অভিনেত্রী পরীমনি এবার জন্মদিন পালন করেছেন স্বামী-সন্তান নিয়ে। নিজের বিশেষ এই আয়োজনে তিনি আয়োজন করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জীবনসঙ্গী রাজকে। ধন্যবাদ জ্ঞাপনের সেই অডিও-ভিডিওতে উঠে এসেছে পরীর জীবনের নানা ঘটনা ও মুহূর্তের কথা। সেগুলোই তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।
এই গল্পটা শুধুই আমার
এই গল্পটা শুধুই আমার ছিল, এক দুরন্ত পরীর, যে শুধুই উড়ে বেড়াত স্বপ্ন-কল্পনায়, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে। ডুবে থাকত বন্ধু, আড্ডা, ফ্যাশন, ফ্যান-ফলোয়ার্স আর সিনেমার পর্দায় নিজেকে নতুন করে আবিষ্কারের নেশায়।
শুধু কি পর্দায়? জীবনও যে তার কম নয়।
কিন্তু জীবনের সিনেমায় আমার রিয়েল হিরোটা যে কই, যার সঙ্গে পথ কখনও ফুরায় না, চলতেই থাকে চলতেই থাকে। আচ্ছা কোনো গুনিন এসে হাতের রেখা গুনে যদি বলে দিত কোথায় যাচ্ছি আমি। কিন্তু প্রামিজ আর কোনো ভুল মানুষের কাছে যাব না।
আমার ওস্তাদ গিয়াসউদ্দিন সেলিম, আমার জন্য এক গুনিন নিয়ে এলেন। আর আমি মুখোমুখি হলাম সাদা পাঞ্জাবি পরা এক দুরন্ত যুবকের। কেন এমন লাগল তাকে দেখে। এ অস্থিরতার নাম কী?
একটা প্রেমের গল্প শুনবেন
ওস্তাদের অফিসে গুনিনের লুক টেস্ট। আমি গেলাম বিকেলবেলা, বিকেলবেলা থেকে সন্ধ্যা অব্দি আমাদের লুক সেট হলো, আমার বেসিক্যালি।
আর সেখানে পাগলটা ছিল। আমাদের লুক সেট হলো প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে। পরে আমাদের ডায়ালগ রিহার্সাল শুরু হলো।
ডায়ালগ রিহার্সাল করতে গিয়ে আমাদের এমন একটা সিকোয়েন্স রিহার্সাল করতে দেয়া হয়, সেটার মধ্যে রাজের পার্টের ডায়ালগটা এমন ছিল- ‘জিন পরির কথা থোও, তুমি আমার বুকে আসো’। প্রথমেই যদি এমন একটা ডায়ালগ হয় অপরিচিত মানুষের সঙ্গে, আমি একটু ঘাবড়ে দিয়েছিলাম রাজকে।
আমাদের সেকেন্ডে যেদিন দেখা সেদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি ছিল। আমাদের বাসায় আসার কথা শুধু ওস্তাদের (গিয়াসউদ্দিন সেলিম)। পুরো স্ক্রিপ্টটা নিয়ে, গল্পটা নিয়ে বসার জন্য। ড্রইংরুমে গিয়ে দেখি আরও একটি মানুষ। আমি জানতাম না রাজ আসবে। হতভম্ব হয়ে গেলাম। আমি শাড়ি পরা ছিলাম। এ ছবিটা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করেছিলাম, ক্যাপশন ছিল- ‘একটু ঝড় বৃষ্টি’।
কী একটা কানেকশন
রান্নাবান্না হলো, আমরা খাওয়াদাওয়া করতে গেলাম, টেবিলে আমরা সবাই বসলাম, ওস্তাদ বসল, আমি বসলাম। তারপর যেটা হয়, দেখলাম ও (রাজ) বাম হাত দিয়ে খাচ্ছে। কারণ ওর ডান হাত ভাঙা ছিল তখন অ্যাক্সিডেন্টের পর।
এটা দেখার পর, আমি অনেক কিছু ভাবিনি, আমার ওস্তাদ আছে সামনে, আমি হুট করে বললাম, এই তুমি বাঁহাত দিয়ে খাচ্ছ, তুমি খেতে পারছ?
