মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত, চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত হাওয়া সিনেমাটি কলকাতার নন্দন প্রেক্ষাগৃহে দেখার সুযোগ না পেয়ে হতাশ হয়েছেন বহু দর্শক। হতাশ দর্শকরা সিনেমাটি ভারতে মুক্তির দাবি তুলেছেন।
শনিবার নিউ গড়িয়া থেকে হাওয়া সিনেমা দেখতে এসেছিলেন অমল বারিক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, কাগজে রিভিউ পড়ে ৬টার শো দেখার জন্য নন্দনের লাইনে দাঁড়িয়েও হলে ঢুকতে পারেননি।
অমল বারিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাওয়া ভারতে রিলিজ করা জরুরি। কেননা আমরা যারা ভালো সিনেমা দেখতে ভালোবাসী, তাদের জন্য এই সুযোগ করে দেয়া হোক।’
কলকাতার গল্ফগ্রিন থেকে হাওয়া দেখতে নন্দনে এসেছিলেন জয় চ্যাটার্জী। দেখার সুযোগ না পেয়ে তিনি বলেন, ‘হাওয়ার ট্রেইলার দেখেছিলাম। তখনই ঠিক করেছিলাম, হলে বসে এই সিনেমা দেখব। কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়েও হলে ঢোকার সুযোগ পেলাম না। বাণিজ্যিকভাবে এই সিনেমা কলকাতায় রিলিজ করলে আমাদের মতো দর্শকরা দেখার সুযোগ পায়।’
কলকাতা শহরের মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে হাওয়া সিনেমার কথা। শনিবার রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঞ্চালক প্রখ্যাত সংবাদ পাঠক, বাচিক শিল্পী সতীনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কলকাতা এখন বাংলাদেশের হাওয়ায় ভাসছে। হাওয়া দেখতে উপচে পড়েছে নন্দন।’
প্রখ্যাত পরিচালক গৌতম ঘোষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বাইরের ভিড় দেখে বোঝাই যায়, দর্শক এখনও বাংলা সিনেমা, ভালো সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন। দুই বাংলার শিল্প সিনেমা শিল্পকে সংগঠিত করে বাংলা সিনেমার বাণিজ্য ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করা দরকার।’
বিষয়টিতে সাহায্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে সহমত পোষণ করেছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এমপি এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি ও পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী, সংগীত শিল্পী বাবুল সুপ্রিয়।
দর্শক চাহিদা থাকার কারণে হাওয়া সিনেমার শো বাড়িয়েছেন আয়োজকরা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘হওয়া সিনেমাটি কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানোর চেষ্টা করা হবে।’
সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে, ‘সাদা, সাদা, কালা কালা…। শনিবার কলকাতার নন্দন প্রাঙ্গণে কান পাতলে যেন শোনা যাচ্ছিল এই সুরই। থিক থিক করছে মাথা। পাঁচ হাজার মানুষ তো হবেই। শেষ হয় তো শ্রীভূমির দুর্গাপূঁজার প্যান্ডেলে এমন ভিড় দেখা গিয়েছিল। প্রতিমা দর্শনের উত্তেজনার পর মনে হয় এই চঞ্চল দর্শনের ভিড়। প্রদর্শিত হচ্ছে চঞ্চল চৌধুরীর ছবি হাওয়া।’
কলকাতার নন্দনে ২৯ অক্টোবর শুরু হয় চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। ৫ দিনের এই উৎসব চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের এ দেশের গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ফিল্ম আর্কাইভ প্রজেকশন হলে সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর কৈশোরভিত্তিক ‘দুঃসাহসী খোকা’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ারে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
গণমাধ্যমের ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগ হবে- এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কাগজে এটি দেখলাম। আমাদের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে ও অবাধে কাজ করছে। শুধু তাই নয়, আমাদের গণমাধ্যম যে পরিমাণ ‘ভাইব্রেন্ট’, পৃথিবীর বহু উন্নয়নশীল দেশে তা নয়।
