‘সাঁতাও একটি রংপুরি শব্দ। রংপুরি হলো একটি ভাষা, যার আইএসও কোড পাবেন উইকিপিডিয়ায়। অর্থাৎ এই ভাষাটি নিবন্ধিত। এই ভাষায় যারা কথা বলেন তাদের বসবাস বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও ভারতে রয়েছে।’ প্রসঙ্গটি দিয়ে কথা শুরু হয় সাঁতাও সিনেমার পরিচালক খন্দকার সুমনের সঙ্গে।
নিউজবাংলাকে তিনি আরও জানান, ভাষার সঙ্গে সঙ্গে এদের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। নিজস্ব খাদ্যাভ্যাস, পরিধান ও সংগীতে তারা তাদের নিজস্বতা বজায় রেখেছে।
লালমনিরহাটের তিস্তা বাজার, যেখানে বেড়ে ওঠা সুমনের। সেখানে তিনি রংপুরি ভাষাভাষী মানুষদের দেখেছেন। সুমন অবশ্য ‘দেখেছেন’ শব্দে সন্তুষ্ট নন। তার মতে, “আমার বেড়ে ওঠা তাদের সঙ্গে। আর আমি ‘তাদের’, ‘আমাদের’ বলে কিছু আলাদা করতে চাই না। আমি সেই অঞ্চলের মানুষ।”
এবার সুমনের কাছে জানতে চাওয়া হলো সাঁতাও শব্দের অর্থ। ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সুমন বললেন, “সাঁতাও শব্দটির সঙ্গে সংখ্যা সাতের যোগসূত্র রয়েছে। সাত দিন ধরে চলমান কোনো ইভেন্টকে সাঁতাও বলা যায়। ধরেন, সাত দিন ধরে গান, সাত দিন ধরে ওষুধ খাওয়া। তবে সাঁতাওয়ের প্রচলিত অর্থ হলো ‘সাত দিন ধরে বৃষ্টি’।”
সাত দিন ধরে বৃষ্টির কথা শুনতেই কল্পনায় অনেক রকম দৃশ্য চলে আসতে পারে। যেমন, মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে, একটা শব্দ হয়েই চলেছে কিন্তু যন্ত্রণা দিচ্ছে না, চারদিক ধূসররঙা, রাস্তায় কেউ নেই, সবাই যার যার ঘরে। এভাবে ভাবতে ভাবতে একটু একটু ঠান্ডা অনুভূত হতে পারে, যেন সত্যিই বৃষ্টির মধ্যে ঘরে বসে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছেন আর ঠান্ডা বাতাস এসে গায়ে লাগছে।
সিনেমাতেও এমন অনুভূতির প্রকাশ আছে কি না, তা সিনেমা দেখলে বোঝা যাবে। তবে পরিচালক জানালেন, কীভাবে সাঁতাও নামটি সিনেমার ঢং ও বৈশিষ্ট্যকে ফুটিয়ে তুলেছে।
সুমন বলেন, ‘সিনেমায় সাঁতাও নেই, অর্থাৎ সাত দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে এমন দৃশ্য নেই। কিন্তু অবিরাম বৃষ্টির মধ্যে আপনার ঘরে থাকতে হচ্ছে, সেই অনুভূতি আছে।’
আরেকটি মজার তথ্য দিলেন সুমন। দাবি করলেন, সিরাজগঞ্জ থেকে পঞ্চগড় অঞ্চলের যে বুননশিল্প অর্থাৎ নকশীকাঁথা বা জাল, এগুলো প্রসিদ্ধ হয়েছে সাঁতাওকে কেন্দ্র করে।
সুমন বলেন, অবিরাম বৃষ্টিতে ঘরের মধ্যে টানা কয়েক দিন থাকার কারণে নারীরা কিছু সময় পেতেন এবং বুননের কাজগুলো করতেন। আরও মজার বিষয় হলো, সাঁতাওয়ের কিছু পরেই শীত চলে আসে। তখন কাঁথাগুলো প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। সাঁতাও সিনেমায় এ বিষয়গুলোর দৃশ্যকাব্য থাকবে বলে জানান সুমন।
সিনেমাটিকে পরিচালক ইংরেজিতে ডাকেন ‘মেমোরিজ অব গ্লুমি মুনসুন’ নামে। যে স্মৃতিগুলো ছবি হয়ে তার কাছে রয়ে গেছে, যেগুলোকে তিনি ক্যামেরায় বন্দি না করে থাকতে পারছিলেন না, সেগুলো নিয়েই নির্মিত হয়েছে সাঁতাও সিনেমাটি। এর মাধ্যমে কিছুটা জীবন, কিছুটা যাপন, কিছুটা সংস্কৃতি উঠে আসবে ঠিকই, কিন্তু কোনো দর্শন আছে কি না, তা জানা নেই পরিচালকের। বলেন, ‘যদি কিছু থাকে সেটা দর্শকরাই ডিকোড করুক।’