আমি কী করলাম, আমি আমার প্লেট সরিয়ে বললাম যে, আমি তোমাকে খাইয়ে দিই? এটা বলে ওর প্লেটটা নিলাম, ও দেখলাম যে তাকাল, হা করল, আমিও খাইয়ে দিলাম।
ওর জন্য কেমন একটা মায়া লাগা শুরু হয়ে গেল। বাচ্চা মানুষের মতো খেলো আমার হাতে। ওখান থেকে আমি জানি না কী একটা কানেকশন আসলে তৈরি হলো, আমি টের পাচ্ছিলাম।
জিনটা হলো রাজ
অনেক খোলা একটা মাঠের মধ্যে শুটিং হয়, একটা বটতলা, গুনিনের আখড়া। আমরা বটতলার মধ্যে একটা জিনে আমাকে ধরছিল, জিনটা হলো রাজ। কোনোভাবেই জিন ছাড়ানো যাচ্ছিল না/ আমার আশপাশ থেকে তাড়ানো যাচ্ছিল না তাকে।
যেকোনো ছুঁতোয় তার আশপাশে আমার থাকা চাই। দিনে দিনে এমন হলো ও আমার চোখের সামনে না থাকলে কেমন পাগল পাগল লাগত, অস্থির লাগত। আমার হয়তো শুটিং চলছে, ওর শুটিং নেই, কিন্তু কী হচ্ছে, ওকে বাধ্যতামূলক সেটে থাকতে হবে, না হলে আমার শুটিং হচ্ছে না, পারছি না শুটিং করতে।
এটা সামহাউ, ওস্তাদ মানুষ তো, ওস্তাদ বুঝে গিয়েছিল। ওস্তাদ সাপোর্ট করা শুরু করলে একটা সময়। থাকুক, দুইটা পাগল একসঙ্গে থাকুক। আমাদের অনেক চান্স দিল ওস্তাদ, থ্যাংক ইউ।
আমার অনেক আজব আজব জিনিস ইচ্ছে করত, আমার সব ইচ্ছেগুলোতেই ও হ্যাঁ বলত, ওর কোনো কিছুতেই 'না' ছিল না। আমরা শুটিং শেষ করে পানিতে নামতে চাইলাম, ও না করল না, ও আমার সঙ্গে পানিতে নেমে গেল। তারপর আমরা মধ্যদুপুরে পুকুরের মধ্যে সাঁতার কাটলাম অনেকক্ষণ।
লোকেশন লিভড, চরিত্র রাজ-পরী
বিষয়টা এমন ছিল যে, আমি ওকে বিদায় দেব, নিচে নামিয়ে দেব। আমরা লিফটে একসঙ্গে উঠলাম, নিচে যাওয়ার পরে ও বলল, চলো তোমাকে ওপরে দিয়ে আসি। লিফটটা ওপরে আসার পর আমি বললাম, চলো তোমাকে নিচে দিয়ে আসি। এভাবে ওঠানামা করছে লিফটটা।
একটা সময় রাজ বলে যে, লিফটটা বন্ধ হয়ে যাক, আমরা এখানে আটকে যাই। আমি বললাম লিফটের মধ্যে কেন আটকাতে হবে, জীবনের মধ্যে আটকে যাই চলো। এভাবে আসলে ওকে প্রোপজটা করা।
আমার সবকিছু ওর হয়ে গেল
রাজ আম্মুকে গিয়ে বলল, পরীকে ছাড়া আমি থাকতে পারছি না। আম্মু রেগে যাওয়ার বদলে খুশি হলেন। আমাদের সবার আড়ালে বিয়ে হয়ে গেল। আমার সবকিছু ওর হয়ে গেল।
আমার জীবনে আরও একজন আসছে
একদিন সকালে আমি অনুভব করলাম, আমার জীবনে আরও একজন আসছে। ঘুমন্ত রাজকে বললাম, রাজ, আরেকজন আসছে, আমি টের পাচ্ছি। রাজ ঘুমের মধ্যে বলল, আসুক, এই যে আমার বালিশের পাশে ঘুমাবে।
ও এত সহজ করে বলল, আমি ওর ঘুমন্ত মুখটাই দেখছিলাম।
কনফার্ম হওয়ার জন্য আমরা ডাক্তারের কাছে গেলাম। যখন আলটাসনো রুমের মধ্যে প্রথম বাবুর হার্টবিট শুনি, আমি শুধু রাজের রি-অ্যাকশন দেখছিলাম। ও একবার পর্দা খুলবে না কি করবে, ও অস্থির হয়ে গেল। ও আমার হাত ধরে টেনে ওঠাল, আমাকে জড়িয়ে ধরল, ধরার পরে যেটা হলো যে, আশপাশের সবাই আমাদের দেখছে, ও বাচ্চা মানুষের মতো কান্না শুরু করে দিল।
তারপরে যেটা হলো, ও আমাকে পা মাটিতে ফেলতে দিচ্ছে না এ রকম একটা অবস্থা। কোলে তুলবে না মাথায় তুলবে না ঘাড়ে তুলবে এ রকম একটা অবস্থা।
একটা হুইলচেয়ার নিল, সেখানে বসাল, হাসপাতালের পুরো চত্বরটা ঘুরল আমাকে নিয়ে। ওই ছবিটি ও প্রথম প্রকাশ করে জানিয়েছিল যে ও বাবা হচ্ছে, আমি মা হচ্ছি।
আমার পাগলা
প্রেগনেন্সির শুরুর দিকটা প্রায় ঘরবন্দি হয়ে গিয়েছিলাম আমি। কখনো বারান্দায়, কখনো ছাদে গিয়ে পাখিদের ছবি তুলতাম, আর ও আমার সঙ্গে থাকত। আমার রান্না ওর খুব পছন্দ। প্রেগনেন্ট অবস্থায় আমি যখন রান্না করতাম ও আমার পিছে পিছে থাকত। আমি রান্না করতাম ও স্ক্রিপ্ট পড়ত।
