সিনেমা কতটা ব্যবসা করছে তার চেয়ে প্রেক্ষাগৃহে নিয়মিত সিনেমা মুক্তি বেশি জরুরি বলে মনে করছেন সিনেমার ব্যবসায়ী সংগঠন। পরাণ ও হাওয়া সিনেমার পর সিনেমার ব্যবসা আবারও নিম্নগামী; এ পরিস্থিতিকে বড় করে দেখছেন না প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সব সিনেমা ব্যবসা করবে না। এটা আশা করা ভুল। কিছু সিনেমায় দর্শক আসবে, কিছু সিনেমায় আসবে না এটাই স্বাভাবিক। আশার কথা হচ্ছে সিনেমা নিয়মিতই মুক্তি পাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমা নিয়মিত মুক্তি পেলে আমাদের প্রেক্ষাগৃহগুলো টিকে থাকবে এবং আমাদের বাইরের দেশের সিনেমা প্রয়োজন হবে না। এটাকেই এখন জরুরি মনে করছি।’
পরাণ ১০ জুলাই এবং হওয়া মুক্তি পায় ২৯ জুলাই। এর পর আগস্টের ২৬ এ আসে আশীর্বাদ। যাও পাখি বলো তারে ও হৃদিতা মুক্তি পায় ৭ অক্টোবর, ২৩ সেপ্টেম্বর আসে অপারেশন সুন্দরবন ও বিউটি সার্কাস, ১৪ অক্টোবর রাগী, ২১ অক্টোবর মুক্তি পায় রোহিঙ্গা।
সিনেমাগুলো আলোচনায় থাকলেও ব্যবসা করতে পারেনি আশানুরূপ। পরাণ ও হাওয়ার সঙ্গে তুলনা করলে, সিনেমা দুটির ধারের কাছেও যেতে পারেনি পরের সিনেমাগুলোর ব্যবসা।
স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরাণ ও হাওয়া সিনেমার পর অনেকে যে সুবাতাসের কথা বলেছিলেন, সেটা এখন সেভাবে বইছে না। সিনেমা কত দিন চললো, হল সংখ্যা বাড়ল কি না, সেগুলো দেখলেই সবাই বুঝতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলা সিনেমা দর্শক আছে, সেটা আবারও প্রমাণ হয়েছে পরাণ, হাওয়া দিয়ে। এখন দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে বার বার নিয়ে আসার দায়িত্ব পরিচালক, প্রযোজক, শিল্পীদের। ভালো ভালো সিনেমা নির্মাণের মাধ্যমে সুবাতাসের ধারাবাহিকতা রাখতে হবে। এ দায়িত্ব সিনেমা নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের।’
এখন অনেকেই আবার আশা রাখছেন দামাল সিনেমার ওপর। এটি ২৮ অক্টোবর মুক্তি পাবে। পরাণ সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফির নতুন সিনেমা দামাল। অভিনয়ও করেছেন পরাণ সিনেমার জুটি শরিফুল রাজ, মিম।
দামাল সিনেমাটি হয়তো আবারও দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে টানতে পারে বলে আশা করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন:প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করতে গিয়ে গুলশান থানা থেকে ফিরে আসতে হয়েছে চিত্রনায়ক শাকিব খানকে। এ ঘটনায় ওই থানার বিরুদ্ধে গড়িমসি করার অভিযোগ এনেছেন এই তারকা।
থানায় অভিযোগ করতে না পেরে রোববার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের(ডিএমপি) গোয়ান্দা শাখায়(ডিবি) যান তিনি। সেখানে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান।
বের হওয়ার আগে সাংবাদিকদের কাছে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার(ওসি) আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ শাকিব বলেন, প্রতারক, বাটপার রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য গুলশান থানায় গিয়েছিলাম। অনেক চেষ্টার পরও, অনেক বুঝানোর পরও ওসি সাহেব মামলাটি নিলেন না। তিনি বললেন, আপনি যেখানে খুশি গিয়ে অভিযোগ করতে পারেন, যে আমি আপনার মামলাটা নিলাম না। আমি সেখান থেকে বেরিয়ে আসলাম।
তিনি বলেন, গতকালকে থানা এই যে গড়িমসিটা করলো, গতকাল রাতে মামলাটা নিলো না। সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি থানায় গিয়ে মামলা করতে পারবো না, এইটা আমার কাছে খুব আশ্বচর্যজনক মনে হয়েছে।
শাকিব খান বলেন, গতকাল রাতে গুলশান থানার ওসি ও অন্যান্য অফিসারদের কার্যকলাপ দেখে আমার মনে হয়েছে, তারা প্রতারককে রহমকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করছে কি না। আমার কাছে এটা সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
এ বিষয়ে গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহনুর রহমান বলেন, শাকিব খান যে অভিযোগটা করছেন সেটি ২০১৮ সালের ঘটনা। কোথায় কি হয়েছিলো এতো দিন তো উনার কোনো খোঁজ খবর নেই। উনি গতকাল হঠাৎ করে থানায় এসে এই অভিযোগটা আমাদের কাছে বলতেছে। এখন ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়াতে কি ঘটছে না ঘটছে সেটা আমরা জানব কীভাবে। আমরা শাকিব খানকে বলেছি বিষয়টি স্পর্শকাতর এবং যেহেতু তিনি তারকা তাই তাকে আদালতের স্মরণাপন্ন হতে বলেছি। পাঁচ বছর আগের ঘটনা মামলা নেওয়ার আগে এ বিষয়ে প্রি-ইভেস্টিগেশন করা উচিত।
গত বুধবার বিকেলে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর শাকিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এই প্রযোজক ২০১৭ সালে তার সিনেমাটির শুটিংয়ের সময় শাকিব খানের দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাও আছে।
