গল্পের শুরু আছে, আছে শেষ। পরীর গল্প অবশ্য এখন মাঝামাঝি পৃষ্ঠায়। কেবল মা হয়েছেন। স্বামী-সংসার নিয়ে আরও অনেকখানি গল্প তার বাকি। সে গল্প জানতে করতে হবে অপেক্ষা।
বাস্তব জীবনের যে গল্প এরই মধ্যে বলা হয়ে গেছে, সেই গল্প পর্দার কাহিনি থেকে কোনো অংশে কম না। পরীমনি সিনেমার, তার জীবনটাও যেন সিনেমার মতোই।
যার শুরু আছে, গল্পে কিছুটা এগিয়ে হোঁচট খাওয়া আছে, আছে টুইস্ট, আছে বিরতি, আছে নতুন করে শুরু।
শামসুন্নাহার স্মৃতি নামটি পরে জানা যায়। প্রথমে পরীমনি নামে তিনি পরিচিত হন ২০১৫ সালে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ সিনেমার মাধ্যমে। তাকে বেশি পরিচিতি দেয় একই বছরের ‘রানা প্লাজা’ সিনেমা। নানা কারণে রানা প্লাজা মুক্তি না পাওয়ার কারণেই মূলত তিনি আসেন আলোচনায়।
২০১৫-২০১৭ এর মধ্যে ২০টিরও বেশি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন এবং এর অনেকটি মুক্তিও পায়। এ সিনেমাগুলো তার ক্যারিয়ারে তেমন কোনো প্রভাব রাখেনি বলে পরে অনুধাবন করেন পরীমনি। নানা সাক্ষাৎকারে সে কথা বলেছেনও এ অভিনেত্রী।
এই অভিনেত্রীকে পরিবর্তন করে দেয় গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘স্বপ্নজাল’ সিনেমার শুভ্রা চরিত্র। ২০১৮ সালে সিনেমাটিতে কাজ করার পর বেছে কাজ করা শুরু করেন পরী।
এরপর তিনি খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে বিজ্ঞাপন করেছেন, সিনেমা করেছেন অভিনেতা তৌকীর আহমেদের পরিচালনায়। চয়নিকা চৌধুরী তাকে নিয়ে সিনেমা বানিয়েছেন।
বিপ্লবী প্রীতিলতার চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ হয়েছে এ অভিনেত্রীর। এখন পর্যন্ত পরী অভিনীত শেষ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে ‘গুণিন’। এটিরও পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে পরীমনি জায়গা করে ব্যবসা সমায়িকী ফোর্বসে। ডিজিটাল মাধ্যমে এশিয়ার সেরা এক শ’ তারকার তালিকায় আসে তার নাম।
এর মধ্যে তিনি টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হন। সেটা অবশ্য সিনেমায় অভিনয়ের জন্য নয়। গত বছরের জুন মাসে পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, আগস্ট মাসে পরীর বাসায় র্যাবের অভিযান এবং একই মাসে কারাবাস তাকে নিয়ে যায় আলোচনার তুঙ্গে।
তবে সব ধকল কাটিয়ে শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন করেন পরী। আগস্টে কারাবাস শেষ করে সেপ্টেম্বরে তিনি শুটিংয়ে ফেরেন। আর এ শুটিংয়েই তিনি খুঁজে পান তার ভালোবাসা।
দেরি করে হলেও জানা যায় বিয়ে করেছেন অভিনেতা শরিফুল রাজ ও পরীমনি। চলতি বছরের ১০ আগস্ট জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার পান রাজ-পরী। তাদের ঘরে আসে প্রথম সন্তান রাজ্য। আর এভাবে যেন নতুনভাবে জীবন শুরু করেন পরীমনি।
সোমবার এ অভিনেত্রীর জন্মদিন। এর আগে জমকালো আয়োজনে হয়েছে পরীমনির জন্মদিন। এবারও আয়োজন রাখা হয়েছে। পরী জানিয়েছেন, ছেলে রাজ্যর সঙ্গে কেক কাটবেন তিনি।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের দর্শক মাতাতে তৃতীয়বারের মতো ঢাকায় আসছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম।
আতিফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বৃহস্পতিবার বিকেলে দেয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এ গায়ক নিজেই।
সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই ঢাকায় কনসার্টে মাতাবেন তিনি। এ দিন বিকেলে ফেসবুকে ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন আতিফ। যেখানে তার ছবি, মিউজিকের সঙ্গে লেখা ছিল- ‘বাংলাদেশ, চলো একসঙ্গে সংগীত উপভোগ করি।’
মুহূর্তের মধ্যেই আতিফের এই পোস্ট ঝড় তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মাত্র ৪০ মিনিটেই ৯ হাজার রিয়্যাক্ট এক হাজার কমেন্ট জমা পড়ে সেই ভিডিওতে।
যদিও সেই পোস্টে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি এই তারকা। কবে বাংলাদেশে আসছেন, কী প্রোগ্রামে আসছেন সেসবও পরিষ্কার করেননি, তবে আতিফের পোস্টের পর থেকেই এটা নিশ্চিত, খুব শিগগিরই বাংলাদেশে পা রাখছেন বলিউডের জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী।
পাকিস্তানে জন্ম হলেও বলিউডের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম। দুনিয়াজুড়ে যার রয়েছে অসংখ্য ভক্ত-অনুসারী। বলিউডের বহু সুপারহিট গানের স্রষ্টা তিনি। বাংলাদেশের সংগীত অনুরাগীরও পছন্দের তালিকায় রয়েছেন তিনি।
মাসখানেক আগেই আতিফ আসলামের বাংলাদেশে আসার গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। সে সময় স্টার বক্স এজেন্সি নামে একটি প্রতিষ্ঠান জানায়, ২০২৪ সালে কনসার্ট করতে বাংলাদেশে আসবেন আতিফ আসলাম।
এর আগে ২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে প্রথম ঢাকায় এসেছিলেন আতিফ আসলাম। পরে ২০১৬ সালে এটিএন এন্টারটেইনমেন্টের আমন্ত্রণে দ্বিতীয়বার ঢাকায় আসেন।
পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে জন্ম নেওয়া উপমহাদেশের তুমুল জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৩ সালে, ‘জাল’ ব্যান্ডের মাধ্যমে। মূলত উর্দু ভাষায় গাইলেও তিনি হিন্দি, পাঞ্জাবি, বাংলা, পশতুসহ অনেক ভাষায় নিজের দক্ষতা প্রকাশ করেছেন। ‘জেহের’ সিনেমার ‘ওহ লামহে ওহ বাতে’ গান দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
এরপর একে একে উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় গান। তারমধ্যে উল্লেখ্য ‘পেহলি নাজার ম্যায়’, ‘বাখুদা তুমহি হো’, ‘তু জানে না’, ‘ম্যায় রং শরবতো কা’, ‘দিল দিয়া গাল্লা’ সহ প্রায় শতাধিক গান।
আরও পড়ুন:চুপিসারে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন ভারতীয় অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়। আনি আনি করেও মনের মানুষকে প্রকাশ্যে আনছেন না তিনি। একই বোধহয় বলে, ‘ডুবে ডুবে জল খাওয়া’।
বসন্ত উৎসবের দিন জানালার ধারে মনের মানুষের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন দিতিপ্রিয়া। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ছবি পোস্ট করতেই ভক্তদের মনে প্রশ্ন জেগেছে পাশে দাঁড়ানো এই রহস্যমানব কে?