আজব আজব খাবারের ইচ্ছে হতো আমার, হয়তো সেটা মাঝরাতে, কিন্তু রাজ ম্যানেজ করে ফেলত। আমার রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে একদম ভালো ভালো লাগে না, ও আমাকে নিয়ে বের হতো, আমি বসে থাকতাম আর ও খেত।
বাবু তখন পেটে, এক মাস, আমি কাগজের বউ-এর শুটিং করি আউটডোরে, মধ্যরাতে গাঁদা ফুল নিয়ে হাজির, শীতের রাত। ঝগড়া করে বারবার ও আমাকে রেখে চলে যেত। সেদিনও শুটিংয়ে ঝগড়া করে আমাকে রেখে চলে গিয়েছিল। কিন্তু এক দিন ঝগড়া করে দূরে থাকতে পারিনি। আমার পাগলা।
নানু ভাই, এই একটা মানুষ, আমার খুব আপনজন। রাজের সঙ্গে নানুর সম্পর্ক বন্ধুর মতো। আমার জীবনের তিনটা খুঁটি নানু, রাজ, রাজ্য।
এটা একটা নতুন জন্ম
রাজকে কখনও আয়োজন করে থ্যাংক ইউ বলা হয়নি। এত বড় একটা জার্নি, তুমি আমার সঙ্গে ছিলে, ছায়ার মতো ছিলে, থ্যাংক ইউ রাজ। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। এটা একটা নতুন জন্ম, আমার রাজ্য ও রাজের।
আরও পড়ুন:মারধর ও অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগে রিয়্যালিটি তারকা রাখি সাওয়ান্তের করা মামলায় মঙ্গলবার তার স্বামী আদিল দুররানিকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬ ও ৪২০ ধারা অনুযায়ী আদিলের নামে এফআইআর নথিভুক্ত করে মুম্বাইয়ের ওশিওয়ারা থানা। পরবর্তী সময়ে এফআইআরে ৪৯৮ (এ) ও ৩৭৭ ধারা যুক্ত করে পুলিশ। গ্রেপ্তার আদিলকে বুধবার আদালতে তোলা হবে।
মামলায় রাখি অভিযোগ করেন, শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি তাকে না জানিয়ে ফ্ল্যাট থেকে অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছেন আদিল।
ওশিওয়ারা থানার বাইরে উপস্থিত সাংবাদিকদের রাখি বলেন, “সকালে বাড়িতে ঢুকে আমাকে মারতে আসে সে। তৎক্ষণাৎ আমি পুলিশকে কল দিই। সে (আদিল) ঘন ঘন আমার বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যায়। এমনকি আজও সে বাড়িতে আমাকে মারতে আসে। আমি আতঙ্কে ছিলাম। সে আমাকে বলে, ‘তুমি সংবাদমাধ্যমে আমার মানহানি করেছো।’”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেয়া পোস্টে ২০২২ সালে আদিলকে বিয়ের কথা জানান রাখি।
চলতি বছরের জানুয়ারির ওই পোস্টে ম্যারেজ সার্টিফিকেটের ছবি দেন এ তারকা, যাতে বিয়ের তারিখ লেখা ছিল ২০২২ সালের ২৯ মে।
মামলায় স্বামীর বিরুদ্ধে বিয়ে-বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগও করেন রাখি।
রাখির ভাই রাকেশের দাবি, তার বোনকে শারীরিক ও মৌখিকভাবে হেনস্তা করেছেন ভগ্নিপতি।
কয়েক বছরের প্রণয়কে পরিণয়ে রূপ দিয়েছেন বলিউডের হার্টথ্রব দুই অভিনয়শিল্পী সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভানি।
ভারতের রাজস্থানের জয়সালমিরের সূর্যগড় প্রাসাদে মঙ্গলবার সাত পাকে বাঁধা পড়েন ‘শেরশাহ’ সিনেমার আলোচিত এ জুটি।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, অনুষ্ঠানস্থলে অতিথিদের আগমনের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে উইকিপিডিয়ায় সিদ্ধার্থ ও কিয়ারার প্রোফাইলে ‘বিবাহিত’ শব্দটি যোগ হয়ে যায়।
গোলাপ দিবসে বিয়ের দিনে গোলাপি লেহেঙ্গা পরেন কিয়ারা, যেটি মনীষ মালহোত্রা ডিজাইন করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। বিপরীতে সিদ্ধার্থ গায়ে চাপান আইভরি শেরওয়ানি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা বিয়ের প্রথম ছবিতে ‘শেরশাহ’ সিনেমার সংলাপ (আব হুমারি পার্মানেন্ট বুকিং হোগায়ি হ্যায় বা এখন আমরা স্থায়ীভাবে পরস্পরের) জুড়ে দেয় এ জুটি।