সাঁতাও সিনেমার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু ২০১৮ সালে। তবে চিত্রনাট্যের কাজ আরও আগে থেকে। যাত্রা শুরু হওয়ার পর পরিচালক খুব স্বাভাবিকভাবেই বুঝলেন, তিনি যে কাজ করতে চান সেটা পুঁজিবাজারকে আকৃষ্ট করবে না। তাই তার প্রয়োজন হলো ভিন্ন পদ্ধতিতে যাওয়ার। প্রযোজক হিসেবে শরিফ উল আনোয়ার সজ্জনকে পেলেও সিনেমাটি গণ-অর্থায়নে করার পরিকল্পনা করেন সুমন।
তিনি বলেন, ‘একজন প্রযোজকের কাছে যেভাবে প্রজেক্ট পিচ করতে হয়, আমি সেটাই করেছি পাবলিকলি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অসংখ্য মানুষ আমাকে অ্যালাও করে এবং আমার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়।’
যারা সাঁতাও সিনেমাকে অর্থায়ন করেছেন, সবাই কিন্তু সিনেমার প্রযোজক নন। পরিচালক তাদের বলছেন সমর্থক। ফেরত দেয়া বা মুনাফা দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে তাদের অর্থ নেয়া হয়নি বলে জানান সুমন।
বলেন, ‘আমরা টাকার পরিমাণ এবং সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার জন্য সমর্থক কী সুবিধা পাবেন সেটা জানিয়েছিলাম। তাতে সায় দিয়ে ১ হাজার ৫৫৯ জন আমাকে সমর্থন করেছেন। এদের মধ্যে ৩৩৯ জন তাদের নাম প্রকাশ করার অনুমতি দিয়েছেন। বাকিরা দেননি।’
সাঁতাও কি তবে স্বাধীন চলচ্চিত্র? পরিচালক বললেন, ‘আমি আমার মানিসিক জায়গা থেকে স্বাধীন। কিন্তু আমার মধ্যে থাকা কলোনিয়াল এডুকেশন, আমার চারপাশের সামাজিক অবস্থা আমাকে স্বাধীন থাকতে দেয় না। আমি সেটা ভেঙে বের হয়ে আসার চেষ্টা করি। সেই চেষ্টা থেকে আমি অনেক কিছু দেখাতে চাই, আবার থেমে যেতে হয়। আমাকে ভাবতে হয় সেন্সর বোর্ডের কথা। তো, এ রকম অবস্থায় আমার সিনেমাটাকে আমি স্বাধীন বলতে পারি না। তবে আমি স্বাধীনচেতা।’
সিনেমাটি পেয়ে গেছে সেন্সর সার্টিফিকেট। সিনেমায় অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল, ফজলুল হক, জুলফিকার চঞ্চল, মো. সালাউদ্দিন, সাবেরা ইয়াসমিন, স্বাক্ষ্য শাহীদ, শ্রাবণী দাস রিমি, তাসমিতা শিমু, মিতু সরকার, ফারুক শিয়ার চিনু, আফরিনা বুলবুল, রুবল লোদী, কামরুজ্জামান রাব্বী, আব্দুল আজিজ মণ্ডল, বিধান রায়, বিনয় প্রসাদ গুপ্ত, সুপিন বর্মণ। সাউন্ড ডিজাইন-সাউন্ড মিক্সিং করেছেন সুজন মাহমুদ। শব্দ গ্রহণে ছিলেন নাহিদ মাসুদ। সজল হোসেন, ইহতেশাম আহমদ টিংকু ও খন্দকার সুমন করেছেন চিত্রগ্রহণ।
অভিনয়শিল্পী চূড়ান্তের সময় সুমন চেয়েছিলেন পেশাদার শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে। কারণ, পেশাদার অভিনয়শিল্পীদের দিয়ে কাজ করলে, কাজ দ্রুত হয় এবং এতে করে কিছুটা হলেও খরচ কমে। অপেশাদার শিল্পী পরিচালকের অপছন্দ নয়, তবে কাজের পরিস্থিতি বিচারে পেশাদারদের নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্তটাই তার কাছে ভালো মনে হয়েছে।
সিনেমার সব কাজ শেষ। তবু অনেক কলাকুশলীর সম্মানী দেয়া বাকি আছে সুমনের। এ কথা অকপটেই জানালেন। বললেন, ‘অনেককেই টাকা দিতে পারিনি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। তারা অনেক বড় মনের মানুষ। তারা চায় সিনেমাটি রিলিজ হোক। আমিও চেষ্টা করে যাচ্ছি তাদের টাকাটা পরিশোধ করে দিতে।’
এ কথা বলে আরেকটি গল্প বললেন সুমন। বললেন, ‘আমি যেদিন সাঁতাও সিনেমার প্রথম দিনের শুটিংয়ে যাই, সেদিন আমার কাছে ছিল ১৭ হাজার টাকা। এ টাকা দিয়ে এক দিনের শুটিং করা সম্ভব না। কিন্তু আমরা করেছি। আমার সঙ্গে যারা কাজ করেছেন, যেখানে শুটিং করেছি সেখানকার মানুষদের সহযোগিতায় এটি সম্ভব হয়েছে।’