এ প্রশ্নের উত্তরে এই সময়কে তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমার জীবনে একজন আছে। গত তিন মাস আমি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছি। তবে এখনই সবটুকু জানাতে চাই না। ক্রমশ প্রকাশ্য।’
দিতিপ্রিয়া বলেন, ‘ছয় মাস হোক তারপর সবটুকু সবাইকে জানাব। শুধু এটুকু বলতে পারি আমার যার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সে এই ইন্ডাস্ট্রির কেউ নয়। সম্পূর্ণ আলাদা জগতের মানুষ। খুব শিগগিরই আমি সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব।’
দিতিপ্রিয়ার এই প্রেমের সম্পর্ক কতদিনের সেটাও খোলসা করতে চাননি অভিনেত্রী।
২০২৩- এ দিতিপ্রিয়ার জন্মদিনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তখন প্রশ্ন করা হয়েছিল, প্রেম করছেন? জবাব ছিল, ‘হ্যাঁ করছি তো…।’ এরপরই সহাস্য সংযোজন, ‘কেরিয়ারের সঙ্গে।’
গত বছরে সিঙ্গল ছিলেন বলেই দাবি দিতিপ্রিয়ার। আগে সুহোত্র মুখোপাধ্যায় এবং দিব্যজ্যোতি দত্তের মতো অভিনেতার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তার।
শিশুশিল্পী হিসেবে বিনোদন জগতের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। মা, দুর্গা, অপরাজিত, তোমায় আমায় মিলে, ব্যোমকেশের মতো জনপ্রিয় সিরিয়ালে কাজ করেছেন। তারপর হয়ে ওঠেন টেলিভিশনের করুণাময়ী রানি রাসমণি। রানিমা হিসেবে ব্যাপক খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি।
সিরিয়ালের পাশাপাশি সিনেমাতেও দুর্দান্ত কাজ করেছেন। রাজকাহিনি, অভিযাত্রিক, আয় খুকু আয়, অচেনা উত্তম, কলকাতা চলন্তিকার মতো সিনেমায় কাজ করেছেন। রুদ্রবীণার অভিশাপ, মুক্তি, বোধন, ডাকঘর, রাজনীতির মতো সিরিজেও তার জুড়ি মেলা ভার।
আরও পড়ুন:মা হারিয়ে শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরি।
রোববার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে নিজ বাসায় মা ঝর্ণা রায়ের মৃত্যুর পর এক ফেসবুক পোস্টে মাকে ঘিরে কিছু কথা লিখেছেন তিনি।
অ্যাম্বুলেন্সের ছবি পোস্ট করে পূজা লিখেছেন, ‘এভাবে আমাকে একা করে দিলা মামুনি? এইটা তো কথা ছিল না। তুমি না বলছিলা আমার পাশে সবসময় থাকবা। আমার এখন কি হবে? আমি কাকে আমার সব কথা বলবো মামুনি?’
‘কত কথা জমা হয়ে আছে, ভেবেছিলাম তুমি সুস্থ হলে সব কথা গড়গড় করে বলবো। কিন্তু এইটা কি হলো? তুমি তোমার এই মেয়ের কথা চিন্তা করলে না?’
পূজা লিখেছেন, ‘বুকে আটকে থাকা এই কষ্ট নিয়ে কীভাবে আমি সারাজীবন পার করবো? বলো তুমি??? মা, মাগো পারলে আমাকে মাফ করে দিও মা। একমাত্র তুমি ছিলে যার সাথে হাসতাম, রাগ হলে চিল্লাতাম আবার অন্যের রাগও তোমার ওপর ঝাড়তাম। আহ, তখন কি যে শান্তি লাগতো। কিন্তু এখন!!’
