদের ভালো লাগে। আমি মনে করি তাতেই ওরা সফল হবে।’

অভিনেত্রীর সন্তানরা তাঁর অভিনয় দেখে কী বলেন? এমন প্রশ্নে কাজল বলেন, ‘আমার সন্তানরা আমার ছবি পছন্দ করে না, কারণ সেগুলোতে আমাকে কাঁদতে হয়। ওঁরা পর্দায় মাকে কাঁদতে দেখতে পছন্দ করে না। নাসা এবং যুগ আমাকে কাঁদতে দেখে বেশ কষ্ট পায়। আমি ওঁদের বলেছি এটা নকল, কিন্তু ওঁরা তা বুঝতে পারে না।’

প্রসঙ্গত, রাশা অজয় দেবগনের ভাগ্নে আমান দেবগনের সঙ্গে ‘আজাদ’ ছবিতে অভিনয় করে বলিউডে ডেভিউ করেন। এই ছবিতে অজয় ​​নিজেও অভিনয় করেছিলেন। ছবিটি বক্স অফিসে তেমন সাফল্য না পেলেও, সিনেমায় ‘উই আম্মা’ গানে রাশার নাচ তাকে খ্যাতি এনে দেয়।

এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে কাজলের নতুন সিনেমা ‘মা’। বিশাল ফুরিয়া পরিচালিত এই পৌরাণিক ভৌতিক নাটকে তিনি ছাড়াও অভিনয় করেছেন রণিত রায়, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত এবং খেরিন শর্মা। ছবিটি ২৭ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।

মন্তব্য

বিনোদন
Karisma is no longer married after divorce

বিচ্ছেদের পর আর বিয়ে করেননি কারিশমা, কারণ কী

বিচ্ছেদের পর আর বিয়ে করেননি কারিশমা, কারণ কী

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিন আগে মৃত্যুবরণ করেছেন বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের সাবেক স্বামী সঞ্জয় কাপুর। ২০০৩ সালে কারিশমা কাপুরের সঙ্গে এ প্রয়াত শিল্পপতির বিয়ে হয়েছিল। কারিশমা কাপুর ও সঞ্জয় কাপুরের ঘরে দুই সন্তানের জন্মও জন্মও হয়েছিল। তবে তাদের বিয়ে স্থায়ী হয়নি।

বিবাহবিচ্ছেদের পরে শুধুই সন্তান ও কাজে মন দিয়েছিলেন কারিশমা কাপুর। কিন্তু দ্বিতীয়বার বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল কিনা তা এ অভিনেত্রীর, সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর আবারও সেই প্রশ্ন উঠেছে।

কারিশমা কাপুর সঞ্জয়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর আর বিয়ে করেননি। এমনকি কখনো কারও সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জনও শোনা যায়নি। সঞ্জয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে ২০০২ সালে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছিলেন কারিশমা কাপুর। তবে বিয়ের আগেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এর এক বছর যেতে না যেতে সঞ্জয়ের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন কারিশমা। সঞ্জয় ও অভিষেক ছাড়া আর কোনো পুরুষের সঙ্গে কখনো সম্পর্কে জড়াননি এ অভিনেত্রী। শুধু তা-ই নয় ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনো তিনি খুব একটা কথাও বলেননি। কারিশমাকে ২০২২ সালে ইনস্টাগ্রামে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক অনুরাগী প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আপনি কি দ্বিতীয় বিয়ে করতে ইচ্ছুক?’ তিনি জবাবে কিছুই বলেননি। শুধু একটি ইমোজি দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে লিখেছিলেন, ‘পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।’ সেই ইমোজি ও মন্তব্য দেখে তার ভক্তরা ধারণা করেছিলেন, দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে নিশ্চয়ই সিদ্ধান্তহীনতা ভুগছেন কারিশমা। মানে কোথাও গিয়ে তার মনে এখনো বিয়ের ইচ্ছে রয়েছে কিনা। যদিও এরপরে বিয়ে নিয়ে আর কখনো তিনি মুখ খোলেননি।

মন্তব্য

বিনোদন
After a month from jail to the frame

জেল থেকে ফ্রেমে, এক মাস পর...