সিনেমার অধিকাংশ শুটিং হয়েছে লালমনিরহাটে, ঢাকাতেও হয়েছে কিছু। এখন সিনেমাটি পরিবেশনা ও মুক্তির পালা। সিনেমাটি জানুয়ারিতে মুক্তির পরিকল্পনা করছেন পরিচালক।
প্রায় এক যুগ পর একসঙ্গে পর্দায় পাওয়া যাবে জয়া আহসান ও শাকিব খানকে। ঈদুল আজহায় মুক্তির প্রস্তুতি চলছে নতুন সেই সিনেমা ‘তাণ্ডব’। এরই মধ্যে সিনেমাটি নিয়ে আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে সত্যিই এটি ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে কি না তা এখনো নিশ্চিত করেননি নির্মাতা রায়হান রাফী। তবে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া জানান, এই ছবিতে এক বদলে যাওয়া শাকিবকে পেয়েছেন তিনি। এর আগে ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’ নামে একটি সিনেমায় একত্রে দেখা গিয়েছিল শাকিব খান ও জয়া আহসানকে। এরপর আর একসঙ্গে কাজ করেননি তারা। দীর্ঘ এক যুগ পর আবারও পর্দা ভাগাভাগি করছেন এ দুই তারকা। এতদিন পর শাকিবের সঙ্গে অভিনয় করে কেমন লাগছে? কতটা পরিবর্তন এসেছে অভিনেতার? জানতে চাইলে জয়া আহসান বলেন, ‘তার ডেডিকেশন লেভেলটা অনেক বেড়েছে। খুব মন দিয়ে কাজ করেন। নিজের চরিত্রের জন্য সর্বোচ্চটা তিনি দেন, যেটা অ্যাপ্রিশিয়েট করার মতো।’
‘তাণ্ডব’ ছবিতে জয়া আহসান অভিনয় করলেও শাকিবের নায়িকা হিসেবে দেখা যাবে না এই তারকাকে। বরং শাকিবের নায়িকা হিসেবে ছবিতে অভিনয় করেছেন সাবিলা নূর। সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে হামলাকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যাবে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার গল্প। সিনেমাটির বিশেষ একটি চরিত্রে কাজ করছেন জয়া আহসান। এরই মধ্যে ‘তাণ্ডব’-এর শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন ছবির অভিনয়শিল্পীরা। এই ছবিতে কাজ করছে একঝাঁক তারকা।
একসঙ্গে কাজ না করলেও জয়া আহসান ও শাকিব খান দুজনেই এককভাবে ব্যস্ত ছিলেন কাজ নিয়ে। একই সঙ্গে ঢাকা ও কলকাতায় কাজ করেছেন দুই তারকাই। বিশেষ করে কলকাতার সিনেমায় জয়ার সম্পৃক্ততা ছিল উৎসাহব্যঞ্জক। অন্যদিকে শাকিব খানও আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে সময় পার করেছেন। গত বছর শাকিব অভিনীত তিনটি সিনেমা মুক্তি পায়।
সিনেমাগুলো নিয়ে প্রশংসার পাশাপাশি প্রচুর সমালোচনাও সইতে হয়েছে অভিনেতাকে। গত বছর উৎসবের বাইরে শাকিবের ‘দরদ’ নামে একটি সিনেমা মুক্তি পেলেও সেটি সাফল্য পায়নি। সম্প্রতি ঈদুল ফিতরে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় শাকিব অভিনীত দুটি সিনেমা ‘অন্তরাত্মা’ ও ‘বরবাদ’। সিনেমা দুটি নিয়ে নিজের সঙ্গেই নিজেকে লড়াই করতে হয়েছে অভিনেতাকে। দুটি সিনেমাতেই তিনি সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন বিদেশি নায়িকা, যা গত কয়েক বছর ধরেই তার সিনেমায় দেখা যাচ্ছে।
বাণিজ্যিক ঘরানার পাশাপাশি অভিনব গল্প ও আধুনিক চিত্রনাট্যে সমৃদ্ধ সিনেমা সাদরে গ্রহণ করেছে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রপ্রেমিরা। বিশেষ করে ঈদ উৎসবে এখনও সিনেমা হলগুলোতে থাকে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের ঈদুল ফিতরেও নানান উদ্দীপনার খোরাক যোগাচ্ছে নতুন কিছু ছবি। চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আসন্ন ঈদে ২০২৫ ঈদুল ফিতরে ঢালিউডে মুক্তি পাচ্ছে যে সকল চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় থাকা চলচ্চিত্রগুলো।