‘গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নীতি প্রয়োগের কথা শুনে আমি আশ্চর্য হয়েছি। আমি মনে করি, কারও অন্য দেশের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা সমীচীন নয়। অন্য কোনো দেশ আমাদের গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা সমীচীন নয়।’
‘দুঃসাহসী খোকা’ চলচ্চিত্রটি নিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব থেকে কিশোর বয়সের কাহিনী নিয়ে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। কিভাবে একজন দুরন্ত কিশোর রাজনীতি সচেতন হলেন, একইসঙ্গে প্রতিবাদী ও মানবিক কিশোর হলেন, তিনি কেমন জনদরদী ছিলেন- এ বিষয়গুলো এখানে চিত্রায়িত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক সিনেমা হচ্ছে। কিন্তু আমার জানামতে তার শৈশব থেকে কৈশোর নিয়ে এটিই প্রথম সিনেমা। সিনেমাটি আমাদের নতুন প্রজন্মকে আদর্শ জীবন গড়তে অনুপ্রাণিত করবে এবং সবাইকে বঙ্গবন্ধুর কিশোরবেলা সম্পর্কে আরও জানতে সাহায্য করবে।’
প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে সিনেমাটির পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, চিত্রগ্রাহক সমিতির সভাপতি আবদুল লতিফ বাচ্চু, ফিল্ম এডিটরস গিল্ড সভাপতি আবু মুসা দেবু, অভিনয়শিল্পী রিয়াজ, মনোজ সেনগুপ্ত, ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. জসীম উদ্দিন ও বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নসরুল্লা ইরফান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:ক্ষত-বিক্ষত মুখ, মাথাভর্তি রুক্ষ চুল। ‘বাঘা যতীন’ সিনেমায় এমন রূপেই দেখা দিয়েছেন টলিউডের জনপ্রিয় নায়ক দেব। তিনি তার নতুন লুক নিয়ে রয়েছেন আলোচনায়।
সিনেমাটির নির্মাতা শুক্রবার দেবের বিশেষ এ লুক প্রকাশ করেছেন বলে জানানো হয়েছে ইউএনবির প্রতিবেদনে।
ব্রিটিশ শাসনামলের সত্য ঘটনার ওপর নির্মিত ‘বাঘা যতীন’ সিনেমাটি। এতে বাঘা যতীনের ভূমিকায় দেবকে একাধিক লুক দেখা যাবে।
এ নিয়ে কলকাতার সংবাদমাধ্যমে দেব বলেন, ‘এই ছবিতে এমন এক মানুষের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি আমি, যিনি মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ছদ্মবেশ ধারণের গুরুত্ব বুঝতেন। একইভাবে আমার চরিত্রটিও ছবিতে একাধিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে।’
অরুণ রায় পরিচালিত ‘বাঘা যতীন’ মুক্তি পাবে এবারের দুর্গাপূজায়।
স্ত্রীর মৃত্যুর পরদিনই চলে গেলেন ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’সহ ঢাকাই সিনেমার অন্যতম পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। ঢাকার উত্তরার বাসায় ঘুমের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানভীর ইসলাম বলেন, ‘সোহানুর রহমান সোহানকে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। তাকে আমরা মৃত অবস্থায়ই পেয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।’
সোহানুর রহমানের স্ত্রী প্রিয়া মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মারা যান। পরদিনই অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমালেন ব্যবসা সফল ও দর্শকনন্দিত অসংখ্য সিনেমার এই পরিচালক।
তথ্যমন্ত্রীর শোক
বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
কানাডা সফররত মন্ত্রী এক শোক বার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সোহানুর রহমান সোহানের চলে যাওয়া দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে এক বেদনাবিধূর অধ্যায়। করোনার ক্রান্তিকাল পেরিয়ে সিনেমা জগত আবার ঘুরে দাঁড়ানোর এই সময়ে তার মৃত্যু এক অপূরণীয় ক্ষতি। এর আগে মঙ্গলবার রাতে সোহানুর রহমান সোহানের স্ত্রীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে ইন্তেকাল আরেক বিয়োগান্তক ঘটনা।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পায় ভারতের দক্ষিণী সিনেমা পুষ্পা: দ্য রাইজ। মুক্তির পর সিনেমাটি বক্স অফিসে ঝড় তোলার পাশাপাশি দর্শকদের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন এর অভিনেতা তেলেগু সুপারস্টার আল্লু অর্জুন।