জেল থেকে ফ্রেমে, এক মাস পর...

এক মাসের নীরবতা ভেঙে অবশেষে কাজে ফিরলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। ফেসবুকে একগুচ্ছ প্রাণবন্ত ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘১ মাস পর…।’ ক্যাপশন ছোট হলেও তার প্রত্যাবর্তন ছিল বড়সড় চমক।

ফেসবুকে প্রকাশিত ছবিগুলোতে খোলা চুল, ঠোঁটে মিষ্টি হাসি- যেন ঝলমলে আলোয় ফিরে এসেছেন ফারিয়া। অনেক ভক্ত-অনুরাগী যেন খুঁজে পেয়েছেন সেই পুরোনো নায়িকাকে নতুন রূপে।

বলা দরকার, গত মাসে থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফারিয়া কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মে ঢাকার ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন নুসরাত ফারিয়া। অভিযোগ ছিল- বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতা ও হত্যাচেষ্টার মতো গুরুতর বিষয়। ঘটনার পর মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। তবে ২০ মে জামিনে মুক্তি পেয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে বের হন এই চিত্রনায়িকা।

মন্তব্য

বিনোদন
Send Tiger Versus to Two Khan Tiger

মুখোমুখি হবেন দুই খান, ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’

মুখোমুখি হবেন দুই খান, ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’

ভারতের হিন্দি সিনেমার দুই তারকা শাহরুখ খান ও সালমান খানকে একসঙ্গে নিয়ে ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’ নামের যে সিনেমাটি নির্মাণের কথা শোনা গিয়েছিল বছর খানেক আগে, সেই সিনেমার কাজ আগাচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় সিনেমা বন্ধের যে গুঞ্জন উঠেছে সেটি ‘সঠিক নয়’ বলে জানিয়েছে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। এনডিটিভি লিখেছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’ সিনেমার কাজ এগিয়ে যাচ্ছে, তবে সময় লাগবে।

চলতি বছরের শুরুতে সালমান এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘এই সিনেমাটি হয়ত হচ্ছে না’। এরপর থেকেই নানা গুঞ্জন ছড়াতে থাকে যে সিনেমাটি আর আলোর মুখ দেখবে না।

‘পিপিং মুন’ নামের যে অনলাইন পত্রিকাটি ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’ বন্ধ হওয়ার খবর প্রকাশ করেছিল, তারাও পরে সেই প্রতিবেদন সরিয়ে নেয়। ‘টাইগার বনাম পাঠান’ সিনেমাটি যশরাজ চলচ্চিত্রের স্পাই ইউনিভার্সের অংশ।

এই ফ্রাঞ্জাইজির শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত ‘এক থা টাইগার’ সিনেমা দিয়ে। সেখানে সালমানের চরিত্র ছিল রাষ্ট্রীয় গুপ্তচর সংস্থার কর্মকর্তা।

তারপর ২০১৭ সালে এর সিক্যুয়েল ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ মুক্তি পায়। এরপর ২০২৩ সালে আসে ‘টাইগার থ্রি’।

এই ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে শাহরুখ খান যুক্ত হন ২০২৩ সালে, তার অভিনীত ‘পাঠান’ সিনেমার মাধ্যমে। ওই সিনেমায় সালমান খান হাজির হন ক্যামিও চরিত্রে।

এই ধারাবাহিকের আরও সিনেমার মধ্যে আছে হৃতিক রোশন ও টাইগার শ্রফ অভিনীত ‘ওয়ার’। যেটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১৯ সালে। এর সিক্যুয়েল ‘ওয়ার ২’ সিনেমার কাজ চলছে। যেখানে দেখা মিলবে হৃতিক রোশান ও দক্ষিণের তারকা জুনিয়র এনটিআরের। যা পরিচালনা করছেন অয়ন মুখোপাধ্যায়।

এছাড়া ‘আলফা’ নামের নতুন সিনেমারও পরিকল্পনা রয়েছে , যেখানে অভিনয় করবেন আলিয়া ভাট ও শরভারি ওয়াঘ।