২০২৫ ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাচ্ছে যে সকল বাংলাদেশি চলচ্চিত্র
বরবাদ
ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান ও কলকাতার ইধিকা পল জুটির এই দ্বিতীয় কাজটি নিয়ে ইতোমধ্যে চলচ্চিত্র পাড়ায় বেশ হৈচৈ চলছে। এর আগে প্রিয়তমা (২০২৩)-তে বেশ সাড়া ফেলেছিলো এই জুটি। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ভারতের যীশু সেনগুপ্তের যুক্ত হওয়া ছবিটির প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। একটি আইটেম গানে ক্যামিও চরিত্রে থাকবেন কলকাতার আরেক তারকা নুসরাত জাহান-কে।
রোমান্টিক অ্যাকশন থ্রিলারটি পরিচালনার মধ্য সিনেমা নির্মাণে পদার্পণ করেন মেহেদী হাসান হৃদয়। প্রযোজনায় রয়েছেন শাহরিন আক্তার সুমি (রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন) এবং আজিম হারুন (রিধি সিধি এন্টারটেইনমেন্ট)।
অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, মামুনুর রশীদ, এবং ইন্তেখাব দিনার।
সংগীত আয়োজনে আছেন প্রীতম হাসান। ২০২৪ সালের তুফান চলচ্চিত্রে তার ‘লাগে উড়া ধুরা’ গানটি বিভিন্ন মহলে বেশ সমাদৃত হয়। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার কাজ করছেন শাকিব খানের সঙ্গে। প্রীতমসহ ছবির বিভিন্ন গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বলিউডের কয়েকজন গায়ক।
অ্যাকশন দৃশ্য পরিচালনা করেছেন বলিউড ও তেলুগু ইন্ডাস্ট্রির অ্যাকশন ডিরেক্টর রবি বর্মা। নাচের কোরিওগ্রাফি করেছেন বলিউডের আদিল শেখ।
জংলি
বেশ কয়েকবার মুক্তির তারিখ পিছিয়ে অবশেষে প্রেক্ষাগৃহে যাচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র জংলি। এম রাহিম পরিচালিত রোমাঞ্চকর নাট্য চলচ্চিত্রটির প্রধান ভূমিকায় আছেন এ সময়কার দর্শকনন্দিত তারকা সিয়াম আহমেদ। তার প্রধান সহশিল্পীরা হলেন শবনম বুবলী ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।
সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমার গল্প লিখেছেন আজাদ খান। মেহেদী হাসান ও সুকৃতি সাহা যৌথভাবে গল্পটিকে চিত্রনাট্যে রূপ দিয়েছেন।
অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, দিলারা জামান, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এবং এরফান মৃধা শিবলু।
প্রিন্স মাহমুদের সংগীত পরিচালনায় একটি বিশেষ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তাহসান খান। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে এমআইবি স্টুডিও এবং টাইগার মিডিয়া।
দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে ২৫ এপ্রিল চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিকভাবে উন্মুক্ত হবে।
দাগি
২০২৩ সালে শাকিব অভিনীত প্রিয়তমার সাথে প্রতিযোগিতা করেছিলো আফরান নিশোর সুড়ঙ্গ। এবার তারই পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে আসন্ন ঈদে। প্রথম ছবি সুড়ঙ্গ-এর পর প্রায় দেড় বছরের বিরতিতে ছিলেন ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় অভিনেতা। তারপর ভক্তদের হতবাক করে দিয়ে দিলেন দ্বিতীয় চলচ্চিত্র দাগি’র সংবাদ। তার বিপরীতে নায়িকার অবস্থানও থাকছে অপরিবর্তিত। দেড় বছর সিনেমা থেকে দূরে থাকার পর দ্বিতীয়বারের মতো নিশোর সাথে জুটি বদ্ধ হয়েছেন তমা মির্জা।