পুষ্পা: দ্য রাইজের ম্যাজিক এখনও অটুট ভক্তদের মনে, কবে আসবে পুষ্পা টু সিনেমা? এবার ছবির সিকুয়েলের রিলিজ ডেট জানিয়ে দিলেন নায়ক।
‘পুষ্পা টু: দ্য রুল’ মুক্তি পেতে চলেছে ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট। এই খবর নিজেই জানালেন আল্লু অর্জুন।
পুষ্পার প্রযোজনা সংস্থার তরফে সিনেমার নতুন পোস্টার শেয়ার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখা হয়, ‘বক্স অফিস দখল করতে পুষ্পা ফিরছে ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট।’
‘পুষ্পা টু’ এর প্রথম পোস্টার প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। এর আগে অভিনেতা আল্লু অর্জুনের এই রূপ আগে কোনো সিনেমাতে দেখা যায়নি। লাল টকটকে কপাল, গাল দুটি আবার নীল। জোড়া ভ্রুর মাঝে জ্বলজ্বল করছে চন্দনের ফোঁটা। পরনে শাড়ি, গলায় লেবুর মালা, মুখে দাড়ি-গোঁফ, হাতে ধরা বন্দুক। খানিকটা বৃহন্নলার সাজেই ধরা দিয়েছিলেন আল্লু।
চন্দন কাঠের চোরাকারবারি পুষ্পার এই সাজ কি গল্পে নয়া চমক? না কি পুলিশকে ফাঁকি দিতে এই বেশ ধারণ! সেই নিয়ে জলঘোলা চলছিল বেশ অনেক দিন ধরেই। এর মাঝেই নতুন পোস্টার। সেখানে অভিনেতার আবছা প্রতিচ্ছবি দেখা গেছে, তবে স্পষ্ট তার আঙুলের নেলপলিশ। আঙুলে আংটির ছড়াছড়ি, হাতে ধরা বন্দুক। এই পোস্টারেই প্রকাশ্যে এলো ‘পুষ্পা টু: দ্য রুল’ এর মুক্তির তারিখ।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুষ্পার সুবাদে প্যান ইন্ডিয়া সুপারস্টারে পরিণত হয়েছেন আল্লু অর্জুন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ছবির দ্বিতীয়ভাগও পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন সুকুমার। আল্লুর পাশাপাশি রাশ্মিকা মান্দানা এবং ফাহাদ ফসিলকেও দেখা যাবে ‘পুষ্পা টু: দ্য রুল’ এ।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খান অভিনীত বলিউড সিনেমা ‘জওয়ান’। এর এক দিন পর শুক্রবার দেশজুড়ে মুক্তি পেতে যাচ্ছে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘সুজন মাঝি’। দেশি এ সিনেমায় অভিনয় করা নিপুণ আশা করছেন, দুটি চলচ্চিত্রই দেখবেন দর্শকরা।
সুজন মাঝিতে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন এ নায়িকা।
বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘সুজন মাঝি’ মুক্তির আগের দিন বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে বলিউডের ‘জওয়ান’ প্রদর্শন নিয়ে আলোচনার কমতি নেই।
এমন বাস্তবতায় ঝন্টু পরিচালিত সিনেমাটি দর্শক কতটা গ্রহণ করবে, তা নিয়ে ইউএনবিকে নিপুণ বলেন, ‘দর্শক শুধু যে এক ধরনের সিনেমা দেখবে, তা কিন্তু নয়। এর আগেও আমাদের দেশের হিন্দি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, এতে কিন্তু বাংলা সিনেমার দর্শক কমে গেছে, তা কিন্তু নয়।’
নিপুণ আরও বলেন, “এবারের চ্যালেঞ্জটা ভারতের সঙ্গেই আমাদের এখানে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে, তবে আমার মনে হয় যারা ‘জওয়ান’ দেখবেন, তারা ‘সুজন মাঝি’ও দেখবেন। এটি এমন একটি সিনেমা, যেখানে আমাদের অপূর্ব বাংলাকে দেখা যাবে। ‘সুজন মাঝি’ নিজ গুণে দর্শক পাবে, সেটি বিশ্বাস করি।”
সারা দেশে ১৯টি প্রেক্ষাগৃহে শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে ‘সুজন মাঝি’। ছবিটির কাহিনি, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও গান রচনা করেন নির্মাতা।
আরও পড়ুন:সিনেমার পর্দায় আপাতত দেখা না গেলেও মিডিয়ার আলোচনা থেকে কখনোই দূরে সরে যাননি ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমনি। চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে পারিবারিক জীবনের নানা ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে রয়েছেন তিনি। আলোচনায় আছে রাজের নামও।