শাহরুখ খান ও সালমান খানের আগেও একাধিক সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘করন অর্জুন’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘হাম তুমহারে হ্যায় সানাম’সহ আরো কয়েকটি।

সালমান খানকে সর্বশেষ দেখা গেছে এ আর মুরুগাদোস পরিচালিত ‘সিকান্দার’ সিনেমায়। চলতি বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

অন্যদিকে শাহরুখ খান অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা ছিল রাজকুমার হিরানির ‘ডাঙ্কি’। সামনে তাকে দেখা যাবে ‘কিং’ সিনেমায়।

মন্তব্য

বিনোদন
Jaya Ahsan after an era

এক যুগ পর জয়া আহসান

এক যুগ পর জয়া আহসান

প্রায় এক যুগ পর একসঙ্গে পর্দায় পাওয়া যাবে জয়া আহসান ও শাকিব খানকে। ঈদুল আজহায় মুক্তির প্রস্তুতি চলছে নতুন সেই সিনেমা ‘তাণ্ডব’। এরই মধ্যে সিনেমাটি নিয়ে আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে সত্যিই এটি ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে কি না তা এখনো নিশ্চিত করেননি নির্মাতা রায়হান রাফী। তবে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া জানান, এই ছবিতে এক বদলে যাওয়া শাকিবকে পেয়েছেন তিনি। এর আগে ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’ নামে একটি সিনেমায় একত্রে দেখা গিয়েছিল শাকিব খান ও জয়া আহসানকে। এরপর আর একসঙ্গে কাজ করেননি তারা। দীর্ঘ এক যুগ পর আবারও পর্দা ভাগাভাগি করছেন এ দুই তারকা। এতদিন পর শাকিবের সঙ্গে অভিনয় করে কেমন লাগছে? কতটা পরিবর্তন এসেছে অভিনেতার? জানতে চাইলে জয়া আহসান বলেন, ‘তার ডেডিকেশন লেভেলটা অনেক বেড়েছে। খুব মন দিয়ে কাজ করেন। নিজের চরিত্রের জন্য সর্বোচ্চটা তিনি দেন, যেটা অ্যাপ্রিশিয়েট করার মতো।’

‘তাণ্ডব’ ছবিতে জয়া আহসান অভিনয় করলেও শাকিবের নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে না এই তারকাকে। বরং শাকিবের নায়িকা হিসেবে ছবিতে অভিনয় করেছেন সাবিলা নূর। সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে হামলাকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যাবে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার গল্প। সিনেমাটির বিশেষ একটি চরিত্রে কাজ করছেন জয়া আহসান। এরই মধ্যে ‘তাণ্ডব’-এর শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন ছবির অভিনয়শিল্পীরা। এই ছবিতে কাজ করছে একঝাঁক তারকা।

একসঙ্গে কাজ না করলেও জয়া আহসান ও শাকিব খান দুজনেই এককভাবে ব্যস্ত ছিলেন কাজ নিয়ে। একই সঙ্গে ঢাকা ও কলকাতায় কাজ করেছেন দুই তারকাই। বিশেষ করে কলকাতার সিনেমায় জয়ার সম্পৃক্ততা ছিল উৎসাহব্যঞ্জক। অন্যদিকে শাকিব খানও আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে সময় পার করেছেন। গত বছর শাকিব অভিনীত তিনটি সিনেমা মুক্তি পায়।

সিনেমাগুলো নিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি প্রচুর সমালোচনাও সইতে হয়েছে অভিনেতাকে। গত বছর উৎসবের বাইরে শাকিবের ‘দরদ’ নামে একটি সিনেমা মুক্তি পেলেও সেটি সাফল্য পায়নি। সম্প্রতি ঈদুল ফিতরে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় শাকিব অভিনীত দুটি সিনেমা ‘অন্তরাত্মা’ ও ‘বরবাদ’। সিনেমা দুটি নিয়ে নিজের সঙ্গেই নিজেকে লড়াই করতে হয়েছে অভিনেতাকে। দুটি সিনেমাতেই তিনি সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন বিদেশি নায়িকা, যা গত কয়েক বছর ধরেই তার সিনেমায় দেখা যাচ্ছে।