একটি বিশেষ ভূমিকায় দেখা যাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার জয়ী অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালকে। সিনেমায় আরও রয়েছেন মনোজ কুমার প্রামানিক, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, রাশেদ মামুন অপু, মনিরা আক্তার মিঠু, এবং মিলি বাশার।
পরিচালনার পাশাপাশি ছবির কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য গড়েছেন শিহাব শাহীন। এখানে বলা হয়েছে একজন সাধারণ মানুষের অপরাধজগতে জড়ানোর গল্প। এই পটভূমিকে উপজীব্য করেই কাহিনী এগিয়ে গেছে মূল চরিত্রের প্রায়শ্চিত্য ও মুক্তির দিকে।
২০১৫ সালে ‘ছুঁয়ে দিলে মন’-এর পর ‘দাগি’ নির্মাতার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। এটি এসভিএফ আলফা-আই এবং দেশীয় ওটিটি (ওভার দ্যা টপ) চরকির একটি যৌথ প্রযোজনা।
চক্কর ৩০২
মোশাররফ করিম ভক্তদের জন্য এবারের ঈদে রয়েছে দারুণ চমক। শরাফ আহমেদ জীবনের গল্প, পরিচালনা এবং সহ-প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘চক্কর ৩০২’। সহ-প্রযোজনায় আরও ছিলেন আবুল ফজল মোহাম্মদ রিতু, সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন, সরদার সানিয়াত হোসেন, এবং আদনান আল রাজীব।
সিনেমাতে মোশাররফ করিম একটি মার্ডার কেসের তদন্তকারী কর্মকর্তা। তার স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু।
সংলাপ লিখেছেন নাহিদ হাসনাত, যিনি সৈয়দ গাউসুল আলম শাওনের সাথে যৌথভাবে ভূমিকা রেখেছেন চিত্রনাট্যে।
বিভিন্ন চরিত্রের অভিনয়ে ছিলেন তারিন জাহান, ইন্তেখাব দিনার, মৌসুমী নাগ, রওনক হাসান, শাশ্বত দত্ত্ব, সুমন আনোয়ার, সারা আলম, ফারজানা বুশরা, আহমেদ গোলাম দস্তগীর শান, এবং ডিকন নূর।
সঙ্গীত পরিচালনার কাজ করেছেন ইমন চৌধুরী, জাহিদ নিরব, অমিত চ্যাটার্জি।
বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্রের অনুদানে নির্মিত ছবিটি মুক্তি পাবে কারখানা প্রোডাকশন এবং গামাফ্লিক্স-এর ব্যানারে।
জ্বীন ৩
জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনায় আরও এক কিস্তি নিয়ে হাজির হচ্ছে ভৌতিক চলচ্চিত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি জ্বীন। এর পূর্বে ২০২৩ থেকে প্রতি বছর জ্বীন-এর একটি করে সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।
দ্বিতীয় কিস্তিতে অনুপস্থিত থেকে এবার প্রধান চরিত্রে ফিরেছেন সজল নূর। তার বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে পুরো মুভি সিরিজে প্রথমবারের মতো যুক্ত হয়েছেন নুসরাত ফারিয়া। এটি বড় পর্দায় সজলের সাথে তার প্রথম কাজ।
জাজের অধীনে প্রযোজনার পাশাপাশি ছবির গল্প, সংলাপ, ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আব্দুল আজিজ। কামরুজ্জামান রোমান পরিচালিত সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে ময়মনসিংহের একটি বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন তানিয়া আহমেদ এবং আহসানুল হক মিনু। এছাড়াও দেখা যাবে অভিনেতা নাদের চৌধুরীকে, যিনি জ্বীন ১-এর পরিচালক ছিলেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত ছবির কন্যা শিরোনামের গানটি সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান মাহমুদুল ও দিলশাদ নাহার কনা।