তারা আরও লেখেন, ‘আগামীর পথচলায় আপনাদের আশীর্বাদ ও ভালোবাসা চাই।’
এর আগে সোমবার গায়ে হলুদ হয় তারকা এ জুটির। এ আয়োজনে দিনে ছিল মধ্যাহ্নভোজ। আর সন্ধ্যায় বসে জমজমাট গানের আসর। ওই আয়োজনে পরিবেশন করা হয় ‘রানজা’, ‘কাভি তুমহে’, ‘তেরা বান জাউঙ্গা’, ‘মেহেন্দি লাগাকে রাখনা’র মতো জনপ্রিয় গান।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে এসব আয়োজনের বেশ কিছু ছবি নেট দুনিয়ায় ছেড়ে দেয় পাপারাজ্জিরা।
সিদ্ধার্থ, কিয়ারার বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন তাদের ঘনিষ্ঠজন, পরিবারের সদস্য ও বলিউডের সহকর্মীরা। বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা যায় করণ জোহর, শহিদ কাপুর ও তার স্ত্রী মিরা রাজপুত, জুহি চাওলাসহ অনেককে।
দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করছিলেন কিয়ারা ও সিদ্ধার্থ। কখনোই তারা প্রকাশ্যে প্রেমের বিষয়টি জানাননি। ২০২১ সালে ‘শেরশাহ’ সিনেমায় অভিনয়ের সময় তারা প্রেমে পড়েন বলে ধারণা করেন অনেকে।
পাঞ্জাবি ঐতিহ্য মেনে বিয়ের আয়োজন হয় এ জুটির। নিমন্ত্রিতদের জন্য সূর্যগড় প্রাসাদে ব্যবস্থা করা হয় ৮০টি বিলাসবহুল ঘরের।
অতিথিদের যাতায়াতের জন্য ছিল ৭০টি বিলাসবহুল গাড়িও, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে মার্সেডিজ, জাগুয়ার, বিএমডব্লিউ।
আরও পড়ুন:বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজছেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের নাতনি ও অভিনেত্রী মুনমুন সেনের মেয়ে রাইমা সেন।
ভালো মনের মানুষ পেলেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান বলে সম্প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকাকে জানিয়েছেন টালিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।
৪৩ বছর বয়সী রাইমা বলেছেন, ‘আমি সিঙ্গেল। আমি তো চাই বিয়ে করতে। পাত্র খুঁজে দিলেই বিয়ে করব।’
ইন্ডাস্ট্রিতে পার করে ফেলেছেন এক যুগেরও বেশি। কখনও চর্চা হয়েছে তার কাজ, কখনও আবার শিরোনামে উঠে এসেছে তার ব্যক্তিগত জীবন। ঋতুপর্ণ ঘোষের মাধ্যমে দর্শক পেয়েছিলেন এক অন্য রাইমাকে।
প্রেম নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও এখনও বিয়ে করা হয়নি এই অভিনেত্রীর। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে রাইমা বলেন, ‘ভালো মানুষ চাই। আমার এমন এক জন মানুষ চাই যে আমার জীবনধারার সঙ্গে মিশে যেতে পারবে, সঙ্গে একটু রসবোধ থাকবে। আর ব্যাঙ্কে টাকা থাকা তো জরুরি। ওটা না থাকলে তো চলবে না।
‘যদিও আমি যে আংটিটা পরে থাকি তা দেখে অনেকেই ভাবেন আমি হয়তো এনগেজড, কিন্তু আমি সিঙ্গেল, সবাইকে বলতে চাই।’
হিন্দি এবং বাংলা দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই সমান তালে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন রাইমা। তবে বেশিসংখ্যক কাজের থেকেও ভাল কাজ করা তার লক্ষ্য।
রাইমার কথায়, আমি একটু বেছে কাজ করি তাই আমায় অনেকে আনপ্রেডিক্টেবল ভাবে। কিন্তু আমি ভাল কাজ করার পক্ষপাতী। তাই তো অনেক দিন পর রক্তকরবী-তে কাজ করলাম। কী দারুণ চিত্রনাট্য। বিক্রমও বেশ ভালো। একটু বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে।