মন্তব্য

বিনোদন
Eid ul Fitr 2021 is looking forward to the release of the Bangladeshi cinema

ঈদুল ফিতর ২০২৫-এ ঢালিউডে মুক্তির অপেক্ষায় যে সকল বাংলাদেশি সিনেমা

ঈদুল ফিতর ২০২৫-এ ঢালিউডে মুক্তির অপেক্ষায় যে সকল বাংলাদেশি সিনেমা ২০২৫ ঈদুল ফিতরে ঢালিউডে মুক্তি পাচ্ছে যে সকল চলচ্চিত্র
২০২৫-এর ঈদুল ফিতরকে ঘিরে বাংলাদেশি সিনেমাপ্রেমিদের উদ্দীপনার কেন্দ্রে রয়েছে বরবাদ, দাগি, ও জংলি। ঈদের আনন্দকে নতুন মাত্রা দিতে এবার থাকছে মোশাররফ করিমের ‘চক্কর ৩০২’ আর অমি ভক্তদের জন্য ‘হাউ সুইট’। বুবলিকে খলনায়িকা রূপে দেখার আগ্রহ আলাদা ভাবে দর্শক টানবে ‘পিনিক’। জ্বীন ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে নুসরাত ফারিয়ার সম্পৃক্ততা কতটা চমকপ্রদ হবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ‘জ্বীন ৩’ মুক্তি পর্যন্ত। সব মিলিয়ে, দারুণ এক প্রতিযোগিতামুখর হতে যাচ্ছে ঢালিউডের এবারের ঈদ আয়োজন।

বাণিজ্যিক ঘরানার পাশাপাশি অভিনব গল্প ও আধুনিক চিত্রনাট্যে সমৃদ্ধ সিনেমা সাদরে গ্রহণ করেছে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রপ্রেমিরা। বিশেষ করে ঈদ উৎসবে এখনও সিনেমা হলগুলোতে থাকে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতরেও নানান উদ্দীপনার খোরাক যোগাচ্ছে নতুন কিছু ছবি। চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আসন্ন ঈদে ২০২৫ ঈদুল ফিতরে ঢালিউডে মুক্তি পাচ্ছে যে সকল চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় থাকা চলচ্চিত্রগুলো।

২০২৫ ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাচ্ছে যে সকল বাংলাদেশি চলচ্চিত্র

বরবাদ

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান ও কলকাতার ইধিকা পল জুটির এই দ্বিতীয় কাজটি নিয়ে ইতোমধ্যে চলচ্চিত্র পাড়ায় বেশ হৈচৈ চলছে। এর আগে প্রিয়তমা (২০২৩)-তে বেশ সাড়া ফেলেছিলো এই জুটি। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ভারতের যীশু সেনগুপ্তের যুক্ত হওয়া ছবিটির প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। একটি আইটেম গানে ক্যামিও চরিত্রে থাকবেন কলকাতার আরেক তারকা নুসরাত জাহান-কে।

রোমান্টিক অ্যাকশন থ্রিলারটি পরিচালনার মধ্য সিনেমা নির্মাণে পদার্পণ করেন মেহেদী হাসান হৃদয়। প্রযোজনায় রয়েছেন শাহরিন আক্তার সুমি (রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন) এবং আজিম হারুন (রিধি সিধি এন্টারটেইনমেন্ট)।

অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, মামুনুর রশীদ, এবং ইন্তেখাব দিনার।

সংগীত আয়োজনে আছেন প্রীতম হাসান। ২০২৪ সালের তুফান চলচ্চিত্রে তার ‘লাগে উড়া ধুরা’ গানটি বিভিন্ন মহলে বেশ সমাদৃত হয়। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার কাজ করছেন শাকিব খানের সঙ্গে। প্রীতমসহ ছবির বিভিন্ন গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বলিউডের কয়েকজন গায়ক।

অ্যাকশন দৃশ্য পরিচালনা করেছেন বলিউড ও তেলুগু ইন্ডাস্ট্রির অ্যাকশন ডিরেক্টর রবি বর্মা। নাচের কোরিওগ্রাফি করেছেন বলিউডের আদিল শেখ।