পিনিক
শবনম বুবলী ও আদর আজাদ জুটির এই চলচ্চিত্রটিকে ঘিরে অনেক দিন ধরে শোরগোল চলছে দর্শকদের মাঝে। জাহিদ জুয়েল পরিচালিত থ্রিলার, অ্যাকশন, ও সাসপেন্সের সংমিশ্রণে গড়া ছবিটি অবশেষে এই ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। ‘তালাশ’ (২০২২) এবং ‘লোকাল’ (২০২৩)-এর পর তৃতীয়বারের মত বড় পর্দায় আসছেন বুবলী-আদর জুটি।
সিনেমাটিতে প্রথমবারের মতো খলনায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বুবলী। প্রতিশোধ ও পাল্টা প্রতিশোধের গল্প নির্ভর মুভির চিত্রনাট্য লিখেছেন আখিউজ্জামান মেনন।
চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করছেন ফজলুর রহমান বাবু, আলী রাজ, আজাদ আবুল কালাম, জয়িতা মহলানবীশ, মাসুম বাশার, মোমেনা চৌধুরী, সমু চৌধুরী, এ কে আজাদ সেতু, নাফিস আহমেদ বিন্দু, এবং শরীফ সিরাজ।
ইউরো বাংলা এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত সিনেমাটির সহ-প্রযোজনায় আছেন অভিনেতা শিমুল খান।
হাউ সুইট
বিয়ে থেকে পালানোর জন্য আঁটঘাট বেধে নেমেছে সুইটি। অপরদিকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে নাছোড়বান্দা আদনান। এমনি দুটো চরিত্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে রম্য নাট্য-চলচ্চিত্র ‘হাউ সুইট’। ওয়েব ফিল্মটির গল্প, চিত্রনাট্য, ও পরিচালনায় রয়েছেন এ সময়ের দর্শকনন্দিত নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি।
আদনান চরিত্রে রয়েছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, আর সুইটি চরিত্রে দেখা যাবে তাসনিয়া ফারিণকে।
তাদের সহশিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন সাইদুর রহমান পাভেল, সুষমা সরকার, আবদুল্লাহ রানা, আরফান ম্রিধা শিবলু, এবং নাইমা আলম মাহাসহ আরও অনেকে।
নাচে, গানে ভরপুর বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমাটির সুর ও সঙ্গীতে দায়িত্ব পালন করেছেন আকাশ সেন।
গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন বালাম ও ন্যান্সি।
প্রযোজক হিসেবে ছিলেন মুশফিকুর রহমান মঞ্জু। বুম ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত ছবিটি সম্প্রচারিত হবে ওটিটি বঙ্গতে।
শেষাংশ
২০২৫-এর ঈদুল ফিতরকে ঘিরে বাংলাদেশি সিনেমাপ্রেমিদের উদ্দীপনার কেন্দ্রে রয়েছে বরবাদ, দাগি, ও জংলি। ঈদের আনন্দকে নতুন মাত্রা দিতে এবার থাকছে মোশাররফ করিমের ‘চক্কর ৩০২’ আর অমি ভক্তদের জন্য ‘হাউ সুইট’। বুবলিকে খলনায়িকা রূপে দেখার আগ্রহ আলাদা ভাবে দর্শক টানবে ‘পিনিক’। জ্বীন ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে নুসরাত ফারিয়ার সম্পৃক্ততা কতটা চমকপ্রদ হবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ‘জ্বীন ৩’ মুক্তি পর্যন্ত। সব মিলিয়ে, দারুণ এক প্রতিযোগিতামুখর হতে যাচ্ছে ঢালিউডের এবারের ঈদ আয়োজন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে সাবেক সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারকে।
সমিতির সহসভাপতি ও মুখপাত্র ডি এ তায়েব মঙ্গলবার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি বিকেলে কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার করে কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে এক বিবৃতি প্রদান করেন নিপুণ আক্তার। সেখানে নিজেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করেন তিনি। গত ১৭ জুলাই নিজের ফেসবুকে সেটা পোস্টও দেন। এ নিয়ে সে সময় ব্যাপক সমালোচনা হয়।