আরও পড়ুন:প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে টাকা দাবির অভিযোগ এনেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। তার দেশত্যাগ ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।
রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের(ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ দেন শাকিব।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এই রহমত উল্লাহ একজন বাটপার, প্রতারক। সে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আমার কাছে টাকা চাইছে। আমি জানতে পেরেছি, ও বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে। সেজন্য ডিবিতে এসেছিলাম। এখানে আমার অভিযোগ ও অভিযোগের সঙ্গে প্রমাণাদি দীর্ঘ সময় নিয়ে দেখা হয়েছে। এবং এই প্রতারককে দ্রুত আইনের আওতায় আনার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে
ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, রহমত উল্লাহ প্রযোজক না হয়েও মিথ্যা পরিচয় দিয়ে শাকিব খানের বিরুদ্ধে আজেবাজে, মিথ্যা কথা ও প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছেন বলে শাকিব খান অভিযোগ করেছেন। আমি বলেছি, আপনি লিখিত আবেদন দিয়ে যান আমরা সেটা তদন্ত করে দেখব। তদন্তে নায়ক শাকিবের করা লিখিত অভিযোগের সত্যতা মিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তিনি বলেন, নায়ক শাকিব খান আমাদের কাছে দ্রুত এসেছেন এই কারণে তিনি আশঙ্কা করেছেন যে, যার বিরুদ্ধে তার অভিযোগ সেই প্রযোজক রহমত উল্লাহ দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন, এরকম কথা তিনি নাকি শুনেছেন। নায়ক শাকিব খানের দাবি, রহমত উল্লাহ কোন প্রযোজক না, তার অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট রয়েছে।
গত বুধবার বিকেলে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর শাকিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এই প্রযোজক ২০১৭ সালে তার সিনেমাটির শুটিংয়ের সময় শাকিব খানের দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাও আছে।
আরও পড়ুন:প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখায়(ডিবি) গিয়েছিলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।
রোববার বিকেলে তিনি ডিবি কার্যালয়ে যান।
ডিবির ভাষ্য, শাকিব খানের অভিযোগটি রাখা হয়েছে । রহমত উল্লাহ নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা তদন্তেরও কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
ডিবি কার্যালয় থেকে চিত্রনায়ক শাকিব খান সাড়ে ৭টার দিকে বের হয়ে যান। এরপর সাংবাদিকদের তার অভিযোগ ও তদন্তের বিষয়টি জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
গত বুধবার বিকেলে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর শাকিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এই প্রযোজক ২০১৭ সালে তার সিনেমাটির শুটিংয়ের সময় শাকিব খানের দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাও আছে।
অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগটি এসেছে তিনি দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা। যাচাই-বাচাইয়ের আগে আমরা এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না।
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহর অভিযোগে বলা হয়, একবার শাকিব খান তাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
এতে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ওই নারী তখন এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি নিজেও একজন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত নারী। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে আবার অস্ট্রেলিয়ায় আসলে শাকিব ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। তবে সেই নারী প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই ছাড়া পেয়ে যান।
আরও পড়ুন:ধর্ষণসহ বেশকিছু অভিযোগ আনা প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করতে শনিবার মধ্যরাতে গুলশান থানায় গেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।
তবে তিনি মামলা করেছেন কি না সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত বুধবার বিকেলে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী সমিতি ও ক্যামেরাম্যান সমিতি বরাবর শাকিবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ। লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এই প্রযোজক ২০১৭ সালে তার সিনেমাটির শুটিংয়ের সময় শাকিব খানের দ্বারা কী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, এর মধ্যে ধর্ষণও আছে।
অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগটি এসেছে তিনি দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা। যাচাই-বাচাইয়ের আগে আমরা এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না।
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহার অভিযোগে বলা হয়, একবার শাকিব খান তাদের একজন নারী সহ-প্রযোজককে কৌশলে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী এই নারীকে তিনি অত্যন্ত পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেন। গুরুতর জখমসহ রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।
এতে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ওই নারী তখন এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তিনি নিজেও একজন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত নারী। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে আবার অস্ট্রেলিয়ায় আসলে শাকিব ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। তবে সেই নারী প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই ছাড়া পেয়ে যান।
আরও পড়ুন:‘হাওয়া’ সিনেমার মধ্য দিয়ে ১১ বছর পর আবার চালু হলো রাজশাহীর ‘রাজ তিলক’ সিনেমা হল।
শুক্রবার বিকেলে রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালী বাজারে অবস্থিত এই সিনেমা হল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী দিন থেকেই প্রদর্শিত হয় ‘হাওয়া’।
সিনেমা হলটির ব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন সাগর বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল হলটি। শুক্রবার প্রথম দিনে ভালো দর্শক হয়েছে। আশা করছি, আগামীতে ভালো চলবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেরদৌস সিদ্দিকি রাজু, আরাফি হোসেন তারজিদসহ অন্যরা।
২০১২ সালে ‘কমন জেন্ডার’ সিনেমা চলার পর শহরের অদূরে পবার কাটাখালী বাজারের পুরোনো রাজ তিলক হলটি বন্ধ হয়ে যায়। তখন রুম্মান হলটি কিনে নেন। কিন্তু তিনিও হলটি চালু করতে পারেননি। তারপর দীর্ঘদিন এমন অবস্থায় পড়ে ছিল। এবার তার কাছ থেকে হলটি নিয়ে চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন ব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন সাগর। তিনি হলটি নতুন করে চালু করেন।
চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস বা অস্কার পুরস্কার জিতেছে ভারতের দক্ষিণী চলচ্চিত্র আরআরআর-এর গান ‘নাটু নাটু’।
৯৫তম অস্কার অনুষ্ঠানে ‘বেস্ট অরিজিনাল সং’ ক্যাটাগরিতে এ সম্মাননা পায় ‘নাটু নাটু’।
পুরস্কার জয়ের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে ‘নাটু নাটু’। প্রথম কোনো ভারতীয় চলচ্চিত্রের গান হিসেবে অস্কার পেল এটি।
এমএম কিরাবানির সুর ও চন্দ্রবোসের কথায় এসএস রাজামৌলি নির্মিত সিনেমার গানটি গেয়েছিলেন রাহুল সিপলিগুঞ্জ ও কালা ভৈরবা। ২০২২ সালের মার্চে প্রকাশ হওয়ার পর থেকে গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
ওভার দ্য টপ (ওটিটি) প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ভারতীয়দের পাশাপাশি বিদেশি দর্শক-শ্রোতাদের কাছেও ব্যাপক সমাদৃত হয় গানটি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, অস্কার পুরস্কার গ্রহণের সময় পরিচালক রাজামৌলি ও ভারতীয়দের সম্মানে নিজের সুর করা একটি গান গেয়ে শোনান কিরাবানি।
অস্কার জেতার আগে চলতি বছর গোল্ডেন গ্লোবস অ্যাওয়ার্ডে ‘বেস্ট অরিজিনাল সং’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতে আরআরআরের গানটি। একই সঙ্গে ক্রিটিকস’ চয়েস অ্যাওয়ার্ড এবং হলিউড ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাওয়ার্ডেও সেরা গান ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পায় ‘নাটু নাটু’।
অস্কারে জয়ী হতে ডায়ান ওয়ারেনের ‘টেল ইট লাইক আ উইমেন’, লেডি গাগার ‘হোল্ড মাই হ্যান্ড ফ্রম টপ গান মেভেরিক’, রিয়ান্না ও সহশিল্পীদের গাওয়া ‘লিফট মি আপ’-এর মতো গানকে পেছনে ফেলতে হয় নাটু নাটুকে।
অস্কারের মঞ্চেও গানটি পরিবেশন করা হয়। গায়ক রাহুল সিপলিগুঞ্জ ও কালা ভৈরবে মঞ্চে উঠে গানটি পরিবেশন করেন। যদিও গানের দুই অভিনেতা রাম চরন ও জুনিয়র এনটিআর মঞ্চে ওঠেননি।
গানটির কোরিওগ্রাফিতে ছিলেন প্রেম রক্ষিত। তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছিলেন, গানটির জন্য ১১৮টি স্টেপ তৈরি করেছিলেন।
আরও পড়ুন:জীবনমুখী ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণে নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘চলচ্চিত্র মানুষের মন-মানসিকতা আরও উন্নত করতে পারে। একটি চলচ্চিত্র ব্যক্তির জীবন যেমন পরিবর্তন করতে পারে, তেমনি একটি সমাজকেও বদলে দিতে পারে।’