জংলি

বেশ কয়েকবার মুক্তির তারিখ পিছিয়ে অবশেষে প্রেক্ষাগৃহে যাচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র জংলি। এম রাহিম পরিচালিত রোমাঞ্চকর নাট্য চলচ্চিত্রটির প্রধান ভূমিকায় আছেন এ সময়কার দর্শকনন্দিত তারকা সিয়াম আহমেদ। তার প্রধান সহশিল্পীরা হলেন শবনম বুবলী ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।

সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমার গল্প লিখেছেন আজাদ খান। মেহেদী হাসান ও সুকৃতি সাহা যৌথভাবে গল্পটিকে চিত্রনাট্যে রূপ দিয়েছেন।

অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, দিলারা জামান, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এবং এরফান মৃধা শিবলু।

প্রিন্স মাহমুদের সংগীত পরিচালনায় একটি বিশেষ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তাহসান খান। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে এমআইবি স্টুডিও এবং টাইগার মিডিয়া।

দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে ২৫ এপ্রিল চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিকভাবে উন্মুক্ত হবে।

দাগি

২০২৩ সালে শাকিব অভিনীত প্রিয়তমার সাথে প্রতিযোগিতা করেছিলো আফরান নিশোর সুড়ঙ্গ। এবার তারই পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে আসন্ন ঈদে। প্রথম ছবি সুড়ঙ্গ-এর পর প্রায় দেড় বছরের বিরতিতে ছিলেন ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় অভিনেতা। তারপর ভক্তদের হতবাক করে দিয়ে দিলেন দ্বিতীয় চলচ্চিত্র দাগি’র সংবাদ। তার বিপরীতে নায়িকার অবস্থানও থাকছে অপরিবর্তিত। দেড় বছর সিনেমা থেকে দূরে থাকার পর দ্বিতীয়বারের মতো নিশোর সাথে জুটি বদ্ধ হয়েছেন তমা মির্জা।

একটি বিশেষ ভূমিকায় দেখা যাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার জয়ী অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালকে। সিনেমায় আরও রয়েছেন মনোজ কুমার প্রামানিক, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, রাশেদ মামুন অপু, মনিরা আক্তার মিঠু, এবং মিলি বাশার।

পরিচালনার পাশাপাশি ছবির কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য গড়েছেন শিহাব শাহীন। এখানে বলা হয়েছে একজন সাধারণ মানুষের অপরাধজগতে জড়ানোর গল্প। এই পটভূমিকে উপজীব্য করেই কাহিনী এগিয়ে গেছে মূল চরিত্রের প্রায়শ্চিত্য ও মুক্তির দিকে।

২০১৫ সালে ‘ছুঁয়ে দিলে মন’-এর পর ‘দাগি’ নির্মাতার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। এটি এসভিএফ আলফা-আই এবং দেশীয় ওটিটি (ওভার দ্যা টপ) চরকির একটি যৌথ প্রযোজনা।

চক্কর ৩০২

মোশাররফ করিম ভক্তদের জন্য এবারের ঈদে রয়েছে দারুণ চমক। শরাফ আহমেদ জীবনের গল্প, পরিচালনা এবং সহ-প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘চক্কর ৩০২’। সহ-প্রযোজনায় আরও ছিলেন আবুল ফজল মোহাম্মদ রিতু, সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন, সরদার সানিয়াত হোসেন, এবং আদনান আল রাজীব।

সিনেমাতে মোশাররফ করিম একটি মার্ডার কেসের তদন্তকারী কর্মকর্তা। তার স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু।

সংলাপ লিখেছেন নাহিদ হাসনাত, যিনি সৈয়দ গাউসুল আলম শাওনের সাথে যৌথভাবে ভূমিকা রেখেছেন চিত্রনাট্যে।

বিভিন্ন চরিত্রের অভিনয়ে ছিলেন তারিন জাহান, ইন্তেখাব দিনার, মৌসুমী নাগ, রওনক হাসান, শাশ্বত দত্ত্ব, সুমন আনোয়ার, সারা আলম, ফারজানা বুশরা, আহমেদ গোলাম দস্তগীর শান, এবং ডিকন নূর।