মুম্বাইয়ে বেশ কিছু ছবির কাজ করছেন রাইমা। বাংলা সিরিজ়ের পাশাপাশি তার অভিনীত তামিল ছবিও এখন মুক্তির অপেক্ষায়। শিগগিরই মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার নতুন ওয়েব সিরিজ় ‘রক্তকরবী।’
আরও পড়ুন:প্রথম স্ত্রী দেবশ্রী রায়কে এখনও ভুলতে পারেন না ভারতীয় বাংলা সিনেমার সবচেয়ে পরিচিত মুখ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। সংসার ভাঙার দায়ও নিলেন তিনি। বললেন বন্ধুত্ব রাখতে চাওয়ার কথাও।
তিন দশক ধরে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের সামনে থাকা বুম্বাদার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা কম হয় না। নানাভাবে সামনে আসে সেসব প্রসঙ্গ। এবার তাই অভিনেতা নিজেই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন।
জি ২৪ ঘন্টাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘বিয়ের কপালটা আমার খারাপ। প্রত্যেক জায়গায় আমি একটাই কথা বলি, যেটাই হয়েছে সেটা আমার দোষ, আমি তাকে বুঝতে পারিনি।’
ভালোবাসে পরস্পরকে বিয়ে করেছিলেন তারা। ছোটবেলার বন্ধুত্ব, যৌবনে পা দিয়েই দাম্পত্যে জড়ান। সালটা ১৯৯২। তবে খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি এই সম্পর্ক। তিন বছর পরেই ভেঙে যায় প্রসেনজিৎ-দেবশ্রীর বিয়ে।
অভিনেতা জানান, দেবশ্রীর সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। দু-বছর বাড়ির বাইরে বার হননি।
প্রসেনজিৎ বলেন, ‘জীবনে প্রথম প্রেম, প্রথম ভালোবাসার একটা আলাদা জায়গা থাকে। আরেকটা ফ্যাক্টর ছিল আমার বয়সটা। আমি যে সময় বিয়ে করেছিলাম, যদি আরও পাঁচ বছর পর বিয়ে করতাম, হয়ত বিষয়টা আমরা দুজনেই অনেকটা ম্যাচিউরডভাবে হ্যান্ডেল করতে পারতাম। তবে আমি কোনও জায়গায় কাউকে দোষ দিইনি। বলেছি সবটা আমার দোষ।’
অভিনেতা আরও বলেন, ‘সবাই জানতো আমাদের প্রেম, আমাদের ভালোবাসার কথা। আমি ভয় পেতাম। লোকে ভাববে আমার ভালোবাসাটা বোধহয় জেনুইন ছিল না। হয়তো আমার ভালোবাসাটা ভুল ছিল, আমি ভালোবাসতে পারিনি।
‘সেই ভাবনাটা থেকে ভেতরে ভেতরে কষ্ট পেতাম। লজ্জা, ভয়, অভিমান মিশিয়ে আমি কারুর সামনে যেতে পারিনি। সেইসময় অনেক পরিচালক, কাছের বন্ধুরা আমার বাড়িতে এসে বলেছেন- এটা জীবন নয়। এরপর ধীরে ধীরে গৃহবন্দি দশা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াই।’
দেবশ্রীর সঙ্গে পুরোনো বন্ধুত্ব ফিরে পেতে চান প্রসেনজিৎ।
প্রথম বিয়ে ভাঙার পর অপর্ণা গুহঠাকুরতাকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা, তাদের মেয়ে প্রেরণা। সেই সম্পর্কেও প্রসেনজিৎ ইতি টানেন ২০০২ সালে। এখন অর্পিতাকে নিয়ে ঘর করছেন। তাদের একমাত্র ছেলে তৃষাণজিৎ।
আরও পড়ুন:শুরু হচ্ছে শিশুদের প্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুরের নতুন মৌসুম, সিজন-১৫। নতুন এই মৌসুমে হালুম, টুকটুকি, ইকরি ও শিকু হাজির হবে নতুন নতুন সব গল্প নিয়ে আর সঙ্গে থাকবে তাদের নতুন বন্ধু জুলিয়া।
জুলিয়া চরিত্রটি সিসিমপুরে বিশেষ সংযোজন। তার মধ্যে আছে অটিজম বিষয়ক বৈশিষ্ট্য। সিসিমপুরে বাংলাদেশের অটিজমসম্পন্ন শিশুদের প্রতিনিধিত্ব করবে জুলিয়া।
ইউএসএআইডি/বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত নতুন এই সিজনের স্লোগান- ছন্দে ছন্দে পনেরো এলো- সবাই মিলে এগোই চলো। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সিজন-১৫ এর আনকোরা পর্বগুলো দেখা যাবে দুরন্ত টেলিভিশনের পর্দায়।