তিনি লিখেছেন, ‘মামুনি বলারও কেউ নাই। নিজেকে এখন সান্ত্বনা দিচ্ছি সবাইকে চলে যেতে হয়। চিন্তা করো না মামুনি তোমার কাছে একদিন না একদিন আমিও আসবো। তোমার পিছু তোমার এই মেয়ে ছাড়বে না বলে দিলাম। ভালো থেকো মা আমার।’
চিত্রনায়িকা পূজা চেরির মা ঝর্ণা রায় মারা গেছেন।
রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের বাসায় তিনি মারা যান বলে প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়া এক ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘ঝর্ণা অ্যান্টি (পূজা চেরির মা) আর নেই । সবাই উনার বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া করবেন।’
জানা গেছে, ঝর্ণা রায় বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি তিনি মিরপুরের একটি হাসপাতালে থেকে বাসায় ফেরেন।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মাত্র ১৪ বছর বয়সে শিশুশিল্পী থেকে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন পূজা চেরি।
মেয়েদের শাড়ি পরা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মমতা শংকরের যে বক্তব্য আলোড়ন তুলেছে অবশেষে সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। তার মতে, যা বলেছেন ভেবেই বলেছেন।
আনন্দবাজার অনলাইনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওই মন্তব্যটি করেছিলেন অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে সমালোচনা নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের সঙ্গে শনিবার কথা বলেছেন তিনি।
নিজের মতের প্রতি সমর্থন দিয়ে মমতা শংকর বলেন, ‘যা বলেছি ভেবেচিন্তেই বলেছি। বক্তব্য থেকে সরে আসার প্রশ্নই নেই। আমার বক্তব্যটা মন দিয়ে শুনুন। ঠিক কী বলেছি, দয়া করে বোঝার চেষ্টা করুন। যাদের উদ্দেশে কথাগুলো বলেছি তাদের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। কাউকে অসম্মান করিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার এই মন্তব্যকে তো অনেকে সমর্থনও করেছেন। কই তা নিয়ে তো কথা হচ্ছে না। কেবল নেতিবাচক নিয়েই যত আলোচনা। যাই হোক, আমার বক্তব্যের সঙ্গে সবাই সহমত হবেন এমনটা আমি আশা করি না। এই বিষয়ে আমার আর কোনো বক্তব্য নেই। দয়া করে এবার থামুন।’
নতুন প্রজন্মের সাজে আভিজাত্য রয়েছে? নাকি সাজে আধুনিকতার নামে শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করে ফেলছেন নারীরা- এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মমতা শংকর বলেছিলেন, যারা ল্যাম্প পোস্টের নীচে দাঁড়াতে বাধ্য হন, তাদেরকে আমি আমার শ্রদ্ধা জানিয়েছি। কারণ তারা পেশার তাগিদে বাধ্য হন ওভাবে শাড়ি পরতে। যারা বিনা কারণেও পরেন সেটা ঠিক আমি মেনে নিতে পারি না।
এই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ বিষয়ে মমতা শংকরের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘আমি আমার ডিগনিটি (আত্মমর্যাদা) নিয়েই থাকতে চাই। সেটাকে কখনই বিসর্জন দেব না। আমি আর এই ব্যাপার নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে নারাজ।’
নিরাপত্তার ইস্যুতে বন্ধ রাখা হয়েছে সারা বিশ্বে শিশুদের কাছে জনপ্রিয় সিরিজ হ্যারি পটারের বিভিন্ন পর্বে প্রদর্শিত বাষ্পচালিত ট্রেন পরিষেবা ‘দ্য হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস’।
স্থানীয়ভাবে ‘দ্য জ্যাকোবাইট সার্ভিস’ নামে পরিচিত এ সেবাটি যুক্তরাজ্যে দর্শনার্থীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের জায়গা। ট্রেনটি বন্ধ থাকার ফলে প্রায় ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত লোকসান হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন এর অপারেটর।