সঙ্গীত পরিচালনার কাজ করেছেন ইমন চৌধুরী, জাহিদ নিরব, অমিত চ্যাটার্জি।

বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্রের অনুদানে নির্মিত ছবিটি মুক্তি পাবে কারখানা প্রোডাকশন এবং গামাফ্লিক্স-এর ব্যানারে।

জ্বীন ৩

জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনায় আরও এক কিস্তি নিয়ে হাজির হচ্ছে ভৌতিক চলচ্চিত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি জ্বীন। এর পূর্বে ২০২৩ থেকে প্রতি বছর জ্বীন-এর একটি করে সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।

দ্বিতীয় কিস্তিতে অনুপস্থিত থেকে এবার প্রধান চরিত্রে ফিরেছেন সজল নূর। তার বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে পুরো মুভি সিরিজে প্রথমবারের মতো যুক্ত হয়েছেন নুসরাত ফারিয়া। এটি বড় পর্দায় সজলের সাথে তার প্রথম কাজ।

জাজের অধীনে প্রযোজনার পাশাপাশি ছবির গল্প, সংলাপ, ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আব্দুল আজিজ। কামরুজ্জামান রোমান পরিচালিত সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে ময়মনসিংহের একটি বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে।

অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন তানিয়া আহমেদ এবং আহসানুল হক মিনু। এছাড়াও দেখা যাবে অভিনেতা নাদের চৌধুরীকে, যিনি জ্বীন ১-এর পরিচালক ছিলেন।

সম্প্রতি প্রকাশিত ছবির কন্যা শিরোনামের গানটি সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান মাহমুদুল ও দিলশাদ নাহার কনা।

পিনিক

শবনম বুবলী ও আদর আজাদ জুটির এই চলচ্চিত্রটিকে ঘিরে অনেক দিন ধরে শোরগোল চলছে দর্শকদের মাঝে। জাহিদ জুয়েল পরিচালিত থ্রিলার, অ্যাকশন, ও সাসপেন্সের সংমিশ্রণে গড়া ছবিটি অবশেষে এই ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। ‘তালাশ’ (২০২২) এবং ‘লোকাল’ (২০২৩)-এর পর তৃতীয়বারের মত বড় পর্দায় আসছেন বুবলী-আদর জুটি।

সিনেমাটিতে প্রথমবারের মতো খলনায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বুবলী। প্রতিশোধ ও পাল্টা প্রতিশোধের গল্প নির্ভর মুভির চিত্রনাট্য লিখেছেন আখিউজ্জামান মেনন।

চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করছেন ফজলুর রহমান বাবু, আলী রাজ, আজাদ আবুল কালাম, জয়িতা মহলানবীশ, মাসুম বাশার, মোমেনা চৌধুরী, সমু চৌধুরী, এ কে আজাদ সেতু, নাফিস আহমেদ বিন্দু, এবং শরীফ সিরাজ।

ইউরো বাংলা এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত সিনেমাটির সহ-প্রযোজনায় আছেন অভিনেতা শিমুল খান।

হাউ সুইট

বিয়ে থেকে পালানোর জন্য আঁটঘাট বেধে নেমেছে সুইটি। অপরদিকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে নাছোড়বান্দা আদনান। এমনি দুটো চরিত্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে রম্য নাট্য-চলচ্চিত্র ‘হাউ সুইট’। ওয়েব ফিল্মটির গল্প, চিত্রনাট্য, ও পরিচালনায় রয়েছেন এ সময়ের দর্শকনন্দিত নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি।

আদনান চরিত্রে রয়েছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, আর সুইটি চরিত্রে দেখা যাবে তাসনিয়া ফারিণকে।

তাদের সহশিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন সাইদুর রহমান পাভেল, সুষমা সরকার, আবদুল্লাহ রানা, আরফান ম্রিধা শিবলু, এবং নাইমা আলম মাহাসহ আরও অনেকে।

নাচে, গানে ভরপুর বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমাটির সুর ও সঙ্গীতে দায়িত্ব পালন করেছেন আকাশ সেন।

গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন বালাম ও ন্যান্সি।

প্রযোজক হিসেবে ছিলেন মুশফিকুর রহমান মঞ্জু। বুম ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত ছবিটি সম্প্রচারিত হবে ওটিটি বঙ্গতে।

শেষাংশ

২০২৫-এর ঈদুল ফিতরকে ঘিরে বাংলাদেশি সিনেমাপ্রেমিদের উদ্দীপনার কেন্দ্রে রয়েছে বরবাদ, দাগি, ও জংলি। ঈদের আনন্দকে নতুন মাত্রা দিতে এবার থাকছে মোশাররফ করিমের ‘চক্কর ৩০২’ আর অমি ভক্তদের জন্য ‘হাউ সুইট’। বুবলিকে খলনায়িকা রূপে দেখার আগ্রহ আলাদা ভাবে দর্শক টানবে ‘পিনিক’। জ্বীন ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে নুসরাত ফারিয়ার সম্পৃক্ততা কতটা চমকপ্রদ হবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ‘জ্বীন ৩’ মুক্তি পর্যন্ত। সব মিলিয়ে, দারুণ এক প্রতিযোগিতামুখর হতে যাচ্ছে ঢালিউডের এবারের ঈদ আয়োজন।

আরও পড়ুন:
ফারিণ-প্রীতমের ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’
‘ভূতপরী’ সিনেমার ট্রেলারে চমক জয়া-ঋত্বিকের
প্রথম দিনে কত আয় করল ‘মেরি ক্রিসমাস’
৪ দিনেই ২৫০ কোটি রুপি পার করল প্রভাসের ‘সালার’
দেশের ৪৮ হলে চলবে ‘অ্যানিমেল’

মন্তব্য

বিনোদন
Lifetime expulsion from the artistes association is the heroine Nippon

শিল্পী সমিতি থেকে আজীবন বহিষ্কার নায়িকা নিপুণ

শিল্পী সমিতি থেকে আজীবন বহিষ্কার নায়িকা নিপুণ সংবাদ সম্মেলনে নিপুণ আক্তার। ফাইল ছবি
সমিতির সহসভাপতি ও মুখপাত্র ডি এ তায়েব মঙ্গলবার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে সাবেক সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারকে।

সমিতির সহসভাপতি ও মুখপাত্র ডি এ তায়েব মঙ্গলবার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

তিনি বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি বিকেলে কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২০২৪ সালের ১৬ জুলাই শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার করে কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে এক বিবৃতি প্রদান করেন নিপুণ আক্তার। সেখানে নিজেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করেন তিনি। গত ১৭ জুলাই নিজের ফেসবুকে সেটা পোস্টও দেন। এ নিয়ে সে সময় ব্যাপক সমালোচনা হয়।

‘অনৈতিকভাবে’ সমিতির প্যাড ব্যবহার করায় মিশা-ডিপজল নেতৃত্বাধীন কমিটি গত বছরের ৩০ জুলাই সমিতির ষষ্ঠ সভায় এ বিষয় উত্থাপিত হলে নিপুণকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তিনি তা তোয়াক্কা করেননি।

তার আগে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে নিয়ে গণমাধ্যমে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে এ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে।

গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজ করায় নিপুণকে নোটিশ দেয় কার্যনির্বাহী পরিষদ। তবে আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার কাছের মানুষ হওয়ায় তিনি কোনো চিঠিই আমলে নেননি বলে অভিযোগ আছে।

এমন বাস্তবতায় অনৈতিকভাবে শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার এবং সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয় নিপুণ আক্তারকে।

সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গত ১০ জানুয়ারি সকালে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নিপুণের পাসপোর্ট অফলোড করে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।

নিপুণের নামে মামলা না থাকায় ওই দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে কুবি শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার
ভোটে অংশ নেয়ায় বিএনপির আরও ৫১ নেতা বহিষ্কার
আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
গুচ্ছের বিপক্ষে ইবির সাত শিক্ষক, পক্ষে ছয়জন
‘বেআইনিভাবে’ বিভাগীয় প্রধান নিয়োগে কুবি শিক্ষক সমিতির ক্ষোভ

মন্তব্য

p
উপরে