‘অনৈতিকভাবে’ সমিতির প্যাড ব্যবহার করায় মিশা-ডিপজল নেতৃত্বাধীন কমিটি গত বছরের ৩০ জুলাই সমিতির ষষ্ঠ সভায় এ বিষয় উত্থাপিত হলে নিপুণকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তিনি তা তোয়াক্কা করেননি।
তার আগে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে নিয়ে গণমাধ্যমে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে এ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে।
গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কাজ করায় নিপুণকে নোটিশ দেয় কার্যনির্বাহী পরিষদ। তবে আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার কাছের মানুষ হওয়ায় তিনি কোনো চিঠিই আমলে নেননি বলে অভিযোগ আছে।
এমন বাস্তবতায় অনৈতিকভাবে শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার এবং সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয় নিপুণ আক্তারকে।
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গত ১০ জানুয়ারি সকালে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০১ ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নিপুণের পাসপোর্ট অফলোড করে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
নিপুণের নামে মামলা না থাকায় ওই দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:ভারতের মুম্বাইয়ে নিজ বাসায় অনুপ্রবেশকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলী খান।
স্থানীয় সময় বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রাত আড়াইটায় একজন অনুপ্রবেশকারী বাসায় ঢুকে সাইফ আলীকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করে। বর্তমানে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার চলছে।
হাসপাতালকর্মীরা বলছেন, সাইফ আলী খান এখন বিপদমুক্ত। রাতে তার নিউরো সার্জারি করা হয়েছে। বর্তমানে প্লাস্টিক সার্জারি চলছে।
এ ঘটনায় বান্দ্রা থানায় একটি এজাহার করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, সাইফ আলী যখন বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন একজন অনুপ্রবেশকারী চুপিসারে তার বাসায় ঢোকেন। এ সময়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সাইফের হাতাহাতি হয়।
এরপর সাইফ আলী খানকে ছয়বারের বেশি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান অনুপ্রবেশকারী।
এক বিবৃতিতে লীলাবতী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ছয়টি আঘাতের মধ্যে দুটি তার মেরুদণ্ডের কাছে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।
এরই মধ্যে তার বাসার তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত করছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
এক বিবৃতিতে সাংবাদিক ও ভক্তদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে সাইফ আলী খান টিম।
এতে বলা হয়, ‘এটি এখন পুলিশের কাজ। আমরা আপনাদের হালানাগাদ তথ্য জানিয়ে দেব।’
কারিনা কাপুর খান টিমও একই বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘পরিবারের অন্য সদস্যরা ভালো আছেন।’