শুরু থেকেই চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ আর পরীমনির সংসার কিছুদিন ভালো থাকে তো আবার কিছুদিন খারাপ। তবে রাজের সঙ্গে দুই টিভি অভিনেত্রীর বিতর্কিত কিছু ছবি ও ভিডিও ফাঁসের পর তাদের সংসারে বেশ শীতলতা চলে আসে।
এসময় আলাদা থাকতে শুরু করেন শরিফুল রাজ, যদিও রাজের মা অর্থাৎ শাশুড়ির সঙ্গেই থাকেন পরীমনি।
আলাদা থাকলেও এ দম্পতি মাঝেমধ্যেই এক হচ্ছেন একমাত্র সন্তান রাজ্যকে ঘিরে। এই রাজ্যই যেন নিভু নিভু দাম্পত্য সম্পর্ককে এক চিলতে সলতে হয়ে টিকিয়ে রেখেছে।
রোববার রাত ৯টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ৪ মিনিট ৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন পরীমণি।
ভিডিওতে দেখা যায়, ছেলে রাজ্যের জন্মদিনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড। ক্যাপশনে পরীমণি লিখেছেন, ‘একটা পরীর রাজ্য! তার জন্মদিনের কিছু অংশবিশেষ। শুকরিয়া।’
গত ১০ আগস্ট ছেলের প্রথম জন্মদিন ঘটা করে উদযাপন করেন হালের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। পদ্ম ফুলের আদলে সাজানো হয়েছিল রাজধানীর পাঁচতারা হোটেলের একটি হলরুম। অতিথিদের পরণেও ছিল পদ্ম ফুলের রঙের ছোঁয়া।
উল্লেখ্য, মাত্র সাত দিনের পরিচয়ে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন রাজ-পরী। এরপর ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পারিবারিকভাবে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা।
আরও পড়ুন:বঙ্গবন্ধুর জীবন ও একটি জাতির জন্ম নিয়ে এক নিঃশ্বাসে দেখার মতো ‘মুজিব- একটি জাতির রূপকার’ অসাধারণ চলচ্চিত্রটি ইতিহাসের দলিল হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল বলরুমে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর নির্মিত ‘মুজিব- একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রের সেন্সর সনদ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
যারা বঙ্গবন্ধুকে জানতে চায়, বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস জানতে চায়, এই সিনেমা তাদেরকে অনেক কিছু দিতে পারবে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘তিন ঘণ্টা সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন, বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম ও ১৯৭৫ সালের মর্মন্তুদ ঘটনাকে যেভাবে তুলে আনা হয়েছে, সেখানেই চলচ্চিত্র পরিচালকের মুন্সিয়ানা, অন্য পরিচালকের সাথে পার্থক্য। থ্যাংকস টু শ্যাম বেনেগালজী।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার ফলেই এ চলচ্চিত্র নির্মাণের শুরু থেকে মুক্তি পর্যন্ত সাথে থাকার সুযোগ হচ্ছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অবর্ণনীয় ব্যস্ততার মধ্যেও এই চলচ্চিত্র নির্মাণে আন্তরিক সময়দানের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জানাই গভীর কৃতজ্ঞতা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার সিনেমাটি ইতোমধ্যে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। এক নিঃশ্বাসে দেখার মতো এমন সিনেমা নির্মাণের জন্য পরিচালক শ্যাম বেনেগাল ও শিল্পী, কলা-কুশলী ও নেপথ্য কারিগরদেরকে আবারো অকুণ্ঠ ধন্যবাদ।’
বঙ্গবন্ধু চরিত্রাভিনেতা আরিফিন শুভ তার বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয়ের পর আর কোনো অভিনয় নাও করি বা যদি পৃথিবী থেকে চলেও যেতে হয়, তাতেও কোনো আক্ষেপ নেই।’
খন্দকার মোশতাক চরিত্র রূপায়নকারী অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু বলেন, ‘এই খলচরিত্রে অভিনয়ের জন্য দর্শক যদি আমার দিকে জুতা ছুঁড়ে মারে, তবে সেই হবে আমার পদক।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য