সবাইকে অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া- এই বিষয় দুটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হয়েছে সিসিমপুরের ১৫তম মৌসুম। এছাড়া মজার মজার গল্পের মাধ্যমে প্রাক-গণিত, প্রাক-পঠন, অটিজম, পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব, বিশ্লেষণী চিন্তা-ভাবনা, জেন্ডার বিষয়ক প্রচলিত সংস্কারকে জয় করা এবং ভিন্ন ভিন্ন ভাবপ্রকাশের উপায়কে সম্মান দেখানোর মতো বিষয়গুলোকে তুলে ধরা হবে।
এতে থাকবে গণিত, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিজ্ঞান নিয়ে দারুণ সব এনিমেশন। আর শিশুদের নিয়ে লাইভ এ্যাকশন ফিল্ম। এছাড়া ‘ইকরির সাথে বর্ণ চেনা’ এবং ‘টুকটুকির সাথে সংখ্যা চেনা’র প্রতিটি পর্বে ইকরি একটি করে বর্ণ এবং টুকটুকি একটি করে সংখ্যা চেনাবে।
১৫তম সিজনের পর্বগুলো বর্ণনামূলক, ‘শিকুর বিজ্ঞানের জগৎ’ এবং ‘ইকরির সাথে খেলার সময়’ এই তিন ধরনের ফরমেটে তৈরি। এবারের পর্বগুলোতে সিসিমপুরের বন্ধু হালুম, টুকটুকি, ইকরি, শিকুর সাথে নতুন বন্ধু জুলিয়া ছাড়াও অংশ নিয়েছে আমিরা এবং শিকুর সহকারি বানর।
এ ছাড়া থাকছে প্রতিবন্ধী, প্রান্তিক এবং আদিবাসী শিশুরাও। আর সিসিমপুরের নিয়মিত অন্যান্য চরিত্ররা তো থাকছেই। এই সিজনের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কিছু পর্বে ব্যবহার করা হয়েছে ইশারা ভাষা।
৩০ জানুয়ারি সিসিমপুরের সিজন-১৫-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত ও অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন ডেভিস স্টিভেন্স।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নতুন সিজনের উদ্বোধনী আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের সিইওও ডা. সাকী খন্দকার।
এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন এশিয়াটিকের কো-চেয়ারম্যান সারা যাকের, বিটিভি’র পরিচালক জগদীশ এষ, মাছরাঙা টেলিভিশনের নির্বাহী পরিচালক অজয় কুমার কুণ্ডু এবং ‘ইউএসএআইডি সিসিমপুর’ প্রজেক্টের চিফ অফ পার্টি মোহাম্মদ শাহ আলম-সহ অনেক গুণীজন। সঙ্গে ছিল সিসিমপুরের বন্ধু বাহাদুর, ইকরি, শিকু, টুকটুকি, হালুম ও নতুন বন্ধু জুলিয়া।
ইউএসএআইডির আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত ‘সিসিমপুর’ ২০০৫ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক শিশু বিকাশ কার্যক্রমের আওতায় ‘সর্বত্র শিশুরা হয়ে উঠুক আরও সম্পন্ন, আরও সবল এবং আরও সদয়’ এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারে সহায়তা করছে ‘মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ এবং বিদ্যালয়ভিত্তিক কার্যক্রমে সহায়তা করছে ‘প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়’।
আরও পড়ুন:আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুত বহুল আলোচিত ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমা মুক্তির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
সোমবার দুপুরে এই সিনেমার নির্মাতা ও তার স্বামী মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর এ সংক্রান্ত একটি ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এই আহ্বান জানান তিনি।
তিশা লিখেছেন, ‘আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুত শনিবার বিকেল মুক্তির ব্যবস্থা করা হউক!’