আরও পড়ুন:খ্যাতিমান অভিনেতা প্রবীর মিত্রের মৃত্যু হয়েছে, যার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোববার রাত ১০টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
অভিনেতার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৮১ বছর বয়সী প্রবীর মিত্র বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা নিয়ে ১৩ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শরীরে অক্সিজেন স্বল্পতাসহ বেশ কিছু অসুস্থতায় গত ২২ ডিসেম্বর তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু দিনে দিনে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়।
প্রবীর মিত্র ১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র।
পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুল জীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমানের মৃত্যু হয়েছে, যার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাকালে শুক্রবার রাতে তার মৃত্যুু হয়।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর সংবাদমাধ্যমকে অঞ্জনার মৃত্যুর বিষয়টি জানান।
অভিনেতা জায়েদ খানসহ অনেক শিল্পী ও কলাকুশলী তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নামী অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবরটি জানান।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে শনিবার বেলা ১১টার দিকে তার জানাজা হবে।
মৃত্যুর আগে তিন দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন অঞ্জনা।
গত ২৪ ডিসেম্বর জ্বর নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেত্রী। পরে তার রক্তে সংক্রমণ পান চিকিৎসকরা, যা পুরো শরীরে ছড়িয়ে হার্ট ও কিডনিতে জটিলতা সৃষ্টি করে। অঞ্জনার ফুসফুসে পানি আসে এবং তিনি স্ট্রোক করেন।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকায় ১৯৬৫ সালের ২৭ জুন জন্মগ্রহণ করেন অঞ্জনা। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
আরও পড়ুন:ভারতের হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারের বাইরে গত ৩ ডিসেম্বর পদদলিত হয়ে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা আল্লু অর্জুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’-এর প্রদর্শনীতে অভিনেতার অনির্ধারিত উপস্থিতির সময় নারীর মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আল্লু অর্জুনকে জুবিলি হিলসের বাসভবন থেকে হেফাজতে নিয়ে চিক্কাদপল্লি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় তার বাবা ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা আল্লু অরবিন্দ এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা বাসায় ছিলেন।
গ্রেপ্তারের পর ৪১ বছর বয়সী এ অভিনেতা সোমবার পর্যন্ত তার আটকাদেশ স্থগিত রাখার আবেদন করেন। শুক্রবার এ আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে হায়দরাবাদ পুলিশ আল্লু অর্জুন, তার নিরাপত্তা দলের সদস্য এবং সন্ধ্যা থিয়েটারের ব্যবস্থাপকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
ঘটনার দিন অভিনেতাকে একপলক দেখার জন্য প্রচুর ভিড় হওয়ায় পদপিষ্টের ঘটনায় তাদের ভূমিকার বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য