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
চলচ্চিত্রে অনুদানের জন্য আগামী অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে শেখ হাসিনা এ খাতকে ডিজিটাল করার আহ্বান জানান। ডিজিটাল সিনেপ্লেক্স বেশি বেশি নির্মাণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে সিনেমা হল নির্মাণ করার জন্য সরকার এক হাজার কোটি টাকার আলাদা তহবিল রেখেছে।
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের সিনেমা হলগুলো এনালগ, অত্যন্ত পুরনো। হল মালিকদের সঙ্গে বহুবার বসেছি, তাদেরকে বহু বার অনুরোধ করেছি- আপনারা এগুলোকে আধুনিক করে ফেলেন। এটা করার দরকার ছিল।
‘এবার আমরা এক হাজার কোটি টাকার আলাদা ফান্ড রেখে দিয়েছি। সেখান থেকে যে কেউ প্রাথমিকভাবে অল্প সুদে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে। জেলা-উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত যেন সিনেমা হল হয়, বিশেষ করে নতুনভাবে সিনেপ্লেক্স গড়ে তোলেন। এক সময় আধুনিক প্রযুক্তির কারণে মানুষ সিনেমা হল বিমুখ হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার ফিরে আসছে। মানুষ সিনেমা হলমুখী হচ্ছে। তার প্রমাণও আমরা পেয়েছি।’
১৯৯৬ সালে বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দেয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উদ্দেশ্য ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। শুধু সাধারণ মানুষের জন্য নয়, আমাদের শিল্পী-কলাকুশলীদের জন্যও একটু সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া। এখন আমাদের ৪৫টি টেলিভিশন চ্যানেল। এখন অনেকেই এই জায়গাগুলোতে কাজ করার সুযোগ পায়।
‘টেলিভিশনের পাশাপাশি ৩২টি কমিউনিটি বেতার ও ২৭টি এফএম বেতার সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতো টেলিভিশন খুলে দিয়েছি, সারাদিন অনেকে কথা বলেন। অনেকে অনেক কথা বলার পরও কেউ কেউ বলবেন, আমরা কথা বলতে পারি না। অথচ বাংলাদেশে ২ হাজার ৪৫৫টি পত্রিকা, ১৭০টি অনলাইন সংবাদ পোর্টাল, ১৪টি আইপিটিভি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেখানে সবাই তো মনভরে কথা বলছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি অবশ্য একদিন মজা করে বলেছিলাম, যেই বলবে কথা বলতে পারে না- তখনই বিদ্যুৎটা বন্ধ করে দিও। তাহলে আর শোনা যাবে না। বলতে যখন পারে না, তখন বন্ধ করে দেয়াই ভালো। সেটা এমনিই বলেছি।
‘যে যত কথা বলতে চায় বলুক। আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি। টেলিভিশন যারা চালাচ্ছে তারা এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমেই চালাচ্ছে। এর আগে কিন্তু বিদেশিদের পয়সা দিয়েই স্যাটেলাইট ব্যবহার করতে হতো। আমরা নতুন আরও একটি স্যাটেলাইট করব। সেটা তথ্য সম্প্রচারে আরও বেশি উদ্যোগী হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৫৭ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মন্ত্রী হিসেবে সংসদে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন বিল উত্থাপন করেন। আইনটি পাস করেন বঙ্গবন্ধু। বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র সংস্থা, এফডিসির কাজ শুরু হয়। সেখানে সিনেমা নির্মাণও শুরু হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শিল্পীরা এক সময় বাজে অবস্থায় পড়ে যায়। তাদের কল্যাণে চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২১ পাস করে দিয়েছি। একটা সীল মানিও দেয়া হচ্ছে। আমাদের দেশে অনেক বিত্তশালী আছে, তারাও এখানে অনুদান দিতে পারে। ট্রাস্টে যারা অনুদান দেবে তাদের তালিকাটা যেন থাকে, তাহলে দেখতে পারবে কে কতটুকু সহযোগিতা করল।’
চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য যে পরিমাণ অনুদান দেয়া হয় তা যথেষ্ট নয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা একটু বাড়াতে হবে। আগামী বাজেটে নিজেও একটা উদ্যোগ নেব অনুদানের পরিমাণটা বাড়িয়ে দেয়ার। ২৫ লাখ টাকা একটা পূর্ণাঙ্গ সিনেমার জন্য কিছু না। স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য মাত্র ২০ লাখ টাকা, এটা হয় না।’
শিশুতোষ চলচ্চিত্রের জন্য আলাদা অনুদানের ব্যবস্থাও করতে বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে দ্রুত বিএফডিসি ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করার তাগিদ দেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটা আরও একটু সুন্দর করা দরকার বলেও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হাসানুল হক ইনু।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য