বিবিসির খবরে বলা হয়, হ্যারি পটার সিনেমাখ্যাত এই হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পর্যটকদের সেবা দিয়ে আসছে। বাষ্প ইঞ্জিনের এই ট্রেন এতদিন যাবত বিশেষ ছাড়ের অধীনে পর্যটকদের মনোরঞ্জন করে আসছিল। তবে এখন বাঁধ সেধেছে ট্রেনটির পুরোনো ধাঁচের দরজা।
বর্তমানে এই দরজার অনুমোদন নেই দেশটিতে। তাই ওয়েস্ট কোস্ট রেলওয়ের (ডব্লিউসিআর) এই পরিষেবাটি আবারও চালু করতে অনুমোদন লাগবে ইংল্যান্ডের অফিস অফ রেল অ্যান্ড রোডের (ওআরআর)। এই সংস্থা অনুমোদ দিলেই পুনরায় চলতে পারবে দ্য হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস।
২০০২ সালে জে কে রাউলিংয়ের বিখ্যাত শিশুতোষ সিরিজ হ্যারি পটারের দ্বিতীয় খণ্ড ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অব সিক্রেটস’-এ প্রথম প্রদর্শিত হয়েছিল এই বাষ্পচালিত ট্রেন। এরপর এটি আরও কয়েকটি খণ্ডে প্রদর্শিত হয়। মূলত সেখান থেকেই দর্শকদের আকর্ষণের জায়গা হয়ে ওঠে হাইল্যান্ডসের গ্লেনফিনান ভায়াডাক্টের ওপর দিয়ে মালাইগ থেকে ফোর্ট উইলিয়াম পর্যন্ত পাড়ি দেওয়া এই হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস।
পরিষেবাটি বছরের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চালু থাকে। এ বছরও দর্শনার্থীদের পরিষেবা দিতে ট্রেনটি বিশেষ ছাড়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত দ্য জ্যাকোবাইট সার্ভিসটি বন্ধ থাকবে। তবে যারা এতে চড়তে আগেই টিকিট বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন, তারা পুরো টাকা ফেরত পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
ডব্লিউসিআরের বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক জেমস শাটলওয়ার্থ বলেন, ‘পরিষেবাটি স্থগিত হওয়ায় আমরা হতাশ; আমাদের ট্রিপ বুক করা গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
তিনি বলেন, ‘জ্যাকোবাইট পরিষেবাটি হাজার হাজার পর্যটকের আকর্ষণের জায়গা। এটি মালাইগ এবং ফোর্ট উইলিয়ামের স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশপাশি যুক্তরাজ্যের পর্যটন খাতে প্রতি বছর অন্তত ২০ মিলিয়ন পাউন্ড যোগ করে। ওআরআর যদি আমাদের আবারও ছাড় না দেয়, তাহলে এতে স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে অন্তত ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড লোকসান হতে পারে।’
জনপ্রিয় টিভি সিরিজ গেম অফ থ্রোনসের প্রিক্যুয়েল সিরিজ ‘হাউস অফ দ্য ড্রাগনের’ দুটি ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। সিরিজটির দ্বিতীয় সিজন আসতে মাত্র কয়েক মাস বাকি।
এইচবিও তাদের ওয়েবসাইটে শুক্রবার ‘ব্ল্যাক’ ও ‘গ্রিন’ টিমের জন্য আলাদা দুটি ট্রেলার প্রকাশ করে, যা পরবর্তী সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা হয়।
এইচবিওর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১৬ জুন সিরিজটির দ্বিতীয় সিজন দেখানো হবে।
সিরিজটি জর্জ আরআর মার্টিনের বই ‘ফায়ার অ্যান্ড ব্লাডের’ ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটি গেম অফ থ্রোনসের ২০০ বছর আগের গল্প। গল্পটি একটি কাল্পনিক টারগারিয়ান পরিবারের ইতিহাস, যারা একসময় রাজত্ব করেছিল ওয়েস্টেরসে।
নির্মাতারা হাউজ অফ দ্য ড্রাগনের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বুধবার সিরিজটির নতুন কিছু স্টিল পোস্টার শেয়ার করেন।
এর আগে ২০২২ সালের আগস্টে ১০টি এপিসোড নিয়ে মুক্তি পায় হাউজ অফ দ্য ড্রাগনের প্রথম সিজন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য