তিনি যে পোস্টটি শেয়ার করেছেন তাতে ফারুকী লিখেছেন, ‘সেন্সর বোর্ডের প্রিয় ভাই-বোনেরা, আমরা এখনও আপনাদের চিঠির অপেক্ষায়। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আপিল বোর্ড একটা সিনেমার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতা রাখে। শনিবার বিকেলের ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত দেশি-আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকা এবং টেলিভিশনের কল্যাণে সারা দুনিয়ার মানুষ জানে। তারা সবাই তাকিয়ে আছে।
‘আর দেরি না করে চিঠিটা তাড়াতাড়ি পাঠান। আমরা বাংলাদেশকে আর বিব্রতকর অবস্থায় না ফেলি। ওদিকে ফারাজ রিলিজ হচ্ছে তিন তারিখ। বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে শনিবার বিকেল মুক্তির দিকে, ফারাজের সাথে একই দিন বা এক ঘন্টা আগে হলেও।’
তিনি লিখেছেন, ‘সুতরাং এটা দ্রুত সমাধান করেন। আমরা হাসিমুখে সিনেমাটা রিলিজ করি। পৃথিবীর নানা দেশে সিনেমাটা দেখানো হয়েছে, হচ্ছে। এবার বাংলাদেশের মানুষের পালা। পাশাপাশি এটাও আপনাদের ভাবার সময় আসছে, এই নতুন মিডিয়ার যুগে সিনেমা আটকানোর মতো সেকেলে চিন্তা আদৌ কোনো কাজে আসে কি না। কারণ যে কেউ চাইলে তার ছবি ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে উন্মুক্ত করে দিতে পারে। ফলে ছবি আটকানোর চেষ্টা একটা পণ্ডশ্রম যা কেবল দেশের জন্য বদনাম-ই বয়ে আনতে পারে।
‘আরেকটা কথা যেটা বারবারই বলছি, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করে কারো সিনেমা বানানোর দরকার নাই। দেশের বাইরে যে কোনো দেশ থেকে ইউটিউব-ফেসবুকে একটা দশ মিনিটের ভিডিও আপ করে দিলেই হয়। শিল্প রচনার মতো এতো কষ্টসাধ্য পথে যাওয়ার তো দরকার নাই।’
পোস্টে এই নির্মাতা লিখেছেন, ‘আর তাছাড়া শিল্পীর লক্ষ্য এতো ন্যারো থাকে না, ভাই। কারো ভাবমূর্তি রক্ষা বা ক্ষুন্ন করার মতো কাজ তার না। তার লক্ষ্য মহাকালের সাথে তার কালের কথোপকথন! ইতি,আপনাদেরই বঙ্গসন্তান!’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে বহুদিন ধরে আটকে ছিল মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’। অবশেষে সিনেমাটি নিয়ে সেন্সর বোর্ডের আপিল কমিটির শুনানিতে জানানো হয়, এই সিনেমা মুক্তিতে আর বাধা নেই।
জানা যায়, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটা ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। দেশে সিনেমাটি এখনও প্রদর্শিত না হলেও মিউনিখ, মস্কো, সিডনি, বুসান, প্যারিসের ভেসুল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শনিবার বিকেল প্রদর্শিত হয়েছে এবং পুরস্কৃতও হয়েছে।
বাংলাদেশ, ভারত ও জার্মানির যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত শনিবার বিকেল। প্রযোজনায় আরও আছে জাজ মাল্টিমিডিয়া ও ছবিয়াল এবং ভারতের শ্যাম সুন্দর দে।
এতে অভিনয় করেছেন অস্কার মনোনীত ওমর সিনেমার অভিনেতা ইয়াদ হুরানিসহ নুসরাত ইমরোজ তিশা, জাহিদ হাসান, ইরেশ জাকের, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।
আরও পড়ুন:জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১-এর জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এবার ২৭ ক্যাটাগরিতে ৩৪টি পুরস্কার দেয়া হচ্ছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে গত ২৬ জানুয়ারি এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
শিগগির অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়ার কথা রয়েছে।
চলচ্চিত্রশিল্পে বিশেষ অবদান রাখায় এবার আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন (যৌথভাবে) অভিনেত্রী ডলি জহুর ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে (যৌথভাবে) নির্বাচিত হয়েছে মাতিয়া বানু শুকু নির্মিত ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ও রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত নির্মিত ‘নোনাজলের কাব্য’।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন (যৌথভাবে) মো. সিয়াম আহমেদ (মৃধা বনাম মৃধা) ও মীর সাব্বির মাহমুদ (রাতজাগা ফুল); শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (যৌথভাবে) হয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন (রেহানা মরিয়ম নূর) ও তাসনোভা তামান্না (নোনাজলের কাব্য)।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)। পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা এম ফজলুর রহমান বাবু (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী শম্পা রেজা (পদ্মপুরাণ) ও খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে মো. আবদুল মান্নান জয়রাজ (লাল মোরগের ঝুঁটি)পুরস্কার পেয়েছেন।
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে আকা রেজা গালিবের ‘ধর’ এবং শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে কাওসার চৌধুরীর ‘বধ্যভূমিতে একদিন।’
এবার শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হয়েছেন সুজেয় শ্যাম (যৈবতী কন্যার মন)। শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে কে. এম. আবদুল্লাহ-আল-মুর্তজা মুহিন (শোনাতে এসেছি আজ-পদ্মপুরাণ), শ্রেষ্ঠ গায়িকা চন্দনা মজুমদার (দেখলে ছবি পাগল হবি-পদ্মপুরাণ), শ্রেষ্ঠ গীতিকার প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন), শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে সুজেয় শ্যাম (অন্তরে অন্তর জ্বালা-যৈবতী কন্যার মন) এবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
এ ছাড়া শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা চরিত্রে প্রভাষ কুমার ভট্টাচার্য্য মিলন (মৃধা বনাম মৃধা), শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে আফিয়া তাবাসসুম (রেহানা মরিয়ম নূর) পুরস্কার পেয়েছেন। শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন জান্নাতুল মাওয়া ঝিলিক (যা হারিয়ে যায়)।
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে নূরুল আলম আতিক (লাল মোরগের ঝুঁটি) এবং শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার পেয়েছেন তৌকীর আহমেদ (স্ফুলিঙ্গ)।
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক হিসেবে সামির আহমেদ (লাল মোরগের ঝুঁটি), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক শিহাব নূরুন নবী (নোনাজলের কাব্য), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক (দলগত) সৈয়দ কাশেফ শাহবাজি, সুমন কুমার সরকার, মাজহারুল ইসলাম রাজু (লাল মোরগের ঝুঁটি), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক শৈব তালুকদার (রেহানা মরিয়ম নূর), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা শিল্পী হিসেবে ইদিলা কাছরিন ফরিদ (নোনাজলের কাব্য) পুরস্কার জিতেছেন। শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান (দলগত) পুরস্কার পেয়েছেন মো. ফারুক ও মো. ফরহাদ রেজা মিলন (লাল মোরগের ঝুঁটি)।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য